Showing posts with label এনালিস্ট. Show all posts
Showing posts with label এনালিস্ট. Show all posts

Friday, October 19, 2018

অ্যানালিস্ট ক্লাস

অ্যানালিস্ট ক্লাস যখন প্রথম শুরু করি,
তখন আমি বলেছিলাম, এ ক্লাসের উদ্দেশ্য সাধারণ জনগণকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া।
এতে যেটা হবে-
বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দুটি ব্লকের রাজনীতির মাধ্যমে। কিন্তু সেটা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় সাধারণ মানুষ হয়ে গেছে ফুটবলের মত। একবার একজনের লাথি খেয়ে একদিকে যায়, আরেকবার অন্যজনের লাথি খেয়ে অন্য দিকে যায়। কিন্তু জনগণের কোন দিক বা অবস্থান নাই। যদি মানুষ আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারতো, তবে দুই পক্ষের অবস্থান বুঝে সাধারণ মানুষ তৃতীয় অবস্থান নিতে পারতো। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, সাধারণ জনগণের মধ্যে কেউ সেরকম তৈরী হচ্ছে না।
ফেসবুকে অনেকেই রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করে। কিন্তু যারা লেখালেখি করে, প্রতিষ্ঠিত প্রায় সবাই কোন না কোন পক্ষ হয়ে লেখে। হয়ত এমনভাবে লেখে, যেন সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারে। সে চায়, সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করতে। এবং অতি দুঃখের বিষয়, সাধারণ জনগণ ঐ লেখকদের গলাধঃকরণ করে এবং সে করম চিন্তাভাবনা দাড় করায়।
একটি বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে,
আপনি কোন রাজনৈতিক দলকে প্রথম সমস্যা বলতে পারেন, কোন অবৈধক্ষমতাবানকে প্রথম সমস্যা ধরতে পারেন। কিন্তু আমি বলবো “জনগণের অজ্ঞতা হচ্ছে প্রথম সমস্যা।”
আর জনগণকে আরো বেশি অজ্ঞতার দিকে নিয়ে যায় বিরোধীদলগুলো।
সরকার কেন ক্ষমতা থেকে নামে না,
এর মূল দোষ, বিরোধীদলগুলোর। আওয়ামীলীগ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোমাপের পলিসি মেকার জোগার করতে পারলেও অন্য রাজনৈতিকদলগুলো সেটা পারেনি।
এটা ঠিক, আওয়ামীলীগের নিজের সেরকম মাথা না থাকলেও তারা আন্তর্জাতিকভাবে ভারতীয় কংগ্রেসীয় মাথা বা অ্যানালিস্টের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে এবং তাদের থেকে পলিসি নেয়। আওয়ামীলীগকে আপনি যতই গালি দেন, আপনাকে এটা স্বীকার করতে হবে, আওয়ামীলীগের পলিসি অন্য রাজনৈতিকদলগুলো থেকে উন্নত, এবং সেই উন্নত পলিসি দিযে তারা প্রতিপক্ষকে ল্যাং মেরে ফেলে দিচ্ছে। অপরদিকে বিএনপিসহ অন্য বিরোধীদলগুলো পলিসির ক্ষেত্রে একদিক থেকে অবনত, অন্যদিকে রয়েছে অসংখ্য ভুল, যার কারণে আওয়ামী বিরোধীতা তুঙ্গে হওয়া সত্ত্বেও তারা ক্ষমতা নিতে পারছে না।
সমস্যা হলো- এ বিরোধীদলগুলো ভুল পলিসির কারণে নিজেরা ডুবেছে এবং জনগনের মাথায়ও ভুল পলিসি ঢুকিয়ে রেখেছে। এতে বড় সমস্যা, জনগণের মধ্য থেকেও যে ভালো কিছু বের হবে সে সুযোগ নাই। ডাইরেক্ট ক্ষমতা না পাক, অন্তত একটা পলিসিওয়াইজ কথা বলবে সেটাও জনগণ ভুলে গেছে।
পাশাপাশি, বিরোধীদল ছাড়াও রাজনৈতিক ফিল্ডে আছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির ছদ্মবেশী সদস্য। এরা নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ীকে জনগণকে বুঝায়। মানে তারা জনগণকে ঠিক সেভাবে বুঝায়, যেটা বুঝলে তাদের বৈদেশিক রাজ্যের লাভ হবে, কিন্তু যেভাবে বুঝলে জনগনের লাভ হবে সেভাবে তারা বুঝায় না। কৌশলে এড়িয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রুশ-মার্কিন ব্লকের বাইরে এখন ‘তৃতীয় শক্তি জোট’র আবির্ভাব দৃশ্যমান। বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য আশার খবর ছিলো, সেই জোট তৈরী হচ্ছে মুসলমানদের নেতৃত্বে। আমি আমার আগামী এনালিস্ট ক্লাসগুলোতে তার বিস্তারিত আলোচনা করবো। কিন্তু বাংলাদেশ যদি সেই জোটে শরীক হতে চায়, তবে বাংলাদেশের কাউকে না কাউকে সেই তৃতীয় শক্তির প্রতিনিধি হতে হবে, যারা জনগণের পক্ষে কথা বলবে। কিন্তু তার জন্য চাই, প্রাথমিক অজ্ঞতা দূরীকরণ এবং ‘পৃথক শক্তিশালী পলিসি’ গ্রহণ। এতে তাৎক্ষণিক না হলেও ৫-১০ বছরের মধ্যে বড় ধরণের সাফল্য দৃশ্যমান হওয়া সম্ভব। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আমি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেরকম কাউকে দেখতে পাই না। যাদের দেখি, তারা তাদের অজ্ঞতার মধ্যে দৃঢ় থাকতেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি চাই সেরকম কেউ তৈরী হোক, যারা দুই ব্লকের প্যাচ থেকে বের হয়ে যুক্ত হতে পারবে আন্তর্জাতিক তৃতীয় শক্তি জোটের সাথে, জনগণকে দেখাবে প্রকৃত আলোর পথ।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, September 5, 2018

অ্যানালিস্ট ক্লাস -২ : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি কিভাবে সম্পর্কিত হয় ?


জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক ধরতে হলে প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে লোকাল (থানা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনীতি) রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক। লোকাল রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক যেমন, জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ঠিক সেকরম। একটি সম্পর্ক বুঝলে, অন্যটি বোঝা সহজ।

বিষয়গুলো খেয়াল করুন:

(১) জাতীয় রাজনীতিতে যেমন দুটি বড় দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (উদাহরণ আওয়ামীলীগ-বিএনপি), ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুটি বড় ব্লক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটি মার্কিন ব্লক, অন্যটি রুশ ব্লক।

(২) লোকাল রাজনীতি করা একজন চেয়্যারম্যান, তার এলাকায় হয়ত খুব জনপ্রিয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয়ভাবে তার কোন অবস্থান নেই। জাতীয়ভাবে আসতে হলে ঐ চেয়ারম্যানকে জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন- আওয়ামীলীগ বা বিএনপি’র পরিচয়ে আসতে হবে। তখন যদি তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, “অমুক এলাকার আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান বা অমুক এলাকার বিএনপির চেয়ারম্যান। তাহলে জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদরা তাকে সহজেই চিনতে পারে। ঠিক তেমনি, বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ যখন জাতীয় পর্যায়ে রেখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যায়, তখন যদি তাকে বলা হয় আওয়ামীলীগ/বিএনপির নেতা। তবে কিন্তু চেনা যায় না। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিমণ্ডলে আওয়ামীলীগ বা বিএনপির কোন অবস্থান নেই । তখন ঐ রাজনীতিবিদকে যোগ দিতে হয় আমেরিকা বা রাশিয়ান ব্লকে। তখন তার পরিচয় হয় অমুক দেশের রাশিয়ান বা মার্কিন ব্লকের সদস্য। যেমন: ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশে মার্কিন ব্লকের সদস্য।

(৩) প্রশ্ন আসতে পারে, একজন জাতীয় রাজনীতিবিদের সাথে কেন বিদেশী ব্লকের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়?

উত্তর হবে: দুই দিকেরই স্বার্থ আছে। লোকাল রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক বুঝলে, জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সম্পর্ক বুঝা সম্ভব।

ক) একজন লোকাল চেয়ারম্যানের উপর লোকাল ও জাতীয় লেভেলে নানা রকম হুমকি বা থ্রেট থাকতে পারে। সেই থ্রেট এড়ানোর জন্য সে জাতীয়ভাবে যারা রাজনীতি করে তাদের সাথে গাট বাধে। তার সাথে জাতীয় রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক থাকায় এলাকার প্রতিপক্ষরা তাকে কিছু করতে পারে না। পাশাপাশি লোকাল লেভেলে তার প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে থাকতে জাতীয় রাজনীতিবিদরা সর্বাত্মক হেল্প করে।
একইভাবে জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের জন্য অনেক ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল থ্রেট থাকে। এজন্য তাকে বিদেশী রাজনীতিক ব্লকের সাথে সম্পর্ক মেইনটেইন করতে হয়, নয়ত তার প্রতিপক্ষরা তাকে শেষ করে দিতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় লেভেলে প্রভাব বিস্তার ও প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে থাকতে আন্তর্জাতিক লেভেল থেকে হেল্প করা হয়।
যেমন: শেখ হাসিনা রুশব্লক মেইনটেইন করে। এটা করে তারা ভারতীয় কংগ্রেসের মাধ্যম দিয়ে (ভারতের কংগ্রেস রুশব্লকের সদস্য)। এ কারণে ওয়ান ইলেভেনের সময় মাইনাস টু করে যখন আমেরিকা শেখ হাসিনাকে হটিয়ে দিতে চাইছিলো, তখন রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক কাজ চালায়। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিএনপি থেকে এগিয়ে থাকতে রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস সব সময় শেখ হাসিনাকে সাহায্য করে।

(খ) আবার, একজন লোকাল চেয়্যারমানের দ্বারা জাতীয় রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদ ফায়দা নেয়। যেমন জাতীয় দলগুলো লোকাল রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভর করে লোকাল পর্যায়ে তাদের প্রচার-প্রসার বা স্বার্থ উদ্ধার করে। একই ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের মধ্যেও হয়। জাতীয় রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐ দেশে তাদের মতবাদ/প্রচার প্রসারসহ বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধার করে।

৪) তবে অনেক ক্ষেত্রে দুইজনের ইন্টারেস্ট বা স্বার্থ এক নাও হতে পারে বা পরিবর্তিত হতে পারে। তখন স্বাভাবিকভাবে দেখা যায়, পরপষ্পর সমঝোতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। তবে কিছু কিছু সেটা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে দল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। যেমন একসময় চীন সোভিয়েত ব্লকে ছিলো। এরপর দল পরিবর্তন করে মার্কিন ব্লকে যোগ দেয়। এরপর আবার মার্কিনব্লক ত্যাগ করে রুশব্লকে যোগ দেয়।

(৫) জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু আ্ঞ্চলিক দল থাকে, যাদের অবস্থান পুরো দেশব্যাপী বিস্তৃত নয়। যেমন: জাতীয় পার্টি, জাসদ ইত্যাদি। এ দলগুলোর পৃথক অবস্থান থাকলেও জাতীয়পর্যায়ে কোন ঘটনার সময় (উদহারণ:নির্বাচন) তারা বড়দলগুলোর (যেমন: আওয়ামীলীগ বা বিএনপি) সাথে জোট বাধে (আবার নিজেদের মধ্যেও জোট তৈরী করতে পারে)। অনুরূপ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও এরকম আঞ্চলিক শক্তি থাকে। তারা আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো নিয়ে জোট বাধে বা বড় শক্তিগুলোর সাথে জোট বেধে কাজ চালায়। যেমন: এশিয়ায় চীন রাশিয়ার সাথে, ভারত আমেরিকার সাথে। মিডলইস্টে সৌদি আরব আমেরিকার সাথে, ইরান রাশিয়ার সাথে জোট বাধে ইত্যাদি।

৬) উপরের দিকে যখন দুই দলের সাথে জোট হয়, তখন নিচের দিকেও জোট বা সু-সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার উপরের দিকে বিপরীতজোটে চলে গেলে নিচের দিকে শত্রুতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- আওয়ামীলীগ আর জাসদ যখন উপরের দিকে জোট বাধে তখন লোকাল পর্যায়ে আওয়ামীলীগ ও জাসদের চেয়্যারম্যানের মধ্যে জোট বা সুসম্পর্ক গড়ে। আবার আওয়ামীলীগ ও জাসদ প্রতিপক্ষ হয়ে গেলে লোকাল চেয়্যারম্যানদের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। অনুরূপ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন জোট হলে, জাতীয় পর্যায়ে ঐ ব্লকের সদস্যদের মধ্যে জোট বা বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ভেঙ্গে গেলে শত্রুতা বা প্রতিপক্ষতা তৈরী হয়। যেমন: এক সময় আমেরিকা আর চীন একব্লকে ছিলো, তখন বাংলাদেশে মার্কিন ও চীনব্লকের রাজনীতিবিদদের মধ্যে জোট বা সুসম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। এখন চীন মার্কিন ব্লক ত্যাগ করে রুশ ব্লকে যোগ দিয়েছে। তাই এখন বাংলাদেশে চীন ও মার্কিনপন্থীদের মধ্যে শত্রুতা বা বিপরীতপক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।

আজকের পাঠের পর আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে, কিংবা কোন অংশ যদি বুঝতে না পারেন, তবে তা কমেন্ট করুন। আমি সুযোগ-সময় করে তার উত্তর দিবো।

(১ম পর্ব- রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস-https://bit.ly/2PKbc2S)


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, September 4, 2018

বর্তমান ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স, ঠিক যেন মেয়েদের চুলের বেণীর মত প্যাচের পর প্যাট লেগে গেছে


‘ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স’ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমার প্রথম মাথায় আসে মেয়েদের ‘চুলের বেণী’র কথা, চুলের বেণীতে যেমন একপ্যাচের পর অন্য প্যাচ দিয়ে লম্বা করা হয়, বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের অবস্থা ঠিক সেই চুলের বেণীর মত প্যাচের পর প্যাচ লেগে গেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সিস্টেম তৈরী হলো, তখন সেই ‘নীতি’র আবির্ভাব। যুদ্ধ দিয়ে নয়, বরং পলিটিক্স বা কৌশলগত সিদ্ধান্ত দিয়ে হবে ঘায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদল অ্যানালিস্ট তৈরী করে যখন কাজ শুরু করলো, তখন রাশিয়া দেখলো তাদেরও একদল অ্যানালিস্ট লাগবে মার্কিন নীতিকে সামাল দিতে। শুরু হয়ে গেলো পাল্টাপাল্টি কূটনীতি-যুদ্ধ। দেয়া হলো এক প্যাচের উপর অন্য প্যাচ। প্যাচ লাগতে লাগতে এখন সেটা নারীদের বেণীর মত হয়ে গেছে। বর্তমান কালে আমরা যে প্যাচ দেখি সেটা বেনীর ৯ নম্বর প্যাচ, একটু বুদ্ধিমানরা হয়ত ৯ নম্বরটা খুলতে পেরে খুশি। কিন্তু সেই প্যাচের পর আরো ৮টি প্যাচ রয়ে গেছে। একটার পর একটা খুলতে পারলেই মূল যায়গায় যাওয়া সম্ভব।

ইহুদীরা উপরে বসে থাকে। এরপর দুই পক্ষ হয়ে একপক্ষ একদিকে মার্কিনব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে, আরেক পক্ষ অন্যদিকে রাশিয়ানব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। ইহুদীরা দুইপক্ষ এক সাথে বসে চা খায়, কিন্তু নিচ দিয়ে প্যাচ লাগিয়ে ফায়দা নেয়। নিচ দিয়ে আমেরিকান ব্লকে অনেক রাষ্ট্র ও রাজনীতিক যোগ হয়, আবার রাশিয়ান ব্লকেও যোগ হয় অনেক রাষ্ট্র ও রাজনীতিক। বিশ্বব্যাপী চলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি।

মুসলমানরা এখন বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত। মুসলমানরা যদি এই অবস্থা থেকে উত্তরণ চায়, তবে মুসলমানদেরকে প্রথমে এই আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝতে হবে, প্যাচগুলো ধরতে হবে। অনেক মুসলমান কিন্তু এই প্যাচের মধ্যে ঢুকে বিলীন হয়ে যায়। এটা হলে চলবে না। নিজেই পৃথক প্যাচ তৈরী করতে হবে আর সেই প্যাচে শত্রুদেরকে ঘায়েল করতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের নির্বাচন সন্নিকটে। এ মুহুর্তে জাতীয় সেক্টরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়গুলো অবলোকন করা সহজ। বাংলাদেশের জনগণ হয়ে গেছে ফুটবলের মত। একবার এক পক্ষ লাথি মেরে একদিকে পাঠায়, আরেকবার আরেকপক্ষ লাথি মেরে অন্যদিকে পাঠায়। দুই পক্ষ জনগণকে নিয়ে খেলে, কিন্তু জনগণের নিজের কোন অবস্থান নাই। সে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নিজে কিছু করতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণকে সেই জ্ঞান দিতে আমি অ্যানালিস্ট ক্লাস শুরু করেছিলাম। প্রথম ক্লাসে ‘ঘটনার আড়ালে এক্টরস বা প্লেয়ার কতজন’, ‘রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস’ টার্মগুলো এনেছিলাম। প্রথম ক্লাস নেয়ার পর দীর্ঘ ১ মাস ব্যক্তিগত কাজে আমি ব্যস্ত থাকায় সময় নিয়ে ‘অ্যানালিস্ট ক্লাস’ এর জন্য ফেসবুকে বসতে পারিনি। এজন্য অনেকে কষ্ট পেয়েছেন। একারণে আমি আন্তারিকভাবে দুঃখিত।

এবার ঠিক করেছি ২য় ক্লাসটি নিবো। ২য় ক্লাসটি হবে ‘জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্ক রক্ষা করে কিভাবে ?’ ২য় ক্লাসের স্ট্যাটাস লেখা শেষ, খুব শিঘ্রই রিলিজ হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, July 29, 2018

এনালিস্ট ক্লাস : ১ । এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :

এনালিস্টের প্রাথমিক কাজ হলো ঘটনার মূল বের করে নিয়ে আসা। এজন্য ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো বা কত ধরনের এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করতেছে তা জানতে হবে।
এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :
একটা ঘটনার পেছনে কতজন প্লেয়ার/এক্টর আছে, এটা যতক্ষণ জানা না যাবে, ততক্ষণ বুঝা যাবে না, ঐ ঘটনাটা আসলে কেন ঘটলো। কোন একটি ঘটনা ঘটলে যে প্রকাশ্য বিষয়টা ঘটায়, সাধারণ মানুষ তাকেই দায়ী করে। কিন্তু একজন এনালিস্ট এটা করতে পারে না। একজন এনালিস্ট ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করেছে তার অনুসন্ধান করে। কোন ঘটনা শুধু এক নয়, একাধিক লোক বা সংগঠনের ইন্ধনেও ঘটতে পারে, যা চিন্তা করা সাধারণ মানুষের চিন্তার অনেক উর্ধ্বে।
সমাজে কোন ঘটনা ঘটলে, একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে যারা কাজটি করে, তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য থাকে এবং কাজটি এতটাই কৌশলে করে যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়। এছাড়া এক রাজনৈতিক দল, অন্য রাজনৈতিক দলের উপর দায়-দাবি চাপিয়ে দেয়, যার কারণে ঘটনার মূল অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হয় সাধারণ মানুষ।
একটা ঘটনার পেছনে কতগুলো শক্তি কাজ করতেছে এবং কার উদ্দেশ্য কি, এটা জানতে পারলে আপনি অনেক ক্ষেত্রে এক শক্তিকে অন্য শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি সেটা না জানেন, তবে উল্টা তারা নিজের স্বার্থে আপনাকে ব্যবহার করবে।
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন, ধরুন বইমেলায় আগে অনেক ‘ধর্মবিরোধী বই’ বিক্রি হতো। এটা নিয়ে লেখালেখি করার পর অনেক প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। কথা হলো, এই বইমেলায় কয়টি শক্তি কাজ করেছে ?
(১) মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, যারা বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই প্রকাশ করতো,
(২) আওয়ামী সরকার,
(৩) জনগণ
আপনার যদি সিআইএপন্থীদের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকে,
এবং তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের পলিসি সম্পর্কে জানা থাকে,
তবে সহজেই আপনি আওয়ামী সরকারকে দিয়ে বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই বন্ধ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে খুব সহজেই বিষয়টি বন্ধ করা সম্ভব।
কিন্তু আপনার কাছে যদি ভুল তথ্য থাকে,
যেমন: আওয়ামী সরকার নিজেই ইসলামবিদ্বেষী বই ছাপতেছে, কিংবা এগুলো ‘ভারতীয় ষড়যন্ত্র’
তাহলে কিন্তু আপনি (২) নং শক্তিকে (১) নং শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারবেন না,
বরং মূল কালপ্রিট মানে (১) নং শক্তি হাইড হয়ে (৩) ও (২) নং শক্তির মধ্যে লাগিয়ে দিলো।
এবং তাতেই তার উদ্দেশ্য সফল।
রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস সূত্র:
রিয়েল ফেস শব্দের অর্থ একজন এক্টর বা প্লেয়ারের আসল পরিচয়, আর আর্টিফিয়াল ফেস হলো ঐ এক্টর বা প্লেয়ার যে কৃত্তিম রূপ ধারণ করে। যারা এক্টর বা প্লেয়ার থাকে, তারা সব সময় রিয়েল ফেস থেকে আর্টিফিসিয়াল ফেসের দিকে যেতে চায়, উদ্দেশ্য সবাইকে ধোকা দেয়। অনেকক্ষেত্রে তারাও চায়, সাধারণ মানুষ তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করুক। সাধারণ মানুষ যতদিন তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করবে, ততদিন তাদের কোন ক্ষতি হবে না, বরং আরো লাভ হবে। কিন্তু যখন রিয়েল ফেসে আঘাত করা হবে, তখন তার মূল উদ্দেশ্য ফাঁস হবে এবং সে সহজেই ধরাশায়ী হবে।
ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল যে কোন বড় গেম বুঝার জন্য রিয়েল ফেসে আঘাত করা জরুরী, কিন্তু সাধারন মানুষ সর্বদা আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করে এবং এতে মূল এক্টর বা প্লেয়ারের ক্ষতির পরিবর্তে আরো লাভ হয়।
যেমন বইমেলায় ধর্মবিদ্বেষী বই বের হচ্ছে। আপনি যদি ভাবেন এটা আওয়ামী সরকার করাচ্ছে তবে এটা ভুল যায়গায় আঘাত, আবার আপনি যদি বলেন, এরা সব নাস্তিক তখনও এটা আর্টিফিসিয়াল ফেস। কিন্তু আপনি যখন বুঝতে পারলেন- এই গোষ্ঠীটা মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, তখন আপনি রিয়েল ফেসে আঘাত করলেন। তখন
(১) আমেরিকা মূল পলিসি সম্পর্কে ব্রডওয়েতে আপনি চিন্তা করতে পারবেন,
(২) সরকারের সাথে আমেরিকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে কি ফায়দা নেয়া যায় সেটা চিন্তা করবেন।
(৩) এরপর এক পক্ষ হয়ে অন্য পক্ষকে দমন করবেন।
(চলবে)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, July 1, 2018

বিশ্ব রাজনীতিতে এখন যেটা চলতেছে, সেটা হলো- ‘উল্টা নীতি’। অর্থাৎ মুখে বলা হবে একটা, কিন্তু কাজে হবে অন্যটা।

মোটামুটি বিশ্বজুড়ে রাজনীতিতে এটাই এখন স্বীকৃত। যে মুখের কথা ও বাস্তব কাজের যত বেশি দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবে, সে জনগণকে তত বেশি ধোকায় ফেলতে পারবে এবং সে তত বড় রাজনীতিবিদ।
সম্প্রতি দেখবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছে, তার নাকি টাকা নাই। সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তার ছেলেকে লেখাপড়া করাতে পারে নাই, কারো কাছে লোন চাইতে পারে নাই। হাবিজাবি।
শেখ হাসিনা যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন বুঝতে হবে তিনি আন্তর্জাতিক বড় বড় রাজনীতিবিদদের ফলো করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তিনি উল্টো কথা বলা শুরু করেছেন। ব্রিটেণে বিলিয়ন ডলার দিয়ে দ্বীপ ক্রয় করে এখন বাংলাদেশের মানুষকে শোনাচ্ছেন নূন আনতে তার পান্তা ফুরোয়।
আমি আগেই বলেছি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই উল্টা অবস্থানটা খুব কমন একটি বিষয়। এবং যে যত বেশি এ ধরনের অবস্থা প্রকাশ করতে পারছে, সে তত রাজনীতিবিদ হতে পারছে।
যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,
মুখে বলছে সন্ত্রাস দমন, কিন্তু নিজেরাই সন্ত্রাস করছে
মুখে বলছে ‘আপনার দেশে জনগণের ক্ষমতা দেখতে চাই’, কিন্তু চাইছে নিজ সমর্থিত সরকার,
মুখে বলছে শান্তিপ্রতিষ্ঠা, কিন্তু নিজেরাই অশান্তি সৃষ্টি করছে,
মুখে বলছে নারীকে অধিকার দিতে হবে, কিন্তু বাস্তবে নারীর অধিকার আরো হরণ করছে,
মুখে বলছে বাক স্বাধীনতা, কিন্তু বাস্তবে অপরের সকল স্বাধীনতা হরণ করছে,
এ ধরনের চরম পর্যায়ের বিপরীতমুখী নীতির কারণে্ই আমেরিকা এখন সুপার পাওয়ার। কারণ তারা মানুষকে সবচেয়ে বেশি ধোকা দিতে পারে|
বাংলাদেশে যতগুলো পশ্চিমা এনজিও আছে, তার সবগুলো প্রায় নিয়ন্ত্রিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অংশের USGLC থেকে। ইউএসজিএলসি অর্থ U.S. Global Leadership Coalition।
লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের যতগুলো পশ্চিমা এনজিও কাজ করছে, তারা সবাই মুখে বলছে- তারা বাংলাদেশের জনগণের উপকার করতে আসছে।
অথচ ঐ এনজিওগুলো যে ইউএসজিএলসি চালাচ্ছে, তারা কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখবেন তারা বলছে, মার্কিন ক্ষমতা শক্তিশালী করতে বিশেষ পলিসি বাস্তবায়ন করা তাদের মূল উদ্দেশ্য। (http://www.usglc.org/about-us/)
আবার মানুষ হলো দুই ধরনের-
এক প্রকার হলো idealist বা আদর্শবাদী। এ ধরনের মানুষ সব কিছু আদর্শের চোখ দিয়ে দেখে। “মার্কিন এনজিও এসেছে তারা তো ভালো কাজ করতেই এসেছে”- idealist দের চিন্তা ভাবনাগুলো এধরনের। অধিকাংশ মানুষ এভাবেই চিন্তা করে। এ কারণেই অধিকাংশ মানুষকে ধোকা দেয়া সম্ভব।
আরেক শ্রেণী হলো realist বা বাস্তবমুখী। এরা বাস্তব ও পক্ষবিপক্ষ চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের মানুষের সংখ্যা কম এবং তাদের দেখলে idealist রা বলে, “আপনারা সব কিছুর মধ্যে খারাপ খুজেন”।
সত্যি বলতে, এখন আমাদের একঝাক realist বা বাস্তবমুখী লোক দরকার যারা সব কিছু বাস্তবতার ভিত্তিকে চিন্তা করবে। আমার কভার ফটোটা দেখুন, একটা ইদুর ঝুলে আছে উল্টাভাবে। এই উল্টোভাবে ঝুলে থাকার একটা মিনিং আছে। উল্টোভাবে ঝুলে থাকার সুবিধাটা হলো, যারা উল্টাভাবে কথা বলছে, তাদের উল্টাটা সে সোজা করে দেখছে বা তার কাছে ধরা পড়ছে।
‘এনালিস্ট’ তৈরীর ক্লাসে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------