Showing posts with label ফ্রি ঔষধ. Show all posts
Showing posts with label ফ্রি ঔষধ. Show all posts

Tuesday, February 12, 2019

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও সরকারের অবস্থান

গত ৯ই ফেব্রুয়ারী ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন নিয়ে দৈনিক কালেরকণ্ঠ ও আমাদের সময়ের খবর ছিলো: 
“জামালপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু, ৫ শতাধিক অসুস্থ”
খবরের ভেতরে জানা যায়, শিশু মৃত্যু ও গণহারে শিশু অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ভেতরে যাবার চেষ্টা করলে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দেন। (https://bit.ly/2td6sc1https://bit.ly/2SHgIaW)
ফেসবুক সূত্রে পাওয়া, শিশু মৃত্যুর পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা সেটাকে গুজব বলে প্রচার করতে থাকে,, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। তবে দুঃখজনক হচ্ছে, আওয়ামীলী নেতারা মূল বিষয়টি না জেনেই স্ট্যাটাস দেয়। যার কারণে ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজব’ না লিখে তারা লিখে “পোলিও টিকা নিয়ে গুজব” শিরোনামে স্ট্যাটাস দিতে থাকে।
ক) https://bit.ly/2GhHzo5
খ) https://bit.ly/2Ds189c
তবে জামালপুরের ষরিসাবাড়িতে অনেক শিশুর যে বমি পায়খানা হইছে সেটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নিউজে জানা গেছে: https://bit.ly/2SHi7hI
পাশাপাশি বিভিন্ন ফেসবুক পেইজের কমেন্টে সারা দেশজুড়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়-
(১) হাসান মাহমুদ নামক একজন জানিয়েছে, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর তার ছেলের জ্বর হয়।
(২) শাহানা সীমা নামক একজন জানিয়েছে, ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর তার সন্তানের দুইবার বমি হয়েছে।
(৩) শিশির ভেজা সকাল নামক একটি আইডি থেকে একজন কমেন্ট করেছেন, তারও মেয়ে ক্যাপসুল খাওয়ার পর বমি করেছে।
(৪) ইহসান নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার সন্তান খাওয়ার পর বমি করেছে। তাকে কি আবার খেতে হবে ?
(৫) বাবুল মিয়া নামক একজন কমেন্ট করেছেন, বিষয়টি গুজব নয়, তার ছেলে অসুস্থ
(৬) মিজানুর রহমান সিনহা নামক একজন কমেন্ট করেছেন, গতবার এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর তার এক ভাতিজা অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পর মারা যায়।
(৭) ফরহাদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার এক ভাতিজার খাওয়ার পর বার বার পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
(৮) দৈনিক প্রথম আলোর কমেন্টে সেলিম আহমেদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, কয়েক বছর এই ক্যাপসুল খেয়ে তার ছোট ভাই মারা যায়।
এ ধরনের যদি আরো তথ্য আপনাকের কাছে থাকে তবে তা কমেন্টে করার অনুরোধ রইলো।
আসলে কি কারণে এমন হয় ?
অনেকেই বলেছে ভারতীয় ওষুধ, তাই এমন হয়েছে।
কেউ বলেছে, ওষুধের মান ভালো ছিলো না দেখে এমন হয়েছে।
আপনারা যতই এগুলো বলেন, সরকার বললে, “তারা ভারত থেকে ওষধ আনেনি, এনেছে দেশীয় কোম্পানি থেকে। আপনার যতই বলেন- ঔষধের মান ভালো না, সরকার বলবে- ঠিক আছে পরের বার আরো ভালো ওষধ দিবো।”
কিন্তু এসবে কোন সমাধান হবে না। কারণ সমস্যাটা অন্য যায়গায়।
আমি কিছুদিন আগে এক স্ট্যাটাসে (https://bit.ly/2BqPhbu) বলেছিলাম,
মূল সমস্যা হলো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশকে থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে গণহারে ওভার ডোজ এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে, যদিও ৫% শিশুও ভিটামিন এ অভাবে আছে কি না সন্দেহ, কিন্তু গণহারে ৯৫% শিশু, যাদের শরীরে ভিটামিন পর্যাপ্ত আছে, তাদেরও ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, এবং সেটাই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরী করে। বমি, জ্বর, পায়খানা বা মৃত্যু প্রত্যেকটি বাইরে দৃশমান, কিন্তু শিশুর শরীরে অভ্যন্তরে কত ধরনের ক্ষয় হচ্ছে সেটা কিন্তু বাবা-মা দেখতে পাচ্ছে না। আর মূল কথা হলো, বাংলাদেশকে থার্ডওয়াল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে ওভারডোজ ওষধ খাওয়ানো তো বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা নয়, যার কারণে ইউরোপ-আমেরিকানরা আমাদেরকে খাইতে বললেও নিজেরা কখন খায় না।
বাংলাদেশ সরকার কেন এমন করে ?
ভিটামিন এ ক্যাপসুলের নাম যে ক্যাপসুলটি খাওয়ানো হচ্ছে এই ক্যাপসুলটির দাম সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে ওষধ কিনে খাওয়ার সামর্থ সব পরিবারেই আছে। কিন্তু এটি সরকারী উদ্যোগের জোর করে খাওয়ানোর উদ্দেশ্য ভিন্ন। মূলত সারা বিশ্বে ইহুদীবাদীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করে। বর্তমানে এই মাস্টারপ্ল্যানের নাম- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)। আগে এর নাম ছিলো মিলিনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার ১৭টি পয়েন্ট আছে, আছে অর্ধশত উপপয়েন্ট। এই পয়েন্টগুলো যদি বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় তবে ইহুদীবাদীদের ক্ষমতা বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। এই প্ল্যানের ৩ নম্বর পয়েন্টের শর্ত মোতাবেক থার্ডওয়াল্ড কান্টিগুলোতে বাচ্চাদের গণহারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে, এসডিজি শ্লোগান-“বাদ যাবে না একটি শিশু”।
বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাবানদের যার যার অবস্থান অনুসারে এই পয়েন্টগুলোর প্রতি আনুগত্যতা দেখাতে হয়, যদি কেউ আনুগত্যতা না দেখায়, তবে তাদেরকে বিদেশী ঋণ দেয়া হয় না, বা তাদের ক্ষমতা ধরে টানাটানি করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাস্টারপ্ল্যানের প্রতি অনুগত্যতা প্রদর্শণ করে সই করেছে (https://bit.ly/2SIYvJW )। এ কারণেই তাদের প্রেসক্রিপশন মাফিক (থার্ডওয়ার্ল্ড কান্টি হিসেবে) শিশুদের মুখে তুলে দিচ্ছে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের ওভারডোজ। যদি এ বিষয়টি শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন না করে, তবে তার ক্ষমতাই থাকবে না। শুধু ক্যাপসুল খাওয়ানো নয়, জিএমও ফুড, গোল্ডেন রাইস, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, নাস্তিকতা বা ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমোট, ধর্মীয় পর্দা বন্ধ করা, সমকামীতা সব এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি নামক প্ল্যানেরই বাস্তবায়ন। (টেকসই উন্নয়ন লক্ষামাত্রা নিয়ে আমার কিছু লেখা: https://bit.ly/2GxEUG9https://bit.ly/2SE6VlThttps://bit.ly/2RTTN7M)
শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব বিশেষ করে কথিত থার্ডওয়ার্ল্ড কান্টিতে সরকার প্রধানরা তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের উপর ইহুদীবাদীদের বিভিন্ন কূট-কাজ চাপিয়ে দেয়। অনেক দেশের জনগণ এখন এগুলো বুঝতেছে এবং অনেকেই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের মানুষ এখনও আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে আটকে আছে, তারা ওপরের শত্রু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারছে না, ফলে প্রতিবাদও করতে পারছে না। বরং একই গর্তে বার বার পা দিচ্ছে। তাই যত দ্রুত জনগণ সম্রাজ্যবাদীদের কার্যক্রমগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, ততই দেশ ও জনগণের জন্য উপকার।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

আড়াই কোটি শিশুকে গণহারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কতটা যুক্তিসঙ্গত ?


আমি সম্ভবত ফেসবুকে একমাত্র ব্যক্তি যে শুরু থেকে ফ্রি ভিটামিন ও ফ্রি কৃমি নাশক ওষুধ ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে বহু আগে থেকে বলে আসছি। হয়ত সেটা কেউ শুনতো, আবার কেউ না শুনতো। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, নতুন বছরে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা বাতিল হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ওষুধগুলোকে খারাপ বলা হয়নি। বরং ফিল্ডে ওষুধ পৌছে যাওয়ার পর স্থানীয় কর্মীরা ওষুধগুলোকে বাহ্যিক খারাপ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তা অনুপযুক্ত বলে ফেরত দেয়। এরপর সেটা কেন্দ্রে আসে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সে ওষুধ নেড়ে চেড়ে বলে, সেখানে ভারতীয় চক্রান্ত আছে।https://bit.ly/2U8SD9Y)

পাঠক! বিষয়টি খুব ‘হাইস্যকর’। এটা কেবল বাংলাদেশ বলেই সম্ভব হয়েছে। উচিত ছিলো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাত ঘুড়ে ওষুধ ফিল্ডে যাবে। কিন্তু সেটা ফিল্ড থেকে খারাপ বিবেচিত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে এসেছে। তারমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রনালয় সেটার মান নির্ণয় তো দূরের কথা, চোখ দিয়ে না দেখেই তা ফিল্ডে পৌছে দিয়েছেন, ফিল্ডের লোকজন (যারা ফার্মাসিস্ট বা ডাক্তার নন, সাধারণ কর্মী) সাধারণ চোখ দিয়ে তা খারাপ অবস্থায় দেখে ফেরত দিয়েছেন। তারমানে ফিল্ডের কর্মীরা যদি বিষয়টি না ধরতে পারতেন, তবে এসব মানহীন ওষুধ আমাদের আড়াই কোটি সন্তানের পেটে পৌছে যেতো। বিষয়টি কতটা গুরুতর বা উদ্বেগজনক, এটা যদি বাংলাদেশে না ঘটে অন্য কোন দেশে ঘটতো তবে নিশ্চিত সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হতো, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ তো খুব সামান্য বিষয়। তাছাড়া বাহ্যিক মান যেখানে নির্ণয় করা হচ্ছে না, সেখানে ওষুধের ভেতরে লুকিয়ে বিষাক্ত কিছু দেয়া হয়েছে কি না, সেটার মান নির্ণয় করবে কে ?

তাছাড়া, ভিটামিন এ ক্যাপসুল সাধারণত খাওয়ানো হয় বয়স্ক মানুষ দিয়ে, তাই তারা বাহ্যিক পরিবর্তন ধরতে পেরেছে, কিন্তু ফ্রি কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয় ‘ক্ষুদে ডাক্তার’র নামক পদ্ধতিতে, যেখানে ছোট ছোট শিশুকে ডাক্তার বানিয়ে অন্য শিশুদেরকে ঔষধ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে যদি ওষুধ নষ্ট হয়, তখন কি ঐ ছোট শিশুগুলো কি তা ধরতে পারতো ?

আরেকটি কথা, এর আগেও এইসব ফ্রি ওষুধ খেয়ে অনেক বাচ্চা অসুস্থ হয়, অনেকে বাচ্চা মারা যায়। তখন সরকারের পক্ষ তা ‘গুজব’ বলে প্রতিবার দায় এড়ানো হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওষুধের মান নিয়ে সরকার নিজেই সন্দিহান। কারণ সরকার নিজেই বলছে, ভারতীয় কোম্পানি মামলা করে নিজের অবস্থান ঠিক রেখেছে। তাহলে সন্দেহের বিষয়টি কেন সরকার জনগণের কাছে প্রকাশ করলো না ? কেন লুকিয়ে রাখলো ? এটা তো কয়েক বছর আগের কথা, এবার যদি ফিল্ড পর্যায়ের কর্মীরা বিষয়টি প্রকাশ না করতো, তবে এবারও তো ভারতীয় নিম্নমানের কোম্পানির ঔষধ খাওয়ানো হতো বাচ্চাদের।

একটি কথা অবশ্যই জানা দরকার। কেন বাচ্চাদের ফ্রি ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে ?
আমি জানি, অনেকেই বলবো, রাতকানা রোগ সারাতে।
এখানে কথার কিন্তু গ্যাপ আছে। আসলে রাতকানা রোগ সারাতে নয়, বরং সরকার বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেই ঋণ নেয়ার সময় বিশ্বব্যাংক কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো, দেশের সমস্ত বাচ্চাদের ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে (https://bit.ly/2S2BCRk)। বিভিন্ন সময় খবরে আসে, সম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার বিশ্বব্যাংকের সেই ভয়ঙ্কর শর্ত (!) পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টর বিপর্যস্ত হয়, পটশিল্প ধ্বংস হয়। তাহলে সেই বিশ্বব্যাংকের সেই শর্ত পালন কি আমাদের শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে না ? (বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের শর্তজুড়ে দেয়া বিভিন্ন ওষুধ ক্যাম্পেইনের পেছনে ষড়যন্ত্র থাকে, যা আমার এ লেখায় বিস্তারিত পাবেন: https://goo.gl/4SxqoR)

পাঠক, আপনি যদি সাধারণ কোন ব্যক্তি হোন, তবে ইংরেজীতে গুগল করুন, ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সেফ ডোজ কত ?
উত্তর পাবেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার আইইউ, আর বড় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আইইউ (https://bit.ly/2FIe52x)। এর বেশি নেওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। উল্লেখ্য অনেক ভিটামিন ওয়াটার সলিবল, যা অতিরিক্ত হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু ভিটামিন এ ফ্যাট সলিবল, যা শরীরের মধ্যে থেকে যায়, এবং অতিরিক্ত হলে সমস্যা তৈরী করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের নামে বাচ্চাদেরকে যে ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হচ্ছে সেগুলো দুই ধরনের।
- ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ১ লক্ষ আইইউ
- ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ২ লক্ষ আইইউ, তা সহ্য মাত্রার থেকে অনেকগুন বেশি। (https://bit.ly/2FQoZ5n)

অতিরিক্ত ভিটামিন হওয়া শরীরের মধ্যে বিষক্রিয়া তৈরী করে যাকে বলে হাইপারভিটামিনোসিস। এই বিষক্রিয়ায় –
১। শিশুদের করোটির হাঁড় অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে যায় ।
২।দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ।
৩।হাঁড়ে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় ।
৪।সচেতনায় পরিবর্তন আসে ।
৫।ক্ষুধা কমে যায় ।
৬।মাথা ঝিমঝিম করে ।
৭।ঘুম ঘুম ভাব লেগেই থাকে ।
৮।মাথা ব্যাথা করে ।
৯। হৃদপিণ্ডের কপাটিকা শক্ত হয়ে যায় ।
১০।আক্রান্ত ব্যাক্তি দ্রুত রেগে যায় ।
১১। লিভার নষ্ট হয়ে যায় ।
১২।বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া ।
১৩।দৈহিক ওজন কমে যায় ।
১৪।ত্বক ও চুলের রং পরিবর্তন হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায় ।
১৫।ত্বক ও চুল তেলতেলে হয়ে যায় এবং ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করে ।
১৬।স্বতঃস্ফুর্তভাবে হাঁড় চটে যায় ।
১৭।ঠোঁটের কোণে ফাঁটল বা চিড় ধরে ।
১৮। কোমা, মৃত্যু
(https://bit.ly/2R3QgDq)

পাঠক ! যে শিশুটির শরীরে ভিটামিন এ’র অভাব আছে, তাকে না হয় এক-দুই বার ওভার ডোজ দেয়া গেলো, কিন্তু যার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আছে, তাকে ওভার ডোজ দিলো তো সমস্যা হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সম্রাজ্যবাদীদের বেধে দেয়া শ্লোগান “বাদ যাবে না একটি শিশু” (https://bit.ly/2R6g9CB), পূরণ করতে আড়াই কোটি শিশুকে গণহারে ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, যা তার দেহে বিষক্রিয়া বা হাইপারভিটামিনোসিস তৈরী করতে পারে। আমরা বাচ্চাটিকে এতকষ্ট করে ওষুধ খাওয়াাচ্ছি সুস্থ সবল প্রজন্ম পাওয়ার জন্য, কিন্তু ৫ বছরে ১০ বার ওভার ডোজের ওষধ খাওয়ানোর ফলে যদি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দায় নেবে কে?
কোরবানির ঈদের সময় আমরা দেখি সরকার গরুর মধ্যে অমুক-তমুক অসুখ আছে দাবি করে গরুকে পর্যন্ত টেস্ট করার দাবি তুলে। তাহলে শিশুর শরীরে আদৌ ভিটামিন এ’র চাহিদা আছে কি নাই, সেটা না মেপে শুধুমাত্র ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’ ট্যাগ লাগিয়ে গণহারে সকল শিশু পূষ্টিহীন বানিয়ে ভিটামিন এ এর ওভারডোজ খাওয়ানো কখণই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাদের যদি এতই ঔষধ খাওয়াতে ইচ্ছা করে তবে সেভ ডোজের ক্যাপসুল বানাক, এবং ১০টা ক্যাপসুলের ১ পাতা বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিক, তারাই তাদের সন্তানদের মাসে মাসে ১টা করে খাওয়াবে। কিন্তু গণহারে সবাইকে ওভারডোজের ওষুধ খাওয়ানো মেনে নেয় যায় না। আমি যদি সন্দেহ করি, এই ওভারডোজ ঔষধ খাওয়ানোর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আফ্রিকানদের মত লুলা-ল্যাংড়া প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলবে, যেন তাদের সম্রাজ্যবাদ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সেটা খুব বেশি অমূলক হবে না।

পাঠক ! আপনারা নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন, একজন বাবা-মা তাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে তার সন্তানকে। সেই আদরের সন্তানের মুখে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ঔষধকে বিশ্বাস করে তুলে দিচ্ছে, সরকারের উচিত সে বিশ্বাস রাখা। যে ঔষধটি তুলে দিচ্ছে, সেটা সম্পর্কে বাবা-মাকে সম্পূর্ণ অবহিত করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পরে। এবং সে ক্ষেত্রে কোন গ্যাপ রাখা উচিত নয়। এবং সে ক্ষেত্রে যদি কোন দায়িত্বহীনতা ঘটে তবে অবশ্যই সেটার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, December 29, 2018

বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, থুক্কু আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা


গত কয়েকদিন ধরে একটা খবর দেখছি, প্রাথমিকের শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য একটি উৎসব চালু করেছে সরকার, যার নাম বই উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে এবং ফটোসেশন করছে। আওয়ামলীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ থেকে সরব উঠেছে, “বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ?”
“জোরে বলো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।

যারা বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার কৃতিত্বটা শেখ হাসিনাকে দিতে চান, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, এই বিনামূল্যে বই তুলে দেয়ার পেছনে শেখ হাসিনার কোন অবদান নেই। বইয়ের টাকাটাও শেখ হাসিনা নিজের বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন নাই, টাকাটা নিয়েছে বিভিন্ন সম্রাজ্যবাদী ও স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর থেকে। মূল ফান্ড দাতা বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। পাঠ্যবইগুলো তাদের টাকায়ই ছাপা।

গত জুন মাসে বিশ্বব্যাংকের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি -৪) তে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা (https://bit.ly/2ET8ohS) এবং অক্টোবরে একই প্রকল্পে ৪ হাজার ২শ’ কোটি অর্থাত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের থেকে গ্রহণ করে সরকার। (https://bit.ly/2RiIfi3)

বিশ্বব্যাংক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে কূট উদ্দেশ্য ঋণ দেয়, এটা পুরো দুনিয়ার সবাই জানে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া কিংবা অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতও তা মুখ ফসকে বলে ফেলে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সব সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে যদি সমস্যা হয়, তবে কোমলমতি শিশু, যারা আমাদের ভবিষ্যত তাদের শিক্ষার জন্য এই কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়ার মানেটা কি ? তারা কি এমনি এমনি ঋণ দিচ্ছে, নাকি ঋণের বিনিময়ে তাদের বেধে দেয়া পাঠ্যসূচি ও পলিসি ঢুকানো হচ্ছে বইয়ের ভেতর ? বইয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মন-মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো হচ্ছে অদৃশ্য বিষ ?

উল্লেখ্য, এনসিটিবি অনুমোদিত হিজড়াদের নিয়ে লেখা ‘বৈচিত্র্যময় মানুষ’নামে একটি সম্পূরক বই ষষ্ঠ শ্রেণির সহস্র শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হবে। এই বইয়ের জন্য অর্থায়ন করছে গ্রাম-গঞ্জে সমকামীতা ছড়িয়ে দিতে যে এনজিওটি কাজ করছে, “বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)” নামক এনজিওটি। অধ্যাপক জাফর ইকবালের একটি প্রবন্ধসহ মোট চারটি প্রবন্ধ নিয়ে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’র মানুষ সম্পর্কে বাচ্চাদের ধারণা দিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার বই নির্বাচিত ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। (https://bit.ly/2BIa3CU)

আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম, সম্রাজ্যবাদী ইহুদীরা সারা বিশ্ব শাসন করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা বা মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করেছে, যাকে বলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি (https://bit.ly/2rYIn85 )। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি লোন আনছে, সেই মহাপরিকল্পনার লক্ষ্যই হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন বা শিশুদের মধ্যে সম্রাজ্যবাদী ইহুদীদের সেই ধারণা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে বদ্ধমূল করা। (https://bit.ly/2RhTd7A)

আমি সব সময় একটা কথা বলি, বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওষুধ বাচ্চাদের খাওয়ায়েন না, কারণ সেখানে তারা এমন কিছু মিশিয়ে দেবে যেটা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক একইভাবে বলতে হয়, বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিনামূল্যের বই আমাদের শিশুদের মাঝে দয়া করে দিয়েন না। ওষুধ যেমন আমাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষতিকর হতে পারে, ঠিক তেমনি এই সব বইও আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুদ্ধিহীন, পঙ্গু সম্রাজ্যবাদীদের দাসে পরিণত করতে পারে।

সত্যি বলতে, দুর্নীতিবাজরা সব সময় চায় বিদেশ থেকে উন্নয়নের কথা বলে টাকা নিয়ে আসতে, কারণ তখন ১ টাকা খরচ করলে ১০ টাকা মেরে দেয়ার সুযোগ থাকে। টাকা চলে যায় ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে, কিন্তু ঋণের বোঝা চেপে বসে পুরো দেশের উপর। অন্যদিকে সম্রাজ্যবাদীরা শাসকগোষ্ঠীকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়ে আড়াল করে জনগণের উপর নিজের গোপন স্বার্থ হাসিল করে, পুরো জাতীকে পরিণত করে দাসে।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষের এব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া জরুরী। সরকার যেভাবে সামান্য অর্থের লোভে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বোধ বুদ্ধি নষ্ট করে দিচ্ছে, সেটা আমাদের কিছুতেই মেনে নেয়া উচিত নয়। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াক, কিন্তু ইহুদীবাদীদের বানিয়ে দেয়া পাঠ্যসূচি পড়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও ইহুদীবাদীদের নিকট দাস হয়ে থাকুক, এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, July 12, 2018

সবাই সাবধান ! সবাই সাবধান ! আবার আসছে শিশুদের ফ্রি ওষুধ খাওয়ানোর প্রোগ্রাম।



আগামী ১৪ই জুলাই ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুকে কাছের সব টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সাবধান এই শিশুটি যেন আপনার আদরের শিশু না হয়, আপনার পরিচিত সকাল সন্তানকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রোগ্রাম সম্পর্কে সচেতন করুন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে আগে কি হয়েছিলো ?
১) নড়াইলে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ (https://bit.ly/2NCe5BT)
২) ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খেয়ে শত শত শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2zvsyfQ)
৩) হবিগঞ্জে ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে’ ৩ শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2N8BIB5)
৪) লক্ষ্মীপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে ৩০ শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2ub8xWU)
৫) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নোয়াখালীতে প্রায় ২শ শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2NInxnm)
৬) ঘাটাইলে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে সাত শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2u9I0Ju)
৭) ঝিনাইদহে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে ঝিনাইদহে কমপক্ষে ১০ শিশু অসুস্থ (https://bit.ly/2un1AkU)
৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শতাধিক শিশু অসুস্থ : ১শিশুর মৃত্যু (https://bit.ly/2KKZNkq)
৯) চাঁদপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সহস্রাধিক শিশু অসুস্থ হাসপাতালের ভিড় সামলাতে পুলিশ তলব (https://bit.ly/2NJPR8z)
১০) ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে বরগুনা, ঝালকাঠি ও গাজিপুরে শতাধিক শিশু অসুস্থ, ১ জনের মৃত্যু (https://bit.ly/2L5XPHr)

‘ভিটামিন এ’ কোন অতিমূল্যের ভিটামিন নয়। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যেমন: পালং শাক, মিষ্টি কুমরা, ডিম, আম, পেপে, টমেটো, দুধ, কচু শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, লাল শাক, গাজর, কাঠাল। আপনার বাচ্চা যদি এগুলো খায় তাহলেই আশা করা যায় তার ভিটামিন এ’র অভাব পূরণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট, তাকে আলাদা করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল নামক ফ্রি ক্যাম্পেইনে যেতে দিবেন না। মনে রাখবেন, ফ্রি -ওষুদের মধ্যে ষড়যন্ত্র থাকে। আপনার সন্তানের শরীরে তারা এমন কিছু প্রবেশ করিয়ে দেবে তা তাৎক্ষনিক বা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করবে আপনার সন্তানের উপর। আফ্রিকাসহ সারা বিশ্বে ইহুদীবাদীরা এভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধ্বংস করে দিয়েছে। তারপর দখল করেছে তাদের সম্পদ। এখন বাংলাদেশে সেই কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা।

এসব ফ্রি ভ্যাকসিন, কৃমিনাশক, টিকা, ভিটামিন খাওয়া যে ষড়যন্ত্র তার উপর আমার আগের অনেকগুলো লেখা আছে। পড়তে পারেন:
ক) https://bit.ly/2L3ipeR
খ) https://bit.ly/2E8A5OR
গ) https://bit.ly/2mbppZe
ঘ) https://bit.ly/2m7ZLV1


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, April 6, 2018

বাংলাদেশের সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে সম্রাজ্যবাদী শকুনীদের


১) দুরারোগ্য ব্যাধি ইবোলা, প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকার কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৭৬ সাল,

২) দূরারোগ্য ব্যাধি এইডস মানুষের মাঝে প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকার কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৫২ সাল,

৩) চিকুনগুনিয়া প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র তানজানিয়ায়, সময়কাল ১৯৫২ সাল,

৪) ভয়ঙ্কর জ্বর ক্রিমেন কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার' বা সিসিএইচএফ প্রথম ব্যাপকহারে পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৬৯ সাল।

৫) জিকা ভাইরাস প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র উগান্ডাতে, সময়কাল ১৯৪৭ সাল।

উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৪৩ সালে আমেরিকার জীবাণু অস্ত্রের (biological weapon) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাকেই জীবাণু অস্ত্র বলা হয়। ধারণা করা হয়, এই সব দূরারোগ্য ব্যাধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু অস্ত্রের প্রেয়োগের ফসল।

গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই সব জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফ্রি টিকা, ভ্যাকসিন ও ওষুধের কার্যক্রম, যা জাতিসংঘ, হু, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিভিন্ন এনজিও’র নাম দিয়ে চালানো হয়। এসব ফ্রি ভ্যাকসিনের আড়ালে যে অন্য উদ্দেশ্য থাকে তা দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়:

বিশ্ব পোলিও নির্মূলকর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারিইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে। সে সময় গবেষণায় রেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি টেস্টে দেখা যায়, ওই পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেন সহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।”

শুধু জীবাণু দেয়াই নয়, জীবানু প্রতিরোধে তারা বাণিজ্যিকভাবে যে ওষুধ বের করবে, তারও পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চালানো হয় আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে, বাচ্চাদের বানানো হয় গিনিপিগ। যেমন খবরের হেডিং-

“ম্যালেরিয়ার টিকা পরীক্ষায় বেছে নেয়া হলো আফ্রিকার তিন দেশ”

খবরের ভেতর:

“নতুন উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হলো আফ্রিকার তিনটি দেশ। প্রথম ম্যালেরিয়া টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কেনিয়া, ঘানা এবং মালাবিতে। ২০১৮ সালে এই কর্মসূচি শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

কয়েক দশক ধরে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি কেবলমাত্র ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় সফল প্রমাণিত হয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশে মানুষের ওপর কতোটা কার্যকর হবে সেটি নিশ্চিত হতেই আফ্রিকার ওই তিনটি দেশ বেছে নেয়া হয়েছে।

এটি পাঁচ বছর থেকে ১৭ মাস বয়সী শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।” (https://bit.ly/2EmfKWf) উল্লেখ্য, এসব টিকা পরীক্ষার সময় শিশুদের মৃত্যুও কম হয় না (https://bit.ly/2Iwkr2g)

এসব গিনিপিগ টেস্ট এবং জীবানু অস্ত্রের প্রয়োগের ফলে পৃথিবীর মোট ইনফেকশনের ঘটনার ৯০% ঘটছে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে। যে আফ্রিকানরা ইউরোপ-আমেরিকায় শক্তিশালী বলে বিবেচিত হয়, তারা নিজেদের আফ্রিকায় অতিমাত্রায় দুর্বল ও রোগী।

আসলে এগুলো সব করা হয়েছে, ঐ দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য। একটা দেশের মানুষ যদি রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়, তবে তারা নিজেদের রোগ-শোক নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকবে, আর সে সুযোগে তাদের সম্পদ লুটপাট করা যাবে বিনা বাধায়।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হীরা পাওয়া যায় পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র সিয়েরা লিয়নে, আবার পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্র সেই সিয়েরা লিয়ন-ই। একবার এক ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম, একজন সিয়েরা লিয়নীকে যদি আপনি এক প্লেট খাবার দেন এবং তার বিনিময়ে তাকে বলেন, সারা দিন তুমি আমাকে হিরা সংগ্রহ করে দেবে তবে সেটাতেই সে খুশি।

রোগ আর গৃহযুদ্ধ, এ দুটো দিয়েই সম্রাজ্যবাদী পশ্চিমারা আফ্রিকাকে কাবু করেছে। এই যে বাংলাদেশ থেকে সৈণ্য শান্তিমিশনে যায় কেন যায় ? আসলে শান্তি মিশন বলে কিছু নেই, সব হলো পাহাড়া দেয়া। বাংলাদেশী সৈণ্যরা পাহাড়া দিবে, যেন ওরা গোলমাল না করতে পারে, আর সে সুযোগে ওদের সম্পদ লুটবে পশ্চিমারা। হয়ত এ কাজের জন্য একজন পশ্চিমা সৈন্য নিতে গেলে বাৎসরিক খরচ হতো ১ থেকে ২ কোটি টাকা, কিন্তু আমাদের এদিক থেকে নিলে খরচ হয় ১০ লক্ষ টাকা। তাই সস্তায় সৈন্য নেয়া, আমরাও খুশি, ওরাও খুশি।

এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, বাংলাদেশের সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে সম্রাজ্যবাদী শকুনীদের। চীনের স্ট্রিং অব পালর্স, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কিংবা আমেরিকার পিভট টু এশিয়া পলিসি বলে দেয় আগামী সময়গুলোতে বাংলাদেশসহ বঙ্গোপোসাগরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে সম্রাজ্যবাদীদের, সেটা সম্পদের জন্য হোক কিংবা ভূ-রাজনীতির জন্য হোক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের বশে আনার অন্যতম পদ্ধতি হতে পারে জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগ।এতে বাংলাদেশের মানুষ সারাদিন অসুখ-বিসুখ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, আর সে সুযোগে খুব সহজে বাংলাদেশকে করায়ত্ব করবে সম্রাজ্যবাদীরা। ৫০ বছর ধরে তারা আফ্রিকায় যে জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগ ঘটিয়েছে, তা যে আমাদের এলাকায় হবে না, সেটা কিন্তু বলা যায় না।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগ-শোক বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ অকারণে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে, যা আগে দেখা যায়নি। তাছাড়া বাচ্চাদের উপর ভিটামিন এ ক্যাপসুল, কৃমিনাশক ওষুধ কিংবা ফ্রি ভ্যাকসিনও ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওষুধগুলো স্কুলগামী বাচ্চাদের গিলিয়ে দিচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। পাশাপাশি জিএমও ফুডও নতুন করে ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটুকু সচেতন হতে পারবে সেটাই চিন্তার বিষয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, April 5, 2018

কথায় আছে, বাঙালী ফ্রি পাইলে আলকাতরাও খায়। বিদেশীরা ফ্রি ওষুধ দিছে, এই তো বেশি। ঐটা ভালো না মন্দ সেটা দেখার সময় কোথায় ? আগে খেয়ে নেই।

আমার কাছে এখন পর্যন্ত ৪টি জেলায় কৃমিনাশক ওষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে।

১) চুয়াডাঙ্গা (https://bit.ly/2GDksRD)

২) মেহেরপুর (https://bit.ly/2Hag3Xa)

৩) যশোর (http://archive.is/fAmbf)

৪) গাইবান্ধা (http://archive.is/FdGAB)

কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে বাচ্চারা কেন অসুস্থ হইলো ? এর উত্তরে বাংলাদেশের হাসপাতালের ডাক্তাররা দুইটা কথা বলতেছে,

ক) পেট খালি থাকলে সমস্যা হতে পারে।

খ) এটা মানসিক সমস্যা

প্রথম কথা হলো, স্কুলে কি সব বাচ্চার পেট খালি থাকে ? বাচ্চারা তো সবাই বাসা থেকে কিছু না কিছু খেয়েই স্কুলে আসে । ধরে নিলাম, খালির কারণে সমস্যা হইছে, তাহলে সেটা কিছু কিছু জেলায় হবে কেন? পুরো বাংলাদেশ জুড়েই তো হওয়ার কথা। কারণ খালি পেটের বাচ্চা নিশ্চয়ই মেহেরপুর, যশোর, গাইবান্ধা আর চুয়াডাঙ্গায় থাকে না।

দ্বিতীয় কথা হলো, “এটা মানসিক সমস্যা”। এটা ডাক্তার সাহেবদের অনুমান নির্ভর কথা। তাদের দাবি, একজনেরটা দেখে অন্য জনের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু খবরে পাওয়া তথ্য মতে, কিছু বাচ্চা স্কুলে থেকে অসুস্থ হইছে, আবার কিছু বাচ্চা বাসায় যাওয়ার পর অসুস্থতা অনুভব করেছে। এক্ষেত্রে একজনেরটা দেখে অন্যজনের সমস্যা হইছে, এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না।

পুরো ঘটনা অবলোকনে আমার মাথায় কিছু চিন্তা এসেছে-

প্রথমত, কিছু জেলায় সমস্যা হলো, আর কিছু জেলায় সমস্যা হলো না কেন ? যেখানে হলো সেখানে প্রায় সবাই আক্রান্ত হলো কেন ? যদি পুরো দেশজুড়ে সমস্যা হতো, তবে ধরে নেয়া যেতো এটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু কিছু কিছু স্থানে ম্যাসপিপল আক্রান্ত হওয়ার অর্থ এটা হতে পারে- ১০০% নয় হয়ত ৫-১০% ওষুধের মাধ্যমে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে ।

দ্বিতীয়ত, সরকারের কথায় বিদেশী ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলে সরকারের কোন দায়ভার আছে কি না ?

তৃতীয়ত, ডাক্তারা ওষুধ নিয়ে যা বলছে সব সরকারীটাইপের দায়হীন কথাবার্তা। ভাবছে- কোন কথা বলে বিপদে পড়বো, চাকরী হারাবো, সার্টিফিকেট হারাবো, চিহ্নিত হয়ে যাবো।

চর্তুথত, বিদেশী ওষুধ খেয়ে কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা ‍অসুস্থ হলো, কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলো না। এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দরকার আছে কি না ? শুধু মুখস্ত অনুমান নির্ভর কিছু কথা বলে সাময়িকভাবে ট্রিটমেন্ট দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। কিন্তু সেটা না করে, কি কারণে এতগুলো ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলো, সেটা নিয়ে গবেষণা করা যেতো। যে স্কুলগুলোতে ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়েছে সেখান থেকে ওষুধের স্যাম্পল নিয়ে এবং অসুস্থ ও সুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গবেষনা করে মূল গোমর বের করা যেতো। এ ওষুধ খাওয়ার পর ঐ শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটাও পর্যবেক্ষণ করার দরকার আছে।

আসলে আমি জানি, এগুলো কিছুই হবে না। কারণ কোনভাবে গোমর যদি একবার বের হয়েই যায়, তবে এত কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীর মুখে বিষ তুলে দেয়ার জন্য সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তাই ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে”, “তুমি বেশি বুঝ” ইত্যাদি কথা বলে ওদের এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো।

সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের উপর যেহেতু ভরসা করা যায় না, তাই আমার-আপনার মত ম্যাংগো পিপলের উচিত হবে নিজেরাই সচেতন হওয়া, সন্তানকে এসব ফ্রি ওষুধ খেতে না দেয়া, প্রয়োজন হলে দোকান থেকে কিনে খাওয়ানো।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, April 2, 2018

মাত্র ২ দিন আগে আপনাদের নিষেধ করলাম স্কুলে ফ্রি কৃমিনাশক ওষুধ খাইয়েন না।


আর আজকে খবর আসলো চুয়াডাঙ্গায় কৃমিনাশক ওষধ খেয়ে গনহারের শিশুরা অসুস্থ (https://bit.ly/2H3ku5Z) গাজীপুরেও শিশুরা অসুস্থ হয়েছে বলে ফেসবুকে খবর এসেছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর (https://bit.ly/2pZAGNH)।
আমার মনে হয়, ঠিক কত শিশু এই ওষধ খেয়ে অসুস্থ হয়েছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, কারণ সব খবর তো আর মিডিয়ায় আসে না।
এবার গত বছর কৃমিনাশক ওষধ খেয়ে অসুস্থ হওয়া একটি শিশুর বাবার স্ট্যাটাস পড়ুন-
" গত বছর আমার ছেলে স্কুল থেকে কৃমিনাশক ওষধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ছিল। তার এই অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠতে অনেক সময় এবং দখল গিয়েছে। ছেলে আমার কিছুক্ষণ পেটে আবার কিছুক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে কি যে কান্নাকাটি করেছিল তা বলে বোঝানোর মত না। সরকারী হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার ওই কৃমি ওষধের দালালের মত আচরন করেছে। তারা বলেছিল এটা কোন সমস্যাই না। তারপর রাতের ১২:৩০ মিনিটে ছেলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। তারপর অন্য যায়গায় তার চিকিৎসা করাতে হয়। (http://archive.is/HIqW2)
মূলত: এই সব ওষুধ বিভিন্ন বিদেশী এনজিও’র মাধ্যমে ফ্রি আসে। সরকারীভাবে এসব ওষুধ কতটুকু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ? এবং পরীক্ষার ফল কি জনগণ জানতে পারে ? যদি জানতে নাই পারে, তবে নিজের কলিজার টুকরা সন্তানকে কোন যুক্তিকে তা খাওয়ানো হবে ? পাশাপাশি, এসব ওষুধ বাচ্চাদের খাওয়ানো হয় ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের নামে। প্রত্যেক ওষুধের গায়ে লেখা থাকে, “শিশুদের নাগাল থেকে দূরের রাখুন।” তাহলে কিভাবে একটা বাচ্চাকে অন্য বাচ্চা দিয়ে ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে ? একটা বাচ্চা ওষুধ খাওয়ার পর অসুস্থ হলে, কথিত ক্ষুদে ডাক্তার কি করবে ? সে কি অসুস্থতার বিষয়টি বুঝবে ?
আরেকটি কথা হলো, যে অমুসলিম দেশগুলো সৈণ্য ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়ে মুসলিম দেশে শিশুদের হত্যা করছে, তাদের এত মায়া হঠাৎ কেন উদ্রেগ হলো যে, মুসলিম শিশুদের জীবন বাচাতে ফ্রি ওষুধ দেবে ?
পাশাপাশি আমার প্রশ্ন, এই সব ফ্রি ওষুধ খেয়ে কোন শিশু অসুস্থ হলে, সরকারের দায়ভার কি ?
[বি:দ্র: যে সব স্কুলে আপনাদের সন্তানদের এসব ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে, সেখানে শিক্ষকদের শক্ত করে ধরুন। এলাকাবাসী মিলে এক হয়ে তাদের কঠিন জবাবদিহি করুন। বলুন- আপনাদের কাছে আমাদের সন্তানকে ‘আমানত’ হিসেবে পাঠিয়েছি, আপনারা নিজের চাকুরী বাচাতে সরকারের দেয়া বিষ আমাদের সন্তানদের মুখে তুলে দিতে পারেন না।]
সবাইকে সর্তক করে দেয়া দুইদিন আগে আামার স্ট্যাটাস - https://bit.ly/2pZ71VI

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 1, 2018

সাবধান ! আপনার শিশু আগামী ১ সপ্তাহ স্কুলে গিয়ে কি ঔষধ খাচ্ছে তার খবর নিন।



কারণ আগামীকাল থেকে ১ সপ্তাহ স্কুলগুলোতে কৃমিসপ্তাহ উপলক্ষে ৪ কোটি ৬ লক্ষ শিশুকে ফ্রি কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হবে।(https://bit.ly/2E9DY5U) বিদেশী এনজিওদের দেয়া এসব ফ্রি ওষুধ যাচাই না করে ঠেলে দেয়া হচ্ছে আপনার বাচ্চার মুখে।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালে এই কৃমির ওষধ খেয়ে হাজার হাজার শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। দেখতে পারেন

১) অনুদানে পাওয়া কৃমিনাশক খেয়ে হাজার হাজার শিশু হাসপাতালে : http://bit.ly/2lG5lka

২) কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ :http://bit.ly/2z6iAOe,

৩) ঝিনাইদহে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে পাচ শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে : https://bit.ly/2iVtwKh

মূলত : এসব ফ্রি প্রোগ্রামিং এর আড়ালে সম্রাজ্যবাদীরা তৃতীয় বিশ্বের জনগণের শরীরকে গিনিপিগ বানিয়ে বিভিন্ন ঔষধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।

আবার অনেক সময় সম্রাজ্যবাদীরা সময় এসব ফ্রি ঔষধের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্রেরও পরীক্ষা চালায়। সেই ক্ষতিকারণ জীবাণুর বিষক্রিয়ায় এমনটা ঘটতে পারে। দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে একটি রিপোর্ট---

“বিশ্ব পোলিও নির্মূলকর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারিইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে।সেই সময় গবেষণায় রেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি টেস্টে দেখা যায়, ওই পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেন সহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।”

এগুলো অবশ্য এমনি এমনি সম্ভব হয় না। দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে টাকা দিয়ে এসব ওষধ প্রবেশ করানো হয়। আর সামান্য টাকার লোভে সরকারী কর্মকর্তারা কোটি কোটি শিশুকে ঠেলে দেয় ক্ষতির মুখে। আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলোতে ফ্রি-ঔষধের নামে জীবাণু অস্ত্রের কার্যক্রমের কারণে আজ এইডস, ইবোলা, বার্ড-ফ্লু গণহারে ছড়িয়ে পড়েছে।

আমার এ পোস্ট যারা পড়বেন, তাদের প্রত্যেককে অনুরোধ করবো,

আপনারা আপনাদের আদরের সন্তান, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সন্তানদের সচেতন করুন। তারা যেন আগামী এক সপ্তাহ স্কুলে গিয়ে কোন ধরনের ঔষধ না খায়। খেয়াল রাখবেন, স্কুলে স্কুলে শিক্ষকরা জোর করে বলবে ওষুধ খেতে, বন্ধু-বান্ধবিরা বলবে- “চল দোস্ত, আমি খাচ্ছি তুইও খা। সমস্যা নেই।” এভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে আপনার আদরের সন্তানের মুখে বিষ দেয়া হবে। আপনার সন্তানের কৃমি হতে পারে, তবে সেটার জন্য ফ্রি ওষুধ নয়। প্রয়োজনে দোকান থেকে ওষধ কিনে খাওয়াবেন, কিন্তু ফ্রি ওষধ খাওয়াবেন না।

বি: দ্র: এসব ঔষধ কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা শিক্ষকরা খাওয়াবে না। বাচ্চারা নিজেরাই নিজেদের খাওয়াবে, যাকে বলা হচ্ছে ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম। বাচ্চাদের গায়ে সাদা এপ্রন আর গলায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বলা হচ্ছে খুদে ডাক্তার। অথচ ওষুধের গায়ে সব সময় লেখা থাকে, “শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।” কিন্তু খরচ কমিয়ে আনতে এসব ওষুধ বাচ্চাদের দিয়েই বাচ্চাদের খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে গেলে একজন বাচ্চা কি ব্যবস্থা নিবে সেটাও নিয়েও কোন আলোচনা নাই। যা সত্যিই বিপদজ্জনক। (বিস্তারিত পড়তে-https://bit.ly/2Ihyski)

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত খবর : ভারতীয় ঔষধে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, চুয়াডা্ঙ্গায় ছানী অপরেশন করাতে গিয়ে চোখ তুলে ফেলতো হলো ২০ ব্যক্তির। (https://bit.ly/2GY2xpy,https://bit.ly/2pSQKBG)


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------