Showing posts with label মাদকদ্রব্য. Show all posts
Showing posts with label মাদকদ্রব্য. Show all posts

Monday, June 4, 2018

মাদকবিরোধী অভিযানের নেপথ্যে যে কারণ থাকতে পারে-


আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়টা অনেকে বুঝে না। এ কারণে জাতীয় বিষয়গুলো অনেকে ধরতে পারে না। অথচ জাতীয় বিষয়গুলোর উপর আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাব স্পষ্ট থাকে।
আমি আগেও বলেছি, বর্তমান আওয়ামী সরকারের প্রধান বিরোধীদল এখন আমেরিকাপন্থীরা। সম্ভবত বর্তমানে মাদকবিরোধী যে অভিজান চলছে, সেটা হলে- মাদকের মূল নেটওয়ার্কটা এতদিন আমেরিকাপন্থীদের হাতে ছিলো, সেটা ছিনতাই করতে চাইছে আওয়ামী সরকার।
আরেকটু বুঝিয়ে বলি- মায়ানমারের ইয়াবা নেটওয়ার্কটা ভেঙ্গে তারা ভারতপন্থী ইয়াবা নেটওয়ার্ক করতে চাইছে।
মায়ানমারের ইয়াবা নেটওয়ার্ক চলে মূলত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল বেস করে। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল হচ্ছে মায়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ডের মর্ধবর্তী স্থান, যেখান থেকে পৃথিবীর মাদকের একটি বড় সরবরাহ হয়। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ব্রিটিশ আমলে তৈরী হয়েছিলো। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ছাড়াও আছে গোল্ডেন ক্রিসেন্ট। গোল্ডেন ক্রিসেন্ট হচ্ছে আফগানিস্তান-ইরান-পাকিস্তান বর্ডারে যেখানে প্রচুর পরিমাণে পপি চাষ হয়। এছাড়া পৃথিবীতে মেক্সিকো ও কলোম্বিয়াতে আলাদাভাবে প্রচুর পরিমাণে মাদক উৎপাদন হয়। বর্তমানে মাদকের এই শীর্ষস্থানগুলো কন্ট্রোল করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (https://bit.ly/1EsdZAO)। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ইয়াবা আসতেছে তার কেন্দ্র হচ্ছে ঐ সিআইএ নিয়ন্ত্রিত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল। এটা ঠিক সরকারদলীয় লোকজন দেশের ভেতর মাদকের সাথে জড়িত, কিন্তু সরবরাহের কেন্দ্র আছে সিআইএ’র কাছে। আওয়ামী সরকারের সাথে সিআইএ’র দ্বন্দ্ব থাকায় তারা চাইছে সিআইএ নিয়ন্ত্রিত স্থান থেকে ইয়াবা না নিয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেট মানে ভারত থেকে ইয়াবা আনার জন্য। ভারতে ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠছে এবং তা মায়ানমারের ইয়াবা ব্যবসার জন্য হুমকি, এটা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে খবর আসছে (https://bit.ly/2JrdIuEhttps://bit.ly/2sBJBX1)
বর্তমানে সরকার যেটা করছে সেটা হলো সিআইএপন্থীদের তৈরী করা মাদক সিন্ডিকেটটা ভেঙ্গে দেয়া। ফিলিপাইনের দুদার্তেও একই কাজ করেছিলো, সেও এন্টি-সিআইএ হওয়ায় সিআইএপন্থীদের মাদক সিন্ডিকেটটা ভেঙ্গে দিয়েছিলো। এ কারণে বাংলাদেশের সিআইএপন্থী মিডিয়া বিশেষ করে ডেইলিস্টার এ অভিজানের বিরুদ্ধচারণ করছে (আমার আগের লেখা, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সিআইএ কানেকশন- https://goo.gl/DuqeRP)
বর্তমানে মাদকবিরোধী অভিজান আসল নাম হওয়া উচিত মাদকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাড়াকাড়ি। আওয়ামী সরকার মাদকের সিআইএ নেটওয়ার্ক ভাঙ্গছে, এটা একদিক থেকে ভালো। অন্যদিক থেকে ভয়ের কারণ ইয়াবা ব্যবসাটা এরপর ডাইরেক্ট আওয়ামী-ভারত সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করবে, তখন ইয়াবা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আরো বেশি এভেইলেবল হয়ে যায় কি না, সেটা চিন্তার বিষয়। তখন দেখা যাবে বৈধ পণ্যের মত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়াবা বিক্রি হবে, মুড়ির মত দোকানে কেজি দরে বিক্রি হবে ইয়াবা।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, May 24, 2018

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালকে বলেছে, “বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই” !

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে বলেছে,
“বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই“ (https://bit.ly/2khpklM)

অথচ ২০১৭ সালের ১০ই এপ্রিল চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্ট বলছে,
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ইয়াবা চোরাচালনকারীদের একটা তালিকা করে। সেই তালিকায় বদির নাম সবার আগে ইয়াবা গডফাদার হিসেবে সংযুক্ত ছিলো। এছাড়া সহকারী ব্যবসায়ীর তালিকায় ছিলো,
১) বদির ভাই আবদুস শুক্কুর
২) বদির ভাই আবদুল আমিন
৩) বদির ভাই মজিবুর রহমান
৪) বদির ভাই শফিক
৫) বদির ভাই ফয়সাল
৬) বদির ভাগিনা শাহেদুর রহমান নিপু এবং
৭) বদির ফুপাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেলের নাম ।
(http://bit.ly/2jop4nv,


https://youtu.be/fAefuWR-rjQ)


কথা হলো ২ বছর আগের করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সেই তালিকার কথা আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেমালুম ভুলে গেলেন কেন ?

গতকালের খবরে দেখলাম, বদি নিজেও খুব বুক ফুলিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।
বলেছে, সে ক্রসফায়ারকে ভয় পায় না, এমনকি ক্রস ফায়ার আরো আগে শুরু হওয়া উচিত ছিলো এমন কথাও বলেছে। (https://bit.ly/2IJ8KFZ,
https://bit.ly/2s8xUXg
)
অর্থাৎ সে অনেকটা নির্ভয়। সে জানে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না। এর কারণ সরকার লেভেলে তার রয়েছে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ। নেটওয়ার্ক ঠিক থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় তার ব্যাপারে না জানার ভান করে আর সেও নির্ভয়ে কথা বলতে পারে।
আমার কাছে আসা গোপন তথ্যে জানতে পেরেছিলাম,
২০১৬ সালে যখন সে জেলে যায়, তখন খোদ শেখ হাসিনাকে সে ১১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলো ছাড়া পাওয়ার জন্য। এরপর মাত্র ১৮ দিনের মাথায় সে ছাড়া পায়। তাকে বরণ করা হয় ২০০ তোরণ দিয়ে। তাই এইবারও যদি বদি ছাড়া পেয়ে যায়, তবে ধরে নিতে হবে খোদ শেষ হাসিনার সাথে বদির পূর্বের ন্যায় কোন সমঝোতা হয়েছে।
এছাড়া সরকার মাদকের বিরুদ্ধে উপর দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও বাস্তবে কতটুকু তা বাস্তবায়ন করবে তার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ মায়ানমারে ১টা ইয়াবার দাম খুচরা রেটে ৪০-৬০ টাকা। পাইকারী রেট আরো কম। কিন্তু বাংলাদেশে সে ইয়াবা যখন বিক্রি হয় তখন তার মূল্য হয়ে যায় ৩৫০-৫০০ টাকা। অর্থাৎ মায়ানমার যদি ইয়াবা ব্যবসা করে ১ টাকা পায়, তবে বাংলাদেশে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তারা পায় ৯ টাকা। (http://bit.ly/2hM74iv)
২০১৬ সালের হিসেব মোতাবেক বৎসরে ইয়াবার পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। মায়ানমার যদি পায় ১০ হাজার কোটি টাকা, তবে বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। (http://bit.ly/2gwBNmr
)
আমার জানা মতে, সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত লোকজনই এ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত এবং মধ্যবর্তী লাভবান তারাই হয়ে থাকে। সরকার যদি ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের রাজনীতির অন্যতম চালিকা (বাবা) শক্তি সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা আসার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের ক্ষতি করে শেখ হাসিনা সেই বাবা নেটওয়ার্কে হাত দেবে নাকি এখন সেটাই দেখার বিষয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------