Showing posts with label দুর্যোগ-দুর্ঘটনা. Show all posts
Showing posts with label দুর্যোগ-দুর্ঘটনা. Show all posts

Wednesday, February 27, 2019

চকবাজারে আগুনের মূল কারণ ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন’

নিমতলী আর চকবাজার এই দুই অগ্নিকাণ্ডের মাঝের তফাৎ ছিলো ১টি মাত্র বিষয়।  সেটা হলো ‘কেমিকেল ট্রেড লাইসেন্স’।  ২০১০ সালে নিমতলীর ঘটনার অজুহাতে ২০১৩ থেকে আর কোন ব্যবসায়ীকে কেমিকেল ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়নি, কিন্তু ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে অবশেষে সরকার ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে আবার ফিরে আসে। এবং আগুন লাগার মাত্র ১ দিন আগে ৫টি কোম্পানিকে ট্রেডলাইসেন্স নবায়ন করে দেয়।  দীর্ঘ ৬ বছর পর ট্রেড লাইনেন্স নবায়ন শুরু করার পরের দিনই অর্থাৎ ২০শে ফেব্রুয়ারী আগুন লাগে এবং আবারও কথিত কেমিকেল বিরোধী সেন্টিমেন্ট ছড়িয়ে দেয়া হয়।  (https://bit.ly/2VpCUEf, https://bit.ly/2BVFZ7u)

এ সংবাদটি বলে দিচ্ছে, চকবাজারের আগুনের সেন্টার পয়েন্ট হচ্ছে, কেমিকেল লাইসেন্স নবায়ন।  কোন একটি গোষ্ঠী চাইছে না, কেমিকেল ব্যবসা থাকুক।  যেই লাইসেন্স নবায়ন শুরু হলো, আবার আগুন লাগিয়ে সেটা বন্ধ করে দেয়া হলো।  কিন্তু কথা হলো, এতে ঐ গোষ্ঠীর লাভ কি ?

কেমিকেল ব্যবসায় লাইসেন্স না দেয়ায় ২০১৮ সালে অগাস্টে কেমিকেল ব্যবসায়ীরা মতিঝিলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলো, “কেমিকেল সম্পর্কে ভুল রটানো হচ্ছে।  প্রত্যেকটি কারখানায় কেমিকেল প্রয়োজন হয় এবং সব কেমিকেলই দাহ্য নয়।  কিন্তু রটানো হচ্ছে সব কেমিকেল খারাপ।  আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য সবকিছুর মধ্যে কেমিকেল আছে। ”(https://bit.ly/2Ex5sFX)

এ খবর দ্বারা ব্রডওয়েতে একটা কথা বলা যায়, যারা চায় না বাংলাদেশে কেমিকেল ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স পাক, আসলে প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না পুরান ঢাকায় কোন কারখানা চলুক বা প্রডাকশন বা উৎপাদন হোক।

উৎপাদন বা প্রডাকশন কি ? কেন বিদেশী বহুজাতিকরা বাংলাদেশে প্রডাকশন বিরোধী ??

একটা ডিম, একটু তেল, একটু আটা মিলে হচ্ছে একটা কেক।  ডিম, কেক আর আটার সব মিলিয়ে খরচ ১০ টাকা। কিন্তু একটা কেকের দাম ৩০ টাকা।  এই যে ১০ টাকাকে ৩০ টাকায় রূপান্তর করা হলো, এইটা হলো প্রডাকশন বা উৎপাদন।

ধরুন, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস পাওয়া গেলো।  এই গ্যাস রফাতানি করা কি লাভজনক ?
না, কোন র’ ম্যাটেরিয়াল রফতানি করা লাভজনক নয়।  ঐ গ্যাস দিয়ে যদি বিদ্যুৎ তৈরী করে, সেই বিদ্যুৎ রফতানি করা হয়, তবে লাভ অনেক বেশি হবে।  গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরীকে আমরা বলছি প্রডাকশন বা উৎপাদন।

বাংলাদেশের শ্রমিকরা বিদেশ যায়।  এই শ্রমিক পাঠানো কি লাভজনক ?
না।  এই শ্রমিকদের ট্রেনিং দিয়ে, কোন দেশী কোম্পানির আন্ডারে দেয় হয় এবং তারপর ঐ কোম্পানিকে যদি রফতানি করা হয়, তবে এর মাধ্যমে আরো বহুগুণ লাভবান হওয়া সম্ভব।  র’ শ্রমিক থেকে কোম্পানি বানানোটা এক ধরনের প্রডাকশন বা উৎপাদন।

অর্থাৎ কোন র’ মেটেরিয়াল রফতানি করা লাভজনক নয়, বরং সেই র’মেটেরিয়াল দিয়ে কোন প্রডাক্ট বা সিস্টেম বানিয়ে সেটা রফতানি করলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায়।  এই জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন র’ মেটেরিয়াল রফতানির পক্ষে নই।

আবার আমদানির ক্ষেত্রে ঠিক উল্টা।  মানে র’ মেটেরিয়াল আমদানি বা সংগ্রহ করে যদি আমরা নিজেরা কোন প্রডাক্ট তৈরী করতে পারি তবে খরচ অনেক কমানো সম্ভব এবং সেটাই লাভজনক।   একাধিক র’ মেটেরিয়াল এক করে যারা নতুন প্রডাক্ট তৈরী করতে পারে, তাদের বলে কারিগর।  পুরান ঢাকায় বর্তমানে এমন অনেক কারিগর তৈরী হয়েছে, যারা দুই-চারটা প্রডাক্ট এক করে নতুন প্রডাক্ট তৈরী করতে পারে বা প্রডাকশন করতে পারে।  এই সকল কারিগরের কারণে আমরা অনেক খরচ থেকে বেচে যাই, যা আমরা নিজেরাই জানি না।  উদাহরণ স্বরূপ, পুরান ঢাকায় অসংখ্য রং এর অনেক দোকান আছে।  এরা ৩-৪টা কেমিকেল মেটেরিয়াল এক করে ব্যবহার্য রং তৈরী করতে পারে।  ধরেনিলাম, পুরান ঢাকা থেকে ১ পাউন্ড রং বানানোর পর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।  কিন্তু বিদেশ থেকে তৈরীকৃত সমপরিমাণ রং এর দাম পড়তো ১ হাজার টাকা।  এক্ষেত্রে বাংলাদেশে উৎপাদন বা প্রডাকশনের কারণে ৯০০ টাকা সেভ হচ্ছে।  এতে জনগণও কমমূল্যে জিনিস পাচ্ছে আবার অনেক লোকেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে।  আজকে ফেসবুক-অনলাইনে যে অতি উৎসাহি সমাজ কেমিকেল কারখানা গুদাম সরাও, সরাও বলে চিৎকার করছে, আমার ধারণা- তারা নিজেরাও জানে না, তার দৈনন্দিন ব্যবহার্য অনেক কিছুই আসে পুরান ঢাকার সেস কারখানা থেকে।  এসব উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে তাকে অনেক কিছুর জন্যই বিদেশ নির্ভর হতে হবে এবং এ কারণে তার জীবনব্যয় কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।

শেষে শুধু একটা কথাই বলবো-
নিমতলীর ঘটনার পর লাইসেন্স নবায়ন না হলেও পুরান ঢাকা থেকে কিন্তু কেমিকেল সরে নাই।  বৈধ-অবৈধ যেভাবেই হোক তারা ব্যবসা চালিয়ে গেছে।  এই সময় কিন্তু কোন অগিকাণ্ডও হয় নাই।   কিন্তু লাইসেন্স নবায়ন শুরু করার মাত্র ১দিন পর আবার অগ্নিকাণ্ড প্রমাণ করে, আগুনের পেছনে কেমিকেল বা সিলিন্ডার কোনটাই দায়ী নয়, আসল দায়ী হলো, একটা মহল, যারা চায় না কেমিকেল লাইসেন্স নবায়ন করা হোক।
এভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে এতগুলো জীবন কেড়ে নেয়াকে কখন সমর্থন করা যায় না।  তাই এতগুলো নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার জন্য পর্দার অন্তরালে থাকা খুনি ও তাদের প্রকাশ্য সহযোগীদের বিচার দাবী করছি।

বি:দ্র: একটি ঘটনা থেকে একেক জন একেক রকম ফায়দা নিতে পারে। পুরান ঢাকার কারখানার প্রডাকশন বন্ধ হলে অনেক বাসাবাড়ি খালী হবে। ফলে সেসব বাসাবাড়ি ভেঙ্গে সেখানে পর্যটন ব্যবসা করবে আরেকটি মহল, সেই ব্যবসার জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করবে। তারপর সেখান থেকে কমিশন লাভবান হবে।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

দাহ্য কেমিকেল সরাবে ভালো কথা, কিন্তু সেটা জায়েজ করার জন্য ১৫০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করতে হবে কেন??

একটা ছেলে তার স্ত্রীকে হারিয়ে খুব হতাশ।

তাকে কেউ বুদ্ধি দিলো, তুমি একটা বিমান হাইজ্যাকের নাটক ঘটাও, দেখবে ঐ ঘটনাটা মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পাবে। ঐ ঘটনা যখন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পাবে, তখন সবার সামনে তুমি বলতে পারবে, তুমি তোমার স্ত্রীকে আবার তোমার কাছে ফেরত চাও। দেখবে তোমার জীবনে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।

বুদ্ধিদাতার বুদ্ধি অনুসারে ছেলেটা কাজটা করে ফেললো। মুভি জগতের সাথে যুক্ত ছেলেটি জীবনটাকেই মুভির মত ভাবতো। তাই বুদ্ধিদাতার বুদ্ধি অনুসারে চলতে তার কষ্ট হলো না। কিন্তু কাজটা শেষে যখন ছেলেটা আসল কথা সবার সামনে বলতে যাবে, তার আগেই ছেলেটাকে ঐ বুদ্ধিদাতাই হত্যা করে ফেললো। কারণ ঐ বুদ্ধিদাতা চায় না, ঐ ছেলেটি কখন মিডিয়ার সামনে ফাঁস করুক, কে তার এই ‘বুদ্ধিদাতা’। মজার বিষয় হলো, এই ‘বু্দ্ধিদাতা’ ব্যক্তিটি সাধারণ কোন ব্যক্তি হতে পারে না। খুব স্বাভাবিক হচ্ছে, এই বুদ্ধিদাতা ব্যক্তিটি কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। হয়ত ঐ ছেলেটি কখন কোন কারণে গ্রেফতার হয়েছিলো। গ্রেফতারের পর আইন-প্রশাসনের কাজেই ঐ ছেলেটির সাথে ঐ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরী হয়। সেই সম্পকটাকে কাজে লাগিয়ে ‘বুদ্ধিদাতা’ ঐ ছেলেটিকে ঐ পথে নিয়ে যায়।

এখন বলতে পারেন, বুদ্ধিদাতা কেন ঐ ছেলেটিকে এই বু্দ্ধি দিলো ?
গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের সাথে এমন অনেক ‘চিকি’ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থাকে। এই সম্পর্কটা অনেকভাবে তৈরী হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, কোন কারণে হয়ত ঐ লোকটা কোনদিন গ্রেফতার হয়েছিলো। হয়ত তারপর আইন-প্রশাসনের সহযোগীতা করতে গিয়েই ঐ লোকটার সাথে গোয়েন্দা সংস্থার লোকটার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একদিন গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন মিটিং এ সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, উপরের মহল থেকে নির্দেশ আছে, অমুক তারিখে একটা ঘটনা ঘটায় মিডিয়া বাক নিতে হবে, তোমাদের হাতে কোন ‘চিকি’ আছে ? একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাড়িয়ে বললো, স্যার আমার হাতে একটা ‘চিকি’ আছে। টু-দ্য পয়েন্টে মিলে যাবে। যেমন কথা তেমন কাজ। যদিও ঐ ছেলের উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন, কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার লোক ঐ ছেলে দিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে নিজের উদ্দেশ্য সফল করে নিলো। এ ধরনের ঘটনাকে বলে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’।
ইউরোপে যখন প্রচুর পরিমাণে মুসলিম শরনার্থী প্রবেশ করতে থাকে, তখন অনেক রাজনৈতিক দল এ ঘটনা ঘটায়। কথিত মুসলিম হামলাকারী দিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে অভিবাসী বা শরনার্থী বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরী করে। এবং সেই সেন্টিমেন্টের পক্ষে বলে নির্বাচনে জয়লাভ করে। প্রায় সবগুলো ঘটনায় দেখা যায়, হামলাকারী আগেও গ্রেফতার হয়েছিলো এবং বেশিকিছুদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলো। পুলিশ হেফাজত থেকে বের হয়েই সে ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগে কাশ্মীরে পুলওয়ামা অ্যাটাকের ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা। অর্থাৎ হামলাকারী আগেও গ্রেফতার হয় এবং অনেকদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলো। বলাবাহুল্য, নির্বাচনের মাত্র ৪ মাস আগে পুলওয়ামা অ্যাটাকের ঘটনা ঘটিয়ে মোদিও পাকিস্তানবিরোধী চেতনা সৃষ্টি করে নিজের ভোট বাড়াতে চাইছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে কথিত বিমান ছিনতাইকারীও এক সময় গ্রেফতার হয়ে পুলিশ হেফাজতে ছিলো। খুব স্বাভাবিক তাকে দিয়েও মিডিয়ায় বাক নিতে চেয়েছে সরকার।

এজন্য আমি সব সময় বলি-
কোন ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনার দিকে তাকাইও না,  সেই ঘটনা দিয়ে কে সুবিধা নিতে চাইছে সেটার দিকে তাকাও। তাহলেই ঘটনার গোমর ফাঁস হয়ে যাবে। পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের পর আমি বলেছিলাম, এ ঘটনার দ্বারা কে কি সুবিধা নিতে চাইছে সেটার দিকে তাকানো উচিত। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্য বিশেষ করে প্রডাকশনের কাচামালের উপর হাত দিতে চাইছে একটি মহল। সকল কাচামালকে কেমিকেল ট্যাগ দিয়ে এলাকাছাড়া করতে চাইছে উদ্দেশ্য পুরান ঢাকা থেকে সকল বাণিজ্য উচ্ছেদ করে এ এলাকাকে পর্যটন এলাকা বানানো।

তারই ধারাবাহিকতায় আজকে মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ৩ দিন পর পুরান ঢাকায় বাড়িতে বাড়িতে সে গোডাউন তালাশ করবে, যেখানে গোডাউন পাবে, সেই বাড়ির মালিকের গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিবে। আমার মনে হয়, ঐ এলাকার মানুষ একটা ভুল করছে। দাহ্য কেমিকেল সরাবে ভালো কথা, কিন্তু সেটা জায়েজ করার জন্য ১৫০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করতে হবে কেন (এলাকাবাসীর দাবি নিহত হয়েছে ১৫০ জন)? এটা কি স্থানান্তরে ভালো পরিবেশ তৈরী করে, জনগণকে সাথে নিয়ে করা যেতো না ??

আমার মনে হয়, সাঈদ খোকন কেন ১৫০ জন নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করলো সেটার আগে বিচার আগে উচিত। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের উচিত খুনি সাঈদ খোকন ও তার বাহিনীকে পুরান ঢাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা এবং সাইদ খোকনের ফাসির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

শেখ হাসিনা এটা কি বললো ?

গত শনিবার ঢামেক বার্ন ইউনিটে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের পরিদর্শনে গিয়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছে, নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার পরে রাসায়নিকের গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কেরানীগঞ্জে তাঁদের জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হয়নি। একে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে হাসিনা। (https://bit.ly/2SUpLWR)

কথা হলো, সত্যিই কি  ২০১০ সালে নিমতলীর ঘটনার পর সরকার কোন কার্যকরী ও বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নিয়েছিলো ?
কখনই নয়। নিমতলীর ঘটনার পর কেরানীগঞ্জে কেমিকেলপল্লী নির্মাণের কথা বললেও সেটার পরিকল্পনা (ডিপিপি) করতে বিসিক সময় নেয় ৫ বছর। ৫ বছর পর ২০১৫ তে আজগুবি পরিকল্পনায় তারা ৭ তলা ভবনের ১৭টি স্ট্র্যাকচার করার কথা বলে, যার ব্যয় ধরা হয় ১৪১৮ কোটি টাকা। বলা হয় কেমিকেল ব্যবাসায়ীরা এই খরচ বহন করবে। কিন্তু ২০১৬ সালে ব্যবসায়ীরা এই পরিকল্পনার বিস্তারিত জেনে তার প্রতিবাদ করে এবং বলে, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ভুল হয়েছে। ৭ তলা গোডাউন বানালে দুর্ঘটনার সম্ভবনা আরো বেড়ে যাবে। আর এত উচ্চমূল্যের প্রজেক্টের খরচ তারা বহন করতে পারবে না। ফলে এই ব্যয়বহুল ও ফালতু পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০১৭ সালে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যেখানে ৩০০টি প্লট বরাদ্দের কথা বলা হয় এবং এর খরচ ২০৩ কোটি টাকা। এই পরিকল্পনাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। (https://bit.ly/2Nq2yWB)

উল্লেখ্য, কেমিকেল পল্লী বানাতে ব্যবসায়ীদের পকেটের টাকা দিতে হবে। তাই তারা হিসেব করবে, এই ঠিক। তাই অযাচিত ও ভুল প্রজেক্টের জন্য তারা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করতে কখন রাজি হবে না এবং এটা বাস্তব সম্মত নয়। অথচ এই ভুল পরিকল্পনার পেছনে ব্যয় হয়ে গেছে ৭ বছর এবং এই ভুল পরিকল্পনায় ব্যবসায়ীরা না করেছে। কিন্তু এটার জন্য শেখ হাসিনা কি ব্যবসায়ীদের দায়ী করতে পারেন ? নাকি সরকারী সংস্থা “বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, বিসিক’কে দায়ী করবে ? “খুব ভালো হয়েছে! তখন ঐ প্রজেক্ট নিলি না কেন ? এবার বুঝ ঠ্যালা”- এই ধরনের ইনটেনশন তো দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখাতে পারেন না। তাছাড়া ২০১৭ সালে মাত্র ৩০০টি প্লট বরাদ্দের কথা বললেও ২ বছরে সেখানে কতটুকু সুযোগ সুবিধা গড়ে তুলেছে সরকার ? কোন সুযোগ সুবিধা না গড়ে তুলে যদি চকবাজারের স্যাবোটেজকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের ফাকা মাঠে সরাতে জোর করা হয়, তবে তো বুঝতে হবে সরকার নিজেই চাইছে পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে এই বাজার নষ্ট হয়ে যাক। ঠিক যেভাবে ট্যানারিওয়ালাদের জোর করে সাভার সরিয়ে দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়েছে সরকার।

অগ্নিকাণ্ডের উৎস কি ?
অগ্নিকাণ্ডের উৎস নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কেউ বলছে কেমিকেল থেকে, কেউ বলছে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ। যেটাই হোক, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে দাহ্য পদার্থ (flammable) আর  বিস্ফোরক পদার্থ (explosive) কিন্তু আলাদা। আগুনের গতি বাড়াতে দাহ্য পদার্থ (flammable) কাজ করতে পারে। কিন্তু শুরুতে কিন্তু একটা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা সিসিটিভি ফুটেছে যা দৃশ্যমান হয়েছে। এই শুরুর বিস্ফোরক(explosion)টা কে ঘটালো? দাহ্য পদার্থ এমনি এমনি বিষ্ফোরণ ঘটাতে পারে না। এই রহস্য আগে পরিস্কার হওয়া দরকার। উল্লেখ্য, সাধারণভাবে কেমিকেল হিসেবে যা প্রচার চলছে, সেগুলো সর্বোচ্চ দাহ্য পদার্থ। তবে সেগুলো যদি উচ্চচাপে সিলিন্ডারের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় তবে সেগুলোও কিন্তু এক্সপ্লোসিভ হয়ে যায় (পারফিউমের বোতলও এক ধরনের ছোট সিলিন্ডার বলা চলে। সেক্ষেত্রেও বড় উচ্চচাপের সিলিন্ডার বা অবস্থা থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়, অর্থাৎ দোষ সেই সিলিন্ডারের, দাহ্য কেমিকেলের নয়)। আমার ধারণা সাধারণ মানুষ বা মিডিয়া দাহ্য পদার্থ আর বিষ্ফোরক পর্দার্থ এক করে ফেলছে। শুরুটা বিষ্ফোরক কিছু থেকে হয়েছে, অথচ দাহ্য পদার্থের বিরুদ্ধে যত কথা হচ্ছে, বিষ্ফোরক নিয়ে কেউ বলছে না। শুরুর বিষ্ফোরণটা কে ঘটালো সেই রহস্য আগে বের করা দরকার।
আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকায় হয়ে গেলো সাকরাইন উৎসব। মিডিয়া বিষয়টি খুব হাইলাইট করেছে, ফলে আগামীবার আরো বড় আকারে সেটা ধারণ করতে পারে তাতে সন্দেহ নাই। এই সাকরাইন উৎসবে আতশবাজি জ্বালানো হয়। এগুলো সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই আতশবাজির ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে সরকার কোন উন্নয়নের খবর প্রচার করলেই কোটি কোটি টাকার আতশবাজি পোড়ায়। এছাড়া সাইকরাইনের দিনও প্রচুর আতশবাজি লাগছে। এই অবস্থায় পুরান ঢাকায় কেউ আতশবাজির কারখানা নির্মাণ করতেই পারে। এই আতশবাজিতে ব্যবহৃত পর্দাথ কিন্তু বিষ্ফোরক। সাকরাইনকে মিডিয়ায় অত্যধিক হাইলাইট যে পুরান ঢাকায় আতশবাজির কারখানার জন্মদিতে পারে, এটা কিন্তু কেউ বলেনি।

পুরান ঢাকা কি বাণিজ্যিক এলাকা নাকি আবাসিক এলাকা ?
অনেকে বলছে, আবাসিক এলাকায় এত এত কেমিকেল কেন ? আমার প্রশ্ন হলো, পুরান ঢাকা কি আবাসিক এলাকা নাকি বানিজ্যিক এলাকা ?
আমরা জানি, ঢাকার গোড়া পত্তন হয়েছিলো, বুড়িগঙ্গার তীরে, যার সীমানা ছিলো ঢাবির দোয়েল চত্বরের পাশে ঢাকা গেট পর্যন্ত। শুরুতে সবাই সেই ঢাকায় বসবাস করতো আবার ব্যবসা বাণিজ্য করতো। কিন্তু ধিরে ধিরে পুরান ঢাকা একচেটিয়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে, আর আবাসনের জন্য নতুন ঢাকাকে সবাই বেছে নেয়। পুরান ঢাকা এখন বাসাবাড়িগুলো গোডাউন আর কারখানায় রুপান্তর হয়েছে। তবে অনেক বাসিন্দা থাকেন, কিন্তু সেটাও তাদের বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু বেসিক্যালী পুরান ঢাকা বানিজ্যিক এলাকাই। তাই এখন যদি কেউ বলে, পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা হিসেবে বাণিজ্য সরে যাবে, নাকি বানিজ্যিক এলাকা হিসেবে আবাসন সরে যাবে, এই প্রশ্ন করলে বলতে হবে দ্বিতীয়টিই বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

কেমিকেল নাকি কাচামাল ?
মিডিয়াতে যাকে কেমিকেল বলে একচেটিয়া প্রচার করা হচ্ছে, সেটা আসলে কোন কোন প্রডাক্টের কাচামাল। দুই তিনটি কাচামাল এক করে নতুন পণ্য তৈরী হচ্ছে, যাকে আমরা অর্থনীতির ভাষায় বলছি উৎপাদন বা প্রডাকশন। তাই আপনি যদি কেমিকেলের বিরুদ্ধে বলেন, তারমানে বুঝতে হবে আপনি কাচামালের বিরোধীতা করতেছেন এবং সেই বিরোধীতাটা পৌছে যাচ্ছে প্রডাকশন বা উৎপাদনের উপর।  আর আপনি উৎপাদন বন্ধ করলেই সেই স্থানটি দখল করবে বিদেশ থেকে আগত তৈরী প্রডাক্ট। অর্থাৎ দেশী উৎপাদন বন্ধ করো বিদেশী প্রডাক্ট গ্রহণ করো।

পর্যটন আর হেরিটেজ, দুই দুইয়ে চার
আগের পোস্টে আমি বলেছিলাম, সরকার বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে একটি অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চায়, যার নাম “বুড়িগঙ্গা রিভার ডেভলপমেন্ট এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট মেগা প্রজেক্ট” (এ সম্পর্কে দুটো আর্টিকেল আছে, পড়তে পারেন: https://bit.ly/2NlB707, https://bit.ly/2TcfJzG)  কিন্তু পুরান ঢাকার এই প্রডাকশন বা উৎপাদন কারখানা থাকলে তাদের ভাষায় কথিত দূষণের কারণে তা সম্ভব হবে না। ফলে উক্ত প্রজেক্টে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করাও সম্ভব না। তাই এই প্রডাকশন বা উৎপাদন বন্ধ করতেই চক বাজারের আগুন এবং অতঃপর কেমিকেল নাম দিয়ে কাচামালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হলো কি না তা যাচাই করা উচিত। তবে এক্ষত্রে আপনাদের আরেকটা তথ্য জানিয়ে রাখি, ২০০৯ সালে সরকার পুরান ঢাকার একটা বিরাট অংশকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ঘোষণার কারণে ঐ এলাকাগুলো কিন্তু আর পাবলিকের সম্পত্তি থাকলো না, সরকারের সম্পত্তি হয়ে গেলো। এ সম্পর্কে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, “রাজউকের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন কমিটি নামের একটি কমিটি পুরান ঢাকার অধিকাংশ অঞ্চলকে ২০০৯ সালে হেরিটেজ ঘোষণা করে। যার অর্থ ওইসব অঞ্চল ও সেখানকার অবকাঠামো, খোলা জায়গা সব কিছুর ব্যক্তি মালিকানা থাকলেও তা রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের নির্ধারিত সংস্থার অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তাই যদি হয় তাহলে এখানে কীভাবে রাসায়নিকের কারখানা থাকে, কীভাবে রাসায়নিকের গোডাউন গড়ে ওঠে ?” (https://bit.ly/2Nq6qXJ) তারমানে বুড়িগঙ্গীর তীর গড়ে ওঠা পুরান ঢাকায় হেরিজেট আর পর্যটন কেন্দ্র দুই দুইয়ে চার হিসেবে, যার ফলাফল পুরান ঢাকা থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য আর প্রডাকশন বন্ধ, সবাই পুরান ঢাকা এখন থেকে “খুশির ঠেলায় ঘোরতে” বের হওয়ার যায়গা।

 সাংবাদিকদের দেশবিরোধী অবস্থান ও জনগণের করণীয়:
একটু আগে দেখলাম, সময় টিভির ক্যামেরা বিভিন্ন কারাখানায় ঘুড়ে ঘুড়ে অযাচিত মিথ্যা সংবাদ করছে। মনে হচ্ছে সেখানে কারখানা স্থাপন করে বিরাট নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেলেছে (https://bit.ly/2GGJx1r)। কালেরকন্ঠ নিউজ করেছে, “কেমিকেল দেখলেই  ৯৫৫৬০১৪ নম্বরে কল”  (https://bit.ly/2NoB7fO)। মিডিয়াগুলো স্পষ্ট দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ভাইদের বলবো,
ক) আপনাদের আশেপাশে কোন সাংবাদিক দেখলেই গণপিটুনী দিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করুন।
খ) এই বিরাট ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য সবাই এক হয়ে সংবাদ সম্মেলন করুন, আপনাদের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ করুন। এছাড়া আপনাদের মোট কত ব্যবসায়ী আছে তার সঠিক হিসেব প্রকাশ করুন এবং তাদের গোডাউন লাগলে কত বড় এলাকা লাগতে পারে এবং কি কি সুবিধা লাগতে পারে সেটার হিসেব প্রকাশ করুন।
গ) পাশাপাশি ভালো অ্যাডভোকেট ধরে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা নিন বা রিট করুণ।

লেখার শেষে আবার বলবো, শেখ হাসিনা যে কেমিকেল পল্লীর কথা বলে সমস্ত গোডাউন সরাতে বলেছে, পারলে সেই কেমিকেল পল্লীর একটা ছবি প্রকাশ করুক। আমি নিশ্চিত সেটা ফাকা মাঠ ছাড়া কিছু নয়। ফাকা মাঠের নাম কেমিকেল পল্লী দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মের অভিজ্ঞতায় গড়ে ওঠা পুরান ঢাকার এই ব্যবসায়ীক এলাকার উচ্ছেদ এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথের ফকির বানিয়ে দেয়া কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

পুরান ঢাকায় যদি ক্ষতিকারক বা দাহ্য পদার্থ হয়, তবে সেটা সরিয়ে নেয়াই উত্তম। কিন্তু সেটা হুজুগে মেতে উচ্ছেদ করে নয়। তাদের সঠিক উপায়ে পুনর্বাসন করা

বেজমেন্টে ছিলো বিশাল কেমিকেলের গোডাউন ।
যদি বিষ্ফোরণ হতো, তবে পুরো এলাকা উড়ে যেতো । কত হাজার মানুষ মারা পড়তো, তার হিসেব থাকতো না।

ঐ এলাকার অনেক মানুষ জানে না, বেজমেন্টে এত বড় কেমিকেল গোডাউন ছিলো।
কিন্তু ঐ বাড়ির সামনে এসেই সিলিন্ডার বোঝাই গাড়িটি বিষ্ফোরণ ঘটলো ?
উল্টাভাবে যদি চিন্তা করি, তবে তারাই বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে যারা জানতো বাড়ির নিচে বিশাল কেমিকেল গোডাউন আছে ! কারণ একবার যদি বেইজমেন্ট পর্যন্ত আগুন পৌছায় তবে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে! যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বড় ধরনের ক্যাজুয়ালিটি করা।

পাঠক! সময়টা ছিলো ২০শে ফেব্রুয়ারী, রাত ১০টা বেজে ৩০ মিনিট। আর মাত্র দেড় ঘন্টা পর ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহর। যারা পুরান ঢাকায় গিয়ে অভ্যস্ত, তারা বুঝবেন, ঐ সময় ঐ এলাকায় সারা ঢাকা শহর থেকে তরুণ প্রজন্ম একত্রিত হয় মজাদার খাবার খেতে। রাস্তায় রাস্তায় থাকে প্রচণ্ড ভীড়। সারা ঢাকা শহরের রেস্ট্রুরেন্ট যখন বন্ধ, তখন পুরান ঢাকায় সারা রাত খোলা বিরিয়ানীর দোকান। এমনিতেই প্রতিরাতে ই ভীড় থাকে, কিন্তু সেটা যদি থাকে একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহর, তাহলে তো কথাই নেই। তাই কেউ যদি ব্যাপক হতাহত চায়, তবে সময়টা একদম উপযুক্ত।

আর তাছাড়া, সরকার যখন কেমিকেল কারাখানা বিরুদ্ধে একশনে যাবে বলে ঘোষণা দিলো, তখনই কেন এতবড় ঘটনা, একদম কেমিকেল গোডাউনের সামনে গিয়ে, জনপরিপূর্ণ রাতে ঘটে গেলো ?

এবার আসুন,
পুরো ঘটনায় খেলোয়ার কয়জন, একটু জেনে নেই:

প্রথম খেলোয়াড়: মিডিয়া। মুখে বলা হচ্ছে গণমাধ্যম বা জনগণের মাধ্যম। কিন্তু এরা সব সময় বিদেশীদের মুখপাত্র হয়। মিডিয়া রুমের মূল মূল সাংবাদিকরা ইহুদীবাদী সংস্থা পেন ইন্টারন্যাশনাল থেকে ট্রেনিং করা।

দ্বিতীয় খেলোয়াড় : সরকার। যেদিকে ঝোল পায়, সেদিকে ভাতের নলা ধরে। কমিশন খাওয়া তাদের পেশা। বিদেশীদের বড় কমিশনের সুযোগ পেলে মিস করবে না।

তৃতীয় খেলোয়াড় : পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মহল।

চতুর্থ খেলোয়াড় : আমজনতা। হুজুকে বিশ্বাসী। বিদেশীদের এজেন্ট হয়ে মিডিয়া পোড়াদের আত্মীয়ের কান্না বার বার প্রচার করে ইমোশন তৈরী করে। আর সেই ইমোশন দিয়ে জনগণের কনসাস মাইন্ড আড়াল হয়ে তথ্য সাব-কনসাসে প্রবেশ করে তথ্য “হটাও কেমিকেল কারাখানা। সাইকোলোজির ভাষায় যাকে বলে মাইন্ড প্রোগ্রামিং। উপরে এত বড় বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেলো, কিন্তু নিচে কেমিকেল কারখানায় আগুন পৌছালো না, যারা বেইজমেন্টে এত বড় কেমিকেল গোডাউন বানিয়েছে তাদের তারিফ না করে পারা যায় না।

এবার আসুন,
মিডিয়া কি চাচ্ছে ?
মিডিয়া চাইছে জনগণের হুজুর তৈরী করে কেমিকেল ব্যবসাসহ পুরো পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্যে একটা উল্টাপাল্টা করা। যেহেতু পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্যের এক বড় অংশ যেহেতু কাচামাল থেকে প্রস্তুত এবং সেই কাচামাল অবশ্যই কোন না কোন কেমিকেল দিয়ে বানানো, তাই সেই কেমিকেল ট্যাগ লাগিয়ে পুরান ঢাকার থেকে ব্যবসা বাণিজ্য উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা তাদের। আলটিমেটলি পুরান ঢাকার বিশাল ব্যবসা বাণিজ্যে একটা ধস নামবে, যার সুযোগে বিদেশীরা ঢুকবে। শুধু কেমিকেল নয়, রং, প্রশাধনী, গৃহস্থলীর অনেক মালামাল ‘কেমিকেল’ শব্দ ব্যবহার করে পুরান ঢাকা থেকে উচ্ছেদ করা হবে।

জনগণের কি চাওয়া উচিত ?
যদি ক্ষতিকারক বা দাহ্য পদার্থ হয়, তবে সেটা সরিয়ে নেয়াই উত্তম। কিন্তু সেটা হুজুগে মেতে উচ্ছেদ করে নয়। তাদের সঠিক উপায়ে পুনর্বাসন করা, যেন তাদের ব্যবসার কোন ক্ষতি না হয় এবং সেই সুযোগে বিদেশীরা ঢুকতে না পারে। মনে রাখতে হবে, সকল কাচামাল তৈরী করতে কোন না কোন কেমিকেল লাগে। তাই গণহারে সবাইকে কেমিকেল ট্যাগ লাগিয়ে পুরো ব্যবসা-বাণিজ্যকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। চামড়া শিল্পকে যেভাবে তাড়াহুড়া করে সাভার পাঠিয়ে দিয়ে তাদের পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে সেটা যেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে না হয়। আগে ঢাকার বাইরে তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে অবস্থান তৈরী হবে, এরপর তারা পুরান ঢাকা ত্যাগ করবে।

তাছাড়া, পুরো ঘটনাটি সন্দেহজনক এবং স্যাবোটেজ হওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই যারা এই ঘটনা থেকে ফায়দা নিতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে মূল ঘটনার কারা ঘটিয়েছে তা বের করে নিয়ে আসতে জনগণের দাবী তোলা উচিত। কারণ স্যাবোটেজকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিবেন, এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করবেন, এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

আমি সম্ভবত একমাত্র ছিলাম, যে এই পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম।

২১শে ফেব্রুয়ারী/১৯ তারিখে `বাংলাদেশ সময় সকালে’ আমি সম্ভবত একমাত্র ছিলাম, যে এই পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম। স্ট্যাটাস দেয়ার পর কমেন্টে অনেকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, ‘পুরো ঘটনায় কোন বিশেষ সমস্যা আছে, কোন একটি বিশেষ মহলের স্বার্থ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে অনেকে আমার সাথে তর্কও করেছিলো, কিন্তু দিন গড়াতে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়েছে এবং সরকারও ইউটার্ন নিয়েছে।

১) আমি দেখছিলাম, সরকারের মধ্যে একটি মহল পুরান ঢাকার কেমিকেল কারখানার পেছনে আগেই লেগেছে, এটা সন্দেহজনক।

২) মিডিয়াতে মার্কিনপন্থী একটি গ্রুপ আগে থেকেই পুরান ঢাকার কেমিকেল কারখানা উচ্ছেদের পক্ষে। এই ঘটনায় তাদের পোয়াবারো হয়েছে।

৩) ইউটিউবের একটি ভিডিওতে দেখলাম, মার্কিনপন্থী একটি মিডিয়া ঢামেক মর্গের সামনে এক নিহতের আত্মীয়কে শিখিয়ে দিচ্ছে, “বলুন, আমরা পুরান ঢাকা থেকে সমস্ত কেমিকেল কারখান উচ্ছেদ চাই।”, নিহতের আত্মীয় সেটাই মুখস্ত বলছে, আর সেটা ভিডিও করে সারা বিশ্বে প্রচার করা হচ্ছে।

৪) ঘটনা ঘটার পর সাঈদ খোকন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ওবায়দুল কাদের এই তিনজনের মুখ থেকে মিডিয়া স্বীকৃতি নেয়ার চেষ্টা করে, পূরান ঢাকা থেকে কেমিকেল কারখানা উচ্ছেদ করা হবে।

৫) ঘটনা যদি এই পর্যন্ত ঘটতো, তবে যারা সচেতন মহল (অবশ্যই সাধারণ জনগণ নয়), তারা বুঝতে পারতো, ঘটনা ‘ডালমে কুছ কালা হে’, হাজার কোটি টাকার প্রডাকশন মার্কিনপন্থী একটি গ্রুপের প্রভাবে সরকার ডুবিয়ে দিচ্ছে, তাহলে কি এই ঘটনা স্যাবোটেজ ? দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে বিদেশী কর্পোরেটদের পথ পরিষ্কার করতে চায় তারা ?

৬) কিন্তু সরকার দুপুরের পর ইউটার্ন নেয়, বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে।  আপনারা গতকাল সকালে যারা আমার কমেন্ট পড়েছেন, তারা বানিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে মিল পাবেন আশাকরি। আমি বলবো, সরকার এতে বুদ্ধিমানের কাজ করেছে, নয়ত একদিন না একদিন পুরো ঘটনার দায় সরকারের উপর পড়তো।

৭) ইহুদীদের প্রোটোকলে সাধারণ জনগণকে তুলনা করা হয়েছে ভেড়ার পালের সাথে। গতকালকে ঘটনা ঘটার পর পাবলিকের লম্ফ-ঝম্ফ দেখে আমার তেমনটা মনে হয়েছে।  ঘটনা ঘটেছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ি বিষ্ফোরণে, আর মার্কিনপন্থী মিডিয়ার প্রভাবে দায় চাপিয়েছে কেমিকেল কারাখানার উপর। অথচ ঐ এলাকায় কোন কেমিকেল কারখানা বা তার গোডাউন ছিলো না (শুধু সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন নয়, আমি ফোনে পুরান ঢাকায় আমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে সেখানে অ্যালকোহল মিশ্রিত বডি স্প্রে’র গোডাউন এবং পলিমার দানার গোডাউন ছিলো)। ইহুদী প্রটোকলে এমনি এমনি জনগণকে ভেড়ার সাথে তুলনা করা হয় নাই।

৮) অনেকে বলেছে, “ভাই যাই হোক, তাই বলে এতগুলো প্রাণ ?” আরে ভাই, ভেড়ার যেমন কোন মূল্য নাই, তেমনি সম্রাজ্যবাদী ও তার দোসরদের কাছে জনগণেও কোন মূল্য নাই। যদি মূল্য থাকতোই তবে, সামান্য কিছু টাকার লোভে বিদেশীদের প্রেসক্রিপশনে সরকার দুই-আড়াই কোটি শিশু বাচ্চার মুখে ভিটামিন এ ক্যাপসুল নামক ওভার ডোজ ঔষধ তুলে দিতে পারতো ? জিএমও ফুড বা গোল্ডেন রাইস এনে কোটি কোটি মানুষকে ক্যান্সারের দিকে ঢেলে দিতে পারতো ? একটা কথা মনে রাখবেন, ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা বুঝে ব্যবসা আর টাকা আর সরকার বুঝে তার কমিশন। হাজার না লাখ ভেড়ার জান গেলো, এটা তাদের দেখার বিষয় না। তাই সব সময় বলি কর্পোরেটোক্রেসির উপর লেখাপড়া করেন, অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।

৯) গতকালকে অনেক পাবলিককে স্ট্যাটাস দিতে দেখেছি, তারা বলছে পুরান ঢাকার জনগণ বোমা’র উপরে বসবাস করে। হায়রে বোকা ! শুধু পুরান ঢাকার জনগণ কেন ? পুরো বাংলাদেশের মানুষের ঘরে এখন বোমা পাঠানো হচ্ছে। সরকার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়াতে বাসায় বাসায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা বাড়ছে।  আর এলপি গ্যাস সিলিন্ডার মানে এক একটি বোমা। আপনি পুরান ঢাকার কয়েক লক্ষ জনগনকে নিয়ে কাদছেন, আর সারা দেশে কোটি কোটি জনগণ আর বোমার হুমকির মধ্যে, সেটা নিয়ে তো কাদলেন না ? পুরান ঢাকায় এলপি সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ি বিষ্ফোরণের পর জনগণের উচিত ছিলো এই সিলিন্ডারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, কিন্তু জনগণ ক্ষেপে গেছে কেমিকেল কারখানার উপর। আহ ! কি দুঃখ !!

১০) আমিও ব্যক্তিগতভাবে পুরান ঢাকার কেমিকেল কারখানা সরিয়ে নেয়ার পক্ষপাতি। আমি সব সময় ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে বলি।  এই বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হচ্ছে ঢাকার এইসব শিল্প কারখানা ঢাকার বাইরে কোন জেলায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এরমানে এই নয়, তিলে তিলে গড়ে ওঠা এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানকে কোন স্যাবোটেজ করে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। আগে যেখানে পাঠাবেন, সেখানাকার ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করুণ, পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিন, তারপর তাদের পাঠান। চামড়ার ট্যানারিদের যেভাবে গলা ধাক্কা দিয়ে সাভারে খালি ময়দানে পাঠিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছেন, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবেন না।  হুজুগে পড়ে  কারো তিলে তিলে গড়ে ওঠা ব্যবসায় লাথি মারা মানে ঐ লোকগুলোর উপর অবিচার করা, এটাও মেনে নেয়া যায় না।

১১) সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, পুরান ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের কেমিকেল কারখানাগুলো এক করে কেরানীগঞ্জের কেমিকেল পল্লীতে আনা।  কেরানীগঞ্জে আনা মানে তো, সেই ঢাকা কেন্দ্রীক করা, বিকেন্দ্রীকরণ তো হলো না।  কেরাণীগঞ্জ না করে এই কেমিকেলপল্লী শরীয়তপুর, মাদারিপুর বা অন্যকোন জেলা শহরে করা যেতে পারে। তাছাড়া কেরানীগঞ্জে বরাদ্দ করা হয়েছে  মাত্র ৩০০ প্লট, এটাও কম। হাজার হাজার ব্যবসায়ীর জন্য আরো বড় যায়গা বরাদ্দ করা দরকার ছিলো।

১২) এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে “গ্যাস সিলিন্ডার একটি  একটি বোমা, এই বোমা বাসাবাড়িতে পাঠানো বন্ধ করুন”” এই শ্লোগানে আন্দোলন গড়ে তুলুন। শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলো, “বাসাবাড়িতে সরকার আর কোনো গ্যাস সংযোগ দেবে না। এটা ফাইনাল। এখন সরকারি যত ফ্ল্যাট আছে সেখানে এলপিজি স্টোরেজ বানানো হবে। সেখান থেকে লাইন দেয়া হবে। বাসাবাড়িতেও এই পদ্ধতি চালু হবে।” (http://www.somoyerkonthosor.com/2018/05/21/226072.htm)
এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।  বলুন, এলপিজি স্টোরেজ নামক বোমার কারখানা না বানিয়ে জাতীয়ভাবে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে।" একই সাথে বলুন, বিদেশ থেকে এলএনজি আমাদিন করে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দিয়েও লাভ হবে না। এতে বাংলাদেশের জনগণের জীবন খরচ বেড়ে যাবে। এর বদলে সরকার যেন গ্যাস উত্তোলন শুরু করে। আন্তর্জাতিক চাপে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রাখার পলিসি থেকে সরকার যেন সরে আসে। “গ্যাসের উপর ভাসছে দেশ”, যেই দেশে “সমুদ্র তলদেশে ২০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ : বাংলাদেশ হবে আগামীর এনার্জি সুপার পাওয়ার”,  আছে বলে দ্য ডিপ্ল্যোম্যাটে সংবাদ আসে, সংবাদ আসে, সেই দেশের মানুষ পাইপে গ্যাস না পেয়ে এলপি সিলিন্ডার বহণ করতে গিয়ে বিষ্ফোরণে মারা যায়, তা সত্যিই দুঃজনক।

সবশেষে বলবো, অনেকে গতকাল কমেন্ট করেছেন, “ভাই আপনার লেখা খুব ভালো লাগে, কিন্তু এ বিষয়টি ভালো লাগলো না”, তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো, ভাই আমার সব কথা যে আপনাদের ভালো লাগবে, এটা আমি মনে করি না। আমার অনেক লেখা আপনাদের খারাপ লাগবে এটা বরং আমি মনে করি। কিন্তু কারো ভালো লাগবো, আর কারো খারাপ লাগলো, এই চিন্তা করে আমি লেখালেখি করতে চাই না। কারণ যদি আমি এ কথা চিন্তা করি, তবে আমি অনেক সত্য প্রকাশ করতে পারবো না। আপনারা কি চান, আমি কারো মন জুগিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে সরে আসি ? নয়নের কাজ নয়ন খোলা, তাই একটু কষ্ট লাগলেও সত্যটা সহ্য করতে হবে। ধন্যবাদ।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

পুরান ঢাকা অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃত তৈরী???


বাংলাদেশে সপ্তাহ হিসেব করা হয় শনিবার থেকে শুক্রবার।
সে হিসেবে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এর ঘোষণা “আগামী সপ্তাহ থেকে অবৈধ কেমিক্যাল কারখানায় অভিযান শুরু হবে”- এর দ্বারা বোঝা যায় এ সপ্তাহে কেমিকেল কারখানায় অভিজান হওয়ার কথা ছিলো।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে নগর ভবনের সেমিনার রুমে আয়োজিত ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও কেমিক্যাল পল্লীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ঐ কথা বলেছিলো দক্ষিণ মেয়র সাঈদ খোকন।  গত সপ্তাহে খবরটা দেখে আমি চিন্তা করেছিলাম, বুড়িগঙ্গার তীরের পর এই অভিজান করতে গেলে প্রশাসনের বেশ বাধা আসবে।”

যাক গতকালকের দুর্ঘনটার পর পুরান ঢাকায় প্রশাসনের অভিজানের আর বাধা থাকবে না।  এখন জন-সমর্থন আদায় করেই তবে পুরান ঢাকায় কেমিকেল কারখানায় অভিজান চালানো যাবে।  কথা হলো, এই জন সমর্থন আদায়ের ঘটনাটি কি কাকতালীয় নাকি ইচ্ছাকৃত তৈরী সেটাই খতিয়ে দেখা উচিত।

ছবির সূত্র: https://www.jagonews24.com/national/news/480931
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------