Showing posts with label ভারত. Show all posts
Showing posts with label ভারত. Show all posts

Wednesday, February 27, 2019

মোদির সস্তা সাম্প্রদায়িক ভোটের রাজনীতি ও মুসলমানদের করণীয়

২০০১ সালে ২৬শে জানুয়ারী, ভারতের গুজরাট রাজ্যে ঘটে যায় এক শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পেরে  মাত্রা ছিলো ৭.৭। এ ভূমিকম্পে গুজরাট রাজ্যে প্রায় ৪ লক্ষ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। সরকারি হিসেবেই ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার লোক নিহত এবং ১ লক্ষ ৬৭ হাজার লোক আহত হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়।
এ অতিমাত্রার ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী বিজেপির কেশুভাই প্যাটেল। শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে কেশুভাই ২০০১ সালের ৬ই অক্টোবর পদত্যাগ করে। ৭ই অক্টোবর সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত মূখ্যমন্ত্রী করা হয় লোকাল নেতা নরেন্দ্র মোদিকে।  তবে চতুর মোদি জানতো কি করে সাধারণ জনতার সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে হয়।
ভারপ্রাপ্ত ক্ষমতা পাওয়ার মাত্র ৪ মাস পর, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারী রহস্যজনকভাবে গোধরা শহরে হিন্দু পূজারীবাহী একটি ট্রেনে আগুন ধরে যায়। মারা যায় ৬০ পূজারী। ব্যস শুরু হয়ে যায় হিন্দু পূজারীদের লাশ নিয়ে রাজনীতি। লাশ নিয়ে মিছিল করে জাগিয়ে তোলা হয় হিন্দুত্ববাদ। এরপর জারি করা হয় কারফিউ। ভারতে কারফিউ এর অর্থ কিন্তু ভিন্ন। কাউফিউ অর্থ হিন্দুত্ববাদীরা যেন পুলিশ প্রটেকশনে মুসলমানদের উপর নির্ভয়ে দাঙ্গা চালাতে পারে। শুরু হয়ে যায় গুজরাট দাঙ্গা।  গোধরার ট্রেনে আগুনের পর যা চলে প্রায় ১ মাস। হত্যা করা হয় ৫ হাজার মুসলমানকে, ধর্ষণ করা হয় ৪০০ মুসলিম নারীকে, ধ্বংস করা হয় ৫৬৩টি মসজিদ, বাড়িঘর ছাড়া করা হয় আড়াই লক্ষ মুসলমানকে। দাঙ্গার সময় মুসলিম মহিলারা পুলিশের কাছে তাদের ইজ্জত রক্ষার আবেদন জানালে পুলিশ বলে, 'তোমাদেরকে তো শেষমেষ মেরেই ফেলবে। তার আগে ইজ্জত থাকলো কি চলে গেল তাতে কি'। এমনকি দাঙ্গার সময় রক্ষা পায়নি মুসলিম এমপি এহসান জাফরী। তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী নেতা বাবু ভাই প্যাটেলের নাম শুনে থাকবে অনেকেই। যে এক মুসলিম নারীর পেট চিড়ে ৯ মাসের ভ্রুণকে বের করে আগুনে পুড়িয়ে মারে। হিন্দুত্ববাদ জাগিয়ে তুলে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে মোদি। ২০০২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টির  মধ্যে ১২৭টি আসন লাভ করে সে। হয়ে যায় মূখ্যমন্ত্রী। এরপর ২০০৭, ২০১২ এর নির্বাচনেও তাকে মূখ্যমন্ত্রী হতে কষ্ট করতে হয়নি। শুধু তাই নয়, ঐ হিন্দুত্ববাদী ট্যাগ লাগিয়ে ২০১৪ সালেও হয়ে যায় পুরো ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আর মাত্র ৪ মাস বাকি। ‘মোদি ম্যাজিক’, “আচ্ছে দিন”, “বুক চওড়া” এইসব শ্লোগান দিয়ে এখন আর পাবলিক খায় না।  ৫০০ আর ১০০০ টাকা নোট বাতিল করে পুরো দেশের অর্থনীতির মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে মোদি। বেকারত্ব এখন চরম পর্যায়ে।  দমননীতির কারণে আত্মহত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ কৃষক। তাই এখন নতুন সাম্প্রদায়িক পলিসি নিয়েছে মোদি। প্রাথমিক ধাপ ছিলো ভুয়া ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ আর এবার ‘পুলওয়ামা অ্যাটাক’। অভিযোগ দুটোই মোদির বানানো এবং দুই ক্ষেত্রেই পাকিস্তানবিরোধী উস্কে দিয়ে সামনে লাকড়ি হিসেবে দিয়ে দেয়া হয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের। গুজরাটে আগুন দেয়া হয়েছিলো ট্রেনে, এবার বোমা বিষ্ফোরণ করা হলো বাসে।  নীতিও এক: “উস্কে দাও সাম্প্রদায়িকতা, নিয়ে নাও ভোট”। সেটাই দেখা যাচ্ছে, কথিত পুলওয়ামা অ্যাটাকের পর যায়গায় যায়গায় নিরীহ মুসলমানের উপর হামলা হচ্ছে। মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা হচ্ছে, মুসলিম নারীদের হোস্টেলের সামনে হিন্দু পুরুষরা জড়ো হচ্ছে। ভুয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস অজুহাত করে মুসলমানদের পিটিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে লাইক কামানো হচ্ছে। যদি ধরেও নেই, ঐ হামলায় পাকিস্তান দায়ী, তবে যে ভারতীয় মুসলমানরা ৭০ বছর আগে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতের সাথে যোগ দিয়েছে, তাদের দেশাত্ববোধকে কেন নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে ? কেন তাদের উপর হামলা করা হবে ?? তবে খালিস্তান আন্দোলনের জন্য শিখদের, বঙ্গসেনা আন্দোলনের জন্য হিন্দুদের, আর সেভেন সিস্টারসের স্বাধীনতার জন্য কেন উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে কেন দেশাত্ববোধের পরীক্ষা দিতে হয় না ? কেন তাদের উপর দেশজুড়ে হামলা হয় না ??
মোদির মুসলিমবিরোধী সস্তা সাম্প্রদায়িক ভোটের রাজনীতি নিয়ে কিছু বলার নাই তবে, এতটুকু বলতে পারি, সারা বিশ্বের মুসলমানরা যদি একটু চেষ্টা করতো, তবে নতুন করে তৈরী হতে থাকা গুজরাট দাঙ্গা বন্ধ করা কষ্টের কিছু ছিলো না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ হয়েছে ভারত। ঐ বছর  প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী ভারতীয়রা তার দেশে পাঠায়, যা বিশ্বের শীর্ষ। যে সব দেশ থেকে ভারতীয় প্রবাসীরা টাকা পাঠায় তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৭টি মুসলিম দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ম), সৌদি আরব (৩য়), বাংলাদেশ (৪র্থ), কুয়েত (৫ম), কাতার (৬ষ্ঠ), ওমান (৮ম), বাহরাইন (৯ম)। তাই মুসলিমবিরোধী সহিংসতা হওয়ায় মুসলিম দেশগুলো যদি একটু বিবৃতি দিতো তবে পাতলা পায়খানা হয়ে যেতো ভারতের।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিবেচনায় অবশ্য ভারতের উপর মুসলিম রাষ্ট্রীয়গুলোর চাপ আছে। যেমন পাকিস্তান সফরে থাকা বিন সালমান ভারত না গিয়ে দেশে ফেরত যাওয়ায় একটু হলেও চাপে পড়েছে ভারত। আবার ২০১৭ সালে ভারত সফরের সময় তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান কাশ্মীর ইস্যুতে বহুপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিলে সে সময় চাপে পড়ে মোদি।  কিন্তু এগুলো সব কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের চাপ। কিন্তু মোদি মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট সৃষ্টি করে যে লোকাল পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম সংগঠন বা রাষ্ট্রগুলো কোন প্রেসার তৈরী করে না।

আপনি যদি বলেন, এক দেশ কি অন্য দেশের জনগণের (শুধু ধর্মীয় ভিত্তিতে) নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলতে পারে ?
তবে বলবো, অবশ্যই পাবে।
২০১৬ সালে নাসিরনগর কথিত হামলার সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং 'ঢাকাস্থ হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার সাথে দেখা করতে বলে। পরবর্তী কালে ভারতের কথা রাখতে নাসিরনগরের ঘটনায় বিচারের নাম দিয়ে ব্যাপক ধরপাকড় করায় ভারত খুশি হয় এবং ২০১৮ সালে ১৯শে জুলাই রাজ্যসভায় দাড়িয়ে সুষমা বলে বাংলাদেশ তার নির্দেশ অনুসারে কাজ করেছে বলে জানায়। (https://bbc.in/2XaEYS5, https://bit.ly/2V4Kwvu)
ভারত যদি অন্যদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য কথা বলতে পারে, তবে অন্য দেশের মুসলমানরা কেন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য কথা বলতে পারবে না ??

মোদি এ ঘটনা নিজেই বানিয়েছে এটা ধিরে ধিরে তথ্যের ভিত্তিতেই প্রমাণ হচ্ছে। যে আদিল আহমেদ দারকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে পুলওয়ামা অ্যাটাক’ এর জন্য, সেই আদিল নাকি ২ বছরে ৬ বার পুলিশ হেফাজতে ছিলো। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী আদিলকে সুইসাইড বোম্বার হিসেবে গড়ে তুলেছিলো কি না, সেটাই এখন সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। (https://bit.ly/2TSmVy8)
 তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও বলেছে, সরকার ৮ই ফেব্রুয়ারী নিজেও জানতো এ ঘটনা ঘটবে, তবুও কেন যেতে দিলো ?? (https://bit.ly/2Gx26VL)

বিশ্ব এখন আর একমুখী নেই, যে কেউ যা ইচ্ছা তাই করবে। সবাই সবার কাছে কিছু না কিছু বিষয়ে ধরা। মোদি মিথ্যা ঘটনা ঘটিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের উপর টর্চার করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা এখন কারো অজানা নয়।  সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এই নিকৃষ্ট ঘটনা নিয়ে একট্টা হওয়া এবং ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে এর বিরুদ্ধে শক্ত বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করা।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

ভারতের মলমিশ্রিত নোংরা পানি ঢুকছে বাংলাদেশে, দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে সুয়ারেজের নোংরা পানি বাংলাদেশের প্রবেশ করছে। এতে শুধু সুয়ারেজ লাইনের পানি নয়, আছে আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডাইং কারখানা, চামড়া কারখানা ও মেলামাইন কারখানার বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য। যে খালের মাধ্যমে এই দুষিত পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তার নাম ‘কালান্দি খাল’। আর এলাকার মানুষ এই পানিকে ডাকে কালান্দির কালো পানি নামে। এই খালের কারণে বাংলাদেশের বি-বাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মাইলের পর মাইল এলাকা মৌ মৌ করে ভারতীয়দের মলমূত্রের গন্ধে।

বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশ, এই বিষাক্ত পানির কারণে খালের সাথে যুক্ত আখাউড়া উপজেলার ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি, মরে ভেসে উঠছে মাছ (https://bit.ly/2Wp2fQ3)।
এই বিষয়টির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার মানবন্ধনও করেছে (https://bit.ly/2sOY5Du)। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সেই কালো পানি পরিশোধন করতে প্ল্যান্ট বসানোর অর্থও বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিলো (https://bit.ly/2B7L7VF), কিন্তু এতটুকুই। এখনও অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে সেই দুষিত পানি।
ভারত বিভিন্ন নদীতে বাধ নিয়ে পানি আটকে রাখছে। বিশুদ্ধ পানি সে দিতে চায় না, কিন্তু প্রতিদিন টয়লেট করে তার পানি ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, আশ্চর্য ! পৃথিবীর কোন অন্য কোন দেশে এভাবে টয়লেট সেরে সেই পানি পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে দেয়ার নজির আছে কি না, তা আমার জানা নাই। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, “তবু তো দিচ্ছে, সেটা মলমিশ্রিত পানি হোক না”। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় “কুছ তো মিল গেয়্যা” ( https://bit.ly/2FVh5c3)।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, October 19, 2018

বাংলাদেশ নদীর পানির জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল কিন্তু নৌপথের দিক থেকে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল ভারত


কিন্তু উল্টাভাবে যদি চিন্তা করেন, তবে ভারতের নৌপথগুলো সমুদ্র সংযোগ করতে ভারত বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল।
ম্যাপের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করুন, ভারতের ভেতর দিয়ে আসা বড় নদীগুলো বাংলাদেশ ছেদ করে সমুদ্রপথে মিশেছে। 

তারমানে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সমুদ্রপথে যদি ভারত কোন মালামাল আনা-নেয়া করতে চায় এবং সেটা যদি স্বল্পমূল্যের নৌপথ ব্যবহার করে ভারতের ভেতর ছড়িয়ে দিতে চায়, তবে বাংলাদেশ ভিন্ন ভারতের আর কোন উপায় নাই।
তবে, ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেষে হুগলি নদীও ভারতের ভেতর দিয়ে বঙ্গপোসাগরে মিশেছে। যেখানে অবস্থিত কলকাতা বন্দর। কিন্তু কলকাতা বন্দরের বর্তমানে অনেক সমস্যা তৈরী হয়েছে, বিশেষ করে হুগলি নদীতে অসংখ্য নদীবাক তৈরী হয়েছে যেগুলো বড় বড় জাহাজ চলাচলের জন্য অসুবিধাজনক। মূল কথা হলো, গঙ্গা নদীর মূল অংশযুক্ত হয়েছে পদ্মার সাথে, হুগলি নদী সে হিসেবে শাখা নদী। তাই সমুদ্র পর্যন্ত পৌছাতে বাংলাদেশের ভেতর নদীপথের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ভারতকে।

এখানে একটু আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝার দরকার আছে।
চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকা চাচ্ছে চীনের এই প্রভাব দমন করতে। চীনের প্রভাব বিস্তারের মূল হাতিয়ার হচ্ছে ব্যবসা । চীন তার বিপুল জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে অতি সস্তায় পণ্য উদপাদন করে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করছে, এতে সারাবিশ্ব চীনা পণ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনাদের এই প্রভার হ্রাস করতে বেছে নিয়েছে ভারতকে। ভারতেরও রয়েছে শতকোটি জনসংখ্যা, রয়েছে সন্তায় শ্রম। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে প্রচুর পরিমাণে ইনভেস্ট করছে, তৈরী হচ্ছে অসংখ্য ইপিজেড। এর মাধ্যমে পন্য উৎপাদন ও সরবরাহে চীনের বিকল্প হিসেবে খুব শিঘ্রই ভারতকে দাড় করাতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবহন সহজ করতে সমুদ্র বন্দর ও নদী পথ ব্যবহারের বিকল্প নাই। সেদিক বিবেচনা করলে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারতকে দাড় হতে বাংলাদেশের সহযোগীতা চাই ভারতের।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় একটি চূক্তির খসড়া অনুমোদন হয়েছে, যে চূক্তি অনুসারে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ভারত।(https://bit.ly/2pvVywb)
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের নৌপথ ব্যবহারের বুদ্ধি ভারতের অনেক আগে থেকে। এবং কয়েক বছর আগেই সে রাস্তা পরিষ্কার করতে বাংলাদেশের সাথে ভারত একটি চূক্তি করেছে ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিং করার জন্য, যার ৮০% খরচ দেবে ভারত এবং ২০% খরচ দেবে বাংলাদেশ। (https://bit.ly/2yMQGt2)

একটি কথা বলতেই হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তৈরীকৃত উত্তেজনার মূল কারণ হলো নদী। ভারত বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন নদীর ৫৪টি মধ্যে ৪৭টি বাধ দিয়েছে (https://bit.ly/2zqb0Q0)। এতে নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। নদী বাচাও আন্দোলনের ভাস্য অনুযায়ী আজ থেকে ৪৭ বছর আগে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা ছিলো ১৩০০। কিন্তু বর্তমানে কাগজে কলমে নদী আছে মাত্র ৩০০, যার বেশিরভাগের অবস্থা সংকটাপূর্ণ। (https://bit.ly/2QVah0i)
আমরা শুনেছি, বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছে, আওয়ামীলীগ আর ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্বর্ণযুগে পৌছেছে (https://bit.ly/2PZq1xO)। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তিস্তার পানি নিয়ে কোন চূক্তি করতে পারেনি এবং আক্ষেপ করেছে।(https://bit.ly/2pxw5mc)

তাহলে ভারত যখন পানি ছাড়তে বিন্দুমাত্র রাজী হচ্ছে না, তখন পানির বাকিঅংশটুকু ব্যবহার নিয়ে কেন বাংলাদেশ দরকষাকষিতে যাচ্ছে না ? তারা যদি পানি না ছাড়ে, তবে আমরা তাদের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে দেবো কেন ? আমরা কেন বলছি না, “আগে পানি ছাড়ো, তারপর সমুদ্র বন্দর ব্যবহার ।” কিন্তু সেটা না করে কোন যুক্তিতে আওয়ামীলীগ সরকার মংলা ও চট্টগ্রাম ব্যবহারের অনুমুতি দিয়ে দিলো ?

আমরা জানি, সারা বিশ্বজুড়ে সবাই সবার ভৌগলিক অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষ থেকে অধিকার বা সুবিধা আদায় করে নেয়। যেমন, তুরষ্কের আছে ‘বসফরাস প্রণালী’। এর মধ্য দিয়ে দিয়ে ইউরোপ-এশিয়ার মধ্য দিয়ে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ইউরোপ যদি তুরষ্কের সাথে বিরোধ হয়, তবে তুরষ্ক বসফরাস প্রণালী বন্ধ করে তার দাবী আদায় করে নেয়। একইভাবে ‘হরমুজ প্রণালী’ দিয়ে আমেরিকা-সৌদির তেল বাণিজ্য চাপের মুখে রাখে ইরান। এর কারণে ইরানের বিরুদ্ধে একেবারে এক্সট্রিম পর্যায়ে যেতে পারে না আমেরিকা। তারা যখন তাদের ভৌগলিক অবস্থান দিয়ে প্রতিপক্ষ থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন সমুদ্র বন্দর সুবিধা দিয়ে নদীর পানি আদায় করে নিতে পারবে না ? কেন পানি না আদায় করে মংলা-চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা ছেড়ে দেয়া হবে ??

আমার মনে হয়, সরকারের উচিত বিষয়টির দিকে কঠোর দৃষ্টিপাত দেয়া। আর জনগণেরও উচিত, তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা, যেন শতভাগ পানি আদায় করে তারপর বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হয় এবং অবশ্যই সেটা আন্তর্জাতিক শর্ত ও খরচ মেনে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, May 21, 2018

ভারতের ফকিন্নি সেনাবাহিনীর সাথে সামরিক চূক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ !


ভারতের বহুল প্রচারিত ম্যাগাজিন ইন্ডিয়া টু’ডের প্রচ্ছদ
ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে বলা হচ্ছে: The Army is Broke

ভারতীয় সেনাবাহিনী ফকির হয়ে যাক সেটা সমস্যা নয়
(Broke, adjective = moneyless, poor),
সমস্যা হলো সেই ফকিরন্নি সেনাবাহিনীর সাথে সামরিক চূক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ !

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কি জানেন ?
বঙ্গবন্ধু যদি এখন বেঁচে থাকতেন, তবে সিরাজ শিকদারকে ফাঁসি দেয়ার আগে নির্ঘাৎ তার কন্যা শেখ হাসিনাকে আগে ফাঁসি দিতেন। কারণ সিরাজ শিকদারের থেকে ঢের ক্ষতি করছে শেখ হাসিনা। তার পলিসিগুলো পুরোপুরি পিতা বঙ্গবন্ধু বিরোধী।
বঙ্গবন্ধু যেখানে বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যের অস্তিত্ব পছন্দ করেননি,
সেখানে শেখ হাসিনা ভারতীয় সেনাকে বাংলাদেশীর উপর চাপিয়ে দেয়।

আমার এক ঘনিষ্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার সাথে কথা বলে জেনেছি, বাংলাদেশ সেনবাহিনীতে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট প্রবল। সম্ভবত এই এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্টটাকেই খুব ভয় পায় ভারত। সেনাবাহিনীর এ সেন্টিমেন্টটাকে তারা প্রায় ‘জঙ্গী’ ট্যাগ দিয়ে খবর ছাপে। আপনাদের মনে থাকার কথা, “এসএসএফের সেনাসদস্যরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে” এমন খবর ছাপতেও ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক কার্পণ্য করেনি।

তবে শুধু খবর ছেপেই তো পার পাওয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেই সেন্টিমেন্ট দূর করতে তারা মরিয়া। এ জন্যই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর ইনফিলট্রেট করতে চায়। এবং সামরিক চূক্তির মাধ্যমে সেটা করা সহজ। বিভিন্ন চূক্তির কারণে মেলামেশা হবে, বিভিন্ন প্রলভনে ভেতরে তৈরী করবে তাদের এজেন্ট।

মনে রাখতে হবে,
বিজেপি সরকার আসার পর ভারত পুরোপুরি আমেরিকার ক্ষপ্পরে চলে গেছে।
আমেরিকা দিয়েছে ‘পিভট টু এশিয়া’ পলিসি, আর সেটা বাস্তবায়নে ভারত দিয়েছে ‘লুক ইস্ট পলিসি’।
দুই পলিসিতেই বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর যদি ‘এন্টি ভারত সেন্টিমেন্ট’ প্রবল হয় তবে ভারত-আমেরিকার কোন পলিসি ঠিক মত বাস্তবায়ন হবে না। তাই যে কোন উপায়ে সেই সেন্টিমেন্ট ভাঙ্গাতেই সামরিক সহযোগীতা চূক্তি।


ম্যাগাজিনের লিঙ্ক সম্ভবত ডিলিট করে দিছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল টু্ইটারে এ ছবি সম্পর্কে বিবৃতি অাসছে। এ লিঙে্কে খবরের ভেতরে পাবেন https://bit.ly/2KFQKgr

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------