Showing posts with label দুর্নীতি. Show all posts
Showing posts with label দুর্নীতি. Show all posts

Wednesday, March 6, 2019

বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্প ধ্বংস করবে আওয়ামীলীগ

গতকাল পুরান ঢাকাকে নিয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা।  পুরান ঢাকা বিশেষ করে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন করে যায়গা বের করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে পার্ক-খেলার মাঠ-কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে সরকার।   পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮৮০ কোটি টাকা, যার সিংহভাগ অর্থাৎ ৮৩৪ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক।  পুরান ঢাকা ভেঙ্গে একটি আধুনিক সিটি ও পর্যটন কেন্দ্র বানানোর অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে সরকারের, যার শুরুটা গতকাল গৃহিত হলো।  (https://bit.ly/2TANRp2, https://bit.ly/2EOsXL4)

পাঠক ! আপনাদের মনে থাকার কথা, চকবাজারে আগুন ধরার পর আমি আমি আপনাদের বলেছিলাম, এই আগুন দেয়ার পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের একটি প্ল্যান আছে এবং তার সাথে আছে সরকারের কমিশন।  অনেকে হয়ত বিষয়টি তখন বুঝেন নাই।  কিন্তু দিনে দিনে দেখবেন, বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।

আপনাদের আরো মনে থাকার কথা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে পাট দিবস উপলক্ষে বলেছিলো, “বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাট কল বন্ধ করে পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। ”  (https://bit.ly/2C25uE7)
তাহলে কি আজকে আমরা বলতে পারি না, বিশ্বব্যাংকের থেকে টাকা খেয়ে কথিত উন্নয়নের নামে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করছে আওয়ামীলীগ সরকার !

দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে বিশ্বব্যাংক যে পরীক্ষিত শত্রু সেটার তো আরো বহু উদাহরণ আছে।  ৮০-এর দশকের শেষের দিকে ‘বিশ্ব ব্যাংক’ বাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত হতে ‘ব্যাঙ’ ধরে দেয়ার জন্য।  সেই সময় কৃষিক্ষেত হতে কোটি কোটি ব্যাঙ ধরা হয়। কিছু দিন পর দেখা যায়, ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার ধানক্ষেত পোকার আক্রমনে ধানশূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্হায় বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দেয় উন্নত সার ও কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করতে। বিদেশী কোম্পানিগুলো তখন বাংলাদেশে সার ও কীটনাশক বিক্রি সুযোগ পায়। অর্থাৎ সে সময় ব্যাঙ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংক।

একই ঘটনা ঘটে, “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি” নামে।  ৩০-৩৫ বছর আগে হঠাৎ করে বলা হয়, বাংলাদেশে নাকি গাছের অভাবে পরিবেশ বিপর্যয় আসতেছে, দূর্যোগে নাকি ধ্বংস হবে বাংলাদেশ। তাই বনায়নের নামে দেশজুড়ে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য অপকারী, এই গাছগুলো মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শুষে নেয়, ফলে কৃষিক্ষেতগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে।  ২০১০ সালের ১১ আগস্ট সামাজিক বনায়নের অগ্রগতিবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছকে ‘হতচ্ছাড়া গাছ’ উল্লেখ করে বলেছিলো, ‘এত দিন বিদেশি দাতা সংস্থার পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে।  এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’ (https://bit.ly/2SOUBLu, https://bit.ly/2HdQzKJ)

অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক যে দেশের কৃষি ও শিল্পকে ধ্বংস করতে কু-বুদ্ধি ও তার বাস্তবায়নে অর্থ দেয় এটা শেখ হাসিনা ও তার পেয়ারা মতিয়া চৌধুরী নিজ মুখেই স্বীকার করেছে।  তাহলে সেই বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধি ও টাকাতে কেন তিনি পুরান ঢাকায় উন্নয়নের নামে দেশীয় শিল্পকে উচ্ছেদ করছেন ? এটা যে দেশীয় শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র সেটা কি তিনি বুঝেন না ? নাকি টাকার বস্তা পেয়ে তিনিও অন্ধ হয়ে গেছেন ??

আমার একটা বিষয় অবাক লাগে কি জানেন?
কথিত তৃতীয় বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রর জনগণ এখন বিশ্বব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর ষড়যন্ত্র ধরতে পারে এবং নিয়মিত সেখানে প্রতিবাদ হয়।  কিন্তু বাংলাদেশ এতবার ঘোল খেয়েও শিক্ষা হয় না, বার বার একই গর্তে পা দেয়।  চকবাজারে আগুন লাগার পর বাংলাদেশের মানুষের উচিত ছিলো, কেন সম্রাজ্যবাদীদের প্রকল্প বাস্তবায়নে এতগুলো মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো তার আগে বিচার চাওয়া, কিন্তু সেটা না করে পাবলিক লাগছে কেমিক্যালের পেছনে।   প্রথমে ব্যাঙ দিয়ে বোকা বানাইছে, এরপর গাছ আর শেষে কেমিক্যাল। বাঙালী তুমি বেকুব হতে থাকো…..

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনার ম্যাজিকনীতি পরিহার করা উচিত

যাদুকররা কিভাবে যাদু করে এটা নিয়ে আমি একবার খোঁজ নিয়েছিলাম। দেখেছিলাম, যাদুকরদের যাদুর পেছনে কিছু কৌশল আছে। যেমন- যাদুকররা হাত দিয়ে কোন জিনিস লুকাবে। এক্ষেত্রে কাজটা করবে এক হাতে, কিন্তু নাড়তে থাকবে অন্য হাত। একহাত নাড়িয়ে সে মানুষের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করবে, অন্যহাত দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটা লুকিয়ে ফেলবে। মানুষের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করে অন্য হাতের সাহায্যে লুকানোর সেই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে যাদু বা ম্যাজিক।
গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, নির্বাচনের পর থেকে শেখ হাসিনা ‘ম্যাজিকনীতি’ গ্রহণ করেছেন। সম্ভবত বানোয়াট নির্বাচনের দৃশ্য ভুলাতে শেখ হাসিনার এই কৌশল। তিনি ম্যাজিক দেখিয়ে জনগণের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে পুরাতন স্মৃতি ভুলাতে চাইছেন।
যেমন: হঠাৎ করে বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কিংবা ধর্ষককে ক্রশফায়ার। দুটো শুনতেই খুব ভালো। কিন্তু বুড়িগঙ্গা যতগুলো অবৈধ স্থাপনা আছে, তার সবগুলো সরকার-প্রশাসনের যোগসাজসেই হয়েছে। তাই অবৈধস্থাপনাকারীদের সাথে সরকার-প্রশাসনের সাথে যুক্তদেরও বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে যে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরী করা হয়েছে, আমি নিজে দেখেছি, তার একটি বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে অবৈধ স্থাপনাই নয়, বরং তাদের নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে লিস্টে ঢুকানো হয়েছে। সরকার ম্যাজিক দেখাতে চোখ বন্ধ করে যে কাজ করছে তাতে নিরাপরাধ ব্যক্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যেটা কখনই কাম্য হতে পারে না। (https://bit.ly/2TmH679)
ক্রশফায়ারের নামে ধর্ষকে গুলি করে হত্যা। ধর্ষণ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক, এটা আমারও দাবী। কিন্তু ক্রশফায়ারের নামে মিথ্যা লোক যেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার না ঘটে, সেটাও খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষ হওয়া বাঞ্চনিয়। আমরা দেখেছি এর আগে সরকার মাদক নির্মূলে ক্রশফায়ার দিলো, কিন্তু ইয়াবার মূল হোতা বদিকেই কিছু বললো না। এতে বোঝা যায়, সরকার নিজেই মাদকের ক্রশফায়ার নিয়ে দ্বিচারিতায় ভুগছে। কোর্ট কাচারিতে গিয়ে দেখবেন, ৮০% নারী নির্যাতন মামলা ভুয়া, অপরকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে (https://bbc.in/2CWKiiL)। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে যদি ক্রশফায়ার দেয়া হয়, তবে ‘ভুল’ হওয়ার সম্ভবনা আছে। পাশাপাশি যদি ক্রশফায়ারও দেয়, তবে সেখানে প্রশাসনের অবস্থান নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কক্সবাজারে একটি ধর্ষণের ঘটনায় দেখলাম, শাহাব উদ্দিন নামক এক ধর্ষককে ক্রশফায়ারে দেয়া হয়েছে, খুব ভালো। কিন্তু শ্যামল দে নামক আরেকজনকে বাচিয়ে রাখা হয়েছে (https://bit.ly/2sXhemC)। সরকারের ভেতর যেহেতু হিন্দু প্রীতি বা ভীতি আছে, সম্ভবত সে কারণে শ্যামল দে কে ক্রশফায়ারে দেয়ার সাহস পায় নাই। এ দিকগুলোতে পরিষ্কার থাকা সরকারের জন্য জরুরী।
আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের ম্যাজিকনীতি প্রথম দৃশ্যমান হয় ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলে মাধ্যমে। আপনারা যদি জনপার্কিন্সের লেখা ‘এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ বই পড়েন, তবে স্পষ্ট হয়ে যাবে, আওয়ামী সরকারের কথিত উন্নয়নের ম্যাজিকের আড়ালে কিভাবে দেশকে বিদেশী কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ এনে অনুৎপাদনশীল খাত ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল করতেছে, আর উৎপাদনশীল খাতগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। যেমন, গত কয়েকদিন খরবগুলো যদি দেখেন-
- জাপানের ঋণে হচ্ছে পাতাল রেল, চলছে নকশার কাজ (https://bit.ly/2Sd9yem)
- মহাখালীতে আবারও ফ্লাইওভার (https://bit.ly/2RW4mfs)
এই খবরগুলোর উল্টা পাশের খবর-
১) ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ, অপর্যাপ্ত লবণ-বরফে পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ (https://bit.ly/2BaalCS)
২) বগুড়ায় বহুমুখী হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে সবজী, হুমকির মুখে ১৮ হাজার চাষী (https://bit.ly/2Wv4Qb5)
৩) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হিমাগারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীরা (https://bit.ly/2ShAQjB)
৪) কুমিল্লায় হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে শাক-সবজি ও ফলমূলের ৩০%
(https://bit.ly/2sXAXm2)
৩ বছর আগে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছিলো,“ সরকার আর হিমাগার নির্মাণ করতে চায় না ” (https://bit.ly/2TlhmYI)
সরকার যদি দেশজুড়ে হিমাগার নির্মাণ করতো, তবে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার খাদ্যসম্পদ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতো, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তো না, জনগণ স্বল্পমূল্যে খাবার পেতো, এছাড়া বেচে যেতো কৃষক সমাজ। এটাই মূলত উৎপাদনশীল খাত। কিন্তু সরকার সেটা না করে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের বানানোর ম্যাজিকে নেমেছে। কিন্তু এই ম্যাজিক দেশকে শুধু ঋণের মধ্যে জড়িয়ে দেবে, জনগণের লিভিংকস্ট বাড়িয়ে তুলবে।জনগণের খরচ কমাতে পারবে না।
শেখ হাসিনাকে বলবো, দয়া করে ম্যাজিশিয়ান নয় রাষ্ট্র পরিচালক হোন। ম্যাজিক দেখিয়ে হয়ত কিছু সময়ের জন্য কিছু মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন, কিন্তু সব সময়ের জন্য সব মানুষকে ধোঁকা দিতে কখনই পারবেন না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মেট্রোরেল : শুভঙ্করের ফাঁকি - ২


গত ২৫শে জানুয়ারী ‘মেট্রোরেল: শুভঙ্করের ফাঁকি’ আর্টিকেল লেখার পর কেউ কেউ আমার লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। আসলে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, সবার চিন্তাধারা যে এক হবে, এটা আমি কখনই ভাবি না, বরং প্রতিটা মানুষের চিন্তাধারা যে আলাদা এটাই বরং স্বাভাবিক।
তবে, মেট্রোরেল নিয়ে কিছু চিন্তা আমার মনে সব সময় উদ্রেক হয়-
১) সরকারী ভাবে মেট্রোরেলের মত একটি নতুন ও বড় সিস্টেম কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবনার দরকার আছে। সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে বলেছে, “লোকসান দিয়ে বিআরটিসি আর কতোদিন চলবে ? এভাবে সরকারি কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে গাড়ি কিনে এনে দেশের মানুষ কী সুফল পাচ্ছে দেখতে হবে। দেখা যাচ্ছে, অনেক দাম দিয়ে বিআরসিটি বাস কেনা হচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন পর ডাম্পিংয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে।” (https://bit.ly/2CMC38F) সরকার যেখানে বিআরটিসি সামান্য বাস সার্ভিস চালাতে পারছে না, সেখানে মেট্রোরেলের মত নতুন ডাইনামিক একই সিস্টেম তারা কতদিন চালাতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাছাড়া সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা সরকার নিজেই স্বীকার করে। দেখা যাবে, মেট্রোরেল চালু হলে বাসের যাত্রী কমে যাবে। তখন বাস মালিক সমিতি (যার বেশিরভাগ মালিক এমপি-মন্ত্রীরাই) সরকারকে ঘুষ দিবে যেন মেট্রোরেলগুলো কারণে অকারণে বসিয়ে রাখা হয়। এভাবে বসে থাকতে থাকতে মেট্রোরেলও এক সময় বিআরটিসির মত ভাগাড়ে চলে যাবে।
২) সরকার যখন চালাতে পারবে না, তখন কথা আসবে মেট্রোরেল বেসরকারীভাবে চালানোর । আর বেসরকারী মানে উচ্চভাড়া। মানুষ চায়, স্বল্পভাড়া ও সহজ যাতায়াত। কিন্তু বেসরকারীখাতে গেলে আর স্বল্পভাড়া সম্ভব হবে না। জনগণকে ঋণে ফেলে মেট্রোরেল বানানো হলো, জনগনের রাস্তা ছোট করে পিলার উঠলো, জনগণ ৩ বছর নির্মাণ যানজট সহ্য করলো, কিন্তু বানানোর পর সেটা জনগণের থাকলো না, হয়ে গেলো বেসরকারী কর্পোরেটদের, ফলে যে টাকা খরচ করতে পারবে, সে উঠবে, বাকিরা আগের মত নিচে সরু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবে। বাংলাদেশের যেহেতু অধিকাংশ মানুষ স্বল্প খরচে যাতায়াত করতে চায়, সেহেতু দেখা যাবে, ভাড়া বেশি হললে একবারে মেট্রোরেলের সব সিট ভড়বে না, তখন ১৪ জোড়া রেলের পরিবর্তে ৪-৫ জোড়া চলবে, ফলে সেই ৬০ হাজার যাত্রীর কথা বলে বানানো মেট্রোরেলে ৩-৫ হাজার যাত্র্রী চলাচল করবে।
৩) মেট্রোরেলকে বলা হয়, ‘এমআরটি’ বা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট। আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যাস র‌্যাপিড ট্র্যানজিটের বিরুদ্ধে নই, বরং পক্ষে। কিন্তু আমি বিরুদ্ধ হচ্ছি, যারা বলছে এই ম্যাস র‌্যাপিডি ট্র্যানজিটে মাধ্যমে যানজট হ্রাস পাবে, তাদের এ বক্তব্যের। বাস্তবে এমআরটির সাথে চলমান জনজট পরিস্থিতির কোন রিলেশন নাই। একটি উদহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। ধরে নিলাম মেট্রোরেল একসাথে ৬০ হাজার লোককে পরিবহণ করতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যাটা কি বেশি কিছু ? একটি হিসেবে দেখা যায়, ঢাকা শহরে দৈনিক ৫ হাজার নতুন লোক প্রবেশ করে। সেদিক বিবেচনা করলে ১২ দিনে প্রবেশ করে ৬০ হাজার লোক (https://bit.ly/2RQlqnc )। অর্থাৎ ঢাকা শহরে ১২ দিনে যে লোক প্রবেশ করছে ৩ বছর ধরে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল দিয়ে শুধু ততগুলো লোকের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই ঢাকার যানজট নিরসনে প্রথম চ্যালেঞ্জ সেই ৫ হাজার নতুন লোককে ঢাকায় প্রবেশ করতে না দেয়া, বাইরের জেলায় তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যাকে আমরা বলছি বিকেন্দ্রীকরণ।
৪) ‘এমআরটি’ বা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য মানুষ যেন ব্যক্তিগত পরিবহন বা প্রাইভেট কার জাতীয় পরিবহণ ব্যবহার না করে। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের জন্য জাপানের জাইকা যে মাস্টারপ্ল্যান দিয়েছে, সেখানে তারা প্রাইভেট মটরসাইকেল ব্যবহারেরও বিরোধীতা করেছে। তারা বলেছে, মটরসাইকেল যে হারে বাড়ছে তাতে খুব শিঘ্রই ঢাকায় যানজটের জন্য মটরসাইকেল দায়ী হবে। তাদের এ ধরনের বক্তব্য থেকে অবশ্য বুঝেছি, তারা ঢাকা সম্পর্কে সত্যিই খুব ধারণা রাখে। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে যারা প্রাইভেট গাড়ি চালায়, তারা কিন্তু মাঝের কোন স্থানে থামতে চায় না। যেমন- তারা বাড়ির গ্যারজ থেকে বের হয়ে অফিসের গ্যারেজে বা স্কুলের পার্কিং এ গাড়ি রাখে। কিন্তু এ লোকগুলো কিন্তু কখনই চাইবে না, গাড়ি ব্যবহার বাদ দিয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করতে এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে আরো ১ কিলো রাস্তা হেটে নির্দিদষ্ট গন্তব্যে পৌছাছে। হ্যা এটা সম্ভব ছিলো যদি মেট্রোরেল থেকে নামার পর পরিবেশ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মত হয়। কিন্তু দেখা যাবে, মেট্রোরেল থেকে নামার পর পরিবেশ সেই ভীড়যুক্তই হবে। সুতরাং প্রাইভেট কার তারা কখন বাদ দিবে না, মেট্রোরেলও প্রাইভেট গাড়ি বা মটরসাইকেল কমাতে পারবে না।
৫) ‘জাপান খুব ভালো কন্সট্র্যাকশন বানায়, তাই মেট্রোরেল খুব ভালো হবে ’ এসব কথা বলে কোন লাভ নেই। কারণ একজন বিক্রেতা চাইবে বাজারে তার পন্য ভালো কথা বলে ছড়াতে। জাইকার কাজ হলো বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে ঋণ দেয়ার নাম করে মেট্রোরেলের মত এসব অপ্রয়োজনী প্রকল্প গছায় দেয়া। ঋণ বলতে আসলে সেই ঋণ না। জনপার্কিন্সের লেখা ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন, এরা ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রকল্প বিক্রি করে, তারপর সেখানে কনসালটেন্সি, মালামাল, ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভিসিং উচ্চমূল্য দিয়ে মূল প্রকল্পের ৬০% নিজেরাই ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুরো টাকা সুদে আসলে আবার নেয়। এরপর সরকার সেই প্রকল্প চালাতে না পারলে ফের প্রকল্প চালিয়ে টাকা নেয়া নেয়। এরা হলো কর্পোরেট, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের জোগসাজসে একটি দেশে অর্থনৈতিক শাসন বিস্তার করে, যাকে বলা হচ্ছে কর্পোরেটোক্রেসি।
সরকার এই মেট্রোরেলের পর আরো ৪টি মেট্রোরেল, ৫টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি ট্র্যান্সপোর্ট হাবসহ অর্ধশতাধিক এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা বিদেশীদের থেকে ঋণ এনে বাস্তবায়নের চেষ্ট চলছে। আমরা চাইছি, যানজট নিরসন হোক, কিনতু সরকার চাইছে যানজট দীর্ঘজীবি হোক, কারণ যানজট যতদিন থাকবে, ততদিন তারা সেই মুলা ঝুলিয়ে বিদেশ থেকে ঋণ এনে এসব আজগুবি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবে, এবং নিজের পকেট ভরতে পারবে। যদিও বাস্তবে বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া অন্যকোন উপায়ে যানজট নিরসন কখনই সম্ভব না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মেট্রোরেল : শুভঙ্করের ফাঁকি


“মেট্রোরেল হয়ে ঢাকা শহরের যানজট কমবে”-এই কথাটা সরকারের অনেক মন্ত্রী-আমলারা বলেছে। তারা এক্ষেত্রে দুটি বাক্য ব্যবহার করেছে-
১) মাত্র ৩৭ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়া যাবে।
২) এক সাথে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে ।
(https://bit.ly/2DyXY51)

প্রথম কথাটি শুনে যদি আপনি মনে করেন, ট্রেনে উঠবেন আর ৩৭ মিনিট পর উত্তরা থেকে মতিঝিল চলে আসবেন, তবে কিন্তু ভুল করবেন। কারণ-
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন আছে, আর প্রতি স্টেশনে ট্রেন থামবে ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড পর পর (https://bit.ly/2Sa8fN2), সে হিসেবেও কিন্তু ১৫টি স্টেশন যেতে সময় লাগবে প্রায় ৫৩ মিনিট। আর যদি প্রতি স্টেশনে কমপক্ষে গড়ে ১ মিনিট দাড়ায় (৪-৫ মিনিট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়), তাহলে আরো ১৫ মিনিট যোগ করে ১ ঘণ্টা ৮ মিনিট।
আর ট্রেন যদি দ্রুত চলতে পারে, তবে হয়ত দ্রুত যাওয়া সম্ভব। ফ্লাইওভারগুলোতে কিন্তু যানবাহন আস্তে চলতে বলা হয়, ফ্লাইওভারে গতি দ্রুত করলে তার ক্ষতি হয়। তেহরানে মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ১০০, কিন্তু চলে সর্বোচ্চ ৩৭ কিলো গতিতে টানে। কারণ ৪-৫শ’ টন ওজনের একটি মেট্রো ১০০কিলো গতিতে টেনে নিলে দ্রুত ফ্লাইওভারে ফাটল ধরবে। তাই মেট্রোরেলের গতি কমিয়ে আনতে হয়। এছাড়া স্পট কাছাকাছি হওয়ায় এত বেশি গতি তোলাও সম্ভব না। এক্ষেত্রে মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৩০ কিলো বা তার নিচে হতে পারে। তাই মাত্র ৩৭ মিনিটে আসা যাবে, এ কথাটা আসলে ভুল এবং ১ ঘন্টার বেশি সময় লাগতে পারে।
(১ ঘন্টা ৮ মিনিট হওয়ার শর্ত: *যদি সকল রেলগাড়ি ভালো থাকে, *লাইনে কোন সমস্যা না থাকে, *যদি কোন স্টেশনে কোন সমস্যা না হয়, কারণ একটি রেলগাড়ি স্টেশন না ছাড়লে অন্যটি ঢুকতে পারবে না এবং *যদি সকল স্টেশনে যাত্রীরা নিয়মশৃঙ্খলা মেনে উঠতে পারে)

দ্বিতীয় কথাটার হিসেব মিলাচ্ছি।
সংবাদ হিসেবে মোট ১৪ জোড়া মেট্রোরেল চলবে (https://bit.ly/2Hx0I72)। যদিও বলা হচ্ছে, প্রতি মেট্রোরেল বসে ও দাড়িয়ে দেড় হাজারের উপরে যাত্রী নিতে পারবে। কিন্তু কথা হলো মাথার উপর দিয়ে চলা প্রতি মেট্রোতে কতগুলো করে বগি থাকবে ? প্রতি বগিতে বসে দাড়িয়ে যেতে পারে প্রায় দেড়শ’ যাত্রী। প্রতি বগির ওজন হবে ৭০ থেকে ১০০ টন। তাহলে মাথার উপরে একটি ট্রেন সর্বোচ্চ কতগুলো বগি বহন করতে পারবে ? এটা ঠিক মাটির নিচে সাবওয়েতে প্রচুর যাত্রী নেয়া যায়, কিন্তু ফ্লাইওভারের উপরে মেট্রোতে কিন্তু এত ওজন বহন করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে তিনটির বগি বহন করলে দাড়িয়ে বসে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪শ’ জন যাত্রী যেতে পারবে। যদিও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে দেড় হাজার যাত্রী এক সাথে যেতে পারবে, তাহলে কিন্তু প্রতি গাড়িতে কমপক্ষ ১০টি বগি বহণ করতে হবে। তখন ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী যেতে পারবে। তাইওয়ানের মত প্রযুক্তিতে উন্নত রাষ্ট্রে মেট্রোরেল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ক্যাপাসিটি দেয়, সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে ৬০ হাজার ক্যাপাসিটির ঘোষণা দিলো তা আমার মাথায় আসে না। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতেরে চেন্নাইয়ে প্রতি মেট্রোতে দেখলাম ৩টি করে বগি। বাংলাদেশও এর থেকে বেশি দিতে পারবে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ১৪ জোড়া ট্রেন সর্বোচ্চ ১২,৬০০ যাত্রী বহণ করতে পারবে, ৬০ হাজার চিন্তা করা স্বপ্নেও সম্ভব না।

এতো গেলো কোন সমস্যা না হলে সহজ হিসেব, এবার আসুন দেখি সমস্যা হলে কি হবে –
ক) প্রতি স্টেশনে ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের দাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু যাত্রী উঠতে-নামতে কিংবা গাড়ি ছাড়তে যদি এর বেশি সময় লাগবে, তবে ৩ মিনিট ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট হতে পারে। তখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌছাতে ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিটের স্থানে দুই আড়াই ঘন্টা খুব স্বাভাবিক।
খ) মোট ২৮টি রেল যদি সুস্থ থাকে তবে ১২ হাজার যাত্রী চলাচল করবে। কিছু আগে দেখলাম বিআরটিসি কিছু ভালো ভলবো বাস সার্ভিসিং এর অভাবে অকেজো করে ফেলেছে (https://youtu.be/Zs_o8pqUjGo)। সরকার যেখানে সামান্য বাস সার্ভিসিং ঠিক রাখতে পারে না, সেখানে মেট্রোরেলগুলো সুস্থ রাখবে কিভাবে ? ১ বছরের মধ্যে ২৮টা মেট্রোরেলের মধ্যে যদি ৭টা নিয়মিত চলে তবে ঢাকাবাসীকে আনন্দিত হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, তখন কিন্তু ১২ হাজার যাত্রী ৩ হাজারে নেমে আসবে। অর্থাৎ মুখে বলেছে ৬০ হাজার, কিন্তু ১ বছরে নেমে হবে ৩ হাজার।
গ) রেল নষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ যদি রাস্তায় কোন রেল নষ্ট হয়ে থেমে যায় তখন দেখা যাবে পুরো রেল ব্যবস্থা থেমে যাবে। আর এটা রাস্তা নয়, ফ্লাইওভারের উপরে। ইচ্ছে হলেই কেউ স্টেশন ছাড়া নামতে পারবে না। ফলে কোন রেল নষ্ট হলে হৈচৈ পড়ে যাবে, কারণ মানুষ উপরে আটকা পড়ে থাকবে।
ঘ) দেশে রেললাইন স্থলে হলেও তার খুব বেহাল অবস্থা। কোন স্থানে লাইনে সমস্যা হলে জনগণ জানায়, রেল বিভাগের খবর নেয়ার সময় কোথায় ? মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে লাইন হবে উপরে, আপনার কি মনে হয় সরকার প্রতিদিন এই ১২-১৪ কিলো লম্বা লাইন টেস্ট করবে ? ফলে কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটলে রেলের বগি শুধু উপর থেকেই পড়বে না, জনগণের ফেইথ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।
ঙ) মেট্রোরেলের জন্য যে ১৬টি স্টেশন করা হবে, সেগুলো নুতন করে যানজটের জন্ম দিবে। এমন হবে, শেষে ৩ হাজার যাত্রী বহণ করতে ৩০ লক্ষ লোকের যাতায়তের সমস্যা তৈরী করবে। সরকার এসব স্টেশনে যাত্রী উঠতে অটো সিড়ির জন্য ঋণ নিয়ে খরচ করছে। কিন্তু এই অটো সিড়ি কতদিন চলবে তা প্রশ্নের বিষয়। তাছাড়া খুব কম যায়গায় মধ্যে যাত্রী উঠতে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক।

এবার আসুন, মেট্রোরেলের কিছু আনুসাঙ্গিক দিক আলোচনা করি-
- জাপান থেকে ঋণ এনে, দেশকে ঋণের মধ্যে ফেলে ডুবিয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ? এই ঋণের টাকা তো জনগণকে ট্যাক্স-ভর্তুকি আর চাল-ডালের অতিরিক্ত দাম দিয়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে।
- স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে, কোন একটি প্রজেক্ট পরীক্ষামূলক করে তার ভালো মন্দ যাচাই করে তারপর সেটাকে হ্রাস-বৃদ্ধি করা। কিন্তু সরকার ১টি মেট্রোরেলের বাস্তবতা না দেখেই আরএসটিপি প্রজেক্টের আন্ডারে আরো ৪টি মেট্রোরেল বানানোর ঘোষণা দিয়েছে। (https://bit.ly/2Hx0MDK)
- ঋণ নিলেই শুধু হবে না, ঋণের টাকা সুদ আসলে পরিশোধ করতে হবে। এ বছর বাজেটে প্রায় ৫০ হাজার কোটি ছিলো শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ। উল্লেখ গত কয়েকদিন আগে মেট্রোরেল প্রজেক্টের ঋণ দাতা জাপান সরকারের জাইকা তাদের ঋণের সুদ ৬ গুন বৃদ্ধি করে, যদি দৈনিক যুগান্তরের খবর সরকারের পক্ষ থেকে তা কঠিনভাবে সেন্সর করা হয়।(https://bit.ly/2Wk9Yyr)

- বর্তমানে মেট্রোরেল বানানোর কারণে প্রচুর যানজট তৈরী হচ্ছে। যে প্রজেক্টে ১ বছর পর মাত্র ৩ হাজার লোক যাতায়ত করবে, সেটার জন্য এখন প্রতিদিন যানজটে ফেলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট দেয়া এবং ভবিষ্যতেও সরু রাস্তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যানজটে আটকে থাকার দায় কে নেবে ? এর বদলে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকা শহরকে যদি বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিতো সরকার তবে মানুষ কমে অটোমেটিক যানজট হ্রাস পেতো।

আমি নিশ্চিত, হাজার কোটি টাকা খরচ করা মেট্রোরেল প্রকল্প খুব শিঘ্রই একটি বাতিল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। হয় মেট্রোর ফ্লাইওভারগুলো তখন কুকুর বিড়ালের অভয়ারণ্য হবে, গাজিয়ে উঠবে গাছ, অথবা যদি ২-৪টি হেলে দুলে চলেও, সেটা হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিরাপদ ডেটিংস্থল, কারণ একমাত্র তারাই সময় নিয়ে চিন্তা করবে না, ২ ঘণ্টার যায়গায় ৪ ঘণ্টা হলেও তাদের কোন সমস্যা-ই নেই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বিপিএল মাধ্যমে দেশের জনগণের টাকা লুটতরাজ করে বিদেশে পাচার হচ্ছে না তো ?


গত ২১শে জানুয়ারীতে ওলামালীগ বিপিএলকে জুয়ার আসর বলাতে দেখলাম অনেকে ক্ষেপে গেলো। খোদ আওয়ামীলীগ পর্যন্ত বললো, ওলামালীগ তাদের কেউ না। অথচ এর পরদিন দৈনিক মানবজমিনের হেডিং হলো “ক্রিকেট জুয়ায় কাঁপছে দেশ” (https://bit.ly/2Tb5fxo)। 
আপনাদের মনে থাকার কথা, ১ বছর আগে একটি অনলাইন জুয়ার সাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছিলো প্রায় ৩শ' কোটি টাকা (https://bit.ly/2AWxZ5W)। এটা শুধু একটি সাইটের হিসেব, এরকম ডজন ডজন জুয়ার সাইট আছে অনলাইনে। খবরে প্রকাশ, ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্র ঘরে ঘরে ছেলেপেলেরা ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। সেখানে প্রতি বলে বলে, প্রতি প্লেয়ারে প্লেয়ারে ধরা হয় বাজি। বিটিআরসি দায় সারতে নামে মাত্র কিছু সাইট বন্ধ করেছিলো। কিন্তু সেটা গত বছরের কথা, এ বছর গজিয়ে গেছে আর কয়েকগুন জুয়ার সাইট। এগুলো তো গেলো সাইট ভিত্তিক জুয়া, এছাড়া জনআড়ালে থাকা জুয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
(বেট৩৬৫ তে দেখুন আজকের খেলার কোন কোন বিষয় নিয়ে জুয়া হচ্ছে: https://bit.ly/2U9vmVt)

সত্যিই বলতে, একটা খেলার মূল্য কত ? ১০ কোটি, ২০ কোটি ?
কিন্তু সেটার জুয়ার মূল্য যখন ১০ হাজার কোটি হয়, স্বাভাবিক সেটা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবেই।
আর খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করলে তা অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাবগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রাপ্ত হবে। কারণ দেশবিদেশ থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনা এসব মূল্যবান প্লেয়ারকে মাঠে নামিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভ কি ? তার কোন উপায়ে ইনকাম করে ? সবটাই কি ক্রিকেট প্রেম ? নাকি আড়লে আরো ঘটনা আছে ?
বাস্তবতা হলো ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা তাদের ভাড়া করার খেলোয়াড় দিয়ে মাঠে নাটক সাজাবে আর সাধারণ মানুষ সেই নাটকে অংশ নিয়ে বোকার মত হারাবে কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষ দেখবে, একজন প্লেয়ারের হাত থেকে ক্যাচ মিস হচ্ছে, অথচ এটা বাহ্যিক দৃশ্য, ভেতরের কথা হলো ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, এত রান করার আগে কেউ ক্যাচ ধরতে পারবে না। হঠাৎ করে একজন প্লেয়ার এমন লুজ বল করছে যেন ছক্কা মারা সহজ হয়, সাধারণ মানুষ ভাবছে এটা এমনি এমনি, কিন্তু অন্তরালের কথা হলো তাকে বলাই হয়েছে ছক্কা মারার মত লুজ বল করতে। খুব ভালো প্লেয়ার যার জন্য রান করা কোন ব্যাপার না, কিন্তু সেই আজেবাজে শট খেলে তার উইকেট হারিয়ে আসছে, কিংবা ইচ্ছা করে রান আউট হয়ে যাচ্ছে। দর্শক এগুলো দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্দা আড়লে দাড়ানো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বলেছে সেভাবে খেলতে। কারণ তাদের সাথে সংযোগ আছে বিভিন্ন জুয়ার কোটের। সেখানে হার জয়ের পক্ষে ধরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেখানে ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, তাই খেলাকে কমবেশি করছে তারা, ধোকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই যে তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেট নামক জুয়াতে মত্ত করা হয়েছে, তারা দেশের টাকা দিয়ে অনলাইনে ডলার কিনে জুয়াতে টাকা লাগাচ্ছে। সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী জুয়ারীরা, আর সেই জুয়ারীদের হাতে হাত রেখে সেই টাকার ভাগ খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। আসুন দেখি তারা কারা -
১) ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিক সালমান এফ রহমান
২) সিলেট সিক্সার্সের মালিক আবুল মাল আব্দুল মুহিত
৩) রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপের আব্দুস সোবহান
৪) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
৫) খুলনা টাইটান্সের মালিক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ

আমি জানি, আপনি বলবেন, তারা যে জড়িত, তার দলিল কি ?
এটা ঠিক আমার কাছে দলিল নেই। কারণ তারা যে পর্যায়ের এমপি-মন্ত্রী-ক্ষমতাবান তারাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই নির্ধারণ করে দেয় কে অপরাধী আর কে অপরাধী না। সুতরাং আমি কিভাবে ডাইরেক্ট তার দলিল পাবো ? ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের নাম দেখে বুঝি এখানে তারাই আছে, যারা শেয়ার মার্কেটে দরিদ্রদের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে পাঠিয়ে দেয়, এরা তো তারাই যারা ভূমিদস্যুতা করে গরীবের জমি মেরে বড় বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট করে। তারাই যখন ফ্রাঞ্চাইজি দল খুলে, তখন অনুমান করতে পারি, এত এত খরচ করে তাদের লাভটা আসলে কি ?
কিছুদিন আগে ভারতের আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক চিত্রনায়িকা প্রীতি জিনতা বলেছিলো, ‘অনেকেই এখন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। যেহেতু কোনো ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেহেতু আইন করে বেটিং বৈধ করে দেয়া উচিত। এতে করে সরকারের কোষাগারে অনেক টাকা জমা পড়বে ।” (https://bit.ly/2Dtzqds) তারমানে আইপিএল’র অনুকরণে বলতে পারি, বাংলাদেশ সরকারও যতই লোক দেখানো অমুক-তমুক গ্রেফতার করুক, বিটিআরসি অমুক-তমুক বেটিং সাইট বন্ধ করুক, এতে কোন লাভ হবে না, বরং ফ্রাঞ্চাইজির জুয়ার কানেকশনকে লোকচক্ষুর আড়াল করাও সরকারের একটি মহলের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়। তাছাড়া আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ টানা ৩ টার্ম ক্ষমতায় থেকে আগে থেকে অনেক স্ম্যার্ট হয়েছে, তারা এখন দুর্নীতি করে, কিন্তু কৌশলে করে। জনগণকে দেখায় ক্রিকেট, কিন্তু আড়ালে থাকে টাকা মারার ফন্দি।

নির্বাচনের সময় দেখেছি, আওয়ামী সরকার জনগণকে কি দিয়েছে ? – এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
কেউ বলেছে ব্লাউজ দিয়েছে, কেউ বলেছে মোবাইল দিয়েছে, কেউবা বলেছে বিউটি পারলার দিয়েছে।
কিন্তু আমি বলবো, আওয়ামী সরকার বিপিএল’র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জুয়া দিয়েছে। জনগণকে জুয়াতে জুয়াতে মাতিয়ে দিয়েছে। সাবাস ! আওয়ামীলীগ সাবাস !


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

গরীবের জুয়ারী অর্থমন্ত্রী


এবার নতুন অর্থমন্ত্রী হয়েছে আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। মুস্তফা কামাল সাহেব এসেই ঘোষণা দিয়েছেন, ৩ লক্ষ কোটি টাকা খাজনা আদায় করবেন (https://bit.ly/2sfqgec)। শুনেছি তিনি একজন সিএ। দেশের অর্থনীতি বোঝার জন্য সিএ পাশ করা লোকের দরকার আছে, কিন্তু খাজনা আদায়ের জন্য সিএ পাশ করা লোকের দরকার নাই। দরকার ভালোমাপের একজন কোতোয়ালের।

ছোট বেলায় কবিতা পড়েছিলাম, “ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুরল, পান ফুরল খাজনার উপায় কি? আর ক'টা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।”

ছোটবেলার কবিতা থেকে শিখেছিলাম, খাজনার দেয়ার আগে রসুন বুনাতে হবে। অর্থাৎ উৎপাদন করতে হবে। যদি উৎপাদনই না হয় তবে খাজনা আসবে কোথা থেকে ?
একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের আগে উচিত ছিলো কিভাবে দেশের উৎপাদন বা প্রডাকশন বানানো যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া। কিভাবে বিদেশী পণ্য আমদানি বন্ধ করে, তা দেশে উৎপাদন করা যায়, কিভাবে রফতানি বাজার আরো সক্রিয় করা যায়, কিভাবে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস করে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া। কিন্তু আশ্চর্য ঘোষণা আসলো ঠিক তার উল্টো, মানে খাজনা আদায় নিয়ে।

মুস্তফা কামাল নামটি কারো অপরিচিত হয়। তিনি গতবারের পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে এবারের টার্মে তাকে করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী হিসেবে। তবে বাংলাদেশে খেলামত্ত জনগণের কাছে মুস্তফা কামাল বেশি পরিচিত বিপিএল ক্লাব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক (যদিও প্রদর্শন করা হয় তার মেয়েকে) হিসেবে। সত্যিই বলতে বিপিএল খেলা দেখলে চোখ ছানাবড়া হতে হয়। বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর হয়ে খেলতে আসে উচু ভাড়ার প্লেয়াররা। ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্স, শহীদ আফ্রিদী, স্টিভ স্মিথ, ড্যারেন ব্রাভো বা ক্রিস গেইলের মত প্লেয়ারদের ভাড়া করে আনা হয় কোটি কোটি টাকা খরচ করে। বাংলাদেশের মত রাষ্ট্র যেখানে ২১% শতাংশ মানুষ চরম শ্রেণীর দরিদ্র, ৫ কোটি শিক্ষিত বেকার, সেখানের অর্থমন্ত্রীর ক্লাব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে শহীদ আফ্রিদী, ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে এভিন লুইস, ১ কোটি টাকা দিয়ে স্টিভ স্মিথ আর ১ কোটি টাকা ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে থিসেরা পেররাকে কিনে আসে মজমা করার জন্য (https://bit.ly/2C8aF4Q)। একজন অর্থমন্ত্রীর জন্য এ ধরনের অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কতটুকু গ্রহণযোগ্য হতে পারে ? শুধু কি তাই, এই বিপিএলের কারণে পুরো দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জুয়ার আসর। এমন কোন দোকান, ক্লাব, মেস, হোস্টেল নাই যেখানে জুড়ার আসর বসছে না। জুয়া খেলে মানুষ হচ্ছে সর্বস্বান্ত্ব, জুয়ার কারণে হচ্ছে খুন, ঘটছে আত্মহত্যা, জুয়ার টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে আঘাত করছে সন্তান, টাকা না পেয়ে শেষে নিজের স্ত্রীকে তুলছে জুয়ার বাজিতে। আর বড় বড় জুয়ায় পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে মুস্তফা কামালদের ক্লাবগুলো।

বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে বিপিএল’র মত বিরাট অপচয় দেশের জন্য যে কত বড় ক্ষতি, সেটা বোঝার দরকার আছে। শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশী প্লেয়ার কিনে আনছে ক্লাবগুলো। সেই টাকা উঠাতে দিচ্ছে বিজ্ঞাপন। দেশ-বিদেশী কোম্পানিগুলো সেই বিজ্ঞাপনের মূল পরিশোধ করছে ঠিকই, কিন্তু তার বহুগুন তুলে নিচ্ছে জনগণের পকেট থেকে। বিষয়টা অনেকটা ফুটপাতের দাড়িয়ে ক্যানভাসের মজাদার কথা শোনার মত। একদিকে তাদের চটকদার কথা শুনবেন, পেছনে তাদের লোকই আপনার পকেট মেরে দেবে।
গতবারের অর্থমন্ত্রী জুয়ারী ছিলো না, কিন্তু তারপরও রিজার্ভে জনগনের কষ্টে জমানো অর্থের ৮১ মিলিয়ন ডলার চলে গিয়েছিলো ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে । আর এবার অর্থমন্ত্রী বানানো হলো পাক্কা বিপিএল জুয়ারীকে। এবার রিজার্ভের বাকি টাকাগুলো থাকবে তো ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, July 1, 2018

“নতুন সেনাপ্রধানের ছোট ভাই খুনি সন্ত্রাসী”, এই তথ্য প্রকাশ করার কারণে বিডিনিউজ২৪ বন্ধ করতে চেয়েছিল সরকার

হঠাৎ খবরে পড়লাম বিডিনিউজ২৪ সাইটি বন্ধ করতে বলেছে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
(https://www.bbc.com/bengali/news-44519564)
পরে আবার খুলে দেয়া হলো।
কিন্তু কোন খবরে উল্লেখ নাই, ঠিক কি কারণে এই বন্ধ আবার পরে খোলা।
এ সম্পর্কে খবরে এসেছে-
বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিটিআরসি নির্দেশনা দিয়েছে সরকারের উপর মহলের নির্দেশে।”
কী কারণে- জানতে চাইলে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি জহুরুল হক।
(https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1507887.bdnews)
কিন্তু কোন খবরে উল্লেখ নাই, ঠিক কি কারণে এই বন্ধ আবার পরে খোলা।
পরে ঘাটাঘাটি করে বুঝলাম, সম্ভবত একটা খবরের জন্য এমন করা হয়েছে।
খবরের শিরোনাম- “নতুন সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ”
গতকালকে এই খবরে শেষে দুটো লাইন ছিলো-
“ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ জোসেফের কারণে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছিল সেনা কর্মকর্তা আজিজ আহমেদের নাম। নব্বইয়ের দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পান।”
(সূত্র: https://archive.is/bCDQG)
কিন্তু পরে ঐ লাইন দু’টি কেটে নিউজ ইডিট করে বিডিনিউজ২৪-
তারমানে “নতুন সেনাপ্রধানের ছোট ভাই খুনি সন্ত্রাসী”, এই তথ্য প্রকাশ করার কারণে বিডিনিউজ২৪ বন্ধ করতে চেয়েছে সরকার।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, May 24, 2018

ভারতীয় পেঁয়াজে ছেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মার্কেট

এর কারণ ভারতীয় পেঁয়াজকে শুল্কমুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এতে ভারতীয় পেয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। ফলে বড় হয়ে গেছে ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজের দামের পার্থক্য।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে এখনও একটা বর্ডার আছে। বাংলাদেশ ও ভারত এক দেশ নয়। ভারত থেকে যখন কোন পণ্য বাংলাদেশে আসবে তখন বাংলাদেশ সরকারের শুধু ভারতীয় পণ্যের দামের দিকে তাকালে হবে না, তাকাতে হবে বাংলাদেশে তৈরীকৃত ঐ পন্যের অবস্থার দিকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ঐ পণ্যের দাম কত সেটা বিবেচনা করে শুল্ক আরোপ করতে হয়। এই বিষয়টিকে বলে ‘ট্রেড ব্যারিয়ার’। একটা দেশে যখন ট্রেড ব্যারিয়ার উঠে যায় আর ঐ দেশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া একই কথা।
কিন্তু সরকার যদি নিজেই সেই ট্রেড ব্যারিয়ারের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে, মানে শুল্ক ফ্রি করে দেয়, তখন তা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। কমমূল্যের জিনিস প্রবেশ করলে হয়ত দৃশ্যত কিছু মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচেনায় দেশের ক্ষতি হবে। কারণ দেশের কৃষকরা বসে যাবে, আমরা ঐ পণ্যের জন্য পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবো। এবং নির্ভরশীল হয়ে গেলো পরবর্তীতে তারা একচেটিয়া আমাদের উপর বিজনেস খাটাবে।
ছোট বেলায় এক হিন্দু শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম, সে আমাকে মাঝে মাঝে ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পলিসি সম্পর্কে ধারণা দিতো। একদিন সে বলেছিলো, ভারত সরকার চালের পেছনে অনেক ভর্তুকি দেয় এবং সেই সেই ভতুর্কি দেয়া চাল কমমূল্যে বাংলাদেশে পাঠায়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যের ভারতীয় চাল প্রবেশ করাতে হয়। এভাবে ২০-৩০ বছর ভর্তুকি অব্যাহত রেখে কমমূল্যে ভারতীয় চাল প্রবেশ করলে এক সময় বাংলাদেশের কৃষকরা ধান চাষ পরিহার করবে, তখন একচেটিয়া বাংলাদেশের চালের মার্কেট কন্ট্রোল করবে ভারত। তখন আগের ক্ষতি সুদে-আসলে পুষিয়ে নেবে।
আমি সময় সময় একটা কথা বলি, মুসলমানরা ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কিন্তু জাতিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় না। এ কারণে মুসলমানদের আজ এই অবস্থা।
ভারতীয় পেয়াজের দাম কম, এই কারণে হয়ত বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় পেয়াজকে গ্রহণ করছে। কিন্তু ক্ষণিকের লাভ পেতে গিয়ে, দীর্ঘমেয়াদীভাবে সে যে তার দেশকে অন্যের উপর নির্ভর করে দিচ্ছে বা নিজের স্বাধীনতা হারাচ্ছে এটা সে অনুধাবন করতে পারছে না।
অপরদিকে পুরো সিস্টেমটাতে জনগণকে প্রলুব্ধ করছে এক শ্রেণীর আমদানিকারী ব্যবসায়ী। আমার জানা মতে, আমদানিকারী গোষ্ঠিটি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক দলের লোকজনই। তারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমদানি করতে চায়। কারণ আমদানি করলে সহজে লাভ পাওয়া যায়। এজন্য তারা প্রথমে যেটা করে, দেশীয় জিনিসের স্বল্পতা তৈরী করে বা দাম বৃদ্ধি করে। এটা তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাহায্যেই করে। এরপর সেই শূণ্য স্থানে তারা বিদেশী আমদানি করা জিনিস নিয়ে আসে। এতে খুব সহজেই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়।
যেমন,
-দেশের ফল আম’কে সিস্টেম করে আটকে রেখে ভারতীয় আম প্রবেশ করানো।
অথবা
- বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না কিংবা গ্যাসের দাম দ্বিগুন করে, বিদেশ থেকে এলপি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের মানুষকে নিজের দেশেরটা রেখে বিদেশীটা খাওয়াতে বাধ্য করা।
একই জিনিস ঘটেছে পেয়াজের বেলায়ও। দেশের পেয়াজের মৌসুমেও পেয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়িয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত করে পেয়াজ আমাদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতে পেয়াজের দাম বাংলাদেশী টাকায় ৫ টাকা কেজি, সেই পেয়াজ শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ১৩ টাকায় এবং খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ বিরাট ব্যবসা করছে ঐ বিশেষ শ্রেণীটি। মাঝখান দিয়ে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী কৃষকশ্রেণীকে।
আরেকটি কথা আপনারা সবসময় মনে রাখবেন, ভারতীয় পণ্য হলে বাংলাদেশীদের অনেক যাচাই করে খাওয়া উচিত। কারণ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশ সরকার কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করায়, যেটা অন্য দেশ করে না। এমনিতেই ভারতীয় পেয়াজ খুব নিম্নমানের হয়। তার উপর ভারতীয়রা সেই পণ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কিছু প্রবেশ করায় তবে সেটা ধরার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্যবস্থা নেই। আপনাদের মনে থাকার কথা, কয়েকবছর আগে এক ইন্ডিয়ান ফেসবুকে বলেছিলো, তারা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমে ক্রনিকরোগের জীবাণূ বাংলাদেশে প্রবেশ করায়, এতে তারা ব্যবসাও করে, আবার সেসব রোগের চিকিৎসা করতে বাংলাদেশের মানুষ ভারতেরই যায়। এতেও তাদের লাভ হয়। তবে খুব ভয়ের বিষয় অতি সম্প্রতি পৃথিবীতে সুপারবাগ ও ডিজিস-এক্স নামক দুটো মৃত্যুরোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে অনেকে। আমার ধারণা ইহুদীবাদীরা এই রোগ দুটি ছড়িয়ে বড় ধরনের ব্যবসা ফাদ করচে। আর ভারত যেহেতু ইসলাইল ও আমেরিকার বড় দালাল তাই বাংলাদেশে যদি এমন কিছু প্রবেশ করে তবে সেটা ভারত তথা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ডোর টু ডোর আসা সম্ভব। তাই সব ধরনের ভারতীয় পণ্য (চাল, ফল, পেয়াজ, গরু, ঔষধ, কাপড় ইত্যাদি) থেকে বাংলাদেশীদের সাবধান থাকা জরুরী।
তথ্যসূত্র:
১) বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে তিনগুন পেয়াজ আমদানি : https://bit.ly/2IGPOM4

২) বেনাপোল দিয়ে ৭ দিনে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি :https://bit.ly/2GMTSVf


৩) শুল্কমুক্ত ভারতীয় পেঁয়াজ : https://bit.ly/2LpuKY8


৪) ভারতে ৪ রুপির পেঁয়াজ বাংলাদেশে ৩০ টাকা : https://bit.ly/2LrSBGT


৫) সুপারবাগ আতঙ্ক : https://bit.ly/2IG4I56


৬) আসছে ডিজিজ এক্স : https://bit.ly/2FI9V7f


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------