Showing posts with label শিক্ষাব্যবস্থা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষাব্যবস্থা. Show all posts

Wednesday, January 30, 2019

বিদেশী টাকার খেলা…..


উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়ার সাম্প্রতিক পরিবর্তন চোখে পড়ার মত। তিনি এখন একজন কমপ্লিট হিজাবী নারী। ব্যক্তি জীবনে ধর্মপালন ও যতটুকু সম্ভব হিজাব মেইনটেইন করার চেষ্টা করেন। অন্তত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজের ছবিগুলো সেরকমই বলে। তাকে এখন আর আগের মত অন্যপুরুষের গলায় মালা পরাতে দেখা যায় না, দেখা যায় না অন্যপুরুষের সাথে হাত মেলাতে। শুধু দেখা যায় নিজ সন্তান ও স্বামীর সাথে। যে ফারজানা ব্রাউনিয়া কিছুদিন আগেই হাজার হাজার কিশোরীকে ধাবিত করতেন কথিত ‘প্রগতিবাদী’ হওয়ার জন্য, বলতেন-মেয়েরা যেন ক্যারিয়ার নষ্ট করতে বিয়ে না করে। মেয়েদের উৎসাহিত করতেন ‘কর্পোরেট লুক’ ফলো করার জন্য। বলতেন, এক পুরুষের অধীনে না গিয়ে, ১০ পুরুষের সাথে নেচে মেয়েরা ‘স্বাধীন’ জীবন যাপন করবে, এটাই ছিলো তার শিক্ষা। কিন্তু সেই ফারজানা আজকে হিজাব ও স্বামী-সন্তানের ‘বুক’ বেছে নিয়েছেন।

মানুষ সব সময় অপেক্ষাকৃত ভালো থাকার চেষ্টা করে। ফারজানা ব্রাউনিয়াও আগের জীবন থেকে বর্তমানে অধিক ভালো জীবন বেছে নিয়েছেন, তার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো সেটাই প্রমাণ করে। এখন কথা হলো, সেই আগের কথিত প্রগতিবাদী ব্রাউনিয়া আর বর্তমানে হিজাবী ব্রাউনিয়ার মধ্যে তফাৎটা কোথায় ?
তফাৎ হলো আগে সে কাজ করতো স্বর্ণকিশোরী নামক একটি এনজিও’র হয়ে। যে এনজিওটি পরিচালিত হতো জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অর্থায়নে। বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন এজেন্ডাগুলো সে প্রগতিবাদের নাম দিয়ে মেয়েদের খাওয়াতো। কিন্তু হঠাৎ চ্যানেল আই গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্বের দরুণ সে স্বর্ণকিশোরী ত্যাগ করে। ফিরে আসে আসল রূপে, গ্রহণ করে স্বাভাবিক জীবন। অর্থাৎ বিদেশী টাকাও নেয় না, আর কিশোরীদের বিভ্রান্তও করে না। তারমানে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন’র নামে যেসব তত্ত্ব (বাল্যবিয়ে বন্ধ, পর্দা নিষিদ্ধ, নারী অধিকার, বৈষম্য হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশা, জন্মনিয়ন্ত্রণ) ছড়ানো হচ্ছে সব হলো পশ্চিমা ফান্ডিং এর ফসল। ফান্ডিং বন্ধ হলে সে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে যেসব নারী এগুলো প্রচার করছে ব্যক্তি জীবনে তারাও সেগুলো পছন্দ করে না। সুযোগ পেলে তারাও পশ্চিমা এজেন্ডা মাফিক জীবন যাপন ত্যাগ করবে।

গত কয়েকদিন আগে দৈনিক প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম, “কিশোরীর ‘উপযুক্ত পোশাক’ও নির্ধারণ করেছে পাঠ্যপুস্তক”। প্রতিবেদনের ভেতরে লেখা হয়, “সাদা-কালো সালোয়ার-কামিজ আর সাদা ওড়না গায়ে এক কিশোরীর ছবি। ছবির নিচে লেখা, ‘উপযুক্ত পোশাকে কিশোরী’। ....২০১৯ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘কৈশোরকালীন পরিবর্তন ও নিজের নিরাপত্তা রক্ষা’ বিষয়ক সপ্তম অধ্যায়ে ....। তবে নারী, শিশু ও শিক্ষা অধিকার নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা পাঠ্যপুস্তক এভাবে ‘উপযুক্ত পোশাক’ নির্ধারণ করে দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, একজন কিশোরীর উপযুক্ত পোশাক কোনটি, তা পাঠ্যপুস্তকে কেন থাকবে?” (https://bit.ly/2FnsYpU)
আমার মনে হয় বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম রাষ্ট্রে উপযুক্ত পোষাক বোরকা হওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু সালোয়ার কামিজ আর ওড়না হওয়াতে দৈনিক প্রথম আলো কেন রিয়্যাক্ট করলো ? এর পেছনে কি ফারাজানা ব্রাউনিয়ার মত সেই ‘পশ্চিমা অর্থ’ তত্ত্ব মেলানো যায় না ? বিদেশী অর্থায়ন পেয়ে প্রথম আলো তা প্রচার করছে নারী অধিকারের নাম দিয়ে ?

কিছুদিন আগে ড. কামালের ‘খামোস’ শব্দটা খুব মিডিয়া পেয়েছিলো। ড. কামাল কিন্তু ঘাগু লোক। তার কোন কথা ফেলনা না। সুপ্রীম কোর্ট বারে তার চেম্বারে কোন মামলা করতে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগে। ড. কামালের প্রতি শব্দের জন্য মক্কেলদের টাকা গুনতে হয়। তাই সাধারণ রাজনীতিবিদদের কথা ফেলনা হতে পারে, কিন্তু ড কামালের কোন কথা ফেলনা নয়। ‘খামোস’ শব্দ উচ্চারণের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ড কামাল বলেছিলেন, “কত টাকা পেয়েছো, কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো?”
আপনি ড কামালকে যতই ট্যাগ দেন আর রাগী ভাবেন লাভ নাই । জনগণের মাধ্যম বা গণমাধ্যম দাবীদার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া অন্যের টাকা খেয়ে জনগণের সাথে বেঈমানি করে তা কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা ড কামাল। কারণ তার থেকে সাংবাদিক আর কথিত মিডিয়াকে আর কে ভালো ভালো চিনে, বলুন ? তার বড় মেয়ের জামাই ইহুদী সাংবাদিক, তার মেয়ে সারা হোসেন বাংলাদেশে সিআইএ’র এমন প্রজেক্ট নাই, যার নেতৃত্বে নাই। আজকে যারা ৭১ এর চেতনাবাদী দাবী করে, সেই চেতনাসৃষ্টিকারী তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গী হচ্ছে ড. কামালের ছোট মেয়ে দিনা হোসেন। ড. কামালের স্ত্রী হামিদা হোসেন হচ্ছে বাংলাদেশে লিডিং সিআইএপন্থী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের বান্ধবী, বাংলাদেশের সুলতানা কামালদের বস, আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন। বিদেশী অর্থায়ন ও ব্যাকিং এ যারা চলে তারা ড. কামালের পরিবারের হাটুর সমান হওয়ার যোগ্যতা হয়নি এখনও। সেই ড কামাল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে “কত টাকা পেয়েছো, কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো?” এই কথা বলে তো তিনি কথিত গণমাধ্যম বা মিডিয়াকে পুরো ন্যাংটো করে দিয়েছেন।

এই বাংলাদেশে হঠাৎ করে নাস্তিক্যবাদী ব্লগারদের উত্থ্যান ঘটলো। ভাবখানা এমন যে, নাস্তিক্যবাদ বিরাট কোন মতবাদ, মহৎ কোন চেতনা। ইসলামকে দমন করে এখন মহৎ নাস্তিকতার উত্থান ঘটবে। কিন্তু সেই সময় কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার বলেছিলো, নাস্তিকতা বলে কিছু নেই, সব ‘তিন বেলা খানা আর পাকা পায়খানা’র লোভ।” আসিফ মহিউদ্দিন জার্মানি যাওয়ার পর এক স্ট্যাটাসে বলেছিলো, “দেশে থাকতে কত ইচ্ছা ছিলো রিকশায় চড়বো, দামী সিগেরেট খাবো, কিন্তু স্বাদ থাকলেও সামর্থ ছিলো না। এখন জার্মানি এসে সব ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।”। গত কয়েকদিন আগে অর্পিতা রায় চৌধুরী (তমালিকা সিংহ) নামক এক কথিত নাস্তিক ব্লগার জার্মানিতে মারা যাওয়ার পর নাস্তিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বে সব ফাঁস হয়ে যায় গোমর। তখন নাস্তিকরাই বলে, এইসব নাস্তিকতা-ফাস্তিকতা বলে কিছু নেই, সব হলো আদম ব্যবসা। নাস্তিকরা কথিত নাস্তিকতার গল্প ফেদে ইহুদীবাদী লেখক সংস্থা ‘পেন ইন্টারন্যাশনাল’র সাথে যোগাযোগ করে। তারাই বাংলাদেশের কথিত নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষীদের স্ট্যাইপেন দিয়ে ইউরোপে নিয়ে যায়, বাড়ি ভাড়া করে দেয় ২ বছরের জন্য, খাওয়ার ব্যবস্থা করে, পরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো তার হাল ধরে। তবে একজন নতুনকে ‘পেন’ সংগ্রহ করতে চাইলে পুরাতন একজনের সমর্থন লাগে। এই সমর্থন দেয়ার সময় অনেক নাস্তিক নতুনের থেকে টাকা পয়সা ধান্ধা করে, নারী হলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের শর্ত জুড়ে দেয়। অর্থাৎ নাস্তিকতা বা ইসলাম বিদ্বেষ বলে কিছু নেই, সব সেই বিদেশী টাকার খেলা।

আমার একটা মত হলো, আমি বিষ খাবো, কিন্তু বিষকে বিষ জেনে খেতে আমি রাজী। কিন্তু বিষ যেন মিষ্টি কাগজে মুড়ে না খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশে নারী স্বাধীনতা, পর্দাহীনতা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিয়ে নিরোধ, নারী ক্ষমতায়ন সব কিছু জারি করা হোক, সমস্যা নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হোক, কোন বিশেষ গুনাবলীর কারণে নয়, বরং পশ্চিমা টাকার বিনিময়ে এগুলো বাংলাদেশের জারি করার চেষ্টা চলছে। সত্য প্রকাশ হোক, কিন্তু সত্যকে মিথ্যার কাগজে মুড়ে প্রকাশ কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, December 5, 2018

আত্মহত্যার মূল কারণ কি ? সমাধান কোথায় ??


গতকালকে ভিকারুননিসা স্কুলের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। 
এ আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে একেক মিডিয়ায় একেক ধরনের বক্তব্য এসেছে,
তবে আমার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে-
“টিসির হুমকি, ভিকারুন্নেসার ছাত্রীর আত্মহত্যা” এই শিরোনামটি। (https://bit.ly/2AU0YpU)

এ ঘটনার পর অনেকেই অনেকের শাস্তি, বিচার দাবি করছে। সেটা হতে পারে, তবে সেটা ক্ষুদ্র অংশের সমাধান। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, সমস্যার কারণ আরো গভীরে।

আপনি যদি মিডিয়ার দিকে তাকান, তবে দেখবেন, গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশে আরো কয়েকটি আত্মহত্যার খবর মিডিয়ায় এসেছে-
১) উত্তরায় স্বামীর সাথে ঝগড়া বেধে স্ত্রীর আত্মহত্যা (https://bit.ly/2EdRbz0)
২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে ঝালকাঠিতে ছাত্রীর আত্মহত্যা (https://bit.ly/2QBZs5C)
৩) নওগায় ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে যুবতির আত্মহত্যা (https://bit.ly/2rjQk7F)

গতকয়েকদিন যাবত মিডিয়ায় আসা আরো কিছু খবর -
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ মাসে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা (https://bit.ly/2BQzYth)
-ঢাবিতে ‘আত্মহত্যা ঠেকাতে’গ্রুপ ট্যুরের ওপর বিধিনিষেধ (https://bit.ly/2AneZwh)

মিডিয়া এনলাইসিস করতে গিয়ে আমি দেখেছি, প্রতিদিন বাংলাদেশের অনেক মানুষ আত্মহত্যা করে, এবং বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজন। তবে তরুণ প্রজন্ম মানে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আত্মহননের ঘটনা ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়া এখন বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। হঠাৎ করে এই আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধিতে কারো এককদোষ না দিয়ে, আমার কাছে পুরো সিস্টেমটাকেই সমস্যা মনে হয়। এবং সেই সিস্টেমে যদি আমুল পরিবর্তন না আনা হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আত্মহত্যার মহামারি দেখতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বাংলাদেশে যে আত্মহত্যার মহামারি আসন্ন, এটা আমি এমনি এমনি বলি নাই। বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার সংষ্কৃতিসহ বিভিন্ন পলিসিতে যে সব দেশকে ফলো করে, তাদের আত্মহত্যার খবরগুলো দেখুন, তখন বুঝবেন, আত্মহত্যার সংখ্যাবৃদ্ধি বাংলাদেশে এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ক) ভারতে প্রতি ঘণ্টায় একজন স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে (https://bit.ly/2Rwit6P)
খ) ব্রিটেনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা (https://bbc.in/2zCMefm)
গ) ব্রিটেনে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ (https://bit.ly/2KVluLm)
ঘ) যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার ১৭ বছরে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি (https://bbc.in/2RDQTow)

আত্মহত্যার কেন হয় ? এই কথা যদি কোন চিকিৎসককে করেন, তবে সে বলবে, এটা একটা মানসিক সমস্যা বা রোগ। অর্থাৎ কোন এলাকায় যখন বিশেষ কিছু মানসিক রোগ বৃদ্ধি পায়, তখন সেখানে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়াও স্বাভাবিক। যেহেতু বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা বাড়ছে, তাহলে কি বলা যায় না, বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা বাড়ছে ? অথবা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও কি এমন কিছুর গ্যাপ হয়েছে, যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ? যার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ??

পৃথিবীতে আধুনিক পড়ালেখার সিস্টেমগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা দেশ ধরা হয় ব্রিটেনকে। সেই ব্রিটেনে ২৫% তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ বলে সম্প্রতি খবর বেড়িয়েছে (https://bit.ly/2Stld4W)। এ থেকেও একটি বিষয় পরিষ্কার তথাকথিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা বলে আমরা যাকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিচ্ছি, সেটাও কিন্তু আত্মহত্যা প্রবণতা হ্রাস করতে পারে না।

আত্মহত্যার পেছনে মূল মানসিক সমস্যা হিসেবে ধরা হয় ‘হতাশা’, বিষন্নতা, অবসাদ বা ডিপ্রেশনকে। এক সমীক্ষার রিপোর্ট, বিশ্বের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ এই হতাশা। (https://bit.ly/2EbCZ9X)

কথা হলো, মানুষ তার প্রার্থিত বিষয় না পেলেই হতাশ হয়, কিন্তু সেটা আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়ায় কখন ?
তখন গড়ায়, যখন ঐ মানুষটি ‘ঐ বিষয়টি’কেই জীবনের মূল ভেবে বসে। যখন সে বিষয়টি পায় না, তখন সে ভাবে, এ জীবন রেখে লাভ কি ?

একটা উদহারণ দিলে বোঝা সহজ হবে,
ভালো একটা স্কুলে চান্স পাওয়া, কারো কাছে জীবনের মূল।
স্কুলে চান্স পাওয়ার পর জেএসসি-পিএসসিতে ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
এসএসসিতে ভালো জিপিএ পেতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
ভালো একটা কলেজে চান্স পেতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
এইচএসসিতে ভালো জিপিএ পেতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
ভার্সিটিতে ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
বিসিএস’এ টিকতে হবে, এটাই জীবনের মূল।
ভালো একটা চাকরী পেতে হবে, এটাই জীবনের মূল।

আমি আগেই বলেছি, কেউ যখন কোন বিষয়কে জীবনের মূল বিষয় বলে মনে করে, এবং কোন কারণে যদি সেটা হারিয়ে ফেলে, তবে তার কাছে বেচে থাকা মূল্যহীন মনে হয়ে পড়ে। আর তখনই ঘটে আত্মহত্যা। বর্তমানে ভোগবাদী জীবন ব্যবস্থায়, প্রতিযোগীতায় টিকতে জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট বিষয়গুলোকে জীবনের মূল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সমাজ। কিন্তু যারা সেটা না পায়, তাদের জীবনে ঘটে যায় বিপর্যয়।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন এসএসসিতে ভালো লেখাপড়া করার পরও জিপিএ কম আসলো, মন খারাপ করে বাসায় শুয়ে রইলাম। তখন আমার মা আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলবো, “বাবা এটাই জীবনের শেষ নয়, শুরু। তাই এই রেজাল্টে হতাশ হইয়ো না। সামনে ভালো করার চেষ্টা করো।” মায়ের এই সান্ত্বনা শুনে আমার বুকে বল আসলো। আমি নতুন করে শুরু করলাম। ভালো কলেজে চান্স পেলাম না, আবারও মন খারাপ। মা যথারীতি বলবো- বাবা এটাই শেষ নয়, শুরু। তাই সামনে ভালো করার চেষ্টা করো। ”
ভার্সিটিতে ভালো রেজাল্ট হলো না, মা তখনও সান্ত্বনা দিয়ে বললো, “বাবা, এটাই শেষ নয়। এখন অনেক পথ বাকি আছে। তাই নতুন করে ভালো করার চেষ্টা করে।” এখন মায়ের সেই কথাগুলো মনে আসলে ভাবি, কথাগুলো কতটা সত্য। আসলে ঐ বিষয়গুলো জীবনের কিছুই নয়। আরো বহুপথ, বহুকিছু পাড়ি দিতে হবে। জীবনে জয়লাভ করতে হলে এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের বাস্তবে কোন দাম-ই নেই। জীবনটা আরো অনেক বড়, আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা হলো আমাদের বাবা-মায়ের প্রজন্ম শেষ হয়েছে, এখন আমাদের প্রজন্ম বাবা-মা হচ্ছে। তারা কিন্তু তাদের সন্তানদের আমার মায়ের মত সান্ত্বনা দিতে পারছে না। কয়েকদিন আগে শুনলাম আমাদের পাশের বাসার এক ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার পর আত্মহত্যা করেছে। কারণ শুনলাম, রেজাল্ট খারাপ করার কারণে বাবা-মায়ের বকুনি খেয়ে মেয়ের আত্মহত্যা ।
আমাদের প্রজন্মের বাবা-মার’ও দোষ দেয়া যায় না, কারণ ছেলে-মেয়ের ভালো রেজাল্ট তার যতটা না দরকার, তার থেকে বেশি দরকার লোক দেখানোর জন্য, মানে ছেলে ভালো স্কুলে চান্স না পেলে প্রতিবেশীর সামনে মুখ দেখাবে কিভাবে ? ভালো রেজাল্ট না করলে আত্মীয় স্বজনকে কি বলবে ? বিসিএস’সে চান্স না পেলে কলিক-বন্ধুমহলে সামনে মুখ থাকবে না। এভাবে ভোগবাদী সমাজের চাপ এসে পড়ে বাবা-মা’ উপর, যা সে চাপিয়ে দেয় সন্তানের উপর, আর সন্তানও চাহিদা মাফিক সেই সাময়িক বিষয়টিকে জীবনের মূল বানিয়ে নেয় (ঢাবিসহ বিভিন্ন ভার্সিটিতে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কথিত ক্যারিয়ার জীবনের মূল পূজনীয়)। আর মূলটা হারালেই জীবনের মূল্য শেষ।

এখানে আমাদের পাঠ্যবই ও সিলেবাস, মিডিয়া ও সমাজের প্রভাব শতভাগ দেয়া যায়। ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’, একথা বলে আমরা সমাজ থেকে ধর্ম তুলে দিয়েছি। ধর্মহীন সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, মিডিয়া প্রণয়ন করেছি। আর ধর্মহীন মানেই কিন্তু বস্তুবাদ বা বস্তুপূজা। যে সমাজে মানুষ সৃষ্টিকর্তা বাদ দিয়ে সৃষ্টি বা বস্তুপূজার শুরু করে, বস্তুকে জীবনের মূল করে নেয়, সেই সমাজে হতাশা বেড়ে যায়। কারণ বস্তু ক্ষণস্থায়ী, তার ক্ষয় আছে। বস্তুর উপর ভরসা রাখা যায় না। বস্তুকে জীবনের মূল করা হলে, তার পতনের মাধ্যম দিয়ে জীবনেরও পতন হতে পারে। আমার জীবনে যখন কোন আশার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটতো, তখন আমার মা আমাকে বলতো, “সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখো, সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালোর জন্য করেন। এমনও তো হতে পারে, এর মাধ্যমে তোমার ভালো কিছু হবে, যা তুমি জানে না।”

আমি আমার মায়ের কথাগুলো তখন বুঝতাম না। এখন বুঝি, আমি যখন জীবনের দৃশ্যত খারাপ জিনিসগুলোকেও নিয়তি মনে করে ভালো হিসেবে ধরে নিলাম , তখন আমি মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে গেলাম এবং সেই শক্তিটাই আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেলো। এমনকি আমার বন্ধুবান্ধব (যারা আমার থেকে পড়ালেখায় অনেক ভালো ছিলো) তাদের থেকে বাস্তবে জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমি অনেক এগিয়ে, যার সাথে তারা তুলনা করতে পারবে না।

তাই আমার মনে হয়, আত্মহত্যা মহামারি তৈরীর আগেই সামাজিক পরিবর্তন হওয়া জরুরী । ডালপালায় নয়, আঘাত হানতে হবে গোড়ায়। বস্তুবাদ পরিহার করে শিক্ষাসহ সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে, তবেই সমাধান।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, August 15, 2018

মাদ্রাসা শিক্ষায় হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ কেন ?

মাদ্রাসা শব্দটা আরবী শব্দ। পারিভাষিকভাবে মাদ্রাসা বলতে, ‘যে প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা হয়’ তাকেই বুঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক এখন হিন্দু !
বিষয়টা যে খুব স্পর্শকাতর তা বুঝতে পারলাম কয়েকদিন আগের এক খবরে। ঝালকাঠিতে এক মাদ্রাসার ছোট বাচ্চারা দেয়া ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখেছিলো, এতে এক হিন্দু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ ছাত্রদের বেদম প্রহার করে। পরে বিষয়টা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঐ এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। যার কারণে অনেক বাধ্য হয়েই ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ । (https://bit.ly/2OzYhiN)
পাঠক ! বর্তমানে হিন্দু মানেই ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। ফেসবুক ঘুড়লে যা ভালোভাবে চোখে পড়ে। নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তির কথা আমরা ভুলে যায়নি। স্কুলের শিক্ষক হয়ে ছাত্রদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার কারণে কত বড় তুলকালাম ঘটে যায়। এরকম বহু উদাহরণ আছে স্কুলগুলোতে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম ধর্ম অবমাননার। সব মিডিয়াতেও আসে না।
এতদিন যে বিষয়গুলো স্কুলে দেখা গেলো, তাই এখন দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসায়। এবং সেটা মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে সচিবালয়ের এক নেমপ্লেটের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিবের নাম, সুবোধ চন্দ্র ঢালি।
আওয়ামী সরকার হিন্দুদের অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু ইসলামের সাথে হিন্দুত্ববাদ এক করার চেষ্টা তো ষ্পষ্ট সাম্প্রদায়কতা। তাদের সর্বশেষ আক্রমণ হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোতে, যেখানে তারা হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ চালু করতে চায়, এটা খুব স্পষ্ট একটা বিষয়। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বৈশাখী পূজা বা অমঙ্গল পূজা করানো কিংবা জাতীয় সঙ্গীতের নামে রবীন্দ্রনাথের দেবী বন্দনা পাঠ করানোর প্রতিযোগীতা অন্তত সেটাই বলে।
আমার মনে হয়, মাদ্রাসা ছাত্রদের এ ব্যাপারে এক হওয়া উচিত, একটা আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যারা মাদ্রাসার হিন্দুশিক্ষকদের বের করতে কাজ করবে। এক দফা এক দাবি হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ উভয়কেই দূর করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, May 9, 2018

রমজান মাসে পরীক্ষা ও মুসলমানদের দূরাবস্থার কারণ অন্বেষণ



গত এপ্রিল মাসে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম। লেখার ভেতর দুটি বিষয় তুলে আনি, একটি হলো ব্যক্তি স্বার্থ, আরেকটি হলো জাতিগত বা ধর্মীয় স্বার্থ। সে লেখায় আমি বলেছিলাম, বর্তমান মুসলমানরা ব্যক্তি স্বার্থের দিকে বেশি করে ঝুঁকে আছে। সবাই ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হতে চায়, ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হলেই ভাবে সব হয়ে গেলো। কিন্তু জাতিগত বা ধর্মীয় স্বার্থকে কেউ প্রাধান্য দেয় না। ভাবে “ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার হলেই হলো, ধর্মীয় স্বার্থ গেলে কি বা আসে যায় ?”

কিন্তু মুসলমানরা এখানেই ভুল করে, কারণ ব্যক্তিস্বার্থ তাকে সাময়িকভাবে উপকৃত করতে পারে, কিন্তু জাতিগত বা ধর্মীয় স্বার্থ দীর্ঘমেয়াদী প্রটেকশন দেবে। প্রায় সাড়ে ১২শ’ বছর সুপার পাওয়ার থাকা মুসলমানরা ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ইহুদীদের অধীনে চলে গেছে, আর ইহুদীরা জাতিগত স্বার্থকে আড়কে ধরে থাকায় ৫শ’ বছর খ্রিস্টানদের এবং সাড়ে ১২শ’ বছর মুসলমানদের অধীনে থেকেও ফের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

ছবিতে দেখুন, ডিগ্রি পরীক্ষার রূটিন। পুরো রমজান মাস ধরে ১ম বর্ষের পরীক্ষা চলবে। এই রুটিন নিয়ে ফেসবুকে দেখলাম মুসলমানদের মধ্যে দুইভাগ হয়ে গেছে। একদল বলছে, “রমজান মাসে রোজা, তারাবী, কোরআন পাঠ ইত্যাদি করে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। অনেকেই রোজা ভঙ্গ করবে।”
আরেকদল মুসলমান বলছে: পরীক্ষা যত তাড়াতাড়ি হয়, তত লাভ। পরীক্ষা পেছানো মানে সময় নষ্ট, সেশনজট হওয়া। তাই রমজানের কারণে পরীক্ষা পেছানোর পক্ষপাতি তারা নয়।

আমার যতদূর মনে পরে:
১) সরস্বতী পূজা থাকায় হিন্দুদের আন্দোলনের কারণে ২০১৭ সালের অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২) পূজার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর (মূল ছুটি ৩০ তারিখ) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড এর পরীক্ষা স্থগিত হয়।
৩) পূজার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর (মূল ছুটি ৩০ তারিখ) চট্টগ্রাম বন্দরের পরীক্ষা স্হগিত করা হয়।
৪) পূজার কারণে গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৭ কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

অনেকেই বলে, আওয়ামী সরকার হিন্দুদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়। কিন্তু মুসলমানদের নির্যাতন করে। আমি তাদের বলবো- এ কারণেই তারা বেশি সুবিধা পায়। কারণ তারা সম্মিলিতভাবে জাতিগত শক্তিকে বেশি ফুটিয়ে উঠায়। এজন্য সরকার হিন্দুদেরকে একটা শক্তি হিসেবে কাউন্ট করে। অপরদিকে মুসলমানরা নিজেদের স্বার্থই চায় না, তাই মুসলমানদের দুইটাকা দিয়ে পাত্তা দেয় না সরকার। একই কারণে ভারতে হিন্দুরা এখন ক্ষমতায় আর মুসলমানরা বেকুবের মত মার খাচ্ছে।

মুসলমানরা যতদিন ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে, জাতিগত স্বার্থকে প্রাধান্য না দিতে পারবে, ততদিন তারা নির্যাতিত হবে, মার খাবে, অপমানিত হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিস্বার্থের জণ্য মীর জাফর ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিলো, কিন্তু ব্রিটিশরা সময়মত মীর জাফরকের সরিয়ে দিয়েছে। যে সব মুসলমান নিজস্ব স্বার্থের কথা চিন্তা করে ধর্মীয় বা জাতিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে চায়, তাদের অবস্থাও একই হবে।

রমজান মাসে তাই সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্টের বিরুদ্ধে বলুন। দেশে ধর্মীয় চেতনা বৃদ্ধিতে সমর্থন করুন। মনে রাখবেন, ধর্মীয় চেতনা-ই আপনাকে জাতিগতভাবে রক্ষা করবে, কিন্তু ধর্মীয় চেতনা দূরে ঢেলে ব্যক্তি (ক্যারিয়ারের) স্বার্থ নিয়ে লাফালাফি করে কোন লাভ হবে না। বরং ধর্মীয় চেতনা শেষ করতে পারলেই ওরা আপনার ঘাড় মটকে ধরবে। তাই সাবধান।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 29, 2018

জীবনের মূল্যবান সময়টাকে কেন অপচয় করেন ?

একটা মানুষ বাচে কত দিন ?
৫০, ৬০, ৭০ ?
পড়ালেখা করতে চলে যায় ২৫-২৬ বছর,
চাকুরী পেতে চলে যায় ৩০ বছর
বিয়ের টাকা জমাতে চলে যায় ৩৫ বছর ।
এরপর বিয়ে, ঘরসংসার, বাচ্চা-কাচ্চা হওয়া।
অথচ একটা পুরুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হয় ১৫ বছর,
২০ বছর তাকে শারীরিক চাহিদা পুষে রাখতে হয়।
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে হাবিজাবি পড়িয়ে ২৫-২৬ বছর পার করে ।
কেউ কি বলতে পারবেন, কর্মক্ষেত্রে শিক্ষা জীবনের কতটি বিষয় কাজে লাগে ?
এত এত পরীক্ষা, এ্যাসাইন্টমেন্ট, ল্যাব, কিন্তু বাস্তব জীবনে এগুলো কতটুকু দরকার লাগে ?
আর যদি দরকারই না লাগে, তবে এত গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অপচয় কেন ?
মানুষের জীবন তো একটাই, তাই না ?
এই যে অযথাই মানুষের সময়গুলো অপচয় করা হচ্ছে,
পড়ালেখার সিস্টেমটা কি আরো শর্ট করে আনা যায় না ?
১৮-২০ বছরে জরুরী পড়ালেখা শেষ, চাকুরী পাবে ২২ বছরে, সবগুছিয়ে বিয়ে করবে ২৫ বছরে।
আর যার সামর্থ আছে, সে সুযোগ পেলেই বিয়ে করে ফেলবে।
বিয়ের ব্যাপারটা গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ শিক্ষাক্ষেত্রে দেখে এসেছি সবাইকে।
পোলাপাইন শারীরিক কষ্টে একেকটা মানসিক রোগি হয়ে গেছে।
সারা দিন এসব আলোচনা, হাই হুতাশ। অনেকে তো সেই খেয়ালে পড়ালেখা মনযোগ দিতে পারে না।
হুশ হারিয়ে ফেলে।
এই আজকাল মোটিভেশনাল স্পিচ এত মার্কেট পেয়েছে তার কারণ কি ?
সত্য হলো অধিকাংশ পোলাপাইন সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেটেড, আর কিছু না।
কিছু একটা উল্টাপাল্টা করতে গিয়ে পড়ালেখায় মনযোগ হারাইছে।
মনযোগ আনতে এখন মোটিভেশনাল স্পিচ নিচ্ছে।
আগে গ্রাম দেশে একটা কথা প্রচলিত ছিলো,
“বাদাইম্মা পোলারে বিয়া দাও, দেখবে সব ঠিক হইয়া যাইবো”।
দেখা যায়, সমাজ সংসারে মনোযোগ নাই, কিন্তু বিয়ের পর সংসার বাচ্চা নিয়ে বেশ দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে ছেলে-মেয়েটি।
আমার মনে হয়, যদি শিক্ষাব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনা যায়,
মূল শিক্ষাটা আরো সংক্ষিপ্ত সময় লাগবে, প্রফেশনাল ক্ষেত্রে আরো কম বয়সে ঢুকতে পারবে।
একইসাথে বিয়ে সুবিধামত করতে পারবে, কোন ধরাবাধা থাকবে না,
তবে পুরো সমাজ ব্যবস্থায় আরো অনেক গতিশীলতা আনা সম্ভব।
আমি আবারও বলছি, বর্তমানে যে সমাজ ব্যবস্থা চালু আছে, তাতে শুধু কর্পোরেটদের স্বার্থই আদায় হবে, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
তাই যদি পুরো সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চান, তবে নতুন করে চিন্তা করুন।
নিরপেক্ষ তরুণ সমাজকেই চিন্তা করতে হবে, আগামী সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, April 25, 2018

উপজাতি ভাষায় পাঠ্যবই দিয়ে পিছিয়ে, চাকুরীর কোটা দিয়ে কিভাবে অগ্রগামী করবেন ?


বর্তমানে পার্বত্য উপজাতিদের তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলগুলোতে শিশুদের তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। যে পাঁচটি ভাষায় বই ছাপানো হচ্ছে সেগুলো হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও ওঁরাও। (https://bit.ly/2HVndPC)

কিন্তু আমার কথা হলো- এই ৫টি ভাষা কি বাংলাদেশের মধ্যে সার্বজনিন ?

এই ভাষাগুলো তো ৩ পার্বত্য জেলার মধ্যে সার্বজনিন নয়। এক উপজাতির ভাষা অন্য উপজাতি গোষ্ঠী বুঝে না। তারমানে উপজাতি ভাষায় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা তাদের নিজের এলাকা থেকে বের হতে পারবে না, দেশব্যাপী চাকুরী-ব্যবসা করতে পারবে না, এতে তারা আরো অনুন্নত হয়ে যাবে।

সরকার সংবিধানে বর্ণিত অনগ্রর নাগরিক হিসেবে উপজাতিদের কোটা সুবিধা দিতে চায়, কিন্তু উপজাতি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করা মানে তো ঐ উপজাতিদের আরো অনগ্রসর করে দেয়া। লক্ষ্ লক্ষ্ শিশুকে উপজাতি ভাষায় পাঠ্যবই দিয়ে আপনি অনগ্রসর করছেন, আবার ৫% কোটা দিয়ে তাদের অগ্রসর করতে চাইছেন, দুটোই তো পরষ্পর বিরোধী সিস্টেম।

আসলে যারা এগুলো করছে, তারা ইচ্ছা করেই কাজগুলো করছে, সম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য- তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে ভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করা। কিন্তু উপজাতিরা যদি বাংলা ভাষা শিখে পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, তবে ঐ তিন জেলায় তাদের আধিক্য কমে যাবে, ফলে তাদের স্বাধীনতার জন্য পৃথক ভূমি দাবির বিষয়টি আসবে না। কিন্তু তাদের নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি যদি টিকিয়ে রাখা যায় তবে অবশ্যই একটা সময় তাদের পৃথক ভূমির দাবি তোলা যাবে। শুনেছি তারা নাকি ইতিমধ্যে জাতিসংঘে গিয়ে তাদের পৃথক রাষ্ট্র জুম্মল্যান্ডের জন্য আবেদনও করেছে।

পাশাপাশি, উপজাতি কোটাটাও উদ্দেশ্যমূলক। কারণ কোটার মাধ্যমে উপজাতিদের প্রশাসন ও সরকারী চাকুরীতে ঢুকিয়ে তারপর তাদের পার্বত্য এলাকায় নিয়ে আসা হবে। এরপর প্রশাসন দিয়ে তাদের বিদ্রোহী কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতা চলবে। গত ৬ মাস আগে বান্দরবানের প্রশাসন ও সরকারীকর্মকর্তাদের তালিকা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম (https://bit.ly/2qWAFuz)। ঐ লিস্ট দেখলেই বুঝবেন, তাদের উদ্দেশ্যটা কি।

যাই হোক, উপজাতি কোটা বাতিল করতে সারা বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন করা উচিত। কারণ ৭১ সালে মু্ক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে, অবশ্যই ৩ জেলাকে উপজাতিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য নয়। তাই সাবধান।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 22, 2018

মাদরাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে রিট


খবর : মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গত জানুয়ারিতে দলগত জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই পরিপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেছেন কুড়িগ্রামের শুখদেব ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম মিঞা ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুহম্মদ মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। মামলাটি হাইকোর্টের রিট শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা হলো ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। গান ও বাদ্যযন্ত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রিটকারীদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে। মামলাটি আগামী রবিবার ২৫ মার্চ শুনানির কথা রয়েছে। (http://bit.ly/2u9xBzV)
মন্তব্য : খুবই ভালো উদ্যোগ। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় কাজ হবে। সেখানে জোর করে ধর্মবিরুদ্ধ কাজ চাপিয়ে দেয়া কখনই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, March 19, 2018

কোটা, প্রশ্নফাঁস, মেধাবী ও ব্রেইন ড্রেইন



কোটা পদ্ধতি আর প্রশ্নফাঁসের মধ্যে তফাৎ কোথায় বলতে পারেন ?
প্রশ্নফাঁস হলে আমাদের মধ্যে একটা মহল ছি: ছি: করে। বলে- “শিক্ষাক্ষেত্র গেলো, গেলো।” আরো বলে-“মেধা নষ্ট হচ্ছে, মেধাবী ও দুর্বল ছাত্র একাকার হচ্ছে। ” কিন্তু ঐ গোষ্ঠীটা কিন্তু কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে বলে না। 

কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন তো,
প্রশ্নফাঁস আর কোটা পদ্ধতির মধ্যে তফাৎটা কোথায় ?
প্রশ্নফাঁসে যেমন মেধাবী ও দুর্বল একাকার হয়ে যায়, ঠিক কোটা পদ্ধতিতেও তো একই অবস্থা। বরং কোটা পদ্ধতিতে একধাপ এগিয়ে মেধাবীকে বসিয়ে দুর্বলকে পুরষ্কৃত করা হয়।

এজন্য দেখবেন, যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কাছে কিন্তু কোনটাই খারাপ লাগে না। প্রশ্নফাঁসও খারাপ লাগে না, কোটা পদ্ধতিও খারাপ লাগে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ মুখে বলেছেন, তিনি প্রশ্নফাঁসে বড় কোন সমস্যা দেখছেন না। আবার দেখা যাচ্ছে, কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনি খেতে হয়েছে, ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।

আসলে সত্যিই বলতে-
যারা প্রশ্নফাঁস করে, তারাই কোটা সিস্টেম প্রণয়ন করে,
তাদের কাছে কখনই এগুলো খারাপ লাগে না, বরং ভালো লাগে। তারাই এগুলো করে। তারা চায়, দেশের মেধাবীরা ধ্বংস হয়ে যাক, মূর্খ শ্রেণী টিকে থাকুক।
কারণ মেধাবীরা বেশি বুঝবে, তারা চাকুরী পেলে বলবে- ‘যোগ্যতায় চাকুরী পেয়েছি।’ মেধাবীরা মাথা খাটাবে, এতে চোর-চ্ছ্যাচ্চরদের সমস্যা হবে।
অপরদিকে মুর্খদের পুরষ্কার স্বরূপ চাকুরী দিলে তারা সারা জীবন মাথা নত করে থাকবে। উঠতে বসতে ‘জি হুজুর’ ‘জি হুজুর’ বলবে। চুরিতে তো বাধা দেবে না, বরং সাহায্য করবে। আর মেধা না থাকায়, নতুন কিছু চিন্তাও করতে পারবে না। মাছি মারা কেরানী হবে। এক ফাইলে মরা মাছি দেখলে, অন্য ফাইলে নিজ থেকে মাছি মেরে লাগায় দিবে।

আসলে এগুলো সবগুলো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদী সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র তথা কর্পোরেটোক্রেসির অংশ। তাদের দিকনিদের্শনা অনুসারেই দেশের দুর্নীতিবাজ শাসকরা তাদের দেয়া প্ল্যান বাস্তবায়ন করে।
সত্যি বলতে, একটা দেশে মেধার মূল্যায়ন মানে ঐ দেশ জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নতি হওয়া। কিন্তু ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা তাদের ক্ষমতা ধরেই রেখেছে ‘প্রযুক্তি আর জ্ঞানের’ মোড়কে। সেটা মুসলমানদের কাছে চলে আসলে সমস্যা। তবে হ্যা, মুসলমানদেশগুলো যখন তাদের মেধাবীদের মূল্যায়ন না করবে, তখন মেধাবীদের কিনে নেবে সম্রাজ্যবাদীরা। ৫-১০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকুরী দিয়ে নিজের দেশে নিয়ে আসবে। পরিভাষায় যাবে বলে, ব্রেইন ড্রেইন ।
এরপর মুসলমানদের মেধা দিয়ে তারা যে প্রযুক্তি তৈরী করবে, সেটা দিয়ে উল্টো মুসলমানদেরই শাসন করবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাবে, সারা বিশ্বে সম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখবে।

এই তো কিছুদিন আগে কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড’র মালিক মাইক কাজী বলেছিলেন, “আমি আমেরিকায় প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করেছি। আর বাংলাদেশে ৮ বছর ধরে। আমেরিকানদের মধ্যে অনেক মেধাবী আছে। কিন্তু আমাদের বাঙ্গালী ভাই-বোনেরা আরও বেশি মেধাবী।” (http://bit.ly/2FJMj5W)
এ কথা শুনে স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন উদিত হয়, সম্রাজ্যবাদীদের জন্য মুসলমানদের মেধা আসলে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ?

কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্প মুসলমান দেশগুলো থেকে অভিবাসী নেয়ার বিরুদ্ধে আইন করেছিলো। তখন কিন্তু এর প্রতিবাদ করেছিলো ফেসবুক, গুগল ও অ্যাপলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কারণ তাদের কোম্পানি টিকে আছে মুসলমানদের মেধার উপর ভিত্তি করে। মুসলমান আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে তাদের কোম্পানিগুলো মেধাশূণ্য হয়ে যাবে। আর মেধাশূণ্য হওয়া মানে তাদের পথে বসে যাওয়া। (http://bit.ly/2GFR3qD)

যাই হোক, কথা বলছিলাম কোটা পদ্ধতি আর প্রশ্নফাঁস নিয়ে। শেষে একই কথা আবার বলবো-
ইহুদীবাদীদের সিস্টেমই হলো, তারা মুসলমান দেশেই মুসলমানদের মেধার অবমূল্যায়ন করবে। মেধার মূল্যায়ন না পেয়ে শেষে মেধাবীরা ইহুদীবাদীদের কাছে নিজের মেধা বিক্রি করতে যাবে। এতে এক কাজে দুই কাজ হবে। মানে- মেধাহীন মুসলমানদেশগুলো কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না। আর মুসলমানদের মেধা ক্রয় করে ইহুদীবাদীরা উল্টা মুসলমানদের উপরেই সেটা প্রয়োগ করবে। ইহুদীবাদী ভালো করেই জানে, স্ট্রাইকার (মেধাবী) শত্রুর কোটে না রেখে, নিজ কোটে নিয়ে আসাই সফলতার চাবিকাঠি।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 7, 2018

মাদ্রাসা শিক্ষার নামে মুক্তচিন্তা, নাস্তিক্যবাদ বা সেক্যুলারিজম প্রমোট করবে সরকার


একটা খবরে দেখলাম-
“স্বীকৃতির পর ১০১০ জন কওমি আলেমকে সরকারি চাকরী”
প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি চাকুরীটা কওমী আলেমরা পাচ্ছেটা কোথায় ?
উত্তর : ইফা পরিচালিত ‘দারুল আরকাম’ নতুন মাদ্রাসা প্রজেক্টে। (http://bit.ly/2tkZvsu)

সরকারের নতুন মাদ্রাসা সিস্টেম ‘দারুল আরকাম’ নিয়ে আজ থেকে ৩ মাস আগে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম (http://bit.ly/2Fnj6Nj)। এই মাদ্রাসা সিস্টেমটাকে বলা হচ্ছে ‘মুক্তচিন্তার মাদ্রাসা’। অর্থাৎ এ প্রজেক্টের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষার নামে মুক্তচিন্তা, নাস্তিক্যবাদ বা সেক্যুলারিজম প্রমোট করা হবে। আর সেই শিক্ষা দেয়ার জন্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ১০১০ জন কওমী আলেমকে !
তারমানে “স্বীকৃতি দান করবো, কিন্তু আমার ‘নাস্তিক্যবাদ’ প্রচারে সাহায্য করতে হবে ।”
তাহলে এই স্বীকৃতি বা সরকারী চাকুরীর মূল্য থাকলো কতটুকু ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 1, 2018

ট্যাব যখন মুলা

তিনি ৯ বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রী,
ক্ষমতায় এসেই তিনি নতুন কুক্ষিগত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছেন,
পাঠ্যবইয়ে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদী লেখা দিয়ে ভরপুর করেছেন,
ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে মঙ্গলশোভা যাত্রা বাধ্যতামূলক করেছেন,
স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পূজা জারি করেছেন,
স্কুল-মাদ্রাসায় রবীন্দ্রের গান দিয়ে প্রতিযোগিতা চালু করেছেন,
শত নিয়ম-নীতি চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গিনিপিগের মত পরীক্ষা করেছেন,
ভারত থেকে ১ বার, ইউনেস্কো থেকে দুই বার পুরষ্কার পেয়েছেন।
কিন্তু প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে সক্ষম হন নাই।
ফলশ্রুতিতে ছাত্রছাত্রীরা তার উপর ক্ষেপে গিয়ে তার পদত্যাগ চেয়েছে,
কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন।
এখন তিনি ‘ট্যাব’ দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আহারে ট্যাব দিয়ে পরীক্ষা, শুনতে কত সুন্দর।
বাস্তবে ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে ট্যাব দিয়ে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কি অসম্ভব সেটা পরে বিষয়,
কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্য সম্ভবত ভিন্ন, ট্যাব নামক মুলা দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভকে প্রশমিত করা।
শুনেছি একই ঘটনা নাকি এরশাদ সরকারও দেখিয়েছিলো।
আন্দোলনরত ছাত্র সমাজকে থামাতে বিশ্বকাপ ফুটবল টিম নামক মুলা দেখিয়েছিলো।
কিন্ত যেই মুলাই দেখাক,
তিনি যে বার বার নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করে যাচ্ছেন, এটা কি স্বাভাবিক কোন বিষয় ?
এটা কি পুতুল খেলা, যে ইচ্ছে হলে ভেঙ্গে দিলাম, আবার নতুন করে গড়লাম ?
বাংলাদেশে চাকুরী ক্ষেত্রে ৫-৬ শিক্ষাবছর ব্যবধানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। ধরে নিলাম, পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিলো, কিন্তু এইযে বারং বার শিক্ষা পদ্ধতি চেঞ্জ করা হচ্ছে, এতে চাকুরী সেক্টরে দিয়ে দুই নিয়মের শিক্ষার্থীদের তুলনা হবে কিভাবে ?
যে লোক ৯ বছর শিক্ষামন্ত্রী থাকার পরও আবার নতুন করে শিক্ষাপদ্ধতি চালু করতে চায়, তাকে কোন যোগ্যতায় শিক্ষামন্ত্রী পদে রাখা হয়, তা সত্যিই হাস্যকর।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, February 20, 2018

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে।

আজকে প্রশ্নফাঁসের পক্ষে অনেক ওকালতি করছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি অনেকগুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই দিতে পারবেন, আমি আলাদা করে সেই উত্তর দিতে যাবো না। শুধু একটা কথা বলবো, বাংলাদেশের মানুষ অনেক বোকা, আমি অনেক আগেই বলেছি, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। তারা চাইছে-ই শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাক, সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থাকে জোড়া লাগানোর জন্য যতকিছুই দেখানো হোক, সব লোক দেখানো।
বাংলাদেশ ধাপে ধাপে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, মানুষ যেন সেগুলো বুঝতে না পারে সে জন্য-
১) মানুষকে নাচ-গান-মুভি-খেলাধূলা দিয়ে মত্ত রাখা হচ্ছে।
২) মানুষ শিক্ষিত হলে সব বুঝতে পারে, সেজন্য শিক্ষাও শেষ করে দেয়া হচ্ছে,
৩) দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে সারাদিন পেটের চিন্তায় মত্ত রাখা হচ্ছে, যেন সে অন্য চিন্তা করতে না পারে,
৪) ধর্মীয় চর্চায় বাধা দেয়া হচ্ছে যেন তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত না হরে পারে,
৫) বাংলাদেশের উৎপাদনশীল খাতগুলো ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। দেশীয় কলকারাখানা-শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে, কৃষিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিদেশীদের ডেকে আনা হচ্ছে।
৬) ব্যাংক ও শেয়ারমার্কেটে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে ।

প্রধানমন্ত্রী যদি সেই ষড়যন্ত্র থেকে আলাদা কেউ হতেন, তবে অন্তত আজকের বক্তব্য দিতে পারতেন না। কিন্তু তিনি সেই ষড়যন্ত্র থেকে আলাদা কেউ নন, বরং তার অংশ। শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহে এবং সামান্য কিছু অর্থের লোভে তিনি দেশের সাথে বেঈমানি করছেন। আমার মনে পড়ছে, ‘মতিউর রহমান রেন্টুর আমার ফাঁসি চাই বইয়ে’র কিছু অংশ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত বলেছিলেন, যারা তার পিতা ও পরিবারকে হত্যা করেছে তাদের তিনি ছাড়বেন না, ধ্বংস করবেন। বাংলাদেশের মানুষের উপর সম্ভবত তিনি সেই আক্রোশের প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

খবরের ভিডিও লিঙ্ক- https://www.youtube.com/watch?v=7v6nO8mB3eI

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------