Showing posts with label উচ্ছেদ. Show all posts
Showing posts with label উচ্ছেদ. Show all posts

Sunday, April 7, 2019

ইমপ্লাস টাওয়ারের আগুন লাগানোর সিসিটিভি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে

ইমপ্লাস টাওয়ারের আগুন লাগানোর সিসিটিভি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে (https://youtu.be/QJrujDrAV7E)। এই দৃশ্য দেখার পর এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, এত ঘন ঘন আগুন লাগার পেছনে অবশ্যই কোন রহস্য আছে।

এবার আমাদের প্রথম দায়িত্ব কি ?-
প্রত্যেকে নিজ দায়িত্বে নিজ বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, বাজার, কারখানা,গুদাম হাসপাতালসহ সকল স্থাপনা ও যানবাহনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।  বহিরাগত কেউ এসে যেন আগুন লাগাতে না পারে সেজন্য সিকিউরিটি জোরদার করুন। আলাদা গার্ড  রাখুন এবং নিয়মিত তদারকি করুন।

যে প্রশ্নসমূহ আমাদের সামনে আসলো-

১) সিসিটিভিতে আগুন লাগার দৃশ্য জনমম্মুক্ষে আসলো জনগণের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন কেন তা আগে বলতে পারলো না, এই আগুন পরিকল্পিত বা কেউ লাগাচ্ছে ? জনগণকে কেন বলতে হলো ??

২) গান পাউডারের মাধ্যমে যদি আগুন লাগানো হয়, তবে অবশ্যই সেটা দমকল কর্মীদের বোঝার কথা। কিন্তু তারা প্রতিবারই ‘আগুন লাগছে শর্ট সার্কিট থেকে’’, ‘অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে’,  ‘অপরিকল্পিত জনবসতির কারণে’, ‘দাহ্য পদার্থের কারণে’, ‘কেমিকেলের কারণে’- এগুলো বলতেছে। তারা কেন মূল বিষয়টি এড়িয়ে যায় ?

৩) যদি সত্যিই আগুন লাগা ষড়যন্ত্র হয়, তবে সেটা উদঘাটন না করে কেন আগুন লাগার পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যেমন-
ক) ব্যবসা-শিল্প সরিয়ে সেখানে পর্যটন এলাকা করা,
খ) কর্পোরেটদের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ক্রয় করা,
গ) নতুন অত্যাধুনিক মার্কেট করা,
ঘ) রাজউকের নিয়ম মানার নাম করে চাদাবাজি চালু করা,
ঙ) পরিকল্পিত এলাকার নাম দিয়ে পুরাতনদের উচ্ছেদ করা।
চ) কূটনৈতিক পাড়া খালি করা।

৪) আগুন লাগার পর এমন মানুষ/ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, যারা এগুলোর সাথে জড়িত নয়। কিন্তু এমন কিছু মানুষের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়, যাদের আটক করলে মূল ঘটনা বের হওয়া সম্ভব। যেমন- পুরান ঢাকার আগুনের সূত্রপাত হয় একটি বিষ্ফোরণের মাধ্যমে। এবং সেই বিষ্ফোরণের কারণেই প্রাণহানি ঘটে।  বলা হচ্ছে দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন ছড়িয়েছে, কিন্তু প্রথম বিষ্ফোরণটা কিভাবে ঘটলো সেটা কেউ বলছেও না, আলোচনাও করছে না। প্রথম বিষ্ফোরণটা যদি দোতালার পারফিউমের গোডাউন থেকে হয়, তবে ওয়াহিদ ম্যানসনের বাড়িওয়ালাকে না ধরে ঐ পারফিউমের গোডাউনের মালিককে কেন ধরা হচ্ছে না ? কেন তাকে নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে না ? উল্লেখ্য ঐ গোডাউনের মালিক ছিলো মারোয়ারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পার্ল ইন্টারন্যালশনাল এবং তার পার্টনার ছিলো ভারতীয় কোম্পানি ‘এ্যাডজাভিজ ভ্যানচার লিমিটেড ইন্ডিয়া’। বিষ্ফোরকস্থলের নাম কেন এড়িয়ে যাওয়া হলো, এটা আগে বের করা উচিত।

জনগণের ভুল কোথায় ?
জনগণের ভুল হলো অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা । জনগণ বিদেশী কর্পোরেটদের প্রভাবিত মিডিয়া ও সরকার এবং তার পক্ষ-বিপক্ষ দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মূল আলোচনা থেকে সরে দিয়ে ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। যেমন-
১) রিফাত রিয়া নিয়ে আলোচনা
৩) বনানী অগ্নিকাণ্ডের পর নাইমকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা
৩) হেলিকপ্টার পানি তুলতে পারলো কি না, সেটা নিয়ে অযথা আলোচনা।

মনে রাখবেন, যারা মূল কালপ্রিট তারা সব সময় চায়, জনগণ যেন মূল আলোচনায় না থাকতে পারে, তারা যেন বিভ্রান্ত হয়ে অন্য পথে আলোচনা করে, আর সেই সুযোগে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করবে। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে, এসব আগুন লাগলে আমাদের কি করার আছে? আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনি ফেসবুকে যে আলোচনা করছেন, সেটা অন্তত টু-দ্য পয়েন্টে করুন, অযথা ‘নাইম কে স্যালুট’, ‘হেলিকপ্টার পানি তুলতে পারলো না’- এসব ফালতু টপিকস তুলে মূল আলোকপাতকে গৌন করে তুলবেন না। সেক্ষেত্রে মূল কালপ্রিটরা যে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়, সেটাতে জনগণের দায়ও কম নয়।   সকল জনগণ যদি যদি একযোগে মূল পয়েন্টে আলোচনা করতে পারতো, তবে অবশ্যই ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হতো।

নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পরও আমি বলছিলাম,
মুসলমানদের আলোচনার বিষয়বস্তু হওয়া উচিত ছিলো, “খুনিকে ফাসি এবং তার সমগোত্রীয়দের নিষিদ্ধ ও দমন করার দাবী তোলা”। কিন্তু মুসলমানরা সেটা না করে জেসিন্ডা আরডেন মাথায় হিজাব পড়লো না আরবীতে উচ্চারণ করলো সেটা নিয়ে তাকে স্যালুট স্যালুট করে মুখে ফেনা তুলে মূল টপিকসকে ঘুড়িয়ে দিয়েছে। বাস্তবজীবনে খেয়াল করবেন, কোন আলোচনা সভা বা জরুরী মিটিং এর মধ্যে কিছু ফালতু কোয়ালিটির লোক থাকে, যারা হঠাৎ ফালতু বিষয়ের অবতারণা করে মূল আলোচনাকে ঘুড়িয়ে নিয়ে যায়, অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টি ভ্রম করে। বাস্তব জীবনে কিন্তু আমরা এদের খুব নিন্দা করি। কিন্তু দেশ ও জাতি নিয়ে আমরা নিজেরাই যেহেতু চিন্তা করি না দেখে একই সমস্যা আমরা চিহ্নিত করতে পারি না। বরং নিজেরাই সেই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় হাওয়া লাগাই, এবং মূল বিষয়ে আলোকপাত না করে আলোচনা অন্য দিকে ঘুড়িয়ে বেকুব হই, আর ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল করতে সাহায্য করি।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

হঠাৎ আগুন বৃদ্ধির পেছনে দুটি বিদেশী প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ

১) বিশ্বব্যাংকের ‘আরবান রিজিলিয়ান্স প্রজেক্ট’ (ইউআরপি)
প্রকল্পস্থান : ঢাকা ও সিলেট শহর
প্রকল্পের সময়কাল: ২০১৫-২০২০
টাকার পরিমাণ :১৪০০ কোটি টাকা
প্রকল্পের বাহ্যিক উদ্দেশ্য : এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও সিলেট শহরের অবকাঠামো শক্তিশালী করন যেকোন নির্মাণ যেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করা এবং শহরের দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগনের সক্ষমতাবৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলায় ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে। শহরের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজে সচেতনতা বাড়বে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
(https://bit.ly/2CUCqPC, https://bit.ly/2WLwoYO, https://bit.ly/2TUD5G8)

২) জাপানের জাইকার বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট (ইউবিএসপি)
প্রকল্পের স্থান : ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর
সময়: ২০১৭ থেকে শুরু
উদ্দেশ্য:  শিল্প-বাণিজ্য ও বাসবাড়ির অগ্নিনির্বাপন সিস্টেম তৈরী ও কেনার জন্য সুদে ঋণ প্রদান ও আমাদের জনগণকে ঋণের জালে আবদ্ধকরণ। (https://bit.ly/2CQXVRl)

এ প্রকল্পগুলোর কারণে বিদেশীদের থেকে চাপ থাকবে ‘আগুন সেফটি’ নেয়ার জন্য আর যেসব ভবনে নেয়া সম্ভব না সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্য। এ কারণে এখানে-সেখানে দ্রুত আগুন ধরবে এবং অজুহাত তৈরী হবে যেন পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং নতুন ভবনগুলো অগ্নি নির্বাপন নিতে বাধ্য হয়।

এক্ষেত্রে সরকারই ‘মার্কেট সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ মেগা প্রকল্প’ নামক একটি প্রকল্প নেয়, সরকারী মার্কেটগুলো ভেঙ্গে ফেলে পূন:নির্মাণ বা সংস্কার করে নতুন করে বহুতল কমপ্লেক্স করার জন্য, যেখানে জিমনেশিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, ফুড কোর্ট, হলরুম, সিনেমা হল, উন্মুক্তস্থানসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

২০১৮ সালেই মিডিয়াতে দক্ষিণ সিটির ৩৭টি মার্কেট বা বাজারের নাম আসে, যেগুলো সরকার ভেঙ্গে নতুন বা পুনঃসংস্কার করতে চাইছে, কিন্তু ঐ এলাকার ব্যবসায়ীদের কারণে পারছে না। এর মধ্যে আছে:
১) খিলগাঁও কাঁচাবাজার
২) নিউ মার্কেট
৩) চন্দ্রিমা সুপারমার্কেট
৪) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার,
৫) পলাশী মার্কেট
৬) বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেট
৭) হাতিরপুল কাঁচাবাজার
৮) চানখাঁরপুল অস্থায়ী মার্কেট
৯) সদরঘাট হকার্স মার্কেট
১০) লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট
১১) কাপ্তানবাজার রোড সাইড মার্কেট
১২) নওয়াব ইউসুফ মার্কেট, বংশাল
১৩) লক্ষ্মীবাজার মার্কেট
১৪) বাদামতলী মার্কেট
১৫) শ্যামবাজার
১৬) ঠাটারীবাজার
১৭) দয়াগঞ্জ রোড সাইড মার্কেট
১৮) নবাব ইউসুফ মার্কেট
১৯) আজিমপুর রোড সাইড মার্কেট
২০) মানিকনগর আধুনিক কাঁচাবাজার
২১) ইসলামবাগ কাঁচাবাজার
২২) ঋষিকেশ দাস রোড মার্কেট
২৩) ঢাকা ট্রেড সেন্টার
২৪) ছিদ্দিকবাজার মার্কেট
২৫) ৩৮/৬ নর্থব্রুক হল রোড সাইড মার্কেট
২৬) ভিক্টোরিয়া পার্ক মার্কেট
২৭) সিমসন রোড সাইড মার্কেট
২৮) নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজার
(https://bit.ly/2Kj2Pgf)

শুধু বিদেশীদের টাকার জন্য নয়, পুরাতন বাজার/মার্কেট/শপিং সেন্টার ভেঙ্গে নতুন করলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেক লাভ আছে। যেমন কিছুদিন আগে গুলশান ডিসিসি মার্কেটে আগুন ধরলো। ঐখানে প্রায় ৭ বিঘা যায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য চূক্তি হয়েছে মেট্রোগ্রুপের সাথে। উপর দিয়ে প্রকাশ করা হয়, ঐ বহুতল ভবনের ৩৭% পাবে সরকার, আর ৬৩% পাবে নির্মানাধীন মেট্রোগ্রুপ (https://bit.ly/2OK69iI)। আপনারা যারা রিয়েলস্টেট বিজনেস বুঝেন, তারা বুঝতে পারবেন, গুলশান ১ এর মত যায়গায় কর্মাশিয়াল স্পেস নির্মাণে ৩৭-৬৭ পার্সেন্টিস কতবড় অসম্ভব একটা চূক্তি। এটা যদি ৭৫-২৫ (ডিসিসি-মেট্রোগ্রুপ) হয় তবুও শত শত কোম্পানি খাড়া হয়ে যাবে সেখানে মার্কেট বানাতে। দেখা যাবে, সরকারী রাঘব বোয়ালদেরকেই পর্দার আড়ালে ৪০% দোকান বুঝিয়ে দেয়া হবে, যা চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মেট্রোগুপের নামে।
এছাড়া মার্কেটগুলোর দোকান বরাদ্দ নিয়েও থাকে অসম্ভব রকম দুর্নীতি করার সুযোগ। এ সম্পর্কে একটি খবর পড়তে পারেন: https://bit.ly/2OPkdb0

তাই শুধু শুধু যায়গায় যায়গায় ব্যবসা-বানিজ্য করে কি লাভ ?
যদি সরকারেরই লাভ না হয় ?
জনগণের লাভ দিয়ে তো আর সরকার চলবে না।
সরকার ও তার কর্মকর্তা কর্মচারিদের লাভ হওয়ার জন্য যা করা দরকার,
তাই করতে হবে।
যদি প্রয়োজনে মানুষকে আগুন দিয়েও তাড়াতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়
তবুও সেটাই করতে হবে, এটাই নিয়ম।

হঠাৎ করে আগুন বৃদ্ধির পেছনে তাই
-বু্দ্ধিদাতা : বিদেশীরা
-ব্যবসা করার সুযোগ : বিদেশীদের (সাথে সরকারের দলীয় টপ লিস্টেড ব্যবসায়ীরা)
- দুর্নীতি করার সুযোগ : সরকারের
মাঝখান দিয়ে পিষ্ট হবে জনগণ,
জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জানমাল নষ্ট্ হবে
কাচা বাজারের স্থলে বহুতল অত্যাধুনিক মার্কেট হবে
কিন্তু জনগণের খরচ বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।
আর একটাকেই বলে কর্পোরেটোক্রেসি।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, April 2, 2019

বিদেশীদের খুশি করতে দেশের মানুষের পক্ষে কথা না বললেও, সেই বুদ্ধি বিএনপিকে রক্ষা করতে পারবে না।

“বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় আগুন লাগছে, এর পেছনে অন্য ঘটনা আছে”-এই কথাটা সম্ভবত আমি একমাত্র যে গত দুইমাস ধরে বলে চলেছি এবং এও বলেছি, এই ঘটনা খুব দ্রুত বাড়বে। আমার স্ট্যাটাস পড়ে আমাকে অনেকে ভালো বলেছে, আমার অনেকে গালি দিয়েছে। অনেকে বলেছে, আগে আপনাকে ভালো ভাবতাম, এখন ভাবি না। অনেকের কমেন্ট শুনে অনেক সময় মন  খারাপও করেছি, ভেবেছি, সত্যিই কি আমি ভুল কিছু করছি ? তারপরও মন শক্ত করে লেখা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি।

আমার স্ট্যাটাসের কমেন্টেসে আমাকে অনেকে জ্যোতিষি বলেছে। বলেছে, আমি ভবিষ্যত বাণী করি।
বাস্তবে আমি কিন্তু ভবিষ্যত বাণী করি না, বরং অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি।
অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ হচ্ছে এক ধরনের অংক বা ক্যালকুলেশন।
২+২ = ৪ হবে, এটা হলো অ্যানলাইসিস। এটা এক ধরনের ম্যাথমেটিকস, এক ধরনের বিজ্ঞানও বলা চলে। এভাবে ক্যালকুলেশন করে আমি ভবিষ্যতে কি হতে পারে, তা সম্পর্কে ধারণা করার চেষ্টা করি এবং আপনাদেরকে জানাই।
অ্যানালাইসিসের বস্তুগত সংজ্ঞা কি ? কিসের উপর নির্ভর করে তা করতে হয়, তা নিয়ে আমি সামনে বিস্তারিত স্ট্যাটাস দেবো। তবে রাজনৈতিক অ্যানালাইসিস নিয়ে আমি দুটো ক্লাস নিয়েছিলাম। আগামীতে সেই ক্লাসগুলো দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছাও আছে।

গত কয়েকদিনে আগুন নিয়ে সরকার ও বেসরকারীভাবে অনেকগুলো খবর ও বক্তব্য আমি দেখেছি। এ খবরগুলো দেখে আমার মনে কিছু চিন্তা হয়েছে, সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু বড় সমস্যা হলো ‘সময়’। সামনে আমার ‘অবসরের সময়’ নিয়ে যে ইঙ্গিত পাচ্ছি, তাতে লেখালেখিতে কতটুকু সময় দিতে পারবো, তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি যেটা করার চেষ্টা করি, অন্তত খবরগুলো দেখে আপনাদেরকে কিছু ‘ইঙ্গিত’ দিয়ে রাখা, যা দিয়ে হয়ত আপনারা নিজেরাই অ্যানালাইসিস বা ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে হয়ত, অনেক পাঠক অবজেকশন জানাবে, বলবে লিঙ্ক কোথায় ? দলিল কোথায় ? দলিল ছাড়া কথা বলেন কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি।

তবে সমালোচনার আমি সিক্ত হবো, এটা জেনেও, আমি কিছু খবর সম্পর্কে যাস্ট ‘ইঙ্গিত’ দিয়ে রাখছি, যেন আমি সময় না পেলে বা দেশে শর্ট সময়ে অনেক কিছু ঘটে গেলে আপনারা সে অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা লেখালেখি করতে পারেন।

১) খবর: অগ্নি নিরাপত্তা: গার্মেন্টের আদলে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ ইইউর
(https://bit.ly/2U7YOiT)
মন্তব্য : পশ্চিমারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার বা ব্যবসা করতে চায়। অগ্নি ভয় দেখিয়ে কমপ্ল্যায়েন্সের কথা বলে অনেক গার্মেন্টসকে এতদিন পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বাসাবাড়ি বা সাধারণ কমার্শিয়ালের জন্য একই কথা বলে তারা আরো বড় ব্যবসার ধান্ধা করছে। আর তারা যত ব্যবসা করবে, জনগণের খরচ তত বাড়বে। এমনিতেই ঢাকায় কমার্শিয়াল স্পেস ও আবাসিক বাড়িভাড়ার খরচ বহন করতে গিয়ে জনগনের মাথায় হাত। আমার কথা হলো, যদি সত্যিই আগুন ধরতো, তবে সমস্যা নেই, কিন্তু স্যাবোট্যাজ আগুনকে কেন্দ্র করে কেন নতুন করে আমার খরচ বাড়ানোর ধান্ধা করা হবে ?

২) খবর: রোববার থেকে ঢাকাস্থ ভবনগুলোতে রাজউকের অভিযান, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকলে ভবন সিলগালা (https://bit.ly/2WzmXvx)
মন্তব্য: আমি বড় ধরনের চাদাবাজির ইঙ্গিত পাচ্ছি। ঈদের বখশিস নিতে সরকারী কর্মকর্তারা আসছে আমার-আপনার বাসায়।

৩) খবর: বনানী এফআরটাওয়ার নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত, আগেই নোটিশ টাঙ্গানো হয়েছিলো। জমির মালিক ফারুক এবং বিএনপি নেতা তাসভির গ্রেফতার।

মন্তব্য: উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।  একটা ঘটনার পরবর্তী ফায়দা কে নিবে, সেটা দেখে অনুমান করতে হবে ষড়যন্ত্রটা কে করেছে ? বনানীর মত যায়গায় নিজের তিন তলা কমার্শিয়াল স্পেসে আগুন ধরায় নিজের ক্ষতি কোন পাগলও করবে না। যেহেতু রাজউক ঐ ভবনটাকে ধরতে চাইছিলো (হয়ত ঘুষ দেয়নি), অতিরিক্ত অংশের (ঢাকায় এমন ভুরি ভুরি ভবন আছে) মালিক বিএনপি নেতা এবং ঐ এলাকা নিয়ে সরকারের একটা মাস্ট্যারপ্ল্যান  আছে (কূটনীতিক পাড়া ও তার আশেপাশে খালি করা), সেহেতু হুদাই দোষের তীর ১৮০ ডিগ্রি ঘুড়ায় লান্ড ওনার আর ভবন মালিকের দিকে দেয়া হচ্ছে।

৪)   একের পর এক আগুন নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখুন :সাঈদ খোকন
(https://bit.ly/2V8ZYY6)

মন্তব্য: সাবাস ! এটাই তো চাচ্ছিলাম। কয়েকদিন পর সাঈদ খোকন-ই বলবে এই আগুনের পেছনে বিএনপির নাশকতা আছে। তারপর বিএনপির যে কয়টা আধমরা আছে সেগুলোকেও জেলে ভরবে। সাঈদ খোকন নিজেই পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডসহ ব্যবসা বাণিজ্যের নষ্টের পেছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত। কিন্তু বিএনপি এটা জেনেও তার বিরোধীতা করেনি, কারণ এর পেছনে বিদেশীদের ফান্ড আছে। কারণ এখানে ষড়যন্ত্র ফাস করলে যদি বিদেশীরা বিএনপির প্রতি নাখোশ হয়। এবার ভালো হলো, সেই দায় এবার খোদ আওয়ামীলীগই বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। বিদেশীদের খুশি করতে দেশের মানুষের পক্ষে কথা না বললেও, সেই বুদ্ধি বিএনপিকে রক্ষা করতে পারবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

“দেশ হবে সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্যারিস, সুইজারল্যান্ড; থাকবে না কোন গরীব”


অভিজান : ‘অগ্নিস্নানে শুচি’
তারিখ: ৩০/০৩/২০১৯
স্পট: গুলশান-১ ডিএনসিসি সুপার মার্কেট
ভবিষ্যত : ‘ঢাকা সিটি ট্রেড’, ২০ তলা।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান : মেট্রো গ্রুপ
মন্তব্য: “দেশ হবে সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্যারিস, সুইজারল্যান্ড; থাকবে না কোন গরীব”

বিস্তারিত: গুলশান-১ এর ডিএনসিসি সুপার মার্কেটের ৭ বিঘা জমির উপর বিরাট ২০ তলা বহুতল ভবন নির্মাণ করবে মেট্রোগ্রুপ।  ভবনের নাম হবে ‘ঢাকা সিটি ট্রেড’। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের সাথে অনেক আগেই চূক্তি হয়েছে।  এর আগে ফকিরন্নি দোকান সরাতে ২০১৭ সালের জানুয়ারীর শুরুতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন মরহুম মেয়র আনিসুল ইসলাম। আগুন দিয়ে পরিষ্কার করেছিলেন বেশ খানিকটা। তবে সে সময় কাজটা শেষ হয়নি।  পরবর্তীতে তার অসুস্থতা ও মৃত্যু কাজ দীর্ঘদিন কাজ থামিয়ে থাকে। তবে নতুন মেয়র আতিকুল দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে আনিসুলের রেখে যাওয়া কাজে হাত দিয়েছেন। আতিকুল বলছেন, “কোন কথা হবে না, হবে অ্যাকশন”।

বি: দ্র: ঢাকা ভার্সিটির পাশে নীলক্ষেতের শেষ অবস্থা কেউ বলতে পারবেন ? শেষ অবস্থা আমার জানা নাই। নীলক্ষেতের দোকান সরিয়ে সেখানে বিরাট বহুতল ভবন তৈরীর চূক্তি সেরেছিলো ফজলে নূর তাপস। তাদের কাছে কেউ তথ্য পৌছান, তাদেরকে সাবধান করেন। নয়ত যেকোন সময় তাদের এলাকাও সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্য্যারিস, সুইজারল্যান্ড হওয়ার কাজ শুরু হতে পারে। নীলক্ষেত ঢাকার ছাত্র সমাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা এলাকা। নীলক্ষেত না থাকলে ছাত্রদের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য আমি গত ২ মাসে যে লেখাগুলো লিখেছি, সেগুলো নিয়ে অনেকেই হয়ত তর্ক করেছেন। কিন্তু আমার অ্যানালাইসিস বলে সেটাই সম্ভবত দ্রুত ফলতে যাচ্ছে, সেই থাবায় হয়ত বাদ যাবেন না আপনিও ।

নিচের দুটি লেখার লিঙ্ক  সংযুক্ত করে দিলাম:
১) বুলডোজারে পরিষ্কার হয় কম, আগুনে বেশি (https://bit.ly/2OxZjgg)
২) ১ মাসে দেশের ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক এলাকায় আগুন (https://bit.ly/2HKFW2U)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 14, 2019

মাইরের ওপর ওষুধ নাই


বিশ্বব্যাংকের ইকোনোমিক হিট ম্যান (অর্থনৈতিক ঘাতক)দের দ্বারা গঠিত প্রকল্পে ধ্বংস হচ্ছে পুরান ঢাকা  ও বুড়িগঙ্গার তীরে ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা শিল্প ও বাণিজ্য।  যারা ইকোনোমিক হিটম্যান দ্বারা বানানো পদ্ধতি (কর্পোরেটোক্রেসি) মেনে নিবে, তারা নির্ঘাত পথে বসে যাবে, দেওলিয়া হয়ে যাবে, আফ্রিকার জনগণের মত না খেয়ে কঙ্কালসার হয়ে মরবে। তাই মরার আগেই তাদের প্রতিবাদ করতে হবে। আজকে বুড়িগঙ্গার তীরে খেয়াঘাটের মাঝিরা বিশ্বব্যাংক ও তার দালালদের বিরুদ্ধে যে বৈঠা হাতে তুলে নিয়েছিলো, এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। ২০১১ সালে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ যেভাবে লাঠিসোটা, রামদা, হকিস্টিক, দা, ঝাড়ু হাতে মাঠে নেমেছিলো, পুলিশকে পিটায় মেরে ঐ প্রকল্প বাতিল করছিলো,  সেটাই হলো বিশ্বব্যাংক ও তার দালালদের কর্পোরেটোক্রেসি’র বিরুদ্ধে উত্তম জবাব।

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা  অবশ্য একটা ভুল করছে, এজন্য তাদের ব্যবসা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শুরুতেই উচিত ছিলো সবাই মিলে একসাথে খেয়াঘাটের মাঝি ও আড়িয়াল বিলের জনগণের মত অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাঠে নামা, লক্ষ মানুষের জীবিকা যারা নষ্ট করত চায় তাদের উত্তম মধ্যম দেয়া। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের কমিশনভোগী দালাল সাঈদ খোকনকে উপযুক্ত শায়েস্তা করা । নাজিরাবাজারে তার পৈতৃকবাড়ির অবরোধ করা। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় শিল্পখেকো বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট বাতিল না করবে, ততক্ষণ সাঈদ খোকনের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখা। তার কাছে জবাব চাওয়া, কোন সাহসে সে ইহুদী বিশ্বব্যাংকের কাছে পুরান ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ৪শ’ বছরের শিল্প-বাণিজ্য ও খেটোখাওয়া মানুষের রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন বিক্রি করেছে ?

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

৪ বছর আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছে বিক্রি হয় বুড়িগঙ্গা ও পুরান ঢাকা


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদীরা বিশ্ব শাসনের জন্য নতুন কৌশল ‘আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ প্রণয়ন করেছিলো।  এই ব্যবস্থায় উপনিবেশগুলো ভেঙ্গে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র তৈরী করে তারা।  ইহুদীরা ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর, আর বাকিরাষ্ট্রগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা বাহ্যিক কিছু সংস্থা তৈরী করে, যেগুলো স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে নিরপেক্ষ মনে হতে পারে।  কারণ আমেরিকা যদি আমেরিকার স্বার্থের কথা বলে, তখন সেটাকে আমেরিকার পক্ষপাতিত্ব বলে মনে হবে, কিন্তু নিজেদের বানানো একটা নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে কথা বলালে মানুষকে ধোকা দেয়া সহজ।  এই ধরনের নিরপেক্ষ সংস্থা হলো- বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাতিসংঘ।  এই সংস্থাগুলো প্রকাশ্যে নিরপেক্ষভাবেই কথা বলবে, কিন্তু তারা যত কাজ করবে, বুদ্ধি দেবে কিংবা বিনিয়োগ করবে, সব আলটিমেটলি মার্কিন ইহুদীবাদীদের সম্রাজবাদ দীর্ঘস্থায়ী করবে।

তাই বিশ্বব্যাংক যদি কোথাও ইনভেস্ট করে তবে, তবে বুঝতে হবে সেখানে সন্দেহ আছে।  বহু পরিক্ষিত বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক তৃতীয় বিশ্ব বা বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোতে কোন নিজস্ব শিল্প ব্যবস্থা দাড়াতে দেয় না।  এর পেছনে বিশ্বব্যাংক বা ইহুদীদের অনেক প্ল্যান থাকতে পারে, তবে আমার যেটা অনুমান, কোন দেশ যদি নিজস্ব শিল্প দাড় করাতে পারে, তবে ঐ দেশটি স্বনির্ভর হয়ে যায়, আর যেকোন স্বনির্ভর রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করা ইহুদীদের জন্য কঠিন।  তাদের যদি স্বনির্ভরতা না থাকে, তখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় তারা ইহুদীদের কাছে টাকার জন্য ধর্ণা দিবে, আর যত ধরা দিবে তত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।

বিশ্বব্যাংক যে বাংলাদেশের স্বনির্ভর শিল্প ধ্বংস করতে চায়, এটা আমার কথা না।  এটা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাবৎ বড় বড় মন্ত্রী মিনিস্টার ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কথা।  আসুন সেগুলো একটু দেখি

১) বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনার নিজেই বলেছেন,
বিএনপি পাটকল বন্ধের শর্তে বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ নিয়েছিল: শেখ হাসিনা
 (https://bit.ly/2UAbITf)
২) আন্তর্জাতিকভাবে পাট নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, বিশ্বব্যাংক এখন ভারতে পাটকল তৈরিতে অর্থায়ন করছে।:  মির্জা আযম (https://bit.ly/2O2zzZe) 
৩) “আমরা কৃষককে একটাকা দেবো, কৃষক আমাকে দশটাকা এনে দেবে। আমরা বলছি, কৃষিতে ভর্তুকি দেবো। বিশ্বব্যাংক বলছে, না ভর্তুকির দরকার নাই। আরে আমার টাকা আমি কি করবো এটা কি তোমারে জিগামু? : মতিয়া চৌধুরী
(https://bit.ly/2O2h9HY)
৪) বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে জাহাজভাঙ্গা শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র: শিল্পমন্ত্রী
(https://bit.ly/2O0Lpms)
৫) “বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশের জাতীয় শিল্প ধ্বংস হয়েছে।  লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়েছে। এই বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বব্যাংকের দালালদেরও ঝাটিয়ে বিদায় করতে হবে।” --মেনন
(https://bit.ly/2HxTApa)
৬) “ বিদেশি দাতা সংস্থার (বিশ্বব্যাংক) পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ (আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস) লাগানো হয়েছে। এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’  : মতিয়া চৌধুরী  (https://bit.ly/2SOUBLu, https://bit.ly/2HdQzKJ)
৭) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হাফিংটন পোস্টের ‘How the world Bank broke its promise to protect the poor’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩৪ লাখ মানুষকে ভিটেমাটি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে তাদের জীবিকার অবলম্বন।
৮) আফ্রিকা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরার খনি আফ্রিকাতেই আছে। কিন্তু আফ্রিকার মানুষ দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পায় না, রোগ-শোকে কাতর থাকে।  আফ্রিকাকে পথে বসিয়ে দেয়ার পেছনে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ মত সংগঠন।
এ বিষয়ে জানতে দুটো আর্টিকেল পড়তে পারেন-https://bit.ly/2UCiszY, https://bit.ly/2TRUfZq

সবচেয়ে ভয়ের কথা হচ্ছে, পুরান ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার কথিত উন্নয়নের নামে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ শুরু করেছে।  এর মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কথা শোনা যাচ্ছে-

১) “ঢাকা ইনটিগ্রেটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট”
এই প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিবে ১৬শ’ কোটি । এই প্রকল্পের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে হবে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ও বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে এবং ইতিমধ্যে পড়া শুরু করেছে যা সবাই জানে।  (https://bit.ly/2O34uES, https://bit.ly/2UAzVbM)

২) “ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং” -প্রকল্প
এই প্রকল্পের আওতায় কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকাকে ভেঙ্গে পুর্নগঠন করা হবে।  এই প্রকল্পে মূল ব্যয় ৮৮০ কোটি, যার ৮৩৪ কোটি টাকা দিবে বিশ্বব্যাংক।  এই প্রকল্পের কারণেও পুরান ঢাকার অধিকাংশ শিল্প ও কারখানা হুমকির মুখে পড়বে, এটা নিশ্চিত।
(https://bit.ly/2Fay08F)

৩) “বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটওয়ে ও ট্র্যান্সপোর্ট প্রজেক্ট ১” –প্রকল্প
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা, যা দেবে বিশ্বব্যাংক।  (https://bit.ly/2T4yZLh)

এটা আসলে একটা আন্তর্জাতিক প্রকল্প। আপনাদের মনে থাকার কথা, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কেন ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নৌ করিডর চায়, সে বিষয়ে (https://bit.ly/2FbXjHG)।
মূলত: এই প্রকল্প হচ্ছে ভারত-নেপাল-ভুটানের সাথে একটি নৌ করিডর তৈরী করার প্রকল্প, যা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ-এর মধ্যে একটি নৌ করিডর তৈরী করবে।  এই আন্তর্জাতিক নৌ করিডর প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সরকার আবার ঢাকার আশেপাশের নদীকে (বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষা, তুরাগ ও বালু নদী) ক্লিয়ার করছে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে। ঐ প্রকল্পের ৮৪৮ কোটি টাকা। (https://bit.ly/2EZ6UAf)
মূলত এই প্রকল্পে কারণে বর্তমানে বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকা ঢাকার আশেপাশে কথিত উচ্ছেদের নামে অনেক ভাংচুর হচ্ছে, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, খেয়াঘাট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অনেকে ভাবছে, এগুলো সাধারণ জনগণের উন্নয়নের জন্যই করা হচ্ছে। আসলে না, এই উন্নয়নে হচ্ছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের নৌ করিডর বানানোর জন্য (মোদির ভারত = আমেরিকা)।  সেই ভারতের পন্যবাহী জাহাজগুলো যখন চট্টগ্রাম বন্দরে আসা-যাওয়া করবে, তখন মাঝপথে ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে তারা নৌঙ্গর করবে। তাদের মনরঞ্জনের জন্য তখন থাকবে বিলাশবহুল হোটেল ও রিসোর্ট।  বাংলাদেশে ২ টাকার মাঝিমাল্লা রাস্তায় থাকলে সেই পরিবেশ দেখতে খারাপ হবে, তাই তুলে দেয়াতেই এত ভাংচুর আর উচ্ছেদ।

আমার এই আলোচনয় একটি বিষয় ক্লিয়ার,
বুড়িগঙ্গার তীরে উচ্ছেদ, খেয়াঘাট বন্ধ, পুরান ঢাকার শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস, সবকিছুর পেছনে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের ফান্ডিং এবং বিদেশীদের সুবিধা। সরকার নিজেও জানে, এসব ফান্ডিং নেয়া মানে দেশীয় শিল্প ধ্বংস, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীকে রাস্তার ফকির বানানো, কিন্তু তারপরও জনগণ যেহেতু বিষয়টি বুঝতেছে না এবং ‘উন্নয়ন’ ভেবে বোকা হচ্ছে, তাই তাদের আরো ধোকায় ফেলতে সমস্যা কোথায় ?

(ছবি: ২০১৫ সালে বুড়িগঙ্গা ও পুরান ঢাকা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে মিটিং করে মেয়র সাঈদ খোকন)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বিশ্বব্যাংকের টাকায় বুড়িগঙ্গাকে করা হবে পর্যটনকেন্দ্র


বিশ্বব্যাংকের টাকায় বুড়িগঙ্গাকে করা হবে পর্যটনকেন্দ্র
থাকবে প্রামোদতরী, ভাসমান বিনোদনের সুব্যবস্থা, হবে কোলাহলশূণ্য
থাকবে বিলাসবহুল রিসোর্ট, সাথে ৫ তারকা হোটেল, 
সাঈদ খোকনের সাথে বিশ্বব্যাংকের চূক্তি হয়েছে ২০১৬ সালে, দেশে-বিদেশে একাধিক মিটিং, বিশ্বব্যাংক দেবে ১৬০০ কোটি টাকা,
সিঙ্গাপুরের কালং,  সিঙ্গাপুর নদী এবং হাতিরঝিলের আদলে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি
প্রকল্পের নাম : ঢাকা ইনটিগ্রেটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট

প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরে আনা হবে।  নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে পুরো নদীজুড়ে। অবকাশ যাপনের জন্য নদীর তীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে (চলাচলের রাস্তা), পার্ক, বসার স্থান, নদীঘাট, পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরী, ভাসমান বিনোদন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁ থাকবে। পর্যটকরা যাতে নদীর প্রাকৃতিক রূপ উপভোগ করতে পারেন সে জন্য নদীর দুই পাশের প্রসস্থ সড়কে উন্নত বাস সার্ভিসও থাকবে, যা রয়েছে হাতিরঝিলে।

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুরের কালং ও সিঙ্গাপুর নামে দুটি নদী রয়েছে। সেই দুটি নদীর আদলেই বুড়িগঙ্গা রূপান্তরিত করা হবে। সিঙ্গাপুর সরকারের সাজানো ওই দুটি নদীতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়। সেই নদীর আদলে বুড়িগঙ্গাকে সাজাতে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তারা দুটি নদী মেয়রকে দেখিয়েছেন। মেয়রও প্রতিনিধি দলের উপস্থাপন দেখে সন্তুষ্ট। সে অনুযায়ী এখন চরছে নকশা প্রণয়নের কাজ। বিশ্বব্যাংকের হয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কনসালট্যান্টের কাজ করছে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট।

এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, বুড়িগঙ্গাকে নবরূপ দিতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ‘ঢাকা ইনটিগ্রেটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট’ নামের প্রকল্পটির মধ্যে থাকবে শিকদার মেডিকেল থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত নদীর পাড়ের আধুনিকায়ন। দু’পাড় ঘেঁষে থাকবে বিশেষ ধরনের সিরামিকের তৈরি ওয়াকওয়ে (চলাচলের রাস্তা)। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে ছোট ছোট টেবিল। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য থাকবে বিনোদন সুবিধা সংবলিত প্রমোদতরী। সব বয়স ও শ্রেণির মানুষের জন্য থাকবে বিনোদন পার্ক। থাকবে তিন বা পাঁচতারকা মানের কয়েকটি রিসোর্টও।

সবুজায়নে ভরে দেয়া হবে পুরো নদী পাড়। কিছু স্থান রাখা হবে খোলামেলা। পাড় ঘেঁষে যেসব প্রাচীন, ঐতিহাসিক, দর্শনীয় ভবন ও স্থান রয়েছে, সেগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে। তিন থেকে চারটি থাকবে ভাসমান রেস্তোরাঁ। পানাহারের সুবিধাসহ বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হবে এসব রেস্তোরাঁয়।   নদীর দু’পাড়ে থাকবে আধুনিক আলোকসজ্জা। দেশি-বিদেশি ফুল ও অর্নামেন্টাল ট্রি (সাজবৃক্ষ) দিয়ে সাজানো হবে পাড়।
নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, বুড়িগঙ্গার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে মোহনীয় এ প্রকল্পের বিষয়ে এরই মধ্যে সংস্থার মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা। তারা প্রকল্পে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।  এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকার ইতিহাস বুড়িগঙ্গা এখন মৃতপ্রায়। এর প্রাণ ফিরে এনে নান্দনিকভাবে গড়ে তোলোর জন্য আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা একটা পর্যায়ে চলে যেতে পারবো।  ফলে বুড়িগঙ্গা হবে রাজধানীর দ্বিতীয় হাতিরঝিল।’

সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, গত ২৫ জুন, ২০১৬ বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহান্স জার্গেতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে দেখা করে বুড়িগঙ্গা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। এরপর বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা মেয়রের সঙ্গে দেশে-বিদেশে আরও বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। এখন দ্রুতগতিতে পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার ও ডিএসসিসি সমন্বয় করে পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে।

বুড়িগঙ্গা প্রসঙ্গে গত ১৬ মে নগরভবনে মেয়রের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সাঈদ খোকনের প্রধান সমন্বায়ক ও আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হাতিরঝিলের মতো আমরা আরো একটি হাতিরঝিল করবো। আর বুড়িগঙ্গা নদী হবে সেই হাতিরঝিল। বুড়িগঙ্গাকে আগের স্থানে ফিরে আনতে পারলে আপনাদের (মেয়র ও কাউন্সিলর) নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে।’

তথ্যসূত্র:
১) https://bit.ly/2W23tQd
২) https://bit.ly/2O34uES
৩) https://bit.ly/2UAzVbM

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মাথায় ব্যাথ্যা হওয়া মানে কিন্তু মাথা কেটে ফেলা নয়।


আজ থেকে ৪ দিন আগে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম,
এবার খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দেবে সরকার, বেকার করবে লক্ষ লক্ষ লোককে। তাদের টার্গেট ট্যানেল বানানো এবং পর্যটন পরিবেশ তৈরী করা।  এবং মানুষ পারাপারের সব টাকা নিজেরা কুক্ষিগত করা। (https://bit.ly/2F9vMGQ)

আমার স্ট্যাটাস দেয়ার ১ দিন পর সরকার ঠিক সেই পথে হেটেছে এবং খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
গতকাল ঐ এলাকায় কিন্ত পাবলিক আন্দোলন-বিক্ষোভ করেছে এবং ভাংচুর করেছে। দৈনিক প্রথম আলোর খবর:

ঢাকা নদীবন্দর: ঘাট বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে দুটি খেয়াঘাট বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছেন খেয়ানৌকার মাঝি, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। তাঁরা সদরঘাটে নোঙর করা দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনের কাচ ভাঙচুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জন প্রাণ হারান। এরপর বিআইডব্লিউটিএ গত সোমবার সিদ্ধান্ত নেয়, সদরঘাট থেকে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, সিমসনঘাট থেকে কালীগঞ্জ পথে খেয়ানৌকা চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল ওয়াইজঘাট থেকে আগানগর পথে নৌকা চলবে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল আন্দোলনে নামেন মাঝি ও শ্রমিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআইডব্লিউটিএর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর ও চরকালীগঞ্জ এলাকার বিক্ষোভ শুরু করেন মাঝিরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক যোগ দেন। একপর্যায়ে তাঁরা শতাধিক খেয়ানৌকা ও ট্রলার নিয়ে সদরঘাট টার্মিনালে এমভি কীর্তনখোলা ও এমভি রাজহংস লঞ্চে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়ে এই দুটি লঞ্চের বেশ কিছু কেবিনের জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। নৌ পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আবার কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগরে অবস্থান নেন। বন্ধ ঘাট দুটি পুনরায় চালু করার দাবিতে স্লোগান দেন।
পূর্ব আগানগর খেয়াঘাটের মাঝি আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে এ ঘাটে নৌকা চালাচ্ছি। এ ঘাটটি বন্ধ করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই ঘাটগুলো চালু। গত সোমবার বিআইডব্লিউটিএর লোকজন ঘাটটি বন্ধ করে দেয়। এতে এলাকার তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের পারাপার ও তাঁদের মালামাল বহন করতে সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে সমস্যা হচ্ছে। আবদুল আজিজ ঘাট দুটি আবার চালু করার আহ্বান জানান।
এদিকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে সদরঘাট টার্মিনাল মিলনায়তনে জরুরি সভা করে বিআইডব্লিউটিএ। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ খেয়ানৌকা দিয়ে সদরঘাট এলাকা থেকে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ঘাটে যাতায়াত করেন। কিন্তু সম্প্রতি সদরঘাট এলাকায় কয়েকটি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ ধরনের দুর্ঘটনারোধে ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সরকার দুটি ঘাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াইজঘাটের বিনা স্মৃতি স্নানঘাট থেকে আগানগর ঘাটে যাত্রী পারাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (অর্থ) নুরুল আলম, পরিচালক শফিকুল হক, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর গুদারাঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ নসরুল হামিদ। তিনি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
রাতে নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই দুটি ঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় কেরানীগঞ্জের বাণিজ্যিক কার্যক্রম থমকে গেছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই দুটি ঘাট খুলে দেবে বলে জানিয়েছে।’ (https://bit.ly/2XVfsR6)

মাথায় ব্যাথ্যা হওয়া মানে কিন্তু মাথা কেটে ফেলা নয়। সড়কে কিন্তু প্রতিদিন শতাধিক হতাহত হয়, তাই বলে কি সড়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে হবে ? সমাধান করতে হবে, যেন দুর্ঘটনা না হয়।
বুড়িগঙ্গার খেয়াঘাটের পাড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই ১টা বাদে সবগুলো ঘাট বন্ধ করে দিছে, এটা তো কোন সমাধান নয়। ঐ এলাকায় আপনারা গেলে বুঝবেন, ওতগুলো ঘাট থাকার পরও মানুষের জ্যাম লেগে আছে, প্রতিনিয়ত। তাহলে ১টা ঘাট দিয়ে কিভাবে হবে ?
আর তাছাড়া রাষ্ট্র কখন পারে তা কোন জনগণের রুটি-রোজগারের উপায় কেড়ে নিতে।
সরকারের নিজের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রত্যেকটি নাগরিককে রুটি-রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়া
যদি না পারে, তখন তাকে ভাতা দেয়া।
কিন্তু কোন নাগরিক নিজের উদ্যোগে নিজের রুটি-রোজগারের উপায় খুজে নিয়েছে, সরকারের উচিত এতে খুশি হওয়া এবং তাকে সাহায্য করা। কিন্তু সরকার সেটা না করে উল্টা তার রুটি রোজগারের উপায় কেড়ে নেয়। আমার মনে, হয় রাষ্ট্র তার জনগণের উপর যে সমস্ত জুলুম চালায়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জুলুম হলো এই ধরনের জুলুম করা। কারণ একজন খেটে খাওয়া লোকের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভর করে। সে কামাই করে আনলে তার টাকায় বাসায় ভাত বসে, ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়, অসুস্থের চিকিৎসা হয়। কিন্তু উপার্যনক্ষম ব্যক্তিকে যদি বেকার করে দেয়া হয়, তবে তার থেকে কষ্ঠের কিছু থাকে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কর্মপরিধির ৯৯% হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরে আর মাত্র ১% হচ্ছে সরকারী। কিন্তু অতিসম্প্রতি শেখ হাসিনা পুরান ঢাকাসহ সারা দেশের প্রাইভেট সেক্টরের কর্ম-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যে ভূমিকা নিয়েছে তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। এই পলিতি শেখ হাসিনার নিজ মস্তিষ্ক থেকে আসুক অথবা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে পলিসি নিক, কোনটাই স্বাভাবিক নয়।  শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা “আমার ফাসিঁ চাই বই’ বইতে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য থেকে স্মরণ আসে, নিশ্চয়ই তিনি তার পরিবার হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছেন এবং দেশটাকে ধ্বংস করেই তিনি ক্ষান্ত হবেন।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

দেশে বাড়বে পর্যটন, কি প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের উপর ?


আওয়ামী সরকার খুব দ্রুত দেশে পর্যটনের বিস্তার করার লক্ষে কাজ শুরু করেছে।  এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়ায় অনেক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  আজকে খবরে দেখলাম, পর্যটন মন্ত্রী বলেছে, “পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহে উন্নত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।…..এ রকম ৮০০ স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।” (https://bit.ly/2H9H9AB)

আমি যেটা বুঝতেছি, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরীর ঘোষণার পর, বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশকে পর্যটন বান্ধব করতে চাইছে শেখ হাসিনা। যেন বিদেশীরা বাংলাদেশ ঘুড়ে দেখে ভালো লাগে এবং বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হয়। এই পর্যটন স্পটগুলো কারা সিলেক্ট করে দিচ্ছে তা জানি না, কিন্তু এর মধ্যে উল্টা পলিসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  যেমন, শিল্প-বাণিজ্য তুলে পর্যটন করা হচ্ছে, (পুরান ঢাকা, বুড়িগঙ্গার পার), আর পর্যটন এলাকা তুলে শিল্প এলাকা করা হচ্ছে (সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তার আশেপাশে শিল্পাঞ্চল)। 

শুধু তাই নয়, হকার উচ্ছেদ করে ফুটপাথগুলোকে বাগান বানানো হচ্ছে, সেটা ঐ একই ইচ্ছা থেকে।  এছাড়া বস্তিগুলোতে আগুন লাগানো হচ্ছে একই কারণে, দৃশ্যত বস্তি দেখতে ভালো লাগে না।  বিদেশীরা এসে বস্তি দেখে কি বলবে ? তাই তাদের আগুন লাগায় দ্রুত  তাড়িয়ে দাও। এছাড়া ভাঙ্গা মন্দিরগুরো সংস্কার করতে ২২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে (https://bit.ly/2J1VK2Z), যাতে বিদেশীরা এসে বলতে না পারে, “দেখেছো, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনলায়গুলোর কোন খবর নেয় না, কি ভাঙ্গাচুরা দশা” ।

এছাড়া দেশে নতুন ১০টি ফাইভ স্টার হোটেল নির্মিত হচ্ছে (https://bit.ly/2NEYhxx), এর মধ্যে হাতিরঝিলের পাশে হচ্ছে ২৯ তলা ফাইভ স্টার হোটেল।  এসব হোটেলে আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীদের আড়ালে ইনভেস্ট করছে আমেরিকা, ফ্রান্স বা বিশ্বব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানগুলো।  এছাড়া ঢাকায় নতুন করে আরেকটা বিমানবন্দর প্রস্তাব করা হয়েছে (https://bit.ly/2VUALkd)।
এছাড়া জনগণের টাকায় ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মত বড় ব্যয়ের প্রজেক্ট করা হচ্ছে বিদেশীদের সুন্দর করে সবকিছু দেখানোর জন্য।(এসব যদি সত্যিই জনগণের জন্য করা হতো, তবে অবশ্যই ঢাকায় যানজট কমতো, যাতায়াত ভাড়া কমতো, কিন্তু কোনটাই হয়নি।)

বাংলাদেশ যদি সুন্দর করে সাজানো গোছানো হয় তবে আমার কেন খারাপ লাগবে ?
আমার তো ভালো লাগারই কথা ।
যদি ভালো না লাগে তবে বুঝতে হবে আমি আওয়ামীবিদ্বেষী বা উন্নয়নবিরোধী।
কিন্তু আমি চাই, প্রতিটা জিনিস জনগণের পক্ষ নিয়ে বিবেচনা করতে।
আমি আবার বলছি, আমি উন্নয়নের পক্ষে নই, আমি জনগণের পক্ষে।
জনগণের পক্ষে যদি ছোট কাজও হয়, তবে প্রকৃতঅর্থে আমি তাকে উন্নয়ন বলবো,
কিন্তু দেশের জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, এমন দৃশ্যত্ব যত বড় কাজ হোক,
সেটাকে আমি প্রকৃত উন্নয়ন বলতে নারাজ।
পর্যটন শিল্প বৃদ্ধি করেন ভালো কথা, কিন্তু সেটা স্ব-নির্ভর শিল্প খাত ধ্বংস করে কেন ?
তারমানে কি আপনারা চান, আজকে স্বনির্ভর লোকগুলো আগামীকাল পর্যটনের বয়-বেয়ারা-গাইড আর এসকোর্টের মধ্যে জীবিকা খুজে নিক?

বিশেষ পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতি তৈরীর জন্য প্রথম উঠে পড়ে লাগতে দেখেছি, বাংলাদেশের কূটনীতিক সাঈদা মুনা তাসনিমকে।  এই মহিলা সম্ভবত থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত থাকার সময়, বাংলাদেশে বৌদ্ধ ভিত্তিক পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য বলে ।  এ লক্ষে সে বাংলাদেশের ৫০০ বৌদ্ধ মন্দিরকে চিহ্নিত করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাধ্যমে পর্যটন উন্নয়ন করার পরামর্শ দেয়।  (https://bit.ly/2EZrZLP)
সাঈদা তাসনিমা মুনাকে আপনারা চিনতে পারছেন কি না জানি না, একটু সহজ করে দেই, গত কয়েকদিন আগে আল জাজিরার সাথে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গহ্বর রিজভীর এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।  সেখানে পাশ থেকে অদ্ভুত চেহারার এক বাংলাদেশী মহিলা রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলে (https://bit.ly/2XNXmAI)।  কোন একটা অদৃশ্য আইটি সেল বিষয়টিকে দেশে ভাইরাল করার চেষ্টা করে।  ঐ মহিলাটাই হচ্ছে সাঈদা মুনা তাসনিম।  পতিতাবৃত্তির স্বর্গরাজ্য বলে খ্যাত ব্যাংককে গিয়ে সে বুঝতে পারে, এই সিস্টেমটাই বাংলাদেশে আনা দরকার।  তখন সে বাংলাদেশে ঐ সিস্টেম আনার পক্ষে বুদ্ধি দেয়।  লোকমুখে প্রচার আছে, এই সাঈদা মুনা তাসনিম বাংলাদেশের অনেক নারীকে কাজ দেয়ার কথা বলে থাইল্যান্ডে নিয়ে গেছে এবং সেখানে এসকোর্ট সার্ভিস বা পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ করে তাদের থেকে কমিশনের ভাগ নিয়েছে। 
সত্যিই বলতে, আপনারা পর্যটন বলতে কি বুঝেন জানি না, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, কথিত পর্যটকরা শুধু ঐ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আকৃষ্ট হয় না, তাদেরকে ঐ দেশের নারীর মাংশ দ্বারাও আকৃষ্ট করতে হয়।  তাই পর্যটন ব্যাপক হওয়া মানে, দেশে বিরাট অর্থে আন্তর্জাতিক খদ্দের ধরার জন্য পতিতাবৃত্তি বা এসকোর্ট সার্ভিসের সূচনা করা।

বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্য সম্রাজ্যবাদীরা নানাভাবে আগে থেকে আমাদের শিক্ষিত মহলের ব্রেনে পয়জন ঢুকাচ্ছে।  আপনাদের মনে থাকার কথা, কিছুদিন আগে, আইমান (মডেল ইউনাইটেড নেশন) নামক একটি ক্লাবের ভিডিও লিক হয় (https://bit.ly/2UqpV4N)।  ঐ ভিডিওতে স্কুলের মেয়েদের স্টেজে উঠে আন্তর্জাতিক মানের পতিতাদের মত অঙ্গভঙ্গী করতে দেখা যায়।  এর কারণ কি ?

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে  ঢাকায় এই ক্লাবের এক প্রোগ্রামে আলোচনার বিষয় ছিলো “এসকর্ট শিল্পের বৈধতা দেওয়া প্রসঙ্গে”।   ঐ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বাণীও দিয়েছিলো।  (https://bit.ly/2ESdkki)
আপনি আজকে পতিতাবৃত্তির কথা বলে যে এসকোর্ট সার্ভিসের বিরোধীতা করছেন, কালকে আপনার বাচ্চাই স্কুলের ক্লাব থেকে এসে এসকোর্ট সার্ভিসের গুরুত্ব নিয়ে আপনার সাথে বিতর্ক শুরু করবে ! নৈতিকতা ছুড়ে ফেলে এনজয়মেন্ট আর ইনকামকেই বড় করে তুলে ধরবে। তখন আপনার কিছুই বলার থাকবে না।

যাই হোক, যেটা আলোচনা করছিলাম, দেশীয় উৎপাদনকে ভেঙ্গে দিয়ে এই পর্যটন নির্ভর বা বিদেশী নির্ভর অর্থনীতি আমাদের জন্য কেমন হবে ?
পযর্টন নির্ভর বাজার অর্থনীতি হলে সব কিছুর দাম খুব বেড়ে যাবে (কক্সবাজারের অর্থনীতি যেমন), আমাদেরকে বিদেশীদের সাথে প্রতিযোগীতা করে সবকিছু কিনতে হবে।  নিজেদের উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমরা বিদেশীদের দয়াদাক্ষিণের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, বিদেশী পর্যটকদের দয়া দাক্ষিণ্য পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তাদের দেশী নারীর মাংশ আর মদ সার্ভিস দেয়া।  এই দুইটা দিলেই বিদেশীদের থেকে বেশি পাওয়া যাবে, তাই নিরুপায় হয়েই মানুষ ঐ দিকেই বেশি ঝুকে যাবে।  বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত হচেছ স্বনির্ভর অর্থনীতি, যেটা আমাদের আছে।  আমাদের দেশে মাটির মধ্যে  বীজ বুনলে গাছ হওয়া, ফল ধরা শুরু করে।   আমাদের শিক্ষার হার বা নৈতিকতাও কম নয়, স্বাধীনতা পেয়েছি অর্ধ শতাব্দী হয়ে গেছে।  সেদিক বিবেচনায় আমাদের তো আরো স্বনির্ভর হওয়া, গবেষণা-শিল্প বাড়িয়ে আরো বেশি আত্মমর্যাদাসম্প্ন্ন হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু সেটা না করে, দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে বিদেশীদের এনে আমরা কেন দক্ষিণ আমেরিকা বা থাইল্যান্ডের মত নারী মাংশের বাজার চালু করবো ?

আমার লেখা দেখে হয়ত অনেকে মাইন্ড করতে পারেন,
ভাবতে পারেন, বাংলাদেশের মানুষের মন-মানসিকতা এত নিচু হয়ে যায়নি, যে নিজের ঘরের মেয়েকে বিদেশীদের জন্য বাজারে তুলবে ?
আপনার ধারণা যদি সঠিক হয় এবং আমি যদি ভুল হই, তবে সেটাই যেন সত্য হয়।

কিন্তু ভাই, ঠেকায় পড়লে মানুষের মধ্যে যে বাচ-বিচার থাকে না।
এখনই ল্যাক্স ফটো সুন্দরী প্রতিয়োগীতায় নামে নারীদের দেহ ব্যবসা হয়, এটা তো অনেকেই জানে, তারপরও তো হাজার হাজার স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির মেয়ে এইসব প্রতিযোগীতায় নাম লেখাচ্ছে, সৌদি গেলে নারীদের কোন নিরাপত্তা থাকে না, এটাও সবাই জানে, তারপরও কি নারী শ্রমিকদের সৌদি আসা-যাওয়া বন্ধ আছে ? 
দেশে যখন প্রাইভেট চাকুরী ব্যবসা সব বন্ধ হয়ে যাবে, খাবার খরচ উচ্চ, বাড়িভাড়া যখন আকাশ চুম্বি হবে,
তখন ভদ্র ঘরগুলোও ভদ্রতা ছেড়ে টাকা কামানোর সহজ উপায় খুজবে।
সুদ খাওয়া ইসলামে নিষেধ, তারপরও অধিকাংশ মুসলমান যেমন সুদের মধ্যে হালাল খূজে নিয়েছে,
নাটক সিনেমা নাচ ইসলামে নিষেধ হওয়ার পরও যেমন অধিকাংশ মুসলমান যেমন মধ্যে হালাল খুজে নিচ্ছে,
ঠিক তেমনি, ঠেকায় পড়লে এসকোর্টের মধ্যেও হালাল খুজে নিবে তারা,
তখন নৈতিকতা আর ফতওয়ার দোহাই দিয়ে কিছুতেই তাদের আটকাতে পারবেন না।
এখন উবারের নারী চালক শাহনাজ আক্তার যেমন বলে, “এগুলো মধ্যে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, সংকোচ ভুলে যাও”
তেমনি তখনও অনেক নারী এসকোর্ট বলবে, “এসকোর্টের মধ্যে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, সংকোচ ভুলে, এগিয়ে আসো, নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করো। আর তোমার মাধ্যমে যদি একটা পর্যটক খুশি হয়ে যায় এবং বাংলাদেশে ইনভেস্ট করে, তবে তুমি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখলে।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

উন্নয়ন চাই না, দাম কমান

আমি কিন্তু আপনাদেরকে আগেই কর্পোরেটোক্রেসির বিরুদ্ধে একটা সহজ সূত্র শিখায় দিছি,
সেটা হলো, বলবেন- “উন্নয়ন চাই না, দাম কমান”
যখনই কোন কথিত উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখবেন, তখন সোজা প্রশ্ন করবেন,
“আচ্ছা এর মাধ্যমে কি আমার চাল-ডাল-তেল-নুন-বাড়িভাড়া-ঔষধ-যাতায়াত ভাড়া কমবে ?
যদি কমে তাহলে ঠিক আছে, নয়ত এই উন্নয়ন বাদ দেন।”
এই সূত্রে যদি যেতে পারেন, তবে কর্পোরেটোক্রেসিকে সহজে দমন করতে পারবেন, নয়ত আপনারা ধরা।

স্বাভাবিক দৃষ্টিতে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অনেকের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বলে মনে হতে পারে।  পুরান ঢাকাকে খালি করে সেখানে পর্যটন এলাকা নির্মাণ করাকেও কারো কারো কাছে উন্নয়ন মনে হতে পারে, কিন্তু কথা হলো, এর মাধ্যমে কি জনগণের খাদ্যদ্রব্য-বাড়িভাড়া-যাতায়াত ভাড়া কমবে কি না, এটাই হইলো প্রশ্ন ।

আজকে দৈনিক আমাদের সময়ে খবর আসছে,
“অভিজানের কারণে কেমিক্যালের দাম অস্থিতিশীল”
(http://www.dainikamadershomoy.com/post/186733)

খবরটা সবাই পড়েন, দেখেনে ভেতরে লেখা আছে, কথিত অভিজানের কারণে বাজারে

(১) কস্টিক পারঅক্সাইড প্রতিকেজি ৫৫ টাকা ৬০ টাকা হইছে।
ফলাফল: এই কেমিক্যালটি টিস্যু পেপার, সাবান, ডিটারজেন্ট, পানি পরিশোধন, খাদ্য (পাওরুটি, কেক), ধাতব প্রসেসিং, কাপড়, কাচের দ্রব্য সামগ্রীসহ অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়।  তাই এ কেমিক্যালের দামবৃদ্ধির কারণে উপরোক্ত দৈনন্দিন ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রীর দাম বাড়বে।

(২) গ্লোবাল সল্ট ১৬ টাকা কেজির স্থলে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল : ডিটারজেন্ট ও সাবান উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।  তাই ডিটারজেন্ট ও সাবানের দাম বাড়বে।

(৩) এসিডিক অ্যাসিড ১৩০ এর স্থলে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল: ভিনেগার এর দাম বাড়বে, এবং যেসব খাদ্যদ্রমে ভিনেগার ব্যবহার করা হয় তাদের দামও বাড়বে।  এছাড়া ফুড গ্রেটেড প্লাস্টিক বোতলের দাম বাড়বে, ফলে প্লাস্টিক বোতলে বাজারজাত হয়, এমন সকল খাদ্রদ্রব্যের দাম বাড়বে।  কাপড়ের দাম বাড়বে।

(৪) সোডা অ্যাশের দাম ৩৬ থেকে বেড়ে ৩৯ টাকা হয়েছে।
ফলাফল : কৃষিতে সারের দাম বাড়বে, ফলে খাদ্যের দাম বাড়বে।  কাপড়ের দাম বাড়বে।

(৫) মাদার অব অল কেমিক্যাল’ নামে পরিচিত সালফিউরিক অ্যাসিড ৪০০ টাকা কেজির বদলে এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল : ঔষদের দাম বাড়বে। কাপড়ের দাম বাড়বে। সারের দাম বাড়বে, ফলে খাদ্যের দাম বাড়বে।  ব্যাটারির দাম বাড়বে, ফলে যাতায়াত ভাড়া বাড়বে।

(৬) ১০০ টাকা কেজির নাইট্রিক অ্যাসিড ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল : সারের দাম বাড়বে, ফলে সকল খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে।

(৭) ১৩৫-১৪০ টাকা কেজির ফসফরিক অ্যাসিড ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল: সারের দাম বাড়বে, ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে, খাদ্যকে সুগন্ধযুক্ত করে, ফলে খাদ্যদ্রেব্যের এদিক থেকেও বাড়বে, হাসপাতালে ডেন্টাল কাজে ব্যবহৃত হয়, ফলে ডেন্টাল চিকিৎসার খরচ বাড়বে, প্রসাধনীর দাম বাড়বে।

(৮) ৬০-৭০ টাকা কেজির কার্বলিক অ্যাসিড বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল: ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ঔষধের দাম বাড়বে।

(৯) স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাকোয়া রেজিয়া আগে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফলাফল : দেশের মার্কেটে স্বর্ণের দাম বাড়বে।

খবরের ভেতরে পড়ে দেখুন, লেখা আছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার টন কেমিক্যাল দরকার হয়, যার ৮০% সরবরাহ করা হয় পুরান ঢাকার গোডাউন ও কারখানা থেকে। এই যে এত বড় একটা মার্কেট অস্থিতিশীল করা হইলো শুধু এতটুকুর ফলাফল বাংলাদেশের মানুষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হবে, আমার মনে হয় সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারে নাই। এরপর উচ্ছেদের মাধ্যমে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে ভয়াবহতার কথা না হয় বাদই দিলাম।

পুরান ঢাকায় যখন আগুন ধরলো, আমি বিষয়গুলো আগে থেকে বুঝতাম দেখেই বিষয়গুলোর বিরোধীতা করেছি। কিন্তু অনেক ফেসবুক ইউজার বিষয়গুলো আসলে এতদূর গড়াতে পারে, কিংবা এর এফেক্ট কতদূর সেটা সম্পর্কে কোন ধারণা নাই, তাই তারা মিডিয়া তাদের যেদিকে নিয়ে গেছে সেদিকেই পা বাড়াইছে।

কেমিক্যাল বা বিভিন্ন দ্রব্যের কাচামাল নিয়ে যে সঙ্কট তৈরী হয়েছে, এটা খুব ভয়ঙ্কর একটা বিষয়।  যেহেতু বিষয়টি কাচামালের সাথে সম্পৃক্ত, তাই পন্যদ্রব্যে এফেক্ট পড়তে ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এতে চালের দাম ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, সবজীর দাম ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ঔষধের দাম ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, কাপড়ের দাম ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা গজ, ডিটারজেন্ট পাওডার ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, সাবান ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা হলেও অবাক হওয়ার কিছূ থাকবে না। পুরান ঢাকায় ৭০ জন মারা যাওয়াতে যারা কান্নাকাটি করছিলেন, তখন তাদের ৭ হাজার লোকের খাদ্য ও ঔষধের অভাবে মৃত্যুর খবরও শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

উন্নয়নে এবার টার্গেট ‘খেয়াঘাটের মাঝি’


কর্পোরেটোক্রেসি’র অন্যতম টার্গেট সস্তায় শ্রম। বিদেশী কর্পোরেটরা আসলে আগে চাইবে যত কম মজুরী দিয়ে তারা শ্রম পেতে পারে। এই সস্তায় শ্রম পাওয়ার জন্য টার্গেট করে দেশের সকল স্ব-নির্ভর আয়-উপর্জনের উৎসগুলো নষ্ট করা হবে, যাতে সামান্য টাকার শ্রমিক হওয়ার জন্য মানুস উম্মুখ হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হলো, এই নষ্ট করার যে উপলক্ষগুলো তৈরী হবে সেটাকে প্রকাশ করা হবে ‘উন্নয়ন’র মোড়কে।

গত কয়েকদিন আগে বুড়িগঙ্গায় একটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে। নৌকার সাথে সম্ভবত কোন লঞ্চের সংর্ঘর্ষে এটা হয়। সড়ক পথে ৬ জনের মৃত্যু কোন বিষয়-ই নয়, এগুলো অনেকগুলোর খবর মিডিয়াতে আসেই না। কিন্তু বুড়িগঙ্গার ৬ জনের মৃত্যু নিয়ে হঠাৎ মিডিয়া, সরকার ও প্রশাসন এত নাচানাচি করতেছে কেন ? একবার ভেবে দেখেছেন ??

বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ে অসংখ্য খেয়াঘাট আছে, যার মাধ্যমে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে যাত্রীরা এপার থেকে ঐ পারে যায়। পুরো বিষয়টির সাথে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান জড়িত।  কিন্তু সরকার সম্ভবত চাচ্ছে, এগুলো তুলে দিতে, তার বদলে বুড়িগঙ্গার নিচে তৈরী করবে ট্যানেল।

বুড়িগঙ্গার নিচে ট্যানেল হবে, এটা সর্বপ্রথম প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান বিষয়টি প্রকাশ করে। (https://bit.ly/2SU8OqF)

তবে এই ট্যানেল হওয়ার বিষয় অনেকের কাছে সুন্দর মনে হলেও লক্ষ লক্ষ খেয়াঘাটের মাঝির কাছে মোটেও সুখকর নয়। 

তাছাড়া সরকার বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে যে বিরাট পর্যটন এড়িয়া করতে চাইছে, সরকারের দৃষ্টিতে এই খেয়াঘাটগুলো তার আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য্য নষ্ট করবে।  তাই বুড়িগঙ্গার তীরে যে উচ্ছেদ অভিজান চলতেছে, সেটা মধ্যে খেয়াঘাটগুলোকেও ঢুকিয়ে দিতে চাইছে।

সেই দৃষ্টিকোন থেকে সম্ভবত একটা দুর্ঘটনা নিয়ে এত নাচানাচি এবং মিডিয়া ও প্রশাসনের  খেয়াঘাট বিরোধী কথাবার্তা। (https://bit.ly/2Uuq3R8)

আমি আগে একটা কথা বলেছি,
জনগণের জন্য উন্নয়ন, নাকি উন্নয়নের জন্য জনগণ- এটা আগে স্পষ্ট করা উচিত।
যে কথিত উন্নয়নের কারণে লক্ষ লক্ষ স্ব-নির্ভর লোকের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে তাদের নতুন কর্মসংস্থান নিয়েও আগে চিন্তা করা দরকার, পুনর্বাসন করা দরকার। কিন্তু সেটা না করে, সরকার কোন একটি ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে কপচিয়ে জনমত তৈরী করে, সেটাকে পূজি করে গায়ের জোরে দেশের স্বনির্ভর শিল্প ও কর্মসংস্থানগুলো নষ্ট করতে চাইছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে।  কর্পোরেটদের জন্য সস্তায় শ্রমিক এভেইলএবল করতেছে। তাছাড়া এখন লক্ষ লক্ষ লোক পারাপার হওয়ার টাকা যাচ্ছে দরিদ্র খেয়াঘাটের মাঝিদের কাছে, কিন্তু ট্যানেল বানালে সেই টাকা চলে যাবে বিদেশী কোন কোম্পানি, যারা ট্যানেল নির্মাণে ঋণ দিবে তাদের কাছে।

সরকার বিদেশীদের বিনিয়োগের লোভে পাগল হয়ে গেছে। দেশের স্বনির্ভর লোকদের পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, এটা যে নতুন করে ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসন আসার লক্ষণ জনগণ কিন্তু সেটা বুঝতেছে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------