Showing posts with label নারী. Show all posts
Showing posts with label নারী. Show all posts

Tuesday, February 12, 2019

রুমানা থেকে মিতু, সাঈদ থেকে আকাশ ।। আমাদের শিক্ষা কি?


মিতু আর ডাক্তার আকাশের সাম্প্রতিক ঘটনা দেখে আমার রুমানা মঞ্জুর আর হাসান সাইদের কথা মনে পড়ে গেলে। আজ থেকে ৮ বছর আগের কথা। রুমানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআর এর শিক্ষক আর সাইদ বুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। মিতু যেমন প্যাটেল নামক এক বিদেশী ছেলের সাথে পরকীয়া করতো, ঠিক তেমনি রুমানাও ইরানি বয়ফ্রেন্ড তারেক বিন নাভেদের সাথে পরকীয়া করতো। তবে দুটো ঘটনাই স্বামী-স্ত্রীর মারামারি পর্যন্ত এসে দুইদিকে ডায়ভার্ট হয়ে গেছে। আকাশ যেমন মিতুকে মেরে মুখে সেলাই ফেলে দিয়েছে, সাইদও রুমানাকে মেরে তাকে অন্ধ করে দেয়। তবে আকাশ আর সাঈদের মধ্যে তফাৎ হলো- আকাশ আত্মহত্যা করে, আর সাইদকে সমাজের প্রচণ্ড চাপে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু সামান্য কয়েকদিন পর জেলের ভেতরে রহস্যজনকভাবে সাইদের লাশ পাওয়া যায়। তবে কোন কোন পুরুষবাদী এমনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আকাশ তখন আত্মহত্যা না করলে এবং আহত মিতু মিডিয়ার সামনে আসলে হয়ত নারীদেরবাদীদের চাপে আকাশকে গ্রেফতার করা হতো এবং হয়ত সাইদের মত আকাশকেও মৃত্যুকে বরণ করতে হতো।

গত কয়েকদিন ধরে দেখেছি সাধারণ মানুষ ফেসবুকে আকাশের পক্ষ নিয়েছে, আর নারীবাদীরা মিতুর পক্ষ নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্ব করছে। কোন কোন নারীবাদী তো আকাশকে হিটলার বলে উপাধি দিয়েছে। হিটলার যেমন আত্মহত্যা করেছে, তেমনি আকাশও নাকি আত্মহত্যা করেছে। কেউ বলেছে, আকাশের আত্মহত্যা ছিলো নারীর প্রতি পুরুষতন্ত্রের প্রতিশোধ।

নারী ও পুরুষবাদীরা যাই বলুক, আসলে আমরা সাধারণ মানুষ যেমন চাই না- সাইদ-আকাশরা মারা যাক, ঠিক তেমনি মিতু-রুমানারা আহত হোক, এটাও কাম্য নয়। প্রত্যেকটা মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর হয়ে বেচে থাকুক এটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু এটা তখন সম্ভব হবে, যখন সমাজে একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে। কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”। নারী-পুরুষ মিলিয়েই সমাজ। একটা ছাড়া অন্যটা চলতে পারবে না, একজন অন্যজনের সহযোগী, কখনই প্রতিযোগী নয়। কিন্তু একটা গোষ্ঠী আছে, যারা সমাজে নারী-পুরুষের লাগিয়ে দিয়ে, উপর থেকে ফায়দা নিতে চায়। সমাজে কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা তাদের স্ত্রী/নারীদের নির্যাতন করে, যার উদহারণগুলো টেনে নারীবাদ সৃষ্টি করা হয়। এরপর সেই নারীবাদীরা নারীদের উস্কানি দেয়, বাধন ছিড়ে ফেলার আহবান জানায়। এরপর সেই সব বাধণ ছেড়া নারীদের দেখিয়ে ফের পুরুষবাদ তৈরী করা হয়, ব্যস নারী-পুরুষ তখন হয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী, সমাজে তৈরী হয় কলহ। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি কলহ করে সাময়িক জয়লাভ করতে পারেন, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষিতে কখনই সমাজের জন্য তা ভালো ফল বয়ে আনবে না।

এই তো কিছুদিন আগে দেখলাম, বাংলাদেশে নারী নির্যাতন হ্রাস করতে নাকি নারীদের কুংফু-ক্যারাতের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কি আশ্চর্য ! নারী ধর্ষণের অন্যতম একটা বড় কারণ হচ্ছে প্রতিহিংসা বা শত্রুতা। এই যে আপনি নারীদের কুংফু প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তার আলটিমেট রেজাল্ট কি বুঝতে পারছেন ? একজন নারী কোন পুরুষকে হয়ত কুংফু দিয়ে সাময়িক পরাজিত করতে পারলো, কিন্তু এতে ঐ পুরুষটা কিন্তু ঐ নারীর উপর ক্ষেপে গেলো, পরে প্রতিশোধ নিতে হলেও সে মেয়েটির উপর আক্রমণ করতে পারে। আসলে যে ইস্যুগুলো সমাজের গণমানুষের সাইকোলোজির সাথে সংযুক্ত সেগুলো সফটলি হ্যান্ডেল করতে হয়। দ্রুতকোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সমাজে বরং বিশৃঙ্খলতা হতে পারে। আর নারীবাদীদের কথা কখনই পাত্তা দেয়া যাবে না, কারণ নারীবাদীরা হলো লেজকাটা শেয়াল। তারা নিজেরা উচ্ছন্নে গেছে, তারা চায় সমাজের অন্য নারীরাও উচ্ছন্নে যাক।

আমি আগেও বলেছি, আমাদেরকে এখন যে সমাজ ব্যবস্থার দিকে ঢেলে দেয়া হচ্ছে, তাতে সামনে আরও কঠিন পরিবেশ আসছে। রুমানা-সাইদ আর মিতু-আকাশের ঘটনা সামনে আরো অসংখ্য দেখা যাবে। তাই শুধু আইন-শালিস করে নয়, কি কি কারণে সমাজে পরকীয়া/নারী নির্যাতন বাড়ছে, সেগুলো আগে চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে বা আপডেট করতে হবে। যেমন:

১) যেসব মিডিয়া পরকীয়া/নারী নির্যাতনের শিক্ষা দেয়া হয় বা উস্কানি দেয়া হয় সেগুলো বন্ধ করতে হবে।

২) বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করা যাবে না। যার প্রয়োজন সে করবে। বিয়ের বিষয়গুলো আরো সহজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে নিষেধ থাকায় অনেক নারী/পুরুষ বিয়ের আগে কম বয়সে অবৈধ মেলামেশা করে অভ্যস্থ হয়ে যায়, যার কারণে বিয়ের পরও বহুগামীতা ছাড়তে পারে না।

৩) ঢাকা শহরে জীবননির্বাহ ব্যয় কমাতে হবে। ঢাকাতে জীবন নির্বাহ ব্যয় বিশেষ করে বাড়িভাড়া বেশি থাকায় অনেক বিবাহিত পুরুষ কর্মক্ষেত্রে ঢাকায় আসলেও স্ত্রীকে গ্রামে রেখে আসে। এতে তার স্ত্রী যেমন স্বামীহীনতা ভুগে ঠিক তেমনি শহরে স্ত্রীহীন পুরুষটির দ্বারাও অনেক অপকর্ম ঘটতে পারে।

৪) বিদেশে শ্রমিক রফতানির সময় একদম প্রশিক্ষণহীন শ্রমিক না পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রমিক পাঠানো উচিত। আরো ভালো হয় যদি শ্রমিক রফতানি না করে দেশী লোক দিয়ে কোম্পানি করে সার্ভিস রফতানি করা যায়। এতে বেতন বেশি পাওয়া যাবে। তখন অনেক প্রবাসী চাইলে তার স্ত্রীকে বিদেশ নিয়ে যেতে পারবে। এতে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

৫) অনেক নারী কম বয়সে বিধবা হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় সমাজের কথা চিন্তা করে, বাচ্চাদের কথা বলে তাকে আর বিয়ে দেয়া হয় না। বিধবা নারীদের বিয়ে নিয়ে সমাজের কুসংস্কার বন্ধ করতে হবে, তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) নেশা জাতীয় দ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। নেশার কারণে পুরুষত্বহীনতা তৈরী হয়। পর্নোগ্রাফীও নিষিদ্ধ করতে হবে।

৭) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, এবরেশনসহ যাবতীয় সিস্টেম যা পশ্চিমারা বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে এগুলো সাইডএফেক্ট হলো সমাজে ব্যাভিচার বৃদ্ধি পাওয়া। এগুলো অবাধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

৮) কোন পুরুষের প্রয়োজন লাগলে এবং সামর্থ থাকলে সে বহুবিবাহ করবে, এ বিষয়টি সমাজে সহজ করতে হবে। অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে ডিভোর্সের বিষয়টিও সহজ করতে হবে।

৯) ধর্মীয় পর্দা বাধ্যতামূলক করতে হবে। নারী পুরুষের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, হাসপাতাল, যাতায়াত ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের প্রতিষ্ঠানগুলো নারীরাই পরিচালনা করবে, সেখানে কোন পুরুষ থাকতে পারবে না।

১০) সমাজের সর্বত্র ধর্মীয় চর্চা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করে ধর্ম নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে শুধু আইন-শালিস করে মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করা করা যায় না। মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ যত বাড়বে, স্বামী-স্ত্রী তত সুখী হবে। সেক্যুলার-নারীবাদীরা সব সময় ধর্মীয় বিধানকে নারীবিদ্বেষী বলে অপপ্রচার করেছে। কিন্তু তারা ধর্মহীন যে সমাজ আনতে চাইছে তাতে নারীরা অনেক বেশি অনিরাপদ ও নির্যাতিত। সুতরাং তাদের সকল নীতি বর্জন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

যারা চায় সমাজে নারী-পুরুষ একত্রে চলুক, তারা নারী জাতির খারাপ চায়


এবার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরী করতে গিয়ে, ইশতেহার : ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮’ এর ১৬.৮ নম্বরে বলেছিলাম: “নারী নির্যাতন বন্ধ করতে নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন, হাসপাতাল, তৈরী করতে হবে। নারীদের জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠানে শুধু নারীরা কাজ করবে, ফলে অনেক নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থান হবে।” (https://bit.ly/2VW0N7k)
আমি জানি, নারী আর পুরুষকে যখন আমি আলাদা করার কথা বলবো, তখন বৈষম্য শব্দটা তুলবে এক শ্রেণীর লোক। বলবে, “তুমি সমাজে বৈষম্য তৈরী করতে চাচ্ছো।” আচ্ছা, যারা সমাজে নারী-পুরুষ আলাদা করা পছন্দ করে না, তারা কেন ক্রিকেট, ফুটবল, দৌড়, সাতার, কুস্তি প্রতিযোগীতার সময় নারী-পুরুষ একত্র করে না। কেন নারীদের নিয়ে আলাদা প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করে ? এর কারণ, তারা জানে, সরাসরি জয়-পরাজয় দেখা যায়, এমন কোন সিস্টেমে নারী-পুরুষ একত্র করলে নারী-পুরুষের ব্যাপক পার্থক্য দৃশ্যমান হবে, যা “নারী-পুরুষ একত্রে চলতে হবে”, এই তত্ত্বের প্রতি বিরাট বাধা।
আসলে সমাজে নারী-পুরুষ পরষ্পরের প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী। এবং দুইজনকে প্রতিযোগী হিসেবে যারা একত্রে দাড় করিয়ে দেয় তারা নারী জাতির ভালো চায় না, বরং নারী জাতির খারাপ চায়। নারী ও পুরুষকে যদি আলাদা করা যেতো, তবে নারী জাতির আরো অনেক বেশি উন্নতি করা সম্ভব ছিলো। আসুন কিছু হিসেব মিলিয়ে নেই….
১) 'বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো' (ব্যানবেইস) এর জরিপে বলছে, ২০১৮ তে প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৫%, কিন্তু শিক্ষিকা সংখ্যা ২৫%। যদি ছাত্র-ছাত্রী আলাদা করে ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক ও ছাত্রীদের জন্য মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তবে এখানে আরো ২০% শিক্ষিকা নিয়োগ করা সম্ভব।
২) লেবার ফোর্স সার্ভে (এলএফএস) ২০১৬-১৭-এর তথ্যমতে, দেশে মোট ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু এই ১ কোটি ৮৬ লক্ষ নারীর মধ্যে ৬০% নারী যুক্ত হয়েছে কৃষি সেক্টরে। পাঠক, এই ৬০% নারী আসলে কারা ? কৃষিতে ফসলের উপযুক্ত দাম না পাওয়ায়, কৃষক যখন উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে চায়, তখন কৃষক স্বামী তার জমিতে পুরুষ কামলা নিয়োগ না করে নিজের স্ত্রীকে মাঠে নামিয়ে দেন। স্ত্রী স্বামীর খরচ বাচায়। হালের বলদ যে কাজ করে, একজন নারী শত শারীরিক কষ্ট বহন করে সেই কাজ করে। “নারীর কর্মসংস্থান’ বাড়ছে, নারী পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে’ এই কথাগুলো প্রচার করে যারা বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি পুরষ্কার কামিয়ে আনে, আসলে কত নারীর অমানুষিক কষ্ট সেই কথাটার সাথে জড়িয়ে আছে, সেটা তারা জানে না। কৃষিতে পর্যাপ্ত হিমাগার তৈরী, যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে যদি কৃষককে ফসলের উপযুক্ত মূল্য এনে দেয়া যায়, তখন অটোমেটিক বাংলাদেশের নারী কর্মসংস্থান অর্ধেক নেমে আসবে।
৩) নারী-পুরুষের একত্রে থাকলে নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি কখন সমাজের উন্নতি প্রকাশ করে না, বরং অবনতি প্রকাশ করে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি নারী সংযুক্ত আছে কৃষি (৬০%) এবং পোষাক শিল্পে। এবং উভয় ক্ষেত্রে নারীরা সংযুক্ত হয়েছে স্বল্প শ্রমিক মজুরীর দরুণ। একজন নারী কেন স্বল্প মজুরীর পরও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে ? কারণ স্বামী/বাবার ইনকামে পরিবার চলছে না। কর্পোরেটোক্রেসি অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রে living cost কে এতটা বৃদ্ধি করা হয়, যেন পুরুষের ইনকামে সংসার না চলে, তখন নারী স্বল্পমূলে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হয়। যদি পরিবারে পুরুষ সঙ্গী উপযুক্ত ইনকাম করতো, তবে একজন নারী কখনই কৃষি বা পোষাক শিল্পের মত কঠিন শ্রমের স্থানে যেতো না।
৫) কৃষিতে নারীর হালচাষ, কিংবা গার্মেন্টসে নারীর হাড়ভাঙ্গা খাটুনিরকে যারা ‘নারী ক্ষমতায়ন’ শব্দযুগল দ্বারা প্রকাশ করে তাদের বলছি, এই শব্দযুগল হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের বড় বড় কর্পোরেটদের মুখরোচক শব্দ। গণতন্ত্র নাম দিয়ে যেমন তারা দুই দলকে লাগিয়ে দিয়ে উপর থেকে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করে, ঠিক তেমনি নারী ক্ষমতায়নের নাম দিয়ে তারা সমাজে নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মজুরীর মধ্যে লাগিয়ে মজুরী নিয়ন্ত্রণ করে। নারীর থেকে স্বল্পমূল্যের মজুরীর পাওয়ার কথা বলে পুরুষের মজুরী বাড়াতে দেয় না। এতে আলটিমেটলি স্বল্প শ্রম মজুরী সুযোগ নিয়ে সেই কর্পোরেটরাই লাভবান হয়, নারী কখনও লাভবান হয় না।
৬) শ্রমের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে প্রতিযোগী করা যাবে না। বরং নারী-পুরুষ আলাদা সেক্টর করতে হবে। নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন করলে সেখানে একদিকে যেমন প্রচুর পরিমাণে নারী নিয়োগ পাবে, অন্যদিকে পুরুষের সাথে শ্রমের তুলনা না করায় নারীকে অনেক বেশি মজুরী দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা চায়, শ্রমের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ দ্বন্দ্ব তৈরী করে স্বল্পশ্রমিকমূল্যের ফায়দা লুটতে, কিন্তু আমরা যদি নারী-পুরুষের সেক্টর আলাদা করে দেই, তবে ইহুদীরা সেই ফায়দা লুটতে পারবে না।
সবচেয়ে বড় কথা, ইহুদীরাবাদীরা নারীকে পুরুষের সাথে কর্মসংস্থানে নামালেও তারা কিন্তু নারী জাতির নিরাপত্তা দিতে পারেনি। পুরুষ শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী নির্যাতন, বসের দ্বারা নারী স্ট্যাফ নির্যাতন, বাসে হেলপারের দ্বারা নারী যাত্রী নির্যাতন, পুরুষ ডাক্তারের দ্বারা নারী রোগী নির্যাতন, এগুলো এখন হরহামেশাই ঘটছে এবং দ্রুত বাড়ছে, কমার কোন লক্ষণ নেই। নারী আর পুরষ সেক্টর আলাদা করে দিলে, একদিকে যেমন নারীদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, অন্যদিকে নারীদের শ্রম মজুরীও অনেক বাড়বে, পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, যেটা নারী-পুরুষ একত্রে করে কখনই সম্ভব নয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, December 2, 2018

মি-টু আন্দোলন আসলে কাদের জন্য ?



গত কয়েক বছর একটা আন্দোলনের নাম শোনা যাচ্ছে, যার নাম ‘মি-টু’। হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে এই আন্দোলনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। ‘মি-টু’ মানে ‘আমিও কোনভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছি’ এই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা। মি-টু মুভমেন্টের সূচনাকারী হিসেবে ধরা হয় ‘তারানা বুরকি’ নামক এক মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে। ছোট বেলা থেকেই এই মহিলাটি বিভিন্ন পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছিলো। ‘তারানা বুরকি’ প্রথম এ আন্দোলনের ধারণা দেয় এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় হলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো ইহুদী প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় ‘মি টু’হ্যাশট্যাগ দিয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত করে। এরপর একে একে মুখ খুলতে থাকে হলিউডের অনেকে। এরপর থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় অনেক হোমরা চোমরার নামে অনেক ঘটনা বের হয়ে আসতে থাকে। ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, বলিউডের অমিতাভ বচ্চন কিংবা বাংলাদেশের নাট্যকার সেলিম আদ দ্বীনের নাম ও বের হয়। এই লিঙ্কে- https://bit.ly/2ShQpEf ঢুকলে প্রায় ২৫২ জন পশ্চিমা সেলিব্রেটির নাম পাবেন, যারা মিটু’র পর নারী যৌন হয়রানীর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্লাস নেয়ার সময়, একটা কথা আপনাদের বলেছিলাম, কোন ঘটনা দেখলে আগে বুঝতে চেষ্টা করবেন,
-কে ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং
-সে ঘটনার দ্বারা কার উপকার হচ্ছে ?
তাহলে মি-টু আন্দোলন কে করছে এবং তার দ্বারা কে উপকৃত হচ্ছে ?
আমি এখন পর্যন্ত এনালিস্ট ক্লাস নিয়েছি মাত্র ২টি, কিন্তু মি-টু আন্দোলন আসলে কারা ঘটাচ্ছে এবং কি উদ্দেশ্যে ঘটাচ্ছে, এটা যদি আপনাদের বুঝাতে চাই, তবে আমাকে এনালিস্ট ক্লাস ৫ বা ৬ এর দিকে যেতে হবে। তবে সংক্ষেপে যদি বলি, তবে বলতে হবে, ইহুদীরা ভর করেছে আমেরিকার উপর। তাই আমেরিকা নিজে হয়ে গেছে ইহুদীবাদী। এই ইহুদীবাদীদের নিজেদের মধ্যে আবার দ্বন্দ্ব আছে, গ্রুপ গ্রুপ আছে। মার্কিনীদের মধ্যে এই দুইভাগ ‘ডেমোক্র্যাট’ এবং ‘রিপাবলিকান’ দুইনামে ও দুই দলে চলে। সারা বিশ্বজুড়ে মার্কিনপন্থীরাও এই দুই নেটওয়ার্ক মেইনটেইন করে চলে। মি-টু আন্দোলনটা ছিলো বেসিক্যালি একটা রাজনৈতিক আন্দোলন, দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব, একদল অন্যদলকে ফাঁসানোর জন্য, এটা ছিলো তাদের রিয়েলফেস, আর আর্টিফিসিয়াল ফেস ছিলো ‘নারী নিপীড়ন’।

মি-টু’ আন্দোলন দিয়ে যেটা হবে, অনেক কথিত সেলিব্রেটির গোমর ফাঁস হবে। এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়, যেহেতু আমি রাজনীতি করি না, সুতরাং এটা নিয়ে কথা বলারও আমার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি কথা বলবো, তখন যখন কেউ কেউ মনে করবে, মিটু আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে একটা পরিবর্তন ঘটনো বা সমাজে নারী নির্যাতন কমানো সম্ভব, তখন।

আমার এ লেখার হেডিং ছিলো, “মি-টু আন্দোলন আসলে কাদের জন্য ?”
সে আলোচনা যদি করি, তবে বলতে হবে, জঙ্গল আর জনপদে কিন্তু এক আইন চলে না।
মিটু হচ্ছে জঙ্গলের আন্দোলন। মিটু, মাধ্যমে যারা নিপীড়নকারী ও অভিযোগকারী উভয় হলো পোষাক-আষাক ও চলাফেরায় বন-জঙ্গলের মত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। হলিউড-বলিউড কিংবা বাংলাদেশের নাট্য-সিনেমা কিংবা মডেল পাড়ার আইন তো আমি-আপনি বুঝবো না। সানি লিওন কখন অভিনয় করলো আর কখন ধর্ষিত হইলো, এটা আমার আপনার পক্ষে অনুধাবন সম্ভব না, এটা সানি লিওন আর তার সমগোত্রীয়দের উপর ছেড়ে দেন।এবং তাদেরকেই মিটু আন্দোলন করতে বলেন, সাধারণ মানুষকে না।

এবার আসুন,
সাধারণ মেয়েরা মিটু মুভমেন্টের লেজ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে সমাজ উপকৃত হবে কি না ?
এ প্রশ্নটা একটু ক্রিটিকাল। এর কয়েকটা উত্তর হতে পারে:

১) কোর্টে দেখেছিলাম, নারী নির্যাতন ট্রাইবুনালে সাধারণ মানুষ এমনকি সংশ্লিষ্ট উকিল ছাড়া অন্যদের ঢুকতে দেয় না। অনেক সময় বাদীনীকে বিচারক ভেতরে নিয়ে জবানবন্দি নেয়। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রচারের একদিকে পজিটিভ দিকের সাথে সাতে নেগেটিভ দিকও আছে। এর মাধ্যমে অনেকের মনের ভেতরে গোপন আকাঙ্খা জাগ্রত হতে পারে এবং সুযোগ বুঝে কাজে লাগাতে পারে। মুভিতে ধর্ষণের ভিডিও ধর্ষণ হ্রাসের তুলনায় ধর্ষণ বৃদ্ধি করে বলে মনে হয়। এই সব অভিযোগ দাখিলের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপন সেল থাকুক, সেখান থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপরাধীর বিচার করা হোক, কিন্তু স্যোশাল মিডিয়ায় এসব উন্মুক্ত আলোচনার পজিটিভ থেকে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট বেশি।

২) পুরুষটা দোষী হলে তো ঠিক আছে। কিন্তু যদি মহিলাটি পুরুষটিকে ফাঁসানোর জন্য করে, তখন ? ফেসবুক ওপেন মাধ্যমে, তখন যেখা যাবে, অনেক মহিলা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে অসংখ্য পুরুষকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। ঐ পুরুষটি এবং তার পরিবারবর্গকে তখন সমাজে নিগৃহিত হতে হবে, এর দায় কে নিবে ? আপনাদের মনে থাকার কথা, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সিআইএপন্থী ডা. জাফরুল্লাহ’র একটা ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিলো। সেখানে ছাত্রীদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষে নারী নির্যাতন মামলা দেয়ার কথা বলেছিলো। (https://bit.ly/2AxcKq9)

৩) মিটু’তে সাধারণ মহিলাদের মধ্যে উস্কাচ্ছে নারীবাদীরা। এজন্য ফেসবুকে কিছু ফেইক্ আইডিকে তারা ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে বলতে হয়, ইহুদীবাদীরা নারীবাদ সৃষ্টি করেছে পুরুষ-মহিলার মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে সমাজে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য। কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” নারী ছাড়া যেমন পুরুষ নয়, তেমনি পুরুষ ছাড়া নারী নয়। কিন্তু সমাজের এই ভারসাম্য ইহুদীরা নষ্ট করে দিতে পুরুষের বিরুদ্ধে নারীদের উস্কে দেয়, বিভেদ সৃষ্টি করে। এতে সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে একটা হিংসাত্মক সম্পর্ক তৈরী হতে পারে। নারীর বিরুদ্ধে পুরুষ বিষেদগার হবে, পুরুষের বিরুদ্ধে নারী বিষেদগার করবে। যেহেতু নারী শারীরিকভাবে অপেক্ষকৃত দুর্বল, তাই এই হিংসা-হিংসীর আলটিমেট এফেক্ট পড়বে নারীর উপর, মানে সমাজে নারী নির্যাতন আরো বেড়ে যাবে।

৪) মিটু’র পরের ধাপ হলো ‘বৈবাহিক ধর্ষণ টার্মটি। দেখা যাবে, বিষয়টি স্বাভাবিক হওয়ার পর কোন কোন স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামী ইয়ে করেছে। ব্যস ইহুদীবাদীদের উদ্দেশ্য পাক্কা। অর্থাৎ তখন দুইজনের সম্মতি প্রধান (লিভটুগেদার) হয়ে যাবে, বিয়ে নামক কোন সামাজিক চূক্তি নয়।

এখন কথা হলো, মিটু না থাকলে সমাজে নারী নির্যাতন কমবে কিভাবে ?
আহহা ! মিটু দিয়ে যে সমাজে নারী নির্যাতন কমবে, এটা আপনি বিশ্বাস করলেন কেন?
আমি আমার লেখার মধ্যে কিন্তু বলেছি, জঙ্গলের নিয়ম আর জনপদের নিয়ম এক নয়। জঙ্গলে তারা মিটু চালু করেছে করুক, কিন্তু আমরা যারা স্বাভাবিক সমাজে বাস করি, তাদের জনপদের নিয়ম খুজতে হবে।
আর সেটা তো আছেই, যার যার ধর্মীয় নিয়ম অনুসরণ করুন, ধর্মীয় নিয়ম মেনে পোষাক পরিচ্ছদ পড়ুন। নারী-পুরুষ আলাদা বাস-ট্রেন-যাতায়াত ব্যবস্থা, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজ ভার্সিটি এমনকি হাসপাতাল করে দিন। নারী-পুরুষকে সঠিক সময়ে বিয়ে দিন। মিডিয়ায় উলঙ্গপনা বন্ধ করুন। দেখুন নারী নির্যাতন শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।

আমি জানি, এ কথা শুনে অনেকের মধ্যে ‘নারী স্বাধীনতার শ্লোগান দিয়ে চুলকানি হতে পারে, দয়া করে চুলকানি থামান দাদা । নিজের মুখে ভালো করে ছাই মাখুন। হলিউডের নারীরা তো কম স্বাধীনতা ভোগ করে না, তাহলে তারা কেন এত নির্যাতিত হচ্ছে ? কেন তাদের মিটুর আশ্রয় নিতে হচ্ছে ? তাই জঙ্গলে মিটু পালন করুন, জনপদে নয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, May 9, 2018

বাসে গণহারে নারী হয়রানী বন্ধের একমাত্র সমাধান ‘নারীদের জন্য পৃথক বাস’ সার্ভিস চালু করা


উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বাসের ভেতর নিপীড়ন করায় গত কয়েকদিন ধরে বেশ আন্দোলন করছে ছাত্র-ছাত্রীরা (https://bit.ly/2KqAGzI )। আমার কাছে বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তবে শুধু একটি ঘটনা নয়, একটি জরিপে দেখা গেছে, বাসে নারী যাত্রীদের ৯৪% যৌন নিপীড়নের শিকার হোন। কেউ বিষয়টি মুখে প্রকাশ করতে পারেন, কেউবা চুপ করে যান । (https://bit.ly/2KoDBcf)
অনেকে বিষয়টি নিয়ে অনেক ধরনের সমাধান দিয়েছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে বাসে গণহারে নারী হয়রানী বন্ধের একমাত্র সমাধান ‘নারীদের জন্য পৃথক বাস’ সার্ভিস চালু করা, যে বাসে শুধু ড্রাইভার ছাড়া হেলপার কন্ট্রাকটর ও যাত্রী সবাই নারী হবে।
এতদিন বাসে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিলো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাসে উঠতে এবং সংরক্ষিত নারী আসনে যেতে যেতে একজন নারীকে একাধিক হয়রানীর শিকার হতে হয়। এছাড়া অধিকাংশ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের থেকেও নারীযাত্রী সংখ্যা বেশি।
কিছুদিন আগে বিআরটিসি পরীক্ষামূলকভাবে ১২টি নারী বাস চালু করেছিলো (https://bit.ly/2HDiSnh )। কিন্তু দেখা যায়, সে বাসগুলোতে নারী যাত্রী সংখ্যা কম। এর কারণও আছে। কারণ- এত বড় শহরে মাত্র ১২টা বাস, কখন কোথায় আসবে, কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তার কোন ঠিক নাই। তাই নারীরা অপেক্ষা না করে সাধারণ বাসে চড়ে যাতায়াত করে। তাই নারী বাসও খালি যায়।
সমাধান কি ?
সরকারীভাবে পুরো ঢাকা শহরে একটা জরিপ করতে হবে। ঢাকা শহরে কোন রুটে, কখন, কত পার্সেন্ট নারী যাত্রী যাতায়ত করে। দেখা গেলো সময় ভেদে মোট যাত্রীর ২০%, ৩০% ৪০% নারী যাত্রী হয়। সকাল-দুপুর-সন্ধা হিসেবে এই পার্সেন্টিস উঠা-নামা করে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাস কোম্পানিগুলো প্রতি আইন করে দিতে হবে, প্রত্যেক রুটে নারী পার্সেন্টিস অনুসারে নারীবাস দিতে হবে। ধরে নিলাম সকালে ৩০-৪০% নারীযাত্রী থাকে, তবে ঐ রুটে প্রত্যেক বাস কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে ১০টা বাসের মধ্যে ৪টা বাস নারীবাস দিতে হবে। দুপুরে সেটা কমে ২০% হলে গেলে ১০টা বাসে ২টা নারী বাস দিতে হবে। অফিস ছুটির টাইমে হয়ত নারীযাত্রী সংখ্যা ৩০% হয়ে গেলো, তখন নারীবাসের সংখ্যা ১০ টার মধ্যে বাধ্যতামূলক ৩টা দিতে হবে। পুরো সিস্টেম কন্ট্রোলের জন্য বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে লোক থাকতে হবে, কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে বা নারীবাস কম দিলে তার রুট পারমিট ক্যান্সেল হবে। (জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পাওয়া বিআরটিএ’র কাজ শুধু বসে বসে ঘুষ খাওয়া না, জনগণের জন্য কিছু করা।)
তবে আমার ধারণা, অনেক নারী বাসে সমস্যার কারণে রিকশা বা অন্যবাহনে যাতায়াত করে (অন্যবাহনগুলোতে নারীরা হয়রানীর শিকার)। কিন্তু নারীবাস চালু হলে অনেক নারীই রিকশা বা অন্যবাহন ছেড়ে স্বাচ্ছন্দে বাসে উঠতে পারবে। তখন দেখা যাবে নারী বাসের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০% পর্যন্ত লাগতে পারে।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ ’ নিয়ে এসেছেন। নারী জাতির প্রতি অবদানের জন্যই নাকি এ পুরষ্কার। ভালো কথা। কিন্তু যে দেশের ৯৪% নারী যাতায়তের সময় যৌন হেনস্তা শিকার হন, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার এ পুরষ্কার কতটুকু গুরুত্ব থাকতে পারে ?
আমি বলবো, নারীকে শুধু ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে আসলেই চলবে না, নারীকে নিরাপত্তা দিতে হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারেরই সে দায়িত্ব নিতে হবে। যাতায়তের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য পৃথক বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। এবং অবশ্যই সেটা বিচ্ছিন্নভাবে নয়, নারীর আনুপাতিক সংখ্যা মেনেই সরকারী ও বেসরকারী বাস সার্ভিসগুলোতে সে সুবিধা দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন, অন্যকিছু নয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------