Showing posts with label ইসলাম ধর্ম অবমাননা. Show all posts
Showing posts with label ইসলাম ধর্ম অবমাননা. Show all posts

Wednesday, January 30, 2019

ইসলাম ধর্ম অবমাননায় দৈনিক প্রথম আলো


“পেছন থেকে স্ত্রী চিৎকার করে বলছে, হারামজাদা তোর আবার বিয়ে করার শখ হইছে সেটা বললেই তো পারিস। হাদিস ছাড়োস কেন? তুই লাগলে চারটা কেন আরও দশটা বিয়ে কর...”......দৈনিক প্রথম আলোতে আজকে গল্পচ্ছলে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। এর আগেও আলপিনে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করে পরে ক্ষমা চায় মতিউর রহমান। ধর্মবিদ্বেষী প্রথম আলোর এটা একটা মিশন, মাঝে মাঝে সে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তা প্রকাশ করে। গল্পের লেখক ‘ইমদাদ বাবু’ প্রবাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হয়ত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, কিন্তু এর সম্পূর্ণ দায় বর্তায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের উপর। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সূত্র: https://bit.ly/2CxAsDx


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, August 15, 2018

মাদ্রাসা শিক্ষায় হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ কেন ?

মাদ্রাসা শব্দটা আরবী শব্দ। পারিভাষিকভাবে মাদ্রাসা বলতে, ‘যে প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা হয়’ তাকেই বুঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক এখন হিন্দু !
বিষয়টা যে খুব স্পর্শকাতর তা বুঝতে পারলাম কয়েকদিন আগের এক খবরে। ঝালকাঠিতে এক মাদ্রাসার ছোট বাচ্চারা দেয়া ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখেছিলো, এতে এক হিন্দু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ ছাত্রদের বেদম প্রহার করে। পরে বিষয়টা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঐ এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। যার কারণে অনেক বাধ্য হয়েই ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ । (https://bit.ly/2OzYhiN)
পাঠক ! বর্তমানে হিন্দু মানেই ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। ফেসবুক ঘুড়লে যা ভালোভাবে চোখে পড়ে। নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তির কথা আমরা ভুলে যায়নি। স্কুলের শিক্ষক হয়ে ছাত্রদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার কারণে কত বড় তুলকালাম ঘটে যায়। এরকম বহু উদাহরণ আছে স্কুলগুলোতে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম ধর্ম অবমাননার। সব মিডিয়াতেও আসে না।
এতদিন যে বিষয়গুলো স্কুলে দেখা গেলো, তাই এখন দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসায়। এবং সেটা মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে সচিবালয়ের এক নেমপ্লেটের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিবের নাম, সুবোধ চন্দ্র ঢালি।
আওয়ামী সরকার হিন্দুদের অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু ইসলামের সাথে হিন্দুত্ববাদ এক করার চেষ্টা তো ষ্পষ্ট সাম্প্রদায়কতা। তাদের সর্বশেষ আক্রমণ হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোতে, যেখানে তারা হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ চালু করতে চায়, এটা খুব স্পষ্ট একটা বিষয়। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বৈশাখী পূজা বা অমঙ্গল পূজা করানো কিংবা জাতীয় সঙ্গীতের নামে রবীন্দ্রনাথের দেবী বন্দনা পাঠ করানোর প্রতিযোগীতা অন্তত সেটাই বলে।
আমার মনে হয়, মাদ্রাসা ছাত্রদের এ ব্যাপারে এক হওয়া উচিত, একটা আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যারা মাদ্রাসার হিন্দুশিক্ষকদের বের করতে কাজ করবে। এক দফা এক দাবি হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ উভয়কেই দূর করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, July 3, 2018

৩টা ছবির মধ্যে মিল খোঁজার চেষ্টা করছি

১-নম্বর ছবিটা নেদারল্যান্ডের এমপি গ্রিট ওয়াইল্ডার্সের। গ্রিট ওয়াইল্ডার্স কিছুদিন আগে মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগীতার করার ঘোষণা দেয় (https://ind.pn/2JME22D)। যদিও তার এই কর্মকাণ্ড এই প্রথম না। এর আগেও এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। তবে লক্ষণীয় হলো, এর আগে বাংলাদেশে এ বিষয়টি নিয়ে বেশ প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু এবার তেমন কোন প্রতিবাদ চোখে পড়লো না।

২- নম্বর ছবিটা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলা কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুর উপর ছাত্রলীগের হামলার ছবি। ছবি বলে দিচ্ছে, কতটা নৃশংস ও জনবিরোধী হয়ে উঠেছে সরকার । আসলে কোটা নিয়ে আন্দোলনে ছিলো গণমানুষের আন্দোলন, আর নুরু ছিলো সেই গণমানুষের আন্দোলনের নেতা। কিন্তু গণমানুষের আন্দোলনের নেতা হওয়ার পরও গণমানুষ তার নেতার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। তার নেতাকে মারা হলো কিন্তু গণমানুষ তার প্রতিবাদে কিছু করবে না, কারণ গণমানুষের সে শক্তি নেই। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের সাহসও পেয়েছে, কারণ তারা জানে, বর্তমানে গণমানুষ বা তার ইচ্ছার কোন দাম নাই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গণমানুষের কোন দরকার নাই। আছে বিদেশী ইহুদীবাদীদের দরকার। তাদেরকে খুশি রাখলেই হলো। আর গণমানুষকে ধিরে ধিরে মেরে ফেললেই হলো। গণমানুষ কিছুই করতে পারবে না।

৩- নম্বর ছবিটা আজকে ব্রাজিলের জয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে তোলা (https://bit.ly/2lNaJz2)। যে টিএসসিতে সকাল বেলা কোটা আন্দোলনের নামা ছাত্ররা সংখ্যালঘু হয়ে পিটুনি খেলো, সেই টিএসসিতেই ব্রাজিলের খেলা দেখতে জমা হয়েছে অনেক ছাত্র। তাদের উল্লাসও দেখে কে !!

কিছু বিষয় জেনে রাখুন:

----মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধকে জিহাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উব্ধুদ্ধ করতে ধর্মীয় চেতনা ব্যবহার করেছে নেতৃস্থানীয়রা। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করতো এবং সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতো। এ থেকে বোঝা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ধর্মীয় চেতনা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মীয় চেতনা মানুষকে নিজ স্বার্থকে ক্ষুদ্র করে জাতিকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা দান করে । অপরদিকে ধর্মীয় চেতনাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক করে তোলে এবং জাতিগত চেতনা ভুলিয়ে নিজ আনন্দ-খুশি-স্বার্থকে বড় করে দেয়।

----আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যখন মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়টি ব্যাপকভাবে শুরু হয়, তখন বিষয়টির মূল কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছিলাম। “মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে ইহুদীবাদীদের কি লাভ ? ” এটা নিয়ে স্ট্যাডি করেছি। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে কয়েকটি মূল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো: এই সব ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তারা মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা পরিমাপ করে। মুসলমানদের শেষ নবী হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মের মূল, তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও যখন মুসলমান চুপ থাকে, বা অনুভূতিহীন হয়, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা শূণ্যের কোঠায়। ইহুদী্বাদীরা চায় সারা বিশ্ব করায়ত্ব করতে। কিন্তু এর প্রধান বাধা ‘ইসলাম’। কারণ ইসলাম ধর্ম ও তার চেতনাই পারে ইহুদীবাদ ঠেকিয়ে দিতে। সেই চেতনা যখন শূণ্যের কোঠায় পৌছাতে থাকে, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, এবং এখন খুব সহজেই তাদের উপর দখল, নির্যাতন, সম্পদ লুটপাট করা যায়। মুসলমানরা হয়ে ওঠে ঢাল তলোয়ার বিহীন সৈণ্যের মত, তাকে যা খুশি তাই করা যায়।

--কোটা আন্দোলনে লোক কমে যাওয়া এবং ফুটবল খেলায় লোক বৃদ্ধি পাওয়া হচ্ছে, মোরালি ডেস্ট্রয় হওয়ার রেসাল্ট। শাসক শ্রেণী ইহুদীবাদীদের শেল্টারে জনগণ শোষণ করে স্বার্থ নিবে এবং একটা অংশ ইহুদীবাদীদের নিকট পৌছাবে। এজন্য প্রয়োজনে জনগণের উপর নির্যাতন চালানো লাগতে পারে। কিন্তু একবারে সবার উপর নির্যাতন করা কঠিন, তাই তাদের ডিভাইড করতে হবে। তারা এক দলকে নিপীড়ন করবে, আর বাকিদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে, যেন তারা প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না করতে পারে। আজকে যাদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে তারাও যে বাঁচবে বিষয়টি সেরকম না। একে একে সবাইকে ধরা হবে। কিন্তু কেই কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারণ একদলকে ধরা হবে, অন্যদলকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে। তাই তারা একত্র হতে পারবে না।
মনে রাখবেন, ইহুদীবাদী ও তাদের দোসররা একটা সিন্ডিকেট। তারা আপনার উপর ফিজিক্যাল ও সাইকোলোজিক্যাল আক্রমণ চালাবে। আপনার পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করবে। আপনি নিজে যদি তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখেন এবং পাল্টা সিন্ডিকেট তৈরী করে তাদের প্রতিহত না করতে পারেন, তবে খুব সহজেই তাদের কাছে ধরা খাবেন এবং সেটাই হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, July 1, 2018

যেমন পর্দানশীন প্রধানমন্ত্রী, তেমন তার অনুসারী মন্ত্রী !


কয়েকদিন আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শেরপুরের গরিবদের মাঝে বস্ত্র বিতরণকালে কাপড় নিতে আসা বোরকায় মুখ ঢাকা এক নারীকে দেখে বলেছে, “‘আপনারা খুব পর্দানশিন, আমরাও বেহায়া বেশরম না। আপনি মুখ ঢাকতে হলে বাড়িতে গিয়ে ঢাকবেন। পাবলিক প্লেসে এলে মুখ খোলা রাখতে হবে। শেখ হাসিনা যে ড্রেস পরেন, উনি তো মুখ ঢাকেন না। উনার কি পর্দা হয় না? (http://archive.is/oYiHd)
এ বক্তব্য অনুসারে, মতিয়া চৌধুরী পর্দার পথিকৃৎ হিসেবে মানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার দৃষ্টিতে শেষ হাসিনা যতটুকু ‘পর্দা’ করেন সেটাই যথেষ্ট।
কথায় বলে, যেমন গুরু, তেমন তার শিষ্য।
কয়েকদিন আগে্ একটা ভিডিও চোখে পড়লো। শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে দেখা করতে গিয়ে গালে গাল লাগিয়ে চুমু খাচ্ছে। (https://youtu.be/50CB47oinxs)
এই হলো গুরুর পর্দা।
এবার আসি শিষ্যের কথায়। মতিয়া চৌধুরীর মত প্রত্যেক রাজনৈতিক দলে কিছু নারী থাকে, যাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিছিলে সামনে দেয়া হয় প্রতিপক্ষের পুরুষের সাথে ঠেলাঠেলি আর মারামারি করার জন্য। এতে সুবিধা, ঐ নারীটি পুরুষকে মারতে পারে, টানাটানি করতে পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষের পুরুষটি ভুলেও ঐ নারী কর্মীকে কিছু করতে পারে না, করলেই নারী নির্যাতন, নারী হেনস্তা ইত্যাদি হয়ে যায়। কোন রাজনৈতিক মিছিলের সময় সময় সৌভাগ্যক্রমে যদি মতিয়ার মত শরমযুক্ত নারীদের গায়ে হাত লেগেই যায় কিংবা তাদের কাপড় ছিড়ে যায় তবে সেটার ছবি তুলে মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া সম্ভব। বলাবাহুল্য মতিয়া চৌধুরীর ব্লাউজ ছিড়ে অন্তর্বাস দৃশ্যমান করে রাস্তায় শুয়ে থাকা একটি ছবি তার দলীয় নেতাকর্মীরাই গৌরবের সহিত প্রচার করে থাকে।
গুরু শেখ হাসিনা যেমন পরপুরুষকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল লাগিয়ে চুমু খেতে পারে, ঠিক তেমনি তার শিষ্য মতিয়া চৌধুরী ছেড়া ব্লাউজে অন্তর্বাস দৃশ্যমান করে হাজারো মানুষের সামনে শুয়ে থাকতে পারে। এটা তাদের জন্য সমস্যা নয়, বেহায়া, বেশরমও নয়, এটা আমাদের মানতেই হবে। কিন্তু মুসলিম নারীরা তো আর শেখ হাসিনা-মতিয়া চৌধুরীকে অনুসরণ করে পর্দা করে না। তারা পর্দা করে তাদের ধর্মীয় মত-পথ মেনে।
মতিয়া চৌধুরীদের বলবো, নিজেদের শরমযুক্ত পর্দা (!) সামনে এনে মুসলিম নারীদের পর্দার পথিকৃত হওয়ার চেষ্টা দয়া করে করবেন না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বোরকা আর মদের বিষয় নিয়ে যদি প্রতিবাদ করতে না পারেন, তবে ভবিষ্যতে কিছু নিয়েই কথা বলতে পারবেন না।


লতিফ সিদ্দিকী হজ্জের বিরুদ্ধে বলায় মুসলমানদের মধ্যে আলেম সমাজ ঝাপায় পড়েছিলো। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলো। যার ফলে পতন ঘটেছিলো লতিফ সিদ্দিকীর।
কিন্তু কয়েকদিন আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মুসলমান নারীদের বোরকা নিয়ে চরম কটূক্তি করলো (http://archive.is/oYiHd), আর মদের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিলর্জ্জ দালালি করলো। (https://goo.gl/GShqFZ)
কিন্তু তারপরও মুসলমানদের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না, কোন ইসলামী দল এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করলো না।
এর কারণ কি ?
কারণ-
লতিফ সিদ্দিকীর সময় নির্বাচন ছিলো না, কিন্তু এখন সামনে নির্বাচন, তাই !
তারমানে সবাই নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
সবাই কি আওয়ামীলীগের সাথে কোয়ালিশন করতে চায় ?
এ কারণেই মুখে কুলুপ এটে রাখা ?
ইসলামী দলগুলোর যদি এত করুণ অবস্থা হয়, তবে বাংলাদেশের মুসলমানরা কার দিকে তাকিয়ে থাকবে ?
আমি ইসলামী দলগুলোর প্রতি আহবান জানাবো,
নির্বাচন আর ক্ষমতার কথা বাদ দিয়ে ধর্মের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিন। তাহলে আপনারা ধর্মীয় নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।
মতিয়া চৌধুরী আর ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের মন্ত্রীত্ব বাতিল আর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নামুন।
বোরকা আর মদের মত স্পষ্ট বিষয় নিয়ে যদি কথা না বলতে পারেন, প্রতিবাদ করতে না পারেন, তবে ভবিষ্যতে কিছু নিয়েই কথা বলতে পারবেন না।
সাথে এটাও মনে রাখবেন, এসব বিষয় নিয়ে যদি প্রতিবাদ না করেন, তবে ভবিষ্যত সচেতন মুসলিম প্রজন্মের কাছে আপনারা গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন। আপনাদেরকে কেউ ইসলামী নেতা ভাববে না, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দালাল হিসেবেই ট্রিট করবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, May 9, 2018

মুসজিদ ভাঙ্গতে আসলে, সবাই এক হয়ে দায়ীদের গণপিটুনি দিয়ে জীবনাবসান করাতে হবে

রাজধানীর সদরঘাটে মসজিদ ভাঙ্গতে এসেছে, জনগণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে,(https://bit.ly/2rmYtsf)
সিরাজগঞ্জে হিন্দু শিক্ষক বোরকা নিষিদ্ধ করেছে, জনগণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে,(https://bit.ly/2rq2jRm)
ঝালকাঠিতে এক হিন্দু মুসলমানদের নবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে, জনগণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে, (https://bit.ly/2IfdPZK)
লক্ষ্য করুণ, জনগণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে, কিন্তু সমস্যা মিটছে, বরং বাড়ছে। এ ঘটনা শুধু এখন না, গত ৮-১০ বছর যাবত বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারমানে সমাধান শুধু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ না।
বর্তমানে মুসলমানদের এত দূরাবস্থার মূল কারণ মুসলমানরা অতি ভদ্র হয়ে গেছে।
আর অতি ভদ্র লোকের দুনিয়াতে ভাত নেই।
প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী মুসলমানদের আঘাত করবে খুব নির্ভয়ে, কারণ তারা জানে মুসলমানদের শেষ দৌড় মৌখিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ, কিন্তু ধর্ম বিধান অনুযায়ী শাস্তি তারা দিতে পারবে না।
সম্প্রতি সরকার মাদ্রাসার পাঠ্যবই থেকে জিহাদ অধ্যায়গুলো বাদ দিচ্ছে। ‘জিহাদ’ অর্থ শুধু যুদ্ধ নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ধর্মীয় পলিসি। মুসলমানদের শত্রুরা চায়, মুসলমানরা যেন ঐ জিনিসটা না শিখতে পারে এবং না দেখাতে পারে।
দেশব্যাপী একই ধরনের অবমাননা বার বার হওয়া মানে, যারা ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই ঘটাচ্ছে। এবং মুসলমানরা এখন যে ঔষধ দিচ্ছে, আসলে সেটা তার প্রকৃত ঔষধ নয়। জ্বর বেশি হয়ে গেলে প্যারাসিটামল অনেক সময় ২টা দেয়, এন্টিবায়োটিকও দেয়, তারপর জ্বর সারে।
যে কোন ধরনের ধর্ম অবমাননা, সেটা মসজিদ ভাঙ্গা হোক, কটূক্তি হোক কিংবা বোরকার বিরুদ্ধচারণ হোক, মুসলমানদের শুধু মৌখিক চিল্লাপাল্লা করে কাজ হবে না। সবাই এক হয়ে দায়ীদের গণপিটুনি দিয়ে জীবনাবসান করাতে হবে, মসজিদ ভাঙ্গতে আসলে যে ভাঙ্গতে আসবে আর যে মেশিন দিয়ে ভাঙ্গতে আসবে দুটাই ভেঙ্গে নদীতে ফেলে দিতে হবে আর পুলিশ আসলে পুলিশের অস্ত্র দিয়ে দুই চারটা পুলিশকে এ জগতের মায়া ত্যাগ করে দিতে হবে। সবাই একযোগে একবার এ ঔষধ দিয়ে দেখুন, গত ৮-১০ বছর ধরে চলা তাদের ‘বিশেষ প্রজেক্ট’ বন্ধ হতে বাধ্য। কারণ যাদের দিয়ে উপর মহল কাজটি করাবে, তারা ভয় পেয়ে বলবে, “বাবারে আমি যাবো না, কারণ এ কাজ করতে গেলে মুসলমানরা একবারে মিটিয়ে দেয়।”
আবার বলছি, সঠিক মাত্রায় ঔষধ দেন, ৮-১০ বছর ধরে চলা অসুখ একবারে ভালো হয়ে যাবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 15, 2018

বগুড়ায় বিবিয়ানার শাড়িতে ‘আল্লাহু’ লেখা কোন স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না


দেশী দশ’র এক অনুষ্ঠানে বিবিয়ানার মালিক ও ডিজাইনার লিপি খন্দকারের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ঘনিষ্টতা ছিলো চোখে পড়ার মত। আপনারা জানেন, গতকালকে থেকে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বগুড়ায় পহেলা বৈশাখের এক শাড়ির ভেতর ‘আল্লাহু’ লেখা পাওয়া গেছে। শাড়িটি দেশী দশ শোরুমের বিবিয়ানার শাড়ি। (https://bit.ly/2JCn6sw)


এটা চিরন্তন সত্য, বিশ্বব্যাপী আমেরিকা নিজেই সন্ত্রাসী তৈরী করে, আবার নিজেই সেটা দমন করার নামে মুসলমানদের ক্ষতি করে। বগুড়ায় বিবিয়ানার শাড়িতে ‘আল্লাহু’ লেখা কোন স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না। যারা এটা করেছে তারা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই কাজটা করেছে। কারণ তারা জানে, বর্তমান সময়ে মুসলমানরা পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ধর্মবিরোধী মনে করে আর আল্লাহু শব্দটাকে যদি মঙ্গল শোভাযাত্রার শাড়ির মধ্যে দেয়া যায়, তবে মুসলমানদের মধ্যে একটা তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হবে, যা থেকে বিশেষ কোন ফায়দা লুটতে পারবে আমেরিকা।


নির্বাচনের আগে আমেরিকা বাংলাদেশে কোন অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইবে এটার সম্ভাবনা শতভাগ। লিপি খন্দকারের মাধ্যমে শাড়ির মধ্যে আল্লাহু লিখে সেই ধরনের কোন প্রজেক্ট আমেরিকা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো কি না, তা বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের খতিয়ে দেয়া উচিত।





===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, April 11, 2018

শাড়ির মধ্যে আল্লাহ শব্দ লিখে কেন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে ?


বগুড়ায় শাড়িতে ‘আল্লাহু’ লেখা কোম্পানির নাম ‘বিবিয়ানা’। বিবিয়ানার মালিক ও ডিজাইনারে নাম লিপি খন্দকার। লিপি খন্দকারকে জিজ্ঞেস করা উচিত, সে শাড়ির মধ্যে আল্লাহ শব্দ লিখে কেন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে ?
লিপি খন্দকারের ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/lipi.khandker
বগুড়ায় বিবিয়ানার পহেলা বৈশাখের শাড়িতে আল্লাহু লেখা : https://bit.ly/2JCn6sw

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 22, 2018

মাদরাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে রিট


খবর : মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গত জানুয়ারিতে দলগত জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই পরিপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেছেন কুড়িগ্রামের শুখদেব ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম মিঞা ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুহম্মদ মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। মামলাটি হাইকোর্টের রিট শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা হলো ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। গান ও বাদ্যযন্ত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রিটকারীদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে। মামলাটি আগামী রবিবার ২৫ মার্চ শুনানির কথা রয়েছে। (http://bit.ly/2u9xBzV)
মন্তব্য : খুবই ভালো উদ্যোগ। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় কাজ হবে। সেখানে জোর করে ধর্মবিরুদ্ধ কাজ চাপিয়ে দেয়া কখনই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, February 24, 2018

ভারতের হায়দারাবাদে ইহুদী কোম্পানি প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের বাচ্চাদের ডায়পারে (প্যামপারস)কৌশলে মুসলমানদের শেষ নবীর নাম লিখে দেয়া হয়েছে!


ভারতের হায়দারাবাদে ইহুদী কোম্পানি প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের বাচ্চাদের ডায়পারে (প্যামপারস)কৌশলে মুসলমানদের শেষ নবীর নাম লিখে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে হায়দারাবাদের মুসলমানরা ব্যাপক আন্দোলন-বিক্ষোভ করছে।
কিছুদিন আগে সবাই বহুজাতিক ইহুদীবাদী কোম্পানি ইউনিলিভারের পন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, এখন প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের পন্যগুলো (প্যানটিন, জিলেট, প্যামপারস, হেড এন্ড শোল্ডার, হুইসপার আলট্রা)বর্জন করা উচিত।
খবরের সূত্র:
১)http://dailym.ai/2BOKlyi
২)http://bit.ly/2CHhvwd
৩) http://bit.ly/2BKVH6m





===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, February 14, 2018

মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়টাকে হিন্দুরা চোখ মেরে চালিয়ে দিলো, আর বোকা মুসলমানরা সেটাই খেলো।


খবর: চোখ মারার ভিডিওতে ইসলামি সংগীতের ব্যবহার! (http://bit.ly/2BXhus9)


ভারতের মালয়লাম চলচ্চিত্র ‘অরু আধার লাভ’- এর নায়িকা প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়রের চোখ মারার ভিডিও নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে মাতামাতি চলছে। মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে- প্রিয়ার চোখের পলক ও অভিনয়ের প্রশংসা।

কিন্তু যে ‘মানিক্কে মালারায়া পুভি’ গানে অভিনয় করে আলোচনার ঝড় তুলছেন প্রিয়া, সেই গানটি মূলত একটি ইসলামি সংগীত। এতে আল্লাহর রাসুল (সা.) এবং তার প্রথম স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরার (রা.) মধ্যকার পবিত্র ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে।
শুরুতে প্রিয়ার চোখ মারার দৃশ্যের প্রশংসা করলেও নবীজির (সা.) প্রশংসা করে লেখা গানের এমন দৃশ্যায়নের সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের তরুণরাও সোচ্চার হয়েছেন। এমন একজন হলেন আরজু আহমেদ। ফেসবুকে প্রকাশিত তার একটি লেখা তুলে ধরা হল-
চোখ টিপ দেওয়ার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা মূলত কেরালায় নির্মিত মালয়াম ভাষার চলচ্চিত্র ‘অরু আধার লাভ’- এর। ছবিটির এই দৃশ্যে যে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি কিন্তু এ সিনেমাটির জন্য লেখা নয়। মূলত এটি একটি ইসলামি লোক-সংগীত। যা কেরালার ম্যাপিলা মুসলিম সমাজে বেশ জনপ্রিয়। এগুলোকে ‘ম্যাপিলা গান’ বলা হয়। ‘মানিক্কে মালারায়া পুভি/মাহদিয়া কা খাদিজা বিবি’। শিরোনামের গানটা মূলত আল্লাহ্‌র রাসুল (সা.) এবং উম্মুল মুমিনিন খাদিজা (রা.) এর মধ্যকার পবিত্র ভালোবাসা সম্পর্কে লেখা।
ছোট্ট এই গানে ৩ বার খাদিজা রা.-এঁর নাম এসেছে, আল্লাহ্‌র রাসুলের নাম ‘মোহাম্মদ’ এসেছে ২ বার, ‘রাসুলুল্লাহ’ ১ বার, ‘খাতামুন-নাবিয়্যিন’ শব্দটা এসেছে ১ বার, পবিত্র নগরি ‘মক্কা’ শব্দটা আছে ‘৩’ বার।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন একটি দৃশ্যপটের সঙ্গে এই গানটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা কেবল জঘন্যই নয় বরং অসহনীয়। আরও মন্দ ব্যাপার হচ্ছে, মুসলমানরা সেটিকে কেবল গ্রহণই করেনি, জ্ঞাতে হোক অজ্ঞাতে হোক, এর সর্বাত্মক প্রচারও করে চলেছে।
ম্যাপিলা শব্দটা মূলত এসেছে দ্রাবিরিয়ান ‘মহা+পিলা’ থেকে। মহা বলতে মহান, আর পিলা অর্থ পুত্র। অর্থাৎ মহানদের পুত্র, মানে আরবদের সন্তান। যে কয়টা ঐতিহাসিক লোক বর্ণনা পাওয়া যায়, তাতে উপমহাদেশের প্রথম ইসলাম আসে কেরালার এ অঞ্চলে।
নবুওয়তের ১০ বছরের মাথায় ত্রিশুরের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর কদুংগাল্লুরে মসজিদ নির্মিত হয়। সর্বশেষ ‘ছেঁড়া সম্রাজ্যের’ শাসক ইসলাম গ্রহণ করেন এবং এখানে এই মসজিদ নির্মাণ করেন।
এটি বিশ্বাসযোগ্য এ জন্য যে, মালাবার উপকূল দিয়ে আরবদের সঙ্গে এ অঞ্চলের সমুদ্র যোগাযোগ ইসলামের আগমনের বহু পূর্বের। ফলত এ অঞ্চলের মুসলমানদের ভাষায় আরবির আধিক্য বেশি।
উপমহাদেশের অন্যসব মুসলমানের সঙ্গে নানাবিধ দিকে তফাত আছে। যেমন পুরো উপমহাদেশ ফিকহে হানাফির অনুসরণ করলেও এ অঞ্চলের মানুষ শাফেয়ি মাজহাবের অনুসরণ করেন। ইবনে বতুতা যা নিয়ে বিস্ময়ের কথা লিখে গেছেন।
কেরালায় প্রখ্যাত বুযুর্গ তাবিয়ি মালিক দিনার (রহ.) এঁর মাজার রয়েছে এখনও। তিনি এসেছিলেন ইসলামের প্রচারে। ডাচরা কেরালায় ষোড়শ শতকে পৌঁছালে শায়খ জায়নুদ্দিন আল মাখদুম রহ. জিহাদ ঘোষণা করেন। এই জিহাদ ডাচরা বিদায় হবার পূর্ব পর্যন্ত চালু ছিল।
তিনিই উপমহাদেশের প্রথম আলিম যিনি ইউরোপিয়ানদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। উনিশ শতকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন কুতুবে জামান শায়খ আলাভি, উমর কাজী, শায়খ ফজল (রহ.)। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তামাম অঞ্চলে মুসলমানদের অবদানই প্রধানতম।
কিন্তু আধুনিক কেরালার ইতিহাসে বহু কাটছাঁট পড়েছে। ভারতে মুসলমানদের অবদানকে যেমন অস্বীকার করা হয়েছে, তেমনি ৮০০ বছরের শাসনের ইতিহাসকে ইচ্ছেমতো বিকৃত করেছে। সর্বশেষ চলচ্চিত্রে সিনেমায় নাটকে তা করা হচ্ছে।
প্রথমে তারা আমাদের সিনেমামুখী করল, এবার দাঁড় করাচ্ছে ইসলামের সঙ্গে মুখোমুখি! পদ্মাবতী থেকে অরু আদার লাভ- ইসলাম আর মুসলমানের সঙ্গে তামাশা চলছে। আর মুসলমান তা কেবল উপভোগ করছে!
আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, রাসুল (সা.) এঁর স্ত্রীগণ ‘উম্মুল মুমিনিন’ অর্থাৎ উম্মতের জন্য সাংবিধানিকভাবে মা। আর আল্লাহ্‌র রাসুলের মর্যাদা তো বর্ণনার অতীত! তাঁদের মধ্যকার পবিত্র যে ভালোবাসা তাকে ইসলামের দৃষ্টিতে যে প্রেম হারাম তার সঙ্গে উপস্থাপন!
আর সেটিকে আমাদের প্রশ্রয় প্রদান- ওয়াল্লাহি, এ ব্যাপারে আমাদের কিন্তু আল্লাহ্‌র কাছে অবশ্যই জবাব দিতে হবে! এ ভুলের জন্য তওবা করা আবশ্যক! আর রাসুলের শানে যা বেয়াদবি তা থেকে দূরে থাকা ঈমানের প্রধানতম দায়িত্ব।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------