Showing posts with label পূজা. Show all posts
Showing posts with label পূজা. Show all posts

Monday, March 25, 2019

কেন এবং কি উদ্দেশ্যে সরকারী উদ্যোগে ‘কুসংষ্কার রীতি’ আমদানি করা হলো ?


২৫শে মার্চ উপলক্ষে একটি বিষয় নিশ্চয়ই আপনাদের সবার নজরে এসেছে। বিষয়টি হলো সরকারি পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ২৫ মার্চ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন করা। খবরগুলো:

১) “লক্ষাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন করে শহীদদের স্মরণ করলেন বগুড়াবাসী”
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ১ লাখ ৩০ হাজার মোমবাতি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই মোমবাতি প্রজ্বালন করেছেন।  (https://bit.ly/2YjvWCZ)

২) “নড়াইলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন—জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।  (https://bit.ly/2HOm8Lr)

৩) “মেহেরপুরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
সোমবার সন্ধায় শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
(https://bit.ly/2TZ7E2C)

৪) ``মোমবাতি জ্বালিয়ে নাটোরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন”
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক র‌্যালী বের করা হয়।  (https://bit.ly/2U3GyHK)

৫) “নরসিংদীতে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।
(https://bit.ly/2TDO9rq)

৬) “আড়াই হাজার মোমবাতি জ্বেলে শহীদদের স্মরণ”
“ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আড়াই হাজার মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। ”
(https://bit.ly/2YnyArm)

৮) “রাজশাহীতে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জলন”
সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহী নগরীর হাদির মোড় বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে জেলা প্রশাসন। (https://bit.ly/2Ty9Zwj)

৯) “যশোরে হাজার মোমবাতির আলোয় ভয়াল ২৫ মার্চ স্মরণ”
প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় সেদিনের বীর শহীদদের।
(https://bit.ly/2JP6FNw)

১০) “সাতক্ষীরায় জেলা ২৫শে মার্চ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন”
২৫মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বলন হয়। (https://bit.ly/2Oq5jHJ)

এবার আসুন মৃতদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের মোমবাতি প্রজ্জলন করার রীতি কোথা থেকে আসলো তা জানি:

১) প্যাগান ধর্ম: মৃতের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর প্যাগান বা মূর্তিপূজকদের একটি বিশেষ প্রথা। এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে-
মৃতের জন্য প্রদীপ : প্যাগানদের একটা রীতি হলো মৃতের জন্য একটি প্রদীপ দেয়া, যেন মৃতব্যক্তি পরবর্তীতে জীবনে আলো পায়। তাদের বিশ্বাস পরবর্তী জীবনের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাই তারা তাদেরকে আলোকিত করতে এই আলো দেয়া। এই কালচার এশিয়াটিক অঞ্চল থেকে উৎপত্তি, Phoenicia এবং Punic colonies- তেও এই কালচার পালিত হয়। ইউরোপে রোমের অধিনে দেশগুলোতে এই রীতি দেখা যায় । (https://tinyurl.com/y3lwhwpf)

২) ডাইনী দমনে যাদুবিদ্যা :
ডাইনী দমনে যাদুবিদ্যার সাথেও এই মোমবাতি রীতি জড়িত। যাদুকররা বিশ্বাস করে মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃতের আত্মাকে নিয়ে আসা হয় । (https://tinyurl.com/y23arfny)

(৩) হিন্দু ধর্ম :

দিপাবলী পূজার সময় হিন্দুরা বাড়ি বাড়ি প্রদীপ জালায়। হিন্দুদের দাবি, নিকষ অন্ধকারেই অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে ঘরের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। (https://tinyurl.com/y3tns69f)

(৪) শিখ ও জৈন :

হিন্দু ধর্মের দিপাবলীর দিনটি শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করে। তারা এ দিনটিতে মোমবাতি জ্বালায়। (https://tinyurl.com/y4267hol) তবে শিখরা এ দিবসটি নাম দিয়েছে Bandi Chhor Divas । (https://en.wikipedia.org/wiki/Bandi_Chhor_Divas)।

(৫) বৌদ্ধ ধর্ম:

মোমবাতি জ্বালিয়ে পূজা ও ধ্যান করা বৌদ্ধ ধর্মের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। (https://tinyurl.com/y36kmjwb)

(৬) খ্রিস্টান ধর্ম:
আব্রাহামিক ধর্ম হলেও পরবর্তীতে খ্রিস্টান ধর্মেও পৌত্তলিকতা বা প্যাগানিজম প্রবেশ করে। তাই মৃত ব্যক্তির জন্য মোমবাতি জ্বালানো কালচারটা খ্রিস্টানদের একটি বড় কালচার। এ দিবসটি তারা পালন করে All Soul’s Day নামে। খ্রিস্টানরা এ দিবসটি পালন করে ২রা নভেম্বর। খ্রিস্টানদের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক, বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক, ইস্টার্ন অর্থডক্স, প্রটেস্টান্ট, অ্যাঙ্গলিকানদের মধ্যে এ দিবস পালনের রীতি দেখা যায়। (https://tinyurl.com/y485d8ud)

(৭) ইহুদী ধর্ম :
ইহুদী ধর্মের মধ্যে বর্তমানে অনেক পৌত্তলিকতা বা প্যাগানিজম ঢুকে গেছে। তাই মৃতব্যক্তিদের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর কালচারটা ইহুদী ধর্মও করে। ইহুদীদের এ অনুষ্ঠানটির নাম Yahrzeit candle । এ সময় ২৬ ঘন্টা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। (https://en.wikipedia.org/wiki/Yahrzeit_candle)

“মৃতের আত্মাকে শান্তি দিতে মোমবাতি”
অথবা ‘মৃতকে স্মরণ করে মোমবাতি’
অথবা ‘মৃতকে আলো দিতে মোমবাতি’
এই তিনটি বিষয় ইসলামধর্ম ভিন্ন অন্য ধর্ম বা রিচুয়ালগুলো সমর্থন করে।

বাংলাদেশে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং দেশটির রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এ অবস্থায় হঠাৎ করে প্রশাসনের উদ্যোগে, দেশটির একটি জাতীয় উপলক্ষকে (২৫শে মার্চ) কেন্দ্র করে এমন একটি সংস্কৃতি আমদানি করা হলো, যা দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সংস্কৃতি ও চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দিয়ে বাংলাদেশে অনেক কিছুর প্রচলন করা হয়, কিন্তু এই মোমবাতি প্রজ্জলনটা তো ধর্মনিরপেক্ষও কোন সংস্কৃতি নয়, বরং আদি পৌত্তলিকদের কুসংস্কার বিশ্বাস থেকে আগত।

কেন সরকারী উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান ?
সরকার সম্ভবত চাইছে ২৫শে মার্চকে ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি নিতে। এবং এখানে যে বিশ্বাসটি কাজ করছে, সেটা হলো পৌত্তলিক বা প্যাগান কালচার গ্রহণ করলে দ্রুত স্বীকৃতি নেয়া সম্ভব।  সেই বিশ্বাস থেকে সম্ভবত রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই মোমবাতি প্রজ্জলনের উদ্যোগ।

সরকার তার রাজনৈতিক অর্জন দেখানোর জন্য রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবসগুলোকে জাতিসংঘের ইউনেস্কোতে তালিকাভূক্ত করাতে দৌড়ঝাপ করছে। কিন্তু এটা ভুল গেলে চলবে না, ইউনেস্কো বা জাতিসংঘ হচ্ছে সম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেনামি অঙ্গসংগঠন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পেছনে জড়িত (https://bit.ly/2utAj0w )।

বিষয়টি এমন দাড়াচ্ছে, রাষ্ট্রের মহান অর্জনগুলোকে এমন দুষ্টু শক্তির কাছ থেকে আমরা স্বীকৃতি চাচ্ছি, যারা খোদ আমাদের রাষ্ট্রের বিরোধী। এবং সেই দুষ্টু শক্তির স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মকেও বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করছি না। যারাই এ ধরনের অপতৎপরতার পেছনে জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
















----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, February 12, 2019

বাংলাদেশ: সরস্বতী পূজো নাকি লাভ জিহাদের হাতে খড়ি


কলকাতায় সরস্বতী পূজোকে ডাকা হয় বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে নামে। কলকাতার সাহিত্য থেকে পাই, এ দিন সদ্য কৈশোরপ্রাপ্তা মেয়েটি এক প্যাচে শাড়ি গায়ে দিয়ে, মাথায় ফুল ঝুলিয়ে স্কুলে যায় দেবী সরস্বতীর আরাধণা করতে। সারাক্ষণ স্কুল ড্রেস আর স্কুলের সাজ ছেড়ে ঐ একদিনের অপরূপ সাজ সবকিছুকে উল্টেপাল্টে দেয়। সদ্য তরুণ কোন ছেলের মনে ধরে বসে থাকে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো প্রেম। এ কারণে সরস্বতী পূজোকে বলে হয় বাঙালীর ভালেন্টাইন ডে বা প্রেমের হাতে খড়ি নামে ডাকা হয়।

কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পূজো বাঙালী হিন্দু তরুণ শ্রেণীর জন্য আশির্বাদ হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিন্তু সে রকম নয়। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু হওয়ায় ঐ দিন প্রেমভালোবাসাটা নাহয় নিজেদের মধ্যে হয়, কিন্তু বাংলাদেশে সেটি কার মধ্যে হয়, তার কোন হিসেব আছে কি ?
হিন্দু মেয়েটি যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফরমাল ড্রেস ছেড়ে শাড়ি পড়ে, কপালে টিপ দেয়, তখন তার দিকে কত মুসলমানের চোখ পড়ে একবার ভেবে দেখেছেন ? সেখানে হিন্দু ছেলে আর হিন্দু মেয়ে কয়টি ? ১০টি হিন্দু মেয়ের বিপরীতে মুসলিম ছেলে ৯০টি, আর কোন মুসলিম ছেলে যদি একবার কোন হিন্দু মেয়েকে পছন্দ করেই ফেলে তবে সেখানে হাত দেবার ক্ষমতা কোন হিন্দু ছেলের আছে ?

অতি সাম্প্রতিক সময়ে সরস্বতী পূজো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে আমাদের হিন্দুদের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছে। বাহ্যিকদৃষ্টিতে মহৎ হিন্দুত্ববাদী কার্যক্রম। অনেক মুসলিমকে পর্যন্ত পূজোর মণ্ডপে উপস্থিত করতে পারছেন। কিন্তু আলটিমেট রেজাল্ট কি ? কতজন ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু প্রেমী হয়েছে, আর কতজন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে, একবার তুলনা করে দেখেছেন ? দিনে দিনে মুসলমানদের জিহাদী মনোভাব আর হিন্দু বিদ্বেষ তো বাড়ছেই।

তাছাড়া আমাদের মধ্যে যে গ্রুপগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতীপূজো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে, সবার যে হিন্দুত্ববাদী উদ্দেশ্যে আছে, সেটা আমার মনে হয় না। এর মধ্যে একটি বড় গ্রুপ আছে যাদের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। কিছু থাকে এই উপলক্ষ করে ফূর্তি করে। আবার কিছু আছে, এই উপলক্ষ্য করে টাকা মেরে খায়।

এই যখন পেছনের কথিত হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশ্য, তখন আমরা সাধারণ হিন্দুরা এর দ্বারা কি উপকার পেতে পারি ?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজোর নাম দিয়ে আমরা লোক জড়ো করছি, এটা ঠিক, কিন্তু আমাদের মেয়েগুলো সাজিয়ে-গুছিয়ে কি মুসলমান জিহাদীদের খাবার বানিয়ে দিচ্ছি না ??
আজকাল শিক্ষিত হিন্দু নারীদের এক বড় অংশ মুসলমানদের ঘরে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয় এর একটা বড় কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরস্বতী পূজোর গণপ্রচলন। এই দিনটিতেই লাভ জিহাদের হাতেখড়ি হচ্ছে, হিন্দু মেয়েগুলো মুসলমানদের চোখে পড়ে যাচ্ছে, আর পরবর্তীতে ঘটছে ধর্মান্তরণ।

আমার কাছে এবারের কয়েক ডজন’ ছবি আছে, যেখানে সরস্বতী পূজার নাম করে হিন্দু মেয়েগুলো মুসলমান সহপাঠীর কোলে উঠে বসেছে। এই সুন্দরী হিন্দু মেয়েটি তো কোন হিন্দু পুরুষের ঘরে যাওয়ার কথা ছিলো, অথচ সে যাচ্ছে মুসলমান পুরুষের ঘরে। দুইদিন সংসার করে হিজাব পড়ে, নামাজ-রোজা করে সহী মুসলিম হয়ে উঠছে। মাঝে মাঝে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধেও পোস্ট দিচ্ছে। অপরদিকে হিন্দু পুরুষটি হস্তশিল্প করতে করতে পরিণত হচ্ছে অক্ষম পুরুষে।

আসলে আপনারা যতই বলেন, “লাভ জিহাদ বন্ধ করতে হবে”,
যতই লাভ জিহাদের ক্ষতিকর দিক প্রচার করেন, যতই বলেন, “এরমাধ্যমে হিন্দু জাতি বিলুপ্ত হবে”,
লাভ হবে না। কারণ আপনারাই লাভ জিহাদের উপলক্ষ তৈরী করে দেন। ভারতের রাজস্থানে দশেরা উৎসবের সময়, লাঠিখেলার সময় হিন্দু নারীরা অপরুপ সাজে সেজে আসে। ঐ সময় খুব কড়াকড়ি থাকে, যেন কোন মতেই সেখানে কোন মুসলিম পুরুষ ঢুকতে না পারে। কারণ রাজস্থানের হিন্দু সমাজ জানে, ঐ সময় সেজে থাকা হিন্দুদের নারীদের ললুপ দৃষ্টি পড়ে যায় মুসলিম পুরুষদের, আর একবার দৃষ্টি পড়ে গেলে সেটা ফেরানো সাধ্য কার ?

ভারতে কতটা মুসলমান থাকে ? তারপরও সেখানে যদি এই ব্যবস্থা হয়, তাহলে যে বাংলাদেশী হিন্দুরা অস্তিত্ব সংকটে সর্বদা তারা কেন উল্টো হিন্দু নারীদের মুসলমানদের হাতে তুলে দিচ্ছে ? কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নাম করে লাভ জিহাদের হাতে খড়ি করার সুযোগ দিচ্ছে ??

হিন্দুত্ববাদ ভালো, কিন্তু লোক দেখানো হিন্দুত্ববাদে যেন হিন্দুধর্ম বিলুপ্ত না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্মুক্ত পূজো নয়, পূজো নিয়ে আসা হোক হিন্দুদের ধর্মালয় মন্দিরে, এটাই আামার প্রত্যাশা।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

প্রসঙ্গ : পুরান ঢাকার সাকরাইন, মেথরের অনুষ্ঠান মুসলমানের ঘরে


পুরান ঢাকার সাকরাইন বলে একটা অনুষ্ঠানের নাম শোনা যায়। পুরান ঢাকার আমুদপ্রিয় তরুণ প্রজন্ম ছাদের মধ্যে সার্চ লাইট লাগায়, বাজি পুড়িয়ে, হিন্দি গান বাজিয়ে, নর্তন-কুর্দন করে, ঘুড়ি উড়িয়ে এই দিবস পালন করছে। সাকরাইন বা পৌষ সংক্রান্তিকে যতই সাবর্জনীন ঢাকাইয়া উৎসব নামে ডাকা হোক, বাস্তবে এ অনুষ্ঠানটা হিন্দুদের অনুষ্ঠান সবাই জানে। এটা হিন্দুদের মকর সংক্রান্তি, যে দিন হিন্দুদের অনেক পূজা-পার্বন থাকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, নেপালের হিন্দুরা ভিন্ন নামে এ দিবসটি পালন করে। যেমন- মাঘি সংক্রান্তি (নেপাল), ‘সাকরাত’ (দিল্লি ও হরিয়ানা), উত্তরায়ন (গুজরাট), ‘মাঘি (পাঞ্জাব) এবং আরও অনেক নামে।
এবার আসুন উইকিপিডিয়া কি বলছে,: “ঢাকা শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে সাকরাইন উৎসব পালন করা হয়[। মূলত পুরান ঢাকার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতে বেশি জমজমাট ভাবে উদযাপিত হয় পৌষসংক্রান্তি তথা সাকরাইন। শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে ছোট, বড় সকলেই মেতে উঠে এ উৎসবে।”
পাঠক, ৪৭ আর ৬৫ –এ বাংলাদেশে যতসামান্য ব্রাহ্মণ বাংলাদেশ ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গ চলে যায়। বাংলাদেশে যারা থাকে সবাই নিচুজাতের হিন্দু, যাদের বেশিরভাগের কাজ মুসলমানদের বাড়ির টয়লেট মলমূত্র পরিষ্কার করা। যেসব এলাকায় সাকরাইন অনুষ্ঠানটি পালন হয়, তাদের নামগুলো খেয়াল করুণ, তবেই বুজতে পারবেন- শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, সূত্রাপুর।
-শাখারীবাজার নামটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত শাঙ্খিক বা শঙ্খকার থেকে
-তাতীবাজার নামটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত তাঁতি থেকে
-গোয়ালনগর শব্দটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত গোয়ালা বা সদগোপ থেকে
-সূত্রাপুর শব্দটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত সূত্রধর বা কাঠমিস্ত্রি থেকে
অন্যদিকে পুরান ঢাকা শব্দটি এসেছে ঢাকার আদি অবস্থান হিসেবে। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৭শ’ শতাব্দীতে ঢাকাকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। পুরান ঢাকার মুসলমানরা সেদিক থেকে ঢাকার আদিবাসী এবং ঐতিহ্যবাহী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজকে পুরান ঢাকার মুসলিম তরুণ প্রজন্ম যে গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ‘সাকরাইন’ পালন করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তারা এতদিন ছিলো ঐ মুসলিম পরিবারের টয়লেট পরিষ্কারওয়ালা, জুতা সেলাই, বা হাসপাতালে লাশকাটা করা। যারা সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের বাড়ির আঙ্গিনায় কখন পা দেয়ার সাহস পায়নি, আজকে সেই সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের নতুন প্রজন্ম ঐ নমশূদ্র হিন্দুর কালচার মাথায় নিয়ে নাচতেছে। অনেকটা সিনেমার নায়িকা জয়া আহসনের মত। এক সময় যে ছিলো সম্ভ্রান্ত নবাব পরিবারের বউ (আহসান মঞ্জিল)। কিন্তু সেখানে থেকে ডিভোর্স নিয়ে জয়া আহসান এখন কলকাতায় গিয়ে হিন্দু লম্পটদের খোরাক হয়েছে।
পুরান ঢাকায় হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের লোকই আছে এবং অনেক আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু এতদিন সেখানের মুসলমানরা কখনই হিন্দুদের সাথে মিশে যায়নি বা সংস্কৃতি গ্রহণ করে। কারণ তারা দুই শ্রেণীর স্ট্যাটাসের পার্থক্য ভালোভাবে বুঝে। সাকরাইন পুরান ঢাকার হিন্দুদের কালচার হতে পারে, কিন্তু সেটা কখনই পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলমান শ্রেণীর কালচার নয়। কিন্তু হঠাৎ করে কার উস্কানিতে তারা নিচু শ্রেণীর হিন্দু কালচারের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলো তা আমার বুঝে আসছে না। এতদিন ‘পুরান ঢাকা’ শব্দটার সাথে যে ‘ঐতিহ্য’ ও ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দযুগল সংযুক্ত ছিলো, সেটা অবশ্যই নবাবী কালচার, মুসলমানদের কালচার। কিন্তু এখন সেখানে মেথর-ডোম আর গোয়ালার কালচার প্রবেশ করিয়ে তা কলুষিত করায় ভবিষ্যতে ‘পুরান ঢাকা’র সাথে ‘ঐতিহ্য’ আর ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দযুগল বিলুপ্ত হবে, এটা নিশ্চিত।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, October 19, 2018

রাস্তা বন্ধ করে কোরবানী করা যাবে না কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে পূজা করা যাবে


কোরবানী ঈদ আসলেই একটা কথা বাংলাদেশের সরকার-প্রশাসন ঘোষণা করে। বলে, “রাস্তা বন্ধ করে কোরবানী করা যাবে না”। যদিও, কোরবানীর ঈদে সরকারি ছুটি থাকুক এবং কোরবানী করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগুক না কেন। তবুও এ ধরনের একটা ঘোষণা প্রতি বছর আমরা মিস করি না।
অথচ রাস্তা বন্ধ ৫দিন ব্যাপী পূজা হচ্ছে, এখন কিন্তু সরকার প্রশাসন একেবারেই চুপ। বরং তারা পুলিশ নিয়োগ করেছে, কেউ যদি বিরক্ত ফিল করে ভাব প্রকাশ করে, তবে তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়। ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়িসহ অনেক স্থানে ৫দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে পূজা হচ্ছে, পূজার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, কিন্তু তারপরও সবার চোখ-কান-মুখ বন্ধ।
আওয়ামী সরকারের হিন্দুয়ানী সব পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনা নিজেই পারলে ‘কলেমা’ ভুলে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ বলে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের থেকে বাংলাদেশে পূজা বেশি হয়, ভারতীয় হিন্দুরা বাংলাদেশে আসে জমজমাট পূজা দেখতে।
খোদ মোদি দূর্গা মূর্তি চেনে না, আজকে টুইটারে দূর্গা পূজা শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে কালী মূর্তির ছবি পোস্ট করেছে মোদি। অথচ বাংলাদেশে দূর্গামূর্তিকে আদাব দিয়ে তাকে সার্বজনিন হিসেবে ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনা।
ভারতে মূর্তি সাইজ প্রশাসন নির্ধারণ করে দিছে, বাংলাদেশে অবাধে মূর্তির সাইজ বড় করতে পারে। ভারতে সব নদীতে মূর্তি ডুবানো যায় না, বাংলাদেশে হিন্দুরা যত খুশি তত মূর্তি যেখানে খুশি সেখানে ডুবাতে পারে। বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় বানানো হয়েছে পূজার গেট, সেখানে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তির ছবি। আর বাংলাদেশের মুসলিমরা সেই মূতির পায়ের নিচে দিয়ে আসা যাওয়া করছে অবাধে, যদিও ইসলাম ধর্মবেত্তাদের মতে হিন্দুমূর্তির পায়ের নিচ যাওয়া চরম ধর্মবিরোধী।
ভারতে দূর্গা পূজা উপলক্ষে ১ দিন ছুটি, আর বাংলাদেশে হিন্দুরা ৩ দিন ছুটি চায়, নয়ত অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় (কয়েক বছর আগে প্রেসক্লাকে এই হুমকি দেয় গোবিন্দ্র প্রামাণিক)। সুপ্রীম কোর্ট দূর্গা পূজায় বন্ধ থাকে ২ দিন। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি বন্ধ থাকে ২ সপ্তাহ।
এক কথায় বলতে, ভারতের থেকে বাংলাদেশকে অধিক হিন্দুরাষ্ট্র বানিয়ে ফেলতে শেখ হাসিনার আষ্কারার তুলনা নেই।
কিন্তু যত যাই করুক, হিন্দুরা কিন্তু শেখ হাসিনাকে মারতে ওত পেতে আছে। আমি ৩ বছর আগেই বলেছিলাম এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি বানানো হচ্ছে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ভুল, কারণ সে সিআইএ’র এজেন্ট। কিন্তু আমার কথা না শুনে শেখ হাসিনা অতি হিন্দুপ্রীতিতে সিনহাকে প্রধানবিচারপতি বানিয়ে দেয়। যার ফল এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।
এখনও শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় শত্রু গণফোরাম। সেই গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি হচ্ছে উগ্রহিন্দু সুব্রত চৌধুরী।
হেপী বড়াল নামক এক হিন্দু নম:শূদ্র মহিলাকে বাগেরহাটের এমপি বানিয়েছে শেখ হাসিনা। অথচ তার ভাতিজা শিপন কুমার বসু সকাল বিকাল শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়, যোগ দিয়েছে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার মোসাদের সঙ্গে।
আপনি হিন্দুদের যত তোষণ করবেন, তারা তত আপনার ঘাড়ে চড়বে এটাই নিয়ম।
আর হিন্দুদের একটা জাত স্বভাব হচ্ছে, তারা “যেই পাতে খায়, সেই পাতে হাগে”।
পোষকের সাথে বেঈমানি করা হিন্দুদের ইউনিভার্সাল স্বভাব।
অনেকে হয়ত ভাবে,
হিন্দুদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কিছু করলে ভারত না-খুশি হবে।
এটা ভুল কথা এবং আওয়ামীলীগের মিথ্যা বিশ্বাস।
হাসিনার নেটওয়ার্ক ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে, যা রুশ-চীন ব্লকের সাথে জড়িত।
আর বাংলাদেশের উগ্রহিন্দুরা কন্ট্রোল হয় আমেরিকার নেটওয়ার্কে।
তাই আওয়ামীলীগ যদি হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন একশনে যায়, তবে মার্কিনপন্থী নাস্তিক দমনের সময় আমেরিকা যতটুকু চিল্লাচিল্লি করছিলো, ঠিক ততটুকু চিল্লাচিল্লি হবে, এর বেশি কিছু না।
আর যদি শেখ হাসিনা হিন্দুদের তোষণ করতে থাকে, তবে তা হবে শত্রুকে তোষণ করে শক্তি আরো বৃদ্ধি করা। আর তার ফলাফল একসময় হিন্দুরাই শেখ হাসিনার ঘাড় মাটকাবে।
শিপন কুমার যে ফাঁসিতে ঝুলানোর হুমকি শেখ হাসিনাকে বার বার দিচ্ছে, সেটাই এক সময় কার্যকর হবে।
আমি যা বললাম, সত্য হয় কিনা লিখে রাখেন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, August 19, 2018

“উন্মুক্ত স্থানে পূজা হলে”, উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?


রাস্তার ওপর পশু কোরবানি দেবেন না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছে, আমরা ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট দুই হাজার ৯৩৬টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু কোরবানীর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। কোন রকম খোলা স্থানে কুরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না।
(https://bit.ly/2MnSAaLhttps://bit.ly/2MpM4Az)
মদখোর মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের কথাগুলো খেয়াল করুন-
১) রাস্তায় কোরবানি দেবেন না। অথচ সিটি কর্পেরেশন থেকে নির্ধারিত স্পটগুলো দেখুন ৯৯% স্পটই হচ্ছে রাস্তা। এর কারণও আছে ঢাকা শহরে রাস্তা আর খালি যায়গা কোথায় ? (https://bit.ly/2MXzF33)
২) ১১ সিটিতে স্পট হইছে ২৯৩৬টা, তারভাষ্য মতে এটা নাকি কোরবানি করার জন্য যথেষ্ট। ধরে নিলাম ১১ সিটি কোরবানি হয় ১ কোটি। তাহলে প্রতি স্পটে কোরবানি করতে হবে ৩ হাজারের মত। অথচ সিটি কর্পোরেশন থেকে সামিয়ানার সাইজ দেখুন, সর্বোচ্চ একটি স্পটে ১০টি কোরবানী করা যাবে (https://bit.ly/2BnFQMq)।
তাহলে বাকি ২৯৯৫টি কোরবানী করবে কোথায় ?
৩) খোলা স্থানে কোরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না : মোশাররফ
কিন্তু কেন ?
খোলা স্থানে কোরবানীতে হঠাৎ সমস্যা হচ্ছে কেন ?
বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেন মুসলমানদের কোরবানীর বিরুদ্ধে বলতে হবে ?
বাংলাদেশের হিন্দুরাও তো পূজা করে ?
সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার মণ্ডপ হয়, পতিতালয়ের মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়, কয়েক লক্ষ মূর্তি পানিতে ডুবিয়ে পানি দূষণ করা হয়, তখন তো মোশাররফ বলে না, আমরা “উন্মুক্ত স্থানে পূজাকে সমর্থন করি না”, তাহলে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?
ক্ষমতার জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, বেয়াই মোশররফের এ বক্তব্য তার প্রমাণ। মোশররফের বোঝা উচিত, যে পশ্চিমা বিদেশী শকুনীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মের বিরোধীতা করছে, সেই বিদেশীরা কিন্তু তাদের পশ্চাতে বাশ দিয়ে রেখেছে কখন সুযোগ পেয়ে সবগুলোকে জেলে পুরে ফাঁসিতে ঝুলাবে। যারা জনগণের প্রাপ্য নষ্ট করে বিদেশী দালালি করে, তাদের শেষ পরিনতি মীর জাফরের মত হয়, ইতিহাস তার সাক্ষী।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 15, 2018

ভারতীয়দের চোখে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ ছিলো পূজা মণ্ডপ !


বাংলাদেশের কথিত সেক্যুলারগোষ্ঠী পহেলা বৈশাখকে বাঙালী উৎসব বলে যতই ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে থাকুক, ভারতের আনন্দবাজারের চোখে সেটা কিন্তু পূজা মণ্ডপই মনে হয়েছে। “ঢাকার পয়লা যেন অষ্টমীর একডালিয়া” শিরোনামে লেখা সেই রিপোর্টে বলা হচ্ছে:

“ (ঢাকার পহেলা বৈশাখ উদযাপন) কার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে! কখনও মনে হচ্ছিল কলকাতার কলেজ স্কোয়ার বা একডালিয়ার পুজো মণ্ডপ। কখনও বা শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের চেহারা। তা সে রমনার বটমূলের বৃন্দগানই হোক কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাজপথে মঙ্গল শোভাযাত্রা। পুজো, বসন্ত উৎসবের মিলমিশে একাকার ঢাকার নববর্ষের সকাল।

দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী ঝিলিক বিশ্বাস নববর্ষে মামাবাড়ি ঢাকায় বেড়াতে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মা ও বোনের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। নববর্ষের জন্য নতুন ডিজাইনের শাড়ি পরে ওরা তিন জন। ঝিলিকের মা প্রতি বছরই নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করেন। ‘‘এটাই এখন আমাদের জাতীয় উৎসব। যেখানেই থাকি ঠিক চলে আসি,’’ বলছিলেন ঝিলিকের মা। তত ক্ষণে জনস্রোত নেমে পড়েছে রাস্তায়। হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়িয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকেরা দড়ির ব্যারিকেড দিয়েও উৎসাহী জনতাকে ঠেকাতে পারছেন না। অষ্টমীর রাতে কলকাতায় যেমন হয়। শোভাযাত্রায় মন্ত্রী-সান্ত্রি সবাই ছিলেন। শোভাযাত্রা ঘিরে থিকথিক করছিল পুলিশ। তাতে অবশ্য ঝিলিকদের আনন্দে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।

শুক্রবার রাতে দেখছিলাম রাস্তায় ছেলেমেয়েরা ভিড় করে আলপনা দিচ্ছেন। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমনটা এখন পুজোর সময়ে কোনও কোনও রাস্তায় হয়, বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ঢঙে। ‘‘শুধু ঢাকা নয়, প্রতি জেলাতেই বর্ষবরণের মেজাজ এমনই,’’ বলছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত কর্তা নুরুল ইসলাম। শুধু পুজো নয়, কলকাতার সরস্বতী পুজো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র মেজাজও যেন ধরা পড়ল বাংলাদেশের এই নববর্ষে! (https://bit.ly/2vetNxL)

কলকাতাবাসী যখন বলছে, বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ হচ্ছে পূজার অনুকরণে, তখন কেউ যদি বলে, “এটা ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব”, তখন তার গালে কষে দুটো জুতার বাড়ি দিয়ে দিন।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজা এখন ক্লিনিকালী ডেড। এদের কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাচিয়ে রাখা হয়েছে


বৈশাখী পূজা ও মঙ্গল পূজায় লোক কমে গেছে । গত কয়েক বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে এই হ্রাস। আজকে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামও সাক্ষাৎকারের সময় বিষয়টি বললো। আপনি যদি ফেসবুকে বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে যান, তবে পক্ষের থেকে বিপক্ষ কমেন্ট বহুগুন বেশি পাবেন।

আসলে পহেলা বৈশাখকে কৃত্তিমভাবে বাচিয়ে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় আছে:

১) সরকার : সে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, জেলাপ্রশাসনে প্রজ্ঞাপন জারি করে জোরপূর্বক এ কার্যক্রম টিকিয়ে রেখেছে। বৈশাখী পূজাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ডিসেন্ট্রালাইজ করেছে। এটা জোরপূর্বক কাজ, সংস্কৃতি কখনও জোর করে টিকিয়ে রাখা যায় না।

২) মিডিয়া : বিভিন্ন বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার টাকায় চলা মিডিয়াগুলো বায়ু-পাম্ব করে বৈশাখ পূজা ও মঙ্গলপূজাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রচার করছে।

৩) বিভিন্ন সংস্কৃতি সংগঠন : এটা তাদের রুটি রুচির অংশ। তাই পেটের দায়েই তারা কাজগুলো করছে।

৪) আমোদ-প্রোমদ প্রিয় লোকজন : এরা সংস্কৃতি কি বোঝে না। এরা আমোদ-প্রমোদ প্রিয়। ভ্যালেন্টাইন ডে কি আর শোক দিবস কি ? ছুটি পাইলেই তারা ঘুড়তে বের হয়।

৫) ব্যবসায়ীরা : কারণ একটা উপলক্ষ্য পেলেই তারা কিছু ব্যবসা করতে চায়।

বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজার বিরুদ্ধে কারা ?

এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মুসলমান। এদের একটা অংশ আবার প্রতিক্রিয়াশীল। ফেসবুকে যাদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। মসজিদ-মাদ্রাসায় আলোচনা, ওয়াজ মাহফিলে প্রচুর পরিমাণে বৈশাখীপূজা ও মঙ্গল পূজার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে।

আমার ক্যালকুলেশনে, বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজা এখন ক্লিনিকালী ডেড। এদের কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাচিয়ে রাখা হয়েছে। জোর করে আর যাই হোক সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা যায় না। আর যেসব বিদেশী গোষ্ঠী এটা টিখিয়ে রাখতে ইনভেস্ট করছে তারাও আর বেশিদিন এর পেছনে মনে হয় না ইনভেস্ট করবে, কারণ তাদের বোঝার কথা, বাংলাদেশের পাবলিকের ভেতর বৈশাখী পূজা বিরোধী এন্টিবায়োটিক পৌছে গেছে, ফলে ফেইল প্রজেক্টের পেছনে কতদিন ইনভেস্ট চলে সেটাই দেখার বিষয়।

তবে এটা ঠিক, সেই ১৯৬৭ সাল থেকে ৫০ বছর ধরে যে বিষ বাংলাদেশীদের ভেতর প্রবেশ করেছে তা বের হতেও ৫ বছর লাগার কথা। আমি নিশ্চিত, এভাবে চলতে থাকলে আজ থেকে ১০ বছর পর বৈশাখী পূজা আর মঙ্গল পূজার অবস্থান হবে যাদুঘরে। তখন কথিত সংষ্কৃতিবাদীরা হয়ত “একদিন বাঙালী ছিলাম রে....” টাইপের নতুন গান বানাবে, “একদিন বৈশাখী পূজা করতাম রে........”।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

আজকে মাদ্রাসারা শিক্ষকরা শুধু চাকুরীর দোহাই দিয়ে ধর্মের জায়গায় অধর্মকে সার্পোট করতেছে !


মাদ্রাসা শিক্ষকরা জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করে,
বেতন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করে,
প্রেসক্লাবে শুয়ে-বসে আন্দোলন করে,
স্যালাইন লাগায় অনশন করে,
সবাই একজোট হয়ে আন্দোলন করে,
দিনের পর দিন আন্দোলন করে।

আজকে মাদ্রাসাগুলোতে মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলায়, একজন বললো-
“কি করবো দাদা ? আমরা নিরুপায়। আন্দোলন করলে জঙ্গী ট্যাগ দিবে, চাকুরী নিয়ে টানাটানি করবে।”
মানলাম আপনার কথা, কিন্তু –
সবাই এক হয়ে কি আন্দোলন করতে পারতেন না ?
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি আন্দোলন করতে পারতেন না ?
সংবিধান ৪১/২ ধারা দিয়ে কি আন্দোলন করতে পারতেন না ?
সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে কেউ কিছু করতে পারতো না,
বরং সাধারণ মানুষ আপনাদের সাপোর্ট করতো।
কিন্তু আপনারা সেটা করছেন না।


আজকে শুধু চাকুরীর দোহাই দিয়ে আপনারা ধর্মের যায়গায় অধর্মকে সার্পোট করতেছেন।
এটা দিয়ে জাতির কি ক্ষতি যে আপনারা করলেন, সেটা বুঝতে পারছেন না।
এতদিন সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতো, অন্তত মসজিদ-মাদ্রাসায় হলেও ধর্মটা টিকে আছে।
কিন্তু আজকে সেই বিশ্বাস উঠে গেছে। আজকে রবীন্দ্রের দেবী বন্দনা আর অমঙ্গল পূজা আপনারা শুরু করেছেন, কালকে যদি আপনাদের মাদ্রাসায় দূর্গা-কালী মূর্তি দিয়ে যদি বলে- “সকাল বিকাল একবার করে মূর্তিকে প্রণাম করবি। নইলে তোদের চাকরী নট।” আমার তো মনে হয় চাকুরীর মায়ায় আপনারা দূর্গা-কালী মূর্তিকেও প্রনাম করতেও দ্বিধা করবেন না।
যে মাদ্রাসায় দেবী বন্দনা আর পূজা হয়, দয়া করে সেগুলোকে আজকে থেকে আর মাদ্রাসা বলবেন না।

সেগুলোকে এখন থেকে মন্দির বলে ডাকবেন। এটাই আমার দাবি।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মাদ্রাসাগুলোতে মঙ্গলপূজা ও দেবী বন্দনার জাতীয় সংগীত পাঠ করতে সরকারি আদেশ বাংলাদেশের প্রতি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ

ক্রুসেড যুদ্ধ চলেছিলো প্রায় ২০০ বছর। এই যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর পশ্চিমা জগত যুদ্ধের ধরণ ও কৌশল পাল্টে বুদ্ধিবৃত্তিক পন্থায় সামনে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। ১২৭০ খৃস্টাব্দে ফ্রান্সের রাজা ৯ম লুইস পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মারা যাবার সময় একথা চিন্তা করে। মৃত্যুর সময় সে একটি ওসীয়তনামা লিখে যায়। তাতে লুইস লেখে, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানদের পরাজিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছি। ক্রুসেড যুদ্ধের ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে চলছে। কিন্তু আমরা বিজয়ী হতে পারছি না। কারণ মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করার পর তাদের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের চেতনা লক্ষ্য করা যায়, যা প্রতিরোধ অসম্ভব। এই চেতনা প্রতিরোধ করার জন্য এখন অন্য উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা উচিত।” এই ওসীয়তনামটি আজও প্যারিসে সংরক্ষিত আছে। সেই ওসীয়তনামার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো সেই বিশেষ চেতনা ধ্বংসে ইসলামী মূল্যবোধ নষ্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ লুইসের পলিসি হচ্ছে: আগে ইসলামী মূল্যবোধ ও চেতনা ধ্বংস করতে হবে, তারপর মুসলমানদের আক্রমণ করলে তারা আর প্রতিরোধ করতে পারবে না, ফলে সহজে পরাজিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রবীন্দ্রের দেবী বন্দনার জাতীয় সংগীত আগেও ছিলো এখনও আছে।
বাংলাদেশের বৈশাখী পূজা ও মঙ্গলপূজা আগে ছিলো এখনও আছে।
কিন্তু হঠাৎ করে এত যায়গা থাকতে সেটা মাদ্রাসায় চালু করার দরকার হবে কেন ?
আর সেটার প্রয়োজন হঠাৎ এখন কেন হচ্ছে, আগে কেন হয় নাই ?
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই-
সমাজে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বিস্তৃতির কারণে মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু এখন বিশেষ কৌশলে সেই শেষ আশ্রয়স্থলও ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় চালু করা হচ্ছে হিন্দুদের জাতীয় সংগীত ও মঙ্গলপূজা। এই যখন অবস্থা, তখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, তারা কি ফরাসী রাজা লুইসের পলিসির শেষ অংশ বাস্তবায়ন করছে ? এরপর কি আক্রমণ হবে ?
আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমারসহ প্রত্যেক রাষ্ট্রে চলছে হামলা, চলছে মুসলিম নিধন ও মুসলিম বিতাড়ন। বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ার কারণে সেই সিরিয়ালে আছে তাও বলা যায়। কিন্তু ফ্রান্সের রাজা লুইসের সেই ওসীয়তনামার বাস্তবায়ণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, হয়ত আক্রমণটা খুব দ্র্রুত হবেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের শেষ অংশওটুকু ভাঙ্গার কাজ এখন চলছে।
সিরিয়ান মুসলমানরা হামলার শিকার হয়ে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে গ্রিসে গিয়েছিলো, রোহিঙ্গারা নাফ নদী পাড় হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হামলার শিকার হলে কোথায় যাবে ? তিন দিকে তার হিন্দুত্ববাদী ভারত ও বৌদ্ধবাদী মায়ানমার। শুধু একদিক খোলা আছে দক্ষিণে। হ্যা সেটা বঙ্গপোসাগর এবং সেখানে কোন স্থল নেই। তারমানে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গপোসাগরের পানিতেই লাফ দিতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

শেখ হাসিনাকে কে অধিকার দিছে মাদ্রাসায় মঙ্গল পূজা করাতে ?

শেখ হাসিনাকে কে অধিকার দিছে মাদ্রাসায় মঙ্গল পূজা করাতে ?
তার পূজা করতে ইচ্ছা হয়, সে বাসায় গিয়ে যত ইচ্ছা পূজা করুক।
কিন্তু মাদ্রাসার মুসলমানদের দিয়ে সে মঙ্গল পূজা করাতে পারে না ।
বাংলাদেশটা তার বাবার দেশ না, সে যা খুশি তাই করবে।
সরকার মাদ্রাসায় মঙ্গল পূজা ঘোষণা তুলে না নিলে এই ইস্যুতে সরকার পতনের ডাক দেয়া হবে।
আর সরকার পতনের পর এই ঘোষণাকারীদের প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।
আর যে সব মাদ্রাসা সরকারের কথা শুনে কালকে মঙ্গলপূজা করবে,
কালকে থেকে তাদের মাদ্রাসা নয়, মন্দির বলে ডাকা হবে।
যারা মঙ্গলপূজা করবে, তাদেরও কালকে থেকে হিন্দু নামে ডাকা হবে।
গোয়েন্দাবাহিনী আর সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে বলবো, এ তথ্যটা যেন শেখ হাসিনার কাছে পৌছে দেয়া হয়, আর সে যেন তথ্যটুকু সংরক্ষণ করে রাখে। কারণ নয়ন চ্যাটার্জি যা বলে তাই সত্য হয়, তাই সংরক্ষণ করে রাখা।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

অসাম্প্রদায়িকতা যদি মুসলমানদের রক্ষা করতে পারতো, তবে ভারতীয় মুসলমানরা কেন আজ মার খায় ?


অসম্প্রদায়িকতা চর্চায় ভারতীয় মুসলমানরা অনেক এগিয়ে। ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের সময় বাংলাদেশী মুসলমানরা যেখানে দাবী তুলেছিলো পৃথক মুসলিম ভূমির জন্য, সেখানে ভারতীয় মুসলমানরা হিন্দুদের ভাই ডেকে একই দেশে থাকতে চেয়েছে। গত ৭১ বছর ভারতীয় মুসলমানরা কম অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা করেনি। উত্তর প্রদেশের গনেশ পূজার প্যান্ডেলগুলোর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ডোনার হচ্ছে মুসলমানরা। সে দিক বিবেচনা করলে ধর্মনিরপেক্ষ চর্চার দিক থেকে ভারতীয় মুসলমান ধারে কাছে কেউ নেই।

কিন্তু এত এত অসম্প্রদায়িকতার চর্চা করে ভারতীয় মুসলমানরা আজ কি পেলো ? কেন স্বাধীনতার ৭১ বছর পরও তাদেরকে প্রমাণ করতে হয় তারা ঐ দেশের নাগরিক কি না ? কেন তাদের শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে সরকারীভাবে দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়? কেন সামান্য গরুর মাংশের জন্য তাদের পিটিয়ে মারা হয়, কেন কলিজা ছিড়ে নেয়া হয় ? কেন শিশু বাচ্চা ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায় না ? কেন সরকারীভাবে শুনতে হয়, মুসলিম থাকলে ভারতমাতা পরিপূর্ণ না।

আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকে বলে- “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ মানে শান্তি।” আরো বলে, “দেশে শান্তি-সমৃদ্ধ আনার জন্য সকল মুসলমানকে মঙ্গল পূজা করতে হবে”, “মাদ্রাসার ছাত্রদের পেচার মূর্তি নিয়ে নাচানাচি করতে হবে।”

আমার কথা হলো, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় যদি শান্তি আসতো হবে ভারতীয় মুসলমানদের ৭১ বছরের অসাম্প্রদায়িকতার চর্চার পরও কেন এত কঠিন অবস্থা ? কেন তাদের উপর এত বৈষম্য ? কেন তাদের নিকৃষ্ট চোখে দেখা হয় ? কেন তাদের বার বার হত্যা করা হয় ?

আমি হলফ করে বলতে পারি, ভারতীয় মুসলমানদের যেভাবে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি দিয়ে প্রথমে মানসিকভাবে পঙ্গু করা হয়েছে, এরপর মারা হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশী মুসলমানদেরও আজকে মঙ্গলপূজা করিয়ে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। আমি নিশ্চিত এখন যেভাবে ভারতে মুসলমানরা মার খাচ্ছে, খুব শিঘ্রই বাংলাদেশেও মুসলমানরা হিন্দুদের হাতে মার খাবে। শুধু দেখতে থাকুন।

#একদিন_স্কুল_মাদ্রাসায়_যাবো_না,
#একদিন_স্কুল_মাদ্রাসার_গেটে_তালা_মারবো,
#শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে_অমঙ্গল_পূজা_করানো_সংবিধানের_৪১_২_ধারা_বিরোধী


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------