Showing posts with label আইন/আদালত. Show all posts
Showing posts with label আইন/আদালত. Show all posts

Thursday, April 11, 2019

আজ হাইকোর্টে আম নিয়ে একটা রিট হইছে।


আম বাগান পাহারায় পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আসন্ন আমের মৌসুমকে সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেন হাইকোর্ট। (https://bit.ly/2Z8Qu1s)

আপনাদের বলে দিচ্ছি,
আমার ক্যালকুলেশন বলছে, এই রিট ও অর্ডারটার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাত আছে এবং এটা বাংলাদেশে আসছে আম মৌসুমকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র।
এই রিটকারী আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ একজন সিআইএপন্থী আইনজীবি। এর আগে মার্কিনপন্থী বাম দলের অন্যতম সদস্য আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ সর্বপ্রথম উন্মুক্তস্থানে কোরবানি বন্ধে রিট করেছিলো। এছাড়া গরু মোটাতাজা বন্ধের নামে রিট করে কোরবানীর আগে বাংলাদেশের গরুর নামে কুৎসা রটনা করে রিট করেছিলো এই মোনজিল মোর্শেদ। এদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সকল উৎপাদন খাত ধ্বংস করে দেয়া।

যাই হোক, আজকে আম নিয়ে এ রিটের বিরুদ্ধে যদি সবাই সচেতন না হয় এবং প্রতিবাদ না করে,
তবে আসছে আম সিজনে সত্য মিথ্যা রাসায়নিক-ক্যামিক্যাল বলে ‘বাংলাদেশের আম’কে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে।


----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------
-----------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 7, 2019

১৫ জন বক্তার ওয়াজের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


এই ১৫ জন বক্তা হলো-
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান(গুনবী), মাওলানা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

তাদের দোষ : তারা ওয়াজের মধ্যে শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং নারীবাদ বিরোধী বয়ান, ‘মূর্তি ভাঙা ধর্মীয় কাজ’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাফের’, ‘অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়’, ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ মুশরিকদের কাজ’, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, প্রতিমূর্তিতে ফুল দিয়ে নীরবতা পালন করা শিরক’, ‘গণতন্ত্র ইসলামে নাই, ইহা হারাম’ এবং ‘জাতীয় সংগীত কওমি মাদ্রাসায় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’, ‘আল্লাহর রাস্তার প্রতিষ্ঠায় উত্তম জিহাদ হচ্ছে সশস্ত্র জিহাদ’, ‘আল্লাহ রাসূলকে গালি দিলে কোপাতে হবে’, ‘ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করলে কোপাতে হবে ইত্যাদি।
(https://bit.ly/2I4ovdJ, https://bit.ly/2U9pAHN)

হঠাৎ বক্তা ওয়াজেদের উপর কড়াকড়ি আরোপের সূত্র বাংলাট্রিবিউন নামক একটি নিউজপোর্টালে ‘সালমান তারেক শাকিল’ নামক এক সাংবাদিকের ৫টি আর্টিকেল,
১)ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে? (https://bit.ly/2TgaR8x)
২) ‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’ (https://bit.ly/2FrmqX0)
৩) ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা (https://bit.ly/2Keqm1y)
৪) ওয়াজ রাজনীতি একাকার (https://bit.ly/2Vy8OP2)
৫) ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে? (https://bit.ly/2G2oHbg)

এই প্রতিবেদনগুলো পূজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ন থেকে ১৫ জন বক্তার উপর কড়াকড়ি আরোপের প্ল্যান সারে কেউ।

উল্লেখ্য বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি জেমকন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।  যশোরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার বাপ-ভাইদের প্রতিষ্ঠান এটি। এদের ইউল্যাব নামক একটা ইউনিভার্সিটি আছে, যেখানে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে লোক এসে শিক্ষার্থীদের ব্রেনওয়াশ করে এবং মার্কিন দালাল বানানোর পলিসি ঠিক করে যায়।

বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি চালায় কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদ, যে ‘পেন ইন্টারন্যালশাল’ নামক একটি ইহুদীবাদী লেখক সংস্থার এদেশীয় এজেন্টা।  (https://bit.ly/2FSSdis)

আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই যে গত ৫-৬ বছর যাবত ব্লগার নামক নাস্তিকদের উৎপাত এর পেছনে রয়েছে এই পেন ইন্টারন্যাশনাল নামক  সংগঠনটি, যা অমি পিয়াল ও আসিফ মহিউদ্দিন তাদের স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করেছে।(https://bit.ly/2I3BnAQ , https://bit.ly/2Ii9hBw)

ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে, ওয়ায়েজ বা বক্তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
একইভাবে ভাই-ভাইয়েও দ্বন্দ্ব থাকে, মতপার্থক্য থাকে, তেমনি মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন বা গ্রুপের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে এটাও স্বাভাবিক।

কিন্তু সেটার জন্য যদি কোন সিদ্ধান্তের দরকার হয়, তবে মুসলমানরা নিজেরা মিলে নিবে।  সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু ইহুদীদের সংগঠন পেন ইন্টনাশন্যাল বা তাদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউনকে দেয়া হয় নাই।   মুসলমানদের শুদ্ধ করার দায়িত্বও তাদের দেয়া হয় নাই। নাস্তিকরা-নাস্তিকরা যখন কামড়াকামড়ি করে তখন কিন্তু তার মধ্যে মুসলমানরা নাক গলাতে যায় নাই, তাহলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকারও তাদের অধিকার নাই।

আসলে ইহুদীদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন জানে, মুসলমান-মুসলমান ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব আছে, সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগায় এমন ১৫ জন বক্তা বা ওয়াজের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কওমী-সুন্নী-ওহাবী-সালাফি-পীরগোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে, আর সে সুযোগে তারা বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যার এগুলোর বিরোধীতা করলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ঠিক আছে-
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তবে মুসলমানরাও তবে উল্টা পলিসি নিক।
তারা যেমন ওয়ায়েজ বা বক্তা দমনের নামে মতবাদ স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে।
উল্টা পলিসি হিসেবে- মুসলমানরা তবে ওয়ায়েজ বা বক্তার দিকে তাকাবে না, তাকাবে তাদের আলোচনার দিকে।
যেহেতু- বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না এবং যে ওয়ায়েজ এই বিষয়ের বিরুদ্ধে ওয়াজ করবে সকল মুসলমান তাকেই চোখ বন্ধ করে সমর্থন করবে।  ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে যত দ্বন্দ্ব থাকুক, সেটা গৌন হয়ে অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র দমন ‍মূখ্য হয়ে যাবে।

আমার মনে হয় এই ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোর একত্রে আগে বসা উচিত।
তারপর সবাই একযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, বাংলাট্রিবিউন নামক ইহুদী পেন ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিবেদন ফলো করে কেন ইসলামী বক্তাদের উপর কড়াকাড়ি বা শর্ত আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদীদের পেন’র থেকে কত টাকা খেয়েছে ?

আর ওয়াজ কে কিভাবে করবে সেটা নির্ধারিত হবে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাদীসের মাধ্যমে।
ওয়ায়েজরা ধর্মীয় নীতিমালা (কোরআর-হাদীস এর ধারা) মেনে ওয়াজ করলো কি না সেটা সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয় দেখতে পারে, কিন্তু ইসলামী ওয়ায়েজরা কিভাবে ওয়াজ করবে, কতটুকু সীমারেখা ফলো করবে সেটা নির্ধারনের দায়িত্ব তো ইহুদী মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নয়।   এটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা।

আমার জানা মতে,
বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এর বিরুদ্ধে ওয়ায়েজরা ওয়াজ করেছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন হাদীস মেনে।  ঐ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে যদি নিষিদ্ধ করতেই হয় তবে ১৫ বক্তাকে নয় বাংলাদেশে কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করা হোক।  কারণ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে বলা আছে, ওয়ায়েজরা সেখান থেকে শুধু পাঠ করেছে মাত্র।  তাই নিষিদ্ধ করলে কোরআন হাদীস আগে নিষিদ্ধ করে দেখাক শেখ হাসিনা সরকার।  সারাবিশ্ব দেখুক- ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করেছে, যা কোন অমুসলিম রাষ্ট্রও এখনও করার সাহস দেখায়নি।

এ ব্যাপারে ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।   এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার কারণে তাদের উপর কড়াকাড়ি আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে, সেগুলো আরো শক্ত ও ব্যাপকভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হোক।  মুসলমানরা যদি শুধু এক হয়, তবে ষড়যন্ত্রকারীদের ইদুরের মত গর্তে ঢুকতে এক মুহুর্তও লাগবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, July 24, 2018

‘বাংলাদেশে লিভ-টুগেদার বৈধ’ করতে ইহুদী এজেন্ট নাইমুলের টেস্ট কেস


গত কয়েকদিন আগে, হঠাৎ একটা খবর ছড়িয়ে পড়ে, যার শিরোনাম- 
“দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে বিয়ে ছাড়াও একসাথে থাকতে পারবে -সুপ্রিম কোর্ট”
খবরটি জুলাই ২১, ২০১৮, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ সময়ে প্রকাশ করে দৈনিক আমাদের সময়ের অনলাইন পোর্টাল।
যদিও কয়েক ঘন্টা পর খবরটি সরিয়ে নেয় আমাদের সময়, এ জন্য ঐ লিঙ্কে ঢুকলে খবরটা পাবেন না (https://bit.ly/2mHFgi9)। কিন্তু তারপর যদি কেউ সেই লেখাটা পড়তে চান, তবে ওয়েবক্যাশে (https://bit.ly/2Lm30rf) লেখাটা পাবেন।

তবে খবরটা ‘আমাদের সময়’ সরিয়ে নিলেও কয়েকঘণ্টার মধ্যে তা কপি করে অসংখ্য নিউজ পোর্টালে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে, “বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে লিভ-টুগেদার বৈধ”।

খবরটি পড়লে বুঝতে পারবেন, খবরটির মধ্যে ঝামেলা আছে। প্রথমত, লিভ-টুগেদার নিয়ে আসলে কোন সরাসরি কোন রায় নেই। কোন একটি মামলা পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর বিতাড়িত প্রধান বিচারপতি সিআইএ এজেন্ট এসকে সিনহা কিছু বলেছিলো দাবি করা হচ্ছে, এবং হঠাৎ করে তা মিডিয়ায় নিয়ে আসা হলো এবং কিছুক্ষণ পর তা গায়েবও করে দেয়া হলো।

আমি একটা কথা প্রায় আপনাদের বলি,
কোন ঘটনা দেখলে আগে আপনার লাভ বা ক্ষতি খুজবেন না,
বরং দেখবেন ঘটনাটা কে ঘটালো এবং তার নিজের উদ্দেশ্য/লক্ষ্য কি ?

এই খবরটি মিডিয়ার সামনে আনলো দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন, যার সম্পাদক নাইমুলের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি। তসলিমা নাসরিনের সাবেক স্বামী নাইমুল ইসলাম খান একটা সময় বাংলাদেশ যেন ইসরাইলের স্বীকৃতি দেয় তা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করে (লেখাটা আমার পেইজ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিধায়, অন্য একটি ফেসবুক পেইজে পেলাম-https://goo.gl/BHg4eF)

যাই হোক কোন অপকীর্তি ঢাকতে সে আমাদের সময়ের সম্পাদকের পদ থেকে আড়াল হয়ে তার বর্তমান স্ত্রী নাসিমা খান মন্টিকে বসায়। এখন তার স্ত্রীর মাধ্যমে সেই দালালিপনা অব্যাহত রাখছে।

আমাদের সময়ে এ খবর হঠাৎ করে ছড়ানোর উদ্দেশ্য সম্ভবত ‘টেস্ট কেস’।
অর্থাৎ টেস্ট করে দেখা- পাবলিক প্রতিক্রিয়া কি ?’
যদি পাবলিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চুপ হয়, তবে হয়ত সরকারের কাছে পশ্চিমা এজেন্টরা আবদার জানাবে বাংলাদেশে লিভ-টুগেদার বৈধ করার জন্য একটা আইন জারি করতে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতে সুপ্রীম কোর্টের মাধ্যম দিয়ে লিভ-টুগেদার বৈধ বলে স্বীকৃতি নিয়েছে পশ্চিমা এজেন্টরা। এখন বাংলাদেশেও করতে চাইছে। নির্বাচন যেহেতু সামনে, তাই মার্কিনপন্থীদের অনেক দাবী-দাওয়া পূরণ করবে শেখ হাসিনা। তাই সুযোগ বুঝে কোপ মারতে চেয়েছিলো পশ্চিমা দালালরা। তবে সেই কোপ মারার আগে একটা টেস্ট কেস করে চেখে নিলো, এই আরকি।

আসলে এরকম আরো অনেক টেস্ট কেস চলে, কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝে না।
যেমন গতকালকে একটা ছবি ছড়াইছে ফেসবুকে, একটা ছেলে-মেয়ে বৃষ্টিতে বসে টিএসসিতে পরষ্পর পরষ্পরকে চুমু খাচ্ছে (https://bit.ly/2NAwE8s )। এই ছবি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু আমি বার বার বলছি, কোন ঘটনা দেখলে আগে খুজবেন কে ঘটনা ঘটাইলো এবং তার নিজের উদ্দেশ্য কি?

এই ছবিটা তুলছে পূর্বপশ্চিম বিডি’র এক ফটোগ্রাফার, নাম জীবন আহমেদ। পূর্ব পশ্চিম বিডি কিন্তু সেই পীর হাবিবুরের রহমানের পোর্টাল, যে এক সময় আমাদের সময়ের নাইমুলের সহযোগী ছিলো। পীর হাবিবুর রহমান বেশি সমালোচিত হয়েছে কিছুদিন আগে, ভারতের একটি নিউজের অনুবাদ করে শেখ হাসিনা, এসএসএফ ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্যাচ লাগিয়ে দেয়ার জন্য। এর জের ধরে তার পোর্টালের এক হিন্দু সাংবাদিককে বেশ কিছুদিন যাবত গুমও থাকতে হয়েছে। এক সময় ছাত্র ইউনিয়ন করা পীর হাবিবুর রহমান এ ঘটনায় মার্কিনপন্থীদের হয়ে কাজ করেছে, এটা স্পষ্ট।

যাই হোক, সেই পূর্বপশ্চিমবিডি’র জীবন আহমেদ সেই ‘কিস’ এর ছবিটা তুললো, যার ফেসবুক আইডি ঘাটলে বোঝা যায়, সে ঐ পশ্চিমাপন্থী নাস্তিক গ্রুপটার সাথে সম্পর্কিত (https://www.facebook.com/jibon.ahmed.4)। আসলে ২০১৫ সালে যখন যখন অভিজিত টিএসসিতে কোপানি খায় তখন এই ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদ অভিজিত আর তার বউয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসছিলো, সেই থেকে ওদের গ্রুপের নিয়মিত সদস্য। (https://bit.ly/2LALrCO)

যাই হোক, এবার বলি এ ছবির পেছনে কারণ কি ?
কারণ ঐ একটাই, মার্কিনপন্থী (নাস্তিকবেশধারী) ঐ গ্রুপটা চায় বাংলাদেশে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ কিস করুক এবং মানুষ সেটা অভ্যস্থ হোক। আপনাদের মনে থাকার কথা, কয়েক বছর আগে কথিত ভ্যালেন্টাইন ডে’র সময় সবাইকে প্রকাশ্যে কিস করার আহবান জানিয়ে ফেসবুক গ্রুপ খুলছিলো হনুমান আজাদের পোলা আর চিকনি শাম্মী (https://bit.ly/2OemjjJ)। কিন্তু পাবলিকের হুমকি খেয়ে কেউ আর সেইদিন ঐ সাহস পায়নি। কিন্তু এখন আবার নতুন করে পাবলিককে অভ্যস্থ করতে চাইছে বিষয়টিতে। তাই ভিন্ন ছুরতে তাদের গ্রুপের অন্য লোক দিয়ে ছবি তুলে প্রচার করছে, আর বেকুব বাংলাদেশীরা সেটা প্রচার করছে। মার্কিনপন্থীদের সাথে আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব এখন চরমে থাকায় এ ঘটনা আরো দূর গড়াতে পারে।

এ বিষয়গুলো যেন আপনারাও সহজে বুঝতে পারে, সেজন্য আমি একটা ‘অ্যানালিস্ট ক্লাস’ তৈরী করছি। আপনারা অপেক্ষা করুন, ‘সবুরে মেওয়া ফলে’।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, July 12, 2018

বাংলাদেশের আইন বিভাগে এখনও ব্রিটিশ কালচার চলছে!


গত ৯ই জুলাই আইনমন্ত্রী বলেছে, বিচারাধীন মামলার সংখ্যা নাকি ৩৪ লক্ষ । মামলা মোকাদ্দমায় চলছে বড় জট। এর মধ্যে একটা বড় অংশ আছে সুপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্টে।
(https://bit.ly/2ueMkHB)

সুপ্রীম কোর্টে মামলার জটের প্রধান কারণ সুপ্রীম কোর্টে অতিরিক্ত ছুটি। আপনারা শুনলে অবাক হবেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগ সুপ্রিম কোর্ট বছরে ৬ মাস খোলা থাকে, আর ৬ মাস বন্ধ থাকে। সুপ্রীম কোর্টের বিচারকরা শুক্র-শনিবারের ছুটি এবং সরকার নির্ধারিত ছুটি ছাড়াও অতিরিক্ত ছুটি পায় ৫১ দিন, যা অন্য কোন চাকুরীজীবি পায় না। (https://bit.ly/2N30ylx/)

এই অতিরিক্ত ছুটি পাওয়ার পেছনে অবশ্য একটা কারণ আছে। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট চলে পুরোপুরি ব্রিটিশ আমলের সিস্টেমে। ব্রিটিশ আমলে সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিরা আসতো সুদূর ব্রিটেন থেকে। তাই বাংলাদেশে (তৎকালীল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া) এক নাগারে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ফলে ব্রিটেনে পরিবারপরিজনের থাকে থাকার জন্য তাদের লম্বা ছুটির প্রয়োজন হতো। বলাবাহুল্য, ব্রিটিশ আমলের পর পাকিস্তান আমল শেষ হয়ে গেছে, বাংলাদেশের বয়সও ৪৭ বছর চলছে। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের সেই ছুটির দিনগুলো শেষ হয়নি, যার খেসরত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে মামলার জটে পড়ে।

ব্রিটিশ আমল শেষ হয়েছে ৭১ বছর হয়ে গেলো, বাংলাদেশের প্রধান বিচারবিভাগের ভাষা এখনও ইংরেজী রয়ে গেছে !!! এখনও আইনজীবি আর বিচারপতি যখন কথা বলে তখন বিচারপ্রার্থী তা বুঝতে সক্ষম হয় না, সক্ষম হয় না মামলার নথিতে কি লেখা হয়েছে। ভাষা হচ্ছে মানুষের ভাব-আবেগ প্রকাশের মাধ্যম। একজন মানুষ যদি তার ভাব-আবেগই প্রকাশ করতে না পারে, তবে সে বিচার চাইবে কিভাবে ? আর সঠিক বিচার প্রত্যাশাই বা করবে কিভাবে?
সরকার বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাফতরিকভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে দাবি তুলেছে (https://bit.ly/2NDZJ3K)। কিন্তু তারা কি নিজের দেশের বিচার দফতরের ভাষাকে বাংলা করতে পেরেছে ?

এখনও দেখবেন, বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের প্রধানবিচারপতি মাথার মধ্যে ‘ভেড়ার উলের টুপি’ পড়ে থাকে। ব্রিটিশ ধারণা হলো, মা ভেড়ার কাছে সব বাচ্চা যেমন সমান, তেমনি প্রধান বিচারপতির কাছে সবাই সমান। সেই ধারণা থেকে প্রধান বিচারপতিকে ভেড়া সেজে থাকতে হয়। বাংলাদেশে এখনও সেই ব্রিটিশ কালচার চলছে।

উকিল-আইনীজীবীরা ব্রিটিশ সিস্টেমে পড়ে থাকে কোর্ট-গাউন। ব্রিটেন শীতের দেশ, তাই সেটা তারা পড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ তো শীতের দেশ না, এখানে কেন উকিল আইনজীবীকে শীতের দেশের পোষাক পড়তে হবে ? এ জন্য কোর্ট এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে, “গরমের দিনে কোর্ট পড়ে দুই প্রকার লোক, উকিল আর পাগল”।

সুপ্রীম কোর্টের মধ্যে এখনও উকিল ও বিচারপ্রার্থীরা বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ শব্দ দ্বারা সম্বোধন করে। মাই লর্ড শব্দের অর্থ ‘আমার প্রভু’। বিচারপতির আসনে ব্রিটিশরা বসতো, তারা দাবি করতো তারা হলো ‘মালিক’। আর এদেশীয়রা হচ্ছে ‘দাস’। এই ধারণা থেকেই মাই লর্ড শব্দের উৎপত্তি। কিন্তু স্বাধীনতার ৭১ বছর পরও কি আমরা সেই দাসত্বের শিকল থেকে বের হতে পারবো না ?

উল্লেখ্য পার্শ্ববর্তী ভারতে আজ থেকে ১৩ বছর আগে উকিলদের প্রতিবাদের মুখে ‘মাইলর্ড’ প্রথা উঠে গেছে (https://bit.ly/2L2YFoi)। বাংলাদেশের উকিলরা নিজেদের অনেক পণ্ডিত বলে জাহির করে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ মাইলর্ড প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি।

শুধু তাই না, এখনও কোর্টে শুরু ও শেষে সম্বোধনস্বরূপ বিচারপতিদের সামনে উকিলদের মাথা নত করতে হয়। আমার জানা মতে ইসলামধর্মে এভাবে মাথা নত করা নিষিদ্ধ, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে এই ব্রিটিশ কুপ্রথা অব্যাহত রয়েছে। মাউন্ট ব্যাটেন বলেছিলো, ব্রিটিশরা চলে যাচ্ছে, কিন্তু এমন এক জাতি রেখে যাচ্ছে, তারা দেহতে এদেশী হলেও মনেপ্রাণে হবে ব্রিটিশ। কোর্টের দিকে তাকালে যেন যার সত্যতা ১০০% দেখা যায়।

বাংলাদেশ ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়েছে ৭১ বছর। এরমধ্যে বাংলাদেশের যে একটি স্বতন্ত্র সিস্টেম দাড় করানোর যোগ্যতা হয়নি বিষয়টি সেরকম নয়।কিন্তু তারপরও মান্ধাতার সিস্টেম কপি করে চলেছে সবাই। আমরা যারা বাংলাদেশ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখি, বিচারবিভাগে এহেন ‘মাছি মারা কেরানী’ সিস্টেম আমাদের সত্যিই কষ্টে ফেলে দেয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, June 3, 2018

রাষ্ট্রের আইন বহির্ভূত কাজ করায়, আইন অনুযায়ী দুই বিচারপতির শাস্তি হওয়া উচিত


এই দুইজন বিচারপতিকে চিনে রাখুন সবাই-
একজনের নাম বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম, অন্যজনের নাম বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের। এরা দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে বসে নিজেরাই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করছে। বিদেশী পতাকা ওড়ানোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন আছে (https://bit.ly/2J9VLRK)।
 “বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে সারা দেশে বিদেশী পতাকা ছেয়ে গেছে” যা আইনের বিরুদ্ধচারণ, এই মর্মে গত কয়েকদিন আগে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু “বিশ্বকাপ উন্মাদনার বিরুদ্ধে এ ধরনের আইন-ই থাকা উচিত না” এধরনের আইন বহির্ভূত কথা বলে রিট খারিজ করে দেয় বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের বেঞ্চ।
যাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশের আইন রক্ষা করা, তারাই যখন আইন বহির্ভূত হয়ে উঠে তখন দেশের জনগণ যাবে কোথায় ?
রাষ্ট্রের আইন বহির্ভূত কাজ করায়, আইন অনুযায়ী এই দুই বিচারপতির কি শাস্তি হওয়া উচিত, আমি সেই বিচার-ই দাবী করছি।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, May 31, 2018

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তর যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন করে তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন

খবর : (১)
নতুন প্রজন্মের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির (https://bit.ly/2LBSUyL)
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বহুদিন ধরে জোকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহুল প্রচারিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দর্শকদের হাসানোই তার একমাত্র কাজ। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে কেন নতুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক বানানোর প্রজেক্টে নেমেছেন ?
আজকে খবরে দেখলাম, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব ঘোষ কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএসর অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে। (https://bit.ly/2L5RzyY)

আমার বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এখনও নিজেকে প্রনবের মত অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করতে পারবে না। কিন্তু সেই প্রনব নিজেই যখণ হিন্দুত্ববাদে যোগদান করছে, সেখানে আব্দুল হামিদ কেন তরুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুঁকাতে চাইছে ? উগ্রহিন্দুত্বের বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা কতটুকু গ্রহণযোগ্য ? আমরা জানি, ভারতের মুসলমান কিংবা মায়ানমারের রোহিঙ্গারা হিন্দুত্ববাদ বা বৌদ্ধবাদের বিপরীতে ৭০ বছর ধরে অসাম্প্রদায়িকতা দেখিয়েছে। কিন্তু কি ফল পেয়েছে ? মার তো খেয়েছেই, এখন নিজ ভূমিটাও হারাতে বসেছে। আব্দুল হামিদ কি বাংলাদেশের মুসলমানদেরও রোহিঙ্গা বা অসমীয় মুসলমানদের মত বানাতে চায় ?


খবর: (২)
ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে: শেখ হাসিনা (https://bit.ly/2kz0MVi)

এই খবরের পর আনন্দবাজার পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে-
“মোদীর কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা” (https://bit.ly/2smgZBu
)
প্রথম খবরে শেখ হাসিনা ভারতকে ‘যা দিয়েছেন’ বলতে নিজের কিছু দেননি, দিয়েছেনে দেশ ও দেশের সম্পদ। কিন্তু পরের খবরে স্পষ্ট শেখ হাসিনা নিজের জন্য চাইতে গিয়েছেন।
অর্থাৎ দেশ বিলিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চান শেষ হাসিনা, বিষয়টি শেখ হাসিনা ও ভারতীয় মিডিয়ার বক্তব্যে মোটামুটি পরিষ্কার। এতদিন কথাগুলো হয়ত ভিন্ন ভিন্ন মহল থেকে আসছিলো, কিন্তু এখন খোদ শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলো।
বঙ্গবন্ধু যে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার কন্যা সেই দেশকে ভারতের কাছে ক্ষমতার জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে, অবতীর্ণ হয়েছে লেন্দুপ দর্জি বা মীর জাফরের ভূমিকায়। দেশ পুরোপুরি বিক্রির আগে বিশ্বাসঘাতকদের তাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছি না।

খবর : (৩)
বিদেশী পতাকা উড়ানো নিয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের দুই বিচারক
বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ নুরুল আমিনের করা সেই রিট আজকে শুনানির সময় খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদের। রিটকারীর বক্তব্য ছিলো, বিদেশী পতাকা ওড়ানো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী। কিন্তু দুই বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদেরের সরাসরি দাবি হচ্ছে, ‘আইনবিরোধী বলে কিছু নেই। যেই আইন জনগণের বিনোদনের বিরুদ্ধে যায় সেই আইন-ই থাকা উচিত নয়।’ অর্থাৎ দুই বিচারপতিও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংরক্ষেণের স্থান হাইকোর্টে বসে দেশের আইনকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। সাবাস।

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তরে যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন আর শত্রুর এজেন্ডা বাস্তবায়ন প্রকাশ্যেই হয়, তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন, তা বুঝতে বিজ্ঞানী হতে হয় না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, April 25, 2018

প্রাণ লাচ্ছির এ বিজ্ঞাপনটি আপনারা দেখেছেন ?


বিজ্ঞাপনটিতে মানুষের ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি তুলে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য জনগণকে উন্মুক্ত আহবান জানানো হয়েছে। ছবির দেয়া পোস্টটিতে ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬শ’ কমেন্ট হয়েছে, যেখানে শত শত মানুষের অনুমুতিহীন ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি পোস্ট করা হয়েছে (https://bit.ly/2HQwSXp)।

আমার জানা মতে এ ধরনের ছবি আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারা অনুসারে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এখন আমার প্রশ্ন হলো,

শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক স্বার্থে জনগণকে আইনবিরুদ্ধ কাজ করতে উব্ধুদ্ধ করায় প্রাণ কোম্পানি আইনবহির্ভূত কাজ করছে কি না ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, April 16, 2018

আওয়ামী সরকারকে এখনই স্পষ্ট করতে হবে- একজন বাংলাদেশী কি তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করতে পারবে ? কি না ?


আবিদ আহমেদ লিটন নামক এক কারা কর্মকর্তা স্ট্যাটাস দিয়েছে, যার সারমর্ম:

“ পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা শিরক... এ দিন হিন্দুরা অনুষ্ঠান করুক...সেটা তাদের ব্যাপার.....কিন্তু মুসলমানদের অনুষ্ঠান করা উচিত হবে না।”

এই স্ট্যাটাস দেয়ার পর তাকে নাকি বদলী করেছে সরকার এবং তার বিরুদ্ধে নাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(https://bit.ly/2HqCmdWhttps://bit.ly/2IYEdDH)

আমরা জানি বর্তমান আধুনিক বিশ্ব মূর্তি পূজাকে সাপোর্ট করে না, কিন্তু তারপরও হিন্দু-বৌদ্ধরা প্রকাশ্যে মূর্তি পূজার কথা প্রচার করে। মানুষের মৃত্যুর পর নৈতিকভাবে মানুষের দেহকে আগুনে পুড়ানো সাপোর্ট করে না, কিন্তু তারপরও হিন্দুরা তা করে এবং প্রচার করে। আধুনিক মানবাধিকার নারী-পুরুষের সম্পত্তির অধিকারের কথা বলে, কিন্তু তারপরও হিন্দুদের ধর্মীয় আইন নারীকে বাবার সম্পত্তির ভাগ দেয়নি। শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে আইন করতে গেলে হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। দেশের সব মানুষ গরুর মাংশ খায়, কিন্তু হিন্দুরা গরুর মাংশ খাওয়ার বিরুদ্ধে বলে। দেশের ৯৫% মানুষ কষ্ট পাবে জেনেও তারা সেটা করে। কারণ এটা নাকি তাদের ধর্মীয় মত প্রকাশ তাদের অধিকার।

একজন হিন্দু যদি তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করতে পারে, তবে একজন মুসলমান কি তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করতে পারবে না ? তার ধর্ম অনুসারে কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা বলতে পারবে না ? সেটা বললে তার জেল জরিমানা দিতে হবে এই আইন কোথায় আছে ? সরকারকে সেটা দেখাতে হবে। সরকার তো মুসলমানদের ধর্মীয় মত প্রকাশে প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিভাগ এর-

-২৮ এর (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে:

“কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।”

-৩৯ এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে: চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।

এই ধারা অনুযায়ী একজন হিন্দু নাগরিক তার ধর্ম প্রচার করতে পারবে, কিন্তু মুসলিম নাগরিক তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করলে সরকার শাস্তি দেবে, এটা কিন্তু হবে না।

সংবিধানের ২৬ এর (২) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে:

“রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসমঞ্জস কোন আইন প্রণয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।”

তারমানে সরকার শুধু মুসলমানদের মত প্রকাশের বাধা দিয়ে কোন আইনও পাশ করতে পারবে না, করলে সেটা সংবিধান অনুসারে বাতিল হবে।

পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের অনুষ্ঠান এটা তো হিন্দুরাই বলে। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মুসলমানরা করতে পারবে না, এটা কি একজন মুসলমান বলতে পারবে না ?

ঐ কারা কর্মকর্তা তো হিন্দুদেরকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয় নাই, সে নিজ ধর্মের মানুষকে সতর্ক করেছে। এটা অবশ্যই তার রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার এবং কোনভাবেই তাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না।

আমি সবাইকে আহবান জানাবো, মুসলমানদের ধর্মীয় মতপ্রকাশে সরকার বাধা দিচ্ছে এবং তাকে হেনস্তা করছে। এর বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলন গড়ে তুলুন। যে আওয়ামী সরকার ধর্মীয় মত প্রকাশের কারণে কারা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিতে পারে, সে আওয়ামী সরকার খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের ইসলাম নিষিদ্ধ করে দেবে । এবার মাদ্রাসায় মঙ্গল পূজা করিয়েছে, আগামীবার মাদ্রাসায় দূর্গা পূজা করাবে, মসজিদে কালী মূর্তি স্থাপন করে সবাইকে মাথা নত করতে বাধ্য করবে। আওয়ামী সরকার কর্তৃক ধর্মীয় বাক স্বাধীনতা হরণের স্বৈরাচারী স্বভাবের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে আন্দোলন করা এখন জরুরী।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, March 27, 2018

আজকে বাংলাদেশের হাইকোর্টে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বৈধতা নিয়ে একটি রিট খারিজ করেছে দিয়েছে আদালত।


উল্লেখ্য কিছুদিন আগে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করতে সার্কুলার জারি করে সরকার। সেই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে কুড়িগ্রাম জেলার একটি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম মিয়া ও এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের দাবি ছিলো, “১৯৭৮ সালের বিধান অনুসারে কেবল স্কুলেই দিনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে, মাদ্রাসায় নয়। মাদ্রাসা শরিয়ত মোতাবেক চলে। এখানে কোনো প্রকার সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা অনুমোদন করে না।”

রিটটি খারিজ করার যুক্তি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলে, “‘আপনি দেখান পবিত্র কোরানের কোথায় আছে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না? পবিত্র কোরানের কোথাও নেই যে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না। আগে তো মাদ্রাসার সিলেবাসে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রকারান্তরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার জন্যই এ রিট করা হয়েছে।’
আদালত আরও বলে, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীত গাইবে, আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গাইবে না, এটা তো হতে পারে না। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে গেলে যখন বিদেশিরা জাতীয় সংগীতের বিষয় জানতে চাইবে, তখন শিক্ষার্থীরা কী জবাব দেবে? ব্রিটিশ আমলে আমরা ইংরেজি না শিখে পিছিয়ে পড়েছিলাম। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিতে এ ধরনের রিট করা হয়েছে।’
(সূত্র: https://bit.ly/2GyCaZC)

রিট নিয়ে বিচারপতির বক্তব্য সত্য না মিথ্যা আমি সেই তর্কে যাব না। তবে পুরো খবরটা পড়ে আমার বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কিছু ভাবনা উদয় হলো। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে ‘মা’ শব্দটা বেশ কিছুবার ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের যারা জাতীয় সঙ্গীতের পক্ষে তাদের দাবি, ‘এখানে মা শব্দটা দ্বারা মাতৃভূমিকে বুঝানো হয়েছে। তাই এখানে ধর্মীয়করণে সুযোগ নেই।”

পাঠক ! আমার জানা মতে নিজেদের দেশ বা ভূমির ক্ষেত্রে ‘মা’ শব্দটা নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসগত কিছু তফাৎ আছে।

হিন্দুদের ক্ষেত্রে নিজভূমি বা দেশকে সরাসরি ‘মা’ বা ‘মাতা’ বলে চিহ্নিত করায় কিছু নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে। হিন্দুদের ক্ষেত্রে স্বদেশ বা মাতৃভূমি একটি নারী লিঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে, তারা মাতৃভূমি বলতে নারী লিঙ্গে কোন অবয়বকে কল্পনা করে। এবং অনেক ক্ষেত্রে সেই নারী লিঙ্গে অবয়বও তা অঙ্কন করে। যেমন ‘ভারত মাতা’ বলতে ভারতীয় হিন্দুরা একটি আলাদা দেবীকে কল্পনা করে। এ কারণে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ভারত মাতা কি জয় বলাকে ইসলামবিরোধী বলে ফতওয়া দেয়া হয়েছে। এবং বিষয়টি নিয়ে ভারতের মাদ্রাসাগুলো বেশ কয়েক বার কোর্টের দারস্ত হয়েছে। (https://bit.ly/2pKXm4a)

অপরদিকে মুসলমানদের ক্ষেত্রে বিশ্বাসটা একটু ভিন্ন। মুসলমানরা মাতৃভূমি বলতে কোন লিঙ্গ নির্দেশিত কিছু চিহ্নিত করে না, বরং গর্ভধারিনী মায়ের আবাস ভূমিকে বুঝায়। মুসলমানরা মাতৃভূমি বলতে কোন নারী লিঙ্গের কোন অবয়ব কল্পনা করে না।

এ কারণে হিন্দুরা যদি দেশকে মা বা মাতা বলে বুঝতে হবে সেখানে তারা কোন দেবীকে কল্পনা করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার স্বদেশ নামক গানে স্বদেশের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে,
“ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে,
বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি
ললাটনেত্র আগুনবরণ।
কবি স্বদেশকে তুলনা করে দেবী দূর্গার সাথে। তারমানে রবীন্দ্রনাথ যে স্বদেশকে হিন্দু ধর্মীয় দেবীর সাথে তুলনা করে এটা স্পষ্ট।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের শেষের কিছু লাইন-
“ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে,....ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,.....মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি । ” (https://bit.ly/2Gh9Lnt)
আপনি যতই বলেন, এখানে মা নিয়ে ধর্মীয়করণে সুযোগ নেই, কিন্তু এখানে স্পষ্ট রবীন্দ্রনাথ মা বলতে কোন দেবীকে কল্পনা করেছে। এই তিনটি লাইন স্পষ্ট - এখানে রবীন্দ্রনাথ মাতৃভূমিকে দূর্গা, অথবা কালী, অথবা অন্নপূর্ন্না, অথবা কোন দেবীর সাথে তুলনা করেছে। মায়ের চরণে মাথা পাতা (দেবীর পূজা), চরনে ধন-সম্পদ দেয়া (দেবীর মূর্তির সামনে ভোগ বা অন্য সম্পদ দেয়া) এবং মাকে ভূষণ (বস্ত্র, অলংকার বা অস্ত্র) দেয়া তিনটি বিষয়ের সাথে দূর্গা বা কালীর পূজা সময় লক্ষ্যনীয় অনুষ্ঠানাদি।

তাই আপনি ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে যতই অসাম্প্রদায়িক বলে জাতীয় সঙ্গীত বানাতে চান, মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে সুর করে পড়ান, লাভ হবে না। হিন্দুদেবী বন্দনা, বন্দনাই থাকবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 22, 2018

মাদরাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে রিট


খবর : মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গত জানুয়ারিতে দলগত জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই পরিপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেছেন কুড়িগ্রামের শুখদেব ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম মিঞা ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুহম্মদ মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। মামলাটি হাইকোর্টের রিট শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা হলো ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। গান ও বাদ্যযন্ত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রিটকারীদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে। মামলাটি আগামী রবিবার ২৫ মার্চ শুনানির কথা রয়েছে। (http://bit.ly/2u9xBzV)
মন্তব্য : খুবই ভালো উদ্যোগ। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় কাজ হবে। সেখানে জোর করে ধর্মবিরুদ্ধ কাজ চাপিয়ে দেয়া কখনই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, February 14, 2018

প্রশ্নফাঁস হওয়া আপনাদের অপরাধ, এটা ঢাকতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করছেন কেন ?

শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই, শেখ হাসিনা বলেছে, “১০০ অর্জন আছে, দু’একটি ঘটনায় সর্ব অর্জন নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।”
(http://bit.ly/2G9FJBG)
শেখ হাসিনার এ ধরনের কথাবার্তায় আমি খুব হতাশ হয়েছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, তিনি ১০০% অর্জন বলতে কি বুঝাতে চাইছেন? এবং এও জানতে ইচ্ছা করছে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনাকে তিনি দু’একটা ঘটনা বলে তাচ্ছিলো করতে চাইলেন কেন ? তারমানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা বিশাল কিছু নয়? তার কাছে ২০ লক্ষ শিক্ষার্থীর ১০ বছরের লেখাপড়ার গুরুত্ব ১%ও নেই ?
আসলে সত্যিই তো, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব শেখ হাসিনার কাছে থাকবেই বা কি করে ? কারণ শেখ হাসিনার নাতি-নাতনীরা বাংলাদেশে লেখাপড়া করে না, তারা ইউরোপ-আমেরিকায় লেখাপড়া করে। সুতরাং প্রশ্ন ফাঁস হলে সমস্যা কোথায় ?
আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৫ সালে খালেদা জিয়া যখন হরতাল দিচ্ছিলো, তখন তার নাতনী (কোকোর মেয়ে) পরীক্ষা থাকায় মালয়েশিয়া ফেরত গিয়েছিলো। তখন মিডিয়ায় বিষয়টি আলোচিত হয়েছিলো, “‘তারা ম্যাডামের নাতনি, হরতাল অবরোধ জনগণের জন্য” ।
(http://bit.ly/2o5tY7E)
গত কয়েকদিন যাবত আমরা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং তা সামাল দেয়ার নামে যে প্রহসন দেখছি, তা পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে আছে বলে মনে হয় না । শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যে আইন-কানুন ও গ্রেফতারী সিস্টেম দেখাচ্ছে, দাগী আসামীদের উপর বর্তানো সিস্টেমকেও ফেল করেছে। তার যত আইন-কানুন সব পরীক্ষার্থীদের উপর, শিশু-কিশোরদের উপর। কিন্তু শিক্ষাসেক্টরের যে প্রাপ্তবয়স্করা প্রশ্নফাঁস করছে তাদেরকে তিনি ধরতে পারেন নাই, তাদের নিয়ে নতুন আইনও দেন নাই। শিক্ষাসেক্টরে এ ধরনের জোরজবরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম সহ্য করা যায় না, আপনি বাচ্চাদের শিখাতে এসেছেন, তাদের উপর জোরজবরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম চাপিয়ে দিতে পারেন না।
একটা বাচ্চা যখন পরীক্ষা দিতে যায়, তখন তাকে নানা ভাবে অভয় দিতে হয়। তার মনকে শান্ত করা হয়। আমাদের সময় মনে আছে, আমাদের শিক্ষক ও গার্জিয়ানরা আমাদের নানাভাবে সাহস দিতেন, যেন আমরা ভয় না পাই। একটা ছাত্র নিজ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যখন অন্য এলাকায় আসছে, তখন এমনি তার ভয় পাওয়ার কথা। তখন তার মনমানসিকতা যেন সুস্থ থাকে এবং সঠিক উত্তর দিয়ে আসতে পারে, এজন্য তাকে অভয় দেয়া জরুরী। কিন্তু এখন যে জোরজরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম দেখানো হচ্ছে, যেন এটা পরীক্ষাক্ষেত্র না, যুদ্ধক্ষেত্র বলা জরুরী।
প্রশ্নফাঁস হওয়া আপনাদের অপরাধ, এটা ঢাকতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করছেন কেন ? আপনারা প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে না পারেন, পদত্যাগ করুন, নয়ত পরীক্ষা বন্ধ করে দিন। দরকার নাই আপনাদের ফালতু সিস্টেমের পরীক্ষা দেয়া। দয়া করে ছোট ছোট বাচ্চাদের গ্রেফতার করে তাদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। তাদের উপর পুলিশি সিস্টেম চাপিয়ে দেবেন না, তাদের অপরাধী বানাবেন না। বাচ্চার সামনে চকলেট ধরবেন, আর চকলেটে হাত দিলেই অপরাধী বানাবেন, গ্রেফতার করবেন, এটা কেমন কথা ? আপনার ঘুষ খাওয়া বন্ধ করতে পারেন না, সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার অনুমতি দেন, আর শিশু-কিশোরদের হাতে নিজেরাই প্রশ্ন তুলে দিয়ে, নিজেরাই তাদের গ্রেফতার করেন, এটা কিছুতেই সহ্য করা যায় না।
বাংলাদেশের শিশু-কিশোর অধিকার কর্মীরা এখনও কেন বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে না, তা আমার মোটেও বোধগম্য নয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------