Sunday, April 15, 2018

বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজা এখন ক্লিনিকালী ডেড। এদের কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাচিয়ে রাখা হয়েছে


বৈশাখী পূজা ও মঙ্গল পূজায় লোক কমে গেছে । গত কয়েক বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে এই হ্রাস। আজকে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামও সাক্ষাৎকারের সময় বিষয়টি বললো। আপনি যদি ফেসবুকে বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে যান, তবে পক্ষের থেকে বিপক্ষ কমেন্ট বহুগুন বেশি পাবেন।

আসলে পহেলা বৈশাখকে কৃত্তিমভাবে বাচিয়ে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় আছে:

১) সরকার : সে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, জেলাপ্রশাসনে প্রজ্ঞাপন জারি করে জোরপূর্বক এ কার্যক্রম টিকিয়ে রেখেছে। বৈশাখী পূজাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ডিসেন্ট্রালাইজ করেছে। এটা জোরপূর্বক কাজ, সংস্কৃতি কখনও জোর করে টিকিয়ে রাখা যায় না।

২) মিডিয়া : বিভিন্ন বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার টাকায় চলা মিডিয়াগুলো বায়ু-পাম্ব করে বৈশাখ পূজা ও মঙ্গলপূজাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রচার করছে।

৩) বিভিন্ন সংস্কৃতি সংগঠন : এটা তাদের রুটি রুচির অংশ। তাই পেটের দায়েই তারা কাজগুলো করছে।

৪) আমোদ-প্রোমদ প্রিয় লোকজন : এরা সংস্কৃতি কি বোঝে না। এরা আমোদ-প্রমোদ প্রিয়। ভ্যালেন্টাইন ডে কি আর শোক দিবস কি ? ছুটি পাইলেই তারা ঘুড়তে বের হয়।

৫) ব্যবসায়ীরা : কারণ একটা উপলক্ষ্য পেলেই তারা কিছু ব্যবসা করতে চায়।

বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজার বিরুদ্ধে কারা ?

এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মুসলমান। এদের একটা অংশ আবার প্রতিক্রিয়াশীল। ফেসবুকে যাদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। মসজিদ-মাদ্রাসায় আলোচনা, ওয়াজ মাহফিলে প্রচুর পরিমাণে বৈশাখীপূজা ও মঙ্গল পূজার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে।

আমার ক্যালকুলেশনে, বৈশাখী পূজা আর মঙ্গলপূজা এখন ক্লিনিকালী ডেড। এদের কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাচিয়ে রাখা হয়েছে। জোর করে আর যাই হোক সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা যায় না। আর যেসব বিদেশী গোষ্ঠী এটা টিখিয়ে রাখতে ইনভেস্ট করছে তারাও আর বেশিদিন এর পেছনে মনে হয় না ইনভেস্ট করবে, কারণ তাদের বোঝার কথা, বাংলাদেশের পাবলিকের ভেতর বৈশাখী পূজা বিরোধী এন্টিবায়োটিক পৌছে গেছে, ফলে ফেইল প্রজেক্টের পেছনে কতদিন ইনভেস্ট চলে সেটাই দেখার বিষয়।

তবে এটা ঠিক, সেই ১৯৬৭ সাল থেকে ৫০ বছর ধরে যে বিষ বাংলাদেশীদের ভেতর প্রবেশ করেছে তা বের হতেও ৫ বছর লাগার কথা। আমি নিশ্চিত, এভাবে চলতে থাকলে আজ থেকে ১০ বছর পর বৈশাখী পূজা আর মঙ্গল পূজার অবস্থান হবে যাদুঘরে। তখন কথিত সংষ্কৃতিবাদীরা হয়ত “একদিন বাঙালী ছিলাম রে....” টাইপের নতুন গান বানাবে, “একদিন বৈশাখী পূজা করতাম রে........”।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment