Showing posts with label পার্বত্য চট্টগ্রাম. Show all posts
Showing posts with label পার্বত্য চট্টগ্রাম. Show all posts

Friday, March 22, 2019

সড়ক দূর্ঘটনা: মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে

নিরাপদ সড়ক চাই
বিচার চাই, জেল চাই
আইন চাই, ফাঁসি চাই
ফ্লাইওভার চাই, মেট্রোরেল চাই
অমুক চাই, তমুক চাই
আরো কত কিছু চাই,
কিন্তু কিছুতেই কিছু হবে না রে ভাই
মূল গলদটা যে কি, এটা কেউ বুঝে না
মূল সমস্যা সমাধান না করে, তোমরা যত ‘চাই’ ‘চাই’ করো কোন সমাধান হবে না।

চালক এক্সিডেন্ট করলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে
তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে ঐ ডাক্তারকেও তো ফাঁসি দিতে হবে।
তীব্র জ্যামের মধ্যে ১০ সেকেন্ডের জন্য যখন সিগনাল ছাড়ে, তখন আমরাই পেছন থেকে বাস ড্রাইভারকে বলি, “তাড়াতাড়ি টানেন, তাড়াতাড়ি টানেন নয়ত আরেক সিগনালে আটকে যাবেন।”
তখন বাস ড্রাইভার জান পরান দিয়ে টান দেয়,
তখন যদি কেউ রাস্তা পারাপার হতে যায়, তবে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক।
আবার গতিশীল বাস, একজন পথচারিকে বাচাতে যদি হার্ড ব্রেক কষে
তবে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাসের অর্ধ শতাধিক যাত্রী। তাই সমস্যা সব খানেই আছে।

আসালে
মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে,
ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অনেক বেশি।
এত বেশি মানুষ যখন কম যায়গার মধ্যে থাকে, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক। আর বেশি মানুষ হলে নিয়মশৃঙ্খলা হাজার চেষ্টা করে রাখতে পারবে না। আমি আগেও বলেছি, ঢাকা শহরে মাত্র ২৬০ বর্গকিলোতে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা থাকে, এই ঘনত্বটা কতটা বেশি, সেটা বোঝার জন্য বলছি, এই সমঘনত্ব যদি পুরো বাংলাদেশে থাকতো, তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮০০ কোটির বেশি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি।
তাই সবার প্রথমে ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ঢাকা শহরকে হালকা করতে হবে। তখন হাজারটা নিয়ম করুন, দেখবেন তখন সবাই নিয়ম মানবে, এর আগে হাজার আইন করে আপনি নিয়ম মানাতে পারবেন না।
যে যাত্রী বা চালকের ১ কিলো যেতে ১ ঘন্টা লাগে, যে তো মানসিক বিপর্যস্ত, আর মানসিক বিপর্যস্ত লোক কি আইন মানবে ? অমুক লাইসেন্স, তমুক ফিটনেস সার্কিফিকেট করে আন্দোলন করেও কোন লাভ হবে না, বরং এতে আপনার ক্ষতি। এইসব আন্দোলন করে আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের পকেট ভারি করার বাড়তি সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং যার শেষ পরিণতি হলো আপনার যাতায়াত ভাড়া আরো বাড়বে। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর পুলিশের আইজিপি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর অজুহাতে লেগুনা বন্ধ করে দিছিলো। এতে শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। পরে কয়েকদিন পর আবার চালু করে দেয়। খবর নিয়ে জানা গেলো, আগে পুলিশ চাদা নিতো ৫০০ টাকা, এখন নিচ্ছে ৯০০। ফলশ্রুতিতে লেগুনার বাড়তি ভাড়া গুনতে হলো যাত্রীদের। (https://bit.ly/2Tis01u)
একইভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সরকার “সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮” আইন করে। আগের আইনে কারো কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫০০ টাকা জরিমানা হতো, কিন্তু নতুন আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তবে বড় কথা হলো, এই জরিমানার এক-তৃতীয়াংশ পাবে যে ট্রাফিক ঐ গাড়ি ধরবে, সে। নতুন আইন জারি হলে, পাবলিক কতটা ফাদেঁ পড়বে এবং ট্রাফিক-পুলিশ কতভাবে আর্থিক ফায়দা নেবে তা সময়-ই বলে দেবে।

যেহেতু সব আন্দোলনের শেষ ফলাফল জনবিরোধী হয়ে যায়, তাই কোন আন্দোলন করলে তার দাবীগুলো বুঝে শুনে করা উচিত এবং ফায়দা যেন জনকল্যানে হয়, সেটা খেয়াল রাখা উচিত।
তাই আমার মনে হয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রথম দাবী হওয়া উচিত ছিলো,
ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলেই ঢাকার জনসংখ্যা কমবে, তখন যত খুশি নিয়ম-আইন করুন, সব আইন মানা সম্ভব হবে।

[ বি:দ্র: বিকেন্দ্রীকরণ মানে কিন্তু উচ্ছেদ নয়। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেয়ার নামে যেটা সরকার করতে চেয়েছিলো সেটা হলো উচ্ছেদ। বিকেন্দ্রীকরণ করার নিয়ম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকে অধিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে ট্র্যান্সফার করতে আকৃষ্ট করা। সরকার তাদের সুযোগ সুবিধা দিলে তারা নিজেরাই সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাবে, আর তখনই খালি হবে ঢাকা, এর আগে না। ]

এখানে বোঝার বিষয় হলো, সরকার কিন্তু নিজেই ঢাকা শহরের যানজট নিরসন করতে আগ্রহী নয়। সে নিজেই চায় না, যানজট শেষ হয়ে যাক। কারণ যতদিন যানজট আছে, সেটাকে পূজি করে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের মত বড় বড় প্রজেক্ট নেয়া যাবে, আর লোপাট করা যাবে লাখ লাখ কোটি টাকা। তাই সঠিক উপায়ে ব্যবস্থা নিয়ে যদি যানজট শেষ হয়ে যায়, তবে সেই ‘আলাদিনের চেরাগ’ আর পাবে কোথায় ?

আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে,
আমরা আন্দোলন করবো, খুব ভালো কথা,
কিন্তু এই আন্দোলনটা যেন কেবলই ছাত্র-জনতার হয়।
কোন বিশেষ মহল যেন সেই ছাত্র-জনতাকে তার ও তার দলের কোন বিশেষ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন।
৯০ এর দশকে বাংলাদেশে গাছ লাগানোর জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে,
সেই আন্দোলনের রেশ ধরে অনেক গাছও এসেছে, ফান্ড করেছে বিশ্বব্যাংক, ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক।
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, আমরা আন্দোলন করে যেই গাছগুলো (ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি) নিয়ে আসলাম সেগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য উল্টো ক্ষতিকর।
তাই আন্দোলন করার আগে, খুব খেয়াল করতে হবে, আমার আন্দোলনের ফলটা যেন আরেকজন ঘরে না তুলতে পারে না এবং আমাদের ক্ষতি করতে না পারে।

শেষ কথা বলতে চাই,
এক আন্দোলন দিয়ে আমরা আরেক আন্দোলনকে যেন ধামাচাপা না দেই, সেটা খেয়াল রাখাও জরুরী।
গত সোমবার সন্ধার সময় পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হওয়ার পর আমাদের বাংলাদেশীদের বড় আন্দোলন হওয়ার কথা ছিলো পাড়ারে যেন সেনাক্যাম্প আরো বাড়ানো হয় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের দমন করা হয়, সেটা নিয়ে। কিন্তু সেটা না করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে সড়ক আন্দোলনের দিকে।
আপনারা হয়ত জানেন, বাংলাদেশে পাহাড়ে উপজাতিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ টিকে থাকুক এবং এক সময় তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হোক, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তসংস্থা সিআইএ’র বহুদিনের প্ল্যান। কিন্তু পাহাড়ে সেনাক্যাম্প ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বেশি হলে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা। এজন্য বহুদিন ধরে তারা সেনাক্যাম্প সরাতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুলাংশে সফলও হয়েছে। সেনাক্যাম্প সরানোর মূলে প্রধান মূখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা। পাহাড়ে যখন বড় ধরনের খুনোখুনি হলো, তখন সবার মুখে শ্লোগান হওয়ার দরকার ছিলো পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু পরদিন সকাল মানে মঙ্গলবার সকালে একটা সড়ক দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং পুরো দেশের মানুষের মোড় ঘুরে সবাই সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা বলা শুরু করে। সিআইএ মূখপাত্র দৈনিক প্রথম আলো এক্ষেত্রে মিডিয়া সাপোর্ট কতটুকু দিয়েছে, সেটা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন।  তাই কে কখন কোন ইস্যু তুলছে, কোন স্বার্থে তুলছে সেটার দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা ছাত্র-জনতা সবার জন্যই জরুরী।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, April 16, 2018

কেন ড. জাফর ইকবাল কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে ইউটার্ন নিলেন ?



এবার কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ড. জাফর ইকবালের ভূমিকা ছিলো সন্দেহজনক। কোটা বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহুর্তে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আন্দোলন শেষ পাওয়ার পর তার বক্তব্য ছিলো পরষ্পর বিরোধী। আমার আজকের এ লেখা, কোটা আন্দোলন নিয়ে জাফর ইকবালের এই ভোল পাল্টানো ভূমিকা নিয়ে।

প্রথমেই গত ৯ই এপ্রিল জাফর ইকবালের বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি কোটা আন্দোলনের পক্ষে। কোটা আন্দোলন যখন তুঙ্গে (শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে) তিনি এ আন্দোলনের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিলেন এবং ‘কোটা সংষ্কার যৌক্তিক’ বললেন। অর্থাৎ তিনি কোটা সংস্কার চান (কিন্তু পুরো বাতিল নয়)।

(https://bit.ly/2JPBrlI)

এরপর ১৩ই এপ্রিল, তারিখ কোটা আন্দোলন শেষ হওয়ার দুইদিন পর বিডিনিউজ২৪ এ প্রকাশিত তার কলামে তিনি সম্পূর্ণ ইউটার্ন নেন। তিনি এমন একটা ভাব দেখান যে তিনি কিছুই জানেন না। এবং কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাস্তাঘাট কেন বন্ধ হইছে এটাই তার কাছে বড় হয়ে গেলো। (https://bit.ly/2EQv0uD)

পাঠক ! সময় দুটো খেয়াল করুন-

“ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা কেন বন্ধ করছে” এটা জাফর ইকবালের বলা দরকার ছিলো ৯ই তারিখ। কারণ তখন সারা দেশ বন্ধ করার ঘোষণা উঠছিলো। কিন্তু সেটা তিনি আন্দোলন শেষ হওয়ার দুইদিন পর করলেন। কারণ কোটা সংস্কারের সিদ্ধান্ত তার মনঃপুত হয়নি। তিনি চেয়েছিলেন, কোটা সংস্কার মানে ১০%, কিন্তু কোটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেয় সরকার। যেহেতু এই আন্দোলনের ফলাফল তার মনপুত হয়নি, এজন্য তিনি ছাত্রদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কলাম লিখলেন ! (এই ছাত্ররাই কিন্তু জাফর স্যার জাফর স্যার করে পাগল হয় !)

পাঠক ! যারা আমার লেখা সব সময় পড়েন, তারা হয়ত আমার কোন কথা বিশ্বাস করেন, আবার কোন কথা বিশ্বাস করেন না, বা বুঝেন না। আমি কিন্তু শুরু থেকেই একটা কথা বলে এসেছি-

১) মার্কিনপন্থী বা সিআইএপন্থীরা কোটা বাতিল চায় না, তারা ১০% কোটা চায় (বিশেষ করে উপজাতি কোটা)। কারণ এগুলোর সাথে তাদের স্বার্থ জড়িত।

২) ড. জাফর ইকবাল সিআইএ’র এজেন্ট।

যেহেতু কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে বা সিআইএ’র স্বার্থ তথা উপজাতি কোটা বাতিল হয়েছে তাই সিআইএ’র এজেন্ট ড. জাফর ইকবাল হুক্কা হুয়া করে ডাক দিয়েছে।

ড. জাফর ইকবালের এখানে স্বার্থ কি ?

সিআইএ’র যা স্বার্থ ড. জাফর ইকবালেরও সেই স্বার্থ। বিশেষ করে পার্বত্য তিন জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব তীমুর বা দক্ষিণ সুদানের মত নতুন রাষ্ট্র গড়তে চায় সিআইএ’। এই প্ল্যান বাস্তবায়নে তাদের যে সংগঠন শীর্ষে কাজ করছে তার নাম ‘সিএইচটি কমিশন’। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ড. জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক সেই সিএইচটি কমিশনের সদস্য বা মেম্বার (http://www.chtcommission.org/page.php?idn=10)।

এখন আপনি বলতে পারেন, সিএইচটি কমিশন যে পার্বত্য তিন জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, তার দলিল কি ?

সিএইচটি কমিশনে বেশ কয়েকজন সদস্য আছে। এর মধ্যে তিন সদস্য- মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ, হুর্স্ট হননুম এবং এরিক এভাব্যুরি নিয়ে বলতে চাই।

-মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ কিন্তু ইন্দোনেশিয়া থেকে ইস্ট তীমুর পৃথক করার সাথে জড়িত (সিএইচটি কমিশনের সাইটে তার প্রোফাইলে কিছু ইঙ্গিত পাবেন: (http://www.chtcommission.org/page.php?idn=10))। এছাড়া আমেরিকা চায় দালাইলামার মাধ্যমে তীব্বতকে চীন থেকে পৃথক করতে। সেই দালাইলামার উপদেষ্টও এই মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ।

-আরেক সদস্য হুর্স্ট হননুম নামক ব্যক্তিও পূর্ব তীমুরের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাথে জড়িত (সিএইচটি ওয়েবে তার প্রোফাইল দেখুন)।

-এরিক এভাব্যুরি সাবেক সদস্য, সে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ মারা যায়। এই ব্যক্তি সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান পৃথক করার জন্য কাজ করেছে। এ সম্পর্কে Sudan Democratic Gazette, 1997 বইতে তথ্য পাওয়া যায়।

অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের সিএইচটি কমিশন এমন একটি সংগঠন যেখানে এমন সব সদস্য রয়েছে যারা ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তীমুর এবং সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান পৃথক করার জন্য এক সময় কাজ করেছে। এখন সিএইচটি কমিশন নামক সংগঠনের ব্যানারে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে তিন পার্বত্য জেলাকে পৃথক করতে। এবং বলাই বাহুল্য পুরো কাজটি সিআইএ’র প্রজেক্ট।

তাহলে সেই সিএইচটি কমিশনের সদস্য ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হকও যে সিআইএ’র সম্পর্কিত সেটাও একই সূত্রে সহজে বলা যায়। আর যেহেতু, উপজাতি কোটা ছিলো সিআইএ’ প্রজেক্ট, আর সেই কোটা বাতিল হলে সিআইএ’ এজেন্ট ড. জাফর ইকবালের গায়ে লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এবং সে কারণেই কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে ইউটার্ন মেরেছে জাফর ইকবাল।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 15, 2018

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ হয়েছে, রাজাকারদের জন্য যেন বিশেষ ব্যবস্থা চালু না হয়


এতদিন সরকারী চাকুরীতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিলো। কিন্তু সেই কোটা এখন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যখন কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিলো, তখন মুক্তিযেদ্ধা কোটার পক্ষে কেউ কেউ বলেছে- “তবে কি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ করে রাজাকার কোটা চালু করা হবে ?”

গতকালকে প্রধানমন্ত্রী কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কোন কোন যায়গায় উপজাতিদের বিশেষ ব্যবস্থায় সুযোগের কথা বলা হচ্ছে। অথচ ১৯৭১ সালে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় উপজাতি গোষ্ঠী চাকমা (মোট উপজাতি’র অর্ধেকেরও বেশি) –এর তৎকালীল প্রধান বা রাজা ত্রিদিব রায় ছিলো চিহ্নিত রাজাকার। তার রাজাকারগিরিতে পাকিস্তান এত খুশি হয়েছিলো যে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সে পাকিস্তান পালিয়ে গেলে তাকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সেই চাকমা রাজার ছেলে বর্তমান চাকমাদের প্রধান। আসলে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান-চীন-আমেরিকা একজোট ছিলো। সে কারণেই বাংলাদেশে সকল উপজাতি গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এর একটি বিশেষ উদহারণ হতে পারে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। সেও কিন্তু মনিপুরী উপজাতি, যে নিজ মুখেই স্বীকার করেছে সে একজন শান্তি কমিটির মেম্বার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারও স্বীকার করে নেয় সিনহার স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের কথা।

সে দিক বিবেচনা করে, যদি এখন উপজাতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়, তবে বিষয়টি দাড়াবে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ করে রাজাকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা। হতে পারে এটা হয়ত গায়ের জোরে করা হবে। কিন্তু এর মাধ্যমে কিন্তু একটি কালো ইতিহাস রচিত হবে। আজীবন সবাই বলে যাবে- আওয়ামী সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ করে, রাজাকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করে গেছিলো।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, April 11, 2018

সংবিধানের ২৯/৩/ক ধারার ‘অনগ্রসর অংশ’র সুবিধা কোটা শুধু কেন উপজাতি গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করবে ?

সংবিধানের ২৯/৩/ক ধারায় বলা আছে- “নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।” (https://bit.ly/2v76l5B)
সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘ নাগরিকদের অনগ্রসর অংশ’। এখানে কোন জাতিগোষ্ঠীকে নিদ্দির্ষ্ট করে দেয়া হয় নাই। এই অনগ্রসর অংশ শুধু উপজাতি নয়, বাঙালীও হইতে পারে। আবার অনেক উপজাতি এখন অগ্রসর হয়ে গেছে। পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন উচ্চ মহলে অবস্থান করতেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করে সমাজের ধনী শ্রেণী তারা। তাদের ছেলেপুলেরা এখন অনগ্রসর বলে বিবেচিত হবে কিভাবে ? তাদেরকে অনগ্রসর কোটায় চান্স দেয়া মানে, আরেকজন অনগ্রসরকে বঞ্চিত করা।
সংবিধানের ২৯/৩/ক ধারা দিয়ে মোটেও সরকারকে বাধ্য করা হয় নাই ‘অনগ্রসর অংশ’কে কোটা দিতে হবে। সরকারের ইচ্ছা হইলে দিতে পারে। কিন্তু সেই সুযোগ দেয়ার আগে রাষ্ট্রকে স্পেসিফাই করতে হবে ‘অনগ্রসর’ অংশটা কে ? এবং কেন সে অনগ্রসর ?
কারণ কোটাকে যেমন বৈষম্য মনে করে বাতিল করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি অনগ্রসরের কথা বলে অগ্রসরকে কোটা দেয়াও এক ধরনের বৈষম্য বলে বিবেচিত হয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, April 9, 2018

উপজাতি কোটা ৫% মানে দেশদ্রোহী কোঠা ৫%

উপজাতি কোটা ৫% 
বঙ্গবন্ধু উপজাতি নেতা মানবেন্দ্র লারমাকে বলেছিলেন- তোমরা বাঙালী হয়ে যাও।
উত্তরে সে অস্বীকৃত জানায়। 
সরকারি হিসেবে যারা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দেশদ্রোহী ছিলো ,
যাদের পাহারা দিতে এখনও বাংলাদেশের বিরাট সেনাবাহিনীকে অপচয় করতে হয় ,
তারা কিভাবে ৫% কোটা পায় ?
হিসেব করলে তো দাড়াচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা কোঠা ৩০% আর দেশদ্রোহী কোঠা ৫%।
উপজাতি দেশদ্রোহীদের কোটা দেয়া আর তাদের কথিত স্বাধীন জুম্মল্যান্ড প্রজেক্ট বাস্তবায়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একই কথা। এরা নিজ এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিরোধীতা করে, কিন্তু কোটা সুবিধা পেতে চায়, এটা মেনে নেয়া যায় না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------