Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

Thursday, April 11, 2019

আজ হাইকোর্টে আম নিয়ে একটা রিট হইছে।


আম বাগান পাহারায় পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আসন্ন আমের মৌসুমকে সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেন হাইকোর্ট। (https://bit.ly/2Z8Qu1s)

আপনাদের বলে দিচ্ছি,
আমার ক্যালকুলেশন বলছে, এই রিট ও অর্ডারটার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাত আছে এবং এটা বাংলাদেশে আসছে আম মৌসুমকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র।
এই রিটকারী আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ একজন সিআইএপন্থী আইনজীবি। এর আগে মার্কিনপন্থী বাম দলের অন্যতম সদস্য আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ সর্বপ্রথম উন্মুক্তস্থানে কোরবানি বন্ধে রিট করেছিলো। এছাড়া গরু মোটাতাজা বন্ধের নামে রিট করে কোরবানীর আগে বাংলাদেশের গরুর নামে কুৎসা রটনা করে রিট করেছিলো এই মোনজিল মোর্শেদ। এদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সকল উৎপাদন খাত ধ্বংস করে দেয়া।

যাই হোক, আজকে আম নিয়ে এ রিটের বিরুদ্ধে যদি সবাই সচেতন না হয় এবং প্রতিবাদ না করে,
তবে আসছে আম সিজনে সত্য মিথ্যা রাসায়নিক-ক্যামিক্যাল বলে ‘বাংলাদেশের আম’কে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে।


----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------
-----------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 28, 2019

কূটনৈতিক পাড়া (বনানী-গুলশান-বারিধারা) থেকে ঐ সব প্রতিষ্ঠান সরানো হবে!


আজ থেকে ১৩ দিন আগে, মানে গত ১৫ই মার্চ দৈনিক যুগান্তরের কাছে এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা উত্তরের নতুন মেয়র আতিকুল বলে,
“কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। দ্রুততম সময়ে রাজউক, পুলিশসহ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করব।  তিনি বলেন, গুলশান, বনানী, বারিধারার আবাসিক সড়কে কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই; কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ জোনের নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলা সহ্য করা হবে না।” (https://bit.ly/2FBwgEi)

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হোটেল হলি আর্টিজানে হামলার পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা শহরে বেশ কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ সহ অনুমদনবিহীন ৫৫২ টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে (এর মধ্যে গুলশানে রেস্টুরেন্ট আছে ১৯৩টি, বনানীতে ১৩৯টি, বারিধারা এলাকায় ১০টি রেস্টুরেন্ট) সে বছর ২৫ জুলাই থেকে রাজউক বিভিন্ন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে এই উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড, ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে করা ২৩৩ টি রিটের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে সকল প্রকার অনুমোদনবিহীন অবৈধ স্থাপনা সরাতে মালিকদের ১০ মাস সময় বেঁধে দেয়।
(https://bit.ly/2UjlOuH, https://bit.ly/2FGLDwM)

কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্ট স্টেঅর্ডার বর্ধিত করায় ঐ সব রেস্তোরাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে পারেনি প্রশাসন।  যার দরুণ ২০১৮ সালের অক্টোবরে ফের বনানীর রেস্ট্রুরেন্টসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে বিডিনিউজ২৪ (https://bit.ly/2CJTE1Q)।

সর্বশেষ আজ থেকে ১৩ দিন আগে ডিএনসিসি নতুন মেয়র ঘোষণা দেয় যে কোন উপায়ে কূটনৈতিক পাড়া (বনানী-গুলশান-বারিধারা) থেকে ঐ সব প্রতিষ্ঠান সরানো হবে।

Wednesday, March 20, 2019

দেশটাকে কি তাহলে শেষ করে দিবেন ?


গত মাসে “১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম তহবিল অনুমোদন” শীর্ষক একটি খবর আমার নজরে আসে। এই খবরের সারমর্ম হচ্ছে, বাংলাদেশের রিজার্ভে যে ৩২ বিলিয়ন ডলার আছে, এর থেকে প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে একটি ফান্ড করা হবে। এই ফান্ডের সাহায্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প গড়তে বিদেশী ফান্ড নিয়ে আসা হবে।  (https://bit.ly/2FbMwfd)

বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। ধরুন, বাংলাদেশে কোন একটা ফ্লাইওভার করতে ১০ হাজার কোটি টাকা দরকার। ধরলাম বিশ্বব্যাংক বা জাপানের সাথে চূক্তি হলো এই ফ্লাইওভার বানাতে তারা টাকা দিবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বা জাপান এই টাকাটা দেয়ার আগে সরকারকে বলবে তারা যেন কমপক্ষে সেই ফ্লাইওভারের শুরুতে ৫০০  কোটি টাকা খরচ করে, তবে তারা বাকি ৯৫০০ কোটি টাকা দেবে।

কিন্তু সরকারের এই ধরনের আলগা অর্থ দেয়ার  সংকট হওয়ায়  অনেক প্রকল্প গ্রহণ করলেও শুরুটা দিতে পারে না বলে অনেক কাজই আটকে থাকে। তাই বিদেশের টাকাও আনতে পারে না। বিদেশের টাকাগুলো আনা যেন সহজ হয়, তাই জনগণের সম্পদ রিজার্ভের টাকার দিকে হাত বাড়িয়েছে সরকার।

‘সার্বভৌম তহবিল’ করলে ভালো হবে না খারাপ হবে ?

১) আমার দৃষ্টিতে সার্বভৌম তহবিল হচ্ছে জনগণকে মেরে ফেলার চূড়ান্ত প্ল্যান। এতদিন শুরুর টাকার অভাবে অনেক বিদেশী ঋণ সরকার আনতে পারছিলো না, ফলে দেশও সহজে ঋণে জড়াচ্ছিলো না। কিন্তু ১০ বিলিয়ন ডলার হাতে পেলে সরকার ১০ বিলিয়ন ডলার দেখিয়ে দেশকে বিদেশীদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণী করে তুলবে এবং প্রচুর টাকা্ আত্মসাৎ তথা লুটপাট করতে পারবে।

২) উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিদেশীদের থেকে প্রচুর ঋণ আসলে তার পাহাড়ের নিচে চাপা পড়বে জনগণ। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু গণহারে নতুন বিদেশী ঋণ আসলে মাথাপিছু ঋণ ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষে পৌছাবে। যা এক অর্থে দেশকে বিক্রি করে দেয়ার সামিল। ঐ অবস্থা বিদেশী ঋণদাতারা বাংলাদেশ নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে এবং দেশের জনগণ ও ভূমির উপর অনেক বৈদিশীক সম্রাজ্যবাদী নিয়মনীতি চাপিয়ে দিবে।

৩) এর আগে আমরা দেখেছি সরকার ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে রিজার্ভের টাকা নিয়ে গেছে। তারমানে রিজার্ভের বিরাট মজুদের দিতে তার লোভী চোখ পড়েছে। অথচ এই রিজার্ভ সম্পর্দের উপর দেশের অর্থনীতি বা মুদ্রার ভিত্তি নির্ভর করে। সেখান থেকে যদি ১০ বিলিয়ন ডলারের টাকা তুলে নেয়া হয়, তবে দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তৈরী হতে পারে, দেখা দিতে পারে বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতি। তখন টাকার মান এতটা নেমে যেতে পারে যেন, বাংলাদেশের মানুষকে জিম্বাবুয়ের মত ১ বস্তা টাকা নিয়ে ১টা পাউরুটি কিনতে যেতে হবে।

৪) আপনারা মাঝে মাঝে খবর দেখবেন, “১০ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন”, “২০ হাজার কোটি টাকার ৩০ প্রকল্প অনুমোদন” এই ধরনের খবর প্রতিনিয়ত ভুড়ি ভুড়ি থাকে। দেখলে মনে হবে যেন, বাংলাদেশে প্রচুর টাকা, আর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কথিত এই প্রকল্পগুলো হলো জনগণের জন্য ব্যয় বাড়ানোর ফাদ আর সরকারের লুটপাটের নতুন ধান্ধা।

বর্তমানে এই প্রকল্প এত বেশি হয়ে গেছে যে, খবরে এসেছে,

ক) “প্রকল্প ভারে ন্যুব্জ সংশোধিত এডিপি: মূল এডিপিতে প্রকল্প ছিল ১৪৫১টি, সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৯১৬টি, আরো বাজেট চাই” (https://bit.ly/2Wc7q4R)

খ) প্রকল্পের ভারে পিষ্ট পরিচালকরা (https://bit.ly/2UGBNjj)

গ) কাজ শেষ না করেই ৩শ’প্রকল্পের সমাপ্তি, টাকা শেষ (https://bit.ly/2W8JKOQ)

৫) আমি আপনাদের আগেই একটা সূত্র শিখিয়েছিলাম কর্পোরেটোক্রেসির বিরুদ্ধে, “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”। কর্পোরেটোক্রেসি মানেই সরকার আপনাকে উন্নয়ন প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাট করবে আর অন্যদিকে খরচ বাড়িয়ে সেই টাকা কয়েকগুন উসুল করবে।  যেমন:
ক) বৈদেশিক ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে রেল। বর্তমানে চলমান ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেয়া ৬৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিষদের তাই এবার ট্রেনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে গড়ে ২৫ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ (https://bit.ly/2TQhgvL)
খ) এলএনজি টার্মিনাল দেখিয়েও সরকার অনেক উন্নয়ন উন্নয়ন করেছিলো, সেই টার্মিনাল বানাতে এডিবি থেকে ফান্ডও নিয়ে এসেছিলো। এখন সেই এলএনজি টার্মিনালে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি করতেছে সেটার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে, ফলে জনগণের জীবনযাত্রা ব্যয় কয়েকগুন বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাস্তবে সেই গ্যাস জনগণের কোন উপকারে লাগবে না, কিন্তু খরচ বহন করতে হবে জনগণকেই।
সরকার যে কর্পোরেটোক্রেসি নামক নতুন পলিসি দিয়ে দেশ বিক্রির ধান্ধা শুরু করেছে, সেটা সম্পর্কে আপনাদেরকে আমি আগেই খবর দিয়েছিলাম, এবার ধারবাহিকভাবে আপনারা মিলিয়ে দেখুন।

যাই হোক, কর্পোরেটোক্রেসি দিয়ে কিভাবে দেশ দখল করতে হয়, তার বর্ণনা ইকোনোমিক হিটম্যান ‘জন পার্কিন্স’র লেখা এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠার কিছু বলা আছে, সেটা দিয়েই স্ট্যাটাস শেষ করছি:

“আমরা অর্থনৈতিক ঘাতকরা যে কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পারি সেটা হচ্ছে বিশ্ব সাম্রাজ্যকে গড়ে তোলা। আমরা হচ্ছি এমন একটি বিশেষ শ্রেণী যা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাকি বিশ্বকে আমাদের কর্পোরেটক্রেসির গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। এই কর্পোরেটক্রেসিই সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে নিরঙ্কুশ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। মাফিয়ার সদস্যদের মতই অর্থনৈতিক ঘাতকরা সুযোগ-সুবিধা বিলায়। এগুলো মূলত ভৌত অবকাঠামো, যেমন- বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাইওয়ে, সমুদ্রবন্দর, সেতু, রেললাইন, বিমানবন্দর ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব ঋণের মূল শর্ত হচ্ছে এই যে, এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যে কোন আমাদের কোম্পানীকে অবশ্যই দিতে হবে। তাই প্রকৃত অর্থে ঋণের অর্থ কখনই আমাদের বাইরে যায় না.............। ঋণের অর্থ হাতে না পেলেও ঋণগ্রহীতা দেশকে এই ঋণ সুদে আসলে পরিশোধ করতে হয়। যখন একজন অর্থনৈতিক ঘাতক পুরোপুরিভাবে সফল হয় তখন ঋণের অংক বিশালাকার ধারণ করে। তখন কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণগ্রহীতা দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। যখনই এই ঘটনা ঘটে তখনই আমরা মাফিয়ার মত ঋণখেলাপী দেশটির টুঁটি চেপে ধরে আমাদের স্বার্থ হাসিল করি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘে আমাদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান, ঋণখেলাপী দেশে আমাদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, আমাদের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর হাতে ঋণখেলাপী দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে তুলে দেয়া অথবা ঋণখেলাপী দেশের উপর দিয়ে অবাধে আমাদের যাতায়াতের অধিকার অর্জন করা। তারপরেও ঋণখেলাপী দেশটি আমাদের কাছে ঋণীই থাকে। সেই সাথে আমাদের বিশ্ব সম্রাজ্যে আরেকটি দেশ সংযুক্ত হয়।...।”

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 6, 2019

উন্নয়নের ফলাফল মূল্যস্ফীতি


গত ৫ই মার্চ, বিভিন্ন মিডিয়ার খবর, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। (https://tinyurl.com/y2ahlklm )
আমি জানি, যারা ফেসবুক ব্যবহার করে, তাদের কাছে এইসব খবরের কোন মূল্য নেই, কিন্তু আমার দৃষ্টিতে এই খবরটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর। কারণ আজকাল বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে, তার চালের দাম, ডালের দাম, তেলের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, আগে ২০০ টাকা দিয়ে যে বাজার করা যেতো, এখন ১০০০ টাকা দিয়ে সে বাজার পাওয়া যায় না। এটাকেই বলে মূল্যস্ফীতি। সেই মূল্যস্ফীতি গতি আরো বৃদ্ধির খবর আসছে মিডিয়াতে।

অনেকে হয়ত বলতে পারেন,  ভাই এটা জেনে আমার লাভ কি ? আমি জানলে কি মূল্যস্ফীতি কমাতে পারবো ?

আমার ধারণা, সকল সমস্যার মূলে রয়েছে অজ্ঞতা, যেখানে জনগণের অজ্ঞতা আছে, শাসক শ্রেণী সেই অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেই স্থানেই দুর্নীতি ও অপকর্ম করে জনগণকে কষ্ট দেয়। জনগণ যদি সব বুঝতো, তবে তাকে এত কষ্ট করতে হতো না। সারা দিন পায়ের উপর পা তুলে খেতে পারতো। জনগণের সেই অজ্ঞতা দূর করার জন্য আমার এই স্ট্যাটাস।

মূল্যস্ফীতি বা পণ্যের দাম কেনো বেড়ে যায় ?
মূল্যস্ফীতির অনেক কারণ থাকতে পারে, তারমধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতি। আমি আবার বলছি, মূল্যস্ফীতি’র অন্যতম কারণ মুদ্রাস্ফীতি (বানান দুটো খেয়াল করুন)।

তাহলে মুদ্রাস্ফীতি কেন হয় ?
বাজারে যখন অযাচিত মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায় তখন মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আরো সহজ ভাষায় যদি বলি, বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ইচ্ছামত টাকা ছাপায় তখন মুদ্রাস্ফীতি হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক কেন ইচ্ছামত টাকা ছাপায় ?
সোজা উত্তর, যখন বেশি টাকার দরকার হয়, কিন্তু টাকা না থাকে, তখন ছাপায়।

কেন বেশি টাকার দরকার হয় ?
উত্তর : দেশের আর্থিক সামর্থ আছে ১০০ টাকা, কিন্তু সরকার প্রজেক্ট নিছে ১০০০ টাকার। বাকি ৯০০ টাকা ম্যানেজ করবে কিভাবে ? সেই ম্যানেজ করার জন্য ৯শ’ টাকা অতিরিক্ত ছাপায়, এটাকে বলে মুদ্রাস্ফীতি। আর এই অতিরিক্ত টাকাগুলো যখন বাজারে ছড়ায়, তখন আগের টাকার দাম কমে যায়। আগে ১ টাকা দিয়ে যে চকলেট পাওয়া যাইতো, তখন কিনতে ৫ টাকা লাগে। আগে ২০ টাকা দিয়ে যে  চাল কেনা যাইতো সেটা কিনতে ৬০ টাকা লাগে। এইটা হইলো মূল্যস্ফীতি।

একটা দেশে কর্পোরেটোক্রেসি যত দ্রুত হবে, তার মুল্যস্ফীতি তত বেশি হবে। জিম্বাবুয়েতে মূল্যস্ফীতি চরমে। কয়েকদিন আগে জিম্বাবুয়ে ছাপিয়েছিলো ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের নোট (https://tinyurl.com/y2pt2ex9), মানে ১ এর পর ১৪টি শূণ্য। জিম্বাবয়েতে ১টা রুটি কিনতে এক ঝুড়ি টাকা লাগতো। (https://tinyurl.com/y2vsmokz)

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ কি ?
সরকার অনেক উন্নয়ন দেখাবে, অনেক মেট্রোরেল দেখাবে, অনেক ফ্লাইওভার দেখাবে, অনেক সেতু দেখাবে, অনেক রাস্তাঘাট দেখাবে, অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখাবে, অনেক পর্যটন কেন্দ্রও দেখাবে। কিন্তু সেগুলো বানানো জন্য ডাইরেক্ট আপনার থেকে টাকা নিবে না, বলবে বিদেশী বিনিয়োগ দিয়ে বানাচ্ছি, সরকারের টাকা দিয়ে বানাচ্ছি।  আপনিও খুশি থাকবেন , বলবেন, আহারে সরকার কত ভালো, নিজের টাকা দিয়ে কত উন্নতি করতেছে। এত এত ফ্লাইওভার-রাস্তা-সেতু-মেট্রোরেল বানাচ্ছে, কত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, সরকারের কোন টাকা নেই, সব জনগণের টাকা, আর বিদেশী বিনিয়োগ বলে কিছু নেই, সব হলো সুদে ঋণ, যা আপনাকেই শোধ করতে হবে। হয়ত আপনার থেকে ডাইরেক্ট টাকা নিবে না, কিন্তু নেবে আপনার চালের দামের ভেতর থেকে, আপনার ডালের দামের ভেতর থেকে কিংবা আপনার তেলের দামের ভেতর থেকে। কিন্তু আপনি কিছুই টের পাচ্ছেন না, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট করতেছে, আর আপনি খুশি থাকতেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

তাহলে কি দেশে মেট্রোরেল, রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার সেতু হবে না ?
অবশ্যই হবে। অবশ্যই দেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু সেটা ঋণের টাকায় নয়। দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের টাকায়। একজন বাবা যখন সংসারে নতুন ফার্নিচার বানাতে চায়, তখন কি সে বাইরে থেকে লোন করে বানায় ? নাকি আগে ঘরে ইনকাম বাড়িয়ে তারপর সেই টাকা দিয়ে বানায় ?  যেমন ধরুন, বাংলাদেশে একটি বড় উৎপাদন জোন হচ্ছে পুরান ঢাকা।  সরকার যদি পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ও কারিগরদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই উৎপাদন জোনটাকে আরো বড় করতে পারে, তাদেরকে তাদের পণ্যগুলো বাংলাদেশের মার্কেট ছাড়িয়ে বিদেশী বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রির সুযোগ করে দিতো, তবে তাদের মাধ্যমে দেশের ইনকাম বাড়তো। সেই ইনকামের টাকা দিয়ে দেশে হাজারো ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল করুক, সমস্যা নেই।

সরকার কেন নিজ দেশের টাকা রেখে বিদেশের টাকার দিকে হাত বাড়ায় ?
সরকার যদি বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ীকে বিদেশের মাটিতে ব্যবসা করার সুবিধা করে দেয়, শর্ত হিসেবে ঐ ব্যবসায়ীকে বলে তোমার লাভের ২৫% আমাকে দিবে। তবে ঐ ব্যবসায়ী কিন্তু এক পায়ে খাড়া থাকতো। ঠিক একইভাবে কোন বিদেশী ব্যবসায়ী যদি বাংলাদেশ সরকারকে বলে, তোমার দেশে আমাকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দাও, তার বদলে আমার লাভে ২৫% তোমাকে কমিশন হিসেবে দিবো, তখন সরকার কিন্তু এক পায়ে খাড়া থাকবে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর থেকে টাকা বৃদ্ধি করাটা দেশের উন্নতি, কিন্তু সময় সাপেক্ষ। কিন্তু বিদেশের ব্যবসায়ীদের সুযোগ করে দেয়াটা অনেক সোজা ও দ্রুত বিরাট কমিশন পাওয়ার সুযোগ।  আর এই কমিশন বিজনেস করলে খুব সুবিধা। দেশে দুর্নীতি করলে প্রমাণ থাকে, কিন্তু বিদেশীদের সাথে কমিশন বিজনেস করলে কোন প্রমাণ থাকে না। ঐ টাকা নিয়ে বিদেশের মাটিতে দ্বীপ কিনে রাখে, নতুবা সুইস ব্যাংকের মত কোন স্থানে জমা রেখে দেয় শাসক শ্রেণী।

গত কয়েকদিন আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলো, “বিএনপি আমলের চেয়ে বাজেট বেড়েছে সাতগুণ” (https://tinyurl.com/y397e3kp)
আমার মনে হয়, তখন বিএনপির বলা উচিত ছিলো, বিএনপির আমলের থেকে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ৪ গুন । বিএনপির আমল শেষে ছিলো ১৬ হাজার টাকার মত, এখন হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। (https://tinyurl.com/y5xnx9jp, https://tinyurl.com/y5zy9sg4 ), বিষয়টা হলো ঋণ করে ঘরের ফার্নিচার কেনার মত উন্নয়ন হয়েছে। যদিও বিএনপি বিষয়টি বলেনি।

আমার মনে হয়, সবাই সবার লাভ বুঝে। সরকারও বুঝে, বিদেশীরাও বুঝে। বুঝে না শুধু জনগণ। এই যে পুরান ঢাকার ব্যবসাগুলো কেমিক্যাল ট্যাগ গিয়ে ধ্বংস করতে সাধারণ জনগনই উস্কানি দিচ্ছে, তারা কি জানে, এই দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হলে তার দৈনন্দিন সব খরচ বেড়ে যাবে, ১ টাকার মাল ৫ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। যদি বুঝতো, তবে বেকুবের মত ফেসবুকে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে চিল্লাপাল্লা করতো না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

“উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”

আজকাল আমরা একটা কথা বলে সবাই ভুল করি। আমরা সব সময় বলি, “আমরা বাংলাদেশের উ্ন্নয়ন চাই”। আমার মনে হয়, আমাদের এই বক্তব্যটা পরিবর্তন করার সময় এসেছে। আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত, “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমিয়ে দিন”।
‘উন্নয়ন’ বলতে যে জিনিসটা প্রচার করা হচ্ছে-
বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাস্তাঘাট, পর্যটন কেন্দ্র, ব্রীজ-সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, স্টেডিয়াম, সিনেপ্লেক্স, পরিবেশ সুন্দর, বিমানবন্দর এই সব ‘উন্নয়ন’ বাংলাদেশের দরকার নাই। বিশেষ সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর এগুলো দরকার নাই। এগুলো উচ্চবিত্ত শ্রেনীর ইতিমধ্যে আছে, অথবা তারা টাকা দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে সেগুলো ম্যানেজ করে ফেলছে। এবার আসুন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণী, যারা বাংলাদেশের ৯৯% জনগন। তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন তো, তাদের আগে কি প্রয়োজন ? তাদের কি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাস্তাঘাট, সেতু, ব্রীজ, বিমানবন্দর, পর্যটন কেন্দ্র, পরিবেশ সুন্দর, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আগে দরকার নাকি চালের দাম, ডালের দাম, তেলের দাম কমানো আগে প্রয়োজন ? বাড়িভাড়া, মেসভাড়া, যাতায়াত ভাড়া, মোবাইল বিল, ইন্টারনেট বিল ইত্যাদি যদি কমিয়ে অর্ধেক করে দেয়, তবে কি আপনি খুশি হবেন? নাকি মেট্রোরেলে করে খুশির ঠেলায় ঘুড়তে দিলে খুশি হবেন ?  আমি নিশ্চিত, এসব খরচ কমালে মানুষ বেশি খুশি হবে।

আসলে কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্রের মূল ছিদ্রটা হলো ‘উন্নয়ন’।
যখনই আপনি উন্নয়ন চাইবেন, তখন আপনাকে উন্নয়নের নামে পর্যটন কেন্দ্র, বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্টেডিয়াম, ব্রীজ, সেতু, রাস্তাঘাট, মেট্রোরেল ধরায় দিবে। কিন্তু বিনিময়ে আপনার জীবন ব্যয় দ্বিগুন-ত্রিগুন-চতুর্গুন বেড়ে যাবে। আপনি যদি সুন্দর ঢাকা শহর চান, তবে তারা বস্তিতে আগুন দিবে, আপনি যদি পরিবেশ সুন্দর, চান, তবে সেই অজুহাতে দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করে দিবে, বিদেশী প্রডাক্টের উপর আপনাকে অভ্যস্ত করে খরচ তিন-চার গুন বাড়িয়ে দেবে।কর্পোটোক্রেসি পলিসিতে ব্যবসা বাণিজ্য ছড়াতে নয় বরং উচ্ছেদ করে ধ্বংস করতে চায়।   কর্পোরেটোক্রেসির উন্নয়ন দেখে মানুষ শিহরিত হয়, আনন্দিত হয়।  কিন্তু এর পেছনে খরচ বাড়ে, বেকারত্ব বাড়ে, বস্তিতে আগুন লাগে, দেশীয় শিল্প ধ্বংস হয়।
অপরদিকে,  যখন আপনি খরচ কমানোর জন্য চাপ দিবেন, তখন বাধ্য হয়ে তাকে ইনভেস্ট করতে হবে কৃষি, শিল্পের মত উৎপাদনশীল খাতে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে শিক্ষা ও চিকিৎসার মত মৌলিক খাতে। আর উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ মানে বেকারত্ব হ্রাস। বাড়িভাড়া আর যাতায়াত খরচ কমাতে গেলে শহর বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যাম্ভী। শহর বিকেন্দ্রীকরণ করতে আপনাকে ঢাকাস্থ ব্যবসা বাণিজ্যকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে (উচ্ছেদ নয়) ।

সমীকরণ আকারে দেখালে:

(১) উন্নয়ন = অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ---দেশীয় শিল্প ধ্বংস--বেকারত্ব বৃদ্ধি--বিদেশী কর্পোরেটদের আগমন---জীবনব্যয় পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি--যানজট কৃত্তিমভাবে বাচিয়ে রাখা।

(২) খরচ কমানো = উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ----দেশীয় শিল্পে স্বনির্ভর----বেকারত্ব হ্রাস---শহর বিকেন্দ্রীকরণ---যানজট হ্রাস----বাড়িভাড়া হ্রাস---যাতায়াত ভাড়া হ্রাস---জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে এমনিতেই

আমার মনে হয়,
জনগণের এখন তাই ‘উন্নয়ন’ চাওয়া আর উচিত নয়। বরং তারা দাবী তুলুক তাদের বাড়িভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হোক, তাদের খাদ্যের দাম অর্ধেক করে দেয়া হোক, তাদের যাতায়াত ভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হোক। জীবনব্যয় কমানোর দিকে শ্লোগান দিলে বিদেশী কর্পোরেটরা এমনিতেই লেজ গুটিয়ে পালাবে।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, February 27, 2019

কারো কোন ব্যবসা দেখলেই সেটা খেয়ে ফেলাই আওয়ামী সরকারের কাজ।

প্রথম আলোতে এক সাক্ষাৎকারে নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলছে, আওয়ামী সরকার নাকি ব্যবসা বান্ধব। (https://bit.ly/2GTJDly)

সরি, টিপু মুনসি আপনার কথা মানতে পারলাম না।
আওয়ামী সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার না, ব্যবসা খেকো সরকার।
কারো কোন ব্যবসা দেখলেই সেটা খেয়ে ফেলাই আওয়ামী সরকারের কাজ।
টিপু মুনসি নিজেই তো এক সময় বিজিএমইএর সভাপতি ছিলো।  সে নিজের মুখেই বলুক, বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পের অবস্থা কি ?
উল্লেখ্য, দৈনিক জনকণ্ঠে গত ৬ই জানুয়ারী, ২০১৮ তারিখে একটি খবরে প্রকাশ, এক সেমিনারে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেছিলো, চার বছরে ১২০০ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে”।(https://bit.ly/2XcxSfY)\
 
যে গার্মেন্টস ব্যবসার মাধ্যমে এত এত বৈদেশিক মুদ্রা।  যে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ নিয়ে শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে গর্ববোধ করে, সেই গার্মেন্টস সেক্টরের কেন এত দুর্দশা ? সরকার যদি ব্যবসা বান্ধবই হয় তবে তো এমন হওয়ার কথা ছিলো না।

ব্যবসা খেকো আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম ধ্বংস করেছিলো দুটি ব্যবসা-
১) রিয়েল স্টেট
২) শেয়ার মার্কেট

নতুন করে সরকারী অব্যবস্থাপনার কারণে নষ্ট হলো ট্যানারি বা চামড়া শিল্প। সরকার যদিই ব্যবসা বান্ধবই হতো, তবে এমনটা হলো কেন ?

কোন ব্যবসায়ী ব্যবসা বিস্তৃতি করতে না পারার মূল কারণ, ব্যাংক ঋণ না পাওয়া। অনেক সৎ ও দক্ষ ব্যবসায়ী আওয়ামী সরকারের আমলে ঋণ পায়নি, শুধু আওয়ামীলীগ না করার কারণে। অপরদিকে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ করার কারণে অনেক নব্য গজিয়ে ওঠা ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে মিথ্যা বলে কোটি কোটি টাকা নিয়ে লোপাট করেছে, যার দরুণ আজকে ব্যাংকগুলো এক মূলধন সংকটে ভুগছে।

অজ্ঞাত কারণে সরকার দেশের গ্যাস উত্তোলন করে না। কথিত আছে, বাংলাদেশের গ্যাসে লেয়ার এমন অবস্থায় আছে যে, বাংলাদেশে থেকে গ্যাস উত্তোলন করলে ভারতীয় লেয়ারের গ্যাস বাংলাদেশ দিয়ে বের হয়ে যাবে। অথচ এই গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে লক্ষ লক্ষ কারখানা। (https://bit.ly/2TTd8I1)

ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসাকে ধ্বংস করা ছিলো আওয়ামী সরকারের ওয়ান-টু’র কাজ। এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ডেইরি শিল্পের পেছনে লাগলো সরকার। সরকার শিক্ষিত বেকারদের চাকুরী দিতে পারে না। তাই তারা মা-বাপের জমানো টাকা দিয়ে নামছে ডেইলি ফার্ম ব্যবসায়। লক্ষ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই খাতে। কিন্তু হঠাৎ করে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের অঙ্গসংগঠন ফাউ (FAO) এর টাকায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এক জরিপে দাবি করে, বাংলাদেশের গরুর দুধে নাকি তারা এন্টিবায়োটিক আর শিসা পাইছে।  বিষয়টি প্রচারের দায়িত্ব নেয় সিআইএ’র মুখপাত্র দৈনিক প্রথম আলো। মূলত এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে স্বপ্রণোদিত হয়ে গড়ে ওঠা ডেইরি শিল্পকে ধ্বংস করে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানি করে নিয়ে আসা।  (https://bit.ly/2IrV0nj, https://bit.ly/2TXOwOn)

শুধু এবারই না, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ডেইরি ফার্মগুলোর পেছনে লেগেছে সরকার প্রশাসন। আবাসিক এলাকা থেকে ডেইরি ফার্ম সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয় প্রশাসন (https://bit.ly/2V8GC4R)। অথচ আবাসিক এলাকায় এসব ফার্ম আছে বলে আবাসিক এলাকার মানুষ গরুর দুর্ধ খেতে পারছে, নয়ত তাদেরকে গুড়া দুধ পানিতে গুলিয়ে খেতে হতো।  উল্লেখ্য বিভিন্ন এলাকায় এইসব ফার্ম গড়ে উঠায়, দুধের পাশাপাশি, কোরবানীর ঈদে গরু সরবরাহ অনেক সহজ হয়ে গেছে, ফলে ভারত থেকে গরু আমদানি করা লাগছে না। কিন্তু এই ব্যবসা খেকো সরকার কোন সম্ভবনাময় শিল্প দেখলেই সেটাকে কিভাবে করে কোমড়ভাঙ্গা যায়, সেটা নিয়ে থিসিস শুরু করে, যা দেখা যাচ্ছে এবার ডেইরি ফার্মের বেলায়।
এবার আসুন, দোকান-মার্কেট ব্যবসার দিকে তাকাই। সরকারের বাপের টাকা না, নিজের টাকা দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা ব্যবসা। কিন্তু ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল এর দাপটে ব্যবসা সব লাটে উঠছে। বছরের পর বছর রাস্তা কাটা, মার্কেটে বেচা বিক্রি নাই। বিক্রি ছাড়া দোকান ভাড়া আর স্ট্যাফ খরচ দিয়ে কত দিন লসে চলতে পারে ? ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের  নির্মাণের জন্য সারা ঢাকা শহরে অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শুধু তাই নয়, এসব স্থাপনা তৈরী হওয়ার পর গাড়ি আর নিচ দিয়ে যায় না, উপর দিয়ে যায়। তাই অনেক চালু দোকান কাস্টমারের অভাবে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। ফ্লাইওভার মেট্রোরেল করতে গিয়ে তো সরকার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, কিন্তু কত লোকের পেটে লাত্থি পড়ছে তার হিসেব কেউ রেখেছে?

কোচিং-কে যদি আমরা এক ধরনের শিল্প হিসেবে দেখি, তবে সেটাও কিন্তু বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ব্যবসা খেকো আওয়ামী সরকার। শিক্ষিত যুবকরা নিজের পকেটের টাকা জমিয়ে পাড়ার অলিতে গলিতে গড়ে তুলেছে কোচিং সেন্টার, যা আজকে দেশের স্কুল-কলেজের প্যারাল্যাল হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সরকার চায় না, সরকারী বইয়ের বাইরে কোন ছাত্র ১ অক্ষর বেশি জানুক। তাই এর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র। নানান মিথ্যা ছুতা-নাতা দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো।

আপনাদেরকে আগে থেকে সতর্ক করে দিচ্ছি, বাংলাদেশের চিংড়ী শিল্প ধংষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। ভেনামি চিংড়ী নামক এক ক্ষতিকারক চিংড়ী এনে বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পূর্ণ লাটে উঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।  একটি ইহুদীবাদী বিদেশী সংস্থা ‘উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর টাকা খেয়ে  এর সাথে যুক্ত হয়েছে মৎস ও প্রাণীপ্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।  (https://bit.ly/2U62AFm)

উল্লেখ্য ২০১৩ সালেও একবার ভেনামি চিংড়ী আসার কথা ছিলো বাংলাদেশে।  কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক বেশি হওয়ায় এই বিদেশী চিংড়িটি আর বাংলাদেশে আসা হয়নি।   এর কারণ, ভেনামি চিংড়ি আমদানির পর প্রথমেই যে সমস্যাটি দেখা দিবে তা হলো ব্রুড চিংড়ি অনুপ্রবেশের মাধ্যমে আমাদের দেশীয় চিংড়িতে ভাইরাসজনিত রোগের সংক্রমণ।  গত কয়েক দশকের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে ব্রুড চিংড়ি অনুপ্রবেশের কারণে ভাইরাসজনিত রোগ বিশেষ করে 'হোয়াইট স্পট ডিজিস' ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।  একটু অসতর্কতার কারণে একবার রোগের রাস্তা খুলে গেলে দেশীয় বাগদা চিংড়ির অপার সম্ভাবনা চিরতরে বিনষ্ট হবে।   (https://bit.ly/2GAtXV9)

উৎপাদন বন্ধ করো, বেকারত্ব বৃদ্ধি করো।
বিদেশ থেকে ঋণ আনো, নিজের পকেট ভর্তি করো।
অনুৎপাদন খাতে ব্যয় করো, জীবনব্যয় বৃদ্ধি করো,
বেকারত্ব বৃদ্ধি করো, দারিদ্রতার চাষ করো।
বিদেশী কলকারাখানা স্থাপন করো, নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিক নিয়োগ করো।
স্ব-নির্ভর নয়, স্বাধীন দেশে দাসত্ব জীবন গড়ো।

এটাই হলো কর্পোরেটদের শাসন বা কর্পোরেটোক্রেসি, এক সময় নীলকর এই কাজটি করেছিলো, এখন নব্য উপায়ে, নতুন সিস্টেমে তার বাস্তবায়ন চলছে। সময় পাল্টেছে মীর জাফরদের স্থানটি দখল করেছে সরকার, তবে জনগণ এখনও অবুজ। নতুন ষড়যন্ত্র বুঝতে তাদের আরো সময় প্রয়োজন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

সৌদি আরবের সাথে সেনাচূক্তি, বাংলাদেশের লাভক্ষতির হিসেব-নিকেষ


আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ ও সৌদি সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি চূক্তি সম্পাদিত হতে যাচ্ছে।  এ চূক্তি হলে ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা যাবে, যুদ্ধকবলিত এলাকায় মাইন তুলতে।   (https://bit.ly/2Bw6LmQ )
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সময় বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছিলো, “'মক্কা মদিনা আক্রান্ত হলে সৌদি আরবে সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ”।
(https://bbc.in/2titONp)
মক্কা-মদীনায় কোন কিছু হলে সৈন্য পাঠাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নতুন এ চূক্তির মাধ্যমে মাইন তোলার নাম করে বাংলাদেশে এখন সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে।   কিন্ত হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত ? এতে কি বাংলাদেশ লাভবান হবে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করতে আমার এ পোস্ট।

এক্ষেত্রে সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে একটু আলোচনা করার দরকার আছে। এবার নির্বাচনের আগে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লবিং করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে পাল্টা আওয়ামীলীগকে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে। বিশেষ করে, নির্বাচনের ঠিক আড়াই মাস পূর্বে শেখ হাসিনা সৌদি আরব যায় এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে বিন সালমানের সাথে দেখা করে (https://bit.ly/2Eu2dkP)। আর বিন সালমানের রয়েছে ট্র্যাম্প জামাতা জারেড কুশনারের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। এবং এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, বিন সালমানের লবি অন্যান্য লবি থেকে অধিক শক্তিশালী লবি হবে।

নির্বাচনের আগ মুহুর্তে শেখ হাসিনার সাথে বিন সালমানের সাক্ষাৎ আমাকে ভাবিয়েছিলো, এবার নির্বাচনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মার্কিন নেটওয়ার্ক ঠিক মত কাজ করবে তো ?
সেটাই কিন্তু প্রমাণ হয়, নির্বাচনে  ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আমেরিকান নেটওয়ার্ক ঠিকমত কাজ করে নাই, যার সুযোগ আওয়ামীলীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়।  এ কারণে অনেকে এবারের নির্বাচনকে আওয়ামীলীগের চাওয়ার থেকে বেশি পাওয়া বলে মনে করেন, কেউ কেউ “নকল করে পরীক্ষা দিতে গিয়ে জিপিএ-৬” বলে বর্ণনা করেছে।

যদি সত্যিই আওয়ামীলীগ মার্কিন লবি ধরতে সৌদি আরবকে ব্যবহার করে, তবে স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন আসে, নির্বাচনে জয়লাভ করলে আওয়ামীলীগ সৌদি আরবকে কি প্রতিদান দেবে ?
তবে কি আওয়ামীলীগের নির্বাচনে জয়লাভ করতে সহায়তা করার প্রতিদান হিসেবে সৌদির সাথে সামরিক চূক্তি বা ইয়েমেনে সৌদির পক্ষে সেনা পাঠাচ্ছে আওয়ামীলীগ ??

ইয়েমেন যুদ্ধে কে কে লড়ছে ? -

ইয়েমেন যুদ্ধ একটা জটিল সমীকরণ বিরাজ করছে।  এত জটিল হিসেব দিতে অনেক সময় লাগবে।  তবুও আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিকোন থেকে যদি তাকাই তবে ৩টি পক্ষকে পাওয়া যায়-
(১) সৌদি আরব ও আরব আমিরাত- একপক্ষ
(২) ইরান –দ্বিতীয় পক্ষ
(৩) কাতার, সুদান ও তুরস্ক – মধ্যপক্ষ

ইমেয়েন যুদ্ধ থেকে কাতার অবরোধ ঃ
ইয়েমেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কাতার অবরোধের সূচনা। কাতারের সাথে অনেক পূর্ব থেকে ইয়েমেনের  হুতিদের ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু হুতি ও সালেহদের মধ্যে ঐক্য হলে কাতারের সাথে হুতিদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। কিন্তু সালেহের হত্যার পর সেই ঐক্য নষ্ট হয়। তখন কাতার হুতিদের সাথে ফের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করে। এই ঘটনাটি ঘটলে রক্তক্ষয়ী ইয়েমেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারতো। কিন্তু হুতির সাথে কাতারের সম্পর্ক সৌদি-আরব আমিরাতের স্বার্থে বিঘ্ন ঘটায়। তাই সৌদি-আরব আমিরাত এর কঠোর বিরোধীতা করতে থাকে, একপর্যায়ে তারা কাতারের বিরুদ্ধে আবরোধ আরোপ করে। কিন্‌তু তুরষ্ক কাতারের পাশে এসে দাড়ালে, সৌদি-আমিরাত অবরোধ আরোপ করে সফল হতে পারেনি। যেহেতু ইয়েমেন যুদ্ধের সাথে কাতার-অবরোধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই বাংলাদেশ যদি সৌদি-আমিরাতের পক্ষ নেয়, তবে আলটিমেটলি বাংলাদেশের অবস্থান হবে কাতার-তুরষ্কের বিপক্ষে।

সৌদির সাথে সামরিক চূক্তি করলে লাভ-ক্ষতি কি হবে ?
ক) এমনিতেই ইয়েমেন যুদ্ধ লেজে গোবরে অবস্থায় পৌছে গেছে। কয়েকদিন আগে মরোক্কোও সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে।  এ অবস্থায় সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ নিয়ে ইয়েমেন ইস্যুতে যাওয়া মানে ইচ্ছাকৃত পচা শামুকে পা কাটতে যাওয়া।  
খ) ইয়েমেন যুদ্ধ সৌদি-আরব আমিরাত-কাতার-তুরষ্কের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জটিল রাজনীতি, ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ যদি প্রবেশ করে তবে সবকিছুকে সামাল দেয়ার ক্ষমতা কি আওয়ামী সরকারের আছে ?
গ)ইয়েমেন ইস্যুতে বাংলাদেশ জড়িয়ে গেলে কিছু সময় পরে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পক্ষ-বিপক্ষ তৈরী হবে। যদি সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষে যায় তবে কাতার-তুরষ্ক-সুদানের বিরুদ্ধে যাবে। আর মাঠে নেমে সরে গেলে সৌদি-আরব আমিরাতের  সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। এটা আমাকে-আপনাকে মানতেই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই যে আমরা যেচে গিয়ে এই জটিল সমীকরণের মধ্যে ঢুকছি, এর ফলাফল আলটিমেটলি আমাদের ১ কোটি শ্রমিকের জীবিকা দিয়ে খেসারত দিতে হয় কি না, সেটা নিয়ে আগাম চিন্তা করার দরকার আছে।
ঘ) বাংলাদেশ এতদিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি (ভারত-চীন) মধ্যে অধিকমাত্রায় আবর্তিত হয়েছে, যা অবশ্যই বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় বাধা।  এরমধ্যে অযথাই যদি নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতির (সৌদি-কাতার-ইরান) মধ্যে অনুপ্রবেশ করে, তবে তা বাংলাদেশকে আরো পিছন থেকে আটকে ধরবে, যা দেশকে আরো পিছিয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নাই।

সবশেষে বলবো,
আওয়ামীলীগ অবৈধ নির্বাচনে অবৈধভাবে জয়লাভ করেছে, এর খেসারত কেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপরাধ শ্রমিক ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দিতে হবে ?  তাছাড়া আওয়ামী সরকার সব সময় প্রচার করে, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি হচ্ছে, “কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় সবার সাথে বন্ধুত্ব”। এই নীতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জটিল সমীকরণে পক্ষ-বিপক্ষ কখনই মিল খায় না। এ অবস্থায় অযথাই বাংলাদেশ চূক্তি করে কেন মুসলিম দেশগুলোর শত্রু-মিত্র হবে ?  সৌদির সাথে তাই এ চূক্তি করা কখনই বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মনে করি।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, February 12, 2019

আপনি কি ঋণ করে বাসায় সৌখিন ফার্নিচার বানান ? (১)

আমার মনে হয় এমনটা কেউ করে না, করলেও বিষয়টি খুব স্বাভাবিক নয়।
মানুষ তখনই সৌখিনতার আশ্রয় নেয়, যখন তার ইনকামের টাকা খরচের পর উব্ধৃত থাকে।
কথাটা বলালাম, কারণ একটা দেশ কিভাবে চলে তা সাধারণ মানুষ বুঝতে চায় না।
একটা পরিবার যেভাবে চলে, একটা দেশও কিন্তু সেভাবে চলে ।
একটা পরিবারকে যেমন আগে ইনকাম করে তারপর খরচ করতে হয়
ঠিক তেমনি রাষ্ট্রকেও আগে ইনকাম করে তারপর খরচ করতে হয়।
একটা পরিবারকে তার খরচের সময় তার ইনকামের কথা মনে রাখতে হয়। ইনকামের অতিরিক্ত সে খরচ করতে চায় না, তখন সে ঋণে পড়ে যাবে।
ঠিক তেমনি একটা রাষ্ট্রকেও খরচের সময় তার ইনকামের দিকে খেয়াল রাখতে হয়, নয়ত সে ঋণে পড়ে যাবে।
কোন পরিবার যখন খরচ বাড়াতে চায়, তার আগে সে ইনকাম বাড়ানোর ধান্ধা করে।
ঠিক তেমনি কোন রাষ্ট্রও খরচ বাড়াতে গেলে তার আগে ইনকাম বাড়াতে হবে, কিন্তু ইনকাম না বাড়িয়ে যদি খরচ বাড়ায় তখন তাকে ঋণগ্রস্ত হতে হয়।
কোন পরিবারের যদি ইনকাম ৩০ হাজার টাকা হয়, কিন্তু সে যদি মানুষের থেকে ঋণ করে ৫০ হাজার টাকা দামের সোফা সেট, ৭০ হাজার টাকা দামের ঝাড়বাত্তি কিনে তবে কি আপনি তাকে ভালো বলবেন ?
অবশ্যই ভালো বলবেন না, অপরিনামদর্শী, উড়নচন্ডিসহ নানান উপাধি দেয়া শুরু করবেন।
সেটাই যদি কোন পরিবারের জন্য সত্য হয়, তবে বাংলাদেশের ইনকাম অনুসারে বিদেশ থেকে ধার মেট্রোরেল, পাতাল রেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ের মত এসব এক্সপেনসিভ প্রজেক্ট বানানো কি অপরিনামদর্শীতা নয় ?
কথা হলো আপনি ঋণ করে কেন এসব স্থাপনা বানাবেন ? আপনি নিজেই ইনকাম বাড়ান, তারপর সেখান থেকে এগুলো বানান, কিন্তু সেটা না করে দ্রুত এসব স্থাপনা অনেকটা ৩০ হাজার টাকা ইনকামের লোকের ধার করে ৫ লাখ টাকা সৌখিন ফার্নিচার কেনার মত।
আসলে সাধারণ মানুষ, এসব জিনিস বুঝে না, তাই এসব কাজে বাধাও দেয় না। ঘরের কর্তা যদি এসব অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে বাধা দেয়, কারণ তারা জানে, এভাবে অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে এমন সৌখিন ফার্নিচার কিনলে একটা সময় ঋণের ভারে পরিবারের সুখ-শান্তি বিনষ্ট হতে পারে। ঠিক তেমনি বিদেশী ঋণ নিয়ে এসব উচ্চমূল্যের প্রজেক্ট করলেও দেশের মানুষের সুখ শান্তি বিনষ্ট হতে পারে, তাই দেশের মানুষেরও উচিত এসব প্রজেক্টে বাধা দেয়া।
মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করতে হবে :
ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি হচ্ছে, কোন প্রকল্পের সম্ভবতা যাচাই। এরমধ্যে অনেকগুলো অপশন আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই প্রকল্পটি কি লাভজনক হবে কি না ? মানে এরমাধ্যমে খরচ উঠে লাভজনক হবে কি না ?
সরকার কখনই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করে না। কারণ সরকার জানে, এটা জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করলে জনগণ এ প্রজেক্ট বাধা দিবে। সেই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতেই আছে সরকার কিভাবে মেট্রোরেলের ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ উঠিয়ে নিয়ে আসবে।
এখানে একটা আবারও বলি, জনগণ কিন্তু বুঝে না দেশ কিভাবে চলে। কিন্তু সরকার বাস্তবে সেটা বুঝে। একজন কর্তাকে যেমন টাকা সংগ্রহ করে তারপর খরচ করতে হয়, কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে তার খরচ ও লভ্যাংশ তুলতে হয়। ঠিক তেমনি সরকারকেও কোন একটি প্রকল্পে ইনভেস্ট করলে তার খরচ ও লভ্যাংশ তুলে আনার ফর্মুলা দেখাতে হয়। আর সেই ফর্মুলা দেখানোর পদ্ধতিকেই বলছি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি। যদি সরকার ফিজিয়াবিলিটি স্ট্যাডিতে মূল খরচ ও লভ্যাংশ না দেখাতে পারে, তবে এ প্রজেক্ট কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।
মেট্রোরেলে খরচ হবে ২২ হাজার কোটি টাকা, যার ৭৫% সুদে ঋণ হিসেবে দিবে জাপানের জাইকা। বাকি ২৫% সরকারী ফান্ড থেকে আসবে, এটা কিন্তু ভর্তুকি নয়, সরকারকে এটা ফেরত দিতে হবে। আমার জানা মতে সরকারকে জাইকার টাকা ৩০ বছরের মধ্যে সুদ আসলসহ ফেরত দিতে হবে।
যদিও ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি আমার হাতে এসে পৌছায়নি, তবুও আমরা যদি একটু ক্যালকুলেশন করি, তবে দেখতে পাই ৩০ বছর = ১১ হাজার দিন। তাহলে ২২ হাজার কোটি টাকা সুদ ছাড়া উঠে আসতে মেট্রোরেলকে সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ২ কোটি টাকা লাভ করতে হবে। পাঠক, আমি আবার বলছি, মেট্রোরেল যদি সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ২ কোটি টাকা লাভ করে, তবে মেট্রোরেলের খরচ উঠতে ৩০ বছর লাগবে (সুদ ছাড়া)। শর্ত হলো ৩০ বছরে প্রাথমিক ২২ হাজার কোটি টাকার পর অতিরিক্ত আর কোন খরচ মেট্রোরেল করতে পারবে না। তারমানে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতে সরকার দৈনিক ২ কোটি টাকার আরা অধিক লাভ প্রদর্শন করেছে এবং সেই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি প্রদর্শন করে এই প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এখানে একটি কথা আপনাদের জেনে রাখা দরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের সড়ক ও যোগাযোগ খাতে বাজেট ছিলো ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশের বাজেট ছিলো ২০ হাজার টাকা কোটি টাকা, সেখানে এক মেট্রোরেলের বাজেট ২২ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে বোঝা যায়, এই মেট্রোরেল কত উচ্চমূল্যের একটি প্রজেক্ট।
এখন কথা হলো, মেট্রোরেল থেকে যদি দৈনিক ২ কোটি টাকা লাভ আসে, তাহলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যদি না আসে তখন কি হবে ?
তখন সেই টাকা জনগণকে পরিশোধ করতে হবে । জনগণ কিভাবে পরিশোধ করবে ?
জনগণের ট্যাক্স, ভ্যাট, মাসুল, জমির খাজনা, গ্যাসের বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়া হবে। সেই অতিরিক্ত টাকা থেকে মেট্রোরেলের ব্যয় মেটানো হবে। আর যদি সেগুলো বাড়ানো নিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামে তাহলে সরকার সেগুলো হয়ত বাড়াবে না। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা ছাপায়ে সেই খরচ জোগান দিবে। আর অতিরিক্ত টাকা ছাপানো মানে মুদ্রস্ফীতি। ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে। ৬০ টাকার চাল ১২০ টাকা হবে। সোজা ভাষায় মেট্রোরেল যদি দৈনিক ২ কোটি টাকা ৩০ বছর লাভ না করতে পারে, তবে সেই টাকা জনগণের পকেট থেকে দিতে হবে, সেটা যেভাবেই হোক।
আমি জানি, বাংলাদেশের অনেক লোক মেট্রোরেলের পক্ষে। মেট্রোরেলের পক্ষে থাকার কারণ, “মনে করেন খুশির ঠেলায় ঘুড়তে, ভাল্লাগে তাই” ব্যস এতটুকু। তার দেখতে ভাললাগে, সেখানে ঘুড়তে ভালো লাগে তাই। এর কারণ সে মনে করে এই মেট্রোরেলের জন্য সরকার খরচ করবে, আর সে যদি ফ্রি পায় তবে সমস্যা কোথায় ? এর বিরোধীতা করার দরকার কি ? কিন্তু এই লোকগুলোর এতটুকু বুঝে আসে না, সরকারের টাকা বলে কোন টাকা নাই, সব পাবলিকের টাকা, পাবলিকের পকেটের টাকাই সরকার অমুক-তমুক ছুতায় নেয়। মাঝখান দিয়ে সরকার যত বেশি টাকার প্রজেক্ট দেখাতে পারবে, ততবেশি লুটপাট আর দুর্নীতি করতে পারবে। সরকারের অতি-উৎসাহি হওয়ার কারণ সেখানেই। (চলবে)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

উৎপাদনশীল খাতগুলোতে ব্যয় করুন, দেশকে উন্নত করুন।



ক্রিকেট খেলা আর ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল নয় সরকারের ইনভেস্ট করা উচিত ধোলাইখাল, জিঞ্জিরা আর পুরান ঢাকার এসব কারখানায়। বিদেশ থেকে যে জিনিস ১০ টাকায় কিনে আনতে হয়, এটা বাংলাদেশে ১ টাকায় বানানো সম্ভব, শুধু প্রয়োজন প্রশিক্ষণ আর সহায়তা। সরকার অনুৎপাদনশীল খাতগুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও এসব উৎপাদনশীল খাতগুলোর দিকে ফিরেও তাকায় না। উপরন্তু নানান কায়দায় এগুলো বন্ধ করার পায়তারা খোঁজে। অথচ সামান্য কিছু সহায়তা পেলে এখাতগুলো থেকে লক্ষ কোটি টাকা লাভবান হতে পারে দেশ, দেশের চাহিদা মিটিয়ে তারা বিদেশেও রফতানির হাত বাড়াতে পারে। দেশে রয়েছে সাড়ে ৪ কোটি বেকার। তাদের একটি বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে এই খাতে। আলাদা জমি বরাদ্দ, বিনিয়োগ আর প্রশিক্ষণ দরকার শুধু, সুযোগ পেলে এদের জন্য রিসার্চ বা গবেষণা করাও কঠিন কিছু নয়। এমনও হতে পারে ধোলাইপাড় বা জিঞ্জিরায় বানানো নতুন কোন প্রোডাক্ট দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতে পারে নতুন চীন হিসেবে।
দেশ পরিচালনাকারীদের বলবো, দয়া করে দেশটাকে আর শেকল পড়িয়ে রাখবেন না, স্বাধীনতার ৪৭ বছর হয়ে গেছে, এখনও উৎপাদনশীল খাতগুলোকে অবরুদ্ধ করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি। অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বন্ধ করে উৎপাদনশীল খাতগুলোতে ব্যয় করুন, দেশকে উন্নত করুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

পোষাক শ্রমিকদের আন্দোলন, কারণ ও সমাধান


গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের বিভিন্ন পোষাক কারখানার শ্রমিকরা মাঠে নেমে আন্দোলন করছে। তারা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। শ্রমিকদের দাবি, তারা ন্যায্য উপায়ে বেতন পাচ্ছে না, তারা তাদের বেতন আরো বৃদ্ধির আবেদনও জানিয়েছে। আসলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন একেবারেই অযৌক্তিক নয়, তবে একবারেও তা সমাধান করা যাবে না। কারণ আপনি যত ধাপে বেতন বাড়াবেন, তারা আরো বেশি চাইবে, এটা যে তাদের দোষ তাও নয়। কিন্তু আমি যে কোন সমস্যার গোড়ায় গিয়ে তা সমাধানের পক্ষে, যেন একই সমস্যা বার বার উদয় না হতে পারে।

পোষাক শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রধান দুটি কারণ আছে।

প্রথমত, কারখানা মালিকরা অনেক সময় তাদের বেতন আটকে রাখে, অনেক ক্ষেত্রে ঠকায়। কিন্তু সরকারীভাবে সেটার প্রতিকার করা হয় না।

দ্বিতীয়ত, মার্কিনপন্থী কিছু এনজিও নিজেদের স্বার্থে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঠে নামতে উস্কানি দেয়। মোশারেফা মিশু নামক মার্কিন ব্যাকিং চলা এক মহিলা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঠে নামানোর জন্য অন্যতম দায়ী।

একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের পোষাক কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক অর্ডার পায় ন্যূনতম শ্রমিক মজুরীর কারণে। সেই শ্রমিক মজুরী নিয়ে যদি আঘাত আসে, তবে পরবর্তী প্রতিঘাতটা নিয়েও চিন্তা করার দরকার আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পোষাক শিল্পের এখন করুণ অবস্থা। এই অবস্থায় যদি শ্রমিক অস্থিরতা তৈরী করা যায় এবং গার্মেন্টস মালিকদের খরচ বাড়িয়ে দেয়া যায়, তবে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাতকে ধিরে ধিরে ধ্বংস করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আপনারা আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা শুনে দেখবেন, তারা বলে, “আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। বাড়িভাড়া, খাবার খরচ আগে থেকে বেড়েছে, কিন্তু সে অনুপাতে বেতন বাড়ে নাই।”

আচ্ছা, এ সমস্যাটা কি শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকদের ? নাকি সকল চাকুরীজীবিরই একই সমস্যা ? সবাই `লিভিং-কস্ট' ম্যানেজ করতে গায়ের ঘাম ঝড়াচ্ছে না ? তারমানে সমস্যাটা শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতনে না, অনেকেরই আছে। তাই সমাধানটা মূল জায়গায় করা দরকার।

মনে রাখতে হবে, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে ঢাকাবাসীদের মূল খরচ তিনটি।
১) বাড়িভাড়া, যা তার বেতনের প্রায় ৬০% পর্যন্ত হয়।
২) খাবার খরচ, উচ্চদ্রব্যমূল্যের কারণে অনেকে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।
৩) যাতায়াত ভাড়া, দিনে দিনে তা উর্ধ্বমূখী।

এখন আপনি যদি কারো সেলারি না বাড়িয়ে দিয়ে, এই তিনটি খরচ কমিয়ে দেন, তাহলেও সমস্যার সমাধান হয়। কি বলেন ?
এই তিনটি সমস্যার সমধান হবে কেবল যদি ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজ বা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয় তবে। এই বিকেন্দ্রীকরণের প্রথম ধাপ হতে পারে, ঢাকা শহর ও তার আশেপাশের এলাকায় যে হাজার পাঁচেক ছোট বড় গার্মেন্টস কারখানা আছে, তা সারা দেশজুড়ে মানে ৬৩ জেলায় ছড়িয়ে দেয়া। এতে প্রতি জেলায় ৮০টি করে কারখানা পড়ে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা ঢাকা শহরে এসে তারপর পোষাক কারখানায় কাজ করে। দেশজুড়ে যদি কারখানাগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়, তবে-
-সে নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে কারখানায় কাজ করতে পারবে। এতে তার বাড়ি ভাড়া বেচে যাবে।
-সে নিজের গ্রামের বাড়িতে থাকলে তার খাবার খরচ কমে যাবে, কারণ গ্রামে চাষবাস থেকে অনেক খাদ্য আসে।
- নিজ জেলা শহরে কাছের কোন কারখানায় যেতে বাসে যাতায়াত খরচ খুব বেশি হবে না।
-গ্রামীন অর্থনীতিও অনেক সমৃদ্ধ হবে।

ঢাকা থেকে পোষাক কারখানা সরে গেলে ঢাকাবাসীর যে লাভ হবে-
ক) ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ১ কোটি লোক চলে যাবে। ফলে সাপ্লাই-ডিমান্ড থিউরী অনুসারে ঢাকা শহরের বাড়িভাড়া হ্রাস পাবে।
খ) ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজট অনেক হ্রাস পাবে।

৬৩ জেলায় কারখানা ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি গার্মেন্টস মালিকেরদের মানাতে গেলে-
-যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ও স্বল্প করতে হবে। গার্মেন্টস মালামাল পরিবহনের জন্য নদীপথ ব্যবহার করলে খরচ অনেক কমে যাবে। যে স্থানে পানির স্বল্পতা আছে, সেখানে খনন করতে হবে। নদীপথের পর দ্বিতীয় চয়েজ হতে পারে রেলপথ। মনে রাখতে হবে, মালামাল পরিবহনের জন্য সড়ক ব্যবস্থা কখন ১ম পছন্দ হতে পারে না।
-প্রতি জেলায় কারখানার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এভেলএবল করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশবিধ্বংসী ও উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের গ্যাস ফিল্ডগুলো চেপে না রেখে সেগুলো উন্মুক্ত করতে হবে এবং নিজ দেশের গ্যাস দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ আর যাতায়াত সহজ করা গেলে গার্মেন্টস কারখানাগুলো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে মালিকপক্ষের আর কোন ‘না’ থাকবে না।
আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ সরকার যদি এই পলিসি গ্রহণ না করে, তবে কোন রাজনৈতিক দলের উচিত হবে, এ পলিসি নিয়ে প্রচার চালানো, বলা- তারা ক্ষমতায় গেলে এই পলিসিতে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ জনগণের জীবন নির্বাহের খরচ কমিয়ে আনবে এবং জনগণের কষ্ট লাঘব করবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, December 29, 2018

ইশতেহার : ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮’



১. সংবিধান, আইন ও বিচার ব্যবস্থা
১.১) সংবিধানে আল্লাহ’র উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
১.২) সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করতে হবে। রাষ্ট্রধর্মবিরোধী সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
১.৩) সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কোন মূলনীতি করা যাবে না, থাকলে বাদ দিতে হবে।
১.৪) রাষ্ট্রধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল করে, রাষ্ট্রধর্মের সাথে সমন্বয়পূর্ণ আইন চালু করতে হবে।
১.৫) সুপ্রীম কোর্টে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
১.৬) দেশের প্রতি থানায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং প্রতিবিভাগে হাইকোর্টের শাখা থাকতে হবে।
১.৭) হাইকোর্টের অতিরিক্ত ছুটি বাতিল করে সরকারী নিয়ম অনুসারে ছুটি দিতে হবে।
১.৮) শুধু আইন দিয়ে নয়, বরং সর্বত্র ধর্ম ও নৈতিকতার মাধ্যমে অপরাধ হ্রাসের উদ্যোগ নিতে হবে।
১.৯) শুধু মুখে নয়, বাস্তবে সকল মাদক নিষিদ্ধ করতে হবে। এমনকি ধূমপানের ব্যাপারেও কড়াকড়ি করতে হবে। ‘প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানা’, যদি কোন নাগরিক কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ধূমপানে ধরিয়ে দেয়, তবে ঐ জরিমানাকৃত অর্থের অর্ধেক তাকে দিতে হবে। মদ, জুয়াসহ যাবতীয় অবরাধ নিয়ে সংবিধানের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে জারি করতে হবে।

২. শিক্ষা ও গবেষণা:
২.১) শিক্ষা ও গবেষণাখাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সববিষয়ে গবেষণা চালু করতে হবে, বিদেশী গবেষণা নির্ভর থাকলে চলবে না।
২.২) অবাস্তবমুখী ও সময় অপচয়কারী শিক্ষাপদ্ধতি বাতিল করে বাস্তবমুখী শিক্ষা, যা বাস্তব জীবনে কাজে লাগে তা প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণে ‘সময় কার্যকরী’ পদ্ধতি দিতে হবে। একজন ছাত্র যেন ২০ বছরের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা সময় পার করে চাকুরী পেতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২.৩) অপরাধ, দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়ম, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস হ্রাসের জন্য সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতা বৃদ্ধি করতে হবে।
২.৪) ধর্মীয় গবেষণার জন্য আলাদা বরাদ্দ দিতে হবে, ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে কেউ গবেষনা করতে চাইলে সরকারি বরাদ্দ পাবে।
২.৫) একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। একটি নির্দ্দিষ্ট ক্লাস পর্যস্ত সবাই একসাথে লেখাপড়া করবে। এর মধ্যে কমপক্ষ ৩০% ধর্মীয় শিক্ষা থাকবে। বাকিগুলোও ধর্মের আলোকে হবে। এই নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাস শেষ করার পর চাহিদা অনুযায়ী কেউ ধর্মীয় উচ্চতর, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চতর, কেউ ডাক্তার বা কেউ অর্থনীতি নিয়ে লেখাপড়া করবে।
২.৬) ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত চলমান ‘পরীক্ষা পদ্ধতি’ বাতিল করতে হবে।
২.৭) ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্ম পালনের সুবিধা দিতে হবে। রুটিন এমনভাবে করতে হবে যেন, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকে।
২.৮) মেধাপাচার রোধ করতে হবে। দেশের মেধাবীরা যেন দেশেই থাকে সে জন্য তাদের সুযোগ করে দিতে হবে।
২.৯) দেশজুড়ে সার্টিফিকেটহীন দেশজুড়ে অনেক মেধাবী/প্রতিভাধর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সমাজ থেকে এদের তুলে আনতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের কাজে লাগাতে হবে।
২.১০) দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। ভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষক দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে গোলযোগ তৈরী করা যাবে না।
২.১১) ইতিহাস নিয়ে লুকোচুরি/কাটছাট বাদ দিতে হবে। শুধু ৭১’র চেতনা নয়, ৪৭’র চেতনা, অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে কিভাবে সৃষ্টি হলো তা পড়াতে হবে।
২.১২) মুসলমানদের ইতিহাস/সভ্যতার জন্য গবেষণা, তা উৎঘাটন এবং প্রচারে আলাদা বরাদ্দ করতে হবে।
২.১৩) মুসলিম কবি সাহিত্যিকদের বইসমূহ পুনঃমুদ্রণ করতে।
২.১৪) ‘লাইব্রেরী’ একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা পাবে । দেশে যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, সেই অনুপাতে লাইব্রেরীও থাকবে, যেখানে সকল বয়সের মানুষ প্রবেশ করে জ্ঞান চর্চা করতে পারবে। এতে একজন ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই গবেষণাভিত্তিক মনন নিয়ে বেড়ে উঠবে।
২.১৫) প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নামাজের স্থান রাখতে হবে।

৩.চাকুরী/ব্যবসা:
৩.১) সরকার বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ (চাকুরী/ব্যবসা) করে দিতে বাধ্য থাকবে।
৩.২) শুধু চাকুরী নয়, তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে বা ব্যবসা করতে উৎসাহ দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিতে হবে এবং সরকারকেই বিনিয়োগ করতে হবে। কেউ বৈধ ব্যবসা করতে চাইলে সরকার তাকে সব ধরনের সহায়তা করবে। কারণ তার মাধ্যমে অনেকের চাকুরী হবে তথা বেকারত্ব দূর হবে।
৩.৩) ব্যবসা করার জন্য সরকারের থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। তবে এই লাইসেন্স নেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি কোর্স করা বাধ্যতামূলক থাকবে। ঐ কোর্সে ঐ নির্দ্দিষ্ট ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মীয় নীতিমালার শিক্ষা দেয়া হবে। যে সেই কোর্সে পাশ করবে, সেই লাইসেন্স পাবে। যে পাশ করবে না সে লাইসেন্স পাবে না। উদহারণস্বরূপ, একজন দোকানদার দোকানব্যবসা শুরুর আগে ঐ কোর্সে গিয়ে শিখবে- দোকানদারের জন্য ধর্মীয় নীতিমালা কি ? যেমন: মাপে কম দিলে, মানুষকে মিথ্যা বলে পণ্য দিলে ধর্মে কি বলা হয়েছে। এরফলে সকল পেশার মানুষের মধ্যে একটি নৈতিকতা কাজ করবে এবং তার পেশাকে সমাজের জন্য ‘আমানত’ মনে করবে।
৩.৪) বিদেশীদের চাকুরী নয়, দেশের মানুষকে আগে চাকুরী দিতে হবে। দেশের বেকারদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর বিদেশীদের দিতে চোখ দিতে হবে। দেশীয় কোন কাজের টেন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে একই রকম দেশীয় কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোন কাজ দেশের লোক না পারলে, তাদের বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে এসে সেই কাজ করানো যায় কি না, সে চেষ্টা করতে হবে।
৩.৫) মসজিদের ইমাম/খতিবদের চাকুরীকে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিতে হবে।
৩.৬) চাকুরীতে কোন ধরনের কোটা থাকবে না, যোগ্যতা অনুসারে সবাই চাকুরী পাবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করবে।
৩.৭) সরকারী চাকুরীতে এখনও কয়েক লক্ষ পদ খালি আছে। সেগুলো দ্রুত পূরণ করতে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। সরকারী চাকুরীর সংখ্যা আরো কয়েকগুন বাড়াতে হবে।
৩.৮) সরকারী চাকুরীর বেতন এতটুকু উন্নীত করতে হবে, যেন জীবন নির্বাহের জন্য তাকে অসুদপায় অবলম্বন করতে না হয়।
৩.৯) চাকুরীতে যোগদানের বয়স বৃদ্ধি, অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধি এবং চাকুরী শেষে সংশ্লিষ্ট স্থানে উপদেষ্টা/পরামর্শদাতা হিসেবে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪.অর্থনীতি:
৪.১) সুদের গ্রাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে, সুদবিহীন অর্থনীতির প্রণয়ন করতে হবে। ব্যাংকগুলো থেকে বৈধ ব্যবসায় ঋণের বদলে বিনিয়োগ করতে হবে।
৪.২) রিজার্ভ ডলারে না রেখে স্বর্ণে নিয়ে আসতে হবে। এতে মূদ্রাস্ফীতি কমে আসবে । আন্তর্জাতিকভাবে অনেক রাষ্ট্র বর্তমানে ডলার ব্যতিত নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করছে। ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণ করলে আগামীতে আমাদের রিজার্ভের উপর কোন হুমকি আসবে না।
৪.৩) অযথা বিদেশী ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে দেশের সম্পদ দিয়ে কাজ পূরণ করতে হবে। সরকারী/বেসরকারীভাবে চেষ্টা করতে হবে। প্রকল্প প্রয়োজন অনুসারে অনুমোদন পাবে, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হ্রাস করতে হবে।
৪.৪) চলমান ট্যাক্স ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে, জাকাত ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪.৫) বর্তমানে জনগণের থেকে আদায় করা ট্যাক্স/মাসুল হচ্ছে সরকারের আয়ের একমাত্র উৎস। জনগণের থেকেই আয় করা টাকা দিয়েই জনগণের জন্য উন্নয়ন করে সরকার। কিন্তু জনগণের টাকা জনগণের জন্য ব্যয় করলে সেটা উন্নয়ন বলা যায় না, বিনিময় বলা যেতে পারে।
৪.৬) জনরফতানির থেকে কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান রফতানি (বিদেশে গিয়ে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবসা) অনেক বেশি লাভজনক। এ কারণে বাংলাদেশ সরকারকে জনরফতানির থেকে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিদেশে রফতানি (বিদেশে গিয়ে ব্যবসা) করতে বেশি সুযোগ করে দিতে হবে।
৪.৭) বিদেশীরা বাংলাদেশে এসে চাকুরী করলে যত ক্ষতি হয়, তার থেকে বেশি ক্ষতি হয় বিদেশী কোম্পানি এসে কাজ করলে (কাজ আমদানি)। বিদেশী কোম্পানির কাজের লাগাম টেনে ধরতে তাদের উপর শক্ত ট্যাক্স বসাতে হবে।
৪.৮) সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেশে-বিদেশে ব্যবসা করতে বিনিযোগ করবে এবং তাদের ব্যবসায় অংশীদার হয়ে ইনকাম করবে।
৪.৯) কাউকে ফ্রি ট্রানজিট দেয়া যাবে না। পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র ট্র্রানজিটের বিনিয়য়ে অর্থ সংগ্রহ করে অনেক ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ যদি বিদেশী কোন রাষ্ট্রকে ট্র্রানজিট দেয়ও, তবে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক রেট মেনে অর্থ আদায় করতে হবে। এবং সেই টাকাও সরকারের সোর্স অব ইনকাম হবে। ট্রানজিট দেয়ার ক্ষেত্রে নৌ ও রেল ট্র্যানজিট দেয়া যেতে পারে, তবে নিরাপত্তার জন্য সড়ক ট্র্যানজিট এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
৪.১০) সাধারণভাবে কোরবানির হাট বরাদ্দ দেয়ার সময় যে সর্বোচ্চ টেন্ডারমূল্য দেয়, তাকে হাট ইজারা দেয়া হয়। এই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এর বদলে যে ইজারাদার কাস্টমারদের থেকে সবচেয়ে কম হাসিল নিবে এবং সর্বোচ্চ পাবলিক সার্ভিস দেওয়ার নিশ্চয়তা দিবে, তাকেই হাট ইজারা দিতে হবে। কোরবানি ঈদের ছুটি আরো দুইদিন (জিলহ্জ্জ মাসের ৭ ও ৮ তারিখ) বাড়িয়ে ৫ দিন করতে হবে, এতে গ্রামীন অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
৪.১১) ইকোনোমিক জোনগুলোতে বিদেশী কোম্পানি আসতে পারে, তবে শর্ত দিতে হবে, শুধু শ্রমিক নয়, বরং মূল প্রসিসেং বা গবেষণা বিভাগে বাংলাদেশীদের চাকুরী দিতে হবে।
৪.১২) ব্লু’ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদ নিয়ে তাড়াহুড়া করে বিদেশীদের কাছে বর্গা নয়। দেশীয় সক্ষমতা অর্জন করে দেশের সম্পদ দেশে কিভাবে সর্বোচ্চ রাখা যায়, সে চেষ্টা করতে হবে।

৫. কৃষি:
৫.১) কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং মান উন্নয়নের জন্য গবেষণা বাড়াতে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে । কৃষকদের বিনাশর্তে ঋণ দিতে হবে। কৃষকের ফসল যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য দেশজুড়ে পর্যাপ্ত হিমাগার তৈরী করতে হবে।
৫.২) জিএমও’র এখন চূড়ান্ত গবেষায় পৌছায়নি, তাই এখনই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কৃষিযন্ত্র নিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে উৎপাদন খরচ কমবে।
৫.৩) বিদেশী বিজের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে, দেশী বীজের বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখতে সরকারি উদ্যোগে আলাদা বীজগার তৈরী করতে হবে।
৫.৪) রাসায়নিক সার ও কিটনাশকের ব্যবহার বাদ দিয়ে অর্গানিক ফুডের উপর জোর দিতে হবে।
৫.৫) দেশে যে সকল ফসল পর্যাপ্তহারে উৎপাদিত হয়, সেসব ফসল আমদানির উপর উচ্চহারে ট্যাক্স বসাতে হবে।
৫.৬) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৫.৭) কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকের সহায়তার জন্য ২৪ ঘন্টা কল সেন্টারের সার্ভিস রাখতে হবে। যেখানে কৃষিবিগণ কৃষকের যে কোন সমস্যার সমাধান দিবেন। কৃষক সমস্যায় পড়লে ১২ ঘন্টার মধ্যে কোন কৃষিবিদকে মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিতে হবে। , এতে পরামর্শের নাম দিয়ে আন্তর্জাতিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কৃষকদের প্রতারণা করে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে না।
৫.৮) সরকারের একটি জরিপ বিভাগ থাকবে, যার মাধ্যমে জানা যাবে, কোন ফসল কতটুকু চাষের প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন অনুসারে কৃষকরা চাষ করবে এবং অনলাইনে চাষের তথ্য আপডেট করবে। একটি পূরণ হয়ে গেলে অন্যটির চাষের উপর জোর দিবে। এই তথ্য ও জরিপের কারণে কোন ফসল অতিরিক্ত হারে উৎপাদনের কারণে নষ্ট হওয়ার সুযোগ হ্রাস পাবে।
৫.৯) জনগণের জন্য রেশন সিস্টেম চালু করতে হবে।
৫.১০) সরকারী উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতেহবে। পানি বিশুদ্ধকরণ জটিল কোন প্রযুক্তি নয়, তাই পানি পরিশোধনের কথা বলে বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানির হাতে দেশের পানি ব্যবস্থাকে তুলে দেয়া যাবে না, দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করাতে হবে।
৫.১১) খাদ্যে ভেজালের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড/যাবজ্জীবন বিধান রেখে আইন পাশ করা।

৬. খনিজ সম্পদ ও শিল্প-কারখানা:
৬.১) গ্যাস আমদানি না করে, গ্যাস উত্তোলন করতে হবে। সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশীয় কোম্পানি দিয়ে গ্যাস উত্তোলনে জোর দিতে হবে।
৬.২) রিনিউয়েবল এনার্জি বা নবায়নযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে সৌর শক্তির উপর জোর দিতে হবে, গবেষণা বাড়াতে হবে।
৬.৩) কারাখানাগুলোতে প্রয়োজন মাফিক গ্যাস-বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৬.৪) অব্যবস্থাপনার কারণে গার্মেন্টস, রিয়েল স্টেট বা চামড়ার মত বড় শিল্পগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সরকারী অব্যবস্থাপনার কারণে চামড়াজাত পন্য গার্মেন্টস পণ্যের মত বড় রফতানির উৎস হয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
৬.৫) শিল্পাঞ্চলগুলো নদীর কাছাকাছি হতে হবে। নদীপথকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করতে হবে। শিল্প বর্জ্যের কারণে নদীগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা আনতে হবে।
৬.৬) সঠিক আদমশুমারি করে সে অনুপাতে প্রত্যেক এলাকার মানুষের কি কি চাহিদা লাগবে, তার তালিকা তৈরী করতে হবে। যেগুলোর সরবারহ ইতিমধ্যে আছে, সেগুলো বাদে বাকিগুলো দেশীয় উদ্যোগে কলকারখানা নির্মাণ করে তা তৈরী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে দেশে প্রচুর কলকারখানা বৃদ্ধি পাবে, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।
৬.৭) জনগণ একটি বিরাট সম্পদ। দেশে শিল্পাঞ্চল তৈরী করে, সেখানে বিদেশীদের কলকারখানা নির্মাণ করলে, দেশের জনসম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এজন্য দেশের শিল্পাঞ্চলে দেশীয় শিল্পকারখানা নির্মাণে বেশি জোর দিতে হবে।
৬.৮) বিদেশী সংস্থা ও বিদেশি পুঁজির জাতীয় স্বার্থবিরোধী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এমন কোন বিদেশী পুঁজি প্রবেশ করানো যাবে না, যার কারণে দেশী শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬.৯) দেশের রফতানি খাতকে এক শিল্প নির্ভর না করা। রফতানি সেক্টরকে বহুমুখী করা, যেন ভবিষ্যতে কোন রাষ্ট্র অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরী করে দেশের অর্থনীতিতে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।
৬.১০) দেশে প্রয়োজন মাফিক পণ্য তৈরীতে উদ্যোগ নেয়া এবং জনগণকে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে উব্ধুদ্ধ করা। বিদেশী পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৬.১১) কোন রফতানিকারকের প্রাপ্য অর্থ বিদেশী কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান আটকে দিলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রদান করতে হবে।

৭. সরকার ও প্রশাসন:
৭.১) উপজেলা চেয়্যারম্যান ও কমিশনার পদে দাড়াতে নূন্যতম এইচএচসি, এমপি/মেয়র হওয়ার জন্য নূন্যতম স্নাতক পাশ হতে হবে।
৭.২) এমপিদের থেকে ৯০% মন্ত্রী হবে, সংবিধানের এই ধারা পরিবর্তন করতে হবে। কোন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হতে ঐ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বা বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৭.৩) শুধু ভোটের আগে জনগণের পাশে, এই সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। নির্বাচিত হওয়ার ২ বছর পর একটি নিরপেক্ষ জরিপ করা, “এমপিরা কত পার্সেন্ট জনগণের পাশে থাকলো”। সেই জরিপে ফলাফল কম আসলে এমপি পদ বাতিল হওয়ার নিয়ম করতে হবে।
৭.৪) সংসদে অপ্রয়োজনীয় আলাপ, রাজনৈতিক চাটুকারিতা নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা প্রয়োজন ছাড়া সংসদে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ‘সংসদ সদস্য পদ’ বাতিল।
৭.৫) আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। অবশ্যই চূক্তির প্রতিটি ধারা জনগনের সামনে উন্মুক্ত করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৮. সমাজ ও সংস্কৃতি:
৮.১) ধর্মকে ব্যক্তির মধ্যে আটকে রাখার কূট-পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। সমাজের প্রতিটি সেক্টরে ধর্মীয় নিয়ম-প্রথার চর্চা করতে দিতে হবে।
৮.২) বিজাতীয় সংস্কৃতি প্রমোট করে এমন মিডিয়া নিষিদ্ধ করতে হবে। মিডিয়ায় অশ্লীলতা বন্ধে কঠোর কার্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে।
৮.৩) ধর্ম যার যার উৎসব সবার, এই শ্লোগান বাদ দিতে হবে। ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার, এই শ্লোগান চালু করতে হবে। এক ধর্মের অনুষ্ঠানকে সেক্যুলার অনুষ্ঠান নাম দিয়ে সকল ধর্মের উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
৮.৪) বিজাতীয় দিবস পালন নিষিদ্ধ করে, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন উৎসব পালন করতে সর্বোচ্চ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে।
৮.৫) বিয়ের জন্য কোন বয়স নির্ধারণ করা যাবে না। কেউ উপযুক্ত হলে বিয়ে করতে পারবে। সরকারীভাবে বিয়েতে সাহায্য করতে হবে। তবে প্রেম/ব্যাভিচারে ধরা পড়লে আইনত দণ্ড দেয়া হবে।
৮.৬) মিশনারীর নামে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম করলে ফাঁসির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৮.৭) উপনেবেশিক আমলে ব্রিটিশ দালালদের নামে যে সমস্ত জেলা/উপজেলা/গ্রাম/শহর/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যে সব নামকরণ হয়েছে, তার সবগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এদেশীয় চেতনায় নামকরণ করতে হবে।
৮.৮) অন্যদেশের জাতীয় কবি নয়, বরং বাংলাদেশের জাতীয় কবির সংগীতকে জাতীয় সংগীত করতে হবে।
৮.৯) ছোট নয় বড় ও যৌথ পরিবার সুখ ও নিরাপত্তার কারণ, এই ধারণার তৈরী করতে হবে।
৮.১০) সমাজে বিশৃঙ্খলতা তৈরী হতে পারে বা অন্যকে অন্যায়ে উব্ধুদ্ধ করতে পারে এমন কোন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা যাবে না। সমাজে সুশৃঙ্খলতা বজায় থাকে, এমন পোশাক-পরিচ্ছেদ নারী-পুরষকে পরিধান করতে বলতে হবে।

৯. জনসংখ্যা, শহরায়ন, নগরায়ন ও আবাসন:
৯.১) যানজট সমস্যা নিরসনে ঢাকা শহরের মধ্যে জনসংখ্যা জড়ো না করে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। অন্য বিভাগ ও জেলাশহরগুলো উন্নত করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানাসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৯.২) গণহারে ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক ও আকাশ যোগাযোগের বদলে নৌ ও রেলপথকে যাতায়তের মূল মাধ্যমে হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৯.৩) নতুন করে সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্টেশন চালু করতে হবে।
৯.৪) দুর্যোগে গৃহহীনদের জন্য সরকারী উদ্যোগে স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করে দিতে হবে। রাজনৈতিক নেটওয়ার্কে নয়, প্রকৃতভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বিতরণ করতে হবে।
৯.৫) বিভাগগুলোকে প্রদেশে রূপান্তর করতে হবে। এবং প্রদেশ ভিত্তিক নিয়ম অনুসারে প্রশাসন পরিচালনা করতে হবে।
৯.৬) শহরের যাবতীয় স্থাপনা কমপক্ষে ১০০ বছরের প্ল্যান নিয়ে করতে হবে। রাস্তায় সুয়ারেজ লাইন, পাানির লাইন, গ্যাসের লাইন, টেলিফোন লাইন যাবতীয় কাজ একসা
থে করতে হবে, যেন বছর বছর রাস্তা খুড়তে না হয়।
৯.৭) পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থা, বিশেষ করে নারীদের জন্য আলাদা পাবলিক টয়লেট তৈরী করতে হবে।
৯.৮) শহর সাজাতে এমন ভাস্কর্য তৈরী করা যাবে না, যা জনগণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী করে। শাপলা চত্বরের শাপলা, বিজয় স্মরণীর প্লেন বা হোটেল সোনারগাও মোড়ের ঝরনার মত ভাস্কর্য বা স্থাপত্য তৈরী করে শহর সাজাতে হবে। দেশের বিভিন্ন ভার্সিটির চারুকলা বিভাগে abstract art বা বিমূর্ত শিল্প এর উপর জোর দিতে হবে। চীনের মত রাষ্ট্রগুলো abstract art আর্টের কাজ করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাচ্ছে। বাংলাদেশের চারুকলাকে আর্থিক উৎপাদনশীল খাতের দিকে নিয়ে যেতে হবে।

১০. নদী ও পরিবেশ:
১০.১) নদীগুলো দ্রুত খনন করতে হবে। ভারতের সাথে দরকষাকষিতে যেতে হবে, যেন তারা নদীর পানি ছাড়ে। এব্যাপারে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। নদীমাতৃক দেশে নদীমাতৃকতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
১০.২) নদী ভাঙ্গন রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘুমিয়ে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জাগাতে হবে।
১০.৩) বাংলাদেশে কৃষি নির্ভর দেশ, কিন্তু নেদারল্যান্ড কৃষি নির্ভর নয়।। দুইদেশ ব-দ্বীপ হলেও ভৌগলিক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই মিলে না। তাই নেদারল্যান্ডের বুদ্ধিতে নতুন করে অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রকল্প গ্রহণ না করে, দেশীয় বাস্তবসম্মত জ্ঞানের আলোকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
১০.৪) পরিবেশের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন স্থাপনা করা যাবে না।
১০.৫) বাংলাদেশের মত ছোট দেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মত ঝুকিপূর্ণ কাজ ব্ন্ধ করতে হবে।
১০.৬) দেশজুড়ে এখনও কৃষির জন্য ক্ষতিকর লক্ষ লক্ষ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ আছে। সেগুলো চিহ্নিত করে কেটে ফেলা।
১০.৭) ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের উপর আলাদা জোর দেয়া। এতে অতিরিক্ত লোকবলকে চাকুরী দিতে হবে। ইনোভেটিভ ডাস্টবিন সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতে হবে। রিসাইকেলিং এর মাধ্যমে আবর্জনাকে সম্পদে রুপান্তর করতে হবে ।

১১. চিকিৎসাখাত:
১১.১) চিকিৎসাখাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক জেলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, গবেষনা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির চিকিৎসা, স্বল্পমূল্য এবং চিকিৎসক-নার্সের ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছুটতে হবে না। প্রয়োজনে চিকিৎসক-নার্সদের কাস্টমার সার্ভিস ট্রেনিং দিতে হবে।
১১.২) মায়েদের অহেতুক সিজার (সি-সেকশন) অপারেশন হ্রাস করতে হবে। হাসপাতালে যেকোন ধরনের বানিজ্য বন্ধ করতে কঠোর নজরদারী করতে হবে।
১১.৩) শুধু অ্যালোপ্যাথি নয়, হোমিও, আয়ুর্বেদ, দেশীয় ভেষজ চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যেও গবেষণা বাড়াতে বরাদ্দ দিতে হবে।
১১.৪) গর্ভপাত নিষিদ্ধ, এই আইন বাস্তবে কার্যকর করতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মত দেশজুড়ে গজিয়ে ওঠা কথিত মেটারনিটি ক্লিনিকগুলোতে নজরদারী বাড়াতে হবে, কেউ অবৈধ গর্ভপাত করলে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
১১.৫) বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওধুষ/টিকা/ক্যাপসুল শিশুদের দেয়া বন্ধ করতে হবে। কেউ অনুদান দিতে চাইলে নগদ অর্থ দিবে, সেই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে তৈরী ঔষধ জনগণের কাছে পৌছাতে হবে।

১২. সামরিক বাহিনী:
১২.১) সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করতে হবে। দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরী করে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
১২.২) আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে সামরিক অফিসারদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অ্যানালিস্ট ট্রেনিং দিতে হবে। গোয়েন্দা বাহিনীর কার্যক্রম বৃদ্ধি, ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে । সামরিক অফিসারদের মাঝে গবেষণা বাড়তে হবে । এতে বহিঃবিশ্বে প্রভাব বাড়বে।
১২.৩) খেলাধূলা নামক সময় অপচয়কারী বিষয়গুলো বাদ দিতে হবে। তরুণ সমাজকে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

১৩. বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ক:
১৩.১) বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, কোনরূপ বিরুপ সম্পর্ক করা যাবে না। বিশ্বের কোন দেশে মুসলমানরা আক্রান্ত হলে সবাই এক হয়ে ঐ দেশের মুসলমানদের সাহায্য করার উদ্যোগ নিতে হবে।
১৩.২) কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক করতে গেলে দেশের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, নিজ দলের রাজনৈতিক স্বার্থ নয়। এমন ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যাবে না, যাতে দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে নিজ দেশের স্বার্থ আদায় করতে হবে।
১৩.৩) বিদেশে গিয়ে নিজ দেশের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে বিচার দেয়ার সংষ্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শত্রুকে হাসতে দেয়া যাবে না। দেশের স্বার্থে সবাই এক, এই নীতিতে অটল থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে যতই দ্বন্দ্ব থাক, দেশের স্বার্থে সবাই এক হতে হবে।
১৪.৪) প্রবাসীদের অর্থ ও পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের একজন নাগরিকও যদি বিপদে পড়ে তবে রাষ্ট্রের শীর্ষমহল থেকে তার সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
১৪.৫) তুরষ্কের সাথে ‘হালাল পর্যটন শিল্প’ বিস্তারে যে চূক্তি হয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

১৪. মিডিয়া ও আইটি:
১৪.১) গণমাধ্যমকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের মাধ্যম বানাতে হবে। জনগণ যা চায় গণমাধ্যম সেটা প্রচার করে কি না, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। যারা নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে গণমানুষের চাওয়া হিসেবে প্রচার করবে, সেসব মিডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪.২) বাংলাদেশের বিভিন্ন ভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্ট্যাডি বিভাগসমূহকে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংযোগ থেকে রক্ষা করতে হবে।
১৪.৩) পর্নগ্রাফী নিষিদ্ধ এবং এইজরেস্ট্রিকডেট সকল পেইজ-সাইট বন্ধ করতে হবে।
১৪.৪) প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌছাতে হবে। এবং সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জনগণের ঘরে ঘরে পৌছাতে হবে।

১৫. সংখ্যালঘু:
১৫.১) গৃহহীন বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পুনর্বাসন করতে হবে। উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে এক এলাকায় জড়ো না করে পুরো দেশে কর্মসংস্থান দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। উপজাতিদের বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ দিতে হবে। উপজাতিরা শুধু একস্থানে তাদের ভাষা ও সংষ্কৃতির উপর আটকে থাকলে তাদের ব্যবহার করে শত্রু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোন সংগঠন বা গোষ্ঠীকে কোনরূপ প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
১৫.২) সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ছুটি শুধুমাত্র সংখ্যালঘুরাই ভোগ করবে, সংখ্যাগুরুরা নয়।
১৫.৩) সাম্প্রদায়িকতা এড়ানোর জন্য সংখ্যালঘুরা নিজেদের ভূমি/যায়গায় ধর্মীয় রীতি/অনুষ্ঠান পালন করবে, সংখ্যাগুরুদের যায়গায় নয়।
১৫.৪) দেশে গোলযোগ তৈরীকারী অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করতে হবে।

১৬. মানবাধিকার:
১৬.১) শিশুদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। স্কুলগুলোতে বেত ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬.২) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হল/সিট ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। র‌্যাগিংনিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬.৩) প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের বৃদ্ধা পিতামাতাকে লালন/পালন বাধ্যতামূলক করতে হবে। সন্তানহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের লালন পালনের জন্য সরকারী উদ্যোগে বৃদ্ধনিবাস করতে হবে।
১৬.৪) আত্মহত্যা রোধে ধর্মীয় চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
১৬.৫) বস্তিবাসী ও হকারদের উচ্ছেদ নয়, বরং তাদের স্থায়ী পুনবার্সন করতে হবে।
১৬.৬) বিধবা বা ডিভোর্সী নারীদের বিয়ে নিয়ে সামাজিক কু-ধারনা পরিবর্তন করতে হবে। সরকারী উদ্যোগে প্রয়োজনে তাদের দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ।
১৬.৭) সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা হ্রাস করতে পশ্চিমা নারীবাদী ধারণা নিষিদ্ধ করে, ধর্মীয় নীতির ভিত্তিতে নারী-পুরুষের মাঝে সহমর্মিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১৬.৮) নারী নির্যাতন বন্ধ করতে নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন, হাসপাতাল, তৈরী করতে হবে। নারীদের জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠানে নারীরা কাজ করবে, ফলে অনেক নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থান হবে।
১৬.৯) সিনেমা, বিজ্ঞাপন, মডেলিং, পোস্টার যে কোন স্থানে নারীকে পণ্য বানানোর মাধ্যমে অবমাননা নিষিদ্ধ করতে হবে। কেউ করলে তাকে কঠোর শাস্তির ব্যবহার করতে হবে ।
১৬.১০) ফ্ল্যামিলি প্ল্যানিং নামক শিশু হত্যা নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬.১১) বিদেশে পুরুষ শ্রমিক যেতে পারবে, তবে নারী শ্রমিক রফতানি নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬.১২) কারাগারগুলোতে আরও সুযোগ সুবিধা তৈরী করা। অমানবিকতা বন্ধ করতে হবে। কারাগার শুদ্ধ হওয়ার স্থান, সেখানে গিয়ে যেন মানুষ উল্টা আরো অপরাধপ্রবণ না হয়ে উঠে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধর্মীয় পরিবেশ ও মনোচিকিৎসার মাধ্যমে অপরাধীকে ভালো করতে হবে। থানার হাজতগুলোতেও অমানবিকতা বন্ধ করতে হবে। রিমান্ডে নির্যাতন নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬.১৩) পতিতাবৃত্তি সর্বাধিক অমানবিক কাজ। সংবিধানে ‘পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ’ এই আইন দেশজুড়ে জারি করতে হবে। পতিতাদের বিয়ে ও পুনর্বাসানের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬.১৪) হিজড়াদের আলাদা কর্মের ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজে বিশৃঙ্খলা/চাঁদাবাজি করতে দেয়া যাবে না।
১৬.১৫) ভিক্ষুকদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। যদি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হয় তবে সরকারী বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে হবে। যদি শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়, সরকারের তরফ থেকে তৈরী প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
১৬.১৬) পথশিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষা এবং তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। এদেরকে মাদক, মিশনারী ও বিদেশী মদদপুষ্ট এনজিওদের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে হবে। মা-বাবাহীন সন্তানদের নিঃসন্তান ভালো দম্পত্তিদের মাঝে তাদের বণ্টন করে দিতে হবে।

পিডিএফ আকারে পেতে : https://bit.ly/2A2Kb4p


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------