Showing posts with label ধর্ম বিদ্বেষ. Show all posts
Showing posts with label ধর্ম বিদ্বেষ. Show all posts

Sunday, March 24, 2019

জেসিন্ডা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদীদের উগ্রতার ভিডিও লুকিয়ে ফেলতে যতটুকু ইচ্ছুক, তার থেকে বেশি ইচ্ছুক মুসলিম নামে কেউ অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, হামলার ডাক দিচ্ছে সে খবর ছড়াতে !


নিউজল্যান্ডে হামলা হয় ১৫ই মার্চ,২০১৯
কিন্তু তার ১০-১১ দিন আগে, মানে ৪-৫ই মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় একটি খবর খুব প্রচারিত হয়। সেটা হলো, ‘কিউই জিহাদী’ মার্ক টেলরের খবর।

মার্ক টেলর হচ্ছে নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি, যে ধর্মান্তরিত হয়ে আবু আব্দুল রহমান হয় এবং ২০১৪ সালে সিরিয়াতে যুদ্ধ করতে যায় বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু সম্প্রতি তাদের মিডিয়াতে প্রচারিত হয়, মার্ক টেলর কুর্দিশ বাহিনীর কাছে ধরে পড়েছে এবং সে নিউজিল্যান্ডে ফিরতে চাইছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া গত ৪ঠা মার্চ থেকে বেশ গরম হয়ে ওঠে এবং মার্ক টেলরের নামের সাথে ইসলামী ধর্মীয় নামকরণ ‘জিহাদী’ শব্দ যোগ করে বন্দুক, ছুরি, তলোয়ার হাতে ছবি বার বার প্রচার করতে থাকে। নিউজিল্যান্ডের নিউজহ্যাব, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড, স্ট্যাফ, রেডিও নিউজিল্যান্ড, ওয়ান নিউজ, নিউজটক’ বার বার এই ছবিগুলো প্রকাশ হতে থাকে।
ক) https://bit.ly/2U6peAJ
খ) https://bit.ly/2Ousb9n
গ) https://bit.ly/2UaCILS
ঘ) https://bit.ly/2GYvAMr

যদিও মার্ক টেলর গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে,
কিন্তু এই নিউজগুলো নিউজিল্যান্ডে সংখ্যালঘু মুসলিম কমিউনিটির জন্য খুব উদ্বেগজন ছিলো, কারণ এ ধরনের উন্মুক্ত অস্ত্র হাতে, ইসলামী নামে, আরবী হরফ সংযুক্ত ছবি প্রকাশ করায় দেশটিতে নতুন করে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবেশ তৈরী করা হয় মসজিদে হামলার মাত্র ১০-১১ দিন আগে। এছাড়া, ২০১৩ সালে একবার নিউজিল্যান্ডে মিডিয়া থেকে দাবী তোলা হয়, ক্রাইস্টচার্চের সেই আন নূর মসজিদ থেকে দুই জন মুসলিম ইয়েমেনে যুদ্ধ করতে যায় (https://bit.ly/2FtM4sK)। তাই নতুন করে ‘জিহাদী’ ‘জিহাদী’ রব তুললে ঐ আন নূর মসজিদের দিকে ইসলামবিদ্বেষীদের চোখ পড়ে। 

আমি একটি বিষয় দেখেছি,
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রাইস্টচার্চে হামলারকারীর ভিডিও প্রকাশ না করতে বার বার আহবান করেছে। তার আহবানে সারা দিয়ে ফেসবুক থেকে হামলার ১৫ লক্ষ ভিডিও ডিলিট করা হয়। এমনকি তুরষ্ক বিষয়টি প্রকাশ করায় এরদোয়ানের সমালোচনায় ফেটে পড়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয় নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় যখন ব্রেন্টন ট্যারেন্টের ছবি প্রকাশ করা হয়, তার মুখ ঢেকে রাখা হয়।
(https://bit.ly/2CmRjK1)

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনের এ ধরনের আচরণ থেকে আমরা অনুমান করতে পারি, সে খুব শান্তিকামী, ধর্মের নামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ুক, সেটা সে চায় না।  কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, জেসিন্ডা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদীদের উগ্রতার ভিডিও লুকিয়ে ফেলতে যতটুকু ইচ্ছুক, তার থেকে বেশি ইচ্ছুক মুসলিম নামে কেউ অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, হামলার ডাক দিচ্ছে সে খবর ছড়াতে !! তাই নজির আমরা দেখতে পাই, মসজিদে হামলার ১১ দিন আগ থেকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় মুসলিমবিরোধী চেতনার উদ্রেগ করতে পারে, এ ধরনের প্রচুর ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ৫ দিন পর যখন সন্ত্রাসী টারেন্টের ছবি লুকানো হচ্ছে, তখনও নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে আইএস বাহিনী নিউজিল্যান্ডে হামলা করতে আসছে এবং কিছু কল্পিত ছবি প্রকাশ করে ইসলামফোবিয়া আরো দৃঢ় করা হচ্ছে। (https://bit.ly/2Ye0OEV)

গত পোস্টে, আমি যেটা বলতে চেয়েছি, হয়ত অনেকেই বিষয়টি ধরতে পারেননি।
আমি বলতে চেয়েছি,
জেসিন্ডা আরডেন মাথায় ওড়না দিতে যতটুকু আন্তরিক,
আরবীতে সালাম দিতে যতটুকু আন্তরিক,
কিন্তু মুসলিমদের উপর যারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের দমন করতে সে ততটুকু আন্তরিক নয়।

আমি যেটা বলতে চেয়েছি, জেসিন্ডা অবুঝ কোন ব্যক্তি নয় যে, সে কিছু জানে না।
ইরাক হামলার অন্যতম খলনায়ক টনি ব্লেয়ারের এক সময় পলিসি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছে এই জেসিন্ডা আরডেন (https://bit.ly/2U7DhGr) ।  তার লেবার পার্টির ক্রাইস্টচার্চ মেয়র লিয়াননি ডালজেইলের তত্ত্ববধানেই ২০১২ সালে ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় ব্রেন্টর ট্যারেন্টের মতাদর্শের সন্ত্রাসীরা (হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট বলে যারা নিজেদের দাবী করে)  সবচেয়ে বড় মার্চ করে (https://bit.ly/2CAXzOC)। সেদিক বিবেচনা করলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বা মুসলিমবিরোধী ডানপন্থীদের কার্যক্রম সম্পর্কে নিজেকে ‘ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না’ বলে দাবী করতে পারে না জেসিন্ডা।

সত্যি বলতে আমার একটা দোষ কি জানেন?
আমি কিছু কিছু  জিনিস সম্পর্কে হয়ত আমার একটু বেশি জানা আছে,
তাই যাদের জানা নেই, তাদের থেকে কিছু বিষয় নিয়ে আমার মাথা খেলে বেশি।

যেমন: ক্লাস ১০ এর একটা কবিতার বই,
সদ্য অক্ষর জ্ঞান পাওয়া শিশু শ্রেণীর একটা বাচ্চা ঐ কবিতার অক্ষরগুলো দেখে অ’আ’ক’খ’-ই দেখতে পাবে। কিন্তু ৫ম শ্রেনীর একজন ছাত্র হয়ত ঐ কবিতা কিছু পড়তে পারবে,কিন্তু কবিতার কথাগুলো নাও বুঝতে পারে। ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ঐ কবিতার পড়ে তার অন্তর্নিহিত কিছু কিছু বিষয় অনুধাবন করবে। আর কোন সাহিত্যিক হয়ত ঐ কবিতাকে বিশ্লেষণ করে তার ভেতর লুকিয়ে থাকা কোন নিগুঢ় তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করবে।  সবাই একই কবিতা দেখছে, কিন্তু সবার যার যার বোঝার অবস্থাটা ভিন্ন ভিন্ন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন, তাদের চোখেও কিন্তু জেসিন্ডার প্রকাশ্য ইসলামপ্রিয়তার দৃশ্যটা সাধারণ চোখ থেকে ভিন্ন।

উল্লেখ্য-
মার্কিন সম্রাজ্যবাদের যে রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক দেশ ও  বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে তা দুটি রূপে ছড়িয়েছে।
১) ডেমোক্র্যাট
২) রিপাবলিকান

এই দু্ইটি গ্রুপের তাদের মূল পলিসি (শত্রু দমন করে সম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা) নিয়ে কোন দ্বিমত নাই
কিন্তু সেই পলিসি বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। তা নিয়ে রাজনীতি আছে।

প্রথম গ্রুপ ডেমোক্র্যাট’রা চায় তাদের সম্রাজ্যবাদ বিস্তার ঘটাবে  লিবারেল সিস্টেমে। এরা সংখ্যালঘু, নির্যাতিত, নারীবাদ, সমকামী, অভিবাসী, আদিবাসী, শান্তির বার্তার কথা বলে মূল লুক্বায়িত পলিসি বাস্তবায়ন করবে। ওমাবা, ক্লিনটন, হিলারী এরা হলো ঐ দলের সদস্য। সারা বিশ্বেই তাদের এই ডেমেক্রেট নেটওয়ার্ক আছে।  জেসিন্ডা আরডেন, জাস্টিন ট্রুডো, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, প্রথম আলো, ব্র্যাক ঐ দলের সদস্য।

অপরদিকে রিপাবলিকানরা বলবে, জাতীয়তাবাদের কথা, ধর্মীয় চেতনার পক্ষে কাজ করার কথা, জাতীয়তাবাদ বিরোধীদের উচ্ছেদের কথা, দেশকে মুক্ত করার কথা। বুশ, ট্রাম্প হচ্ছে ঐ দলের সদস্য। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী  মোদি, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এ দলের সদস্য।

যারা ডেমোক্রেট তারা অভিবাসন বা শরনার্থীদের পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা শরনার্থীদের বিপক্ষে বলবে।
ডেমোক্রেটরা নারীবাদের পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা নারীবাদের (গর্ভপাতের) বিপক্ষে বলবে
ডেমোক্রেটরা সমকামীতার পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা সমকামীতাদের বিপক্ষে বলবে।
(https://bit.ly/2FxgJqs)

এজন্য জেসিন্ডা আরডেন-
অভিবাসনের পক্ষে বলবে
সমকামীদের পক্ষে মার্চ করে (https://youtu.be/rGPmGrklQGw)
নারীবাদের পক্ষ হয়ে গর্ভ অবস্থায় পার্লামেন্টে যায়, ইউরোপ সফর করে আলোচনা তুলে। (https://bit.ly/2Fme1CL)

তাই জেসিন্ডা আরডেনের মধ্যে সাধারণ মুসলমানরা যে ইসলামপ্রিয়তা দেখেছে,
সেটা আমার চোখে আন্তর্জাতিক ডেমোক্রেটদের খুব স্বাভাবিক রাজনীতি হিসেবে ধরা পড়েছে। সাধারণ মুসলমানরা যেটাকে মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতি হিসেবে দেখেছে, আমি দেখেছি তার ডেমোক্রেট বহুমুখী চেহারার অংশকে।

তবে মুসলমানরা যেন মাথায় কাপড়ের টুকরা আর আরবী উচ্চারণ দেখে মনে না করে, তাদের উপর হামলা কমে যাবে।  জার্মানিতে যখন শরনার্থী আসা শুরু করলো, তখন ডেমোক্রেট প্যানেলের অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও কিন্তু মুসলিম শরনার্থীদের প্রতি খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলে সংহতি প্রকাশ করেছিলো (https://bit.ly/2Fme0ib)। কিন্তু এ দ্বারা শরনার্থীদের উপর হামলা বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে।  ২০১৬ সালে জার্মানিতে গড়ে দৈনিক ১০টির মত মুসলিমদের উপর হামলা ঘটতো। ২০১৬ সালে ২,৫৪৫ জন শরণার্থীর উপর এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উপর ৯৮৮টি হামলার ঘটনা ঘটে৷ (https://bit.ly/2WqyYUj)

আসলে ডেমেক্রেট বা রিপাবলিকানরা অভিবাসী বা মুসলমানদের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলবে, রাজনীতির অংশ হিসেবে, কিন্তু এটা মানে এই নয় তারা কেউ মুসলমানদের পক্ষের লোক হয়েছে গেছে বা মুসলিমবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করবে। তারা এগুলো করে শুধু রাজনীতি করবে, এর বেশি কিছু নয়।

সত্যিই বলেতে আমার কাছে রিপাবলিকানদের থেকেও ডেমোক্রেটদের মারাত্মক মনে হয়। কারণ রিপাবলিকানরা প্রকাশ্যে করে, কিন্তু ডেমেক্রেটরা মুখে মিষ্টি কথা বলে, কিন্তু পেছনে ছুরি মারে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন সম্ভবত সেই দলেরই সদস্য।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 20, 2019

মুশফিকের সমালোচনাকারীরা কি আসলেই নিরপেক্ষ নাকি গোমাতা কোহলীর দলের গোপন এজেন্ট


দেশ থেকে পলাতক একদল ধর্মবিদ্বেষী হঠাৎ করে ক্রিকেটার মুশফিকের জার্সির মধ্যে বাঘের ছবি ঢাকা নিয়ে অবজেকশন তুলেছে। যতটুকু জানতে পারলাম, মুশফিক-রিয়াদরা নিয়মিত নামাজ পড়ে, আরো জানতে পারলাম, তাদের এ কাজ করার উদ্দেশ্য, ইসলাম ধর্ম অনুসারে প্রাণীর ছবি নিয়ে নামাজ পড়া যায় না। মুশফিক-রিয়াদ নিতান্তই ধর্মীয় নির্ভেজাল মানসিকতা থেকে বিষয়টি করেছে। তাছাড়া বাঘের ছবি ঢেকে রাখা, কাউকে মারা হবে কিংবা কাউকে ক্ষতি করা হবে, এমন কোন সাইনও নির্দেশ করে না। কোন প্লেয়ার যদি মেন্টালি স্যাটিসফাই থাকার জন্য এটা করে, তবে বোর্ডের এতে বাধা দেয়ার কোন কারণ দেখি না। কারণ প্লেয়ার যদি কোন কারণবশত মেন্টালি স্যাটিসফাই না থাকে, তবে তার প্রভাব তার খেলার মধ্যে পরবে। তাছাড়া বোর্ড যেখানে বিষয়টি নিয়ে এতদিন অবজেকশন তুলেনি, উপরন্তু সেই বাঘ ঢেকে রাখা প্লেয়ারগুলোর হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে ‍দিয়েছে, তখন বুঝতে হবে এর মধ্যে কোন সমস্যা নেই। সুতরাং যারা এটা নিয়ে অযথা তর্ক শুরু করেছে, বোর্ডের থেকে মাসীর দরদ বেশি দেখাচ্ছে, তাদের ভেতরে ভেতরে যে ব্রেন্টন টারান্টের মানসিকতা আছে, এটা নিশ্চিত বলা যায়।

এবার আসুন, বাংলাদেশ দলের তিন হিন্দু ক্রিকেটার সৌম সরকার, লিটন দাস ও রনি তালুকদারের কথায়, তাদের তিন জনই ডান হাতে লাল রং এর সুতা বাধা আছে।  হিন্দু পুরুষরা পরে ডান হাতে, নারীরা পরে বাম হাতে।  বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উগ্রহিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদীরা একাত্মতা ঘোষণার শপথ হিসেবে হিন্দু নারী-পুরুষ এই লাল সুতা বাধা অধিক হারে ব্যবহার শুরু করে। গুজরাট দাঙ্গার সময় অধিকাংশ দাঙ্গাবাজ হিন্দু পুরুষের ডান হাতে এই লাল সূতা বাধা ছিলো।

এখন কথা হলো, যেসব কথিত অসাম্প্রদায়িক এতক্ষণ  নিরুত্তাপ বাঘের ছবি ঢেকে রাখার মধ্যে বিরাট অন্যায় খুজে পাচ্ছিলো,  তারা কেন তিন হিন্দু প্লেয়ারের হাতে উগ্র, সাম্প্রদায়িক, দাঙ্গাবাজের চিহ্ন এই লাল সূতার মধ্যে উত্তাপ খুজে পাচ্ছে না ? কেন দেখেও না দেখার ভান করছে ? কেন বিরোধীতা করছে না?
মুশফিকের সমালোচনাকারীরা কি আসলেই নিরপেক্ষ নাকি গোমাতা কোহলীর দলের গোপন এজেন্ট তা খুঁজে দেখা দরকার।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, February 27, 2019

মোদির সস্তা সাম্প্রদায়িক ভোটের রাজনীতি ও মুসলমানদের করণীয়

২০০১ সালে ২৬শে জানুয়ারী, ভারতের গুজরাট রাজ্যে ঘটে যায় এক শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পেরে  মাত্রা ছিলো ৭.৭। এ ভূমিকম্পে গুজরাট রাজ্যে প্রায় ৪ লক্ষ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। সরকারি হিসেবেই ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার লোক নিহত এবং ১ লক্ষ ৬৭ হাজার লোক আহত হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়।
এ অতিমাত্রার ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী বিজেপির কেশুভাই প্যাটেল। শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে কেশুভাই ২০০১ সালের ৬ই অক্টোবর পদত্যাগ করে। ৭ই অক্টোবর সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত মূখ্যমন্ত্রী করা হয় লোকাল নেতা নরেন্দ্র মোদিকে।  তবে চতুর মোদি জানতো কি করে সাধারণ জনতার সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে হয়।
ভারপ্রাপ্ত ক্ষমতা পাওয়ার মাত্র ৪ মাস পর, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারী রহস্যজনকভাবে গোধরা শহরে হিন্দু পূজারীবাহী একটি ট্রেনে আগুন ধরে যায়। মারা যায় ৬০ পূজারী। ব্যস শুরু হয়ে যায় হিন্দু পূজারীদের লাশ নিয়ে রাজনীতি। লাশ নিয়ে মিছিল করে জাগিয়ে তোলা হয় হিন্দুত্ববাদ। এরপর জারি করা হয় কারফিউ। ভারতে কারফিউ এর অর্থ কিন্তু ভিন্ন। কাউফিউ অর্থ হিন্দুত্ববাদীরা যেন পুলিশ প্রটেকশনে মুসলমানদের উপর নির্ভয়ে দাঙ্গা চালাতে পারে। শুরু হয়ে যায় গুজরাট দাঙ্গা।  গোধরার ট্রেনে আগুনের পর যা চলে প্রায় ১ মাস। হত্যা করা হয় ৫ হাজার মুসলমানকে, ধর্ষণ করা হয় ৪০০ মুসলিম নারীকে, ধ্বংস করা হয় ৫৬৩টি মসজিদ, বাড়িঘর ছাড়া করা হয় আড়াই লক্ষ মুসলমানকে। দাঙ্গার সময় মুসলিম মহিলারা পুলিশের কাছে তাদের ইজ্জত রক্ষার আবেদন জানালে পুলিশ বলে, 'তোমাদেরকে তো শেষমেষ মেরেই ফেলবে। তার আগে ইজ্জত থাকলো কি চলে গেল তাতে কি'। এমনকি দাঙ্গার সময় রক্ষা পায়নি মুসলিম এমপি এহসান জাফরী। তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী নেতা বাবু ভাই প্যাটেলের নাম শুনে থাকবে অনেকেই। যে এক মুসলিম নারীর পেট চিড়ে ৯ মাসের ভ্রুণকে বের করে আগুনে পুড়িয়ে মারে। হিন্দুত্ববাদ জাগিয়ে তুলে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে মোদি। ২০০২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টির  মধ্যে ১২৭টি আসন লাভ করে সে। হয়ে যায় মূখ্যমন্ত্রী। এরপর ২০০৭, ২০১২ এর নির্বাচনেও তাকে মূখ্যমন্ত্রী হতে কষ্ট করতে হয়নি। শুধু তাই নয়, ঐ হিন্দুত্ববাদী ট্যাগ লাগিয়ে ২০১৪ সালেও হয়ে যায় পুরো ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আর মাত্র ৪ মাস বাকি। ‘মোদি ম্যাজিক’, “আচ্ছে দিন”, “বুক চওড়া” এইসব শ্লোগান দিয়ে এখন আর পাবলিক খায় না।  ৫০০ আর ১০০০ টাকা নোট বাতিল করে পুরো দেশের অর্থনীতির মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে মোদি। বেকারত্ব এখন চরম পর্যায়ে।  দমননীতির কারণে আত্মহত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ কৃষক। তাই এখন নতুন সাম্প্রদায়িক পলিসি নিয়েছে মোদি। প্রাথমিক ধাপ ছিলো ভুয়া ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ আর এবার ‘পুলওয়ামা অ্যাটাক’। অভিযোগ দুটোই মোদির বানানো এবং দুই ক্ষেত্রেই পাকিস্তানবিরোধী উস্কে দিয়ে সামনে লাকড়ি হিসেবে দিয়ে দেয়া হয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের। গুজরাটে আগুন দেয়া হয়েছিলো ট্রেনে, এবার বোমা বিষ্ফোরণ করা হলো বাসে।  নীতিও এক: “উস্কে দাও সাম্প্রদায়িকতা, নিয়ে নাও ভোট”। সেটাই দেখা যাচ্ছে, কথিত পুলওয়ামা অ্যাটাকের পর যায়গায় যায়গায় নিরীহ মুসলমানের উপর হামলা হচ্ছে। মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা হচ্ছে, মুসলিম নারীদের হোস্টেলের সামনে হিন্দু পুরুষরা জড়ো হচ্ছে। ভুয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস অজুহাত করে মুসলমানদের পিটিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে লাইক কামানো হচ্ছে। যদি ধরেও নেই, ঐ হামলায় পাকিস্তান দায়ী, তবে যে ভারতীয় মুসলমানরা ৭০ বছর আগে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতের সাথে যোগ দিয়েছে, তাদের দেশাত্ববোধকে কেন নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে ? কেন তাদের উপর হামলা করা হবে ?? তবে খালিস্তান আন্দোলনের জন্য শিখদের, বঙ্গসেনা আন্দোলনের জন্য হিন্দুদের, আর সেভেন সিস্টারসের স্বাধীনতার জন্য কেন উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে কেন দেশাত্ববোধের পরীক্ষা দিতে হয় না ? কেন তাদের উপর দেশজুড়ে হামলা হয় না ??
মোদির মুসলিমবিরোধী সস্তা সাম্প্রদায়িক ভোটের রাজনীতি নিয়ে কিছু বলার নাই তবে, এতটুকু বলতে পারি, সারা বিশ্বের মুসলমানরা যদি একটু চেষ্টা করতো, তবে নতুন করে তৈরী হতে থাকা গুজরাট দাঙ্গা বন্ধ করা কষ্টের কিছু ছিলো না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ হয়েছে ভারত। ঐ বছর  প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী ভারতীয়রা তার দেশে পাঠায়, যা বিশ্বের শীর্ষ। যে সব দেশ থেকে ভারতীয় প্রবাসীরা টাকা পাঠায় তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৭টি মুসলিম দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত (১ম), সৌদি আরব (৩য়), বাংলাদেশ (৪র্থ), কুয়েত (৫ম), কাতার (৬ষ্ঠ), ওমান (৮ম), বাহরাইন (৯ম)। তাই মুসলিমবিরোধী সহিংসতা হওয়ায় মুসলিম দেশগুলো যদি একটু বিবৃতি দিতো তবে পাতলা পায়খানা হয়ে যেতো ভারতের।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিবেচনায় অবশ্য ভারতের উপর মুসলিম রাষ্ট্রীয়গুলোর চাপ আছে। যেমন পাকিস্তান সফরে থাকা বিন সালমান ভারত না গিয়ে দেশে ফেরত যাওয়ায় একটু হলেও চাপে পড়েছে ভারত। আবার ২০১৭ সালে ভারত সফরের সময় তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান কাশ্মীর ইস্যুতে বহুপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিলে সে সময় চাপে পড়ে মোদি।  কিন্তু এগুলো সব কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের চাপ। কিন্তু মোদি মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট সৃষ্টি করে যে লোকাল পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম সংগঠন বা রাষ্ট্রগুলো কোন প্রেসার তৈরী করে না।

আপনি যদি বলেন, এক দেশ কি অন্য দেশের জনগণের (শুধু ধর্মীয় ভিত্তিতে) নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলতে পারে ?
তবে বলবো, অবশ্যই পাবে।
২০১৬ সালে নাসিরনগর কথিত হামলার সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং 'ঢাকাস্থ হাইকমিশনারকে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার সাথে দেখা করতে বলে। পরবর্তী কালে ভারতের কথা রাখতে নাসিরনগরের ঘটনায় বিচারের নাম দিয়ে ব্যাপক ধরপাকড় করায় ভারত খুশি হয় এবং ২০১৮ সালে ১৯শে জুলাই রাজ্যসভায় দাড়িয়ে সুষমা বলে বাংলাদেশ তার নির্দেশ অনুসারে কাজ করেছে বলে জানায়। (https://bbc.in/2XaEYS5, https://bit.ly/2V4Kwvu)
ভারত যদি অন্যদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য কথা বলতে পারে, তবে অন্য দেশের মুসলমানরা কেন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য কথা বলতে পারবে না ??

মোদি এ ঘটনা নিজেই বানিয়েছে এটা ধিরে ধিরে তথ্যের ভিত্তিতেই প্রমাণ হচ্ছে। যে আদিল আহমেদ দারকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে পুলওয়ামা অ্যাটাক’ এর জন্য, সেই আদিল নাকি ২ বছরে ৬ বার পুলিশ হেফাজতে ছিলো। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী আদিলকে সুইসাইড বোম্বার হিসেবে গড়ে তুলেছিলো কি না, সেটাই এখন সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। (https://bit.ly/2TSmVy8)
 তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও বলেছে, সরকার ৮ই ফেব্রুয়ারী নিজেও জানতো এ ঘটনা ঘটবে, তবুও কেন যেতে দিলো ?? (https://bit.ly/2Gx26VL)

বিশ্ব এখন আর একমুখী নেই, যে কেউ যা ইচ্ছা তাই করবে। সবাই সবার কাছে কিছু না কিছু বিষয়ে ধরা। মোদি মিথ্যা ঘটনা ঘটিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের উপর টর্চার করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা এখন কারো অজানা নয়।  সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এই নিকৃষ্ট ঘটনা নিয়ে একট্টা হওয়া এবং ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে এর বিরুদ্ধে শক্ত বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করা।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, December 2, 2018

মুক্তিযুদ্ধ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশব্যাপী ধর্মবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে শাহবাগীরা


বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী বসে বসে যে কি করে আমি বুঝি না,
নির্বাচনের আর মাত্র ১ মাস বাকি, এর মধ্যে মার্কিনব্লকের এক ব্যক্তি ঘোষণা দিলো ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী নামক প্রোগ্রাম করবে (৮ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে), আর প্রশাসন অনুমুতি দিয়ে দিলো ?
তাও এমন একটি প্রকাশনী (শ্রাবন প্রকাশণী), যারা চরম বিতর্কিত, নাস্তিকতার সাথে সম্পৃক্ত-
১) নাস্তিকতা প্রচারের জন্য রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ হওয়ার পর তা খুলে দেয়ার জন্য আন্দোলন করতে মাঠে নামে শ্রাবন প্রকাশনীর রবিন আহসান (https://bit.ly/2KIJv8q)
২) চরম ধর্মবিদ্বেষী বই বের করার জন্য বদ্বীপ প্রকাশণী বন্ধ করায় রাস্তায় নেমেছিলো রবিন আহসান, যার কারণে শ্রাবন প্রকাশনীকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বাংলা একাডেমী। (https://bbc.in/2raon26)
৩) সিআইএ’ এজেন্ট এসকে সিনহার বানানো মূর্তি অপসারণ করায় মাঠে নেমেছিলো শ্রাবন প্রকাশনীর রবিন আহসান (https://bit.ly/2zAKAei)
৪) মার্কিন এজেন্ডা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধুয়া তুলতে সর্বদা মাঠে সরব ছিলো শ্রাবন প্রকাশনীর রবিন আহসান (https://bit.ly/2KJpnmP)

এদের মুখের ভাষা মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা মুক্তিযুদ্ধ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানো, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি। এদের দৌড় সর্বোচ্চ শাহবাগ পর্যন্ত হতে পারে, কিন্তু ৬৪ জেলায় ফিল্ড পর্যায়ে গেলে এদের সাথে জনগণের সংঘর্ষ বাধা খুব স্বাভাবিক।
পোস্টারে দেখলাম, এই প্রোগ্রামের উদ্বোধন করবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী, আর সহযোগীতা করবে সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। আমার মনে হয় না, এরা মূল ঘটনা বুঝে (সিআইএপন্থী সিনহাকে প্রধানবিচারপতি বানালে আর কি বাকি থাকে ?), বরং এদের নাম কৌশলে এটে পুরো প্রোগামকে একটি আওয়ামী সরকারের সিল লাগানো হয়েছে কৌশলে।
আমার কথা হলো, শ্রাবন প্রকাশনীকে আর কয়জন চেনে, কিংবা রবীন আহসান যে সরকারবিরোধী মার্কিনপন্থীদের হয়ে কাজ করছে, এটাও বা কয়জন বোঝে ? কিন্তু কিন্তু তৌফিক ই ইলাহী আর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে তো সবাই চেনে। তাই কথিত ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী ফিল্ড পর্যায়ে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিলে তার দায় কিন্তু পড়বে সরকারের উপর, যার সূত্র ধরে তৈরী হতে পারে বড় ধরনের সরকারবিরোধী আন্দোলন।
আমার মনে হয়, নির্বাচনের আগে, নতুন কোন অরাজকতা বন্ধ করতে, শ্রাবন প্রকাশনীর কথিত ‘মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমান বইমেলা’ আপাতত স্থগিত করাই শ্রেয়, নির্বাচন শেষ হলে পরে দেখা যাবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 31, 2018

আনিস আলমগীর সরস্বতী মূর্তিকে ‘সেক্সি’ বলায় যদি ৫৭ ধারায় মামলা হয়, তবে দাঙ্গা লাগালোর উৎসাহ দাতা রাজীব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হবে না কেন?


ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে এমন অজুহাত দিয়ে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেছে পুজা উদযাপন পরিষদের আইন সম্পাদক এড. সুশান্ত বসু ।

খুব ভালো কথা। কিন্তু পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন সদস্যরা যখন মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় তার বিরুদ্ধে কে মামলা করবে ?

আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, কোতোয়ালী থানা শাখা, চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি রাজীব চৌধুরী মিল্টন “সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে চট্টলায় এলাকাভিত্তিক প্রতিরোধ টিম ও জনসচেতনতা তৈরি” নামক একটি ইভেন্টে বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ছবি দিয়ে বলে-

“কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ যেমন ধর্ম রক্ষার্থে ব্রম্মাস্ত্র ধারন করেছিলেন, তেমনি আমাদেরও প্রস্তুুতি ঠিক থাকা চাই।

সময় এসেছে প্রতিরোধ করবার, বসে বসে মার হজম করার দিন শেষ।

আমাদের সকলের ঘরে এরকম একটি খড়গ থাকা চাই।

জয় শ্রী কৃষ্ণ, জয় গোবিন্দ গোপাল।”

সূত্র: http://bit.ly/2ebuxqE

রাজীব চৌধুরী মিল্টন এর ফেসবুক আইডি-https://www.facebook.com/rcmilton

সাংবাদিক আনিস আলমগীর সরস্বতী মূর্তিকে ‘সেক্সি’ বলায় যদি ৫৭ ধারায় মামলা হয়, তবে পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য রাজীব চৌধুরী মিল্টন অস্ত্রের ছবি দিয়ে মুসমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা উৎসাহ দিলে কি মামলা হবে না ? আপনারা কি বলেন ??


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি হওয়ায় গা-জ্বালা করছে মেসবাহ কামালের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি হওয়ায় গা-জ্বালাতন হওয়া মেসবাহ কামালের ফেসবুক আইডি ঘেটে আমি ঠিক বুঝলাম না, সে কোন এলাকার অধিবাসী ?
কলকাতা, বার্মীজ উপজাতি নাকি বাংলাদেশ ?
তবে প্রথম দু’টোই বেশি মনে হলো।

আপনারও চেক করে দেখতে পারেন।
মেসবাহ কামালের ফেসবুক্ আইডি-https://www.facebook.com/mesbah.kamal.39



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, January 14, 2018

ওরা অসাম্প্রদায়িকতার বুলি যতই আওড়াক, তাদের বোরখা বিদ্বেষ মুসলমান বিদ্বেষ তথা উগ্র সাম্প্রদায়িকতারই অংশ।


ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ডসহ অনেক রাষ্ট্রে মুসলমান মহিলাদের বোরখা বা নেকাব নিষিদ্ধ। তাদের দাবি, মুসলমান মহিলারা এসব পোষাক পরে সারা শরীর ঢেকে রাখে, সেটা নাকি নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

অথচ শীতের দিনে ঐসব দেশের মহিলা-পুরুষ সবাই এমনভাবে শরীর ঢেকে রাখে যা বোরখার থেকেও আবদ্ধ। কিন্তু ঐ পোষাক তাদের কাছে হুমকি বলে মনে হয় না।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বোরকা নিষিদ্ধকারীদেশগুলো অধিকাংশ শীতপ্রধান অঞ্চলে এবং সেখানে অধিকাংশ মানুষ অমুসলিম। অর্থাৎ অমুসলিম মানুষগুলো বেশিরভাগ সময় শরীর ঢেকে রাখে শুধুমাত্র শীতের জন্য। সে হিসেবে গুটি কয়েক মুসলিম নারীর বোরখা তাদের জন্য কিছুই না। তারপরও সেটাই তাদের চুলকানির কারণ।

কিন্তু ওরা যখন বাংলাদেশে আসে তখন সাজে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তমনা। তারমানে বাস্তবতা হচ্ছে, ওরা অসাম্প্রদায়িকতার বুলি যতই আওড়াক, তাদের বোরখা বিদ্বেষ মুসলমান বিদ্বেষ তথা উগ্র সাম্প্রদায়িকতারই অংশ।



===============================
আমার ব্যাকআপ পেইজ- 
Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-------------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- 
Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686