Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts

Friday, October 19, 2018

শালার পাকিদের ক্রিকেট খেলায় হারিয়ে দিয়েছি। আমরা ওদের থেকে শ্রেষ্ঠ। - দাড়ান ভাই....

-দিয়েছি শালার পাকিদের হারিয়ে।
-ভাই কিসে হারায় দিছেন ?
-ক্রিকেট খেলায় হারিয়ে দিযেছি। আমরা ওদের থেকে শ্রেষ্ঠ।
-দাড়ান ভাই, ক্রিকেট খেলায় জিতলেই কি অন্য দেশের তুলনায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় যায় ?
-আপনি কি বলতে চান ?
-আমি বলতে চাই, ক্রিকেট খেলা দিয়ে একটা দেশ শ্রেষ্ঠ না পেছনো তা প্রমাণিত হয় না। বরং একটা দেশ জ্ঞান, গবেষণা ও শক্তিতে কতটা এগিয়ে সেটা দিয়ে একটা দেশের মর্যাদা নির্ধারিত হয়। এ সম্পর্কে কি আপনার কোন ধারণা আছে ?
- ধুর বা০... পাকনামি বাদ দেন তো।
-আহ! হা ! এত অধৈর্য্ ই হচ্ছেন কেন ? একটু মনযোগ দিয়ে শুনুন। গবেষণা সেক্টরে ব্যয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে research and development (R&D) নামক যে তালিকা আছে তাকে পাকিস্তানের নাম ৪২ নম্বরে থাকলেও বাংলাদেশের নাম সেই লিস্টে এখনও উঠেই নাই। (https://bit.ly/2ORCVxL) যদি পারেন তবে বাংলাদেশের নাম R&D লিস্টে উঠায় দেখান। পারলে এই লিস্টে পাকিস্তানের সাথে প্রতিয়োগীতা করেন, ক্রিকেট খেলায় না।
এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনী রাষ্ট্রের তালিকায়ও আছে বাংলাদেশ। সেখানেও পাকিস্তানের পেছনে আছে বাংলাদেশ (https://bit.ly/2xL8kvf)। পারলে ক্রিকেটে প্রতিযোগীতা না করে সেখানে প্রতিযোগীতা করেন।
পৃথিবীতে পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ৬ষ্ঠ শক্তিশালী রাষ্ট্র পাকিস্তান। এক্ষেত্রে ইসরাইল ও ভারতের থেকেও এগিয়ে তারা। (https://bit.ly/1Ix4LnQ) পারলে পরমাণু অস্ত্রের নিজস্ব উদ্ভাবন দিয়ে পাকিস্তানের সাথে প্রতিযোগীতা করেন, ক্রিকেট দিয়ে না।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী করেছে শাহীন-৩ মিসাইল, যার রেঞ্জ ২৭৫০ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশ চীন থেকে নিয়ে এসেছে ‘এফএম ৯০’ যার রেঞ্জ মাত্র ১৫ কিলোমিটার। পারলে পাকিস্তানের থেকে বেশি রেঞ্জের মিসাইল বানায় দেখান, ক্রিকেট খেলায় না।”
ধরুণ,
একটা দুষ্টু সব দুষ্টুকে হারিয়ে দিয়েছে,
সেই অকাজ করা দুষ্টু কি নির্দেশ করবে ? উন্নয়ন বা অবনমন ?
আমি তো বলবো, এতদিন ‘খেলায়’ ভালো করে পাকিস্তান পিছিয়ে ছিলো, এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে জিতে গিয়ে নির্দেশ করছে বাংলাদেশে খারাপ হয়ে গেছে, খেলো বা অপ্রয়োজনীয় বস্তুতে বেশি মেতে উঠেছে ।
খেলাকে কেন্দ্র করে গালাগালি মারামারি শত্রুতা করাতো রাস্তার টোকাই শ্রেণীর কাজ।
যখন দেখবো, বাংলাদেশের মানুষ গবেষণা আর আবিষ্কারে পিছিয়ে পড়লে হা-হুতাশ করছে আর এগিয়ে গেলে উল্লাস করছে, তখন বুঝবো বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হয়েছে। মনে রাখবেন, এখন যেসব শাসক সম্প্রাজ্যবাদীদের নেটওয়ার্কে চলে তারা চায় মানুষ ‘খেলা’ নামক আফিম নিয়ে মেতে থাকুক, সেসুযোগে তাদের দুর্নীতি করতে সুবিধা হবে।
আমি এমন একটি প্রজন্ম চাই,
যারা সম্রাজ্যবাদীদের বেধে দেয়া মানসিকতা থেকে বের হয়ে উল্টা চিন্তা করতে পারবে।
যারা গবেষনা আর আবিষ্কার নিয়ে প্রতিযোগীতা করবে, উল্লাস প্রকাশ করবে। ‘খেলা’ নিয়ে নয়।
তাদের দিয়ে গঠিত হবে ‘তৃতীয় শক্তি’। ঐ প্রজন্মের অপেক্ষায়...

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, September 19, 2018

খবর ও মন্তব্য :

খবর ও মন্তব্য :
(১) খবর : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বকালের সর্বসেরা প্রবৃদ্ধি অর্জন : মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার (https://bit.ly/2xtkEzl)
মন্তব্য : দাড়ান, দাড়ান। মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার বা ১৪৫৩৩৩ টাকা দেখিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করে লাভ হবে না। আসুন আরেকটু হিসেবে কষে নেই-
বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণ ৬০০০০ টাকা। (https://bit.ly/2JpG2yc)
তাহলে প্রকৃত মাথাপিছু আয় হিসেব করতে ঋণ হিসেব করা জরুরী।
ঋণ বাদ দিলে হবে, ১৪৫৩৩৩ - ৬০০০০ = ৮৫৩৩৩ টাকা ।
এবার আসুন, বাংলাদেশে ৫% ধনীর আয় হচ্ছে মোট আয়ের ২৮% (https://goo.gl/xDmtsy)
সেটা বাদ দিয়ে বাকি ৯৫% সাধারণ জনগণের মাথাপিছু আয় হলো = ৬০ হাজার টাকা বা ৭২২ ডলার
স্বাভাবিকভাবে তাই মাথাপিছু আয় ধরা যায় ৭২২ ডলার হিসেব করা উচিত, অতিরিক্ত ১ হাজার ডলার দেখানোর দরকার নাই।
(২)
খবর : দেশে শিগগিরই অনেক পরিবর্তন হবে: মওদুদ (https://bit.ly/2QC4Raa)
মন্তব্য : পরিবর্তন অবশ্যই হবে। তবে সেই পরিবর্তনে যেন খোদ বিএনপি নিজেই অস্তিত্ব হারিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে ভ্যানিশ না হয়ে যায়। বিএনপি নেতৃত্বে থেকে জোট করুক সমস্যা নাই। কিন্তু ড. কামালের অধিনে থেকে বিএনপি নির্বাচনে গেলে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করবে বিএনপি। বিপুল জনসমর্থনযুক্ত বিএনপির মাথায় কাঠাল ভাঙ্গবে তারা, পুরো দেশজুড়ে সাংগঠনিক কাঠামোকে ব্যবহার করবে, কিন্তু দিন শেষে বিএনপির হাতে লোটা ধরিয়ে দিবে, এটা নিশ্চিত থাকতে পারে।
(৩)
খবর : আটকে পড়া বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেবে পাকিস্তান (https://bit.ly/2NlSiSw)
মন্তব্য : খুব ভালো কথা। কিন্তু আটকে পড়া পাকিস্তানীদের (বিহারীদের) জন্য কি করেছিলো বাংলাদেশ ? কেন তাদের সঠিক দেখাশোনা করেনি ? কেন মেইনস্ট্রিমে মিশিয়ে দেয়নি ? যার ফলশ্রুতিতে দরিদ্র পাকিস্তানীরা (বিহারীরা) বিপথে গিয়েছে। আজকে মেইনস্ট্রিমে মিশতে না পারায় দরিদ্রের কারণে মদ-গাজা ইয়াবা ব্যবসা আর সন্ত্রাসীপনা করে বিহারীরা। একইসাথে বিহারী ক্যাম্পগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন সংস্থা (জাতিসংঘ)। রাষ্ট্র যখন তার ভেতরে অবস্থান করা মানুষগুলোর সাথে বৈষম্য করে তখন বিদেশীরা তো সুযোগ নেবেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভেতরে পাকিস্তানীরা ছিলো দুই ভাগে বিভক্ত। ধনী ও দরিদ্র। ধনীরা আটকানোর পরও সামলে উঠে হয়েছে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, আর গরীবরা হয়েছে মুহম্মদপুরের জেনেভাক্যাম্পের ইয়াবা ব্যবসায়ী।
(৪) এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশ (https://bit.ly/2Oz3Myr)
মন্তব্য : ঠিকই তো আছে। বাংলাদেশ মেধাবীদের জন্য কি করেছে ?
সব তো করেছে কোটাধারীদের জন্য। কোটার যখন রাজত্ব, তখন মেধাবীরা ড্রেইন করে চলে যাচ্ছে বিদেশে। বাংলাদেশের মেধাবীরা গুগল, ইউটিউব, অ্যাপল, নাসা চালাচ্ছে, আর বাংলাদেশ তখন ভারত-চীনের ইঞ্জিনিয়ার ভাড়া করে এনে ফ্লাইওভার-সেতু বানাচ্ছে। research and development (R&D) লিস্টে অনেক হাভাতে দেশের নাম থাকলেও বাংলাদেশের যায়গাই হয়নি। (https://bit.ly/2dLjLeE)
(৫)
খবর: ফলমূল-শাকসবজি-মাছকে বিষমুক্ত করতে কার্বন গ্রিন (https://bit.ly/2Mplanv)
মন্তব্য : ফলমূল বা শাকসবজী ফরমালিন বা রাসায়নিক সারের ক্রিয়ামুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা। পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই এই সব রাসায়নিক উপাদান এমনিতেই চলে যায়। কিন্তু এর মধ্যে মানুষের আবেগকে কাজে লাকিয়ে ‘শক্তি রঞ্জন পাল’ নামক এক হিন্দু কর্পোরেট ডাক্তার ‘লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড’ নামক কোম্পানির নাম দিয়ে ‘কার্বন গ্রিন’ নামক একটি প্রডাক্ট মার্কেটে আনছে। কার্বন গ্রিনে থাকে ৮৫% সোডিয়াম বাই কার্বনেট বা খাবার সোডা আর ১৫% থাকে অ্যাক্টিভেটেড কার্বন। এই অ্যাক্টিভেটেড কার্বন এর কিন্তু অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ব্যবহারে ডাইরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বমি হতে পারে। আর কার্বন যদি ভালোভাবে রিফাইন না করা হয়, তবে তা ব্যবহারে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই পানি দিয়ে ধুয়েই ফলমূল শাক সবজীর ফরমালিন ও সার দূর করুন, অযথা খরচ করে কার্বন গ্রিন ব্যবহারের দরকার দেখি না।
[অনেকদিন না লেখায়, লেখা অগোছালো। চেষ্টা করছি গুছিযে নিতে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত]

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 8, 2018

খবর ও মন্তব্য :

১) খবর :
লিভার চিকিৎসায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশের পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। লিভার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন করতে বাংলাদেশীদের আর ভারতে গিয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করতে হবে না। বাংলাদেশে স্বল্পমূল্যে লিভারের চিকিৎসা করাতে পারবে। (https://bit.ly/2qdkys1)
মন্তব্য : এই আবিষ্কারকদের পুরষ্কৃত করা উচিত। সাথে একটি কথা বলতে চাই- এতদিন বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো এই পিজি হাসপাতাল (নতুন করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে হয়েছে ও হচ্ছে)। সব মেডিকেল কলেজগুলোকে উন্নত করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা গেলে চিকিৎসা সেক্টরে গবেষণা বাড়বে, ফলে বাংলাদেশে বসে স্বল্পমূলে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারবে জনগণ, বাংলাদেশের জনগণকে আর বিদেশ যেতে হবে না।
২) খবর:
জঙ্গিদের ওপর দায় পড়বে, ভেবেই এ্যাড রথিশ ভৌমিককে হত্যা : স্ত্রী দীপা ভৌমিক
(https://bit.ly/2qfnzbd)
মন্তব্য : আপনারাই বুঝুন। এই কথাটা আপনাদের অনেক দিন ধরে বলেছি, কেউ হয়ত বিশ্বাস করেছেন, কেউ করেননি। হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের মূর্তি ভাঙ্গে, মানুষ মারে, আর দোষ দেয় মুসলমানের।
৩) খবর :
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ। (https://bit.ly/2GG532K)
মন্তব্য : মনে করে দেখুন তো, আজ থেকে ১০ মাস আগে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে নিয়ে কোন স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম কি না ? বলেছিলাম: নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সাধারণ কোন ব্যক্তি নয়, সে বাংলাদেশে ইসরাইলের অন্যতম এজেন্ট। সে ইসরাইলি পত্রিকায় ইসরাইলের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে লেখালেখি করে। (https://bit.ly/2GIdoTz)
সেই ইসরাইলি লোকের বিশ্ববিদ্যালয়ে কথিত জঙ্গীবাদের উদ্ভভ হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কারণ ইসরাইল নিজেই তো সব জঙ্গীবাদের জনক।
(৪) খবর :
সরকারের টাকায় মসজিদ বানাতে হবে এটা সংবিধানে নাই। সারা দেশে মডেল মসজিদ বানানোর সরকারি উদ্যোগ কেন নেয়া হয়েছে : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির। (https://bit.ly/2qco3is)
মন্তব্য : প্রথম যে কথাটা বলতে হয়, সরকারি টাকায় মডেল মসজিদ হইতেছে না, হইতেছে সৌদি আরবের টাকায়।
-দ্বিতীয় কথাটা হইলো: সরকারের টাকা বলে কিছু আছে সেটা জানা ছিলো না। কারণ সরকার টাকা বানায়ও না, টাকা পাড়েও না। সরকার জনগণের থেকে ট্যাক্স নামক টাকা সংগ্রহ করে এবং সেই টাকা সংগ্রহণের উদ্দেশ্য একমাত্র জনগণের উন্নয়ন। অর্থাৎ ঐটাকা মোটেও সরকারি টাকা নয়, জনগণের টাকা। এখন কথা হলো, ৯৫% মুসলমান যে ট্যাক্স দেয় সে ট্যাক্সের টাকায় কি মুসলমানের অধিকার নাই ?
-তৃতীয়ত, শাহরিয়ারর কবিররা সারাদিন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বলেন, কিন্তু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বলা কি সাম্প্রদায়িকতা নয় ?
-চতুর্থত, মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও শাহরিয়ার কবিরদের এত হিন্দু দরদ আর মুসলিম বিদ্বেষ কেন ?
ও মনে পড়েছে। সম্প্রতি রংপুরে হিন্দু এড. রথীশের কথা মনে পড়ে গেলো। রথীশের বউ দীপা নাকি নিয়মিত জাসদ নেতা কামরুল মাস্টারের বিছানায় যেতো। হিন্দুরা তাদের মেয়ে-বউকে কিছু নাস্তিকের বিছানায় পাঠায়, যার কারণে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে, হিন্দুদের পক্ষে বলে। আমি নিশ্চিত বুড়ো শাহরিয়ার কবিরের বিছানায় নিয়মিত কোন হিন্দু নারীর যাতায়াত। নয়ত হঠাৎ করে তার হিন্দু দরদ এত উথলে ওঠার কোন কারণ দেখি না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, March 17, 2018

কল্পকাহিনী লিখে কি বিজ্ঞানী হওয়া যায় ?

জাফর ইকবালের যোগ্যতা খুজতে গিয়ে দেখলাম সে সাইন্স ফিকশন লেখক। শতাধিক সাইন্স ফিকশন বই নাকি সে লিখেছে (যদিও সবাই বলে বইগুলো নাকি বিদেশী গল্পের অনুবাদ)। সাইন্স ফিকশন শব্দের অনুবাদ করলে দাড়ায় ‘বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী’। ছোট বেলায় কিছু সাইন্স ফিকশন পড়েছিলাম। সেখানে দেখতাম কল্পনার জগৎ বিস্তার করতে করতে লেখকরা বলে বসেছে- “ ভিনগ্রহে এলিয়েনের বসবাস। পৃথিবীর বাইরে অমুক গ্রহে অমুক এলিয়েন বাস করে। এলিয়েনরা মানুষের থেকে উন্নত।”
অথচ বর্তমান বিজ্ঞান এখনও এলিয়েন আবিষ্কার করতে পারেনি। মানুষের থেকে উন্নত প্রাণী আছে কি নাই, তাও বিজ্ঞানের ঝুলিতে লব্ধ নয়। বিজ্ঞান শব্দটির সংজ্ঞায় বলা আছে- “ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান।” অর্থাৎ গবেষণালব্ধ সম্যক জ্ঞানই বিজ্ঞান। কিন্তু কল্পকাহিনী বা সাইন্সফিকশন কোন যুক্তিতে বিজ্ঞান বলা হচ্ছে ?
আমি দেখেছি একদল লোক আছে, যারা নিজেদের বিজ্ঞানী বলে দাবি করে আবার ধর্মের বিরোধীতা করে। বলে- “সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নাই সব কল্পকাহিনী।” যদিও তাদের এ ধরনের চিন্তা অযৌক্তিক। কারণ ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো বিষয়। ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস আর বিজ্ঞান হচ্ছে যতটুকু গবেষণা হয়েছে ঠিক ততটুকু। একজন বিজ্ঞানী যতটুকু গবেষণা করেছে, সেটাই যে শেষ তা নয়। তারপর আরেকজন আরো গবেষণা করে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে। অর্থাৎ বিজ্ঞান নিজেই অসম্পূর্ণ। ধর্ম আর বিজ্ঞানের যেহেতু প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন (একটি বিশ্বাসের সাথে, অন্যটি গবেষনালব্ধ ফলাফলের সাথে), তাই দুটোকে এক কাতারে বিচার করা মূর্খতা বৈ কিছু নয়।
কিন্তু আমার কথা হলো, যারা বিজ্ঞানের কথা বলে ধর্মের বিরোধীতা করছে, তারা কেন সাইন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বিরোধীতা করছে না কিংবা তারাই কেন সাইন্স ফিকশন লেখক ?
আমার মনে হয়, যারা বিজ্ঞানের নামে কল্পকাহিনীর বিরুদ্ধে বলতে চায়, তাদের আগে উচিত সাইন্স ফিকশন লেখকদের বিরুদ্ধে বলা। বলাবাহুল্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কল্পকাহিনী লেখায় (নকল করায় !) জাফর ইকবাল অগ্রগণ্য।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

হুজুররা আপনাদের থেকে বিজ্ঞান চিন্তায় এগিয়ে


গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় মহিলা ফুটবল খেলার বিরোধীতা করছে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামক একটি ইসলামী সংগঠন (http://bit.ly/2FQScun)। কিন্তু এই বিরোধীতার বিরুদ্ধে লেগেছে মিডিয়াসহ একটি বিশেষ শ্রেণী। তারা দাবি করছে, হুজুর শ্রেণী নাকি পশ্চাৎপদ ও আধুনিকতাবিরোধী। কিন্তু আমি দেখছি উল্টা, হুজুররা ঐ বিশেষ শ্রেণীর থেকে চিন্তা ভাবনায় অগ্রগামী ও বিজ্ঞান চিন্তায় অনেক এগিয়ে, যার কারণে তারা এই নারী ফুটবলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
যেমন ধরুন, মহিলা ফুটবল। পুরো বিজ্ঞানবিরোধী কার্যক্রম। মহিলাদের জন্য ফুটবল খেলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। একজন মহিলা যদি লাফালাফি-ঝাফাঝাপি করে, তবে তার ভেতরের নারী অর্গানগুলোর কি হবে, একবার চিন্তা করেছেন ? আর মাসের বিশেষ সময়গুলোতে যদি কোন নারী ফুটবল খেলে, লাফালাফি করে, ঝাপাঝাপি করে, তখন তার ইউটেরাস কি স্বাভাবিক থাকবে ? ফুটবল খেলায় অনেক সময় নারীদের তো মাতৃত্ব ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আবার ফুটবল খেলতে গিয়ে লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার প্রবনতা খুব বেশি। খেলার সময় ফুটবলারদের খুব দ্রুত দিক পরিবর্তন, অকস্মাৎ দাঁড়িয়ে পড়া বা খেলা শুরু করা, শূন্যে লাফ দেয়া, নিজ অক্ষের উপর ঘুরে যাওয়া- এসব করতে হয় প্রতিনিয়তই। এছাড়াও ক্রমাগত ট্যাকলের শিকার হয় ফুটবলাররা। মোটকথা একজন ফুটবলারের শরীরের যে কোনো জায়গার চেয়ে হাঁটুতে চাপ পড়ে অনেক গুণ বেশি। এতে প্রায়ই ফুটবলারদের লিগামেন্ট ছিড়ে যায়। উইকিপিডিয়া বলছে, একজন পুরুষ ফুটবলারদের তুলনায় এক নারী ফুটবলারের লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার প্রবণতা ৩ গুনেরও বেশি। (http://bit.ly/2tSUqI1http://bit.ly/2FIhmzg)
সে দিক থেকে যারা কুড়িগ্রামে নারী ফুটবল খেলার বিরুদ্ধে বলছে, তারা অবশ্যই বিজ্ঞানমনষ্ক এবং নারীর ভালো চায়। অপরদিকে যারা নারী ফুটবলের কথা বলছে তারাই বরং বিজ্ঞানবিরোধী, নারীবিরোধী এবং পশ্চাৎপদ।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 15, 2018

অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে : মতিয়া চৌধুরী


কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। এখন ‘জিএমও’ নিয়ে কথা তুলছে”। গত রবিবার (১১মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এর খসড়ার ওপর পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। একসময় ওরা নয়া কৃষির নামে হাইব্রিডের বিরোধিতা করেছিল। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে। ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।”

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে কৃষির কোনো কোনো নীতি ছিলনা। শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় এসে জাতীয় কৃষিনীতি তৈরী করে। ২০১৩ সালের জাতীয় কৃষিনীতিকে ঝেড়েপুছে নতুনভাবে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮ চুড়ান্ত করা হচ্ছে। কর্মশালাসহ বিভিন্ন ভাবে মতামত নেয়া ছাড়াও জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ এর খসড়া ওয়েবসাইডে দেয়া হয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে যে কেউ মতামত পাঠাতে পারবেন। (http://bit.ly/2p6P1s1)

কৃষি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে এ লিঙ্কে (http://moa.gov.bd/site/view/policies) গিয়ে জাতীয় কৃষিনীতি – ২০১৮ এর খসড়া ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এই খসড়ায় ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘জীব প্রযুক্তি গবেষণা’ অংশে বলা আছে- • “জিএম প্রযুক্তি উন্নয়ন সহায়ক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করা হবে”

অর্থাৎ ‘জিএমও’ শব্দখানা এবার নতুন কৃষিনীতিতে সরকার প্রবেশ করাচ্ছে। উল্লেখ্য কৃষিনীতি-২০১৩ তে ‘জিএমও’ প্রযুক্তি নিয়ে কোন কথা ছিলো না।

আমি আপনাদেরকে অনেকদিন ধরে বলছি, সরকার অনেক কিছু বিক্রির পর এবার দেশের কৃষি সেক্টর বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে, এবার কৃষিনীতিতে ‘জিএমও’ প্রযুক্তির কথা ঢুকিয়ে সেটা নিশ্চিত হয়েছে। এবং এ বিক্রির জন্য সরকার টার্গেট নিয়েছে ইমোশনকে। আপনারা মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যটা লক্ষ্য করুন। তিনি বলছেন- “ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।” অর্থাৎ ‘ভালোবাসা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আপনাদের মনে থাকার কথা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যখন তুমুল বিরোধীতা ও প্রতিবাদ হচ্ছিলো, তখন শেখ হাসিনা বলেছিলো, “আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি এমন কোনো কাজ আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করব না যা দেশের এবং দেশের মানুষের সামান্যতম ক্ষতি করে।”
(http://bit.ly/2pah09w)

অর্থাৎ ইমোশনকে পূজি করে দেশ বিক্রি। তবে দেশের জনগণের উচিত ক্রিকেট-ফুটবল ফেলে কিছুটা হলেও সচেতন হওয়া। কারণ এবার সম্রাজ্যবাদীরা দেশীয় দালালদের সহযোগীতায় হাত দিয়েছে খাবারে। দেখা যাবে, তাদের খাবার খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর মত হাড্ডিসার হয়ে গেছে, তখন খুব সহজেই বিনাবাধায় তারা বাংলাদেশের সম্পদ লুটে নিয়ে যেতে পারবে।

বি:দ্র: ‘জিএমও’ নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি, গণসচেতনা ও প্রতিবাদ এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। বাংলাদেশের সকল জনগণকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 7, 2018

কর্পোরেট বাধনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মুসলমানরা আবার ফিরে আসবে কবে ?



গতকালকে কৃত্তিম মাংশ নিয়ে একটা লেখা লেখার পর চিন্তা করলাম, প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সেটা হচ্ছে কোন দিকে ?

কৃত্তিম মাংশের পেছনে মূল ইনভেস্ট করেছে মাইক্রোসফটের বিল গেটস এবং ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্র্যানসনের। একজন ব্যবসায়ী যখন প্রযুক্তিতে ইনভেস্ট করে, তখণ তার মূলে থাকে ব্যবসায়ীক চিন্তা। কৃত্তিম মাংশের পেছনে তারমানে রয়ে গেছে বড় বড় কর্পোরেটদের বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসার চিন্তাভাবনা।

বাংলাদেশে একটা কথা প্রায় উঠে, মিডিয়া যখন ব্যবসায়ীদের দখলে তখন প্রকৃত খবর কি পাওয়া যায় ?
যেমন : প্রথম আলো-ডেইলি স্টার চালায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ট্র্যান্সকম গ্রুপ। কালেরকণ্ঠ-বাংলাদেশ প্রতিদিন চালায় ব্যবসায়ী বসুন্ধরা গ্রুপ, একাত্তর টিভি চালায় মেঘনা গ্রুপ, যুগান্তর-যমুনা টিভি চালায় যমুনা গ্রুপ, মাছরাঙ্গা চালায় স্কয়ার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি চালায় ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, চ্যানেল ২৪ চালায় হামীম গ্রুপ, আরটিভি চালায় বেঙ্গল গ্রুপ, এসএ পরিবহনের মালিক সালাউদ্দিন আহমদ চালায় এসএটিভি। একজন ব্যবসায়ী যখন মিডিয়া চালায়, তখন মিডিয়ায় তার ব্যবসায়ীক ফায়দা ও পলিসির প্রভাব পড়তে বাধ্য। আর তাই স্বাভাবিকভাবে ঐ মিডিয়ার থেকে নিরপেক্ষ খবর পাওয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

একইভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যখন ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখনও প্রযুক্তি শরীরে বাধন পড়িয়ে দেয়া হয় এবং ধরে নেয়া যায় প্রযুক্তি সব সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থই রক্ষা করবে। তখন জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রকৃত বিকাশ নিয়ে তৈরী হয় সন্দেহ।

একটা সময় জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা একচ্ছত্র চালাত মুসলমানরা। মুসলমানরা খুব কম সময়ের ব্যবধানে অসংখ্য গবেষণা আবিষ্কার করেছিলো। কিন্তু মুসলমানদের গবেষণা বা বিজ্ঞান চর্চার মধ্যে কর্পোরেট দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো না। মুসলমানরা কখনো চিন্তা করেনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমে তারা ব্যবসা করে খাবে। কিন্তু মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে দেয়ার পর সেই জ্ঞানটা আয়ত্ব করে ইহুদীরা । এবং তারা সেই জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ব্যবসার কাজে ব্যয় করে। তারা চিন্তা করে ‘তত প্রযুক্তি জ্ঞানই বাইরে ছাড়া হবে’ যা তাদের ব্যবসার পক্ষে যায়, কিন্তু ততটুকু ছাড়া যাবে না যা তাদের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইহুদীদের এ পলিসির কারণে বিজ্ঞান ও গবেষণার গায়ে শিকল আটকে যায়।

উদারহণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। ধরুন, এখন মাঝে মাঝে অনেক সাধারণ বিজ্ঞানীও পানিতে চালিত গাড়ি বা ইঞ্জিন আবিষ্কার করে। কিন্তু এই প্রযুক্তিগুলো মুখে মুখে থেকে যায়, কিন্তু বাস্তবে এগুলো পন্য হিসেবে আসে না। কারণ পানি চালিত গাড়ি যদি মার্কেটে আসে, তবে তেল মার খাবে। আর বিশ্বব্যাপী ইহুদীরা তাদের অর্থনীতি তৈরী করেছে তেলের দ্বারা। মার্কিন ডলার টিকে আছে আরবের তেলের উপর ভিত্তি করে। এখন তেলের বদলে যদি পানি চালিত গাড়ি চলা শুরু করে, তবে তেল বিক্রি বন্ধ হবে, ফলে ইহুদীদের ব্যবসা ও তথা ইহুদী সম্রাজ্যের পতন হবে। তাই তারা ইচ্ছে করেই তেল ভিন্ন অন্য কিছু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের প্রযুক্তির গবেষণা ফাইল বন্ধ করে রাখে। এরকম আরো বহু উদাহরণ আছে, দেখা যাবে ঐ জিনিসটা আবিষ্কার বা প্রচারিত হলে ইহুদীদের অনেক পন্য বিক্রিতে ধস নামবে, তাই তারা ইচ্ছা করেই সেই সব আবিষ্কারের রাস্তা বন্ধ করে রাখে তারা।

শুধু তাই নয়, অন্যদের অজ্ঞতা ও গবেষণাহীনতার সুযোগ নিয়ে তারা মিথ্যা গবেষণাও প্রচার করে শুধু কর্পোরেট স্বার্থে। যেমন: আগে একটা সময় বাংলাদেশের মানুষ সরিষার তেল খেতো। সরিষার তেল দেশেই উৎপাদিত হয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। তখন বাংলাদেশের মানুষের শরীরে গ্যাস্ট্রিক ও হার্টের সমস্যা এত এভেইলএবল ছিলো না। কিন্তু আমেরিকান বিজ্ঞানীরা ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত তিনটি গবেষণা প্রচার করে, যেখানে দেখানো হয়, ইদুরের উপর সরিষার তেলের অন্যতম উপাদান ইউরেসিক অ্যাসিড (একটি ফ্যাটি অ্যাসিড) এর ক্ষতিকর প্রভাব আছে। ফলে সরিষার তেল নিষিদ্ধ হয়। অথচ ইউরেসিক অ্যাসিড ইদুরের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু সেই ভুয়া গবেষণা দিয়েই বাংলাদেশে সরিষার বাজারে পতন হলো, চলে আসে আমেরিকার সয়াবিন। সয়াবিন তেল বাজারে আসার পর গ্যাস্ট্রিক আর হার্টের অসুখ শুরু হলো। ব্যস গ্যাস্ট্রিক আর হার্টের অসুখের চিকিৎসার নামেও তারা ওষুধ বিক্রি করতে থাকে। মানে ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাকে বলে’। বর্তমানে অনেক রোগই তারা ল্যাবরেটরিতে তৈরী করে, আর পরে তার ওষুধ ছাড়ে। সোজা ভাষায় যাকে বলে, প্রযুক্তির অপব্যবহার।

একটা জিনিস চিন্তা করে দেখুন, ইহুদীরা অনেক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি চর্চা করছে ভালো কথা। কিন্তু সেটা শুধু অন্যের পকেটের টাকা খসানোর জন্য। কিন্তু টাকা ছাড়া অন্য বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে তারা চিন্তায় ছাড় দেয়নি। কিন্তু মুসলমানরা যখন বিজ্ঞান চর্চা করেছে, তখন তারা বিজ্ঞান চর্চা ব্যবসায়ীক স্বার্থে তা ব্যবহার করতো না, বরং মানুষের কল্যাণে সেসব গবেষণা করা হয়েছে। তাই মানব জাতির কল্যাণের জন্যই আবার মুসলমানদের বিজ্ঞান ও গবেষণা চর্চায় ফিরে আসতে হবে। নয়ত ইহুদীদের হাতে বিজ্ঞান প্রযুক্তি থাকলে তো অপব্যবহারে বিশ্বকে ধ্বংস করে ছাড়বে।

বি:দ্র: অনেকে বলতে পারেন “ইহুদীদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লিখতেছেন, আবার তাদের প্রযুক্তির বিরুদ্ধে কথা ?” তাদের জানার জন্য বলছি বছর খানেক আগে সমুদ্রের নিচে মোবাইল সদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বয়স ৮০০ বছর (http://bit.ly/2FpLVIW)। তারমানে ৮০০ বছর পূর্বেও হয়ত অনেক প্রযুক্তি ছিলো । এটা সবার জানা ৮০০ বছর আগে জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষে আরোহণ করছিলেন মুসলমানরা, তাই ঐ সময় মোবাইল থাকলে সেটা মুসলমানদের আবিষ্কারই হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ সময় মুসলমানরা ‘প্যাটেন্ট’ বা ‘স্বত্ব্’ সিস্টেম’ বের করার কথা চিন্তাও করে নাই। তাই মুসলমানরা নিজেদের নামে সেসব আবিষ্কার কুক্ষিগত করে রাখে নাই । কিন্তু ইহুদীদের মাথায় আবিষ্কার ‘দখল’র চিন্তা আগে থেকেই ছিলো। ‘দখল’ তার মাথায় আসে, যে তার মালিক না। তাই মাত্র ২০০-৩০০ বছর আগে প্রযুক্তি চর্চার নামে এসে ইহুদীরা সেসব আবিষ্কার দখল করতে ‘প্যাটেন্ট’ সিস্টেম তৈরী করে নেয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------