Showing posts with label বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র. Show all posts

Thursday, March 28, 2019

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে

গত ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ খবর আসে,
“সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়”(https://bit.ly/2CIqEaP)

এ ধরনের পরিবেশবাদী খবর দেখলে, আমি সব সময় নড়েচড়ে বসি।
কারণ এ ধরনের বেশিরভাগ খবরের পেছনে অন্য ধান্দা থাকে।
খবর নিয়ে জানলাম, এই জরিপ করেছে-
 “যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএ ”

মুসলমান দেশগুলোতে যারা সারা দিন বোমা মেরে মানুষ মারে, তাদের যখন মুসলমান দেশের পরিবেশের প্রতি দরদ দেখি, তখন সন্দেহ তৈরী হয়।
যাই হোক, কয়েকদিন পর দেখলাম- দৈনিক প্রথম আলো বার বার জরিপ প্রকাশ করছে,  “সরকার কি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিবে বলে মনে করেন ?”

আমি আগেও আপনাদের বলেছি, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মূল প্যানেল হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দ্বারা পরিচালিত ও ট্রেনিং প্রাপ্ত।  তাই তারা যখন বার বার কোন বিষয়ে আলোকপাত করে, তখন বুঝতে হবে, সরকারকে দিয়ে কোন কাজ দ্রুত করাইতে চাইতেছে তারা।

এক্ষেত্রে আপনারা যেটা করবেন,
দৈনিক প্রথম আলোকে এ ধরনের আচরণ করতে দেখলে প্রথমে খবর নিবেন, এর পেছনে মার্কিনপন্থী কোন সংস্থার কোন ফান্ড আছে কি না? কারণ দুনিয়াতে ফান্ড ছাড়া কোন কিছুই মাগনা হয় না।  আগে ফান্ডের উৎস খুজে বের করবেন, তারপর ক্লিয়ার হবে।

খবর নিয়ে দেখলাম, বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে একটা প্রজেক্ট নিছে,
নাম :Bangladesh: Clean Air and Sustainable Environment Project
টাকা দিবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, সময়কাল: ২০০৯-২০১৯ এর ৩১শে মার্চ
প্রজেক্টের মূল লিডার হরিনাথ শেসা ও নুপুর গুপ্তা নামক দুই ভারতীয় ।
(https://bit.ly/2HXhTwV)

আপনাদেরকে একটা বুদ্ধি আগেও শিখিয়েছি, আবারও শিখাচ্ছি,
সেটা হলো-
সম্রাজ্যবাদীরা যখন কোন কথা বলবে বা টার্ম ব্যবহার করবে তখন তারা যে শব্দগুলো ব্যবহার করবে, সেটার দিকে কখন তাকাবেন না এবং সেটা নিয়ে আলোচনাও করবেন না, করলে ওদের ষড়যন্ত্র কখনই ধরতে পারবেন না।
মনে রাখবেন, ওরা কতগুলো সুন্দর সুন্দর শব্দকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিল করলে।
তাই ক্লিন এয়্যার বললেও আসলে তারা অন্য কিছু চাইছে, আসুন এবার সেটা জানার চেষ্টা করি।

২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রজেক্টের উপর একটি আর্টিকেল তৈরী হয়েছে, যেখানে বার বার শুধু ইটভাটার কথা বলা হচ্ছে। আর্টিকেলটা পড়ে যতটুকু বুঝলাম, ক্লিন এয়্যারের কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ইটভাটা বন্ধ করা।
(https://bit.ly/2TDQ3Z5)

আমি, জানি এ পর্যন্ত পড়ার পর অনেকেই বলবেন,
“ভাই ইট ভাটায় তো পরিবেশ দূষণ হয়, এটা তো সত্যি কথা।”
আমি বলবো-
দেখুন, ইট ভাটায় পরিবেশ দূষিত হয় কি, হয় না, এটা নিয়ে যদি ভাবতে থাকেন, তবে জীবনেও সম্রাজ্যবাদীদের মূল ষড়যন্ত্র ধরতে পারবেন না। আমি এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ধরার কিছু কৌশল শেখাবো।  এরজন্য আপনি সর্ব প্রথম যেটা করেন, ওরা যে তত্ত্ব ছুড়ে দিয়েছে- ‘ইট ভাটায় পরিবেশ দূষণ হয়’- এই কথাটা ভুলে যান।  ভুলে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকুন, “ইটভাটা যদি খারাপই হয়, তবে একজন শত্রু  কেন ইটভাটা বন্ধ করতে চাইছে ? ইটভাটায় ক্ষতি হলে আমাদের হচ্ছে, তাতে ওদের কি? ওরা কেন টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশের ইটভাটা বন্ধ করার জন্য, ওদের উদ্দেশ্যটা কি?

ইটভাটার সাথে অন্য কিছু জড়িত নেই তো ?

অনেক খবর নিয়ে বুঝলাম-
ইটভাটা আর পুকুর  এই দুইটা শব্দ ওতপ্রতভাবে জড়িত।
ইটভাটায় ইট তৈরী হলে অটোমেটিক পুকুরের সংখ্যা বাড়ে,
আর পুকুরের সংখ্যা বাড়লে বাড়ে ‘মাছ চাষ’।
জাতিসংঘের ‘ফাউ’ ২০১৬ সালে বলেছে “বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে চতুর্থ,
(https://bit.ly/2HUDiXL)
আর ২০১৮ সালে বলেছে বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে তৃতীয়।  তারমানে দিনে দিনে বাংলাদেশে মৎস উৎপাদন বাড়ছে। (https://bit.ly/2CH1Sbj)
এবং সেই হিসেব আমরা না করলেও তারা করে, কারণ এই হিসেবে পেছনে তাদের আলাদা উদ্দেশ্য আছে।

ভারত যেখানে নদীতে বাধ দিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলো ধূ ধূ মাঠে পরিণত করেছে,
সেখানে মাছ হ্রাস না পেয়ে উল্টো দিনে দিনে বাড়ছে, আশ্চর্যজনক।

একটু ক্যালকুলেশন করি-
পানির অভাবে আমাদের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে,
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে ইউক্যালিপটাস আর আকাশমনি গাছ লাগিয়ে ক্ষেতের পানি শুষে নিচ্ছে-
এ অবস্থায় কৃষকের তো মরে যাওয়ার কথা ছিলো,
ভারতে যেভাবে কৃষকরা গণহারে আত্মহত্যা করছে, বাংলাদেশেও তেমন করার কথা ছিলো।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা বুদ্ধি খাটিয়ে ফসল চাষ বাদ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে।  এতে আয় না কমে উল্টা ৫-১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইটভাটা না থাকলে কি পুকুর হতো না ?
না হতো না।  কারণ ইটভাটার কারণে জমির মাটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।  একজন জমির মালিকের হয়ত জমি আছে, কিন্তু পুকুর খনন করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেটা হয়ত নেই। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা যখন নিজ দায়িত্বে জমির মাটি কেনে নিয়ে যায়, উল্টো তাদেরকে কর্মাশিয়াল রেটে মোটা টাকাও দিয়ে যায়, তখন অনেকেই ইচ্ছুক হয়ে জমির মাটি বিক্রি করে। আর জমির মাটি কেটে নেয়ার পর দ্রুত সেখানে হয়ে যায় পুকুর। আর পুকুরে কিছু পোনা ছেড়ে দিলে বাইরে থেকে খাবার দেন আর না দেন কয়েকদিন পর মাছ হয়ে যায় বড় সাইজের। আগে যে জমিতে বহু কষ্ট করে চাষ করে একজন চাষী লাভের মুখ দেখতো না।  কিন্তু মাছ চাষের পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না।  বছরের মধ্যে সে হয়ে যায় লাখপতি।

কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর বানাচ্ছে, আপনি আসছেন, এত বড় অন্যায়ের পক্ষে ওকালতি করতে ?

আচ্ছা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর কাটলে অন্যায়, আর কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প কারখানা বানালে অন্যায় হয় না ?
বাংলাদেশে যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, সেটাতে কতগুলো কৃষি জমি খাবে তার হিসেব করেছেন একবার?
এক চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের জন্য যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে তার পরিমাণ ৩০ হাজার একর। ঐ এক শিল্পাঞ্চলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক।  (https://bit.ly/2U3jY1G)

এই যে বিদেশীদের জন্য শিল্পাঞ্চল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষককে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেখেছেন কোন মিডিয়া এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্চ করেছে ? কোন খবর করেছে?
কিন্তু নিজের জমি কেটে পুকুর বানিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কত শত নিউজ করেছে প্রথম আলো, নিজের চোখেই দেখুন-
ক) https://bit.ly/2HIjtUn
খ)  https://bit.ly/2Fwm6Fc
গ) https://bit.ly/2FEFst4
ঘ) https://bit.ly/2U10avW

প্রথম আলোর মত বিদেশী দালালদের নির্দেশনায় সরকার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে সংশোধিত আইন পাশ করে, যেন ইটভাটার মধ্যেমে পুকুর খনন করতে গেলে জেলাপ্রশাসনের অনুমুতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়, উদ্দেশ্য মাছ চাষে লাগাম টেনে ধরা।  (https://bit.ly/2FFndnm)

পুকুর খনন নয় বরং মাছ চাষের লাগাম টানাই যে মূল উদ্দেশ্য, সেটা বোঝা যায়, সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, মাছ চাষ করতে হলেও নিবন্ধন নিতে হবে, এই বাধ্যবাধকতা দেখে।  (https://bit.ly/2WuOVIV)

ইটভাটা হলেই কি পরিবেশের ক্ষতি ?
ইটা ছাড়া আপনার চলবে না। আমরা যে বাসাবাড়ি থাকি সেটা ইট দিয়েই তৈরী। ইটভাটা থেকে দূষিত বায়ু নির্গত হয় এটা ঠিক, কিন্তু ইটভাটার সাথে যদি একটি ফিল্টার লাগিয়ে দেয়া যায়, তবে দূষণের মাত্রা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব।  আর তাছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করে ইটভাটাগুলো শহর থেকে দূরে সরিয়ে দিলে অথবা নদীর পাড়ে নিয়ে গেলে দূষণের মাত্রা অনেক হ্রাস হবে। আর যে কারণে দূষণ হচ্ছে, মানে কয়লা পোড়ানোর কারণে, সেই কয়লা বাদ দিয়ে আধুনিক ইট ভাটা তৈরী করলে আর দুষণ নিয়ে কোন চিন্তা থাকবে না।   উল্লেখ্য, সরকার বিদেশীদের টাকা খেয়ে ২০২০ সালের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধ করে গিয়ে ব্লক তৈরীর প্ল্যান নিয়েছে (https://bit.ly/2CC9Din)। এতে মাটি লাগবে না এটা ঠিক, কিন্তু সিমেন্ট আর পাথরের ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে বিদেশ থেকে পাথর-সিমেন্ট আমদানিও বাড়বে। যদি দেশের সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, তবেও ক্ষতি, কারণ সিমেন্ট কারখানাগুলোও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বায়ু দুষণ করে।  অপরদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। আগে সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন করা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা বলে সেখানের পাথর ব্যবসাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ঐখানে অনেক শ্রমিক বেকরা হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসন ট্যাস্কফোর্স বাহিনী নিয়মিত অভিজান চালিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে, এতে তাদের সাথে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। (https://bit.ly/2OsbDOY)
 একই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের পাথর উত্তোলন থেকে। সেখানেও পাথর উত্তোলন প্রায়শঃই বন্ধ রাখা হয়। শেষে দেখলাম সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পাথর উত্তোলন হাইকোর্ট থেকে অর্ডার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে (https://bit.ly/2HKx6lI)। এ অবস্থায় আমরা পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল এবং পাথর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় আমদানি পণ্য। ভারত চায় বাংলাদেশের পাথরের বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করতে (https://bit.ly/2FJJ387 )।  তাই ইটভাটা বন্ধ হলে পাথর আমদানি বহুগুন বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে হয়।

পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কি পরিবেশ দূষিত হবে ?
পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মোটেও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না, বরং ভালো প্রভাব পড়বে। প্রতিনিয়ত দেশে জলাশয় ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠতেছে। ভারত নদীতে বাধ দিয়ে নদী শুকায় ফেলছে, বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধিতে ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগায় জমির পানি চুষে নেয়া হচ্ছে, এ অবস্থায় পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া তো আমাদের জন্য আর্শিবাদ। কারণ পানির কাজ হচ্ছে তাপধারণ করা। পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, যা সম্রাজ্যবাদী সংগঠনগুলোই এক সময় পূর্বাভাস দিয়েছিলো, “বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে মরুভূমি হয়ে যাবে”। কিন্তু পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটা ব্যালেন্স হয়েছে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া নদী ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরী হয়, কিন্তু পুকুর থাকায় সেটার পরিমাণও কমে এসেছে। একইসাথে গ্রামীণ এলাকায় পুকুর পাড়ে সবজী চাষ একটি বিরাট লাভজনক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

আমেরিকা তথা সম্রাজ্যবাদীরা কেন চাইছে ইটভাটা বন্ধ হোক কিংবা পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি না হোক?

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে, সে সরাসরি আপনার খারাপ না চেয়ে বরং উপর দিয়ে ভালো চায়, কিন্তু সেই কথিত ভালোটা করলে অনেক দূরে গিয়ে আপনার ক্ষতি-ই হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ হতে পারে-
১) পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে কৃষক শ্রেণী ধ্বংস না হয়ে তারা পদ্ধতি পরিবর্তন করতেছে । ফলে কৃষক বেকার হচ্ছে না, দরিদ্রও তৈরী হচ্ছে না। আর বেকারের সংখ্যা না বাড়লে কর্পোরেটরা লাভবান হয় না। কারণ তাদের শ্রমিক মূল্য কমে না।
২) সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত না কমে বরং বাড়তেছে। সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত থাকা কর্পোরেটোক্রেসির জন্য ক্ষতিকর। তাই সাধারণ মানুষের হাতে থাকা উৎপাদন খাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াই তাদের কাজ।
৩) কৃষক যদি দেখে তার জমিতে লাভ নেই, তখন সে হয়ত কর্পোরেটদের শিল্পাঞ্চলের জন্য তার জমি ছেড়ে দিবে। কিন্তু যদি দেখে ঐ জমিতে মাছ চাষ করলে লাভ হবে বেশি, তখন সে শিল্পাঞ্চলের জন্য জমি না দিয়ে নিজে সেখানে মাছ চাষ করবে। ফলে বিদেশী কর্পোরেটরা বাংলাদেশে যায়গা পাবে না।
৪) প্রতিনিয়ত বাড়িঘর তৈরী হবে এবং ইট লাগবেই, ইট ছাড়া চলবে না। কিন্তু দেশী ইট বন্ধ হলে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বাড়বে। এতে বিদেশীরা লাভবান হবে এবং দেশের জনগণের খরচ বাড়বে। আর জনগণের খরচ বাড়িয়ে দেয়াই কর্পোরেটোক্রেসি ওয়ালাদের অন্যতম চাওয়া।

Friday, March 22, 2019

বাংলাদেশের ইকোনোমিক হিটম্যান !!!


জনপার্কিন্সের লেখা `এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি' বইয়ে `জন পার্কিন্স' নিজেকে অর্থনৈতিক ঘাতক বা ইকোনোমিক হিটম্যান বলে দাবী করেছিলো। জনপার্কিন্স জানায়, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ’র মত আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা কাজ করে। তাদের কাজ হচ্ছে ভুল আার্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ভুল পথে পরিচালিত করা এবং সম্রাজ্যবাদীদের গোলাম বানানো।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেছে, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৮.১৩% এবং মাথাপিছু আয় হবে ১৯০৯ ডলার। এই তথ্যের উৎস বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) (https://bit.ly/2CtQkIk)।

উল্লেখ্য
বিশ্বব্যাংক বলেছিলো, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭%
(https://bit.ly/2OkNKJ9)
আর আইএমএফ বলেছিলো প্রবৃদ্ধি হবে ৭.১%
(https://bit.ly/2OhMsyB)।

কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ থেকেও তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে বাড়িয়ে ৮.১৩% বলে ঘোষণা করলো।  উল্লেখ্য বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর বর্তমান মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব), তাকে উপর থেকে সাপোর্ট দেয় পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণা গায়েন নামটা ফেসবুক জগতের কাছে অধিক পরিচিত, কারণ কৃষ্ণা গায়েনের বোন হলো কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ও গোমাতা আদর্শে বিশ্বাসী অদিতি ফাল্গুনী গায়েন। (ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/audity.falguni.9)

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি কি নির্দেশ করে ?
জিডিপি সূত্র: জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)

ক) জিডিপি যেহেতু ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়,
তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বুঝতে হবে মানুষের ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
আগে মানুষ যে চাল ৪০ টাকা করে কিনতো, সেটা ৬০ টাকা করে কিনে।
তাই জিডিপি বেড়েছে।

খ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বোঝায় যায়, সরকার অনেক অনেক উন্নয়ন (!) প্রকল্প গ্রহণ করতেছে। এবং সেতু-ফ্লাইওভারের নাম দিয়ে দেশকে ঋণের বোঝায় ডুবায় দিচ্ছে।

গ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেহেতু বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে, তাই ব্যাংক থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের নাম করে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সেটাও জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করেছে। তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ব্যাংক লুটপাটও নির্দেশ করে।

এবার আসুন মাথাপিছু আয়ের হিসেবে।
পরিসংখ্যা ব্যুরো দাবি করছে করছে মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার।
১৯০৯ ডলার= ১ লক্ষ ৫২ হাজার, ৭২০ টাকা
১২ মাসে আয় ১,৫২,৭২০ টাকা হলে ১ মাসের আয়= ১২,৭২৬ টাকা
বাংলাদেশের প্রত্যেক জনগণের মাথাপিছু আয় এটা। সেটা ৯০ বছরের বৃদ্ধ হোক, ১ দিনের শিশু হোক।
সে হিসেবে ৫  জন সদস্যের একটি পরিবার যদি ধরি,
তবে ১টি পরিবারের মাসিক আয় = ১২,৭২৬ গুন ৫ = ৬৩,৬৩০ টাকা

এবার আমাকে বলুন,
বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে, যাদের মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা ?
শহরে পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
আর গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
এই হিসেব শেষ না করা পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ‘খায় না মাথায় দেয়’ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় কোন রাষ্ট্রগুলোতে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে-
বাংলাদেশের থেকে বেশি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আছে,
লিবিয়া, ইথোপিয়া, ঘানা, গিনি, আর্মেনিয়া, আইভরি কোস্ট
(https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_real_GDP_growth_rate)

উল্লেখ্য লিবিয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ, যেখানে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো গণহারে তাদের তেল সম্পদ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই তাদের প্রবৃদ্ধিও অর্ধশত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
একইভাবে ইথোপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্টসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে চলছে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ। সেখানে বিদেশী সেনা মোতায়েন করে চলছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি।
ঘানার অর্থনীতি খারাপ বলে তাদের ফুটবলাররা নিজ দেশে ভাত না পেয়ে বাংলাদেশে এসে চুরি-চামারিতে যুক্ত হচ্ছে। আর্মেনিয়াতে কিছুদিন আগে চরম দারিদ্রতার কারণে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সার্জ সার্গিয়ান । (https://bit.ly/2HS8FlV)

সরকার কেন জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখায় ?
বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের আকৃষ্ট করার জন্য, বিনিয়োগ বা ঋণের নামে তাদের ডলার নেয়ার জন্য।
কারণ বিদেশীরা যত ঋণ দিবে, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে তত বেশি লোপাট করতে পারবে।
জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি নির্দেশ করে, বিদেশীদের আসার পথ অধিকহারে উন্মুক্ত।
মজার ব্যাপার হলো আগে বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ এসব ভুয়া পরিসংখ্যান দেখিয়ে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রগুলোকে আকৃষ্ট করতো,
কিন্তু এখন বাংলাদেশ সরকার নিজের আমলা-কর্মকর্তাদের দিয়ে এসব ভুয়া পরিসংখ্যান তৈরী করছে দেশকে নিলামে তোলার জন্য।

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকলে আমরা কেমন অর্থনীতির দিকে যাবো ?

যেহেতু বাংলাদেশের থেকে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট ও রোগাক্রান্ত লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার। তাই বাংলাদেশের যত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে তত বাংলাদেশ লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার মত হয়ে যাবে, যেসব দেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সম্পদপূর্ণ, কিন্তু তাদের বিশ্বাসঘাতক শাসকরা টাকার লোভে সেসব সম্পদ বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং শেষে ঐ দেশের মানুষ নিজের প্রাণ দিয়ে সেই বিশ্বাসঘাতকতার মূল্য পরিশোধ করছে।

ছবি : বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 20, 2019

দেশটাকে কি তাহলে শেষ করে দিবেন ?


গত মাসে “১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম তহবিল অনুমোদন” শীর্ষক একটি খবর আমার নজরে আসে। এই খবরের সারমর্ম হচ্ছে, বাংলাদেশের রিজার্ভে যে ৩২ বিলিয়ন ডলার আছে, এর থেকে প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে একটি ফান্ড করা হবে। এই ফান্ডের সাহায্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প গড়তে বিদেশী ফান্ড নিয়ে আসা হবে।  (https://bit.ly/2FbMwfd)

বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। ধরুন, বাংলাদেশে কোন একটা ফ্লাইওভার করতে ১০ হাজার কোটি টাকা দরকার। ধরলাম বিশ্বব্যাংক বা জাপানের সাথে চূক্তি হলো এই ফ্লাইওভার বানাতে তারা টাকা দিবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বা জাপান এই টাকাটা দেয়ার আগে সরকারকে বলবে তারা যেন কমপক্ষে সেই ফ্লাইওভারের শুরুতে ৫০০  কোটি টাকা খরচ করে, তবে তারা বাকি ৯৫০০ কোটি টাকা দেবে।

কিন্তু সরকারের এই ধরনের আলগা অর্থ দেয়ার  সংকট হওয়ায়  অনেক প্রকল্প গ্রহণ করলেও শুরুটা দিতে পারে না বলে অনেক কাজই আটকে থাকে। তাই বিদেশের টাকাও আনতে পারে না। বিদেশের টাকাগুলো আনা যেন সহজ হয়, তাই জনগণের সম্পদ রিজার্ভের টাকার দিকে হাত বাড়িয়েছে সরকার।

‘সার্বভৌম তহবিল’ করলে ভালো হবে না খারাপ হবে ?

১) আমার দৃষ্টিতে সার্বভৌম তহবিল হচ্ছে জনগণকে মেরে ফেলার চূড়ান্ত প্ল্যান। এতদিন শুরুর টাকার অভাবে অনেক বিদেশী ঋণ সরকার আনতে পারছিলো না, ফলে দেশও সহজে ঋণে জড়াচ্ছিলো না। কিন্তু ১০ বিলিয়ন ডলার হাতে পেলে সরকার ১০ বিলিয়ন ডলার দেখিয়ে দেশকে বিদেশীদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণী করে তুলবে এবং প্রচুর টাকা্ আত্মসাৎ তথা লুটপাট করতে পারবে।

২) উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিদেশীদের থেকে প্রচুর ঋণ আসলে তার পাহাড়ের নিচে চাপা পড়বে জনগণ। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু গণহারে নতুন বিদেশী ঋণ আসলে মাথাপিছু ঋণ ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষে পৌছাবে। যা এক অর্থে দেশকে বিক্রি করে দেয়ার সামিল। ঐ অবস্থা বিদেশী ঋণদাতারা বাংলাদেশ নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে এবং দেশের জনগণ ও ভূমির উপর অনেক বৈদিশীক সম্রাজ্যবাদী নিয়মনীতি চাপিয়ে দিবে।

৩) এর আগে আমরা দেখেছি সরকার ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে রিজার্ভের টাকা নিয়ে গেছে। তারমানে রিজার্ভের বিরাট মজুদের দিতে তার লোভী চোখ পড়েছে। অথচ এই রিজার্ভ সম্পর্দের উপর দেশের অর্থনীতি বা মুদ্রার ভিত্তি নির্ভর করে। সেখান থেকে যদি ১০ বিলিয়ন ডলারের টাকা তুলে নেয়া হয়, তবে দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তৈরী হতে পারে, দেখা দিতে পারে বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতি। তখন টাকার মান এতটা নেমে যেতে পারে যেন, বাংলাদেশের মানুষকে জিম্বাবুয়ের মত ১ বস্তা টাকা নিয়ে ১টা পাউরুটি কিনতে যেতে হবে।

৪) আপনারা মাঝে মাঝে খবর দেখবেন, “১০ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন”, “২০ হাজার কোটি টাকার ৩০ প্রকল্প অনুমোদন” এই ধরনের খবর প্রতিনিয়ত ভুড়ি ভুড়ি থাকে। দেখলে মনে হবে যেন, বাংলাদেশে প্রচুর টাকা, আর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কথিত এই প্রকল্পগুলো হলো জনগণের জন্য ব্যয় বাড়ানোর ফাদ আর সরকারের লুটপাটের নতুন ধান্ধা।

বর্তমানে এই প্রকল্প এত বেশি হয়ে গেছে যে, খবরে এসেছে,

ক) “প্রকল্প ভারে ন্যুব্জ সংশোধিত এডিপি: মূল এডিপিতে প্রকল্প ছিল ১৪৫১টি, সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৯১৬টি, আরো বাজেট চাই” (https://bit.ly/2Wc7q4R)

খ) প্রকল্পের ভারে পিষ্ট পরিচালকরা (https://bit.ly/2UGBNjj)

গ) কাজ শেষ না করেই ৩শ’প্রকল্পের সমাপ্তি, টাকা শেষ (https://bit.ly/2W8JKOQ)

৫) আমি আপনাদের আগেই একটা সূত্র শিখিয়েছিলাম কর্পোরেটোক্রেসির বিরুদ্ধে, “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”। কর্পোরেটোক্রেসি মানেই সরকার আপনাকে উন্নয়ন প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাট করবে আর অন্যদিকে খরচ বাড়িয়ে সেই টাকা কয়েকগুন উসুল করবে।  যেমন:
ক) বৈদেশিক ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে রেল। বর্তমানে চলমান ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেয়া ৬৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিষদের তাই এবার ট্রেনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে গড়ে ২৫ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ (https://bit.ly/2TQhgvL)
খ) এলএনজি টার্মিনাল দেখিয়েও সরকার অনেক উন্নয়ন উন্নয়ন করেছিলো, সেই টার্মিনাল বানাতে এডিবি থেকে ফান্ডও নিয়ে এসেছিলো। এখন সেই এলএনজি টার্মিনালে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি করতেছে সেটার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে, ফলে জনগণের জীবনযাত্রা ব্যয় কয়েকগুন বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাস্তবে সেই গ্যাস জনগণের কোন উপকারে লাগবে না, কিন্তু খরচ বহন করতে হবে জনগণকেই।
সরকার যে কর্পোরেটোক্রেসি নামক নতুন পলিসি দিয়ে দেশ বিক্রির ধান্ধা শুরু করেছে, সেটা সম্পর্কে আপনাদেরকে আমি আগেই খবর দিয়েছিলাম, এবার ধারবাহিকভাবে আপনারা মিলিয়ে দেখুন।

যাই হোক, কর্পোরেটোক্রেসি দিয়ে কিভাবে দেশ দখল করতে হয়, তার বর্ণনা ইকোনোমিক হিটম্যান ‘জন পার্কিন্স’র লেখা এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠার কিছু বলা আছে, সেটা দিয়েই স্ট্যাটাস শেষ করছি:

“আমরা অর্থনৈতিক ঘাতকরা যে কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পারি সেটা হচ্ছে বিশ্ব সাম্রাজ্যকে গড়ে তোলা। আমরা হচ্ছি এমন একটি বিশেষ শ্রেণী যা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাকি বিশ্বকে আমাদের কর্পোরেটক্রেসির গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। এই কর্পোরেটক্রেসিই সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে নিরঙ্কুশ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। মাফিয়ার সদস্যদের মতই অর্থনৈতিক ঘাতকরা সুযোগ-সুবিধা বিলায়। এগুলো মূলত ভৌত অবকাঠামো, যেমন- বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাইওয়ে, সমুদ্রবন্দর, সেতু, রেললাইন, বিমানবন্দর ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব ঋণের মূল শর্ত হচ্ছে এই যে, এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যে কোন আমাদের কোম্পানীকে অবশ্যই দিতে হবে। তাই প্রকৃত অর্থে ঋণের অর্থ কখনই আমাদের বাইরে যায় না.............। ঋণের অর্থ হাতে না পেলেও ঋণগ্রহীতা দেশকে এই ঋণ সুদে আসলে পরিশোধ করতে হয়। যখন একজন অর্থনৈতিক ঘাতক পুরোপুরিভাবে সফল হয় তখন ঋণের অংক বিশালাকার ধারণ করে। তখন কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণগ্রহীতা দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। যখনই এই ঘটনা ঘটে তখনই আমরা মাফিয়ার মত ঋণখেলাপী দেশটির টুঁটি চেপে ধরে আমাদের স্বার্থ হাসিল করি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘে আমাদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান, ঋণখেলাপী দেশে আমাদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, আমাদের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর হাতে ঋণখেলাপী দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে তুলে দেয়া অথবা ঋণখেলাপী দেশের উপর দিয়ে অবাধে আমাদের যাতায়াতের অধিকার অর্জন করা। তারপরেও ঋণখেলাপী দেশটি আমাদের কাছে ঋণীই থাকে। সেই সাথে আমাদের বিশ্ব সম্রাজ্যে আরেকটি দেশ সংযুক্ত হয়।...।”

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

ভারতের মলমিশ্রিত নোংরা পানি ঢুকছে বাংলাদেশে, দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে সুয়ারেজের নোংরা পানি বাংলাদেশের প্রবেশ করছে। এতে শুধু সুয়ারেজ লাইনের পানি নয়, আছে আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডাইং কারখানা, চামড়া কারখানা ও মেলামাইন কারখানার বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য। যে খালের মাধ্যমে এই দুষিত পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তার নাম ‘কালান্দি খাল’। আর এলাকার মানুষ এই পানিকে ডাকে কালান্দির কালো পানি নামে। এই খালের কারণে বাংলাদেশের বি-বাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মাইলের পর মাইল এলাকা মৌ মৌ করে ভারতীয়দের মলমূত্রের গন্ধে।

বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশ, এই বিষাক্ত পানির কারণে খালের সাথে যুক্ত আখাউড়া উপজেলার ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি, মরে ভেসে উঠছে মাছ (https://bit.ly/2Wp2fQ3)।
এই বিষয়টির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার মানবন্ধনও করেছে (https://bit.ly/2sOY5Du)। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সেই কালো পানি পরিশোধন করতে প্ল্যান্ট বসানোর অর্থও বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিলো (https://bit.ly/2B7L7VF), কিন্তু এতটুকুই। এখনও অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে সেই দুষিত পানি।
ভারত বিভিন্ন নদীতে বাধ নিয়ে পানি আটকে রাখছে। বিশুদ্ধ পানি সে দিতে চায় না, কিন্তু প্রতিদিন টয়লেট করে তার পানি ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, আশ্চর্য ! পৃথিবীর কোন অন্য কোন দেশে এভাবে টয়লেট সেরে সেই পানি পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে দেয়ার নজির আছে কি না, তা আমার জানা নাই। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, “তবু তো দিচ্ছে, সেটা মলমিশ্রিত পানি হোক না”। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় “কুছ তো মিল গেয়্যা” ( https://bit.ly/2FVh5c3)।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, December 29, 2018

বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, থুক্কু আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা


গত কয়েকদিন ধরে একটা খবর দেখছি, প্রাথমিকের শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য একটি উৎসব চালু করেছে সরকার, যার নাম বই উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে এবং ফটোসেশন করছে। আওয়ামলীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ থেকে সরব উঠেছে, “বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ?”
“জোরে বলো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।

যারা বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার কৃতিত্বটা শেখ হাসিনাকে দিতে চান, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, এই বিনামূল্যে বই তুলে দেয়ার পেছনে শেখ হাসিনার কোন অবদান নেই। বইয়ের টাকাটাও শেখ হাসিনা নিজের বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন নাই, টাকাটা নিয়েছে বিভিন্ন সম্রাজ্যবাদী ও স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর থেকে। মূল ফান্ড দাতা বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। পাঠ্যবইগুলো তাদের টাকায়ই ছাপা।

গত জুন মাসে বিশ্বব্যাংকের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি -৪) তে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা (https://bit.ly/2ET8ohS) এবং অক্টোবরে একই প্রকল্পে ৪ হাজার ২শ’ কোটি অর্থাত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের থেকে গ্রহণ করে সরকার। (https://bit.ly/2RiIfi3)

বিশ্বব্যাংক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে কূট উদ্দেশ্য ঋণ দেয়, এটা পুরো দুনিয়ার সবাই জানে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া কিংবা অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতও তা মুখ ফসকে বলে ফেলে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সব সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে যদি সমস্যা হয়, তবে কোমলমতি শিশু, যারা আমাদের ভবিষ্যত তাদের শিক্ষার জন্য এই কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়ার মানেটা কি ? তারা কি এমনি এমনি ঋণ দিচ্ছে, নাকি ঋণের বিনিময়ে তাদের বেধে দেয়া পাঠ্যসূচি ও পলিসি ঢুকানো হচ্ছে বইয়ের ভেতর ? বইয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মন-মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো হচ্ছে অদৃশ্য বিষ ?

উল্লেখ্য, এনসিটিবি অনুমোদিত হিজড়াদের নিয়ে লেখা ‘বৈচিত্র্যময় মানুষ’নামে একটি সম্পূরক বই ষষ্ঠ শ্রেণির সহস্র শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হবে। এই বইয়ের জন্য অর্থায়ন করছে গ্রাম-গঞ্জে সমকামীতা ছড়িয়ে দিতে যে এনজিওটি কাজ করছে, “বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)” নামক এনজিওটি। অধ্যাপক জাফর ইকবালের একটি প্রবন্ধসহ মোট চারটি প্রবন্ধ নিয়ে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’র মানুষ সম্পর্কে বাচ্চাদের ধারণা দিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার বই নির্বাচিত ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। (https://bit.ly/2BIa3CU)

আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম, সম্রাজ্যবাদী ইহুদীরা সারা বিশ্ব শাসন করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা বা মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করেছে, যাকে বলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি (https://bit.ly/2rYIn85 )। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি লোন আনছে, সেই মহাপরিকল্পনার লক্ষ্যই হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন বা শিশুদের মধ্যে সম্রাজ্যবাদী ইহুদীদের সেই ধারণা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে বদ্ধমূল করা। (https://bit.ly/2RhTd7A)

আমি সব সময় একটা কথা বলি, বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওষুধ বাচ্চাদের খাওয়ায়েন না, কারণ সেখানে তারা এমন কিছু মিশিয়ে দেবে যেটা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক একইভাবে বলতে হয়, বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিনামূল্যের বই আমাদের শিশুদের মাঝে দয়া করে দিয়েন না। ওষুধ যেমন আমাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষতিকর হতে পারে, ঠিক তেমনি এই সব বইও আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুদ্ধিহীন, পঙ্গু সম্রাজ্যবাদীদের দাসে পরিণত করতে পারে।

সত্যি বলতে, দুর্নীতিবাজরা সব সময় চায় বিদেশ থেকে উন্নয়নের কথা বলে টাকা নিয়ে আসতে, কারণ তখন ১ টাকা খরচ করলে ১০ টাকা মেরে দেয়ার সুযোগ থাকে। টাকা চলে যায় ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে, কিন্তু ঋণের বোঝা চেপে বসে পুরো দেশের উপর। অন্যদিকে সম্রাজ্যবাদীরা শাসকগোষ্ঠীকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়ে আড়াল করে জনগণের উপর নিজের গোপন স্বার্থ হাসিল করে, পুরো জাতীকে পরিণত করে দাসে।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষের এব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া জরুরী। সরকার যেভাবে সামান্য অর্থের লোভে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বোধ বুদ্ধি নষ্ট করে দিচ্ছে, সেটা আমাদের কিছুতেই মেনে নেয়া উচিত নয়। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াক, কিন্তু ইহুদীবাদীদের বানিয়ে দেয়া পাঠ্যসূচি পড়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও ইহুদীবাদীদের নিকট দাস হয়ে থাকুক, এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

সম্রাজ্যবাদীদের প্রক্সিওয়ারে ব্যবহৃত জনগণ, ‘জনগণের পক্ষ’ তৈরী হবে কবে ?

প্রক্সিওয়্যার শব্দটার সাথে জনগণ পরিচিত নয়। যদিও জনগণ প্রতিনিয়ত পরিচালিত হচ্ছে প্রক্সিওয়্যারের মাধ্যমেই। ‘প্রক্সি’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ‘অন্যের পরবর্তিরূপে কাজ করা’ বা ‘বদলি কাজ’, ওয়্যার শব্দের অর্থ ‘যুদ্ধ’। ছোট বেলায় ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে বন্ধুদের বলতাম, ‘দোস্ত আমার হয়ে প্রক্সি দিয়ে দিস’ । মানে আমি উপস্থিত থাকবো না, তুই আমার হয়ে হাজিরা দিয়ে দিস। আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো প্রতিনিয়ত নিজের স্বার্থ নিয়ে কামড়াকাড়িতে ব্যস্ত। সারা বিশ্বজুড়ে চলে তাদের এই যুদ্ধ। কিন্তু সাধারণভাবে সেটা দেখা যায় না, কারণ তারা নিজেরা কখন মাঠে নেমে যুদ্ধ করে না, তারা ভিন্ন একটি দেশকে ব্যাটলফিল্ড বা যুদ্ধক্ষেত্রে বানিয়ে সে দেশের জনগণ দিয়ে সেই যুদ্ধের প্রক্সি দেয়। কিন্তু এরমধ্যে চাতুরতা এত বেশি থাকে যে, সাধারণ মানুষ সেটা ধরতে পারে না। সে ভাবে, সে নিজের জন্য যুদ্ধ করছে, কিন্তু বাস্তবে সে সম্রাজ্যবাদীদেশগুলো স্বার্থের জন্য প্রক্সিওয়্যারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৪৭ এ বহু কাঠখড় পুড়িয়ে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর, সেটা ভাঙ্গার প্রথম পরিকল্পনা ছিলো আমেরিকার। সেই প্রথম ঘি ঢালে জাতীয়বাদ থিউরী ছড়িয়ে। পাকিস্তানী শাসকদের মাথামোটা বক্তব্যে আমেরিকার থিউরী সফল হয়, সৃষ্টি হয় ৫২’র ভাষা আন্দোলন। ৬৬-৬৯ পাকিস্তান ভাগ করার পর্যায়গুলো মোটামুটি আমেরিকার নিয়ন্ত্রণেই থাকে, কিন্তু বিপত্তি ঘটে ৭০ এর নির্বাচনে এসে। আমেরিকার বদলে পাকিস্তান ভাগ করার আন্দোলন নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেষ্টা করে রাশিয়া। পাকিস্তানী শাসকদের মাথামোটা সিদ্ধান্তের দরুণ ২৫ মার্চের নির্মম গণহত্যা এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার যদি না করা হতো, তবে আদৌ বাংলাদেশ নামক কোন দেশ জন্ম নিতো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ‘কনফেডারেশন’ টাইপের পূর্ব পাকিস্তান, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চালকের আসনে বসে পড়ে পাক্কা রাশিয়ান এজেন্ট তাজউদ্দিন আহমেদ। আরেক রাশিয়ান ব্লকের সদস্য ভারতীয় কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী তখন ক্ষমতায়, মিলে যায় ক্ষাপে ক্ষাপ। আমেরিকার এতদিনের সখের ‘সূচ রাজা’র চোখের ‘সূচ’ সরানোর উদ্যোগ নিয়ে নেয় রাশিয়া। স্বাধীন হয়ে যায় বাংলাদেশ। রাশিয়ান ব্লকের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে, আমেরিকা তো বসে থাকার পাত্র নয়। তাদের এজেন্ট জাসদসহ নাস্তিকগুলো দিয়ে দেশে তৈরী করতে থাকে বিশৃঙ্খলা। “ভাত দে, নয় মানচিত্র খাবো”, শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের সেন্টিমেন্টকে ঘুড়িয়ে এন্টি আওয়ামীলীগবিরোধী সেন্টিমেন্ট উস্কাতে থাকে। সিরাজ শিকদার হত্যা কিংবা বাকশাল প্রতিষ্ঠা সবাই ছিলো আমেরিকার বিরুদ্ধে রুশ প্ল্যানের অংশ। মার্কিনীদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর একের পর এক একশনে ক্ষেপতে থাকে আমেরিকা। বঙ্গবন্ধুরও মার্কিন বিরোধী প্ল্যান নিজ দেশ ছেড়ে বাইরে বর্ধিত হতে থাকে। পূর্বের বন্ধু ভুট্টোর সাথে ফের খাতির করে নতুন নতুন প্ল্যান নিতে থাকে বঙ্গবন্ধু। ক্ষেপে যায় সিআইএ। বাংলাদেশে কথিত সেনা অভ্যুথানের নাম দিয়ে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে, পাকিস্তানে ভুট্টোকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সিআইএপন্থীরা ট্যাঙ্কে চড়ে উল্লাস করে। এরপর বাংলাদেশে সিআইএপন্থী ও রুশপন্থী সেনাসদস্যের মধ্যে ক্যু-পাল্টা ক্যু চলতে থাকে। টানা ৮ বছর চলে সেনাসদস্যদের মধ্যে সেই আত্মঘাতি প্রক্সিওয়্যার। হাজার হাজার সেনাসদস্য মারা যায়, যার মধ্যে অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৮৩ সালে এসে ক্ষমতা নিয়ে নেয় সুযোগ সন্ধানী এরশাদ। এরশাদ ব্যক্তিগতভাবে চালাক ছিলো। সে নিজের জন্য অনেক কিছু-ই করতো, কিন্তু সম্রাজ্যবাদীদের কথা ডাইরেক্ট শুনতো না। এতে ক্ষেপে যায় সম্রাজ্যবাদীরা। মিডিয়ার মাধ্যমে ‘স্বৈরশাসক’ ট্যাগ লাগিয়ে মার্কিনপন্থী, চীনপন্থী আর রুশপন্থী সব এক হয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়। ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে নেমে যায় এরশাদ। ১৯৯১ সালে ফের মার্কিন-চীন ব্লকের (তখন মার্কিন-চীন জোট ছিলো) দল ক্ষমতায় চলে আসে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনাকে রুশব্লকের কংগ্রেস ট্র্রেনিং দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে তার ১০ বছর হয়ে গেছে, যদিও আওয়ামীলীগ ঠিক তখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরে আসায় আওয়ামীলীগের আসার সম্ভবনা তৈরী হয়। তাছাড়া সম্রাজ্যবাদীরাও চায় গণতন্ত্র দিয়ে দেশ চলুক, কারণ সেনা শাসকরা সব সময় তাদের কথা শুনে না, এরশাদের মাধ্যমে তাদের সেই শিক্ষা হয়ে গেছে। আমেরিকা পাকিস্তান ভাগ করতে প্রথম ‘জাতীয়তাবাদের চেতনা’ উস্কে দিয়েছিলো, সেই আমেরিকা এবার নতুন মোড়কে নিয়ে আসে নতুন চেতনা ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। কারণ আমেরিকার ভয় ছিলো শেখ হাসিনাকে দেশে নিয়ে এসেছে রুশব্লক। বঙ্গবন্ধূ কন্যা হওয়ায় রাশিয়া তাকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নিয়ন্ত্রণ নেয় নাকি, তখন ফের ক্ষমতা রাশিয়ার হাতে চলে যাবে। তাই ১৯৯২ সালে আমেরিকাই তার সদস্য জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে কিছু মার্কিনপন্থী নাস্তিকদের নিয়ে তৈরী করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘গণ আদালত’। শুরু হয়ে যায় চেতনা ব্যবসা। তবে জাহানারা ইমাম খুব তাড়াতাড়ি ক্যান্সারে মারা যাওয়ায় হাফ ছেড়ে বাচে শেখ হাসিনা। যে কথাটা সাবেক এপিএস মতিয়ুর রহমান রেন্টুর লেখা `আমার ফাঁসি চাই বইয়ে আছে- “জাহানারা ইমাম মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা আনন্দে নাচতে থাকে আর বলতে থাকেন মিষ্টি খাও, মিষ্টি। আমার একটা প্রতিদ্বন্দ্বী দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে। আল্লাহ বাঁচাইছে। নেত্রী হতে চেয়েচিল। আমার জায়গা দখল করতে চেয়েছিল। ” জাহানারা ইমাম মারা গেলেও মার্কিন ব্লক সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চেতনা তৈরী অব্যাহত রাখে। ‘চেতনা তৈরী’ বলছি এ কারণে, মুক্তিযুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, এই ঘটনার বিচার হবে ইতিহাসের ভিত্তিতে, কিন্তু মার্কিনপন্থীরা বানোয়াট গল্প কবিতা রচনা করতে থাকে, যার নেতৃত্বে থাকে হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল আর শাহরিয়ার কবিররা। সাথে ডিজিটাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ডকুমেন্টারি নিয়ে আসে মার্কিন এজেন্ট তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিন মাসুদরা। বলাবাহুল্য, মার্কিনীদের চেতনা চর্চার সহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই ‘গণ আদালত’ ২০১৩ তে হয়ে যায় ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ’। শুরুতে সেটার নিয়ন্ত্রন থাকে মার্কিনী এজেন্ট ইমরান এইচ সরকার ও কথিত ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্টদের হাতে, কিন্তু পরে সেটা রুশব্লকের আওয়ামীলীগ হাইজ্যাক করে তা ব্যবহার করতে চায়। , ২০১৮ তে এসে শাহবাগ আন্দোলনের মূল মূল মার্কিনপন্থীদের জেলের ভাতও খাওয়া রুশব্লকের আওয়ামীলীগ, কিছুকে বিদেশ আর কিছুকে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
যাইহোক, আবার পেছনের ইতিহাসে ফেরত যাই। ৯৬ এ রুশব্লকের আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় চলে আসে, ২০০১ এ মার্কিন-চীনব্লকের বিএনপি। ২০০৬ এ গিয়ে ফের আমেরিকা দেখে তাদের বিএনপি দিয়ে ঠিক পোষাচ্ছে না, তাদের আরো অনুগত সরকার দরকার, কারণ ততদিনে চীনের সাথে আমেরিকার সম্পর্কে ফাটল ধরে গেছে, চীন-আমেরিকা শত্রুতা শুরু হয়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলে তাদের তাদের পলিসি চেঞ্জ করতে হবে। তাই তারা উদ্যোগ নেয় হাসিনা-খালেদাকে মাইনাস-টু করে হিলারী বন্ধু ড. ইউনুসকে বসাবে। ভর করা হয় কিছু সেনা অফিসারের উপর। তাদের দিয়ে রাজনৈতিকদলগুলোর উপর উপর শক্তি প্রয়োগ করাও হয়। কিন্তু সে সময় হাল ধরে শেখ হাসিনার মূল চ্যানেল রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মনমোহন সিং তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘ওয়ান লাইফ ইজ নট এনাফ' স্পষ্ট লিখে কিভাবে সে শক্ত হস্তে শেখ হাসিনাকে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের পর মার্কিনপন্থীরা কিছু সেনা অফিসার দিয়ে তাদের যে প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে উদ্দত হয়েছিলো, তার খেসারত দিতে হয় রুশব্লকের শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে। কয়েক মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০০৯ সালে ঘটে যায় বিডিআর বিদ্রোহ। ঝরে যায় দেশের মহামূল্যবান অনেকগুলো সেনা অফিসারের প্রাণ। মার্কিনপন্থীদের উপর প্রতিশোধ নেয় রুশব্লক।
এখন ২০১৮ সালের নির্বাচন উপস্থিত। এখনও একটা দলের উপর ভর করেছে রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস। অন্য দলের উপর আমেরিকার সিআইএ। মাঝখানে দুইপক্ষের মাঝে সক্রিয় আছে সুপার পাওয়ার হতে চলা চীন। ১
১৯৪৭ থেকে ২০১৮ হয়েছে, ৭১ বছরের ইতিহাস। সম্রাজ্যবাদীরা নিজেদের মধ্যে স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব করেছে, কিন্তু তারা ফিল্ডে নামেনি। নামিয়ে দিয়েছে আমাদের। তাদের কোন ক্ষতি হয়নি, কেউ বলতে পারবে না, এখানে একজন মার্কিন সৈণ্য বা রাশিয়ার সৈণ্য মারা গেছে। মারা গেছে অসংখ্য বাংলাদেশী, এক ভাই আরেকভাইকে মেরেছে, ভাইয়ের রক্তে রক্তাক্ত করেছে নিজের হাত। বলি হয়েছে সম্রাজ্যবাদীদের প্রক্সিওয়্যারের।
বহুদিন তো হলো, আর কত ? বহু রক্ত তো গেলো, আর কত আপন ভাইয়ের রক্ত চাই ?
জাতি আজ আওয়ামীলীগ-বিএনপিতে বিভক্ত। আসলে আওয়ামীলীগ আমাদের শত্রু নয়, বিএনপিও আমাদের শত্রু নয়। শত্রু হলো তাদের উপর যারা ভর করেছে তারা।
আমরা জনগণ যে দিন আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র পর্দা ভেদ করে উপরের শত্রুদের দিকে তাকাতে পারবো, সেই দিন আমদের সামনে সব উন্মোচিত হবে। আমরা বুঝবো আওয়ামী-বিএনপি মারামারি নয়, আমাদের মারামারি করতে হবে পর্দার অন্তরালে দাড়িয়ে থাকা শত্রুদের সাথে, স্বার্থ নিয়ে টানাটানি করতে হবে তাদের সাথে। তখন তৈরী হবে জনগনের পক্ষ বা তৃতীয় পক্ষ।
গত দুইদিনে রাজনৈতিকদলগুলো তাদের ইশতেহার দিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, সে ইশতেহারগুলোতে খুব সামান্যই আছে জনগণের চাওয়া-পাওয়া। বেশিরভাগ হলো সম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং প্রতিপক্ষকে দমন করার কৌশল। কিন্তু কিভাবে জনগণের ভালো হবে, জনগণের উন্নতি হবে, সেটা খুব কমই বর্ণিত আছে সেই ইশতেহারগুলোতে। তবে এটার দোষ রাজনৈতিকদলগুলোকে আমি দেবো না, দেবো জনগণকে। জনগণ যেদিন প্রকৃতঅর্থেই নিজের ভালো বুঝবে,বুঝতে পারবে সম্রাজ্যবাদীদের প্রক্সিওয়্যারে হাওয়া না লাগিয়ে জনগণের পক্ষে হাওয়া লাগনো উচিত, সেদিন তৈরী হবে জনগণের পক্ষ বা তৃতীয় পক্ষ, সেই সময়ের অপেক্ষায়।
বি: দ্র:
আমি একটা ইশতেহার দাবি তুলেছি, যার নাম “ইশতেহার : জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮”। যেখানে আমি চেষ্টা করেছি শুধু জনগণের পক্ষ হয়েই দাবি তুলতে।
(লিঙ্ক: https://goo.gl/nLuUMC, পিডিএফ আকারে পেতে : https://bit.ly/2A2Kb4p)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, December 5, 2018

‘তাবলিগ জামাত’- এর একটি সংগঠনের দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ এবং আমার ভাবনা


ইরাক সিরিয়া লিবিয়া দিকে যদি যদি তাকান, তবে দেখবেন, যুদ্ধটা কিন্তু শুরু করেছিলো মুসলমান-মুসলমান মিলে। এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে দেখতে পারে না,
একজন অন্যজনের কথা ভালো লাগে না,
একজনের ক্ষমতা অন্যজনের পছন্দ হয় না,
ব্যস শুরু করে দিলো নিজেদের মধ্যে মারামারি,
এরপর তাদের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধ বাড়িয়ে দেয়া হলো
সর্বশেষ তৃতীয় পক্ষ হয়ে পশ্চিমারা ঢুকে দেশগুলো তছনছ করলো।
মুসলমানরা নিজেই যদি নিজেদের পশ্চাৎদেশে আঘাত না করতো, তবে তৃতীয় পক্ষ আসতো কিভাবে ?

বাংলাদেশে নির্বাচন আসতে আর মাত্র ১ মাস আছে,
এটা একটা ক্রিটিকাল সময়।
সব শক্তি-ই এ সময় একটা ঘটনা ঘটিয়ে তার থেকে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করে।

গতকালকে বাংলাদেশে ‘তাবলিগ জামাত’ নামক একটি সংগঠনের দু’দলের মধ্যে যা ঘটলো, তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। মুসলমানরা নিজেরাই যদি এত বোকা হয়ে যায়, তবে তারা অন্যজাতির ষড়যন্ত্র রূখবে কিভাবে ?

আমার কাছে বিষয়টি সিরিয়াস লেগেছে এ কারণে-
মাত্র ১ দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসে বাংলাদেশের দুটি ইসলামী সংগঠনের নাম উল্লেখ করে, তাদের মত সকল ইসলামী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব করেছে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাঙ্কস এবং ডেমোক্রেটের হিন্দু কংগ্রেসম্যান টুলসি গ্যাবার্ড। (https://bit.ly/2AI053T)
এই প্রস্তবের মাত্র ১ দিন পরেই তাবলীগের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই মারামারি সত্যিই চিন্তা উদ্রেক করে।

আপনারা জানেন, আমেরিকার বহুদিনের ইচ্ছা, বাংলাদেশের আইএস বা জঙ্গীবাদ আছে, এটা প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশে ঢুকবার একটা সুযোগ নিবে। এজন্য তারা বহুবার চেষ্টাও করেছে, যদিও সফল হয় নাই। কিন্তু এইবার যেটা দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি-কাটাকাটি করে, সেই দৃশ্য নিজেরাই প্রচার করে প্রমাণ করে দিচ্ছে “মুসলমানরা সন্ত্রাসী, আমেরিকা তুমি আসো”।

আপনারা হয়ত জানেন, আমি মুসলিম সমাজের প্রতি সব সময় আহবান করি, তারা যেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাদ দেয়। এখন অমুসলিমরা বাংলাদেশ দখলের জন্য ওৎ পেতে আছে। সব মুসলমানের এক হয়ে উচিত অমুসলিম শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া। আপাতত বিশ্বাসগত দ্বন্দ্ব, ক্ষমতাগত দ্বন্দ্ব এগুলো বাদ দিয়ে একটা প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে, দেশ সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মুসলমান কমিউনিটির সাথে প্রয়োজনে ঐক্য করতে হবে। নয়ত বিরোধী শক্তি মুসলমানদের বিনা বাধায় শেষ করে দিবে। যারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী করে, ক্ষমতা নিয়ে কামড়াকামড়ি করে, তাদের সাথে তর্ক না করে এড়িয়ে যেতে হবে। যতটা পারা যায় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য তৈরী করতে হবে। সব মুসলমান একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে, নয়ত বাংলাদেশ সিরিয়া,লিবিয়া বা ইরাক হতে বেশি সময় লাগবে না। যদিও এ কথাগুলো বিভিন্ন সময় বলার পর কমেন্টেই অনেকেই নিজেদের মধ্যে গালাগালি আর তর্কযুদ্ধ করেছে। তবুও আমি আবারও একই কথা বলতে চাই।

যাই হোক, এবার একটা তালিকা দেই, যেখানে বিভিন্ন দলে হিন্দুসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রার্থীর মনোনয়ন নেয়া প্রার্থীদের নাম দেখা যাবে। এ তালিকা দেয়ার উদ্দেশ্য, মুসলমানরা যখন নিজেরা নিজেদের পশ্চাতে আঙ্গুল ঢুকাচ্ছে, সেখানে উগ্র হিন্দু ও অন্যান্যরা সুকৌশলে বিভিন্ন দলের মধ্যে ঢুকে বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদ জারি ও ইসলাম বাদ দেয়ার প্ল্যানে নেমেছে।

আওয়ামী লীগের মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. রমেশ চন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১)
২. মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর ১)
৩. সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১)
৪. রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪)
৫. স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর-৫)
৬. বীরেন শিকদার (মাগুরা-২)
৭. পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১)
৮. নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫)
৯. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১)
১০. পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪)
১১. মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩)
১২. মানু মজুমদার (নেত্রকোনা-১)
১৩. অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোণা-৩)
১৪. জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২)
১৫. জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১)
১৬. দীপংকর তালুকদার (রাঙ্গামাটি)
১৭. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি)
১৮. বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (বান্দরবান)
.
বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী (রংপুর-২)
২. রমেশ দত্ত (রাজশাহী-৬)
৩. অ্যাডভোকেট জন গোমেজ (নাটোর-৪)
৪. অমলেন্দু দাস অপু (যশোর-৬)
৫. অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী (মাগুরা-২)
৬. জয়ন্ত কুমার কুন্ডু (ঝিনাইদহ-১)
৭. মিল্টন বৈদ্য (মাদারীপুর-২)
৮. অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী (টাঙ্গাইল-৬)
১০. সুখরঞ্জন ঘোষ (কিশোরগঞ্জ-৪)
১১. গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ঢাকা-৩)
১২. তরুন দে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২)
১৩. দীপেন দেওয়ান (রাঙ্গামাটি)
১৪. সাচিং প্রু জেরী (বান্দরবান)
১৫. মাইনরিটি জনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি কুমার মন্ডল (যশোর-৪)
১৬. গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬)
১৭. গণফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ
.
জাতীয় পার্টির মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. সুনীল শুভ রায় (খুলনা-১)
২. সোমনাথ দে (বাগেরহাট-৪)
৩. তপন চক্রবর্তী (চট্টগ্রাম-১৩)
৪. সন্তোষ শর্মা (কক্সবাজার-৩)
.
বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল সিপিবির মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. উপেন্দ্র দেবনাথ (কুড়িগ্রাম-২)
২. মিহির ঘোষ (গাইবান্ধা-২)
৩. যজ্ঞেশ্বর বর্মণ (গাইবান্ধা-৫)
৪. সন্তোষ পাল (বগুড়া-৫)
৫. ফণিভূষণ রায় (ঝিনাইদহ-২)
৬. অশোক সরকার (খুলনা-১)
৭. চিত্ত গোলদার (খুলনা-৫)
৮. সুভাষ ছানা মহিম (খুলনা-৬)
৯. ডা. তপন বসু (পিরোজপুর-১)
১০. দিলীপ পাইক (পিরোজপুর-৩)
১১. ডা. দিবালোক সিংহ (নেত্রকোণা-১)
১২. জলি তালুকদার (নেত্রকোণা-৪)
১৩. সমর দত্ত (মুন্সিগঞ্জ-১)
১৪. লীনা চক্রবর্তী (ঢাকা-১৯)
১৫. মানবেন্দ্র দেব (গাজীপুর-৪)
১৬. অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ (নারায়ণগঞ্জ-৫)
১৭. সুশান্ত ভাওয়াল (শরীয়তপুর-৩)
১৮. নিরঞ্জন দাশ খোকন (সুনামগঞ্জ-২)
১৯. পীযুষ চক্রবর্তী (হবিগঞ্জ-৩)
২০. মৃণাল চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯)
২১. দিপক বড়ুয়া (কক্সবাজার-৩)
.
বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল বাসদের মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. উৎপল দেব (জয়পুরহাট-২)
২. মঙ্গল কিসকু (নওগাঁ-১)
৩. দেবলাল টুডু (নওগাঁ-২)
৪. নব কুমার কর্মকার (সিরাজগঞ্জ-২)
৫. জনার্ধন দত্ত নান্টু (খুলনা-৩)
৬. নিত্যানন্দ সরকার (সাতক্ষীরা-২)
৭. প্রকৌশলী শম্পা বসু (ঢাকা-৮)
৮. সৌমিত্র দাস (ঢাকা-১৬)
৯. ডা. হারাধন চক্রবর্তী (ফেণী-৩)
১০. অ্যাডভোকেট মিলন মন্ডল (লক্ষ্মীপুর-৪)
.
বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মনোনীত হিন্দু তথা সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নামের তালিকা-
১. শিপন কুমার রবিদাস (বগুড়া-১)
২. সজিব সরকার রতন (নেত্রকোণা-২)
৩. প্রশান্ত দেব ছানা (মৌলভীবাজার-২)
৪. সুকোমল বিশ্বাস (ঠাকুরগাঁও-৩)
৫. জুঁই চাকমা (রাঙ্গামাটি)

হিসেব খুব সোজা, বাংলাদেশে ইসলামী সংগঠন নিষিদ্ধ চাইছে আমেরিকা, অথচ বিভিন্ন দলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে উগ্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-উপজাতিদের । পাশাপাশি মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেদের অবস্থান করছে প্রশ্নবিদ্ধ । মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা এবং দেশের স্বাধীনতা উভয়ই এখন হুমকির মুখে। হিসেব খুব সহজ সমীকরণের দিকে যাচ্ছে, একটু মিলিয়ে নিলেই হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, December 2, 2018

খ্রিস্টান ব্রাদার লুসিও বেনিনাতি এবং পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার পেছনের উদ্দেশ্য


ব্রাদার লুসিও বেনিনাতি,
খুব ভালো মানুষ। পথশিশুদের নিয়ে তার কাজ। আমরা বাংলাদেশে থেকে যেখানে পথশিশুদের জন্য কিছু করতে পারি না, সেখানে সুদূর ইতালি থেকে লুসিও বেনিনাতি বাংলাদেশে এসেছেন পথশিশুদের টানে, তাদের ভালোবাসায়। পথশিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন, ‘পথশিশু সেবা সংসঠন’। এর মাধ্যমে তিনি রাস্তার শিশুদের খোজ খবর নেন, হাত-পায়ের নোখ কেটে দেন, অসুস্থ হলে চিকিৎসা দেন, ক্লাসের মাধ্যমে বিনোদন দেন, নাচ-গান শেখান। অনেক মিডিয়া তার প্রশংসা করে নিউজ করেছে। তার সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। তিনি সুন্দর বাংলা কথা বলতে পারেন, তিনি চান তার লাশ যেন বাংলাদেশে থাকে, এই বাংলাদেশের মাাটিতে তিনি মরতে চান। আহ ! তার মত ভালো মানুষ আর দুইটা নেই।
এই যে আপনি, একজন ভালো মানুষকে নিয়ে খারাপ চিন্তা শুরু করলেন। আপনি নিজে ভালো কাজ করতে পারেন না, তাই বলে অন্যকে ভালো কাজ করতে দিবেন না ? হিংসে হয় বুঝি ?? কখন কোন পথশিশুর খবর নিয়েছেন ? মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন, এত বেলা ভাত খেতে দিয়েছেন ? অথচ এই লোকটা ইতালিতে কত ভালো জীবন ত্যাগ করে বাংলাদেশে এসে কত কষ্ট করছে। তাকে এপ্রিশিয়েট করুন, নিন্দা নয়।
কি বললেন, এরা মিশনারী, খ্রিস্টান বানায় ?
কোথায় সেরকম তো কিছু দেখলাম না। শুধু দেখলাম, সে মানব সেবা করছে। মানব সেবা পরম ধর্ম এটা তো সত্য। সকল ধর্মই তো তা বলে। তিনি তার ধর্মের কথা প্রচার করেছেন বলে জানি না, কিন্তু সেবা করেছেন। আপনি যখন এতটা ধার্মীক, তখন নিজ ধর্ম মেনে পথশিশুদের সেবা করুন পারলে।
------০---------
আমি জানি, লুসিও নিয়ে কথা বললে একদল মানবতাবাদী বের হবে। লুসিও’র পক্ষে ওকালতি করবে। আমাকে খারাপ বলবে। নিন্দুক বলবে, আমি ভালো জিনিসের নিন্দা করি, হিংসা করি, সবকিছুর মধ্যে খারাপ খুজি, তাও বলবে। কিন্তু সত্য কথা কি জানেন ? আমি চাই, মানুষ ধোঁকায় না পড়ুক, কোন খোলস পড়িয়ে কেউ যেন সাধারণ মানুষকে খারাপ মাল গছিয়ে না দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্লাস করানোর সময় আমি আপনাদের বলেছিলাম, এ ধরনের ক্রিটিকাল প্রত্যেক বিষয় বা মানুষের দুইটি ফেস থাকে। একটা রিয়েল ফেস, অন্যটা আর্টিফিসিয়াল ফেস। ‘মানবসেবা’, পথশিশু সেবা এগুলো হলো লুসিওদের আর্টিফিসাল ফেস, এটা তাদের চাকরী, তাদের চাকুরীর স্বার্থে তারা এমন পরিচয় প্রকাশ করে। লুসিও’র রিয়েল ফেস হলো, সে মার্কিন খ্রিস্টান মিশনারী Pontifical Institute for Foreign Missions (PIME) এর সদস্য (https://bit.ly/2Q1Vnbs )। পাইমের ওয়েবসাইটে ঢুকলে পাবেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করা। (https://www.pimeusa.org/about-pime)
এমনকি ব্রাদার লুসিও বেনিনাতি নিজেই বলছে, তারমূল উদ্দেশ্য কাজের মাধ্যমে বাইবেল-গসপেলের প্রচার । (https://bit.ly/2FO8J6B)
আমার কথা হলো, মানবসেবা করুন, ভালো কথা, কিন্তু সেটা ধর্ম প্রচারের শর্তে কেন হবে ? আমাদের দেশের মসজিদের হুজুররা যদি একটা খ্রিস্টান/হিন্দুকে বাসায় ডেকে এনে ভাত খাওয়ায় মুসলমান বানাতে চায় তখন তো খ্রিস্টান/হিন্দুরা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে, তাহলে খ্রিস্টানরা যখন করবে, তখন কেন সেটার প্রতিবাদ করা যাবে না ? কেন সেটাকে মানবতার তোয়ালে জড়িয়ে বৈধতার দেয়ার চেষ্টা করা হবে ? মানবতার নাম করে ধর্ম প্রচার করা কি ধোঁকাবাজি নয় ?
------০--------
১) ব্রাদার লুসিও ছোট ছোট ধর্মজ্ঞানহীন বাচ্চাদের নিয়ে খ্রিস্টীয় কায়দায় প্রার্থনা শেখায় (https://bit.ly/2Ayzcz6)
২) ব্রাদার লুসিওদের সাথে বাংলাদেশে সিআইএ’র অত্যতম এজেন্ট সুলতানা কামাল চক্রবর্তী এবং ডাক্তার জাফরুল্লাদের সম্পর্ক আছে। যেহেতু পাইম মিশন,ইউএস’র অংশ, তাই এতে সিআইএ’র আলাদা প্ল্যান থাকা স্বাভাবিক। (https://bit.ly/2P8dN55)
৩) বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ফাদার-ব্রাদারদের দ্বারা শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন খুব স্বাভাবিক বিষয়। একেক জন খ্রিস্টান পাদ্রী হাজার হাজার শিশুকে বলাৎকার করে এবং পোপের পক্ষ থেকে তার সাফাই গাওয়া হয়। এমনিক পাইম মিশনের থাইল্যান্ডে এক যাজক ছিলো নাম এন্ড্রিয়ানো পেলোসিন। সে লুসিওর মত থাই পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতো, তাদের দেখাশোনা করতো। কিন্তু তার কাছে আশ্রিত সেই পথশিশুদের উপর সে যৌন নির্যাতন করে, এমন রিপোর্ট থাই পত্রিকায় ছাপা হয়।
৪) পথশিশুদের নিয়ে মিশনারীরা কাজ করার পেছনে আরেকটি হতে পারে, তা হলো সেসব শিশুর মা-বাবা’র টান থাকবে না, তাদের পাচার করা, বিদেশে যে সব পতিতালয়ে শিশুদের চাহিদা বেশি সেখানে তাদের বেচে দেয়া এবং তাদের অঙ্গপ্রতঙ্গ বিক্রি করা।
পথশিশুদের ভালো হোক, তারা ভালো থাকুক, এটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু সে ভালো চাইতে গিয়ে ‘মার ছেয়ে মাসির দরদ বেশি’ টাইপের কেউ যদি হাজির হয়, তবে কেন আবেগের বশে দেশের সম্পদ কে বিদেশী শকুনের হাতে ছেড়ে দিতে হবে ? এবারে দেশের জনগণ ও সরকার-প্রশাসনের সঠিক দৃষ্টি কামনা করছি।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, September 4, 2018

চামড়া শিল্প ধ্বংস এবং মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র

কাঁচা চামড়া রফতানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ কাঁচা চামড়া রফতানি করা হলে দেশের চামড়াশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে: তোফায়েল
(https://bit.ly/2wsl2xE)
ঠাকুর ঘরে কে রে ?
আমি কলা খাই না।
চামড়া আমরা ভারত পাঠাবো না !!!
চামড়ার ট্যানারিগুলো হাজারিবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের পর মন্ত্রী তোফায়েল গিয়েছিলো ট্যানারিমালিকদের সাথে দেখা করতে। সরকারের অসহযোগীতার কারণে হেমায়েতপুরের ট্যানারিগুলো চামড়া প্রসেসিং এর জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে ট্যানারি মালিকরা মন্ত্রীর কাছে তাদের দুঃখ বর্ণনা করছিলো। তাদের দুরবস্থার সমাধান দেয়া তো দূরের কথা, উল্টা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল তখন বলেছিলো: “চামড়ার ব্যবসা করতে না পারেন, চানাচুরের ব্যবসা করেন। আপনারা চামড়া না নিবেন, আমরা সব চামড়া ভারত পাঠিয়ে দেবো।”
আসলে সরকার এই আচরণ বহু দিন ধরেই করছে। তারা মিডিয়ার সামনে বলছে একটা, কিন্তু করছে আরেকটা। সরকার চামড়া নিয়ে ফুল সেট-আপ এমনভাবে করেছে যেন বাংলাদেশের চামড়া ভারত চলে যায়, ভারতের চামড়া শিল্প দাড়িয়ে যায় এবং বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়। মুখে বলছে- চামড়া শিল্পের উন্নতি করা হবে, কিন্তু বাস্তবে চামড়া শিল্পকে আরো মাটির সাথে মিটিয়ে দিচ্ছে। যেমন- চামড়া শিল্পকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অথচ চামড়া শিল্প হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পোষাক শিল্পের পর বড় সবচেয়ে বড় শিল্প। যদিও বিসিকের (ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প) মোটেও ক্ষমতা নাই, চামড়ার মত একটি বড় শিল্পকে নেতৃত্ব দেয়ার। কিন্তু এর কোন পরিবর্তন নাই।
মন্ত্রী তোফায়েল নিজ মুখে স্বীকার করছে, এ বছর চামড়ার দাম কমানো সঠিক ছিলো। (https://bit.ly/2MYhgWX)
উল্লেখ্য চামড়ার পণ্যের মূল্য আকাশ ছোয়া হলেও সরকার বছর বছর চামড়ার দাম কমিয়ে যাচ্ছে। যেমন: প্রতিবর্গফুটের দাম
২০১৩ সালে ৮৫ -৯০ টাকা।
১০১৪ সালে ৭৫-৮০ টাকা
২০১৫ সালে ৫০ টাকা,
২০১৬ ৫০-৫৫ টাকা
২০১৭ সালে ৫০-৫৫ টাকা এবং
২০১৮ ৪৫-৫০ টাকা। (https://bit.ly/2MsMxB6)
বাংলাদেশের চামড়ার মূল্যগুলো সাধারণ যায় মাদ্রাসা বা ইসলামী শিক্ষালয়গুলোতে। যদি চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া যায়, তবে অটোমেটিক মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে অর্থের অভাবে বসিয়ে দেয়া সম্ভব। চামড়ার মূল্য কমানোর একটি অন্যতম কারণ এটি ।
এছাড়া আরেকটি কারণ হলো, এবারের চামড়াগুলো ভারতে পাচার করা। উল্লেখ্য, চামড়ার ট্যানারিগুলো হেমায়েতপুরে স্থানাস্তর করা হলেও সরকারের অবহেলার কারণে সেগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে ট্যানারিমালিকরা চামড়া কিনতে পারছে না। এতে চামড়াগুলো ভারতে পাচার হওয়া সহজ হয়ে যায়। (https://bit.ly/2MAGATx)
সরকার পুরো বিষয়টি মধ্যস্থতা করেছে, কারণ তার ব্রোকারি মানি আছে। সরকারী ঘোষণা মাধ্যমে যদি চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া যায়, তবে পুরো লাভটা আওয়ামী সরকারের পকেটে আছে। তোফায়েল নিজেই বলছে- চামড়া পাচার হলে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু সে ও তার দল বাস্তবেই চায়, বাংলাদেশের চামড়া ও ট্যানারি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাক। এবং ভারতের ট্যানারি শিল্প দাড়িয়ে যাক। বেড়া নিজেই যদি গাছ খেয়ে ফেলে, তবে সেই বেড়া দিয়ে গরু-ছাগল ঠেকাবেন কিভাবে ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------