Showing posts with label মুসলমানদের কোরবানী. Show all posts
Showing posts with label মুসলমানদের কোরবানী. Show all posts

Friday, October 19, 2018

রাস্তা বন্ধ করে কোরবানী করা যাবে না কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে পূজা করা যাবে


কোরবানী ঈদ আসলেই একটা কথা বাংলাদেশের সরকার-প্রশাসন ঘোষণা করে। বলে, “রাস্তা বন্ধ করে কোরবানী করা যাবে না”। যদিও, কোরবানীর ঈদে সরকারি ছুটি থাকুক এবং কোরবানী করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগুক না কেন। তবুও এ ধরনের একটা ঘোষণা প্রতি বছর আমরা মিস করি না।
অথচ রাস্তা বন্ধ ৫দিন ব্যাপী পূজা হচ্ছে, এখন কিন্তু সরকার প্রশাসন একেবারেই চুপ। বরং তারা পুলিশ নিয়োগ করেছে, কেউ যদি বিরক্ত ফিল করে ভাব প্রকাশ করে, তবে তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়। ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়িসহ অনেক স্থানে ৫দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে পূজা হচ্ছে, পূজার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, কিন্তু তারপরও সবার চোখ-কান-মুখ বন্ধ।
আওয়ামী সরকারের হিন্দুয়ানী সব পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনা নিজেই পারলে ‘কলেমা’ ভুলে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ বলে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের থেকে বাংলাদেশে পূজা বেশি হয়, ভারতীয় হিন্দুরা বাংলাদেশে আসে জমজমাট পূজা দেখতে।
খোদ মোদি দূর্গা মূর্তি চেনে না, আজকে টুইটারে দূর্গা পূজা শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে কালী মূর্তির ছবি পোস্ট করেছে মোদি। অথচ বাংলাদেশে দূর্গামূর্তিকে আদাব দিয়ে তাকে সার্বজনিন হিসেবে ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনা।
ভারতে মূর্তি সাইজ প্রশাসন নির্ধারণ করে দিছে, বাংলাদেশে অবাধে মূর্তির সাইজ বড় করতে পারে। ভারতে সব নদীতে মূর্তি ডুবানো যায় না, বাংলাদেশে হিন্দুরা যত খুশি তত মূর্তি যেখানে খুশি সেখানে ডুবাতে পারে। বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় বানানো হয়েছে পূজার গেট, সেখানে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তির ছবি। আর বাংলাদেশের মুসলিমরা সেই মূতির পায়ের নিচে দিয়ে আসা যাওয়া করছে অবাধে, যদিও ইসলাম ধর্মবেত্তাদের মতে হিন্দুমূর্তির পায়ের নিচ যাওয়া চরম ধর্মবিরোধী।
ভারতে দূর্গা পূজা উপলক্ষে ১ দিন ছুটি, আর বাংলাদেশে হিন্দুরা ৩ দিন ছুটি চায়, নয়ত অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় (কয়েক বছর আগে প্রেসক্লাকে এই হুমকি দেয় গোবিন্দ্র প্রামাণিক)। সুপ্রীম কোর্ট দূর্গা পূজায় বন্ধ থাকে ২ দিন। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি বন্ধ থাকে ২ সপ্তাহ।
এক কথায় বলতে, ভারতের থেকে বাংলাদেশকে অধিক হিন্দুরাষ্ট্র বানিয়ে ফেলতে শেখ হাসিনার আষ্কারার তুলনা নেই।
কিন্তু যত যাই করুক, হিন্দুরা কিন্তু শেখ হাসিনাকে মারতে ওত পেতে আছে। আমি ৩ বছর আগেই বলেছিলাম এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি বানানো হচ্ছে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ভুল, কারণ সে সিআইএ’র এজেন্ট। কিন্তু আমার কথা না শুনে শেখ হাসিনা অতি হিন্দুপ্রীতিতে সিনহাকে প্রধানবিচারপতি বানিয়ে দেয়। যার ফল এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।
এখনও শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় শত্রু গণফোরাম। সেই গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি হচ্ছে উগ্রহিন্দু সুব্রত চৌধুরী।
হেপী বড়াল নামক এক হিন্দু নম:শূদ্র মহিলাকে বাগেরহাটের এমপি বানিয়েছে শেখ হাসিনা। অথচ তার ভাতিজা শিপন কুমার বসু সকাল বিকাল শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়, যোগ দিয়েছে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার মোসাদের সঙ্গে।
আপনি হিন্দুদের যত তোষণ করবেন, তারা তত আপনার ঘাড়ে চড়বে এটাই নিয়ম।
আর হিন্দুদের একটা জাত স্বভাব হচ্ছে, তারা “যেই পাতে খায়, সেই পাতে হাগে”।
পোষকের সাথে বেঈমানি করা হিন্দুদের ইউনিভার্সাল স্বভাব।
অনেকে হয়ত ভাবে,
হিন্দুদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কিছু করলে ভারত না-খুশি হবে।
এটা ভুল কথা এবং আওয়ামীলীগের মিথ্যা বিশ্বাস।
হাসিনার নেটওয়ার্ক ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে, যা রুশ-চীন ব্লকের সাথে জড়িত।
আর বাংলাদেশের উগ্রহিন্দুরা কন্ট্রোল হয় আমেরিকার নেটওয়ার্কে।
তাই আওয়ামীলীগ যদি হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন একশনে যায়, তবে মার্কিনপন্থী নাস্তিক দমনের সময় আমেরিকা যতটুকু চিল্লাচিল্লি করছিলো, ঠিক ততটুকু চিল্লাচিল্লি হবে, এর বেশি কিছু না।
আর যদি শেখ হাসিনা হিন্দুদের তোষণ করতে থাকে, তবে তা হবে শত্রুকে তোষণ করে শক্তি আরো বৃদ্ধি করা। আর তার ফলাফল একসময় হিন্দুরাই শেখ হাসিনার ঘাড় মাটকাবে।
শিপন কুমার যে ফাঁসিতে ঝুলানোর হুমকি শেখ হাসিনাকে বার বার দিচ্ছে, সেটাই এক সময় কার্যকর হবে।
আমি যা বললাম, সত্য হয় কিনা লিখে রাখেন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, August 19, 2018

“উন্মুক্ত স্থানে পূজা হলে”, উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?


রাস্তার ওপর পশু কোরবানি দেবেন না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছে, আমরা ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট দুই হাজার ৯৩৬টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু কোরবানীর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। কোন রকম খোলা স্থানে কুরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না।
(https://bit.ly/2MnSAaLhttps://bit.ly/2MpM4Az)
মদখোর মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের কথাগুলো খেয়াল করুন-
১) রাস্তায় কোরবানি দেবেন না। অথচ সিটি কর্পেরেশন থেকে নির্ধারিত স্পটগুলো দেখুন ৯৯% স্পটই হচ্ছে রাস্তা। এর কারণও আছে ঢাকা শহরে রাস্তা আর খালি যায়গা কোথায় ? (https://bit.ly/2MXzF33)
২) ১১ সিটিতে স্পট হইছে ২৯৩৬টা, তারভাষ্য মতে এটা নাকি কোরবানি করার জন্য যথেষ্ট। ধরে নিলাম ১১ সিটি কোরবানি হয় ১ কোটি। তাহলে প্রতি স্পটে কোরবানি করতে হবে ৩ হাজারের মত। অথচ সিটি কর্পোরেশন থেকে সামিয়ানার সাইজ দেখুন, সর্বোচ্চ একটি স্পটে ১০টি কোরবানী করা যাবে (https://bit.ly/2BnFQMq)।
তাহলে বাকি ২৯৯৫টি কোরবানী করবে কোথায় ?
৩) খোলা স্থানে কোরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না : মোশাররফ
কিন্তু কেন ?
খোলা স্থানে কোরবানীতে হঠাৎ সমস্যা হচ্ছে কেন ?
বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেন মুসলমানদের কোরবানীর বিরুদ্ধে বলতে হবে ?
বাংলাদেশের হিন্দুরাও তো পূজা করে ?
সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার মণ্ডপ হয়, পতিতালয়ের মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়, কয়েক লক্ষ মূর্তি পানিতে ডুবিয়ে পানি দূষণ করা হয়, তখন তো মোশাররফ বলে না, আমরা “উন্মুক্ত স্থানে পূজাকে সমর্থন করি না”, তাহলে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?
ক্ষমতার জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, বেয়াই মোশররফের এ বক্তব্য তার প্রমাণ। মোশররফের বোঝা উচিত, যে পশ্চিমা বিদেশী শকুনীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মের বিরোধীতা করছে, সেই বিদেশীরা কিন্তু তাদের পশ্চাতে বাশ দিয়ে রেখেছে কখন সুযোগ পেয়ে সবগুলোকে জেলে পুরে ফাঁসিতে ঝুলাবে। যারা জনগণের প্রাপ্য নষ্ট করে বিদেশী দালালি করে, তাদের শেষ পরিনতি মীর জাফরের মত হয়, ইতিহাস তার সাক্ষী।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, July 20, 2018

কোরবানীর উপর ট্যাক্স কেন ?

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকার কি এতটুকু ভর্তুকী দিতে পারে না ??
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা। এই ঈদে মুসলমানরা পশু কোরবানী করে। এই পশু ক্রয় করা হয় হাট থেকে। এই হাটগুলোর বেশিরভাগ হয় অস্থায়ী হাট। এই অস্থায়ী হাটের স্থানগুলোতে সরকার ইজারা দেয়। এই ইজারার জন্য সরকার দরপত্র আহবান করে। এর মাধ্যমে যে খুব বেশি লাভ হয় তা নয়। ঢাকায় হাটগুলোতে সরকার ২০ কোটি টাকার মত রাজস্ব আয় করতে চায়। কিন্তু সিন্ডিকেটগুলো টেন্ডার ড্রপ আটকে রাখে, এবং নামমাত্র ইজারায় হাটগুলো নেয়। এবার ২০টি হাটের জন্য ইজারামূল্য প্রস্তাব এসেছে মাত্র ১২কোটি টাকার মত। (https://bit.ly/2NW3AcN)
আমার কথা হলো, সরকার তো অনেক যায়গায় ভতুর্কি দেয়-
পূজা মণ্ডপগুলোতে শত কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়,
বৌদ্ধ প্যাগোডাগুলোতে ভর্তুকি দেয়
তাহলে মুসলমানদের কোরবানির হাট থেকে কেন ট্যাক্স (ইজারা) আদায় করতে হবে ?
এই সামান্য করা টাকা কি ভর্তুকি দেয়া যায় না ?
সরকারের এই ইজারা নামক ট্যাক্সের কারণে হাটগুলো নেয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী টাইপের লোকজন। এরপর প্রতি বছর সেটা নিয়ে হয় খুনোখুনি। এছাড়া প্রত্যেক পশুর বিক্রয়মূল্যের ৫-১০% পর্যন্ত হাসিল আদায় করা হয়। এই অ্যামাউন্টটা একটা বড় টাকা। সারা বাংলাদেশে হাসিলের এই মূল্য ২ হাজার কোটি টাকার মত হতে পারে। যা সরকারদলীয় যুবলীগ-আওয়ামীলীগের পকেটে যায়। এটা এক দৃষ্টিতে কোরবানীর উপর চাদাবাজি, যা সরকার তার দলীয় লোকজনকে করার সুযোগ করে দেয়।
এটা ঠিক প্রত্যেকটা হাট করতে ও রক্ষনাবেক্ষণের জন্য কিছু খরচের দরকার।
কোরবানী উপলক্ষে সরকার সেটা ভর্তুকী দিয়ে দিক।
ঢাকা শহরে যদি ২০টা হাট হয়, তবে ভর্তুকি সর্বোচ্চ ২০কোটি টাকা দিতে হবে, এর বেশি না। পুরো দেশ হিসেব করলে সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ কোটি টাকা হবে।
কিন্তু এই টাকাটা সরকার দিলে হাসিলের নামে জনগণকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে না,
ফলে পশুর মূল্য কমে যাবে। এবং হাটকে কেন্দ্র করে মারামারি খুনোখুনিও হবে না।
যে দেশে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হয়, সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ পালনের জন্য কেন ট্যাক্স দিবে ? হিন্দুদের মূর্তি বানাতে তো ট্যাক্স দিতে হয় না। তাহলে মুসলমানদের কোরবানীর পশু ক্রয় করতে কেন ৫-১০% ট্যাক্স/চাদা দিতে হবে ?
কোরবানীর মাধ্যমে তো পুরো দেশ লাভবান হচ্ছে, তাহলে আলাদা করে ট্যাক্স আদায় কেন ?
কোরবানীর সময় লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়, বিদেশ থেকে প্রচুর রেমিটেন্স আসে।
২০১৬ সালে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে দেশের অর্থনীতিতে যোগ হয়েছিলো দেড় লক্ষ কোটি টাকা, যা এ বছর আরো বৃদ্ধি হওয়ার কথা। (https://goo.gl/AmESYJ)
আমার মনে হয় জনগণের দাবী তুলতে হবে,
কোরবানীর উপর ট্যাক্স নেয়া চলবে না। হাসিল/ইজারা বাতিল করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশুর জবাইয়ের স্থান নিয়ে ষড়যন্ত্র কবে থেকে ?



বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়ে প্রথম প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র হয় ২০০৫ সালে।
বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী উকিল মনজিল মোর্শেদ প্রথম হাইকোর্টে একটি রিট করে, হাটের সংখ্যা হ্রাস ও কোরবানীর স্থান নির্দ্দিষ্ট করতে। (https://bit.ly/2zLndkQ)

২০০৫ সালে করা রিটে কোর্ট থেকে রুল পায় ২০০৯ সালে।
এরপর সেই রুলের দোহাই দিয়ে সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য মিডিয়াগুলো নিউজ করতে থাকে। সাথে থাকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা),
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর মত সিআইএপন্থী এনজিওগুলো।

দৈনিক প্রথম আলোর হাট বিরোধী খবরগুলো দেখুন-
১) রাজধানীর পশুর হাট শুরু হয়েছে সময়ের আগেই (https://bit.ly/2JxNhPK)
২) বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করুন : হাসপাতালের পাশে পশুর হাট (https://bit.ly/2LfO6BX)
৩) আরমানিটোলা মাঠ : এই মাঠে কেন পশুর হাট? (https://bit.ly/2NTyMtb)
৪) বড় বিড়ম্বনা রাস্তায় পশুর হাট (https://bit.ly/2Nn6JkQ)
৫) স্কুলমাঠে গরুর হাট, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ (https://bit.ly/2Nsn1cb)
৬) স্কুল ছুটি দিয়ে গরুর হাট! (https://bit.ly/2O0CuB1)
৭) ছাগলের গন্ধে স্কুল বন্ধ! (https://bit.ly/2mrxOro)

সিআইএপন্থীদের চাপের মুখে ২০১৫ সালে আওয়ামী সরকার কোরবানীবিরোধী দাবিদাওয়াগুলো মেনে নেয়। এবং ঐ বছর থেকে ঘোষণা দেয় হাটগুলো ঢাকার বাইরে সরিয়ে দেয়ার এবং কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার।
খবর-
ক) কম জনবহুল এলাকায়যাচ্ছে অস্থায়ী পশুর হাট (https://bit.ly/2Lt7Wq6)
খ) পশুরহাট এবার মূল শহরের বাইরে (https://bit.ly/2JwXSuu)
গ) এবার রাজধানীর বাইরে কোরবানির পশুর হাট বসছে (https://bit.ly/2moC8rp)
ঘ) স্কুল-কলেজ মাঠে পশুর হাট না বসানোর নির্দেশ এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের (https://bit.ly/2LsOSZd)
ঙ) ব্যস্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট না বসাতে পুলিশের চিঠি (https://bit.ly/2L1lBIG)

তবে মুসলমানদের তীব্র বিরোধীতার মুখে কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পণ্ড হয় , কিন্তু কোরবানির হাটগুলো বাইরে রয়ে যায়। এক্ষেত্রে তারা প্রথম টার্গেট করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । হাটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় বসিলা, ভাটারা, দক্ষিণখানসহ মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে (https://bit.ly/2L1pEVz)। মোটামুটি শহরের ভেতরে ছিলো আফতাবনগর হাট। প্রশাসন এবার আফতাবনগর হাট তুলে তেজগাও পলিটেকনিক মাঠে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।(https://bit.ly/2mpzrWw)
যদিও আফতাবনগর একটি বিরাট হাট, যার সাথে অন্যহাটের তুলনা চলে না। ১০টা পলিটেকনিক মাঠ এক হলেও আফতাবনগরের হাটের সমান হবে না।

ঢাকা উত্তরের হাটগুলো বের করে দিতে পারলেও ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো এখনও বের করে দিতে পারে নাই। এখনও ঢাকা দক্ষিণের অনেক হাট শহরের মধ্যে আছে। এখন সিআইএপন্থীরা আন্দোলন শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো বাইরে বের করে দেয়ার জন্য। সাথে পশু জবাইয়ের স্পট নির্ধারণ করতেও দাবী তুলছে তারা। (https://bit.ly/2NYy3a7)

তবে শুধু সিআইএপন্থীরা নয়, আওয়ামীলীগ-যুবলীগের একটি মহল এখানে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তারাও সিন্ডিকেট করে চায় হাটের সংখ্যা কমাতে, কারণ তারা ভাবে একটি হাট বন্ধ হলে অন্যহাটে গরু বিক্রি বাড়বে। যদিও ‘এক হাট বন্ধ হলে অন্য হাটে পশু বিক্রি বাড়বে’ আসলে এটা বৃহৎ পরিসরে ভুল তত্ত্ব। কারণ যারা হাট বন্ধের উস্কানি দিচ্ছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য কোরবানী হ্রাস বা বন্ধ করা। এতে প্রথম কয়েকদিন লাভ হলেও একটা পর্যায়ে পশু কোরবানী হ্রাস পাবে, ফলে হাটের ইজারাদারদের লাভও হ্রাস পাবে। তাই হাট বন্ধ না করে, অধিক হাট করে একাধিক হাটের ইজারা নেয়ার চেষ্টা করা উচিত আওয়ামী নেতাদের।


এ বছর আফতাবনগর হাট বন্ধের জন্য যুক্তি দেয়া হযেছে হাটকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি। (https://bit.ly/2mpzrWw)
সত্যিই বলতে, ফুটবল খেলা নিয়ে তো এ বছর অনেক মারামারি খুনোখুনি হলো, কৈ সরকার তো ফুটবল খেলা দেখা নিষিদ্ধ করলো না, পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করলো না। তাহলে হাটকে কেন্দ্র করে আওয়ামী-আওয়ামী মরছে এটা নিয়ে এত চিল্লাচিল্লি কেন ?
খুনোখুনি বন্ধ করার দায় প্রশাসনের উপর, তারা কেন খুনোখুনি বন্ধ করতে পারলো না, সে কারণে তারা পদত্যাগ করুক। অথচ সেই দায় হাটের উপর চাপিয়ে হাট বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে।

আমি সবসময় একটা কথা বলি, “কোন ঘটনা/কথা দেখলে, আগে দেখো কথাটা কে বলছে এবং তার উদ্দেশ্য কি?” অথচ পাবলিক দেখে তার লাভ/ফায়দা কি। আর সেখানেই ধরা খায়। যারা হাট বন্ধ করতে চাইছে তারা নিজের উদ্দেশ্য হাইড করে, পাবলিককে ‘যানজট/জনদুর্ভোগ হ্রাস’ নামট মুলা খাওয়ায় দিছে।

কিন্তু পাবলিকের বোঝা উচিত ছিলো, যে ঢাকা শহরে ৩৬৫ দিন যানজট থাকে, সেখানে ঈদের ৩-৪টা দিন যানজটের কথা বলে হাট কমিয়ে ফেলা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তাছাড়া, দূর্গা পূজার সময় ঢাকা শহরে প্রায় ২০০ মণ্ডপ হয়। অনেক সময় ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে পূজা চলে। তখন কেউ যানজটের কথা বলে না। কিন্তু, কোনবানি আসলে কেন তাদের চুলকানি শুরু হয় সেটাই সন্দেহজনক!

আসলে যে সিআইএপন্থীরা চাইছে হাটের সংখ্যা কমুক, তাদের মূল উদ্দেশ্য যাতাযাত ভাড়া বৃদ্ধি করা, পশুর মূল্য বৃদ্ধি করা এবং সবশেষে কোরবানি হ্রাস করা। এভাবে কোরবানীতে বাধা দিতে দিতে এক পর্যায়ে কোরবানী বন্ধ করে দেয়া। উল্লেখ্য, কোরবানীকে কেন্দ্র করে লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। গত ২০১৬ সালে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ হয় বাড়তি দেড় লক্ষ কোটি টাকা (https://goo.gl/AmESYJ)। তারমানে কোরবানীতে বাধা দেয়া গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব ফেলা সম্ভব।

জনগণের উচিত, হাট বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত আওয়াজ তোলা। সাথে দাবি তোলা, ঢাকা শহরের প্রত্যেক থানায় যেন কমপক্ষে ১টা কোরবানীর হাট থাকে। আর যেসব ষড়যন্ত্রকারী হাটের সংখ্যা হ্রাস করার পেছনে কাজ করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

কোরবানীর হাট হ্রাস ও পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ চায় লেখক কলামিস্ট আবুল মকসুদ। সংগঠনের ব্যানার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।



আমি জানি অনেকেই বলবে, “ভায়া, কোরবানী হাট যত্রতত্র বন্ধ এবং পশু জবাইয়ের স্থান নির্দিষ্ট করা তো পরিবেশ ও সমাজের জন্য ভালো। 

আমি কিন্তু আগেই বলেছি, কে আপনাকে কি লোভ দেখালো, সেটার দিকে না তাকিয়ে আগে দেখুন,
- কে কথাটা বলছে, আর
-তার উদ্দেশ্য কি ?

খেয়াল করে দেখুন আবুল মকসুদের গায়ে আছে সাদা কাপড় মোড়ানো। আবুল মকসুদ ২০০৩ সাল থেকে গান্ধীবাদী হয়। এ কারণে তার সাদা পোষাক ধারণ। আচ্ছা গান্ধী তো গো-রক্ষা আন্দোলনের নেতা ছিলো। তারমানে আবুল মকসুদও গো-রক্ষা আন্দোলনের অনুসারী। যার নিজের উদ্দেশ্য গো-রক্ষা করা, সে হাট হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্দ্দিষ্ট করার মাধ্যমে আসলে কি চাইছে ? গো-জবাই বন্ধ করতে ?

কোরবানীর হাটের সংখ্যা যদি কমিয়ে ফেলা যায়, তবে মানুষের অবশ্যই পশু কিনতে কষ্ট হবে, পশুর দাম বৃদ্ধি পাবে, পরিবহণ খরচ বাড়বে। জবাইয়ে স্থান যদি নির্দ্দিষ্ট করা হয়, তবে মানুষকে বিভিন্ন বাধা দিয়ে কোরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত করা যাবে, আলটিমেটলি হ্রাস পাবে কোরবানীর সংখ্যা।

এবার আসুন সংগঠনের ব্যবচ্ছেদ করি।
বাংলাদেশে পরিবেশে নাম দিয়ে কিছু এনজিও আছে, যাদের উদ্দেশ্য পরিবেশ রক্ষার নাম দিয়ে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য সার্ভ করা। এগুলো হলো-
১)বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
২) বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)
৩) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
৪) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
৫) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)

আমি অনেক আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে বলেছিলাম, ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বা ‘এসডিজি’ নামক ১৭টি শর্ত (১৬৯টি উপশর্ত) বেধে দিয়েছে। এইসব শর্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে (https://bit.ly/2uGRjzR)

উপরে যে সংগঠনগুলোর নাম দিলাম, তাদের কাযই হলো বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নামক শর্তগুলো পালন করতে বাধ্য করা। এজন্য তারা যত আন্দোলন-সেমিনার করে সেখানে টেকইস উন্নয়ন লক্ষমাত্রা কার্যকর করার কথা বলে। (https://bit.ly/2L0k7yu)

কিন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার মধ্যে ‘কোরবানী’ সম্পর্কে কি বলা আছে ?

আছে, অবশ্যই আছে।
সম্রাজ্যবাদীরা প্রাণীরক্ষার নাম দিয়ে কোরবানী বন্ধ করতে চায়, যা তাদের কথিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার-ই অংশ (https://bit.ly/2JuHiLy)

কিন্তু এর পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের কি উদ্দেশ্য ?
এটা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি। ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা চায়, মানুষ পশু জবাই ধিরে ধিরে বন্ধ করে দিক, আর সে সুযোগে তারা সবাইকে মাংশ সার্ভিস দেবে। এজন্য তারা কৃত্তিম মাংশ নামক একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। যা দিয়ে তারা সবার মাংশের চাহিদা মেটাবে ্এবং বিরাট ব্যবসা লুটবে। কৃত্তিম মাংশের পেছনে আছে, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্র্যানসন কিংবা জাস্টের জোশু তেট্রিকের মত ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। এছাড়া চীন ও ইসরাইল কৃত্তিম মাংশ তৈরীতে একটি চূক্তি সম্পাদিত করেছে (https://bit.ly/2L1mL6V)

ষড়যন্ত্র অনেক গভীর,
কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তারা একেবারেই বেখবর।
তাই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্ধারণের বিরুদ্ধে যে কোন উদ্দগের বিরুদ্ধে এখনই শক্ত আওয়াজ তুলুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------