Showing posts with label বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক. Show all posts

Thursday, March 28, 2019

ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’


গতকালকে বিবিসি বাংলা’র একটা খবর ভাইরাল হইছে,
খবরের শিরোনাম: “স্কুলে যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্পের ক্লাসরুমে যা পড়ানো হচ্ছে”

৩৫০টি স্কুল ও মাদ্রাসায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  যেখানে স্কুলের বাচ্চাদের এমন সব বিষয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, যা সাধারণভাবে আলোচনা করতে বাংলাদেশের মানুষ লজ্জা বোধ করতো।  দাবী করা হচ্ছে, “দুই বছর মেয়াদী এই কোর্সে, শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিকালীন এসব অবশ্যম্ভাবী ইস্যুগুলো সম্পর্কে জানছে।  তারা শিখছে প্রজননস্বাস্থ্যের নানা দিক।  যৌনবাহিত এবং যৌনাঙ্গবাহিত রোগ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছে। শিখছে এসব রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়।....... বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ শ্রেণীকক্ষে গত ৫ বছর ধরে এসব শিখছে বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ সরকারের 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণীকক্ষটি তৈরি হয়েছে। কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে 'কিশোর কিশোরী কর্নার'। আর এখানে তারা পড়ছে 'জেমস' নামে একটি কোর্স যেটির পূর্ণরূপ দাঁড়ায় 'জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস'। কোর্সটি অনেকটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্যালয়ে পড়ানো সেক্স এডুকেশন বা যৌন শিক্ষার আদলে সাজানো।..........” (https://bbc.in/2HIONCa)

এতক্ষণ তো বিবিসির খবর পড়লেন, এবার আসুন আমরা অন্য সোর্সগুলো থেকে স্কুলে যৌন শিক্ষা’র বিষয়টি যাচাই করে দেখি।

প্রথমে আমরা দেখবো, 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামক পাইলট প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে কে এবং কত টাকা ?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (https://bit.ly/2UWQtel)  বলছে, এই পাইলট প্রকল্পে ফান্ড দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ।  টাকার পরিমাণ ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এখানে আমার প্রশ্ন,
--যৌন শিক্ষার বিষয়টি তো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত ।  তাহলে এই ফান্ড তো দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর।  আর যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক দিক থেকে চিন্তা করি, তবে ফান্ড দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের অধীনস্থ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’ এর ।  কিন্তু টাকা ‘জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল’ দিবে কেন?

--তারমানে এই শিক্ষাটা কি জনসংখ্যা’র সাথে সম্পৃক্ত ? মানে এমন কোন শিক্ষা যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাসে সহায়ক হবে ?
--কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ শিক্ষা তো বিবাহিত দম্পত্তিদের দেয়া হচ্ছে, কিন্তু স্কুলের বাচ্চাদের কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শিখতে হবে ?

বাংলাদেশে এই শিক্ষা দেয়ার সময় বলা হচ্ছে, বাচ্চাদের জড়তা কাটানো হচ্ছে, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান, বয়ঃসন্ধি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু আসলে এই শিক্ষার আড়লে কি উদ্দেশ্য আছে ?
যেহেতু বাংলাদেশে এই শিক্ষাটি পাইলট প্রকল্প করে নতুন করে আনতে চাওয়া হচ্ছে, তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে লুকাছাপা করা হবে।  তাই যেসব দেশে এই শিক্ষা চালু আছে, তারা কেন এই শিক্ষা প্রণয়ন করতে চাইছে, সেটা আগে বোঝা দরকার।
তাদের ওয়েবসাইট ঘেটে আমি যেটা বুঝলাম, যারা মুখে যত সুন্দর কথাই বলুক, স্কুলে বাচ্চাদের ‘যৌনশিক্ষা’ দেয়ার মূল উদ্দেশ্য-
 “তুমি ভয় জয় করে সেক্স করো, সমস্যার (গর্ভধারণ, যৌনরোগ) সমাধান (জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি/সেভগার্ড) শিখিয়ে দিচ্ছি।”
(https://bit.ly/2CzpmQa)

যেহেতু কিশোরী মেয়েদের অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ আটকানো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য, তাই ফান্ডও দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা। 

স্কুলে যৌনশিক্ষা দেয়া বিষয়টি সারা বিশ্বজুড়ে একটি বিতর্কিত বিষয়।  অনেক দেশেই এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ হয়েছে।  গার্জিয়ানরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে স্কুলে যৌন শিক্ষা বন্ধ করার জন্য।
ক) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে স্কুলে যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ - https://bit.ly/2TcfrsN
খ) কানাডার অনটারিওতে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ (https://bit.ly/2FCqe7J)

এই সব যৌন শিক্ষার বইয়ে কি থাকে ?
বাংলাদেশে যেহেতু বিষয়টি নতুন এসেছে, তাই এখনও হয়ত প্রকাশ্যে অনেক কিছু বলছে না। কিন্তু যেসব দেশের স্কুলে বেশ কিছুদিন ধরে এই শিক্ষাটি চালু আছে, আসুন দেখি তাদের বইয়ে কি দেয়া হচ্ছে-

---- ব্রিটেনের ৫-৭ বছরের বাচ্চাদের স্কুলে যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, এই লিঙ্কে দেখুন- (https://bit.ly/2WshG97)
--- ব্রাজিলে বাচ্চাদের যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই।  সে স্কুলে বাচ্চাদের বই নিয়ে দেখাচ্ছে বইগুলোর মধ্যে কি ধরনের জিনিস আছে - https://bit.ly/2FCqsM7

উল্লেখ্য পৃথিবীর ১০টি শীর্ষ ধর্ষণ সংগঠিত হয়, এমন রাষ্ট্রগুলো-
১) যুক্তরাষ্ট্র, ২) দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩) সুইডেন, ৪) ভারত, ৫) যুক্তরাজ্য, ৬) জার্মানি, ৭) ফ্রান্স, ৮) কানাডা, ৯) শ্রীলঙ্কা, ১০) ইথিওপিয়া (https://bit.ly/2HIJr9Y)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, এই ১০টি দেশেই স্কুলে অনেক দিন ধরে যৌনশিক্ষা চালু আছে।  যদিও দাবী করা হয়, যৌন শিক্ষা চালু হলে ছেলে-মেয়েরা কাছাকাছি আসলে এই নির্যাতন কমবে, কিন্তু বাস্তবে এতদিন ধরে যৌন শিক্ষা চালু থাকলেও ঐসব দেশে যৌন নির্যাতন কমে নাই, বরং বেড়ে গেছে।
এখন কথা হলো, বাংলাদেশেও স্কুলে যৌনশিক্ষা চালু হলে, বাংলাদেশেও যে ঐ শীর্ষ ধর্ষণপ্রবণ রাষ্ট্রের তালিকায় অবস্থান নিবে না তার কি গ্যারান্টি ?

স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু হলে কি সমস্যা হবে ?

ক) এতদিন যৌন বিষয়ক শিক্ষা পারিবারিকভাবে ও বিশ্বাসভাজন ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যেই হয়ে আসছিলো।  কিন্তু স্কুলে যখন এই যৌন শিক্ষা দেয়া শুরু হবে, তখন এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন আসবে।  যেমন- ধরুন, ক্লাসে কোন পুরুষ শিক্ষক ছাত্রীদের যৌনশিক্ষা দিচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে অনেক বিষয় বাধন উন্মুক্ত হবে।  এমত অবস্থায় ঐ পুরুষ শিক্ষকটি ঐ ছাত্রীদের উপর কোনভাবে সুযোগ নিবে কি না ? ঐ শিক্ষকটি আসলে কতটুকু বিশ্বস্ত ? ঐ শিক্ষকটি যে যৌনশিক্ষা দেয়ার নাম করে ছাত্রীটিকে নিপীড়ন করবে না, তার কি গ্যারান্টি ? দেখা যাবে, স্কুলগুলো এই শিক্ষা চালু হলে ছাত্রী নিপীড়ন সকল বাধন ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

খ) একজন পুরুষ মহিলার মধ্যে কিভাবে বায়োলোজিকাল সম্পর্ক ঘটে - এই শিক্ষাটা দিতে কত সময়ের দরকার ? ৫ মিনিট, ১০ মিনিট ?
কিন্তু বছরের পর বছর যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হবে ? কি কি নতুন টপিকস আলোচনা হবে ? ব্রিটেনের যৌন শিক্ষা ক্লাসে ৫+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে- “অ্যানাল ইন্টারকোর্স, বাই সেক্সুয়াল, ক্লিটোরিস, অ্যানাস,ইরিকশন, হোমোসেক্সুয়াল, ইনসেস্ট, মাস্টারবেশন, অর্গাজম, ওরাল সেক্স, প্রসটিটিউট” এই আলোচনার প্রভাবে সব কিছু সহজ হয়ে গেলে কতদিনের মধ্যে তা প্ল্যাকটিক্যালে গড়াবে তা নিয়েও আলোচনা করার দরকার।

গ) যৌন শিক্ষার মধ্যে অন্যতম পাঠ্য হবে সমকামীতা বা গে/লেসবিয়ান/বাইসেক্সুয়াল শিক্ষা।  যে ছেলে বা মেয়েটি এখনও সেক্স কি বুঝে উঠে নাই তাকে যখন গে/লেসবিয়ান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে, তখন দেখা যাবে যৌন ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর সে সঠিক যৌনতা ছেড়ে গে/লেসবিয়ান হয়ে গেছে।  গে/লেসবিয়ান হওয়া মানে একটি জাতিকে আনপ্রডাক্টটিভ করে দেয়া।

ঘ) যারা এই শিক্ষা দিচ্ছে, তাদের মূলে উদ্দেশ্য কিশোরীরা যেন গর্ভধারণ না করে কিংবা কেউ যেন যৌনরোগে আক্রান্ত না হয়।  খুব ভালো কথা। সেক্স করে তারপর কেন গর্ভধারণ বা যৌনরোগের কথা ভাবতে হবে ?
আমরা এমন শিক্ষা চালু করি, তোমরা ছোট বয়সে অবৈধ সেক্স করো না, তাহলেই তো গর্ভধারণও হয় না এবং যৌনরোগও হয় না। বর্তমানে আমরা সমাজে নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে কিন্তু সেটাই দিচ্ছি।  কিন্তু তারা নৈতিকতা শিক্ষার বাধন তুলে বাচ্চাদের সেক্সও করতে দিতে চাইছে, আবার গভর্ধারণ ও যৌনরোগ আটকাতে চাইছে, বিষয়টি কেমন হলো ?

বিবিসির রিপোর্ট আপনারা দেখেছেন,
“স্কুলে বাচ্চারা বলছে, আমাদের কাছে এইসব কথা বলা খুব সহজ হয়ে গেছে। আমরা ফ্রি এসব কথা বলতে পারছি, আমাদের বাধা আসছে না। ”
তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, “আহ! দেশ বোধ হয় খুব এগিয়ে গেলো”।

আচ্ছা, এসব কথা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা কি জরুরী কোন বিষয় ? এই আলোচনা করলেই কি দেশ এগিয়ে যাবে ?  বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়ে দেখুন, ছোট ছোট কিশোরী পতিতারা এইসব কথা প্রকাশ্যে লজ্জাহীন ভাবে বলছে। তাহলে পতিতালয় গুলো কি অন্য সব স্থান থেকে এগিয়ে নেই ?

দেশ, অর্থনীতি, জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে অনেক আলোচনার দরকার আছে,
দেশকে এগিয়ে নিতে এসব বিষয়ে আরো শেখা ও আলোচনার দরকার। এগুলো নিয়ে আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের আমরা এখনও শেখাতে পারিনি ঠিক মত। এ অবস্থায় যদি বাচ্চাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ফেলে সেক্স নিয়ে আলোচনায় বসিয়ে দেই, তবে তার প্রভাব কতদূর যাবে ? আপনি শিখিয়ে দেবেন থিউরী, ওরা নেমে যাবে প্ল্যাকটিক্যালে, তারপর কি হবে তা নিজেই ভেবে দেখুন।

একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, পারিবারিক বাধন ও নৈতিকতার দিকে থেকে আমরা পশ্চিমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের এই এগিয়ে থাকা তাদের জন্য হিংসের কারণ। পশ্চিমারা হচ্ছে লেজকাটা শেয়াল, তাদের না আছে পারিবারিক বাধন, না আছে নৈতিকতা। তারা নিজের লেজ কেটে ফেলেছে অনেক আগে এখন আমাদের লেজ কিভাবে কাটতে হবে, কাটলে কত উপকার হবে তার গুন বর্ণনা করছে। এবং কাটার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সাও সরবরাহ করছে।  সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল নাহিদ কেন বিদেশীদের টাকা খেয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে নেমেছে, সেজন্য তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো উচিত।

ছবি: ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’।

Saturday, December 29, 2018

বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, থুক্কু আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীরা


গত কয়েকদিন ধরে একটা খবর দেখছি, প্রাথমিকের শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য একটি উৎসব চালু করেছে সরকার, যার নাম বই উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে এবং ফটোসেশন করছে। আওয়ামলীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ থেকে সরব উঠেছে, “বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে কে ?”
“জোরে বলো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।

যারা বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার কৃতিত্বটা শেখ হাসিনাকে দিতে চান, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, এই বিনামূল্যে বই তুলে দেয়ার পেছনে শেখ হাসিনার কোন অবদান নেই। বইয়ের টাকাটাও শেখ হাসিনা নিজের বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন নাই, টাকাটা নিয়েছে বিভিন্ন সম্রাজ্যবাদী ও স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর থেকে। মূল ফান্ড দাতা বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। পাঠ্যবইগুলো তাদের টাকায়ই ছাপা।

গত জুন মাসে বিশ্বব্যাংকের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি -৪) তে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা (https://bit.ly/2ET8ohS) এবং অক্টোবরে একই প্রকল্পে ৪ হাজার ২শ’ কোটি অর্থাত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের থেকে গ্রহণ করে সরকার। (https://bit.ly/2RiIfi3)

বিশ্বব্যাংক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে কূট উদ্দেশ্য ঋণ দেয়, এটা পুরো দুনিয়ার সবাই জানে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া কিংবা অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতও তা মুখ ফসকে বলে ফেলে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সব সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে যদি সমস্যা হয়, তবে কোমলমতি শিশু, যারা আমাদের ভবিষ্যত তাদের শিক্ষার জন্য এই কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়ার মানেটা কি ? তারা কি এমনি এমনি ঋণ দিচ্ছে, নাকি ঋণের বিনিময়ে তাদের বেধে দেয়া পাঠ্যসূচি ও পলিসি ঢুকানো হচ্ছে বইয়ের ভেতর ? বইয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মন-মস্তিষ্কে প্রবেশ করানো হচ্ছে অদৃশ্য বিষ ?

উল্লেখ্য, এনসিটিবি অনুমোদিত হিজড়াদের নিয়ে লেখা ‘বৈচিত্র্যময় মানুষ’নামে একটি সম্পূরক বই ষষ্ঠ শ্রেণির সহস্র শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হবে। এই বইয়ের জন্য অর্থায়ন করছে গ্রাম-গঞ্জে সমকামীতা ছড়িয়ে দিতে যে এনজিওটি কাজ করছে, “বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)” নামক এনজিওটি। অধ্যাপক জাফর ইকবালের একটি প্রবন্ধসহ মোট চারটি প্রবন্ধ নিয়ে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’র মানুষ সম্পর্কে বাচ্চাদের ধারণা দিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার বই নির্বাচিত ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। (https://bit.ly/2BIa3CU)

আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম, সম্রাজ্যবাদী ইহুদীরা সারা বিশ্ব শাসন করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা বা মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করেছে, যাকে বলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি (https://bit.ly/2rYIn85 )। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি লোন আনছে, সেই মহাপরিকল্পনার লক্ষ্যই হচ্ছে এসডিজি বাস্তবায়ন বা শিশুদের মধ্যে সম্রাজ্যবাদী ইহুদীদের সেই ধারণা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে বদ্ধমূল করা। (https://bit.ly/2RhTd7A)

আমি সব সময় একটা কথা বলি, বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওষুধ বাচ্চাদের খাওয়ায়েন না, কারণ সেখানে তারা এমন কিছু মিশিয়ে দেবে যেটা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক একইভাবে বলতে হয়, বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিনামূল্যের বই আমাদের শিশুদের মাঝে দয়া করে দিয়েন না। ওষুধ যেমন আমাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষতিকর হতে পারে, ঠিক তেমনি এই সব বইও আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুদ্ধিহীন, পঙ্গু সম্রাজ্যবাদীদের দাসে পরিণত করতে পারে।

সত্যি বলতে, দুর্নীতিবাজরা সব সময় চায় বিদেশ থেকে উন্নয়নের কথা বলে টাকা নিয়ে আসতে, কারণ তখন ১ টাকা খরচ করলে ১০ টাকা মেরে দেয়ার সুযোগ থাকে। টাকা চলে যায় ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে, কিন্তু ঋণের বোঝা চেপে বসে পুরো দেশের উপর। অন্যদিকে সম্রাজ্যবাদীরা শাসকগোষ্ঠীকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়ে আড়াল করে জনগণের উপর নিজের গোপন স্বার্থ হাসিল করে, পুরো জাতীকে পরিণত করে দাসে।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষের এব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া জরুরী। সরকার যেভাবে সামান্য অর্থের লোভে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বোধ বুদ্ধি নষ্ট করে দিচ্ছে, সেটা আমাদের কিছুতেই মেনে নেয়া উচিত নয়। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াক, কিন্তু ইহুদীবাদীদের বানিয়ে দেয়া পাঠ্যসূচি পড়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও ইহুদীবাদীদের নিকট দাস হয়ে থাকুক, এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, January 30, 2018

‘পদ্মবত’ মুভি : মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দুদের দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি


‘পদ্মবত’ মুভি সম্পর্কে জানাতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ক্লাস ৯-১০ এর পাঠ্যবইয়ে রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ‘স্বাধীনতা’ নামক একটি কবিতা ছিলো, যা মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ২০১৭ সালে বাদ দেয়া হয়। ঐ স্বাধীনতা কবিতা আর এই পদ্মাবত মূভি একই জিনিস। স্বাধীনতা কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছিলো। ঐ সময় ‘স্বাধীনতা’ নামক কবিতার বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম, যা

পেইজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যাচ্ছে না, তবে গুগল সার্চ করে এ লিঙ্কে (http://bit.ly/2rSOiyD) লেখাটা পেলাম। সেখানে মুল ঘটনা বিস্তারিত পাবেন।

পদ্মবত মুভি আসলে কি?

হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে নানান ভ্রান্ত গল্প বানায়। এসব ভ্রান্ত গল্পকে পূজি করে তারা যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করেছে, ‍মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গাকে বৈধতা দিয়েছে। যেমন “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা “তাজমহল হিন্দু মন্দির ছিলো তাই তা ভাঙ্গতে হবে”, “আরবের কাবা ঘর মূলত শিব মন্দির”। এ ধরনের বহু আজগুবি গল্প বা হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তারা যুগে যুগে বানিয়ে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কাতো। বাংলাদেশে ভুয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সাজানোও একই বিষয়। বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নেই। মূলত পদ্মাবত মুভি বা পদ্মিনী উপখ্যান সেই স্বভাব থেকেই উদ্ভব।

পদ্মবত মুভির ঘটনায় হিন্দুরা গল্প সাজিয়ে বলে, ‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো।

মুসলমানরা আসার আগে ভারত কত অনুন্নত ছিলো সে ইতিহাস সবার জানা। প্যাগান গোষ্ঠীদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে মুসলমানরা উদ্ধার করে আলোর পথ দেখায়। বিজেপি মাত্র ৪ বছর ক্ষমতা পেয়ে বলে সমস্ত মুসলমানকে বের করে দেয়া হবে। অথচ মুসলমানরা ভারত ৬০০ বছর একচেটিয়া শাসন করে যদি সত্যিই হিন্দুদের উপর নির্যাতন করতো, তবে ভারত বর্ষে এখন একটা হিন্দুও যেতো না। উল্লেখ্য, হিন্দুরা যে সাম্প্রদায়িক ইনটেনশন নিয়ে কাজ করে, তার প্রমাণ- মুসলমানদের আসার আগে হিন্দুরা বৌদ্ধ ধর্মের বিলুপ্তি ঘটায় (http://bit.ly/2rPR6w8)

তারপরও এখন সারা ভারত জুড়ে মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট বিশেষ করে দাঙ্গা উস্কে দিতে এসব ইতিহাস বিকৃত সিনেমা তৈরী করা হচ্ছে। কথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের দেশ ভারতে কত উগ্র সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিরাজ করছে তার নিকৃষ্ট প্রমাণ এ পদ্মাবত মুভি। উল্লেখ্য, এ মুভির বিরুদ্ধে উগ্রহিন্দুদের একটি গোষ্ঠী শুরু থেকে বিরোধীতা করে। এ বিরোধ থেকে হয়ত অনেকে ভেবেছে মুভিটি মনে হয় এন্টি-হিন্দু। আসলে তা না। মুভির কাহিনীর প্রয়োজনে একটি দৃশ্যে কথিত পদ্মবতীকে কথিত আলাউদ্দিন খিলজীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে দেখানো হয়, আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে উগ্রহিন্দুরা। যদিও পুরো মুভির এন্টি মুসলিম সেন্টিমেন্ট ঠিক আছে। তবে আমার খারাপ লেগেছে অন্য কারণে। হিন্দুরা বানোয়াট চরিত্র ‘পদ্মবতী’র জন্য মাঠে নামলো, কিন্তু মুভিটিতে যে মুসলমানদের সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীকে মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করে (পশুর মত) উপস্থাপন করা হলো তার প্রতিবাদ কোন মুসলমান করলো না। বর্তমানে মুসলমানদের কঠিন অবস্থার জন্য মুসলমানদের বোবা থাকা একটি কারণ।

তবে একই সাথে আলোচনা করা যায়, এ ধরনের একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘটনা কিভাবে বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য করা হলো ? কেন ৪ বছর (২০১৩-১৬) তাদের এ ইসলামবিদ্বেষী পড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো ? শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের এ কারণে কেন বিচার হলো না ??

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের একটি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার ঘটনা যখন পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হলো, তখন বাংলাদেশের কথিত অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাঠে নেমে বললো- বাংলাদেশের পাঠ্যবই নাকি সাম্প্রদায়িক করা হয়েছে !! আশ্চর্য !!!


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------