Showing posts with label মিডিয়া. Show all posts
Showing posts with label মিডিয়া. Show all posts

Sunday, April 7, 2019

১৫ জন বক্তার ওয়াজের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


এই ১৫ জন বক্তা হলো-
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান(গুনবী), মাওলানা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

তাদের দোষ : তারা ওয়াজের মধ্যে শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং নারীবাদ বিরোধী বয়ান, ‘মূর্তি ভাঙা ধর্মীয় কাজ’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাফের’, ‘অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়’, ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ মুশরিকদের কাজ’, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, প্রতিমূর্তিতে ফুল দিয়ে নীরবতা পালন করা শিরক’, ‘গণতন্ত্র ইসলামে নাই, ইহা হারাম’ এবং ‘জাতীয় সংগীত কওমি মাদ্রাসায় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’, ‘আল্লাহর রাস্তার প্রতিষ্ঠায় উত্তম জিহাদ হচ্ছে সশস্ত্র জিহাদ’, ‘আল্লাহ রাসূলকে গালি দিলে কোপাতে হবে’, ‘ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করলে কোপাতে হবে ইত্যাদি।
(https://bit.ly/2I4ovdJ, https://bit.ly/2U9pAHN)

হঠাৎ বক্তা ওয়াজেদের উপর কড়াকড়ি আরোপের সূত্র বাংলাট্রিবিউন নামক একটি নিউজপোর্টালে ‘সালমান তারেক শাকিল’ নামক এক সাংবাদিকের ৫টি আর্টিকেল,
১)ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে? (https://bit.ly/2TgaR8x)
২) ‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’ (https://bit.ly/2FrmqX0)
৩) ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা (https://bit.ly/2Keqm1y)
৪) ওয়াজ রাজনীতি একাকার (https://bit.ly/2Vy8OP2)
৫) ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে? (https://bit.ly/2G2oHbg)

এই প্রতিবেদনগুলো পূজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ন থেকে ১৫ জন বক্তার উপর কড়াকড়ি আরোপের প্ল্যান সারে কেউ।

উল্লেখ্য বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি জেমকন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।  যশোরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার বাপ-ভাইদের প্রতিষ্ঠান এটি। এদের ইউল্যাব নামক একটা ইউনিভার্সিটি আছে, যেখানে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে লোক এসে শিক্ষার্থীদের ব্রেনওয়াশ করে এবং মার্কিন দালাল বানানোর পলিসি ঠিক করে যায়।

বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি চালায় কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদ, যে ‘পেন ইন্টারন্যালশাল’ নামক একটি ইহুদীবাদী লেখক সংস্থার এদেশীয় এজেন্টা।  (https://bit.ly/2FSSdis)

আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই যে গত ৫-৬ বছর যাবত ব্লগার নামক নাস্তিকদের উৎপাত এর পেছনে রয়েছে এই পেন ইন্টারন্যাশনাল নামক  সংগঠনটি, যা অমি পিয়াল ও আসিফ মহিউদ্দিন তাদের স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করেছে।(https://bit.ly/2I3BnAQ , https://bit.ly/2Ii9hBw)

ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে, ওয়ায়েজ বা বক্তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
একইভাবে ভাই-ভাইয়েও দ্বন্দ্ব থাকে, মতপার্থক্য থাকে, তেমনি মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন বা গ্রুপের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে এটাও স্বাভাবিক।

কিন্তু সেটার জন্য যদি কোন সিদ্ধান্তের দরকার হয়, তবে মুসলমানরা নিজেরা মিলে নিবে।  সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু ইহুদীদের সংগঠন পেন ইন্টনাশন্যাল বা তাদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউনকে দেয়া হয় নাই।   মুসলমানদের শুদ্ধ করার দায়িত্বও তাদের দেয়া হয় নাই। নাস্তিকরা-নাস্তিকরা যখন কামড়াকামড়ি করে তখন কিন্তু তার মধ্যে মুসলমানরা নাক গলাতে যায় নাই, তাহলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকারও তাদের অধিকার নাই।

আসলে ইহুদীদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন জানে, মুসলমান-মুসলমান ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব আছে, সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগায় এমন ১৫ জন বক্তা বা ওয়াজের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কওমী-সুন্নী-ওহাবী-সালাফি-পীরগোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে, আর সে সুযোগে তারা বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যার এগুলোর বিরোধীতা করলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ঠিক আছে-
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তবে মুসলমানরাও তবে উল্টা পলিসি নিক।
তারা যেমন ওয়ায়েজ বা বক্তা দমনের নামে মতবাদ স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে।
উল্টা পলিসি হিসেবে- মুসলমানরা তবে ওয়ায়েজ বা বক্তার দিকে তাকাবে না, তাকাবে তাদের আলোচনার দিকে।
যেহেতু- বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না এবং যে ওয়ায়েজ এই বিষয়ের বিরুদ্ধে ওয়াজ করবে সকল মুসলমান তাকেই চোখ বন্ধ করে সমর্থন করবে।  ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে যত দ্বন্দ্ব থাকুক, সেটা গৌন হয়ে অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র দমন ‍মূখ্য হয়ে যাবে।

আমার মনে হয় এই ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোর একত্রে আগে বসা উচিত।
তারপর সবাই একযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, বাংলাট্রিবিউন নামক ইহুদী পেন ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিবেদন ফলো করে কেন ইসলামী বক্তাদের উপর কড়াকাড়ি বা শর্ত আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদীদের পেন’র থেকে কত টাকা খেয়েছে ?

আর ওয়াজ কে কিভাবে করবে সেটা নির্ধারিত হবে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাদীসের মাধ্যমে।
ওয়ায়েজরা ধর্মীয় নীতিমালা (কোরআর-হাদীস এর ধারা) মেনে ওয়াজ করলো কি না সেটা সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয় দেখতে পারে, কিন্তু ইসলামী ওয়ায়েজরা কিভাবে ওয়াজ করবে, কতটুকু সীমারেখা ফলো করবে সেটা নির্ধারনের দায়িত্ব তো ইহুদী মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নয়।   এটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা।

আমার জানা মতে,
বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এর বিরুদ্ধে ওয়ায়েজরা ওয়াজ করেছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন হাদীস মেনে।  ঐ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে যদি নিষিদ্ধ করতেই হয় তবে ১৫ বক্তাকে নয় বাংলাদেশে কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করা হোক।  কারণ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে বলা আছে, ওয়ায়েজরা সেখান থেকে শুধু পাঠ করেছে মাত্র।  তাই নিষিদ্ধ করলে কোরআন হাদীস আগে নিষিদ্ধ করে দেখাক শেখ হাসিনা সরকার।  সারাবিশ্ব দেখুক- ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করেছে, যা কোন অমুসলিম রাষ্ট্রও এখনও করার সাহস দেখায়নি।

এ ব্যাপারে ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।   এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার কারণে তাদের উপর কড়াকাড়ি আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে, সেগুলো আরো শক্ত ও ব্যাপকভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হোক।  মুসলমানরা যদি শুধু এক হয়, তবে ষড়যন্ত্রকারীদের ইদুরের মত গর্তে ঢুকতে এক মুহুর্তও লাগবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 28, 2019

ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’


গতকালকে বিবিসি বাংলা’র একটা খবর ভাইরাল হইছে,
খবরের শিরোনাম: “স্কুলে যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্পের ক্লাসরুমে যা পড়ানো হচ্ছে”

৩৫০টি স্কুল ও মাদ্রাসায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  যেখানে স্কুলের বাচ্চাদের এমন সব বিষয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, যা সাধারণভাবে আলোচনা করতে বাংলাদেশের মানুষ লজ্জা বোধ করতো।  দাবী করা হচ্ছে, “দুই বছর মেয়াদী এই কোর্সে, শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিকালীন এসব অবশ্যম্ভাবী ইস্যুগুলো সম্পর্কে জানছে।  তারা শিখছে প্রজননস্বাস্থ্যের নানা দিক।  যৌনবাহিত এবং যৌনাঙ্গবাহিত রোগ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছে। শিখছে এসব রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়।....... বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ শ্রেণীকক্ষে গত ৫ বছর ধরে এসব শিখছে বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ সরকারের 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণীকক্ষটি তৈরি হয়েছে। কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে 'কিশোর কিশোরী কর্নার'। আর এখানে তারা পড়ছে 'জেমস' নামে একটি কোর্স যেটির পূর্ণরূপ দাঁড়ায় 'জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস'। কোর্সটি অনেকটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্যালয়ে পড়ানো সেক্স এডুকেশন বা যৌন শিক্ষার আদলে সাজানো।..........” (https://bbc.in/2HIONCa)

এতক্ষণ তো বিবিসির খবর পড়লেন, এবার আসুন আমরা অন্য সোর্সগুলো থেকে স্কুলে যৌন শিক্ষা’র বিষয়টি যাচাই করে দেখি।

প্রথমে আমরা দেখবো, 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামক পাইলট প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে কে এবং কত টাকা ?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (https://bit.ly/2UWQtel)  বলছে, এই পাইলট প্রকল্পে ফান্ড দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ।  টাকার পরিমাণ ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এখানে আমার প্রশ্ন,
--যৌন শিক্ষার বিষয়টি তো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত ।  তাহলে এই ফান্ড তো দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর।  আর যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক দিক থেকে চিন্তা করি, তবে ফান্ড দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের অধীনস্থ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’ এর ।  কিন্তু টাকা ‘জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল’ দিবে কেন?

--তারমানে এই শিক্ষাটা কি জনসংখ্যা’র সাথে সম্পৃক্ত ? মানে এমন কোন শিক্ষা যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাসে সহায়ক হবে ?
--কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ শিক্ষা তো বিবাহিত দম্পত্তিদের দেয়া হচ্ছে, কিন্তু স্কুলের বাচ্চাদের কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শিখতে হবে ?

বাংলাদেশে এই শিক্ষা দেয়ার সময় বলা হচ্ছে, বাচ্চাদের জড়তা কাটানো হচ্ছে, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান, বয়ঃসন্ধি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু আসলে এই শিক্ষার আড়লে কি উদ্দেশ্য আছে ?
যেহেতু বাংলাদেশে এই শিক্ষাটি পাইলট প্রকল্প করে নতুন করে আনতে চাওয়া হচ্ছে, তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে লুকাছাপা করা হবে।  তাই যেসব দেশে এই শিক্ষা চালু আছে, তারা কেন এই শিক্ষা প্রণয়ন করতে চাইছে, সেটা আগে বোঝা দরকার।
তাদের ওয়েবসাইট ঘেটে আমি যেটা বুঝলাম, যারা মুখে যত সুন্দর কথাই বলুক, স্কুলে বাচ্চাদের ‘যৌনশিক্ষা’ দেয়ার মূল উদ্দেশ্য-
 “তুমি ভয় জয় করে সেক্স করো, সমস্যার (গর্ভধারণ, যৌনরোগ) সমাধান (জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি/সেভগার্ড) শিখিয়ে দিচ্ছি।”
(https://bit.ly/2CzpmQa)

যেহেতু কিশোরী মেয়েদের অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ আটকানো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য, তাই ফান্ডও দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা। 

স্কুলে যৌনশিক্ষা দেয়া বিষয়টি সারা বিশ্বজুড়ে একটি বিতর্কিত বিষয়।  অনেক দেশেই এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ হয়েছে।  গার্জিয়ানরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে স্কুলে যৌন শিক্ষা বন্ধ করার জন্য।
ক) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে স্কুলে যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ - https://bit.ly/2TcfrsN
খ) কানাডার অনটারিওতে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ (https://bit.ly/2FCqe7J)

এই সব যৌন শিক্ষার বইয়ে কি থাকে ?
বাংলাদেশে যেহেতু বিষয়টি নতুন এসেছে, তাই এখনও হয়ত প্রকাশ্যে অনেক কিছু বলছে না। কিন্তু যেসব দেশের স্কুলে বেশ কিছুদিন ধরে এই শিক্ষাটি চালু আছে, আসুন দেখি তাদের বইয়ে কি দেয়া হচ্ছে-

---- ব্রিটেনের ৫-৭ বছরের বাচ্চাদের স্কুলে যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, এই লিঙ্কে দেখুন- (https://bit.ly/2WshG97)
--- ব্রাজিলে বাচ্চাদের যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই।  সে স্কুলে বাচ্চাদের বই নিয়ে দেখাচ্ছে বইগুলোর মধ্যে কি ধরনের জিনিস আছে - https://bit.ly/2FCqsM7

উল্লেখ্য পৃথিবীর ১০টি শীর্ষ ধর্ষণ সংগঠিত হয়, এমন রাষ্ট্রগুলো-
১) যুক্তরাষ্ট্র, ২) দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩) সুইডেন, ৪) ভারত, ৫) যুক্তরাজ্য, ৬) জার্মানি, ৭) ফ্রান্স, ৮) কানাডা, ৯) শ্রীলঙ্কা, ১০) ইথিওপিয়া (https://bit.ly/2HIJr9Y)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, এই ১০টি দেশেই স্কুলে অনেক দিন ধরে যৌনশিক্ষা চালু আছে।  যদিও দাবী করা হয়, যৌন শিক্ষা চালু হলে ছেলে-মেয়েরা কাছাকাছি আসলে এই নির্যাতন কমবে, কিন্তু বাস্তবে এতদিন ধরে যৌন শিক্ষা চালু থাকলেও ঐসব দেশে যৌন নির্যাতন কমে নাই, বরং বেড়ে গেছে।
এখন কথা হলো, বাংলাদেশেও স্কুলে যৌনশিক্ষা চালু হলে, বাংলাদেশেও যে ঐ শীর্ষ ধর্ষণপ্রবণ রাষ্ট্রের তালিকায় অবস্থান নিবে না তার কি গ্যারান্টি ?

স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু হলে কি সমস্যা হবে ?

ক) এতদিন যৌন বিষয়ক শিক্ষা পারিবারিকভাবে ও বিশ্বাসভাজন ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যেই হয়ে আসছিলো।  কিন্তু স্কুলে যখন এই যৌন শিক্ষা দেয়া শুরু হবে, তখন এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন আসবে।  যেমন- ধরুন, ক্লাসে কোন পুরুষ শিক্ষক ছাত্রীদের যৌনশিক্ষা দিচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে অনেক বিষয় বাধন উন্মুক্ত হবে।  এমত অবস্থায় ঐ পুরুষ শিক্ষকটি ঐ ছাত্রীদের উপর কোনভাবে সুযোগ নিবে কি না ? ঐ শিক্ষকটি আসলে কতটুকু বিশ্বস্ত ? ঐ শিক্ষকটি যে যৌনশিক্ষা দেয়ার নাম করে ছাত্রীটিকে নিপীড়ন করবে না, তার কি গ্যারান্টি ? দেখা যাবে, স্কুলগুলো এই শিক্ষা চালু হলে ছাত্রী নিপীড়ন সকল বাধন ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

খ) একজন পুরুষ মহিলার মধ্যে কিভাবে বায়োলোজিকাল সম্পর্ক ঘটে - এই শিক্ষাটা দিতে কত সময়ের দরকার ? ৫ মিনিট, ১০ মিনিট ?
কিন্তু বছরের পর বছর যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হবে ? কি কি নতুন টপিকস আলোচনা হবে ? ব্রিটেনের যৌন শিক্ষা ক্লাসে ৫+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে- “অ্যানাল ইন্টারকোর্স, বাই সেক্সুয়াল, ক্লিটোরিস, অ্যানাস,ইরিকশন, হোমোসেক্সুয়াল, ইনসেস্ট, মাস্টারবেশন, অর্গাজম, ওরাল সেক্স, প্রসটিটিউট” এই আলোচনার প্রভাবে সব কিছু সহজ হয়ে গেলে কতদিনের মধ্যে তা প্ল্যাকটিক্যালে গড়াবে তা নিয়েও আলোচনা করার দরকার।

গ) যৌন শিক্ষার মধ্যে অন্যতম পাঠ্য হবে সমকামীতা বা গে/লেসবিয়ান/বাইসেক্সুয়াল শিক্ষা।  যে ছেলে বা মেয়েটি এখনও সেক্স কি বুঝে উঠে নাই তাকে যখন গে/লেসবিয়ান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে, তখন দেখা যাবে যৌন ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর সে সঠিক যৌনতা ছেড়ে গে/লেসবিয়ান হয়ে গেছে।  গে/লেসবিয়ান হওয়া মানে একটি জাতিকে আনপ্রডাক্টটিভ করে দেয়া।

ঘ) যারা এই শিক্ষা দিচ্ছে, তাদের মূলে উদ্দেশ্য কিশোরীরা যেন গর্ভধারণ না করে কিংবা কেউ যেন যৌনরোগে আক্রান্ত না হয়।  খুব ভালো কথা। সেক্স করে তারপর কেন গর্ভধারণ বা যৌনরোগের কথা ভাবতে হবে ?
আমরা এমন শিক্ষা চালু করি, তোমরা ছোট বয়সে অবৈধ সেক্স করো না, তাহলেই তো গর্ভধারণও হয় না এবং যৌনরোগও হয় না। বর্তমানে আমরা সমাজে নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে কিন্তু সেটাই দিচ্ছি।  কিন্তু তারা নৈতিকতা শিক্ষার বাধন তুলে বাচ্চাদের সেক্সও করতে দিতে চাইছে, আবার গভর্ধারণ ও যৌনরোগ আটকাতে চাইছে, বিষয়টি কেমন হলো ?

বিবিসির রিপোর্ট আপনারা দেখেছেন,
“স্কুলে বাচ্চারা বলছে, আমাদের কাছে এইসব কথা বলা খুব সহজ হয়ে গেছে। আমরা ফ্রি এসব কথা বলতে পারছি, আমাদের বাধা আসছে না। ”
তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, “আহ! দেশ বোধ হয় খুব এগিয়ে গেলো”।

আচ্ছা, এসব কথা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা কি জরুরী কোন বিষয় ? এই আলোচনা করলেই কি দেশ এগিয়ে যাবে ?  বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়ে দেখুন, ছোট ছোট কিশোরী পতিতারা এইসব কথা প্রকাশ্যে লজ্জাহীন ভাবে বলছে। তাহলে পতিতালয় গুলো কি অন্য সব স্থান থেকে এগিয়ে নেই ?

দেশ, অর্থনীতি, জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে অনেক আলোচনার দরকার আছে,
দেশকে এগিয়ে নিতে এসব বিষয়ে আরো শেখা ও আলোচনার দরকার। এগুলো নিয়ে আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের আমরা এখনও শেখাতে পারিনি ঠিক মত। এ অবস্থায় যদি বাচ্চাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ফেলে সেক্স নিয়ে আলোচনায় বসিয়ে দেই, তবে তার প্রভাব কতদূর যাবে ? আপনি শিখিয়ে দেবেন থিউরী, ওরা নেমে যাবে প্ল্যাকটিক্যালে, তারপর কি হবে তা নিজেই ভেবে দেখুন।

একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, পারিবারিক বাধন ও নৈতিকতার দিকে থেকে আমরা পশ্চিমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের এই এগিয়ে থাকা তাদের জন্য হিংসের কারণ। পশ্চিমারা হচ্ছে লেজকাটা শেয়াল, তাদের না আছে পারিবারিক বাধন, না আছে নৈতিকতা। তারা নিজের লেজ কেটে ফেলেছে অনেক আগে এখন আমাদের লেজ কিভাবে কাটতে হবে, কাটলে কত উপকার হবে তার গুন বর্ণনা করছে। এবং কাটার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সাও সরবরাহ করছে।  সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল নাহিদ কেন বিদেশীদের টাকা খেয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে নেমেছে, সেজন্য তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো উচিত।

ছবি: ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’।

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে

গত ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ খবর আসে,
“সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়”(https://bit.ly/2CIqEaP)

এ ধরনের পরিবেশবাদী খবর দেখলে, আমি সব সময় নড়েচড়ে বসি।
কারণ এ ধরনের বেশিরভাগ খবরের পেছনে অন্য ধান্দা থাকে।
খবর নিয়ে জানলাম, এই জরিপ করেছে-
 “যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএ ”

মুসলমান দেশগুলোতে যারা সারা দিন বোমা মেরে মানুষ মারে, তাদের যখন মুসলমান দেশের পরিবেশের প্রতি দরদ দেখি, তখন সন্দেহ তৈরী হয়।
যাই হোক, কয়েকদিন পর দেখলাম- দৈনিক প্রথম আলো বার বার জরিপ প্রকাশ করছে,  “সরকার কি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিবে বলে মনে করেন ?”

আমি আগেও আপনাদের বলেছি, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মূল প্যানেল হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দ্বারা পরিচালিত ও ট্রেনিং প্রাপ্ত।  তাই তারা যখন বার বার কোন বিষয়ে আলোকপাত করে, তখন বুঝতে হবে, সরকারকে দিয়ে কোন কাজ দ্রুত করাইতে চাইতেছে তারা।

এক্ষেত্রে আপনারা যেটা করবেন,
দৈনিক প্রথম আলোকে এ ধরনের আচরণ করতে দেখলে প্রথমে খবর নিবেন, এর পেছনে মার্কিনপন্থী কোন সংস্থার কোন ফান্ড আছে কি না? কারণ দুনিয়াতে ফান্ড ছাড়া কোন কিছুই মাগনা হয় না।  আগে ফান্ডের উৎস খুজে বের করবেন, তারপর ক্লিয়ার হবে।

খবর নিয়ে দেখলাম, বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে একটা প্রজেক্ট নিছে,
নাম :Bangladesh: Clean Air and Sustainable Environment Project
টাকা দিবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, সময়কাল: ২০০৯-২০১৯ এর ৩১শে মার্চ
প্রজেক্টের মূল লিডার হরিনাথ শেসা ও নুপুর গুপ্তা নামক দুই ভারতীয় ।
(https://bit.ly/2HXhTwV)

আপনাদেরকে একটা বুদ্ধি আগেও শিখিয়েছি, আবারও শিখাচ্ছি,
সেটা হলো-
সম্রাজ্যবাদীরা যখন কোন কথা বলবে বা টার্ম ব্যবহার করবে তখন তারা যে শব্দগুলো ব্যবহার করবে, সেটার দিকে কখন তাকাবেন না এবং সেটা নিয়ে আলোচনাও করবেন না, করলে ওদের ষড়যন্ত্র কখনই ধরতে পারবেন না।
মনে রাখবেন, ওরা কতগুলো সুন্দর সুন্দর শব্দকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিল করলে।
তাই ক্লিন এয়্যার বললেও আসলে তারা অন্য কিছু চাইছে, আসুন এবার সেটা জানার চেষ্টা করি।

২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রজেক্টের উপর একটি আর্টিকেল তৈরী হয়েছে, যেখানে বার বার শুধু ইটভাটার কথা বলা হচ্ছে। আর্টিকেলটা পড়ে যতটুকু বুঝলাম, ক্লিন এয়্যারের কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ইটভাটা বন্ধ করা।
(https://bit.ly/2TDQ3Z5)

আমি, জানি এ পর্যন্ত পড়ার পর অনেকেই বলবেন,
“ভাই ইট ভাটায় তো পরিবেশ দূষণ হয়, এটা তো সত্যি কথা।”
আমি বলবো-
দেখুন, ইট ভাটায় পরিবেশ দূষিত হয় কি, হয় না, এটা নিয়ে যদি ভাবতে থাকেন, তবে জীবনেও সম্রাজ্যবাদীদের মূল ষড়যন্ত্র ধরতে পারবেন না। আমি এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ধরার কিছু কৌশল শেখাবো।  এরজন্য আপনি সর্ব প্রথম যেটা করেন, ওরা যে তত্ত্ব ছুড়ে দিয়েছে- ‘ইট ভাটায় পরিবেশ দূষণ হয়’- এই কথাটা ভুলে যান।  ভুলে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকুন, “ইটভাটা যদি খারাপই হয়, তবে একজন শত্রু  কেন ইটভাটা বন্ধ করতে চাইছে ? ইটভাটায় ক্ষতি হলে আমাদের হচ্ছে, তাতে ওদের কি? ওরা কেন টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশের ইটভাটা বন্ধ করার জন্য, ওদের উদ্দেশ্যটা কি?

ইটভাটার সাথে অন্য কিছু জড়িত নেই তো ?

অনেক খবর নিয়ে বুঝলাম-
ইটভাটা আর পুকুর  এই দুইটা শব্দ ওতপ্রতভাবে জড়িত।
ইটভাটায় ইট তৈরী হলে অটোমেটিক পুকুরের সংখ্যা বাড়ে,
আর পুকুরের সংখ্যা বাড়লে বাড়ে ‘মাছ চাষ’।
জাতিসংঘের ‘ফাউ’ ২০১৬ সালে বলেছে “বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে চতুর্থ,
(https://bit.ly/2HUDiXL)
আর ২০১৮ সালে বলেছে বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে তৃতীয়।  তারমানে দিনে দিনে বাংলাদেশে মৎস উৎপাদন বাড়ছে। (https://bit.ly/2CH1Sbj)
এবং সেই হিসেব আমরা না করলেও তারা করে, কারণ এই হিসেবে পেছনে তাদের আলাদা উদ্দেশ্য আছে।

ভারত যেখানে নদীতে বাধ দিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলো ধূ ধূ মাঠে পরিণত করেছে,
সেখানে মাছ হ্রাস না পেয়ে উল্টো দিনে দিনে বাড়ছে, আশ্চর্যজনক।

একটু ক্যালকুলেশন করি-
পানির অভাবে আমাদের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে,
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে ইউক্যালিপটাস আর আকাশমনি গাছ লাগিয়ে ক্ষেতের পানি শুষে নিচ্ছে-
এ অবস্থায় কৃষকের তো মরে যাওয়ার কথা ছিলো,
ভারতে যেভাবে কৃষকরা গণহারে আত্মহত্যা করছে, বাংলাদেশেও তেমন করার কথা ছিলো।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা বুদ্ধি খাটিয়ে ফসল চাষ বাদ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে।  এতে আয় না কমে উল্টা ৫-১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইটভাটা না থাকলে কি পুকুর হতো না ?
না হতো না।  কারণ ইটভাটার কারণে জমির মাটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।  একজন জমির মালিকের হয়ত জমি আছে, কিন্তু পুকুর খনন করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেটা হয়ত নেই। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা যখন নিজ দায়িত্বে জমির মাটি কেনে নিয়ে যায়, উল্টো তাদেরকে কর্মাশিয়াল রেটে মোটা টাকাও দিয়ে যায়, তখন অনেকেই ইচ্ছুক হয়ে জমির মাটি বিক্রি করে। আর জমির মাটি কেটে নেয়ার পর দ্রুত সেখানে হয়ে যায় পুকুর। আর পুকুরে কিছু পোনা ছেড়ে দিলে বাইরে থেকে খাবার দেন আর না দেন কয়েকদিন পর মাছ হয়ে যায় বড় সাইজের। আগে যে জমিতে বহু কষ্ট করে চাষ করে একজন চাষী লাভের মুখ দেখতো না।  কিন্তু মাছ চাষের পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না।  বছরের মধ্যে সে হয়ে যায় লাখপতি।

কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর বানাচ্ছে, আপনি আসছেন, এত বড় অন্যায়ের পক্ষে ওকালতি করতে ?

আচ্ছা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর কাটলে অন্যায়, আর কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প কারখানা বানালে অন্যায় হয় না ?
বাংলাদেশে যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, সেটাতে কতগুলো কৃষি জমি খাবে তার হিসেব করেছেন একবার?
এক চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের জন্য যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে তার পরিমাণ ৩০ হাজার একর। ঐ এক শিল্পাঞ্চলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক।  (https://bit.ly/2U3jY1G)

এই যে বিদেশীদের জন্য শিল্পাঞ্চল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষককে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেখেছেন কোন মিডিয়া এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্চ করেছে ? কোন খবর করেছে?
কিন্তু নিজের জমি কেটে পুকুর বানিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কত শত নিউজ করেছে প্রথম আলো, নিজের চোখেই দেখুন-
ক) https://bit.ly/2HIjtUn
খ)  https://bit.ly/2Fwm6Fc
গ) https://bit.ly/2FEFst4
ঘ) https://bit.ly/2U10avW

প্রথম আলোর মত বিদেশী দালালদের নির্দেশনায় সরকার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে সংশোধিত আইন পাশ করে, যেন ইটভাটার মধ্যেমে পুকুর খনন করতে গেলে জেলাপ্রশাসনের অনুমুতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়, উদ্দেশ্য মাছ চাষে লাগাম টেনে ধরা।  (https://bit.ly/2FFndnm)

পুকুর খনন নয় বরং মাছ চাষের লাগাম টানাই যে মূল উদ্দেশ্য, সেটা বোঝা যায়, সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, মাছ চাষ করতে হলেও নিবন্ধন নিতে হবে, এই বাধ্যবাধকতা দেখে।  (https://bit.ly/2WuOVIV)

ইটভাটা হলেই কি পরিবেশের ক্ষতি ?
ইটা ছাড়া আপনার চলবে না। আমরা যে বাসাবাড়ি থাকি সেটা ইট দিয়েই তৈরী। ইটভাটা থেকে দূষিত বায়ু নির্গত হয় এটা ঠিক, কিন্তু ইটভাটার সাথে যদি একটি ফিল্টার লাগিয়ে দেয়া যায়, তবে দূষণের মাত্রা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব।  আর তাছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করে ইটভাটাগুলো শহর থেকে দূরে সরিয়ে দিলে অথবা নদীর পাড়ে নিয়ে গেলে দূষণের মাত্রা অনেক হ্রাস হবে। আর যে কারণে দূষণ হচ্ছে, মানে কয়লা পোড়ানোর কারণে, সেই কয়লা বাদ দিয়ে আধুনিক ইট ভাটা তৈরী করলে আর দুষণ নিয়ে কোন চিন্তা থাকবে না।   উল্লেখ্য, সরকার বিদেশীদের টাকা খেয়ে ২০২০ সালের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধ করে গিয়ে ব্লক তৈরীর প্ল্যান নিয়েছে (https://bit.ly/2CC9Din)। এতে মাটি লাগবে না এটা ঠিক, কিন্তু সিমেন্ট আর পাথরের ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে বিদেশ থেকে পাথর-সিমেন্ট আমদানিও বাড়বে। যদি দেশের সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, তবেও ক্ষতি, কারণ সিমেন্ট কারখানাগুলোও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বায়ু দুষণ করে।  অপরদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। আগে সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন করা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা বলে সেখানের পাথর ব্যবসাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ঐখানে অনেক শ্রমিক বেকরা হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসন ট্যাস্কফোর্স বাহিনী নিয়মিত অভিজান চালিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে, এতে তাদের সাথে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। (https://bit.ly/2OsbDOY)
 একই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের পাথর উত্তোলন থেকে। সেখানেও পাথর উত্তোলন প্রায়শঃই বন্ধ রাখা হয়। শেষে দেখলাম সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পাথর উত্তোলন হাইকোর্ট থেকে অর্ডার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে (https://bit.ly/2HKx6lI)। এ অবস্থায় আমরা পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল এবং পাথর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় আমদানি পণ্য। ভারত চায় বাংলাদেশের পাথরের বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করতে (https://bit.ly/2FJJ387 )।  তাই ইটভাটা বন্ধ হলে পাথর আমদানি বহুগুন বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে হয়।

পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কি পরিবেশ দূষিত হবে ?
পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মোটেও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না, বরং ভালো প্রভাব পড়বে। প্রতিনিয়ত দেশে জলাশয় ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠতেছে। ভারত নদীতে বাধ দিয়ে নদী শুকায় ফেলছে, বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধিতে ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগায় জমির পানি চুষে নেয়া হচ্ছে, এ অবস্থায় পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া তো আমাদের জন্য আর্শিবাদ। কারণ পানির কাজ হচ্ছে তাপধারণ করা। পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, যা সম্রাজ্যবাদী সংগঠনগুলোই এক সময় পূর্বাভাস দিয়েছিলো, “বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে মরুভূমি হয়ে যাবে”। কিন্তু পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটা ব্যালেন্স হয়েছে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া নদী ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরী হয়, কিন্তু পুকুর থাকায় সেটার পরিমাণও কমে এসেছে। একইসাথে গ্রামীণ এলাকায় পুকুর পাড়ে সবজী চাষ একটি বিরাট লাভজনক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

আমেরিকা তথা সম্রাজ্যবাদীরা কেন চাইছে ইটভাটা বন্ধ হোক কিংবা পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি না হোক?

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে, সে সরাসরি আপনার খারাপ না চেয়ে বরং উপর দিয়ে ভালো চায়, কিন্তু সেই কথিত ভালোটা করলে অনেক দূরে গিয়ে আপনার ক্ষতি-ই হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ হতে পারে-
১) পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে কৃষক শ্রেণী ধ্বংস না হয়ে তারা পদ্ধতি পরিবর্তন করতেছে । ফলে কৃষক বেকার হচ্ছে না, দরিদ্রও তৈরী হচ্ছে না। আর বেকারের সংখ্যা না বাড়লে কর্পোরেটরা লাভবান হয় না। কারণ তাদের শ্রমিক মূল্য কমে না।
২) সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত না কমে বরং বাড়তেছে। সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত থাকা কর্পোরেটোক্রেসির জন্য ক্ষতিকর। তাই সাধারণ মানুষের হাতে থাকা উৎপাদন খাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াই তাদের কাজ।
৩) কৃষক যদি দেখে তার জমিতে লাভ নেই, তখন সে হয়ত কর্পোরেটদের শিল্পাঞ্চলের জন্য তার জমি ছেড়ে দিবে। কিন্তু যদি দেখে ঐ জমিতে মাছ চাষ করলে লাভ হবে বেশি, তখন সে শিল্পাঞ্চলের জন্য জমি না দিয়ে নিজে সেখানে মাছ চাষ করবে। ফলে বিদেশী কর্পোরেটরা বাংলাদেশে যায়গা পাবে না।
৪) প্রতিনিয়ত বাড়িঘর তৈরী হবে এবং ইট লাগবেই, ইট ছাড়া চলবে না। কিন্তু দেশী ইট বন্ধ হলে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বাড়বে। এতে বিদেশীরা লাভবান হবে এবং দেশের জনগণের খরচ বাড়বে। আর জনগণের খরচ বাড়িয়ে দেয়াই কর্পোরেটোক্রেসি ওয়ালাদের অন্যতম চাওয়া।

Wednesday, March 20, 2019

মুশফিকের সমালোচনাকারীরা কি আসলেই নিরপেক্ষ নাকি গোমাতা কোহলীর দলের গোপন এজেন্ট


দেশ থেকে পলাতক একদল ধর্মবিদ্বেষী হঠাৎ করে ক্রিকেটার মুশফিকের জার্সির মধ্যে বাঘের ছবি ঢাকা নিয়ে অবজেকশন তুলেছে। যতটুকু জানতে পারলাম, মুশফিক-রিয়াদরা নিয়মিত নামাজ পড়ে, আরো জানতে পারলাম, তাদের এ কাজ করার উদ্দেশ্য, ইসলাম ধর্ম অনুসারে প্রাণীর ছবি নিয়ে নামাজ পড়া যায় না। মুশফিক-রিয়াদ নিতান্তই ধর্মীয় নির্ভেজাল মানসিকতা থেকে বিষয়টি করেছে। তাছাড়া বাঘের ছবি ঢেকে রাখা, কাউকে মারা হবে কিংবা কাউকে ক্ষতি করা হবে, এমন কোন সাইনও নির্দেশ করে না। কোন প্লেয়ার যদি মেন্টালি স্যাটিসফাই থাকার জন্য এটা করে, তবে বোর্ডের এতে বাধা দেয়ার কোন কারণ দেখি না। কারণ প্লেয়ার যদি কোন কারণবশত মেন্টালি স্যাটিসফাই না থাকে, তবে তার প্রভাব তার খেলার মধ্যে পরবে। তাছাড়া বোর্ড যেখানে বিষয়টি নিয়ে এতদিন অবজেকশন তুলেনি, উপরন্তু সেই বাঘ ঢেকে রাখা প্লেয়ারগুলোর হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে ‍দিয়েছে, তখন বুঝতে হবে এর মধ্যে কোন সমস্যা নেই। সুতরাং যারা এটা নিয়ে অযথা তর্ক শুরু করেছে, বোর্ডের থেকে মাসীর দরদ বেশি দেখাচ্ছে, তাদের ভেতরে ভেতরে যে ব্রেন্টন টারান্টের মানসিকতা আছে, এটা নিশ্চিত বলা যায়।

এবার আসুন, বাংলাদেশ দলের তিন হিন্দু ক্রিকেটার সৌম সরকার, লিটন দাস ও রনি তালুকদারের কথায়, তাদের তিন জনই ডান হাতে লাল রং এর সুতা বাধা আছে।  হিন্দু পুরুষরা পরে ডান হাতে, নারীরা পরে বাম হাতে।  বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উগ্রহিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদীরা একাত্মতা ঘোষণার শপথ হিসেবে হিন্দু নারী-পুরুষ এই লাল সুতা বাধা অধিক হারে ব্যবহার শুরু করে। গুজরাট দাঙ্গার সময় অধিকাংশ দাঙ্গাবাজ হিন্দু পুরুষের ডান হাতে এই লাল সূতা বাধা ছিলো।

এখন কথা হলো, যেসব কথিত অসাম্প্রদায়িক এতক্ষণ  নিরুত্তাপ বাঘের ছবি ঢেকে রাখার মধ্যে বিরাট অন্যায় খুজে পাচ্ছিলো,  তারা কেন তিন হিন্দু প্লেয়ারের হাতে উগ্র, সাম্প্রদায়িক, দাঙ্গাবাজের চিহ্ন এই লাল সূতার মধ্যে উত্তাপ খুজে পাচ্ছে না ? কেন দেখেও না দেখার ভান করছে ? কেন বিরোধীতা করছে না?
মুশফিকের সমালোচনাকারীরা কি আসলেই নিরপেক্ষ নাকি গোমাতা কোহলীর দলের গোপন এজেন্ট তা খুঁজে দেখা দরকার।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 6, 2019

গুজবে কান্দিবেন না


চকবাজারে আগুন লাগার পর একটা খবর খুব ভাইরাল হয়।  রিফাত ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিয়ার খবর।  রিফাত-রিয়া নিয়ে মিডিয়ার হেডিংগুলোও ছিলো বেশ আবেগঘন……

১) যুগান্তর: প্রথম সন্তানের মুখ দেখার স্বপ্ন পুড়ে ছাই রিয়া-রিফাতের (https://bit.ly/2HeAS5M)
২) ঢাকা ট্রিবিউন: অন্ত:স্বত্তা স্ত্রীকে নামাতে পারেননি, তাই নিজেও থেকে গেলেন অগ্নিকাণ্ডের ভেতর
(https://bit.ly/2DZBfy7)
৩) ভোরের কাগজ: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর জন্য আত্মাহুতি দিলেন স্বামী
(https://bit.ly/2C1iw51)
৪) ইত্তেফাক: মরণেও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গী হলেন
(https://bit.ly/2Tk8juZ)
৫) পূর্বপশ্চিম: প্রিয়তমা অন্তঃসত্ত্বা রিয়াকে একা মরতে দেননি রিফাত
(https://bit.ly/2tPAp2f)
৬) দেশ রূপান্তর: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে সহমরণে গেলেন স্বামী
(https://bit.ly/2UpXOms)
৭) সমকাল: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে মরণেও থাকলেন রিফাত
(https://bit.ly/2C86pTB)
৮) বাংলাটিভি: আগুনই শেষ করে দিল রিফাত রিয়ার স্বপ্নকে
(https://bit.ly/2TxC9vf)
৯) ঢাকা টাইমস: স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন
(https://bit.ly/2XHl3KT)
১০) বাংলাদেশ প্রতিদিন: কদিন পরই প্রথম সন্তানের মুখ, কিন্তু আগুন কেড়ে নিল সবকিছু
(https://bit.ly/2EQxDQr)

এছাড়া রিফাত-রিয়ার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটা শর্টফিল্মও নির্মিত হয়েছে (https://youtu.be/JAOi26EjNXw),

প্রতিটি খবরেই দাবী করা হয়, হাসপাতালের মর্গে রিফাত-রিয়ার উভয়েরই বন্ধু আল আকসার সাজিদ মর্গে এসে রিফাত ও রিয়ার করুণ কাহিনী বর্ণনা করেন, যা শুনে সমস্ত মানুষ আবেগঘন হয়ে পড়ে, অনেকে কান্নাকাটিও করতে থাকে।   আল আকসার সাজিদ তার বর্ণনায় স্পষ্ট বলে, ওয়াহিদ ম্যানসনের তৃতীয় তলাতেই থাকতো রিফাত-রিয়া দম্পত্তি।

কিন্তু সমস্যা হয়, লাশ হস্তান্তরের সময়।  দেখা যায়, রিফাত-রিয়া নামক কোন দম্পত্তির লাশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, অন্তঃসত্ত্বা কোন নারীর লাশও সনাক্ত হয়নি।  এমনকি কেউ এসে রিয়া-রিফাতের লাশও খুজতে আসেনি।  এবং সেই আবেগঘন ঘটনার বর্ণনা করা কথিত বন্ধু আল আকসার সাজিদও হাওয়া, তার ফোন বন্ধ (https://bit.ly/2SQGMwo, https://bit.ly/2XI7lHM)।

অন্যদিকে ওয়াহিদ ম্যানসনের তৃতীয় তলায় থাকা একটি ছেলের ভিডিও সবাই শুনেছেন, যেখানে ওয়াহিদ ম্যানসনে রিফাত-রিয়া নামক কোন দম্পত্তি থাকতো না, এবং ঐ বাড়ির আবাসিক অংশের কেউ আগুনে পুড়ে নিহত হয়নি, সবাইকে নিরাপদে অন্য রাস্তা দিয়ে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। (https://youtu.be/LU7fFx6acn8)

তারমানে এটা নিশ্চিত, রিয়া-রিফাত দম্পত্তির খবরটা ভুয়া, কেউ ইচ্ছাকৃত গুজব রটিয়েছে।  যেই গুজবে কেন্দে বুক ভাসিয়েছে কোটি কোটি জনগণ। কিন্তু ঘটনাতো আমরা এখানেই শেষ করে দিতে পারি না, কথিত আল আকসার সাজিদ কেন এবং কি কারণে এই গুজবটা রটালো, এটা নিয়ে এবার আলোচনা করবো-

(১) আগুনে অনেক লোক মারা গিয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু তাদের কাছে এমন কোন চমকপ্রদক ঘটনা পাওয়া যাচ্ছে না, যা দিয়ে মানুষকে আবেগ আপ্লুত করা যায়। আল আকসার সাজিদকে যারা পাঠিয়েছে, তারা চাইছিলো মানুষকে আবেগআপ্লুত করতে। কারণ মানুষ যখন আবেগে অন্ধ হয়ে যায়, তখন তাকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে, সেটাই সে মেনে নিবে। যদি বলা হয়, ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা পুরান ঢাকার বিশাল শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা ধ্বংস করে দাও, তবুও তারা চোখ বন্ধ করে মেনে নিবে।

(২) যেহেতু ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচে ঘটনা ঘটেছে, তাই আল আকসার সাজিদ গং ধরে নিয়েছিলো ওয়াহিদ ম্যানসনের উপরের সব মানুষ মারা গেছে, সে হিসেব কষেই সে গল্প ফেদেছিলো। কিন্তু ওয়াহিদ ম্যানসনের পেছন দিকে যে গেট আছে এবং সেটা দিয়ে যে সব মানুষ নেমে গেছে এটা তার জানা ছিলো না।

(৩) মূল থিম: “পুরান ঢাকা অধিকাংশ বাড়ির নিচে গোডাউন উপরে আবাসিক এলাকা । আগুন লাগলে দ্রুত নামা সম্ভব সম্ভব নয়। তার দরুণ জীবন দিতে হলো রিয়া-রিফাত দম্পত্তির।”- পুরান ঢাকা থেকে গোডাউন-কারখানা সরাতে হবে এই তত্ত্ব প্রচার করে যারা সুবিধা নিতে চায়, তারাই আল আকসার সাজিদকে পাঠিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় উপরে আবাসিক লোকজনও বেচে গেছে, আবার আন্ডার গ্রাউন্ডের গোডাউনও বেচে গেছে। মাঝখান দিয়ে রিফাত-রিয়ার আবিষ্কারক কথিত আল আকসার সাজিদ উধাও।

(৪) চকবাজার আগুনে যারা মারা গেছে, তাদের  অধিকাংশ পথচারী, হোটেলে আসা কাস্টমারসহ আশাপাশে কেনাটাকা বা ব্যবসা করতে আসা লোকজন। অর্থাৎ নিহতের প্রায় সবাই কমার্শিয়াল পারপাসে পুরান ঢাকায় আগত। কিন্তু পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা, সেখানে গোডাউন-কারখানা থাকবে না, এই তত্ত্ব প্রচার করতে আবাসিক ভবনে নিহত কাউকে দেখানো প্রয়োজন ছিলো। সেই চিন্তা থেকেই রিফাত-রিয়ার জন্ম দেয়া হয়।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

“এই খবর করার জন্য তোমরা কতটাকা পেয়েছো ?”


ড কামাল হোসেন খামোশ বলার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়েছিলো,
“এই খবর করার জন্য তোমরা কতটাকা পেয়েছো ?”

ড. কামাল ও তার পরিবার যে পরিমাণ বিদেশী নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত, তাদের হাটুর সমান যোগ্যতা আজকালকার সাংবাদিকদের নাই।  সেই ড. কামাল যখন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে, তাদের খবরের পেছনে আর্থিক যোগান সম্পর্কে, তখন সেই কথা ফেলে দেয়ার মত নয়।  গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের মিডিয়া ‘কেমিকেল’র নাম দিয়ে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে যে খবর করছে, তা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, এর পেছনেও রয়েছে বিশাল টাকার খেলা।

আসুন খবরগুলো একটু দেখি:

১) সময়টিভির লাইভ সংবাদ (https://bit.ly/2INJcw1) এ দেখাচ্ছে, আরমানিটোলায় কেমিকেল গুদামে অভিজান।  বাংলাদেশে যে ৮০-৯০ জন ইহুদী থাকে (ইহুদী পরিচয়ে থাকে না, থাকে ‘জিহোভার সাক্ষী’ নামে) তার অধিকাংশ থাকে এই আরমানিটোলায়।  তাদের রক্ষা করতে বাহিনী আগে গেছে আরমানিটোলায়।  (নিচের) ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, বিধ্বংসী (!) কেমিকেলের বস্তা পাওয়াতে সিলগালা করে দিয়েছে কথিত ট্যাস্কফোর্স।  যে কেমিকেল বস্তায় স্পষ্ট লেখা ‘সাইট্রিক এসিড’।  আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ক্লাস ৫ এর একটা বাচ্চাও জানে লেবুর রস হচ্ছে সাইট্রিক এসিড।  সেই লেবু আমরা হরহামেসা খাচ্ছি, কিন্তু বিষ্ফোরণ তো দেখছি না।  সাইট্রিক এসিডের অনেকগুলো ধরণ আছে, এর মধ্যে মনো-সাইট্রিক এসিডের বস্তা যদি পান, তবে সেটা দিয়ে ট্যাং এর মত জুস বানায় খাইতে পারবেন।  আর ছবির বস্তাটা হলো অ্যানহাইড্রাস সাইট্রিক এসিড।  এটা কৃষিতে ও ওষধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এটা দিয়ে আপনার জীবন বাচে, ধ্বংস না।  আমি নিশ্চিত এটা বন্ধ করায় কয়েকদিন পর বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য আর ওষধের দাম হু হু করে বাড়বে।

সময়টিভির লাইভ সংবাদ লিঙ্কে যান (https://bit.ly/2INJcw1) সেখানে আরো বলতেছে, দাহ্য প্লাস্টিকের গুটি পাওয়ায় কারখানা সিলগালা করে দেয়া হইছে।  খুব ভালো হইছে।  আপনার ঘরেও তো অনেক প্লাস্টিক আছে, সেগুলোও তো সমপরিমাণ দাহ্য, তাহলে আপনার বাসা সিলগালা করবে কবে ? আর এই যে প্লাস্টিক কারখানাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে, এগুলোতে কিন্তু প্রতিদিন ঢাকা শহর ও তার আশাপাশের ডাস্টবিন থেকে আগত অসংখ্য প্লাস্টিক বোতল এবং অন্যান্য প্লাস্টিক থাকে, যা রিসাইক্লিং হয়।  দাহ্য পদার্থের অজুহাতে প্লাস্টিক কারখানা বন্ধ করায় কয়েকদিন পর দেখবেন, পুরো ঢাকা শহর আবার প্লাস্টিকের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।  আর ঐ কারাখানায় বেকার হওয়া টোকাইরা আপনার মোবাইল আর আপনার বউয়ের চেইন ছিনতাই করবে, তখন কি করবেন ?

২) বণিকবার্তার খবর: অনুমোদন ছাড়া দাহ্যবস্তু ও রাসায়নিকের ব্যবসা চলছে সারা দেশে (https://bit.ly/2EJrTIp)

মন্তব্য: সরকার অনুমোদন দিলেই তো বৈধ হয়ে যায়।  দেশীয় উপায়ে গড়ে ওঠা এই শিল্প এলাকায় অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে, এটা চালু রাখতে তো সরকারের নিজেরই উদ্যোগী হওয়ার দরকার ছিলো।

৩) বিবিসিরি খবর: “পুরনো ঢাকার সংস্কার করা কি সম্ভব হবে? বাড়ীর মালিকরা রাজী হবেন?” (https://bbc.in/2C13bkZ)

মন্তব্য: সংস্কারের অজুহাতে একবার যদি কারখানাগুলো বন্ধ করা যায়, তবে পুরান ঢাকায় গড়ে ওঠা বিশাল দেশীয় শিল্প ধ্বংস করা সহজ হবে।   তবে বিবিসি খবরে মিথ্যা বলছে।  বলছে পুরান ঢাকার লোকরা নাকি এটা বলছে পুরান ঢাকার লোকরা নাকি এটা চাচ্ছে।   এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। এই কাজ গত ২ বছর ধরে করতেছে সাঈদ খোকন। সে পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটিগুলোকে বুঝাইছে, তোমাদের বাড়িঘরগুলো ভেঙ্গে নতুন করে গুলশান-বনানীর মত প্ল্যান করে বানিয়ে দেবো। কিন্তু বাড়ির মালিকরা রাজী হয় নাই। তাদের বক্তব্য হলো: তারা নিশ্চিত না, সরকার তাদের জমি যে হারে বুঝে নেবে, সেই হারেই ফিরিয়ে দিবে কি না ? এছাড়া নতুন করে বাড়ি বানালে আরো জমি ছোট হয়ে যাবে, এর মধ্যে রয়েছে অনেক অংশীদার, সবাই কি ভাগ পাবে ? পাশাপাশি অধিকাংশ জমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলতেছে, সেগুলোরই বা কি হবে ? তাই তারা বাড়ি ভাঙ্গতে রাজী না।

৪) সমকালের খবর: রাসায়নিক গুদামের টাকা যায় কোথায় : বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার অবৈধ কারবার, লাভের গুড় অনেকের পকেটে  (https://bit.ly/2Vwkb9Q)

মন্তব্য: সত্য মিথ্যা বানায় খবর।  পুরো ব্যবসাকে বানায় দিলো অবৈধ।  হায়রে দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে কত টাকা খেয়েছো বিদেশীদের থেকে ?

৫) এনটিভির খবর: “রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম স্থানান্তরই কি সমাধান?”  (https://bit.ly/2SDw5x4)

মন্তব্য: এনটিভি’র খবর পড়লে দেখবেন, তারা আসছে ‘কমপ্ল্যায়েন্স’ নিয়ে।  গার্মেন্টস এর মত বড় শিল্প ক্লমপ্লায়েন্স মেটাতে গিয়ে অর্ধেক গামেন্টস বন্ধ করে দিছে (https://bit.ly/2tL3tro )।  আর পুরান ঢাকার কারখানাগুলোতো রুম-বাথরুম আর বারান্দার মধ্যে গড়ে উঠছে।  ওদের কাছে কমপ্ল্যায়েন্স চাওয়া আর কারখানা বন্ধ করে দেয়া একই কথা।

তবে আশার কথা হলো, আজকে দুপুরে অভিজান চালানোর সময় ব্যবসায়ীরা এক হয়ে প্রতিবাদ করে কথিত টাস্কফোর্সের অভিজান বন্ধ করে দিয়েছে (https://bit.ly/2IMZMfo )। আমি ব্যবসায়ীদের এই কাজ ১০০% সমর্থন জানাই। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের এই প্রতিবাদ অবশ্যই অভিবাদন পাওয়ার যোগ্য। আপনারা আরো বড় আকারে সবাই এক হোন, সবাই রাস্তায় নামেন, প্রতিবাদ করুন। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাহিনী আসলে তাদের পিটিয়ে হাড়গুড়ো করে দিন, প্রয়োজনে ষড়যন্ত্রকারীদের ২-৪টা লাশ ফেলে দিন। যে সাঈদ খোকন কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে পুরান ঢাকার শিল্পকারখানা ধ্বংসের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছে (https://bit.ly/2GWbd2E),  তার বাসার সামনে গিয়ে আন্দোলন করুন, তাকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন।

মনে রাখবেন, আপনাদের এই কাজের মাধ্যমে পুরান ঢাকার ভিতর-বাহিরে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, জনগণ বিদেশী পণ্যের বদলে কমমূল্যে দেশী সামগ্রী পাচ্ছে, এক পুরান ঢাকা সমস্ত ময়লা আকড়ে ধরে পুরো ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করেছে। এই অবদান অসামান্য। সারা বিশ্বে দেশীয় শিল্পকে রাষ্ট্র পৃষপোষকতা করে, সেখানে বাংলাদেশে সাহায্য করা তো দূরের কথা, বিদেশী কর্পোরেটদের সাথে এক হয়ে সরকার এসেছে তাকে ধ্বংস করতে। এক মিথ্যা স্যাবোটেজের অজুহাতে ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ধ্বংস ও কোটি মানুষকে বেকারকে করা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। সবাই এক থাকুন, ষড়যন্ত্রকারীরা কিছুই করতে পারবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

ইসলাম ধর্ম অবমাননায় দৈনিক প্রথম আলো


“পেছন থেকে স্ত্রী চিৎকার করে বলছে, হারামজাদা তোর আবার বিয়ে করার শখ হইছে সেটা বললেই তো পারিস। হাদিস ছাড়োস কেন? তুই লাগলে চারটা কেন আরও দশটা বিয়ে কর...”......দৈনিক প্রথম আলোতে আজকে গল্পচ্ছলে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। এর আগেও আলপিনে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করে পরে ক্ষমা চায় মতিউর রহমান। ধর্মবিদ্বেষী প্রথম আলোর এটা একটা মিশন, মাঝে মাঝে সে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তা প্রকাশ করে। গল্পের লেখক ‘ইমদাদ বাবু’ প্রবাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হয়ত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, কিন্তু এর সম্পূর্ণ দায় বর্তায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের উপর। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সূত্র: https://bit.ly/2CxAsDx


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

এ সপ্তাহে পত্রিকাজুড়ে ছিলো শিশু ধর্ষণ ও হত্যার খবর-


১) শনিবার ঢাকার গেন্ডারিয়ায় দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা
২) রবিবার সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণীর শিশুকে ধর্ষণ শেষে পুকুরে ফেলে হত্যা
৩) সোমবার ঢাকার ডেমরায় দুইশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা

আমি জানি, এই খবরগুলো দেখার পর একদল সুযোগ সন্ধানী বলা শুরু করবে, ধর্ষণের জন্য পোষাক দায়ী না, যদি দায়ী হতো, তবে এই শিশুগুলো কেন ধর্ষিত হলো?
যারা এ ধরনের কথা বলে, বুঝতে পারবেন, তারা হলো ছিচকে চোরের মত, যারা গাড়ি এক্সিডেন্ট হলে আহত যাত্রীকে উদ্ধার না করে, তার ব্যাগ ধরে টানাটানি করে। ছোট বাচ্চা কেন ধর্ষিত হচ্ছে, সেই কারণ না খুজে, তার নিজের পোষাক পড়তে ইচ্ছা করে না, সেটা্ ঐ সুযোগে হালাল করতে চায়।

যাই হোক, কথা হচ্ছিলো, ‘ধর্ষণ’ নিয়ে। ধর্ষণ আসলে খুব নিকৃষ্ট একটা সমস্যা। এটা একটা মানসিক ব্যাধিও বলা যায়। আসলে যে কোন অপরাধ প্রবণতাই একটা মানসিক ব্যাধী। ধর্ষণ ছাড়াও আরো যৌন মানসিক ব্যাধী আছে। পায়ুকামীতা, পশুকামীতা, মৃতদেহকামীতা, মর্ষকামীতা, অজাচার ইত্যাদি।

একজন মানুষ কেন ধর্ষণ করে ?
অনেক কারণ থাকতে পারে। হিংসা বা পরের ক্ষতি করার আকাঙ্খা ধর্ষণের একটা বড় কারণ হতে পারে।
এছাড়া যৌন আকর্ষনও ধর্ষণের কারণ। কথা হলো একজন প্রাপ্ত বষস্ক বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ তৈরী হতে পারে, কিন্তু একজন শিশুর প্রতি আকর্ষণটা কোথায় ?

আসলে মানুষের দেহকে একটা কম্পিউটারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কম্পিউটার নিজ থেকে কোন কাজ করতে পারে না, তাকে বাইরে থেকে একটা প্রোগ্রাম সেট করে দিলে, সে সেই অনুসারে কাজ করতে থাকে। মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্দ্রিয় দিয়ে সেই সব প্রোগ্রামিং গ্রহণ করতে থাকে এবং তার ব্রেইনে সেগুলো সেট করতে থাকে। এবং তার ভেতরে থাকা নৈতিকতা দিয়ে সেটা যাচাই বাছাই করে কখন সেটার বাস্তবায়ণ করে, কখনও বা বর্জন করে। আধুনিককালে মানুষকে বিকৃত যৌনকামী করে দেয়ার মূলে রয়েছে মিডিয়া। এই মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন মেসেজ ব্রেইনে ঢুকে, এবং শরীর সে অনুসারে পরিচালিত হয়। যৌন আকর্ষণের ক্ষেত্রে এই ধরনের মেসেজগুলোকে ‘ফ্যান্টাসি’ নামে ডাকা যেতে পারে। অর্থাৎ বাইরে থেকে কোন উপায়ে তার ব্রেইনে কোন উপায়ে ফ্যান্টাসি ক্রিয়েট করা হয়, এবং সেই ফ্যান্টাসি থেকেই সে পরিচালিত হয়।

সমাজে শুধু নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ফ্যান্টাসি করা বৈধ। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক রীতি ভেঙ্গে স্ত্রী ছাড়াও অন্য নারী, জিএফ, অন্যের স্ত্রী, ইনসেস্ট, সমলিঙ্গ, ধর্ষণ, পশুকাম, মৃতকাম, মর্ষকাম টাইপের ফ্যান্টাসি তৈরী করা হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে মিডিয়া দ্বারা। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে একটা বিজ্ঞাপন দেখায়, যেখানে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে হাসপাতালের নার্স হিসেবে কল্পনা করে, আর স্ত্রী তার স্বামীকে প্লাম্বার হিসেবে কল্পনা করে। অর্থাৎ অবৈধ’র মধ্যে ফ্যান্টাসি আছে, সেটাই সেখানো হচ্ছে।

তবে মিডিয়ার সর্ববৃহৎ সমস্যা হচ্ছে, আপনার নিজের কাছের এরিয়ার বাইরে বহুদূরের একটা কালচার বা সংস্কৃতিও হাজার হাজার কিলোমিটার পার হয়ে সব বাধন ভেদ করে আপনার বেড রূমে চলে আসতেছে, আপনার পিসি চলে আসতেছে, আপনার মোবাইলে চলে আসতেছে। যদিও যে দেশ থেকে এই সংষ্কৃতি আসতেছে সেই দেশ সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নাই। যেমন, ধরুন, ইউরোপের অনেক দেশেই ফ্যান্টাসি হচ্ছে ঘরে ভেড়া পালা। ভেড়ার সাথে পশুকাম করা তাদের সৌখিনতা। কিন্তু সেই কালচার যখন কোন চ্যানেল বা ইন্টারনেট-টিউবের মাধ্যমে আপনার ঘরে পৌছে যাচ্ছে, তখন আপনি সেটার প্রয়োগ করলে ঘটে যাবে বিরাট সমস্যা, এই সমাজ ব্যবস্থা কখনই মেনে নেয়া যাবে না। যেমন, আমেরিকার অনেক অঙ্গরাজ্যে বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে শারীরিক সম্পর্ক করা বৈধ। এটা তাদের জন্য একটা ‘ফ্যান্টাসি’, সেটা যখন মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ঘরে, আপনার মনের বসে যাচ্ছে, তখন সেটা এই দেশে জেএ অপরাধ। আবার আমাদের পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ‘বৌদিবাজি’ নামে একটা শব্দ বহুল প্রচলিত আছে। এটা তাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক, অনেকটাই সমাজ সওয়া। যার কারণে তারা উমা বৌদি, ঝুমা বৌদি নামক সিরিয়াল তৈরী করছে, টিআরপিও প্রচুর পাচ্ছে। কিন্তু সেই ফ্যান্টাসিটা যখন বাংলাদেশে ডিশের লাইন আর ইন্টারনেট লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে চলে আসছে, তখন ঘটছে বিপত্তি। কারণ বাংলাদেশের সমাজে ভাবী (পশ্চিমবঙ্গের ভাষায় বৌদি)’র সম্পর্কে এতদিন ধারণা ছিলো ভিন্নরকম। ভাবীর সম্পর্কে বলা হতো “ভাবী হলো মায়ের মত”। অর্থাৎ মিডিয়ার মাধ্যমে যৌন ফ্যান্টাসিও বিবর্তন হচ্ছে, যা সমাজের জন্য বিপজ্জনক ও দুর্ঘটনাপ্রবণ।

এখন কথা হলো, এই মিডিয়ার মাধ্যমে অবাধ ‘অযাচিত ফ্যান্টাসি’ ঢুকছে, এটার প্রতিরোধ কে করবে?
আপনি কিন্তু হাজারো আইন করে এটা দমন করতে পারবেন না। বরং ব্যাপক চর্চার কারণে কিছুদিন পর সেই অনৈতিক ফ্যান্টাসির পক্ষে আইন হয়ে যাবে। এই ফ্যান্টাসি দমনের মূল হাতিয়ার হচ্ছে নৈতিকতা চর্চা, যার মূল আসে ধর্ম থেকে। ধর্মের মাধ্যমেই নৈতিকতা চর্চা হয়, এবং সেটা সমাজের বাধণ তৈরী করে। যেসব দেশের টিভি চ্যানেল ‘বৌদিবাজি’ আর ঘরভাঙ্গা শেখায় সেগুলো দ্রুত বন্ধ করা তাই জরুরী।

বিশ্বজুড়ে শিশু ধর্ষণের একটা কারণ ইন্টারনেটে চাইল্ড পর্নোগ্রাফী। বাংলাদেশেও যে এটা নেই সেটা বলা যায় না। আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে টিপু কিবরিয়া নামক এক মুক্তমনা লেখক গ্রেফতার হয়েছিলো চাইল্ড পর্নোগ্রাফী তৈরী ও বিদেশে রফতানির জন্য (রকমারিসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে এখনও তার বই বিক্রি হয়)। তবে বাংলাদেশের যে শ্রেণীর মধ্যে শিশুধর্ষণের বিষয়টি দেখা যাচ্ছে, সেটা অনেকটা নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সমাজের এই শ্রেণীদুটির মধ্যে ধর্ম ও নৈতিকতার চর্চা অনেক কম। তাছাড়া এই শ্রেণীদুটি অনেক বেশি ডিশ/ক্যাসেট/ড্যান্স এন্টারটেইমেন্ট দ্বারা প্রভাবিত। আজ থেকে কয়েক বছর আগে, টিভিতে একটা রিপোর্ট হয়েছিলো যেখানে দেখানো হয়, শিশু বাচ্চাদের নায়ক-নায়িকা বানিয়ে রোমান্টিক মিউজিক ভিডিও বানানো হচ্ছে, সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে এই বাচ্চাদের রোমান্টিক মিউজিক ভিডিও দেখার প্রবণতা খুব বেশি। ইউটিউবের এসব শিশু রোমান্টিকতার ভিউ কিন্তু কম নয়। এখানে একটা ভিডিও দেখুন, ভিউ প্রায় পোনে তিন কোটি (https://youtu.be/ZjrShKD3FOI), সুতরাং সমাজে এর গ্রাহক কম এটা আপনি বলতে পারবেন না। এছাড়া আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে খুব ছোট ছোট শিশুদেরকে ভারতীয় নায়িকাদের স্টাইলে পোষাক পড়িয়ে তাদের দিয়ে নাচানো হয় (https://youtu.be/wgYQz8bM578), হয়ত ছোট বাচ্চা বলে কেউ তেমন আমলে নেয় না। কিন্তু একটা ছোট অবুঝ বাচ্চাকে দিয়ে এধরনের মারাত্মক নাচ নাচিয়ে আপনি সমাজে সেই শিশু নিপীড়নের ফ্যান্টাসি তৈরী করছেন নাকি সেটা চিন্তা করার দরকার আছে।

মনে রাখবেন, মানুষ প্রতিনিয়ত টিভি, ইন্টারনেট বা পরিবেশ থেকে আন-ন্যাচার্যাশল যৌনতা দেখে ‘যৌন উন্মাদ’এ পরিণত হচ্ছে। তার মাথায় সারা দিন ফ্যান্টাসি ঘুরঘুর করছে। সর্বক্ষণ উপায় খুজছে কিভাবে ঠাণ্ডা হওয়া যায়। তাই ছোট বাচ্চা দেখলে সেখানেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে, বাচ্চা চিৎকার করলে করা হচ্ছে হত্যা।

পাশাপাশি এই বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর কারণেই পরিবারে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি, বৃহৎ পরিবার ভেঙ্গে ক্ষুদ্র পরিবার তৈরী হচ্ছে। এতে শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।

তবে শুধু মিডিয়া আর ইন্টারনেটকে দোষ দিলে চলবে না, অনৈতিক ফ্যান্টাসির বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়েবে সেই ‘নৈতিকতা চর্চা’ও কিন্তু সমাজে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকগুলোতে নৈতিকতা বা ধর্মচর্চা তুলে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতার চর্চা প্রায় উঠেই গেছে। পাশাপাশি মসজিদ-ওয়াজ মাহফিলগুলোতেও নৈতিকতার চর্চা উঠে গেছে। আজকাল ইউটিউবে অনেক মুসলিম বক্তার ওয়াজ শুনলে মাথা ঘুড়ে যায়। কোন গায়িকা কেমন গান গাইলো, কোন নায়ক কিভাবে নাচলো, কোন ব্যক্তি কিভাবে সিগেরেট খাইলো, কোন নায়িকা ব্রেস্ট ইম্প্যান্ট করলো, সেগুলো হয়ে গেছে তাদের ওয়াজের বিষয়, শুধু হাসায় আর কাদায় কিংবা প্রতিপক্ষকে দমন করে। ধর্মীয় আলোচনা বা নৈতিকতা সৃষ্টি থেকে তারা চলে গেছে বহুদূরে।

সার্বিকভাবে সমাজে অনৈতিকতার একটা বিস্তার ঘটেছে, নৈতিকতার ব্ল্যাক হোল তৈরী হয়েছে। সচেতন মহল এটা নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, সমাজে বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

খবর ও মন্তব্য :


১) ভারতে স্কুলের ক্লাসে ইয়েস স্যারের পরিবর্তে ‘জয় হিন্দ’(https://bbc.in/2SvlZPt)
মন্তব্য: বাংলাদেশেও ক্লাসে জয় বাংলা চালু করা হোক। (ইতিমধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এই দাবী তুলেছে।
২) আমাদের মেয়েগুলো ভারতে গিয়ে ছবি করল, ওদের পোশাক দেখে ভয় লেগে গেছে : চিত্রনায়িকা ববিতা (https://bit.ly/2ThLC6m)
মন্তব্য: এটাই নিয়ম। গোয়ালছাড়া গাভীদের সি-গ্রেড হিসেবেই ব্যবহার করবে।
৩) আশা করব আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকার নতুন প্রজন্মকে পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক হতে শেখাবে। - জাফর ইকবাল (https://bit.ly/2AqeJNM)
মন্তব্য : নাস্তিকদের দাবী নাস্তিকরা তুলবে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত ২০১১ সালে সংবিধান থেকে বাদ দেয়া আল্লাহ’র উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা। বাদ দিতে বলা ধর্মনিরপেক্ষতাকে। আমি একটা সোর্সে পেয়েছি, আওয়ামী সরকারের উপর প্রেসার আছে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়ার জন্য। এইজন্য যে কোন ধরনের পদক্ষেপ আসতে পারে। তার আগে্ই মুসলমানদের দাবি তোলা উচিত।
৪) অজয় দাসগুপ্তের দাবি- “বিলুপ্তের পথে বিএনপি” (https://bit.ly/2RuMyHa)
মন্তব্য : অ্যানালিস্ট ক্লাস-২ এর ৬ নম্বর পয়েন্টে বলেছিলাম, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুই শক্তির মধ্যে যখন কোন জোট গঠিত হয়, তখন ঐ ব্লকের জাতীয় পর্যায়ে সদস্যরাও জোট বাধে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যখন জোট ভেঙ্গে যায়, তখন জাতীয় রাজনীতির মধ্যে দুই ব্লকের সদস্যদের মধ্যে টানাপোড়েন বা বিভেদ শুরু হয়। বিএনপি যখন গঠিত হয়েছিলো তখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীন ও আমেরিকার পরষ্পর জোট ছিলো, এবং দুই শক্তির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি তৈরী হয়। কিন্তু ২০০৪-০৫ এর দিকে চীন-আমেরিকা জোট ভেঙ্গে যাওয়ার পর বিএনপির মধ্যে চীন ও মার্কিন ব্লকের সদস্যদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়, এবং যেই দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ আজকে বিএনপির এই করুণ অবস্থা। (https://bit.ly/2GTkgC7)
৫) আবারও অর্থমন্ত্রী হতে চায় মুহিত (https://bit.ly/2VoI1Fp)
মন্তব্য : মুহিত তো বলেছিলো আওয়ামীলীগ ফের ক্ষমতায় আসলে দেশে আর কোন দরিদ্র লোক থাকবে না। সব দরিদ্রকে নিধন করা হবে। সেই দরিদ্র নিধন কর্মসূচি বোধহয় শেষ করে যেতে চান।
৬) ১৭ ব্যাংক পরিচালিক এবার এমপি নির্বাচিত। (https://bit.ly/2QhNYQz)
মন্তব্য: ব্যাংকে জমা রাখা পাবলিকের বাকিটাকাও নির্দ্দিষ্ট গন্তবে পৌছানো এখন সহজ হবে।
৭) উদ্বোধনী ভাষণে ঐক্যের ডাক দিলেন ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট (https://bit.ly/2R4eIth)
মন্তব্য: আর আমাদের দেশে ৪৮ বছর আগের ইতিহাস টেনে জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের হিসেব মতে দেশের ৪০% শতাংশ তরুণ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি (https://bit.ly/2F1wrdv)। আচ্ছা এই ৪০% তরুণকে কি গুলি করে মেরে ফেলা যায় না ?
৮) মাতৃভাষায় বই পেলো নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা (https://bit.ly/2VpDpi7)
মন্তব্য: কথা শুনতে সুন্দর, কিন্তু ক্ষতিকর। নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের নিজের ভাষায় বই দিয়ে নিজেদের কয়েকশ’ বর্গ কিলোমিটার এলাকা আর কয়েক লক্ষ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হলো। তারা সারা দেশ ঘুরে, কোটি কোটি মানুষের সাথে মিশে নিজের উন্নয়ন করবে সেটা আটকে দেয়া হলো।
৯) মন্দিরে লিঙ্গবৈষম্যের প্রতিবাদে ভারতে নারীদের ৬২০ কিলোমিটার মানববন্ধন।
(https://bit.ly/2VmtcmO)
মন্তব্য: মোদি তার ক্ষমতার পুরো সময় শুধু মুসলিমনারীদের জন্য আইন প্রণয়নে ব্যস্ত থাকলো। কিন্তু তার ধর্মের মন্দিরগুলোতেই যে হিন্দু নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত, সেটা দেখার সময় কোথায় ?
১০) ‘বিয়ের উৎসবের মত মানুষ ভোট দিয়েছে’: নাসিম (https://bit.ly/2CJquAh)
মন্তব্য: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাসররাতও সেরেছে (https://bit.ly/2F11ZjK)।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------