ক্রুসেড যুদ্ধ চলেছিলো প্রায় ২০০ বছর। এই যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর পশ্চিমা জগত যুদ্ধের ধরণ ও কৌশল পাল্টে বুদ্ধিবৃত্তিক পন্থায় সামনে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। ১২৭০ খৃস্টাব্দে ফ্রান্সের রাজা ৯ম লুইস পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মারা যাবার সময় একথা চিন্তা করে। মৃত্যুর সময় সে একটি ওসীয়তনামা লিখে যায়। তাতে লুইস লেখে, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানদের পরাজিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছি। ক্রুসেড যুদ্ধের ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে চলছে। কিন্তু আমরা বিজয়ী হতে পারছি না। কারণ মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করার পর তাদের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের চেতনা লক্ষ্য করা যায়, যা প্রতিরোধ অসম্ভব। এই চেতনা প্রতিরোধ করার জন্য এখন অন্য উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা উচিত।” এই ওসীয়তনামটি আজও প্যারিসে সংরক্ষিত আছে। সেই ওসীয়তনামার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো সেই বিশেষ চেতনা ধ্বংসে ইসলামী মূল্যবোধ নষ্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ লুইসের পলিসি হচ্ছে: আগে ইসলামী মূল্যবোধ ও চেতনা ধ্বংস করতে হবে, তারপর মুসলমানদের আক্রমণ করলে তারা আর প্রতিরোধ করতে পারবে না, ফলে সহজে পরাজিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রবীন্দ্রের দেবী বন্দনার জাতীয় সংগীত আগেও ছিলো এখনও আছে।
বাংলাদেশের বৈশাখী পূজা ও মঙ্গলপূজা আগে ছিলো এখনও আছে।
কিন্তু হঠাৎ করে এত যায়গা থাকতে সেটা মাদ্রাসায় চালু করার দরকার হবে কেন ?
আর সেটার প্রয়োজন হঠাৎ এখন কেন হচ্ছে, আগে কেন হয় নাই ?
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই-
সমাজে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বিস্তৃতির কারণে মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু এখন বিশেষ কৌশলে সেই শেষ আশ্রয়স্থলও ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় চালু করা হচ্ছে হিন্দুদের জাতীয় সংগীত ও মঙ্গলপূজা। এই যখন অবস্থা, তখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, তারা কি ফরাসী রাজা লুইসের পলিসির শেষ অংশ বাস্তবায়ন করছে ? এরপর কি আক্রমণ হবে ?
আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমারসহ প্রত্যেক রাষ্ট্রে চলছে হামলা, চলছে মুসলিম নিধন ও মুসলিম বিতাড়ন। বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ার কারণে সেই সিরিয়ালে আছে তাও বলা যায়। কিন্তু ফ্রান্সের রাজা লুইসের সেই ওসীয়তনামার বাস্তবায়ণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, হয়ত আক্রমণটা খুব দ্র্রুত হবেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের শেষ অংশওটুকু ভাঙ্গার কাজ এখন চলছে।
সিরিয়ান মুসলমানরা হামলার শিকার হয়ে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে গ্রিসে গিয়েছিলো, রোহিঙ্গারা নাফ নদী পাড় হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হামলার শিকার হলে কোথায় যাবে ? তিন দিকে তার হিন্দুত্ববাদী ভারত ও বৌদ্ধবাদী মায়ানমার। শুধু একদিক খোলা আছে দক্ষিণে। হ্যা সেটা বঙ্গপোসাগর এবং সেখানে কোন স্থল নেই। তারমানে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গপোসাগরের পানিতেই লাফ দিতে হবে।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment