Showing posts with label কৃষি. Show all posts
Showing posts with label কৃষি. Show all posts

Tuesday, February 12, 2019

গোল্ডেন রাইস : সত্যটা পুরোপুরি প্রকাশ করুন কৃষিমন্ত্রী


সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছে, “বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস আসছে। ভিটামিন এ যুক্ত চাল এটি, এর দ্বারা গরীব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশলের (জিএমও) মাধ্যমে রূপান্তরিত এই ধানের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভাতের ওপর নির্ভরশীল। তারা পুষ্টিকর সব্জি বা ফল-ফলাদি কিনে খেতে পারেন না। তাদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্যই একটি জিন ডেভেলপমেন্ট করে এটা করা হয়েছে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। ”

পাঠক ! প্রবাদ আছে মাছে-ভাতে বাঙ্গালী। বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী সেই ভাতের মধ্যে পরিবর্তন আনতে চান ভালো কথা, গোল্ডেন রাইস নামক নতুন চাল আনতে চান সেটাও ভালো কথা, কিন্তু সেই নতুন চাল সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ কথা কেন খুলে বলছেন না ? কেন তিনি কথার কাটছাট করছেন, এটা আমার বুঝে আসছে না। যেমন-

(১) কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, “এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশলের (জিএমও) মাধ্যমে রূপান্তরিত এই ধানের অনুমোদন দিয়েছে।”
অথচ- এরমানে এই নয়, এই ধান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া নিজ দেশে চাষ করবে। তারা থার্ডওয়ার্ল্ড কান্ট্রি বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনে এই ধান চাষের অনুমুতি দিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তারা সেই ধান থেকে পাওয়া চাল বা খাদ্যদ্রব্য নিজ দেশে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে এই ধান চাষের অনুমুতি না দেয়ার কারণ, এই জিএমও ধান চাষ করলে পরাগায়নের মাধ্যমে অন্য ধানের বীজের মধ্যেও এর প্রভাব বিস্তার হবে। ঐ দেশের ধানের বীজ স্বকীয়তা হারাবে। এ থেকে একটি কথা বোঝা যায়, বাংলাদেশেও যদি এই জিএমও ধান চাষ করা হয়, তবে বাংলাদেশের উৎপাদিত ধানের বীজের মধ্যে পরাগায়নের মাধ্যমে গোল্ডেন রাইস প্রভাব বিস্তার করবে এবং দেশী ধানের বীজ স্বকীয়তা হারাবে। গোল্ডেন রাইস ডেভেলপ করছে বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেনটা এবং এতে ফান্ডিং করছে মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটস। বহুজাতিক কর্পোরেট কোম্পানিগুলো উদ্দেশ্য থাকে সবকিছুর মধ্যে নিজের জাল বিস্তার করা। গোল্ডেন রাইস বাংলাদেশে চাষ শুরু হলে পরাগায়নের মাধ্যমে এর বীজ দেশী বীজের উপর প্রভাব বিস্তার করবে, ফলে বাংলাদেশের ধানের বীজ স্বনির্ভরতা হারাবে এবং বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে যাবে।

(৩) গোল্ডেন রাইস চাষের যে মূল কারণ বলা হচ্ছে, সেটা হলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধতা। তাদের দাবি বাংলাদেশের মানুষ ভিটামিন এ’র অভাবে সবাই গণহারে রাতকানা রোগে ভুগছে। এই চাল খেলে বাংলাদেশীদের ভিটামিন এ’র অভাব পূরণ হবে, রাতকানা রোগ দূর হবে। কিন্তু মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর বক্তব্য হচ্ছে, গোল্ডেন রাইসের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছে, গোল্ডেন রাইস দ্বারা গরীব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। অথচ গবেষকরা বলছে, গোল্ডেন রাইসের মধ্যে ভিটামিন এ’র পরিমাণ এতটাই কম যে, একজন মানুষের দৈনন্দিন ভিটামিন এ’র চাহিদা পূরণ হতে তাকে দিনে কমপক্ষে ৩ কেজি ৭৫০ গ্রাম গোল্ডেন রাইস খেতে হবে, যা কখনই সম্ভব না। অথচ দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য একটি মাত্র মিষ্টি আলুতে যে পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে তা দৈনন্দিন চাহিদার সোয়া চার গুন, এককাপ গাজরে দৈনন্দিন চাহিদার সোয়া ৩ গুন, ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় দৈনন্দিন চাহিদার পৌনে দুই গুন পর্যন্ত ভিটামিন এ থাকে, যার সামনে গোল্ডেন রাইস কিছুই না। অবাক করার মত বিষয়, বাংলাদেশে কৃষিমন্ত্রী গবীরদের জন্য সহজলভ্য গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টিআলু বা শাকসবজী বাদ দিয়ে কেন গোল্ডেন রাইসের মত আজগুবি জিনিসের বিজ্ঞাপন করছেন, তা মাথায় আসছে না ।

(৪) গোল্ডেন রাইসের বড় সমস্যা হচ্ছে, এটা বাতাসের সংস্পর্শে আসলে তার ভিটামিন এ’র ক্ষমতা দ্রুত হারাতে থাকে। গবেষণা বলছে, গোল্ডেন রাইস ৩ সপ্তাহ রাখলে ৪০% ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় এবং আড়াই মাস রাখলে ৮৭% নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে গোল্ডেন রাইসের পুষ্টি পেতে হলে তা ক্ষেত থেকে আহরনের সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে।

(৫) গোল্ডেন রাইস কি নিরাপদ ?
গবেষকরা বলছে, বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে যেখানে ভাত প্রধান খাদ্য, সেখানে গোল্ডেন রাইস নিরাপদ কিংবা অনিরাপদ এটার জন্য এখনও প্রয়োজনীয় পরিমাণে গবেষণা শেষ হয় নাই। তার আগেই তা বাংলাদেশ বা ফিলিপাইনের বাজারে ছাড়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে, যা অনেকটা ঐ দেশের জনগণকে গিনিপিগ বানানোর মতই। একইসাথে অপরিকল্পিত ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ শরীরের উপর সব সময় ভালো প্রভাব ফেলে না। বিশেষ করে কিছু কিছু ক্যারোটিনয়েড শরীরের জন্য ক্ষতিকারণ ও অনেক সময় বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

(৬) গোল্ডেন রাইস পরীক্ষামূলক চাষের জন্য বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনকে বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। কিন্তু ফিলিপাইনের কৃষকদের আন্দোলনের ফলে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ সরকার তার অনুমুতি দিয়ে দিলো।

(৭) ২০১৩ সালে বিভিন্ন বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি আমেরিকার পারডু ইউনিভার্সিটি থেকে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে বাংলাদেশের কৃষিতে তাদের নীতি গ্রহণ করার জন্য পুরষ্কার দেয়া হয়েছিলো। এই পদক দেয়ার কিছুদিন পরই বাংলাদেশে জিএমও বিটি বেগুনের অনুমোদন দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এই আব্দুর রাজ্জাকই বলেছিলো, “সুযোগ পেলেই ‘সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দেয়া হবে।

গোল্ডেন রাইস চাষের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ধান সম্পদকে বিদেশী কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করার টার্গেট নিয়েছে সরকার, অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে তাদেরকে দিয়ে পন্য পরীক্ষা করা হবে। আমার মনে হয়, অন্য কোন সভ্য দেশের কৃষিমন্ত্রী এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষণা দেয়ার পর পাবলিক প্রতিবাদের মুখে নিশ্চিত তার এবং তার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হতো। যদিও বাংলাদেশের জনগণ ও বিরোধীদলগুলো এ ক্ষেত্রে নিরব।

তথ্যসূত্র:
১) https://bit.ly/2WJqPLE
২) https://bit.ly/2S9Miyw
৩) https://bit.ly/2t40Kcx
৪) https://bit.ly/2RGYFx7
৫) https://bit.ly/2WHYQMf
৬) http://bit.ly/2p8Gnbu
৭) http://bit.ly/2Fv2xQt
৮) http://bit.ly/2p6P1s1


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, May 22, 2018

ইথোফেন দিয়ে পাকানো আমে ক্ষতিকারক নেই

আম নিয়ে আগের পোস্টটি (https://bit.ly/2KDQQF9) দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আবারও চিন্তা করতে বসলাম,
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে দেশেও বেশ কয়েক যায়গায় ফোন দিয়েছি।
কারণ একটা বিষয় বিস্তারিত জানা ও সমাধানে না আসা পর্যন্ত আমার আবার ভালো লাগে না।


কয়েকজন আম ব্যবসায়ী ও কৃষকের সাথে আলাপ করলাম, আম পাড়ায় সরকারের বেধে দেয়া সময় নিয়ে মতভেদ আছে। একদল কৃষক সরকারের বেধে দেয়া সময়ে খুশি, অন্যদল বলছে সরকারের বেধে দেয়া সময়ের আগেই ফল পেকে যায়। সাতক্ষীরায় আম আগে পাকে, চাপাইনবাবগঞ্জে আম পরে পাকে। একটি ফল পরিপক্ক না হওয়ার আগে গাছ থেকে পারা ঠিক নয়, কিন্তু অনেক এলাকার আম আগে পেকে গেলে কৃষকরা কি করবে সেটা নিয়েও সরকারের চিন্তা করা উচিত। এজন্য শুধু আমের প্রকারভেদে সময় নয়, এলাকা ভিত্তিক আম পাকা’র সময় জানার দরকার আছে। এবং সে অনুসারেই আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা জরুরী। কিছু আম যদি আগে পেকেও যায়, তবে সেটা লোকাল মার্কেটে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সরকার যদি ফল ধ্বংসে মেতে উঠে, তবে সেই আগে পেকে যাওয়া আম তো লোকাল মার্কেটেও উঠতে পারবে না। এসব বিষয় জানার জন্য, ফিল্ডে কৃষকের অবস্থাটা জানার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমাদের দেশে কৃষক আর সরকারের মধ্যে এখন বিস্তর তফাৎ। সরকার চলে বাইরের বুদ্ধি বা মিডিয়ার বুদ্ধিতে। কিন্তু কৃষকের কি প্রয়োজন বা কৃষক কি চায় সেটা সম্পর্কে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। জেলা-থানা-ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে কৃষি অফিসারদের যদি উন্নত ট্রেনিং দেয়া যায়, এবং সেটা যদি কৃষক পর্যন্ত পৌছে দেয়া যায়, তবে দেশী ফলন আরো উন্নত এবং কৃষকদের চিন্তামুক্ত করা সম্ভব।
আরেকটি বিষয়,
সব আম যখন এক সাথে পাড়া হবে, তখন আম নষ্ট হওয়া বা মার্কেটে দাম পরে যাওয়ার ভয় থাকে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা থাকতে হবে। যদি সরকারীভাবে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা দেয়া হয়, তখন অনেক আম নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং জনগণ আরো বহুদিন দেশী আমের স্বাদ পাবে।
আমার আগের পোস্টে আমি হরমোন ইথোফেন দিয়ে পাকানোর কথা বলেছি। আমার মূল কথা ছিলো- “ইথোফেন দিয়ে পাকানো আমে ক্ষতিকারক নেই, ফলে যাত্রাবাড়ি-মিরপুরে ২২০০ মন আম ধ্বংস করা মোটেও ঠিক হয়নি।” তবে আমি নিজেও চাই পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়েই ফল পাকানো হোক। কিন্তু ইথোফেনে ক্ষতি আছে, এমন মিথ্যা কথা বলে ১০-২০ জন ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে দেয়া বা ৬ জনকে জেল দেয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।্ঐ সময় RAB ্এর কাছে ইথোফেন মাপার কোন যন্ত্র ছিলো না, এমনকি RAB নিজেও অবগত নয় ইথোফেন ভালো না মন্দ । শুধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে ব্যস এতটুকু মুখে শুনেই বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয় কোটি টাকার দেশের সম্পদ (https://bit.ly/2IxuR6c)।
আমার কথা হলো, সরকারের পক্ষ থেকেই ইথোফেন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে, কিন্তু কেউ ব্যবহার করে ফেললে (যেহেতু ক্ষতি নেই) সেটা ধ্বংস করার মোটেও ঠিক হবে না। এতে দেশের সম্পদই ধ্বংস হবে।

আসলে মূল সমস্যা হলো ভারতীয় আম নিয়ে। দেশী আমের জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দিছে, কিন্তু মার্কেটে তো ভারতীয় আম ছেয়ে গেছে। তাহলে আমার গাছের আম কেমিকেল/হরমোন দিয়ে আনতে সমস্যা কোথায় ? তখনই অপরিপক্ক আমে কেমিকেল দিয়ে পাকানো হচ্ছে। কিন্তু মার্কেটে যদি ভারতীয় আম না-ই থাকতো, তবে নির্দ্দিষ্ট তারিখের আগে আমই থাকতো না, ফলে আমের মার্কেট কেউ দখল করে ফেলছে কৃষক বা ব্যবসায়ীর সেই টেনসনও থাকতো না। কৃষকও চাইতো তার আম আরো বড় হোক। ফলে এত অরজাকতা আর টেনশনও থাকতো।
আমার মনে হয়, জনগণকেই এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে ভারতীয় আম কি না? যদি ভারতীয় আম হয় তবে সেটা বর্জন করতে হবে। আম খেলে দেশী আম খেতে হবে। কয়েকবছর যদি এভাবে ভারতীয় আমকে বাঁশ দেয়া যায়, তবে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় আম তুলবে না। ফলে দেশী আমের স্বাদেই দেশের মানুষ থাকতে পারবে, দেশের সম্পদ দেশেই থাকবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, May 21, 2018

ফলের রাজা আম ধ্বংস করার বহুমুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগন-কৃষক-ব্যবসায়ী একত্র হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।


খবরে এসেছে,
যাত্রাবাড়িতে ইথোফেন যুক্ত আম, ১ হাজার মন আম ধ্বংস (https://bit.ly/2k97KQS
)
মিরপুরে ইথোফেনযুক্ত ১২শ’ মন আম ধ্বংস (https://bit.ly/2IxQijC)

বাপরে বাপ ! কত বিষাক্ত রাসায়নিক ইথোফেন, আর সেটাই নাকি ফলের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়াচ্ছে আমাদের । মার শালারে। শালার সব আম গুড়িয়ে দে, ব্যাটা যেন আর কখন ফলের বিজনেস না করতে পারে। 

আমার ছোট বেলার একটা কবিতা মনে পড়ে গেলো,

“এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
.............................................
নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।”

আম ইথোফেন দিয়ে পাকানো হয়েছে, ব্যস এতটুকু শুনেই ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করে ফেলেছে RAB, জেলে পুড়েছে আধা ডজনকে । কিন্তু ইথোফেন জিনিসটা কি, কিংবা সেটা কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কি না, সেটা জানার দরকার মনে করেনি কেউ।

ইথোফেন বা ২-কোরোইথাইল ফসফনিক এসিড দিয়ে ফল পাকানো কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যবিরোধী কোন পদ্ধতি নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি কারণ কোন ফল পাকানোর জন্য ইথোফেন দেওয়ার পর তা দ্রুত ইথিলিন গ্যাসে পরিণত হয়, যা ন্যাচারাল সিস্টেমেই ফলকে পাকায়, ফলে ক্ষতির কোন আশঙ্কা থাকে না। এ কারণে বিশ্বের ৬০টি দেশে স্বাস্থ্য সম্মত উপায় হিসেবে ফল পাকানোর জন্য ইথোফেনকে ব্যবহার করা হয়।

পড়তে পারেন:
১) https://bit.ly/2IxuR6c



২) https://bit.ly/2rYckVE



৩) https://bit.ly/2wXIu9d




আমার মনে পড়ে গেলো, আজ থেকে ৪ বছর আগের কথা। তখন ‘আমের ভেতর ফরমালিন আছে’ টাইপের খবর দিয়ে মিডিয়া ছেয়ে গেলো। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচুর পরিমাণে আমসহ অন্যান্য ফল নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে খবর আসে যেই যন্ত্র দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়েছে সেটার মধ্যেই গলদ ছিলো। কিন্তু ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে ৬০ হাজার টন ফল ও মাছ । (তথ্যসূত্র: দৈনিক কালেরকণ্ঠ, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪,https://bit.ly/2GyFEHB
)

শুধু আম নয়, কলা-আনারসসহ অনেক ফলই পাকানোর জন্য বহু আগে থেকে বাংলাদেশে ইথোফেন ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু সেগুলো তো RAB নষ্ট করেনি, কিংবা মিডিয়াও সেটা নিয়ে খবর করেনি। কিন্তু আম আসার আগেই কেন প্রশাসন এভাবে দেশী ফল নষ্ট করে ? আর মিডিয়া সেটা নিয়ে উস্কানি দেয় ?

ইথোফেন ব্যবহার করে আম পাকা জুজু দেখিয়ে আসলে সরকার-প্রশাসন কৃষকদের গাছ থেকে আম পাড়তে বাধা দেয়। এবং গত কয়েকবছর যাবত সরকারের পক্ষ থেকে আম পাড়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এ বছরের জন্য সময় হলো,
২০ মে গুটি জাত, ১ জুন হিমসাগর, ক্ষীরসাপাতি ও লক্ষ্মণভোগ, ৬ জুন ল্যাংড়া, ১৬ জুন আম্রপালি ও ফজলি এবং ১ জুলাই আশ্বিনা এর আগে কোন কোন গাছের আম নামানো যাবে না। আম পাড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে চেকপোস্ট বসানো হবে। সেখানে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। (https://bit.ly/2IDCSCF
)

অথচ কৃষকদের বক্তব্য হচ্ছে, আম কখন সময় নিদ্দিষ্ট করে পাকে না। কোন কোন আম আগেই পেকে যায়। কিন্তু সরকার কেমিকেলের নাম দিয়ে আম নষ্ট করায় কোন ব্যাপারী কৃষকের কাছে যায় না, ফলে গাছের মধ্যেই পেকে নষ্ট হচ্ছে হাজার কোটি টাকার আম। শুধু তাই নয়, একবারে সব আম নামায় মার্কেটে আমের রেট অনেক কমে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকরা। আমে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কি না, এটার সমাধান কখন আম পাড়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হতে পারে না, বরং এটা মূর্খের সিস্টেম।

গত কয়েকবছর যাবত সরকারের বানানো এ সিস্টেম সম্পর্কে কৃষকরা অনেক প্রতিবাদ করেছে। এমনকি এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, আম পাড়ার সময় বেঁধে দেয়া সঠিক কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়। (https://bit.ly/2LivvSD
)

অর্থাৎ দেশী আমকে আটকে রাখা হচ্ছে কৌশলে । কিন্তু এদিকে ভারত থেকে আম এসে দখল করে নিচ্ছে বাংলাদেশের মার্কেট। এ সম্পর্কে গত কয়েকদিনে খবর এসেছে-

১) বাজারে ভারতীয় আম (https://bit.ly/2LbIJRn
)
২) মৌসুমের আগেই ভারতীয় আম (https://bit.ly/2rWY93L)
৩) ভারতীয় আম দিয়ে মধুমাস শুরু (https://bit.ly/2wZngYR)
৪) আমের রাজধানী রাজশাহী ছেয়ে গেছে ভারতীয় আম (https://bit.ly/2ITkpp8)

অর্থাৎ দেশী আম ধ্বংস করে, ভারতীয় আমকে প্রবেশ করাতে হবে। এ পলিসি শুধু আমে নয়, কোরবানীর গরু নিয়েও হয়। দেশী গরুতে অ্যানথ্র্যাক্স আছে, দেশী গরু মোটাতাজার নামে বিষ দেয়া হয়, এমন নানা অপপ্রচার করে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢুকানো হয়।

আচ্ছা, দেশী আমে সমস্যা আছে দেখে সরকার হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করছে। কিন্তু যে ভারতীয় আমে বাংলাদেশের মার্কেট ভরে যাচ্ছে, সেই ভারতীয় আম কি সরকার একবার পরীক্ষা করেছে ? নাকি ভারতের আম হলে তার সাত খুন মাফ ? তা পরীক্ষা করাও নাজায়েজ ।

উল্লেখ্য,
-ক্ষতিকারক থাকায় ২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতীয় আম নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সেই আম তারা বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। (https://bit.ly/2Leptm6
)
-২০১৬ সালে আরব আমিরাতও ভারতীয় আমে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি টের পেয়ে তা প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে (https://bit.ly/2rWZcRf)

বাংলাদেশের আম নিয়ে ষড়যন্ত্র এ বছরই প্রথম নয়। গত বেশ কয়েক যাবত ফলের রাজা আমকে ধ্বংস করতে দেশী-বিদেশী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক কানেকটেড কিছু মিডিয়া (ডেইলি স্টার, প্রথম আলো) সেই ২০১৩-১৪ সাল থেকে সরকারকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে এ ধরনের আজগুবি সিস্টেম জারি করার জন্য।

আসলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতন নয়, হুজুগে। মিডিয়া যেদিকে যেতে বলে তারা সেদিকেই যায়, আর সরকারও সেই সুযোগে দুর্নীতি করার সুযোগ পায়।

তাই ফলের রাজা আম ধ্বংস করার বহুমুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগন-কৃষক-ব্যবসায়ী একত্র হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, April 16, 2018

দেশজুড়ে ধানে ব্যাপক মড়ক, সবাই ব্যস্ত পহেলা বৈশাখ নিয়ে


গত এক সপ্তাহের খবর :

১) সিলেটে ধানে ব্লাস্ট রোগ, ব্যাপক ফসলহানীর আশঙ্কা :https://bit.ly/2qyPsw2

২) জামালপুরে ধানে ব্লাস্ট রোগ, ধান বিক্রি হচ্ছে খড় হিসেবে :https://bit.ly/2EOJ4EX

৩) গোপালগঞ্জে ব্লাস্ট রোগ, ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষক :https://bit.ly/2qzNThk

৪) খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইলে ব্লাস্ট রোগ:https://bit.ly/2HzNMcN

৫) লালমনিরহাটে ধানে ব্লাস্ট মহামারি :https://bit.ly/2GZwUzk

৬) ময়মনসিংহে ধানে ব্লাস্ট রোগ, দিশেহারা কৃষক :https://bit.ly/2qxDD8s

৭) সুনামগঞ্জে ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রান্তে আতংকিত কৃষক :https://bit.ly/2JMtBJn

৮) সাতক্ষীরায় ব্লাস্ট রোগে দিশেহারা কৃষক :https://bit.ly/2HmIxzA

৯) যশোরে ব্লাস্টে ধানে বিপর্যয় : https://bit.ly/2qA0Wi5

১০) চাঁদপুরে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগে :https://bit.ly/2HDc4mr

১১) মৌলভীবাজার জেলায় ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ :https://bit.ly/2H1ufF0

১২) ঝিনাইদহে ব্লাস্ট রোগে সর্বস্বান্ত বোরোচাষি :https://bit.ly/2H3Y2wT

১৩) বগুড়ায় ব্লাস্ট রোগ : https://bit.ly/2ITr1jx

ধানের ব্লাস্ট রোগ খুবই ভয়ঙ্কর এবং দ্রুত ছড়িয়ে পরা এক রোগ। এতে আক্রান্ত ফসলের ৮০-১০০% পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিভাবে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়লো এই ব্লাস্ট রোগ ?

সুনামগঞ্জে হাওর এলাকার কৃষকরা জানিয়েছে, গত বছর বন্যায় হাওরের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে তারা বীজ সংরক্ষণ করতে পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ফ্রি বীজ লাগানোর পরই শুরু হয় ব্লাস্ট রোগ। (https://bit.ly/2H1yLUe)

গত দুই-তিন বছর ধরে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে এই ব্লাস্ট রোগ। কিন্তু এ বছর তা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে ।

এই ব্লাস্ট রোগ কোথা থেকে এলো ? কিভাবে এলো ?

এই রোগ প্রথম দেখা যায় ব্রাজিলে ১৯৮৫ সালে। বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে, একটি বীজ অামদানীকারক কোম্পানির মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আনা গম বীজের মাধ্যমে এ রোগটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। (https://bit.ly/2vn6h1w)

কি কারণে বাংলাদেশের ধানের মড়ক ঘটানো হতে পারে ?

আমার আশঙ্কা : ১৯৮৫ সালে ব্রাজিলে এই ব্লাস্ট রোগের কারণে ব্যাপক ফসলহানী ঘটতে থাকে। কৃষকরা হয়ে পড়েছে দিশেহারা। কৃষকের এই হতাশাকে পূজি করে ১৯৯৫-৯৬ এর দিকে দেশটিতে জিএমও প্রবেশ করায় বহুজাতিক কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। বর্তমানে ব্রাজিল পৃথিবীর বৃহত্তম জিএমও উৎপাদক।

একইভাবে এবার বাংলাদেশের কৃষিখাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই রোগ ছড়িয়ে দেয়া হতে পারে। এবং তা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় করা হতে পারে। এই রোগের ব্যাপক বিস্তারে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়বে এবং সেই সুযোগে জিএমও বা গোল্ডেন রাইস অফার করা হবে। বলা হবে “গোল্ডেন রাইসে কোন রোগ হয় না।” আর এই সুযোগে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টর চলে যাবে বহুজাতিক কর্পোরেটদের দখলে। জিএমও বীজ বিক্রি করে বহুজাতিক কর্পোরেটরা ব্যবসা করবে, আর সেই চাল খেয়ে জনগণের মধ্যে ক্যান্সার বাড়বে, তখন ক্যান্সার চিকিৎসার মাধ্যমেও তারা টাকা কামাতে পারবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 22, 2018

কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে


কর্পোরেটোক্রেসির সিস্টেমটাই এরকম-
১) প্রথমে তারা নিজেরাই কোন একটা রোগ তৈরী করবে,
২) এরপর বলবে, অমুক ওষুধ ১০ টাকার খেলে রোগ সারে,
৩) এরপর ১০ টাকার ওষুধ আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকবেন,
৪) কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর দেখবেন রোগ আরো বেড়ে গেছে, তখন বলবে ২০ টাকার ওষুধ ব্যবহারের জন্য, এরপর বলবে ৫০ টাকার ওষুধ, এরপর ১০০০ টাকার ওষুধ, এরপর ১ লক্ষ টাকার চিকিৎসা।
৫) একটা সময় দেখা যাবে, ঐ অসুখেই আপনার জীবন অবসান হয়ে গেছে। মাঝখান দিয়ে কর্পোরেট ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আপনি জীবনের সব সম্পদ চুষে নিয়ে গেছে।

যেমন ধরুন-
-তারাই প্রথমে সয়াবিন তেল আনলো। সয়াবিন তেল আসার আগে এত বেশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিলো না। সেই ওসুখ উপশমের নামে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আনলো। প্রথমে আট আনার ওষধ, এরপর ২টাকা, এরপর ১০ টাকা, এরপর ২০টাকা। এরপর তারাই বললো আলসার হয়ে গেছে, এরপর হয়ত হয়ে যাবে ক্যান্সার।
-নাকে একটু সর্দি হলেই ডাক্তাররা দিয়ে দেয় এন্টাজল/রাইজনল টাইপের ওষুধ। দুইদিন ব্যবহারের পর রোগি সে অষুধে অভ্যস্ত হয়ে পরে, নিয়মিত ব্যবহার না করলে নাক বন্ধ থাকে, নিঃশ্বাস নিতে পারে না। ডাক্তারের কাছে গেলে বলে আপনার পলিপাস হয়ে গেছে, ৩শ’ টাকার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এরপর গেলে বলে নাক কাটতে হবে।
-আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষের মাথায় খুসকি ছিলো না। শ্যাম্পু কোম্পানিগুলো আসার পর খুসকি সারা তো দূরে থাক, মানুষের মাথায় খুসকির পরিমাণ বেড়ে গেছে। মাথার চুল মসৃণ করার নামে, খুসকি দূরের নামে, পরিষ্কার করার নামে, উকুন দূর করার নামে, চুল ভাঙ্গা বন্ধের নামে, চুল পড়া বন্ধের নামে, চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধির নামে মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি ডাভ, সানসিল্ক, হেড এন্ড শোল্ডার, ক্লিনিক প্ল্যাস, প্যান্টিন, ট্রিসেমি, ল’অরিয়াল বহু টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে।
-আমরা আজকে জিএমও ফুডের বিরোধীতা করছি। কিন্তু কেন আজকে জিএমও ফুড আনার জন্য অজুহাত তৈরী হয়েছে ? বলা হচ্ছে,“জিএমও ফুডের জন্য কীট নাশক লাগবে না, ফসলের ভেতরেই কীট নাশক ক্ষমতা থাকবে।” অথচ চিন্তা করে দেখুন, এতদিন কৃষককে কীট নাশকে অভ্যস্ত করেছে কে? তারাই করেছে, প্রতিদিন নিত্য নতুন কীট নাশক দিয়ে পোকা দমন করেছে, আর কৃষকের পকেট শূণ্য করেছে। এরপর তারাই মিডিয়ায় প্রচার করেছে- কীটনাশক ব্যবহারে ক্যান্সার হয়। এরপর কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে দেয়া হচ্ছে জিএমও। পাঠক একটু চিন্তা করে দেখুন- এতদিন কীটনাশক মিশ্রিত সবজী পানিতে ধুলে বা উচ্চআচে রান্না করলে কীটনাশকের ক্ষতি নষ্ট হয়ে যেতো, কিন্তু জিএমও’র নামে ফসলের জিনের ভেতর যখন কীটনাশক ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটা সরাসরি এফেক্ট কি মানব শরীরের উপর পড়বে না ? কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

আসলে কর্পোরেট সিস্টেমটা প্রায় সব যায়গায় একইরকম।
-তারাই প্রথমে কোনভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে।
-এরপর সেটাকে সাময়িক উপশম করে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। হয়ত আপনাকে এমন একটা ওষুধ দেয়া হলো, যার ভেতর জিনগত এমন চেঞ্জ করে দেয়া আছে- সে অষুধ খেলে আপনার সমস্যা তাৎক্ষনিক উপশম হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি অনেক সমস্যার তৈরী হবে।
-এরপর চিকিৎসার নামে দীর্ঘমেয়াদী অর্থ শোষন করবে তারা। আর আপনি তাদের বিশ্বাস করে বার বার তাদের কাছে প্রতারিত হবেন।

এখন উচিত-
প্রথমত, শতভাগ অর্গানিক খাদ্যের দিকে যাওয়া, যেখানে থাকবে না সার, কিটনাশক বা জিএমও’র ব্যবহার। হয়ত প্রথমে কিছু সমস্যা হবে, কিন্তু সমন্বিত উদ্যোগ নিলে অর্গানিক খাদ্যে ফিরে যাওয়া সম্ভব। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএমও’র বিপরীতে গড়ে উঠেছে অর্গানিক খাদ্যের বিরাট মার্কেট।
দ্বিতীয়ত, ওষুধের ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে হবে। ভেষজ ও প্রাকৃতিক সিস্টেমের দিকে যেতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে সমস্ত অসুখের সমাধান আছে। তবে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি করলেও সেখানে নিজস্ব গবেষণা সিস্টেম রাখতে হবে। নিজস্ব সিস্টেমে সমধান খুজতে হবে। কর্পোরেটদের গবেষণার উপর নির্ভর করলে হবে না। তাদের কিছু ব্যবহার করলেও সেখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে নাকি তা যাচাই করে নিতে হবে। তবে এগুলো সব সম্ভব হবে নিজস্ব স্বতন্ত্রবোধ থেকে। অসাম্প্রদায়িক তথা স্বতন্ত্রবোধহীন মুসলমান জাতির সেটা আছে তো ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে তা দেখে নিন


জিএমও বা জেনেটিকালি মোডিফাইডি ফুড নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে বা খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে আসছে সেটা নিয়ে এখনও আলোচনা করি নাই, এ পোস্ট এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। 

১) বেগুন : প্রথমে বাংলাদেশে জিএমও ফুড যেটা প্রবেশ করেছে সেটা হলো বিটি বেগুন। ২০১৩ সালে সেটা প্রবেশ করে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, জিএমও ফুড মনে হয় দেখতে ব্যতিক্রম কিছু। না ! জিএমও ফুডে ফসলের বীজের জিনের ভেতর পরিবর্তণ করা হয়। আপনি যখন সবজী কিনতে যান, তখন নিশ্চয়ই সবজীওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন না, “এটা জিএমও কি না ?” আর যদি করেনও তবে সেটা সবজীওয়ালা কেন, খোদ কৃষক পর্যন্ত জানে কিনা তাতে সন্দেহ। জিএমও ফসল অন্য ফসলের থেকে সুন্দর ও সতেজ হয়। সুতরং সে ফসলটাই বরং আপনি সবজীর বা খাবারের দোকানে গিয়ে আগে ক্রয় করেন।

২) তেলাপিয়া মাছ: বাংলাদেশে কয়েক বছর যাবত জেনেটিকাল মোটিফাইড তেলাপিয়া চাষ হচ্ছে । এগুলো দেখতে বড় । (http://bit.ly/2GNe8I6) কয়েকটি সূত্র মতে, এগুলো সম্ভবত বাজারে মনোসেক্স তেলাপিয়া নামে পরিচিত।

৩) সয়াবিন তেল: বাংলাদেশের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগ আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। আর ব্রাজিলের সয়াবিনের পুরোটাই জিমএমও।

৪) সাদা চিনি : এগুলো আখ নয়, বীট থেকে উৎপাদিত। বীটগুলো জিএমও, আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। তবে ব্রাজিল থেকে আমদানি হোক বা ভারত থেকে আনা হোক, এটা সাদা বা পরিষ্কার করতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা ক্যান্সারের জন্যা দায়ী। বিশ্বব্যাপী সাদা চিনিকে ক্যান্সার তৈরীর অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা হয়।

৫) গম ও ভূট্টা : যদি আমদানিকৃত হয়, তবে জিএমও হওয়ার সম্ভবতা ১০০%।

৬) আলু : জিএমও আলু এখনও বাজারে আসে না। তবে খুব শিঘ্রই তা বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। এ আলুর নাম থ্রি আর জিন আলু বা লেট ব্রাইট রেজিসট্যান্টন পটেটো। খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের আলুর মধ্যে ঢুকে যাবে জিএমও আলু। (http://bit.ly/2GJngx7)

৭) ক্যানোলার তেল : এটা এক ধরনের সরিষার তেল। বাংলাদেশের সরিষার তেল হয় কালচে, কিন্তু ক্যানোলার তেল হয় স্বচ্ছ্ব। ক্যানোলার তেল জিএমও, চাষ হয় প্রধানত কানাডায়। এটি বাংলাদেশে চাষ করার জন্য কানাডার একটি প্রতিনিধি দল বেশ কয়েক বছর যাবত চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সালে তারা কানাডা হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশে সেমিনারের আযোজন করে। (http://bit.ly/2psh5pb) কিন্তু বাংলাদেশ আবহাওয়ায় এটা চাষ করা যায় না। তবে তারা এখন ঐ তেলটি বাংলাদেশে আমদানি করতে চাইছে। এজন্য ট্যাক্স কমানোর জন্য আবেদনও করেছে। (http://bit.ly/2FXZxrW)

৮) গোল্ডেন রাইস বা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ চাল : এ চাল ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে আসবে। সম্ভবত প্রাণ কোম্পানির মাধ্যমে এ চালটি প্রথমে মার্কেটে আসতে পারে। গত ৬ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে কৃষিমন্ত্রী গোল্ডেন রাইস আসার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। (http://bit.ly/2FOb1lU)

জিএমও থেকে বাচতে কি করবেন ?
প্রথমত, কৃষকদেরকে জিএমও’র বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। তাদের কিছুতেই জিএমও বীজ নিতে দেয়া যাবে না। হাইতিতে কৃষকরা ৬০ হাজার বস্তা জিএমও বীজ জ্বালিয়ে দিয়ে জিএমও’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। (http://bit.ly/2FUOq2R) বাংলাদেশে কৃষকদেরও এভাবে প্রতিবাদী হতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শুধু কৃষক নয়, সকল জনগণ এর বিরুদ্ধে গণহারে প্রতিবাদ করুন। সেমিনার করুন, লেখালেখি করুন। বলুন আমরা জিএমও খাবো না। আমরা ক্যান্সারের বাসা হবো না। আমার শরীর নিয়ে ক্যান্সার ব্যবসা বন্ধ করো।

তৃতীয়ত, দেশীবীজগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। সেগুলো যেন জিএমও’র সাথে মিক্স না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চর্তুথত, বিদেশী খাবার এড়িয়ে চলবেন। দেশী ফসল, ফলের উপর জোর দেবেন।

পঞ্চমত, কর্পোরেটদের জিএমও প্রযুক্তি ছাড়া দুনিয়াতে কি আর কোন সমাধান নেই ? অবশ্যই আছে। জৈব/অর্গানিক সিস্টেমে কিভাবে কৃষি ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যার (কীট/আগাছা/সার) সমাধান করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে, গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখবেন, তারাই এতদিন কৃষককে কীটনাশকে অভ্যস্ত করেছে, এখন তারাই কীটনাশক থেকে বাচতে জিএমও অফার করছে। তাদের খপ্পর থেকে বাচতে তাদের সবকিছু বর্জন করা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য পুনরায় আদি পদ্ধতি বা অর্গানিক ফুডের দিকে সবাইকে যেতে হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, March 20, 2018

তবে কি বাংলাদেশে জিএমও ফুড আনা হচ্ছে কেমোথেরাপি ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ?


ক্যান্সার কি আদৌ কোন অসুখ ? নাকি ঔষধ কোম্পানিগুলোর ব্যবসার ফাঁদ ?--এ প্রশ্নের উত্তর দিতে , বই লিখেছিলো জি. এডওয়ার্ড গ্রিফিন । তার বইয়ের নাম ‘ওয়ার্ল্ড উইদাউট ক্যান্সার’। বইটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া সত্ত্বেও বইটি অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ বইটিতে তিনি ক্যান্সার নিয়ে ব্যবসা না করে বরং বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে বলেছেন। বইয়ে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্যান্সার নিয়ে ব্যবসা শুরু হয় ব্যাপক আকারে। আর একে পুঁজি করে পশ্চিমা ওষুধ কম্পানিগুলো প্রচুর পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সুতরাং একে একটি ব্যবসার পুঁজিও বলা যায়। (http://bit.ly/2HOfMbu)

উপরের তথ্য থেকে এটা অনুধাবনযোগ্য- ক্যান্সার নামক রোগকে পূজি করে বিরাট ব্যবসা করে নিচ্ছে ঔষধ কোম্পানিগুলো। ক্যান্সারের চিকিৎসাদানের নামে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের নামে তুলে নেয়া হচ্ছে মোটা অর্থ। উল্লেখ্য বর্তমান বিশ্বে ঔষধ কোম্পানিগুলোর ৮০% নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার পরিবার এবং ক্যান্সার চিকিৎসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে।
(http://bit.ly/2HNHoO2,
http://bit.ly/2fDbSYd,
http://bit.ly/1K0llBC,
http://bit.ly/2FO9KeC)

গত কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে, “আমাদেরকে জিএমও ফসলের দিকেই যেতে হবে।”
(http://bit.ly/2u3NlUV)

মতিয়া চৌধুরীর কথার প্রেক্ষিতে একটা কথা বলতে হয়, বাংলাদেশকে কেন জিএমও’র দিকেই যেতে হবে ? শত-সহস্র বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষ জিএমও ফসল খায় নাই বলে কি তারা না খেয়ে মারা গেছে ? তাহলে হঠাৎ করে কেন জিএমও নাম আসতেছে ?

বিজ্ঞানীরা জিএমও ফসলের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক বেরে করেছেন বেশ কয়েক বছর আগেই।
(এটা পড়তে পারেন-http://bit.ly/2prwuGe)।

জিএমও যে ক্যান্সারের জন্য দায়ী, এটা নিয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. এ ফয়েজ এম জামাল উদ্দিন একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন। আর্টিকেলের শিরোনাম ছিলো:
“জিএমও শস্যকে 'না' বলুন : জিএম খাদ্য খেলে ব্রেস্ট, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়”
আর্টিকেলটিতে বলা হয়- “গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, জিএম ফসলের অন্য জীব থেকে ঢোকানো জেনেটিক ইনফরমেশন, মানুষের স্টোমাক ও ইনস্টেস্টাইনের মাধমে হজম হতে পারে না বা কখনো কখনো রক্তের মাধ্যমে সাধারণ ডিএনএ সাথে মিশে যেতে পারে। আচরণের পরিবর্তন আনে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ বেড়ে যায়। এছাড়া সেক্স ক্রোমোজোমে প্রভাব ফেলতে পারে, এতে সেক্স ইনফার্টিলিটি বা বন্ধাত্মতা দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে অতি সমপ্রতি ক্যান্সার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এর পেছনে পরিবেশ দূষণ, অপরিকল্পিতভাবে রাসায়নিক সার, রোগ ও কীটনাশকের অপব্যবহার এবং পানি সরাসরি দায়ী। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে জিএম খাবার।
প্রশ্ন আসতে পাবে ক্যান্সার কেন হয়? আসলে কোনো কারণে যদি দেহের ডিএনএ অর্থাৎ নিউক্লিওটাইড সিকুয়েন্সের কোনো এক বা একাধিক নিউক্লিওটাইডের মিউটেশনে ঘটে গেলে, ওই ডিএনএ খুব দ্রুত অস্বাভাবিক ক্যান্সার সেল তৈরি করতে থাকে। মানুষের দেহের ইমিওন সিস্টেমে ক্যান্সার সেলগুলোকে শনাক্ত করে এবং কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু যদি দেহের ইমিওন সিস্টেম দুর্বল হয় বা ক্যান্সার সেল সংখ্যায় বেশি হলে তখন খুব দ্রুত ক্যান্সার বাড়তে থাকে। আর এ ধরনের মিউটেশন সাধারণত বিষাক্ত টক্সিক রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন প্রকার রেডিয়েশন (এক্সরে, অতিবেগুনী-রে) এবং বায়োলজিক্যাল কারণে। আর এ বায়োলজিক্যাল কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে জিএমও ।” (http://bit.ly/2FMOVAa)

যারা জিএমও’র পক্ষে বলে, তাদের প্র্রধানযুক্তি হলো, “আমেরিকার মানুষ জিএমও খায়। তারা কি মরে গেছে ?”

উত্তর হবে : অবশ্যই তাদের ক্ষতি হয়েছে । খবর নিয়ে দেখুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২০১২ সালে দেশটিতে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ লক্ষ লোক এবং মারা গেছে ৬ লক্ষ। ২০১০ সালে তাদের সরকারিভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যয় ছিলো ১২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ এ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার হবে
(http://bit.ly/2iTYNrX)।

আর্জেন্টিনায় যেসব এলাকায় জিএমও’র ফসলের চাষ হয় তার চর্তুপাশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার দ্বিগুন (http://bit.ly/1pej0ny)

বলাবাহুল্য এই জিএমও বিশেষ করে গোল্ডেন রাইসের পেছনেও কিন্তু রয়েছে এই রকফেলার পরিবারের ইনভেস্ট। ((http://bit.ly/2pqWuBvgoo.gl/GnYdQk))

তারমানে কি সমীকরণ মিলিয়ে বলা যায় না, বাংলাদেশে জিএমও আনার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, যেন মানুষের ক্যান্সার বৃদ্ধি পায়। আর ক্যান্সার বৃদ্ধি পেলে মানুষ ব্যয়বহুল ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণ করবে। জিএমও’র পেছনে রয়েছে রকফেলার পরিবার এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পেছনে রয়েছে রকফেলার পরিবার। মানে তারা সাপ হয়ে দংশন করছে, আর ওঝা হয়ে ছাড়বে। বাংলাদেশে ক্যান্সার যত বাড়বে, রকফেলার পরিবারের ক্যান্সারের ওষুধ তত বিক্রি হবে। এখানে পুরো প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ সরকারের মাধ্যমে। তারা ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের থেকে টাকা খেয়ে পুরো জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

একটি কথা সত্যিই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, ২০১৪-১৫ সালে যখন বাংলাদেশে জিএমও বিটি বেগুন প্রবেশ করে তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অনেক আন্দোলন ও লেখালেখি হয়েছিলো। কিন্তু এখণ প্রায় প্রতিদিন জিএমও গোল্ডেন রাইসের পক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গত ৬ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে গোল্ডেন রাইস নিয়ে এক অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বলেছে, তারা জিএমও ফসল আনবেই। (http://bit.ly/2FOb1lU)

অথচ বেগুনের থেকে চাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেগুন মানুষ কতটুকু খায় ? না খেলেও চলে। কিন্তু চাল তো মানুষকে খেতেই হবে। ফলে চালের ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কিন্তু চালের বিরুদ্ধে ঐ গ্রুপটি আর লেখালেখি করছে না কেন ?

এর একটি কারণ হতে পারে, যারা বিটি বেগুনের বিরোধীতা করেছিলো তারা ছিলো মূলত ছিলো চীনপন্থী। হয়ত ঐ গ্রুপটিকে টাকা দিয়ে মেনেজ করে ফেলেছে জিএমও কর্পোরেটরা। আবার আরেকটি কারণ হতে পারে, ঐ সময় বিটি বেগুন বিরোধী গ্রুপটির নেতৃত্ব দিয়েছিলো ফরহাদ মাজহার। আমরা জানি কিছুদিন পূর্বে ফরহাদ মাজহারকে অজ্ঞাত কারণে গুম করা হয়েছিলো। এমনও তো পারে, ফরহাদ মাজহারকে গুম করে এমন শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছে হয়েছে, “আমরা খুব শিঘ্রই চালের মধ্যে জিএমও করবো, তখন তুমি চুপ থাকবা, কোন বিরোধীতা করতে পারবে না।”


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, March 19, 2018

যেভাবে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরকে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামী সরকার


১) গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে,“পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিএম ফসলের চাষ হচ্ছে। জিএম ফসল কোথাও কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে তা জানা যায় নি। আমাদের অধিক জনসংখ্যার খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় জিএম ফসলের দিকে যেতে হবে।” (http://bit.ly/2pilE5i)
২) গত ১১মার্চ, ২০১৮ তারিখে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলে, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। একসময় ওরা নয়া কৃষির নামে হাইব্রিডের বিরোধিতা করেছিল। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে। ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।” (http://bit.ly/2p6P1s1) উল্লেখ্য, নতুন কৃষিনীতি -২০১৮ এর খসড়ায় জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টিকে বৈধ করা হয়েছে।
৩) ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়ার ঘোষণা দেয়। এই বীজের মধ্যে জিএমও ফুড বা বিটি বেগুনও আছে। (http://bit.ly/2eWG2bb)
৪) ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসছে জিএমও গোল্ডেন রাইস। (goo.gl/HKQSi8)।
তারমানে বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী সরকার বাংলাদেশে জিএমও আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু কেন ?
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, জিএমও চাষ মানে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরকে ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করে দেয়া। আমার আজকের এ পোস্ট জিএমও চাষ করলে কিভাবে কৃষি সেক্টর বিক্রি করে দেয়া হয়, তার ব্যাখ্যা নিয়ে।
জিএমও –এর বিষয়টা সহজে বুঝানোর জন্য আমি ‘ট্যাক্স’ বা ‘কর’ সিস্টেমটা নিয়ে আসছি। যেমন ধরুন, আমরা আগে যেকোন স্থান থেকে যে কোন কিছু কিনতে পারতাম, বিক্রি করতে পারতাম, যাতায়াত করতে পারতাম, খাদ্য খেতে পারতাম। এজন্য মূল্ খরচের বাইরে কাউকে কিছু দিতে হতো না। কিন্তু ধিরে ধিরে ট্যাক্স বা কর নিয়ে আসা হলো। এখন আপনি কোন কিছু কিনলে আলাদা করে নির্দ্দিষ্ট এ্যামাউন্টের ট্যাক্স বা ভ্যাট দিতে হয়। কিছু বিক্রি করতে গেলে ট্যাক্স দিতে হয়। খাবার খেতে গেলে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়, দোকান থেকে কিনতে গেলে ভ্যাট দিতে হয়। এভাবে দশ যায়গায় আপনার থেকে ট্যাক্স বা ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। জিএমও প্রযুক্তিটা হচ্ছে সেরকম। এটা ব্যবহার করলে একজন কৃষক আর স্বাভাবিক উপায়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারবে না। তাকে ধাপে ধাপে আটকে রাখবে ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। তাদেরকে টাকা দিয়ে নতুন সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য গত কয়েক বছর আগে ভারতে জিএমও বিটি তুলা চাষের কারণে বার বার খরচ করতে করতে ঋণ জর্জরিত হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ২৭ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছিলো (http://bit.ly/2HIQrzS )।
জিএমও’র প্রথম লোভনীয় ধাপ হচ্ছে- ‘রাউন্ড আপ রেডি’ ফসল
এ ফসলের বিজ্ঞাপনে বলা হয়- জিএমও প্রযুক্তিতে যেহেতু উদ্ভিদ নিজের অভ্যন্তরেই কীটনাশক উৎপাদন করবে, তাই আলাদাভাবে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। আর তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসবে, লাভবান হবেন কৃষক। একইসাথে বলা হয়, জিএমও প্রযুক্তির ফসল আগাছানাশক। জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগাছা দমন হবে।
এটা ঠিক প্রথম কয়েক বছর পোকার আক্রমণ ও আগাছা কম থাকে। কিন্তু কয়েক বছর থেকে ব্যতিক্রম দেখা যায়। আগাছা ও কীটের পরিমাণ বহুগুন বেড়ে যায়, ফলে কীটনাশন ও আগাছানাশকের পরিমানও বহুগুন বৃদ্ধি করতে হয়। এবং সেগুলো কিনতে হবে ঐ নির্দ্দিষ্ট বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকেই, কারণ তারাই কেবল জানে, কোন কীটনাশক ও আগাছানাশক কাজ করবে ? (সম্পূর্ণ জানতে- http://bit.ly/2IxI0bN )
আবার ‘টার্মিনেটর প্রযুক্তিতে জেনেটিকাল মোডিফিকেশণ করে বীজ এমনভাবে আটকে দেয়া হয়, যেন ঐ ফসল থেকে কৃষক নতুন বীজ না পায়। এই বীজ ব্যবহারের একটা পর্যায়ে কৃষক বলবে- “কি বীজ দিলেন, এখান থেকে নতুন বীজ পাওয়া যায় না।”
তখন কৃষককে বলা হবে- ‘ভার্মিনেটর প্রযুক্তি’ নেয়ার জন্য। এটা এমন এক রাসায়নিক, যা ব্যবহার করলে বীজের বন্ধাত্ব কাটে। কিন্তু এটা নিতে হবে ঐ নির্দ্দিষ্ট কোম্পানির থেকেই। এ প্রযুক্তিতে উদ্ভিদ জীবনের মূল ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে রাসায়ানিক ব্যবহারে। যেমন অঙ্কুরোদগম, পাতা গজানো, ফুল ফোটানো, ফল পাঁকানো সহ যাবতীয় সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে ভার্মিনেটর প্রযুক্তিতে। ততদিনে কৃষকের উৎপাদিত শষ্য স্তরে স্তরে আটকে থাকবে! ধাপে ফুল আসবে, কিন্তু দানা আসবে না। আসবে যখন ওদের থেকে কেনা সার দিবেন। আপনি বীজ সংগ্রহ করবেন, কিন্তু বীজ থেকে ধান গাছ হবে না, হবে যখন আপনি তাদের দেয়া রাসায়নিক দেবেন। অর্থ্যাৎ টার্মিনেটর আর ভার্মিনেটর প্রযুক্তির যাঁতাকলে পিষ্ট হবে কৃষি, কৃষক, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রকৃতি। খাদ্যের দাম বাড়বে বহুগুন। তৈরী হবে মনোপোলি বিজনেস।
কৃষককে যদি ৩-৪ বার জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করানো যায়, তবে আগের জমানো বীজও নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বাংলাদেশের পুরো কৃষি সেক্টর ইহুদীবাদী কর্পোরেট কোম্পানির কাছে আটকে থাকবে। ওরা চাইবে তো ফসল হবে, ওরা চাইবে তো ফসল হবে না। আর পুরো সিস্টেম ওদের প্রযুক্তির কাছে আটকে থাকার কারণে কৃষককে বার বার ওদের টাকা দিয়ে ফসলে দেখা পেতে হবে।
বর্তমানে যে যে ফসলগুলোতে সরকার জিএমও আনছে বা আনতে চাইছে- ধান, আলু, গম, বেগুন, তুলা, সরিষার তেল।
ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চলে নীল চাষের কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। এ অঞ্চলের কৃষকদের ঐ সময় নীল চাষে বাধ্য করতো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মূলে ছিলো ইহুদীবাদী রথচাইল্ড ফ্যামিলি (http://bit.ly/2FI5ayd )। আর বর্তমানে জিএমও প্রযুক্তির মুলে রয়েছে ইহুদীবাদী রকফেলার ফ্যামিলী (http://bit.ly/2HIUSus )।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশীদের কাছে বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে। আর বাংলাদেশের মানুষকে বিদেশীদের থেকে সেটা উচ্চমূলে কিনে নিতে হচ্ছে। যেমন- বাংলাদেশে প্রচুর গ্যাস আছে, কিন্তু বিদেশী কোম্পানির কাছে সেই গ্যাস ফিল্ডগুলো দিয়ে তাদের থেকে উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরটাও সরকার বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জিএমও প্রযুক্তি হচ্ছে সেই বিক্রির চূড়ান্ত দলিল।
ছবি : বিশ্বব্যাপী জিএমও ফসলবিরোধী আন্দোলনের কিছু ছবি ।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------