Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts
Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts

Tuesday, February 12, 2019

চোখের পানি আর রক্তের ফোটায় ক্রিকেট খেলা


গতকালকে একটা খবর দেখলাম, সরকার ঢাকার নিকটবর্তী পূর্বাচল এলাকায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ১০ লক্ষ টাকায় ৩৭ একর জমি দিয়েছে। উল্লেখ্য পূর্বাচলে জমির বর্তমান বাজারমূলে ৩৭ একর জমির দাম প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি। সেই ১ হাজার কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা মানে নামমাত্র মূল্যে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্বাচলে এই জমির উপর একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা করেছে, যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা, স্টেডিয়ামটির নাম হবে, ‘শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’। (https://bit.ly/2t0TbDg,https://bit.ly/2TzAfaB)

পূর্বাচলের যে স্থানে সরকার নামমাত্র মূল্যে দিলো, এই জমি কিন্তু সরকারের নয়। এই জমি জনগণের। সরকার ও তার লেলিয়ে দেয়া দালালরা জনগণের জমি লোপাট করে পূর্বাচল নামক সিটি বানাচ্ছে। পূর্বাচলের জমি সম্পর্কে যাদের জ্ঞান আছেন, তারা জানেন নিরীহ জনগণের ‘সম্বল’ এই জমি দখল করতে সরকার কত মানুষের রক্ত ঝড়িয়েছে। কত মানুষকে গুম করা হয়েছে, কত লাশ খালে-বিলে ভেষে উঠেছে। কত মানুষকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কত মানুষের হাহাকার আর কান্নার সাথে পূর্বাচলের এই জমি জড়িত। সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর ছিলো ২০১০ সালের ঘটনা। ২৩শে অক্টোবর তারিখে লাগোয়া রুপগঞ্জের ইছাপুর ও তারআশেপাশের এলাকায় সরকার সেনাবাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর অকথ্য জুলুম চালায়, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়, অনেককে গুম করে। (https://bit.ly/2UD53XUhttps://bit.ly/2Uz6MNS)

সরকার ৩৭ একর জমি বিসিবিকে নামমাত্র মূল্যে দিয়ে দেয়। আচ্ছা যাদের জমি কেড়ে নিয়ে এই এক্সক্লুসিভ জোন বানানো হয়েছে তারা কি নূন্যতম কোন প্লট পেয়েছে ?
১১ মার্চ ২০১৬ দৈনিক সমকালে একটি খবর প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিলো- “২২ বছরেও প্লট পায়নি ১২০০ আদি বাসিন্দা” । খবরের ভেতরে-“মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী সুরুজ উদ্দিন যখন পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনে নিহত হলেন, ভানুমতি বেগমের বয়স তখন বিশের নিচে। তার পর শুরু হয় তার একার লড়াই। রূপগঞ্জের ভোলানাথপুরে স্বামীর রেখে যাওয়া আট বিঘা জমিটুকু কাজে লাগিয়ে সন্তানদের বড় করে তোলার লড়াইয়ে নামেন তিনি। মাত্র আট বিঘা জমিকে কতভাবে কাজে লাগানো যায়, একান্ত নিজস্ব প্রচেষ্টার সেই কাহিনী এখন অতীত। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আট বিঘা জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। আর নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি। পূর্বাচল উপশহরে কোনো প্লটও জোটেনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পত্নী ভানুমতির। ভোলানাথপুরের কসাইরটেকে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।” (https://bit.ly/2WEQm8A)

পূর্বাচল তো আগের বিষয়, পূর্বাচলের চারপাশের জমি পর্যন্ত দখল করে ফেলে ভূমিদুস্যুরা, যাতে নিরব ভূমিকা পালন করে সরকার-প্রশাসন। এ সম্পর্কে ৪ঠা জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি খবর প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিলো- “পূর্বাচলের আশেপাশের আগ্রাসন, বোবা-কান্না” খবরের ভেতরে- “জমি দখলকারীদের নাম কইলে রাইত কইরা আইসা ডেগার দিয়া মারবো। মামলা করছিলাম। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলাও তুইলা নিয়া আইছি। জমি দখলের সামান্য প্রতিবাদ করলেই রামদা নিয়া কুবাইতে আয়ে। নিজের বাপের জমি। দখলকারীদের ভয়ে চাষ করতে পারি না। ইরি-মৌসুম চললেও জমি পতিত পড়ে আছে।’ রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের জনৈক বাসিন্দা এভাবেই নিজের জমি হারিয়ে বর্তমান অবস্থার বিবরণ দিচ্ছিলেন। কথা বলতে বলতেই এখানে জড়ো হন স্থানীয় অনেক মানুষ। ভূমিদস্যুদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। নাম প্রকাশেও অনিচ্ছুক তারা। কিন্তু সবাই নিজের সম্পত্তি ধরে রাখতে চান। বাঁচতে চান শেষ সহায় সম্বলটুকু নিয়ে। এই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ একটি বিশেষ গ্রুপের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাত করে অল্প জমি কেনে তারা। পরে আশপাশের জমি ভাড়া নিয়ে, কখনও জোর জবরদস্তি করে প্রায় ৬০০ একর জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হবে বালু ভরাট। তারপর প্লট বিক্রি শুরু। মাঝখানে এসব কৃষি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে এলাকার মানুষদের। আবাসন বাণিজ্যের কারণে পূর্বাচল প্রকল্পের চারপাশের মানুষের এখন বোবা কান্না। কারও মুখ খোলার সাহস নেই। ” (https://bit.ly/2MN4TKR)

আমি জানি, আমার অনেক আগেই এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের লেখার কথা ছিলো, কিন্তু তারা লিখেনি। কারণ ক্রিকেট নিয়ে সাধারণ জনগণের একটা সেন্টিমেন্ট আছে। আর তারা কখনই সেই ক্রিকেট সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে যেতে চায় না। আর বিরোধীপক্ষের এই অক্ষমতা আর সাধারণ জনতা ক্রিকেট প্রেমকে কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ করছে সরকার এবং আগামীতেও করবে।

আমি এও জানি, আমার এ লেখার পর এক শ্রেণীর ক্রিকেট পাগল জনগণ আমাকে এসে গালাগালি করবে। বলবে, “তোমার খেয়েদেয়ে কাজ নেই, শুধু ক্রিকেটের পেছনে লেগে থাকাই কাজ। আগামী ২০২১ সালে বিশ্বকাপের ভেন্যু হবে এই স্টেডিয়াম, আর তোমার আগে থেকেই চুলকাানি শুরু হয়েছে।”

যারা আমাকে এ ধরনের কথা বলবে, আমি তাদের উত্তরে বলবো-
ভাই জীবনটাকে দয়া করে ক্রিকেট দিয়ে বিচার করবেন না। ক্রিকেট খেলাই সব নয়, মানুষের জীবনের থেকে বড় ক্রিকেট খেলা হতে পারে না। আপনি হয়ত ক্রিকেট খেলা দেখে এন্টারটেইন হবেন, কিন্তু যার একমাত্র সম্ভব দখল করে এই স্টেডিয়াম বানানো হলো, যাকে রাস্তায় নামানো হলো, যে লোকগুলোকে খুন করা হলো, গুম করা হলো তাদের কথা একবারও ভাবলেন না ? মানুষের রক্ত আর চোখের পানির মধ্যে কি আপনার ক্রিকেট খেলা খেলতে চান ? আর আপনারা যে কোটি কোটি জনগণ ক্রিকেটের জন্য এক হয়ে যান, তারা কি পূর্বাচলের নিরীহ লোকগুলোর ক্ষতিপূরণের জন্য এক হতে পারেন না ? প্রতিবাদ করতে পারেন না ? এমনও তো হতে আগামীতে আপনার জমিও ক্রিকেট খেলার নাম করে দখল করা হতে পারে, তখন অন্যরা কি করবে ? একবার ভেবেছেন ??


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

বিপিএল মাধ্যমে দেশের জনগণের টাকা লুটতরাজ করে বিদেশে পাচার হচ্ছে না তো ?


গত ২১শে জানুয়ারীতে ওলামালীগ বিপিএলকে জুয়ার আসর বলাতে দেখলাম অনেকে ক্ষেপে গেলো। খোদ আওয়ামীলীগ পর্যন্ত বললো, ওলামালীগ তাদের কেউ না। অথচ এর পরদিন দৈনিক মানবজমিনের হেডিং হলো “ক্রিকেট জুয়ায় কাঁপছে দেশ” (https://bit.ly/2Tb5fxo)। 
আপনাদের মনে থাকার কথা, ১ বছর আগে একটি অনলাইন জুয়ার সাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছিলো প্রায় ৩শ' কোটি টাকা (https://bit.ly/2AWxZ5W)। এটা শুধু একটি সাইটের হিসেব, এরকম ডজন ডজন জুয়ার সাইট আছে অনলাইনে। খবরে প্রকাশ, ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্র ঘরে ঘরে ছেলেপেলেরা ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। সেখানে প্রতি বলে বলে, প্রতি প্লেয়ারে প্লেয়ারে ধরা হয় বাজি। বিটিআরসি দায় সারতে নামে মাত্র কিছু সাইট বন্ধ করেছিলো। কিন্তু সেটা গত বছরের কথা, এ বছর গজিয়ে গেছে আর কয়েকগুন জুয়ার সাইট। এগুলো তো গেলো সাইট ভিত্তিক জুয়া, এছাড়া জনআড়ালে থাকা জুয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
(বেট৩৬৫ তে দেখুন আজকের খেলার কোন কোন বিষয় নিয়ে জুয়া হচ্ছে: https://bit.ly/2U9vmVt)

সত্যিই বলতে, একটা খেলার মূল্য কত ? ১০ কোটি, ২০ কোটি ?
কিন্তু সেটার জুয়ার মূল্য যখন ১০ হাজার কোটি হয়, স্বাভাবিক সেটা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবেই।
আর খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করলে তা অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাবগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রাপ্ত হবে। কারণ দেশবিদেশ থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনা এসব মূল্যবান প্লেয়ারকে মাঠে নামিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভ কি ? তার কোন উপায়ে ইনকাম করে ? সবটাই কি ক্রিকেট প্রেম ? নাকি আড়লে আরো ঘটনা আছে ?
বাস্তবতা হলো ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা তাদের ভাড়া করার খেলোয়াড় দিয়ে মাঠে নাটক সাজাবে আর সাধারণ মানুষ সেই নাটকে অংশ নিয়ে বোকার মত হারাবে কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষ দেখবে, একজন প্লেয়ারের হাত থেকে ক্যাচ মিস হচ্ছে, অথচ এটা বাহ্যিক দৃশ্য, ভেতরের কথা হলো ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, এত রান করার আগে কেউ ক্যাচ ধরতে পারবে না। হঠাৎ করে একজন প্লেয়ার এমন লুজ বল করছে যেন ছক্কা মারা সহজ হয়, সাধারণ মানুষ ভাবছে এটা এমনি এমনি, কিন্তু অন্তরালের কথা হলো তাকে বলাই হয়েছে ছক্কা মারার মত লুজ বল করতে। খুব ভালো প্লেয়ার যার জন্য রান করা কোন ব্যাপার না, কিন্তু সেই আজেবাজে শট খেলে তার উইকেট হারিয়ে আসছে, কিংবা ইচ্ছা করে রান আউট হয়ে যাচ্ছে। দর্শক এগুলো দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্দা আড়লে দাড়ানো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বলেছে সেভাবে খেলতে। কারণ তাদের সাথে সংযোগ আছে বিভিন্ন জুয়ার কোটের। সেখানে হার জয়ের পক্ষে ধরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেখানে ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, তাই খেলাকে কমবেশি করছে তারা, ধোকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই যে তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেট নামক জুয়াতে মত্ত করা হয়েছে, তারা দেশের টাকা দিয়ে অনলাইনে ডলার কিনে জুয়াতে টাকা লাগাচ্ছে। সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী জুয়ারীরা, আর সেই জুয়ারীদের হাতে হাত রেখে সেই টাকার ভাগ খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। আসুন দেখি তারা কারা -
১) ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিক সালমান এফ রহমান
২) সিলেট সিক্সার্সের মালিক আবুল মাল আব্দুল মুহিত
৩) রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপের আব্দুস সোবহান
৪) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
৫) খুলনা টাইটান্সের মালিক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ

আমি জানি, আপনি বলবেন, তারা যে জড়িত, তার দলিল কি ?
এটা ঠিক আমার কাছে দলিল নেই। কারণ তারা যে পর্যায়ের এমপি-মন্ত্রী-ক্ষমতাবান তারাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই নির্ধারণ করে দেয় কে অপরাধী আর কে অপরাধী না। সুতরাং আমি কিভাবে ডাইরেক্ট তার দলিল পাবো ? ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের নাম দেখে বুঝি এখানে তারাই আছে, যারা শেয়ার মার্কেটে দরিদ্রদের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে পাঠিয়ে দেয়, এরা তো তারাই যারা ভূমিদস্যুতা করে গরীবের জমি মেরে বড় বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট করে। তারাই যখন ফ্রাঞ্চাইজি দল খুলে, তখন অনুমান করতে পারি, এত এত খরচ করে তাদের লাভটা আসলে কি ?
কিছুদিন আগে ভারতের আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক চিত্রনায়িকা প্রীতি জিনতা বলেছিলো, ‘অনেকেই এখন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। যেহেতু কোনো ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেহেতু আইন করে বেটিং বৈধ করে দেয়া উচিত। এতে করে সরকারের কোষাগারে অনেক টাকা জমা পড়বে ।” (https://bit.ly/2Dtzqds) তারমানে আইপিএল’র অনুকরণে বলতে পারি, বাংলাদেশ সরকারও যতই লোক দেখানো অমুক-তমুক গ্রেফতার করুক, বিটিআরসি অমুক-তমুক বেটিং সাইট বন্ধ করুক, এতে কোন লাভ হবে না, বরং ফ্রাঞ্চাইজির জুয়ার কানেকশনকে লোকচক্ষুর আড়াল করাও সরকারের একটি মহলের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়। তাছাড়া আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ টানা ৩ টার্ম ক্ষমতায় থেকে আগে থেকে অনেক স্ম্যার্ট হয়েছে, তারা এখন দুর্নীতি করে, কিন্তু কৌশলে করে। জনগণকে দেখায় ক্রিকেট, কিন্তু আড়ালে থাকে টাকা মারার ফন্দি।

নির্বাচনের সময় দেখেছি, আওয়ামী সরকার জনগণকে কি দিয়েছে ? – এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
কেউ বলেছে ব্লাউজ দিয়েছে, কেউ বলেছে মোবাইল দিয়েছে, কেউবা বলেছে বিউটি পারলার দিয়েছে।
কিন্তু আমি বলবো, আওয়ামী সরকার বিপিএল’র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জুয়া দিয়েছে। জনগণকে জুয়াতে জুয়াতে মাতিয়ে দিয়েছে। সাবাস ! আওয়ামীলীগ সাবাস !


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

গরীবের জুয়ারী অর্থমন্ত্রী


এবার নতুন অর্থমন্ত্রী হয়েছে আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। মুস্তফা কামাল সাহেব এসেই ঘোষণা দিয়েছেন, ৩ লক্ষ কোটি টাকা খাজনা আদায় করবেন (https://bit.ly/2sfqgec)। শুনেছি তিনি একজন সিএ। দেশের অর্থনীতি বোঝার জন্য সিএ পাশ করা লোকের দরকার আছে, কিন্তু খাজনা আদায়ের জন্য সিএ পাশ করা লোকের দরকার নাই। দরকার ভালোমাপের একজন কোতোয়ালের।

ছোট বেলায় কবিতা পড়েছিলাম, “ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুরল, পান ফুরল খাজনার উপায় কি? আর ক'টা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।”

ছোটবেলার কবিতা থেকে শিখেছিলাম, খাজনার দেয়ার আগে রসুন বুনাতে হবে। অর্থাৎ উৎপাদন করতে হবে। যদি উৎপাদনই না হয় তবে খাজনা আসবে কোথা থেকে ?
একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের আগে উচিত ছিলো কিভাবে দেশের উৎপাদন বা প্রডাকশন বানানো যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া। কিভাবে বিদেশী পণ্য আমদানি বন্ধ করে, তা দেশে উৎপাদন করা যায়, কিভাবে রফতানি বাজার আরো সক্রিয় করা যায়, কিভাবে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস করে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া। কিন্তু আশ্চর্য ঘোষণা আসলো ঠিক তার উল্টো, মানে খাজনা আদায় নিয়ে।

মুস্তফা কামাল নামটি কারো অপরিচিত হয়। তিনি গতবারের পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে এবারের টার্মে তাকে করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী হিসেবে। তবে বাংলাদেশে খেলামত্ত জনগণের কাছে মুস্তফা কামাল বেশি পরিচিত বিপিএল ক্লাব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক (যদিও প্রদর্শন করা হয় তার মেয়েকে) হিসেবে। সত্যিই বলতে বিপিএল খেলা দেখলে চোখ ছানাবড়া হতে হয়। বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর হয়ে খেলতে আসে উচু ভাড়ার প্লেয়াররা। ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্স, শহীদ আফ্রিদী, স্টিভ স্মিথ, ড্যারেন ব্রাভো বা ক্রিস গেইলের মত প্লেয়ারদের ভাড়া করে আনা হয় কোটি কোটি টাকা খরচ করে। বাংলাদেশের মত রাষ্ট্র যেখানে ২১% শতাংশ মানুষ চরম শ্রেণীর দরিদ্র, ৫ কোটি শিক্ষিত বেকার, সেখানের অর্থমন্ত্রীর ক্লাব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে শহীদ আফ্রিদী, ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে এভিন লুইস, ১ কোটি টাকা দিয়ে স্টিভ স্মিথ আর ১ কোটি টাকা ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে থিসেরা পেররাকে কিনে আসে মজমা করার জন্য (https://bit.ly/2C8aF4Q)। একজন অর্থমন্ত্রীর জন্য এ ধরনের অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কতটুকু গ্রহণযোগ্য হতে পারে ? শুধু কি তাই, এই বিপিএলের কারণে পুরো দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জুয়ার আসর। এমন কোন দোকান, ক্লাব, মেস, হোস্টেল নাই যেখানে জুড়ার আসর বসছে না। জুয়া খেলে মানুষ হচ্ছে সর্বস্বান্ত্ব, জুয়ার কারণে হচ্ছে খুন, ঘটছে আত্মহত্যা, জুয়ার টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে আঘাত করছে সন্তান, টাকা না পেয়ে শেষে নিজের স্ত্রীকে তুলছে জুয়ার বাজিতে। আর বড় বড় জুয়ায় পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে মুস্তফা কামালদের ক্লাবগুলো।

বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে বিপিএল’র মত বিরাট অপচয় দেশের জন্য যে কত বড় ক্ষতি, সেটা বোঝার দরকার আছে। শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশী প্লেয়ার কিনে আনছে ক্লাবগুলো। সেই টাকা উঠাতে দিচ্ছে বিজ্ঞাপন। দেশ-বিদেশী কোম্পানিগুলো সেই বিজ্ঞাপনের মূল পরিশোধ করছে ঠিকই, কিন্তু তার বহুগুন তুলে নিচ্ছে জনগণের পকেট থেকে। বিষয়টা অনেকটা ফুটপাতের দাড়িয়ে ক্যানভাসের মজাদার কথা শোনার মত। একদিকে তাদের চটকদার কথা শুনবেন, পেছনে তাদের লোকই আপনার পকেট মেরে দেবে।
গতবারের অর্থমন্ত্রী জুয়ারী ছিলো না, কিন্তু তারপরও রিজার্ভে জনগনের কষ্টে জমানো অর্থের ৮১ মিলিয়ন ডলার চলে গিয়েছিলো ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে । আর এবার অর্থমন্ত্রী বানানো হলো পাক্কা বিপিএল জুয়ারীকে। এবার রিজার্ভের বাকি টাকাগুলো থাকবে তো ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, October 19, 2018

মোরগ লড়াই ও সাকিবের আঙ্গুল


গ্রাম বাংলায় এখনও অনেক স্থানে ‘মোরগ লড়াই’ খেলা দেখা যায়। দুইটা মোরগকে পরষ্পরের দিকে লেলিয়ে দেয়া হয় মারামারি করার জন্য। অবুঝ প্রাণী দুটো পরষ্পরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, আঘাত করে, দুই জন দুইজনকে মেরে রক্তাক্ত করে, আহত-নিহত করে। আর তাদের খুনোখুনি দেখে আনন্দিত ও বিনোদন প্রাপ্ত হয় জনগণ। অর্থাৎ জনগণকে আনন্দ দিতে নিজেরা রক্তাক্ত হতে থাকে মোরগগুলো। এ কারণে বিশ্বজুড়ে প্রাণীপ্রেমীরা মোরগ লড়াই, ষাড়ের লড়াইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলছে। তারা বলছে, জনগণকে সামান্য আনন্দ দেয়ার জন্য প্রাণীদের উপর এই নির্মমতা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে প্রাণীর উপর নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে।

খুব সহজ অঙ্কে হিসেব –
কেউ রক্তাক্ত হবে, আর তার বিনিময়ে কেউ আনন্দিত হবে।
আপনি বর্তমানে কালের ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার দিকে যদি তাকান তবে সেই মোরগ লড়াইয়ের ব্যতিক্রম কিন্তু দেখতে পাবেন না। শুধু ব্যতিক্রম, অবুঝ প্রাণী মুরগীর যায়গায় শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষকে দেয়া হয়েছে। সামান্য একটা ঢিল ছুড়লে মানুষ যখন ভয় পায়, তখন একটা ভারি বল প্রতিপক্ষের দিকে ছুড়ে দেয়া হচ্ছে। বলের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলো ছাড়িয়ে যাচ্ছে, ইচ্ছে করে দেয়া হচ্ছে বাউন্স। ব্যাটসম্যান সেটা ব্যাট দিয়ে মারছে, কিন্তু যদি মিস হয় তবে গায়ে আঘাত করছে। হাতে,পায়ে, মাথায়, বুকে, দুই পায়ের মাঝে প্যাড পড়ছে, তারপরও মিস হয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্লেয়ার ফিলিপ হিউজ বাউন্স সামলাতে না পেরে মারা গেলো। এরপর ব্যাট দিয়ে আঘাত করার পর সেটাও কোন প্লেয়ারের গায়ে লাগতে পারে। ছোটবেলায় মনে আছে, ঢাকায় খেলতে এসে বাংলাদেশী ক্রিকেটার অপুর পুলে মিডঅনের দাড়িয়ে থাকা ভারতীয় প্লেয়ার রমনলাম্বার মাথায় বলের আঘাত লেগেছিলো। ব্রেন হেমরাজে মারা গিয়েছিলো রমনলাম্বা।

বাংলাদেশের মানুষ খুব আবেগী, তারা বিনোদন আর বাস্তবতাকে আলাদা করতে জানে না। একবার এক খেলার পর কিছু মানুষ প্রচার করলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের মত। তখন মাশরাফী মোর্তজা শুধরে দিয়েছিলো। সে বলেছিলো, আমরা হচ্ছে এন্টারটেইনার। আমাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনা করা ঠিক না।

এন্টারটেইনারদের কাজ মানুষকে বিনোদন দেয়া। এজন্য সে তার জীবনকে ক্ষয় করে মানুষকে আনন্দ দিতে চায়। হয়ত এর বিনিময়ে সে কিছু টাকা পায়। বিষয়টা অনেকটা পর্নো অভিনেতা অভিনেত্রীদের মত। একটা খবরে পড়েছিলাম, যারা পর্নোগ্রাফীতে অভিনয় করে তাদের আয়ু খুব কম হয়। অর্থাৎ মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য তারা শরীরের উপর এমন সব মেডিসিন প্রয়োগ করে যা তাদের আয়ু হ্রাস করে।
এই আজকে সাকিব বলেন, মাশরাফি বলেন, তামীম বলেন আর মোস্তাফিজ বলেন, প্রত্যেকে কিন্তু একই কাজ করতেছে। কেউ ভাঙ্গা হাত নিয়ে, কেউ ভাঙ্গা পা নিয়ে খেলছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা তাদের জীবন ক্ষয় করে মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে। হয়ত অনেকে ‘স্যালুট’ দিচ্ছেন, ভাবছেন খুব মনে হয় দেশের জন্য বিরাট কিছু নিয়ে আসছে। কিন্তু মানবিক দৃশ্যকোন থেকে একটা চরম অন্যায় করা হচ্ছে। ঠিক যেভাবে মোরগ আহত হওয়ার পরও আমরা চাই তারা মারামারি চালিয়ে যায়, ঠিক সেইভাবে ক্রিকেটারদের আমরা স্যালুট নামক ‘পাম্প’ তাদের প্রতি নৃশংসতা করছি। আহত মুরগী জানে, আহত হলেও যতক্ষণ সে লড়তে পারবে, ততক্ষণ তার মালিকের কাছে তার দাম আছে। তার জন্য ভালো খাদ্য আছে। ঠিক তেমনি সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মোস্তাফিজরা জানে, যত আহতই হোক, যতক্ষণ সে খেলতে পারবে ততক্ষণ তার দাম আছে, তার ইনকাম আছে। একটু ইনজুরিতে পড়লে তার যায়গা আরেকজন দখল করে নেবে, তখন পাবলিকও তাদের ভুলে যাবে, তাকে দু্ইটাকা দিয়েও দাম দেবে না। ইনজুরীর জন্য কত ভালো প্লেয়ার হারিয়ে যায়, কত জন শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায়, কে কার খবর রাখে ? এই জন্য খেলার টাকা দিয়ে নামে বেনামে অন্য আয়ের পথ খুলে রাখে তারা।

আজকে বিশ্বে ইতর প্রাণীর প্রতি মায়া দেখিয়ে মোরগ লড়াই, ষাড়ের লড়াইয়ের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী হচ্ছে, কিন্তু মানুষের প্রতি মানুষের মায়া দেখিয়ে কবে ক্রিকেট-ফুটবল নামক খেলাধূলা বন্ধ হবে ? মানুষকে বিনোদিত করার জন্য কেন অপর মানুষ কেন রক্তাক্ত হবে, জীবন দিবে ? মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে এই সব ‘খেলা’ অবিলম্বে বন্ধ হোক।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ক্রিকেটে ভারতের জচ্চুরী নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যতটা সচেতন-ক্রিয়াশীল, তার চেয়েও নিষ্ক্রিয় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে


গত ২৮শে সেপ্টেম্বার শুক্রবার ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ৭ ফিলিস্তিনি, আহত ৫০৭। (https://bit.ly/2DEyrtl)

বাংলাদেশী মুসলমানদের উচিত ছিলো ফিলিস্তিনী ভাইদের হত্যাকাণ্ডে দুঃখিত হওয়া এবং প্রতিবাদ করা।
কিন্তু বাংলাদেশী মুসলমানরা ব্যস্ত আছে ক্রিকেট খেলায় লিটন দাসের ভুল স্ট্যাম্পিং এর ঘটনায় দুঃখিত হতে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে।

আসলে খেলা নামক বিষয়টার সফলতাটা এখানেই। আসল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে অপ্রয়োজনী ও অযথা ‘খেলো’ বিষয়ের দিকে মনযোগ ঘুড়িয়ে নিয়ে যায়। এজন্য খেলাকে অনেকে আফিমের সাথে তুলনা করে।
আফিম দিয়ে অপরেশন থিয়েটারে আহত রোগীর ব্যাথা ভুলিয়ে রাখা হয়।
বর্তমান যুগে মুসলমানরা অনেক কষ্টে আছে, সেই কষ্ট ভুলিয়ে রাখতে এবং দৃষ্টিপাত সরিয়ে দিতেই ঠিক তেমনি ব্যবহার করা হচ্ছে হচ্ছে ‘খেলা’ নামক বস্তুকে।

আপনি দেখবেন, খেলা লাইভ চলার সময় বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে কমেন্টে,
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কমেন্ট,
“আল্লাহ তুমি জিতিয়ে দাও”,
“আল্লাহ তুমি পারো সব কিছু করতে”,
“আল্লাহ তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না, শুধু এবার জিতিতে দাও”,
এভাবে জনগণ একবার খেলার সময় যতবার সৃষ্টিকর্তার নাম জপে, আমার তো মনে হয় ঐ লোক সারা বছরেও এতবার সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে না।

একইভাবে, ক্রিকেটে ভারতের জচ্চুরী নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যতটা সচেতন, যতটা ক্রিয়াশীল, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, নদীগুলোকে পানিশুন্য করাসহ যাবতীয় ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কি ততটা সক্রিয়? যদি ক্রিকেটের মত বাস্তব আগ্রাসন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সিকিভাগও সক্রিয় হতো, তবে অবশ্যই দেশটা আজকে অন্যরকম হতে পারতো। যে বাংলাদেশী লিটনের ভুল স্ট্যাম্পিং নিয়ে একের পর স্ট্যাটাস দিচ্ছে, সে কি জানে, তারমাত্র ১ দিন আগে ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি’ সিইপিএ-সেপা সাক্ষরিত হয়েছে, যার দরুণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে অংশীদারিত্ব লাভ করছে ভারত। ক্রিকেট খেলায় অন্যায় নিয়ে সে যতটা কষ্ট পেয়েছে, দেশ ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, এই খবরে কি সে সামান্যতম কষ্ট পেয়েছে ? (https://bit.ly/2InTUFm)

শুধু তা্ই নয়, মাত্র একদিন আগে,
-নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয় বলে রায় দিয়েছে ভারতীয় আদালত
(https://bit.ly/2y7XNd9)
-বাবরি মসজিদের জমি সরকার হুকুম দখল করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে ভারতীয় আদালত
(https://www.bbc.com/bengali/news-45666001)
এই অন্যায্য রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলমানরা কি কোন প্রতিবাদ জানিয়েছে ?

আপনাদের মনে থাকার কথা, আগের পোস্টে আমি পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের গবেষণাখাতে বরাদ্দ নিয়ে research and development (R&D) তালিকার কথা বলেছিলাম। সাধারণত যারা, সরকারিভাবে গবেষণার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সেই সব দেশের নাম এই তালিকায় ওঠে (https://bit.ly/2dLjLeE) ।

আপনি খবর নিয়ে দেখুন, ঢাকার পূর্বাচলে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। (https://bit.ly/2NOb8BL) অথচ সেই টাকার অর্ধেকও যদি গবেষণার জন্য ব্যয় করা হতো তবে অবশ্যই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হতে পারতো। অপরদিকে এ বছর যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রনালয়ের বাজেট দেড় হাজার কোটি টাকা, তার চারভাগের ১ ভাগও যদি গবেষণার জন্য ব্যয় করা হতো, তবুও বাংলাদেশ কিছু একটা হতো।

এতকিছু সমস্যার জন্য কাকে দোষ দেবেন ? সরকারকে ?
কখনই শুধু সরকারের দোষ দিতে পারবেন না। আমি সব সময় একটা কথা বলি, যে দেশের জনগণ যেমন, তার শাসক শ্রেনীও ঠিক তেমন। তাই বাংলাদেশের জনগণকে আগে ‘লাঠি দিয়ে বলে বারি’ দেয়ার মত অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মোহ ছাড়তে বলেন, এরপর দেখবেন দেশ ও জাতিকে উন্নত করা সম্ভব।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

শালার পাকিদের ক্রিকেট খেলায় হারিয়ে দিয়েছি। আমরা ওদের থেকে শ্রেষ্ঠ। - দাড়ান ভাই....

-দিয়েছি শালার পাকিদের হারিয়ে।
-ভাই কিসে হারায় দিছেন ?
-ক্রিকেট খেলায় হারিয়ে দিযেছি। আমরা ওদের থেকে শ্রেষ্ঠ।
-দাড়ান ভাই, ক্রিকেট খেলায় জিতলেই কি অন্য দেশের তুলনায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় যায় ?
-আপনি কি বলতে চান ?
-আমি বলতে চাই, ক্রিকেট খেলা দিয়ে একটা দেশ শ্রেষ্ঠ না পেছনো তা প্রমাণিত হয় না। বরং একটা দেশ জ্ঞান, গবেষণা ও শক্তিতে কতটা এগিয়ে সেটা দিয়ে একটা দেশের মর্যাদা নির্ধারিত হয়। এ সম্পর্কে কি আপনার কোন ধারণা আছে ?
- ধুর বা০... পাকনামি বাদ দেন তো।
-আহ! হা ! এত অধৈর্য্ ই হচ্ছেন কেন ? একটু মনযোগ দিয়ে শুনুন। গবেষণা সেক্টরে ব্যয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে research and development (R&D) নামক যে তালিকা আছে তাকে পাকিস্তানের নাম ৪২ নম্বরে থাকলেও বাংলাদেশের নাম সেই লিস্টে এখনও উঠেই নাই। (https://bit.ly/2ORCVxL) যদি পারেন তবে বাংলাদেশের নাম R&D লিস্টে উঠায় দেখান। পারলে এই লিস্টে পাকিস্তানের সাথে প্রতিয়োগীতা করেন, ক্রিকেট খেলায় না।
এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনী রাষ্ট্রের তালিকায়ও আছে বাংলাদেশ। সেখানেও পাকিস্তানের পেছনে আছে বাংলাদেশ (https://bit.ly/2xL8kvf)। পারলে ক্রিকেটে প্রতিযোগীতা না করে সেখানে প্রতিযোগীতা করেন।
পৃথিবীতে পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ৬ষ্ঠ শক্তিশালী রাষ্ট্র পাকিস্তান। এক্ষেত্রে ইসরাইল ও ভারতের থেকেও এগিয়ে তারা। (https://bit.ly/1Ix4LnQ) পারলে পরমাণু অস্ত্রের নিজস্ব উদ্ভাবন দিয়ে পাকিস্তানের সাথে প্রতিযোগীতা করেন, ক্রিকেট দিয়ে না।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী করেছে শাহীন-৩ মিসাইল, যার রেঞ্জ ২৭৫০ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশ চীন থেকে নিয়ে এসেছে ‘এফএম ৯০’ যার রেঞ্জ মাত্র ১৫ কিলোমিটার। পারলে পাকিস্তানের থেকে বেশি রেঞ্জের মিসাইল বানায় দেখান, ক্রিকেট খেলায় না।”
ধরুণ,
একটা দুষ্টু সব দুষ্টুকে হারিয়ে দিয়েছে,
সেই অকাজ করা দুষ্টু কি নির্দেশ করবে ? উন্নয়ন বা অবনমন ?
আমি তো বলবো, এতদিন ‘খেলায়’ ভালো করে পাকিস্তান পিছিয়ে ছিলো, এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে জিতে গিয়ে নির্দেশ করছে বাংলাদেশে খারাপ হয়ে গেছে, খেলো বা অপ্রয়োজনীয় বস্তুতে বেশি মেতে উঠেছে ।
খেলাকে কেন্দ্র করে গালাগালি মারামারি শত্রুতা করাতো রাস্তার টোকাই শ্রেণীর কাজ।
যখন দেখবো, বাংলাদেশের মানুষ গবেষণা আর আবিষ্কারে পিছিয়ে পড়লে হা-হুতাশ করছে আর এগিয়ে গেলে উল্লাস করছে, তখন বুঝবো বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হয়েছে। মনে রাখবেন, এখন যেসব শাসক সম্প্রাজ্যবাদীদের নেটওয়ার্কে চলে তারা চায় মানুষ ‘খেলা’ নামক আফিম নিয়ে মেতে থাকুক, সেসুযোগে তাদের দুর্নীতি করতে সুবিধা হবে।
আমি এমন একটি প্রজন্ম চাই,
যারা সম্রাজ্যবাদীদের বেধে দেয়া মানসিকতা থেকে বের হয়ে উল্টা চিন্তা করতে পারবে।
যারা গবেষনা আর আবিষ্কার নিয়ে প্রতিযোগীতা করবে, উল্লাস প্রকাশ করবে। ‘খেলা’ নিয়ে নয়।
তাদের দিয়ে গঠিত হবে ‘তৃতীয় শক্তি’। ঐ প্রজন্মের অপেক্ষায়...

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, July 3, 2018

৩টা ছবির মধ্যে মিল খোঁজার চেষ্টা করছি

১-নম্বর ছবিটা নেদারল্যান্ডের এমপি গ্রিট ওয়াইল্ডার্সের। গ্রিট ওয়াইল্ডার্স কিছুদিন আগে মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগীতার করার ঘোষণা দেয় (https://ind.pn/2JME22D)। যদিও তার এই কর্মকাণ্ড এই প্রথম না। এর আগেও এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। তবে লক্ষণীয় হলো, এর আগে বাংলাদেশে এ বিষয়টি নিয়ে বেশ প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু এবার তেমন কোন প্রতিবাদ চোখে পড়লো না।

২- নম্বর ছবিটা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলা কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুর উপর ছাত্রলীগের হামলার ছবি। ছবি বলে দিচ্ছে, কতটা নৃশংস ও জনবিরোধী হয়ে উঠেছে সরকার । আসলে কোটা নিয়ে আন্দোলনে ছিলো গণমানুষের আন্দোলন, আর নুরু ছিলো সেই গণমানুষের আন্দোলনের নেতা। কিন্তু গণমানুষের আন্দোলনের নেতা হওয়ার পরও গণমানুষ তার নেতার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। তার নেতাকে মারা হলো কিন্তু গণমানুষ তার প্রতিবাদে কিছু করবে না, কারণ গণমানুষের সে শক্তি নেই। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের সাহসও পেয়েছে, কারণ তারা জানে, বর্তমানে গণমানুষ বা তার ইচ্ছার কোন দাম নাই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গণমানুষের কোন দরকার নাই। আছে বিদেশী ইহুদীবাদীদের দরকার। তাদেরকে খুশি রাখলেই হলো। আর গণমানুষকে ধিরে ধিরে মেরে ফেললেই হলো। গণমানুষ কিছুই করতে পারবে না।

৩- নম্বর ছবিটা আজকে ব্রাজিলের জয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে তোলা (https://bit.ly/2lNaJz2)। যে টিএসসিতে সকাল বেলা কোটা আন্দোলনের নামা ছাত্ররা সংখ্যালঘু হয়ে পিটুনি খেলো, সেই টিএসসিতেই ব্রাজিলের খেলা দেখতে জমা হয়েছে অনেক ছাত্র। তাদের উল্লাসও দেখে কে !!

কিছু বিষয় জেনে রাখুন:

----মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধকে জিহাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উব্ধুদ্ধ করতে ধর্মীয় চেতনা ব্যবহার করেছে নেতৃস্থানীয়রা। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করতো এবং সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতো। এ থেকে বোঝা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ধর্মীয় চেতনা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মীয় চেতনা মানুষকে নিজ স্বার্থকে ক্ষুদ্র করে জাতিকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা দান করে । অপরদিকে ধর্মীয় চেতনাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক করে তোলে এবং জাতিগত চেতনা ভুলিয়ে নিজ আনন্দ-খুশি-স্বার্থকে বড় করে দেয়।

----আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যখন মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়টি ব্যাপকভাবে শুরু হয়, তখন বিষয়টির মূল কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছিলাম। “মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে ইহুদীবাদীদের কি লাভ ? ” এটা নিয়ে স্ট্যাডি করেছি। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে কয়েকটি মূল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো: এই সব ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তারা মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা পরিমাপ করে। মুসলমানদের শেষ নবী হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মের মূল, তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও যখন মুসলমান চুপ থাকে, বা অনুভূতিহীন হয়, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা শূণ্যের কোঠায়। ইহুদী্বাদীরা চায় সারা বিশ্ব করায়ত্ব করতে। কিন্তু এর প্রধান বাধা ‘ইসলাম’। কারণ ইসলাম ধর্ম ও তার চেতনাই পারে ইহুদীবাদ ঠেকিয়ে দিতে। সেই চেতনা যখন শূণ্যের কোঠায় পৌছাতে থাকে, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, এবং এখন খুব সহজেই তাদের উপর দখল, নির্যাতন, সম্পদ লুটপাট করা যায়। মুসলমানরা হয়ে ওঠে ঢাল তলোয়ার বিহীন সৈণ্যের মত, তাকে যা খুশি তাই করা যায়।

--কোটা আন্দোলনে লোক কমে যাওয়া এবং ফুটবল খেলায় লোক বৃদ্ধি পাওয়া হচ্ছে, মোরালি ডেস্ট্রয় হওয়ার রেসাল্ট। শাসক শ্রেণী ইহুদীবাদীদের শেল্টারে জনগণ শোষণ করে স্বার্থ নিবে এবং একটা অংশ ইহুদীবাদীদের নিকট পৌছাবে। এজন্য প্রয়োজনে জনগণের উপর নির্যাতন চালানো লাগতে পারে। কিন্তু একবারে সবার উপর নির্যাতন করা কঠিন, তাই তাদের ডিভাইড করতে হবে। তারা এক দলকে নিপীড়ন করবে, আর বাকিদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে, যেন তারা প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না করতে পারে। আজকে যাদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে তারাও যে বাঁচবে বিষয়টি সেরকম না। একে একে সবাইকে ধরা হবে। কিন্তু কেই কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারণ একদলকে ধরা হবে, অন্যদলকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে। তাই তারা একত্র হতে পারবে না।
মনে রাখবেন, ইহুদীবাদী ও তাদের দোসররা একটা সিন্ডিকেট। তারা আপনার উপর ফিজিক্যাল ও সাইকোলোজিক্যাল আক্রমণ চালাবে। আপনার পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করবে। আপনি নিজে যদি তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখেন এবং পাল্টা সিন্ডিকেট তৈরী করে তাদের প্রতিহত না করতে পারেন, তবে খুব সহজেই তাদের কাছে ধরা খাবেন এবং সেটাই হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, July 1, 2018

খেলা এমন একটা নেশা যা পুরো জাতির চিন্তা-ভাবনা-মান-সম্মান সব নষ্ট করে দেয়।


আমি একটা কথা সব সময় আপনাদের বলি,
আমি আজকে আপনাদের যা বলছি, তা আজকে হয়ত আপনারা নাও বুঝতে পারেন। কিন্তু একদিন না একদিন ঠিকই বুঝতে পারবেন।
আমি শুরু থেকেই খেলাধূলার বিরুদ্ধে । আমি আগেও বলেছি, এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন কোন শত্রু রাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর আক্রমণ করবে, আর সেই দিন বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা পড়বে। বাংলাদেশের সব মানুষ বলবে- হামলা করলে করুক, আগে খেলা, পরে সবকিছু।
খেলার বিরুদ্ধে বলায় আমাকে কম মানুষের কটুকথা শুনতে হয়নি। কিন্তু আজকে সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের উপর এত প্রেসার দেয়ার সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে। কারণ তরুণ সমাজ আজ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে ব্যস্ত, তাদের মাথায় মেসি আর নেইমার ঘুড়ছে। অন্যকিছু চিন্তা করার সুযোগ কোথায় ?
আজকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অসহায়ের মত পালিয়ে এসেছে। কেন তারা কি কোন প্রতিরোধ করতে পারতো না ? এখনও কি তারা কিছু পারে না ??
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে খবর নিয়ে দেখুন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬০টার মত ফুটবল ক্লাব বা টিম আছে। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জার্সি, বুট, পড়ে সারাদিন ফুটবল খেলায় মত্ত। এক টিম আরেক টিমকে ফুটবল খেলায় হারানোর চেষ্টা করতেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফুটবল খেলাই তাদের কাজ।
এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার আগেও নিশ্চয়ই মায়ানমারে ফুটবল খেলতো। ওদের উপর যখন যুলুম নির্যাতন চলতো, তখন তাদের নিশ্চয়ই ঐ দিকে খেয়াল দেয়ার সুযোগ ছিলো না। কারণ খেলাটা তাদের কাছে আগে। এখন তাদের মা-বোনকে ধর্ষণ করে, বাবাকে গুলি করে হত্যা করে গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তারপরও নিলর্জ্জগুলো বাংলাদেশে এসে ফুটবল খেলতেছে। ছি:। খেলা এমন একটা নেশা যা পুরো জাতির চিন্তা-ভাবনা-মান-সম্মান সব নষ্ট করে দেয়।
তবে ভালো লক্ষণ, ইতিমধ্যে অনেকেই খেলার কুফল সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তবে আরো সচেতনতা সৃষ্টির দরকার আছে। অন্যান্য আন্দোলনের সাথে ‘খেলা’ নামক বিভ্রাটকেও বর্জন করতে ডাক দিতে হবে। ক্রিকেট-ফুটবলসহ সব ধরনের খেলা নিষিদ্ধ করতে হবে। আমি জানি, অনেকের খারাপ লাগতে পারে, তবুও বলবো- বাংলাদেশের নিকট ভবিষ্যতে খুব খারাপ সময় অপেক্ষা করতেছে। তাই খেলা ফেলে এখনও সময় আছে সচেতন হোন। রোহিঙ্গাদের মত নিঃস্ব হওয়ার আগে খেলা ফেলে বাস্তবে ফিরে আসুন। নয়ত পুরো জাতির ধ্বংস ছাড়া আর কিছু দেখতে পারবেন না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, June 4, 2018

নির্মল (!) বিনোদন ফুটবল-

২০১৮ বিশ্বকাপ উপলক্ষে গত কয়েকদিনের খবর:
১) পতাকা টাঙাতে গিয়ে আর্জেন্টিনাভক্তের মৃত্যু (https://bit.ly/2JaAGa2)
২) ব্রাজিলের পতাকা টাঙাতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু (https://goo.gl/P6kbgP)
৩) নারায়নগঞ্জে আর্জেন্টিনা সমর্থক বাবা-ছেলেকে কুপিয়েছে ব্রাজিল সমর্থকরা (https://goo.gl/HxTnb7)
৪) রাউজানে আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত যুবক হাসপাতালে (https://bit.ly/2JijZW8)
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময়:
১) লালমনিরহাটে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ (https://bit.ly/2kMCM12)
(২) মুন্সিগঞ্জে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫। (https://bit.ly/2kEljrN)
(৩) সিরাজগঞ্জে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক। (https://bit.ly/2JgjS0D)
(৪) নেত্রকোনায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৫০। (https://bit.ly/2LN1ZVq)
(৫) গোপালগঞ্জে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫। (https://bit.ly/2H9242n)
(৬) চাপাইনবাবগঞ্জে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষ। (https://bit.ly/2H85KBw)
(৭) কিশোরগঞ্জে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫। ( https://bit.ly/2Ldgn8z)
(৮) নাটোরে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২ (https://bit.ly/2kFxZyE)
(৯) বরিশাল পলিটেকনিকে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সমর্থক সংঘর্ষ। (https://bit.ly/2Lc2ibq)
(১০) যাত্রাবাড়ীতে আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু। (https://bit.ly/2H9Ldwh)
(১১) বাড্ডায় আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে ছাত্রের মৃত্যু। (https://bit.ly/2H8fM5x)
(১২) আদাবরে আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু। (https://bit.ly/2JhNdrs)
২০১০ বিশ্বকাপ :
১) বিশ্বকাপ: সংঘর্ষ এড়াতে বুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ (https://goo.gl/xc34nU)
(২) গৌরনদীতে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থক দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ, রক্তাক্ত জখম। (https://bit.ly/2JeA9TR)
(৩) ময়মনসিংহে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ। (https://bit.ly/2L9Mjuk)
কয়েকদিন আগে চেতনাওয়ালা আরিফ জেবতিক পতাকার বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে বললো: “খেলা নিয়ে উন্মাদন একটা সুস্থ বিনোদন, এটা আদালতে টেনে নেয়া অসুস্থতা” (https://goo.gl/WLkTvG)
একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অসুস্থ বলে কি দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে হেয় করলো কি না, সেটা পরের বিষয়, কিন্তু আমার কথা হলো, উন্মাদনা শব্দটার সাথে সে সুস্থ শব্দটা যোগ করলো কোন যুক্তিতে ?
আসলে, ‘খেলাধূলা মানে নির্মল বিনোদন’ এই মিথ্যা কথাটা আমাদেরকে পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীরা শিখিয়ে দিয়েছে, আর আমরাও সেগুলো মুখস্ত আওড়িয়ে থাকি। কিন্তু ইতিহাস বা বাস্তবতা কোটাই সেই নির্মলতার সাথে মিল খায় না। খোদ পশ্চিমাতেই ফুটবল খেলা নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা মৃত্যু কম নয় (https://goo.gl/CrxcVc)
একটি সামাজিক গবেষণায় পাওয়া যায়, ফুটবল খেলার জন্মই হয়েছে সংঘর্ষ করার জন্য, ১৩০০ সনে বিভিন্ন গ্রাম বা গোত্রের মানুষরা তাদের শত্রুতা মেটাতো ফুটবল খেলার মাধ্যমে সংঘর্ষ করে। ধরুণ, এক গ্রামের কারো সাথে অপর গ্রামের অন্যকারো জমি নিয়ে শত্রুতা রয়েছে সে তখন একটি ছুটির দিন ফুটবল খেলা ডেকে সংঘর্ষ করে তাদের শত্রুতা মিটিয়ে থাকতো। উল্লেখ্য মদ্যপান করা এবং সংঘর্ষ করা ফুটবল খেলায় ব্যাপক প্রভাব রাখে, এসব ছাড়া ফুটবল খেলা হয় না।
Phillip Stubbs তার ১৫৮৩ এর একটি বই The Anatomy of Abuses এ লেখে-
"আমি তোমাদের কাছে প্রতিবাদ করি, এটি(ফুটবল খেলা) একটি খেলা বা বিনোদন নয় বরং এক ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ যুদ্ধ বলা যেতে পারে - একটি বন্ধুত্বপূর্ণ খেলাধুলা বা আহ্লাদ চেয়ে এটি একটি রক্তাক্ত এবং সংঘর্ষিক আহ্লাদ"
(সামাজিক গবেষণার সূত্রঃ http://goo.gl/7zqEEhttp://goo.gl/5vVhq5 , http://goo.gl/nLGM1Lhttp://goo.gl/TJlS9N)
কথায় বলে, “একেতে নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি।”
তরুণ প্রজন্ম আবেগী হয়, এটা সবার জানা, তার উপর যদি খেলা দিয়ে তাদের উন্মাদনাকে প্রমোট করা হয়, তবে এটা পুরো দেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব করতে পারে, যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। টিএসসিতে একটি মেয়ে নিপীড়িত হওয়ার কারণে যদি থার্টিফার্স্ট নাইটে বিধি নিষেধ আসতে পারে, তবে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে এতগুলো ঘটনার পরও কেন বিধি নিষেধ আসবে না, সেটা এখন জরুরী প্রশ্ন।





===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------