Showing posts with label বাংলাদেশের হিন্দু জাতি. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশের হিন্দু জাতি. Show all posts

Friday, March 22, 2019

বাংলাদেশের ইকোনোমিক হিটম্যান !!!


জনপার্কিন্সের লেখা `এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি' বইয়ে `জন পার্কিন্স' নিজেকে অর্থনৈতিক ঘাতক বা ইকোনোমিক হিটম্যান বলে দাবী করেছিলো। জনপার্কিন্স জানায়, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ’র মত আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা কাজ করে। তাদের কাজ হচ্ছে ভুল আার্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ভুল পথে পরিচালিত করা এবং সম্রাজ্যবাদীদের গোলাম বানানো।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেছে, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৮.১৩% এবং মাথাপিছু আয় হবে ১৯০৯ ডলার। এই তথ্যের উৎস বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) (https://bit.ly/2CtQkIk)।

উল্লেখ্য
বিশ্বব্যাংক বলেছিলো, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭%
(https://bit.ly/2OkNKJ9)
আর আইএমএফ বলেছিলো প্রবৃদ্ধি হবে ৭.১%
(https://bit.ly/2OhMsyB)।

কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ থেকেও তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে বাড়িয়ে ৮.১৩% বলে ঘোষণা করলো।  উল্লেখ্য বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর বর্তমান মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব), তাকে উপর থেকে সাপোর্ট দেয় পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণা গায়েন নামটা ফেসবুক জগতের কাছে অধিক পরিচিত, কারণ কৃষ্ণা গায়েনের বোন হলো কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ও গোমাতা আদর্শে বিশ্বাসী অদিতি ফাল্গুনী গায়েন। (ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/audity.falguni.9)

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি কি নির্দেশ করে ?
জিডিপি সূত্র: জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)

ক) জিডিপি যেহেতু ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়,
তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বুঝতে হবে মানুষের ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
আগে মানুষ যে চাল ৪০ টাকা করে কিনতো, সেটা ৬০ টাকা করে কিনে।
তাই জিডিপি বেড়েছে।

খ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বোঝায় যায়, সরকার অনেক অনেক উন্নয়ন (!) প্রকল্প গ্রহণ করতেছে। এবং সেতু-ফ্লাইওভারের নাম দিয়ে দেশকে ঋণের বোঝায় ডুবায় দিচ্ছে।

গ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেহেতু বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে, তাই ব্যাংক থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের নাম করে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সেটাও জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করেছে। তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ব্যাংক লুটপাটও নির্দেশ করে।

এবার আসুন মাথাপিছু আয়ের হিসেবে।
পরিসংখ্যা ব্যুরো দাবি করছে করছে মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার।
১৯০৯ ডলার= ১ লক্ষ ৫২ হাজার, ৭২০ টাকা
১২ মাসে আয় ১,৫২,৭২০ টাকা হলে ১ মাসের আয়= ১২,৭২৬ টাকা
বাংলাদেশের প্রত্যেক জনগণের মাথাপিছু আয় এটা। সেটা ৯০ বছরের বৃদ্ধ হোক, ১ দিনের শিশু হোক।
সে হিসেবে ৫  জন সদস্যের একটি পরিবার যদি ধরি,
তবে ১টি পরিবারের মাসিক আয় = ১২,৭২৬ গুন ৫ = ৬৩,৬৩০ টাকা

এবার আমাকে বলুন,
বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে, যাদের মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা ?
শহরে পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
আর গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
এই হিসেব শেষ না করা পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ‘খায় না মাথায় দেয়’ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় কোন রাষ্ট্রগুলোতে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে-
বাংলাদেশের থেকে বেশি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আছে,
লিবিয়া, ইথোপিয়া, ঘানা, গিনি, আর্মেনিয়া, আইভরি কোস্ট
(https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_real_GDP_growth_rate)

উল্লেখ্য লিবিয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ, যেখানে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো গণহারে তাদের তেল সম্পদ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই তাদের প্রবৃদ্ধিও অর্ধশত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
একইভাবে ইথোপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্টসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে চলছে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ। সেখানে বিদেশী সেনা মোতায়েন করে চলছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি।
ঘানার অর্থনীতি খারাপ বলে তাদের ফুটবলাররা নিজ দেশে ভাত না পেয়ে বাংলাদেশে এসে চুরি-চামারিতে যুক্ত হচ্ছে। আর্মেনিয়াতে কিছুদিন আগে চরম দারিদ্রতার কারণে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সার্জ সার্গিয়ান । (https://bit.ly/2HS8FlV)

সরকার কেন জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখায় ?
বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের আকৃষ্ট করার জন্য, বিনিয়োগ বা ঋণের নামে তাদের ডলার নেয়ার জন্য।
কারণ বিদেশীরা যত ঋণ দিবে, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে তত বেশি লোপাট করতে পারবে।
জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি নির্দেশ করে, বিদেশীদের আসার পথ অধিকহারে উন্মুক্ত।
মজার ব্যাপার হলো আগে বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ এসব ভুয়া পরিসংখ্যান দেখিয়ে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রগুলোকে আকৃষ্ট করতো,
কিন্তু এখন বাংলাদেশ সরকার নিজের আমলা-কর্মকর্তাদের দিয়ে এসব ভুয়া পরিসংখ্যান তৈরী করছে দেশকে নিলামে তোলার জন্য।

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকলে আমরা কেমন অর্থনীতির দিকে যাবো ?

যেহেতু বাংলাদেশের থেকে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট ও রোগাক্রান্ত লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার। তাই বাংলাদেশের যত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে তত বাংলাদেশ লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার মত হয়ে যাবে, যেসব দেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সম্পদপূর্ণ, কিন্তু তাদের বিশ্বাসঘাতক শাসকরা টাকার লোভে সেসব সম্পদ বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং শেষে ঐ দেশের মানুষ নিজের প্রাণ দিয়ে সেই বিশ্বাসঘাতকতার মূল্য পরিশোধ করছে।

ছবি : বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, February 12, 2019

বাংলাদেশ: সরস্বতী পূজো নাকি লাভ জিহাদের হাতে খড়ি


কলকাতায় সরস্বতী পূজোকে ডাকা হয় বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে নামে। কলকাতার সাহিত্য থেকে পাই, এ দিন সদ্য কৈশোরপ্রাপ্তা মেয়েটি এক প্যাচে শাড়ি গায়ে দিয়ে, মাথায় ফুল ঝুলিয়ে স্কুলে যায় দেবী সরস্বতীর আরাধণা করতে। সারাক্ষণ স্কুল ড্রেস আর স্কুলের সাজ ছেড়ে ঐ একদিনের অপরূপ সাজ সবকিছুকে উল্টেপাল্টে দেয়। সদ্য তরুণ কোন ছেলের মনে ধরে বসে থাকে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো প্রেম। এ কারণে সরস্বতী পূজোকে বলে হয় বাঙালীর ভালেন্টাইন ডে বা প্রেমের হাতে খড়ি নামে ডাকা হয়।

কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পূজো বাঙালী হিন্দু তরুণ শ্রেণীর জন্য আশির্বাদ হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিন্তু সে রকম নয়। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু হওয়ায় ঐ দিন প্রেমভালোবাসাটা নাহয় নিজেদের মধ্যে হয়, কিন্তু বাংলাদেশে সেটি কার মধ্যে হয়, তার কোন হিসেব আছে কি ?
হিন্দু মেয়েটি যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফরমাল ড্রেস ছেড়ে শাড়ি পড়ে, কপালে টিপ দেয়, তখন তার দিকে কত মুসলমানের চোখ পড়ে একবার ভেবে দেখেছেন ? সেখানে হিন্দু ছেলে আর হিন্দু মেয়ে কয়টি ? ১০টি হিন্দু মেয়ের বিপরীতে মুসলিম ছেলে ৯০টি, আর কোন মুসলিম ছেলে যদি একবার কোন হিন্দু মেয়েকে পছন্দ করেই ফেলে তবে সেখানে হাত দেবার ক্ষমতা কোন হিন্দু ছেলের আছে ?

অতি সাম্প্রতিক সময়ে সরস্বতী পূজো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে আমাদের হিন্দুদের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছে। বাহ্যিকদৃষ্টিতে মহৎ হিন্দুত্ববাদী কার্যক্রম। অনেক মুসলিমকে পর্যন্ত পূজোর মণ্ডপে উপস্থিত করতে পারছেন। কিন্তু আলটিমেট রেজাল্ট কি ? কতজন ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু প্রেমী হয়েছে, আর কতজন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে, একবার তুলনা করে দেখেছেন ? দিনে দিনে মুসলমানদের জিহাদী মনোভাব আর হিন্দু বিদ্বেষ তো বাড়ছেই।

তাছাড়া আমাদের মধ্যে যে গ্রুপগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতীপূজো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে, সবার যে হিন্দুত্ববাদী উদ্দেশ্যে আছে, সেটা আমার মনে হয় না। এর মধ্যে একটি বড় গ্রুপ আছে যাদের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। কিছু থাকে এই উপলক্ষ করে ফূর্তি করে। আবার কিছু আছে, এই উপলক্ষ্য করে টাকা মেরে খায়।

এই যখন পেছনের কথিত হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশ্য, তখন আমরা সাধারণ হিন্দুরা এর দ্বারা কি উপকার পেতে পারি ?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজোর নাম দিয়ে আমরা লোক জড়ো করছি, এটা ঠিক, কিন্তু আমাদের মেয়েগুলো সাজিয়ে-গুছিয়ে কি মুসলমান জিহাদীদের খাবার বানিয়ে দিচ্ছি না ??
আজকাল শিক্ষিত হিন্দু নারীদের এক বড় অংশ মুসলমানদের ঘরে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয় এর একটা বড় কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরস্বতী পূজোর গণপ্রচলন। এই দিনটিতেই লাভ জিহাদের হাতেখড়ি হচ্ছে, হিন্দু মেয়েগুলো মুসলমানদের চোখে পড়ে যাচ্ছে, আর পরবর্তীতে ঘটছে ধর্মান্তরণ।

আমার কাছে এবারের কয়েক ডজন’ ছবি আছে, যেখানে সরস্বতী পূজার নাম করে হিন্দু মেয়েগুলো মুসলমান সহপাঠীর কোলে উঠে বসেছে। এই সুন্দরী হিন্দু মেয়েটি তো কোন হিন্দু পুরুষের ঘরে যাওয়ার কথা ছিলো, অথচ সে যাচ্ছে মুসলমান পুরুষের ঘরে। দুইদিন সংসার করে হিজাব পড়ে, নামাজ-রোজা করে সহী মুসলিম হয়ে উঠছে। মাঝে মাঝে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধেও পোস্ট দিচ্ছে। অপরদিকে হিন্দু পুরুষটি হস্তশিল্প করতে করতে পরিণত হচ্ছে অক্ষম পুরুষে।

আসলে আপনারা যতই বলেন, “লাভ জিহাদ বন্ধ করতে হবে”,
যতই লাভ জিহাদের ক্ষতিকর দিক প্রচার করেন, যতই বলেন, “এরমাধ্যমে হিন্দু জাতি বিলুপ্ত হবে”,
লাভ হবে না। কারণ আপনারাই লাভ জিহাদের উপলক্ষ তৈরী করে দেন। ভারতের রাজস্থানে দশেরা উৎসবের সময়, লাঠিখেলার সময় হিন্দু নারীরা অপরুপ সাজে সেজে আসে। ঐ সময় খুব কড়াকড়ি থাকে, যেন কোন মতেই সেখানে কোন মুসলিম পুরুষ ঢুকতে না পারে। কারণ রাজস্থানের হিন্দু সমাজ জানে, ঐ সময় সেজে থাকা হিন্দুদের নারীদের ললুপ দৃষ্টি পড়ে যায় মুসলিম পুরুষদের, আর একবার দৃষ্টি পড়ে গেলে সেটা ফেরানো সাধ্য কার ?

ভারতে কতটা মুসলমান থাকে ? তারপরও সেখানে যদি এই ব্যবস্থা হয়, তাহলে যে বাংলাদেশী হিন্দুরা অস্তিত্ব সংকটে সর্বদা তারা কেন উল্টো হিন্দু নারীদের মুসলমানদের হাতে তুলে দিচ্ছে ? কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নাম করে লাভ জিহাদের হাতে খড়ি করার সুযোগ দিচ্ছে ??

হিন্দুত্ববাদ ভালো, কিন্তু লোক দেখানো হিন্দুত্ববাদে যেন হিন্দুধর্ম বিলুপ্ত না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্মুক্ত পূজো নয়, পূজো নিয়ে আসা হোক হিন্দুদের ধর্মালয় মন্দিরে, এটাই আামার প্রত্যাশা।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 30, 2019

পূর্ণিমার ধর্ষণ কি আদৌ ধর্ষণ ? নাকি মিউচ্যুয়াল সেক্স ??



ধর্ষণকে পূজি করে পূর্ণিমা রানী শীল সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চাইছে, সেই ধর্ষণ কি আদৌ ধর্ষণ ছিলো ? নাকি মুসলমানদের ফাঁসাতে শাহরিয়ার কবিরদের টাকা খেয়ে মিউচ্যুয়াল সেক্স করে তারপর সেটাকে ধর্ষণ বলে চালিয়ে ১১ মুসলমানকে যাবজ্জীবন খাটিয়েছিলো এই পূর্ণিমা। এই মিথ্যাবাদী নারীকে যদি নির্যাতিতা নারী হিসেবে সুযোগ দেয়া হয়, তবে হাজারও নির্যাতিতা নারীকে অপমান করা হবে, জয়ী করা হবে সত্যের উপর মিথ্যাকে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

প্রসঙ্গ : পুরান ঢাকার সাকরাইন, মেথরের অনুষ্ঠান মুসলমানের ঘরে


পুরান ঢাকার সাকরাইন বলে একটা অনুষ্ঠানের নাম শোনা যায়। পুরান ঢাকার আমুদপ্রিয় তরুণ প্রজন্ম ছাদের মধ্যে সার্চ লাইট লাগায়, বাজি পুড়িয়ে, হিন্দি গান বাজিয়ে, নর্তন-কুর্দন করে, ঘুড়ি উড়িয়ে এই দিবস পালন করছে। সাকরাইন বা পৌষ সংক্রান্তিকে যতই সাবর্জনীন ঢাকাইয়া উৎসব নামে ডাকা হোক, বাস্তবে এ অনুষ্ঠানটা হিন্দুদের অনুষ্ঠান সবাই জানে। এটা হিন্দুদের মকর সংক্রান্তি, যে দিন হিন্দুদের অনেক পূজা-পার্বন থাকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, নেপালের হিন্দুরা ভিন্ন নামে এ দিবসটি পালন করে। যেমন- মাঘি সংক্রান্তি (নেপাল), ‘সাকরাত’ (দিল্লি ও হরিয়ানা), উত্তরায়ন (গুজরাট), ‘মাঘি (পাঞ্জাব) এবং আরও অনেক নামে।
এবার আসুন উইকিপিডিয়া কি বলছে,: “ঢাকা শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে সাকরাইন উৎসব পালন করা হয়[। মূলত পুরান ঢাকার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতে বেশি জমজমাট ভাবে উদযাপিত হয় পৌষসংক্রান্তি তথা সাকরাইন। শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে ছোট, বড় সকলেই মেতে উঠে এ উৎসবে।”
পাঠক, ৪৭ আর ৬৫ –এ বাংলাদেশে যতসামান্য ব্রাহ্মণ বাংলাদেশ ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গ চলে যায়। বাংলাদেশে যারা থাকে সবাই নিচুজাতের হিন্দু, যাদের বেশিরভাগের কাজ মুসলমানদের বাড়ির টয়লেট মলমূত্র পরিষ্কার করা। যেসব এলাকায় সাকরাইন অনুষ্ঠানটি পালন হয়, তাদের নামগুলো খেয়াল করুণ, তবেই বুজতে পারবেন- শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, সূত্রাপুর।
-শাখারীবাজার নামটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত শাঙ্খিক বা শঙ্খকার থেকে
-তাতীবাজার নামটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত তাঁতি থেকে
-গোয়ালনগর শব্দটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত গোয়ালা বা সদগোপ থেকে
-সূত্রাপুর শব্দটি এসেছে নিচু হিন্দু জাত সূত্রধর বা কাঠমিস্ত্রি থেকে
অন্যদিকে পুরান ঢাকা শব্দটি এসেছে ঢাকার আদি অবস্থান হিসেবে। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৭শ’ শতাব্দীতে ঢাকাকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। পুরান ঢাকার মুসলমানরা সেদিক থেকে ঢাকার আদিবাসী এবং ঐতিহ্যবাহী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজকে পুরান ঢাকার মুসলিম তরুণ প্রজন্ম যে গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ‘সাকরাইন’ পালন করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তারা এতদিন ছিলো ঐ মুসলিম পরিবারের টয়লেট পরিষ্কারওয়ালা, জুতা সেলাই, বা হাসপাতালে লাশকাটা করা। যারা সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের বাড়ির আঙ্গিনায় কখন পা দেয়ার সাহস পায়নি, আজকে সেই সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের নতুন প্রজন্ম ঐ নমশূদ্র হিন্দুর কালচার মাথায় নিয়ে নাচতেছে। অনেকটা সিনেমার নায়িকা জয়া আহসনের মত। এক সময় যে ছিলো সম্ভ্রান্ত নবাব পরিবারের বউ (আহসান মঞ্জিল)। কিন্তু সেখানে থেকে ডিভোর্স নিয়ে জয়া আহসান এখন কলকাতায় গিয়ে হিন্দু লম্পটদের খোরাক হয়েছে।
পুরান ঢাকায় হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের লোকই আছে এবং অনেক আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু এতদিন সেখানের মুসলমানরা কখনই হিন্দুদের সাথে মিশে যায়নি বা সংস্কৃতি গ্রহণ করে। কারণ তারা দুই শ্রেণীর স্ট্যাটাসের পার্থক্য ভালোভাবে বুঝে। সাকরাইন পুরান ঢাকার হিন্দুদের কালচার হতে পারে, কিন্তু সেটা কখনই পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলমান শ্রেণীর কালচার নয়। কিন্তু হঠাৎ করে কার উস্কানিতে তারা নিচু শ্রেণীর হিন্দু কালচারের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলো তা আমার বুঝে আসছে না। এতদিন ‘পুরান ঢাকা’ শব্দটার সাথে যে ‘ঐতিহ্য’ ও ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দযুগল সংযুক্ত ছিলো, সেটা অবশ্যই নবাবী কালচার, মুসলমানদের কালচার। কিন্তু এখন সেখানে মেথর-ডোম আর গোয়ালার কালচার প্রবেশ করিয়ে তা কলুষিত করায় ভবিষ্যতে ‘পুরান ঢাকা’র সাথে ‘ঐতিহ্য’ আর ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দযুগল বিলুপ্ত হবে, এটা নিশ্চিত।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, December 29, 2018

মুসলমানরা এক হউন, নয়ত নির্যাতিত হতেই থাকবেন। কিন্তু মুসলিম হয়ে অমুসলিম প্রার্থীকে ভোট দিলে কখনই সেই লক্ষ্য সফল হবে না।


নির্বাচনী প্রচারণা যখন শুরু হয়, তখন এক উগ্রহিন্দু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, “আওয়ামীলীগ-বিএনপি যেই হোক, হিন্দু প্রার্থীকে ভোট দেয়া চাই।”
অর্থাৎ হিন্দুরা সংখ্যায় কম হওয়ায় তারা ভিন্ন পলিসি গ্রহণ করে, তারা কোন একদলকে সাপোর্ট দেয় না, দুই দলের মধ্যে ঢুকে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করে, আর মুসলমানদের বিরোধীতা করে। যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তবে তাদের কি করতে হবে, আর যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে তাদের কি করতে হবে, সেই প্ল্যান আগে থেকেই তারা করে রাখে।
হিন্দু যে দল করুক বা যে দলের সমর্থন করুক, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, সমস্যা হলো যখন তারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশ ও সংখ্যালগরিষ্ঠ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অথচ এতকিছু করার পরও তা লুকিয়ে মুসলমানদের থেকে সুবিধা তালাশ করে।
গত কয়েক বছর যারা সংবাদের খবর রাখেন, তারা জানেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সংসদ সদস্য মেন্দি সাফাদি বেশ কিছুদিন যাবত বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এই ড্রুজ ধর্মাবলম্বী সিরিয়ায় মুসলমানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বাধাতে ভূমিকা রেখেছিলো, এখন সেই মিশন শেষ করে এসেছে বাংলাদেশ নিয়ে খেলতে। বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ থেকে মাগুরা-২ আসনে মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী বীরেন শিদকারের সাথে তার ঘনিষ্ট ছবি মিডিয়ায় পাওয়া যায়। আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় গেলে বীরেন শিকদারের মাধ্যমে সাফাদি চাল চালবে না, সেটা কিন্তু বলা যায় না।
বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা-৬ আসনে দাড়ানো সুব্রত চৌধুরীও উগ্রহিন্দুত্ববাদী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে প্রধান আইনজীবি হিসেবে কাজ করেছিলো সে, যদিও মুসলমানদের তৎপরতায় সফল হয়নি। এই উগ্রহিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি যদি সংসদে যায়, তবে নির্ঘাৎ ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে পিছুপা হবে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে মাদারীপুর-২ আসন থেকে দাড়িয়েছে মিল্টন বৈদ্য নামক এক হিন্দু। ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট শিপন কুমার বসু (যে আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী হেপি বড়ালের ভাতিজা)- এর সাথে মিল্টন বৈদ্যের ঘণিষ্ট ও পারিবারিক ছবি ফেসবুকে পাওয়া যায়। একজন এমপি পদ মনোনিত প্রার্থী রাষ্ট্রবিরোধী মোসাদ এজেন্টের সাথে সম্পর্ক থাকায় তাকে কিছুতেই সমর্থন করা স্বাভাবিক হতে পারে না।

আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বড়দল সরকারপাড়া গ্রামে সাঁওতাল হিন্দু ও স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হিন্দুদের ছোড়া তীরের আঘাতে শাফিউল ইসলাম (২০) নামের এক মুসলিম তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় হিন্দুদের পক্ষে পেছন থেকে কাজ করেছিলো দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, যে এবারও একই আসন থেকে আওয়ামীলীগ পদপ্রার্থী।

আমি সব সময় বলি, মুসলমানরা এক হউন, নয়ত নির্যাতিত হতেই থাকবেন। কিন্তু মুসলিম হয়ে অমুসলিম প্রার্থীকে ভোট দিলে কখনই সেই লক্ষ্য সফল হবে না। আপনারা আওয়ামীলীগকে ভোট দেন, কিংবা বিএনপিকে ভোট দেন বা পছন্দের অন্যদলকেও ভোট দিতে পারেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু বিভিন্ন দল থেকে দাড়ানো হিন্দু, খ্রিস্টান ও উপজাতি প্রার্থীদের বয়কট করুন। মনে রাখবেন আপনি মুসলমান হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দলকে সাপোর্ট করতে পারেন, কিন্তু তারা ভিন্ন ভিন্ন দলে দাড়ালেও তাদের সকলে এজেন্ডা এক, মুসলিম বিরোধীতা ও ইসলাম ধ্বংস। তাই আওয়ামীলীগ-বিএনপি সকল দল থেকে হিন্দুদের প্রার্থীতা বাতিলে জোর দাবি তুলুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, December 10, 2018

আমরা কি অদৃশ্য সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে পরিচালিত হয়ে ভুল কিছু করছি ?


গত কয়েকদিন আগে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। (https://bit.ly/2BQzYth)
আজকেও মিডিয়ায় ৩টি আত্মহত্যার খবর দৃশ্যমান।
চবি ছাত্র জাহাঙ্গীর রাজুর আত্মহত্যা (https://bit.ly/2PpWgFB),
পটুয়াখালীতে শোভা (১১) ও রোজিনা (১২) নামে দুই কিশোরীর আত্মহত্যা (https://bit.ly/2G2RkXZ)
দৈনিক বাংলাদেশে গড়ে ২৯ জন আত্মহত্যা করে । (https://bit.ly/2E5YOqy)
এতগুলো আত্মহত্যার খবর বাদ দিয়ে শুধু অরিত্রিকে নিয়ে কেন মেতেছে প্রথম আলোসহ কিছু মিডিয়া ?
আমরা জানি, প্রথম আলোসহ কিছু মিডিয়া সর্বদা সাম্প্রদায়িক আচরণ করে,
শ্যামল কান্তি কানে ধরলে শিক্ষক অপমান হয়েছে বলে কান্নাকাটি করে,
কিন্তু তারাই হাসনা হেনা ম্যাডামদের হাতে লকার পড়িয়ে জেল-হাজতে পাঠায়
প্রয়োজনে একধাপ এগিয়ে মিথ্যা নিউজ করে, “ম্যাডামের পা ধরে কান্নাকাটি করার পরও ম্যাডামের মন গলেনি”। তখন কিন্তু অপমান হয় না।
আমরা সাধারণ মানুষ সব সময় সাধারণভাবেই চিন্তা করি, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করি না।
কিন্তু কিছু মিডিয়া হিন্দু হলেই দরদ ঝড়ে, মুসলিম হলেই আড়াল করে।
এই তো কিছুদিন আগে, চট্টগ্রামে একটি স্কুলে মেয়ে ও মাকে শিক্ষক পোষাক নিয়ে ব্যঙ্গ করে পতিতা বলে সম্বোধন করলো (https://bit.ly/2PoYtBj)। এতে কি ঐ মেয়ে-মা কি অপমান হয় নি ? তাদেরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক লেখালেখি হলো, কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় কোন নিউজ হলো না ?
কেন ঐ মেয়ে-মা’য়ের নামের শেষে দাস, রায় বা অধকারী নেই বলে ??
সত্যিই বলতে, প্রথম আলোসহ কিছু হলুদ মিডিয়া আমাদের অদশ্য সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে আকড়ে ধরেছে, তারা তাদের দৃষ্টিকে একরোখা করেছে, আর আমরা সাধারণ মানুষও সেই এক রোখা দৃষ্টি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছি, যার কারণে মূল সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না, উল্টো আরো বিপরীত হচ্ছে।
যেমন- ধরুন, অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনার পর ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, হাসনা হেনা ম্যাডাম নামক এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাসনা হেনা ম্যাডাম গ্রেফতার হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বলেছে, ঐ ম্যাডাম খুব ভালো, তার কোন দোষ নেই, তিনি নির্দোষ। তাকে অযথাই গ্রেফতার করা হয়েছে। (https://youtu.be/bqNecUwsA4Uhttps://bit.ly/2QfvuFo)
একটু চিন্তা করে দেখুন তো।
অরিত্রির অনেক ‘মান-সম্মান’। তার মান-সম্মানহানীর কারণে সে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছে।
কিন্তু হাসনা হেনা ম্যাডাম, যিনি সারা জীবন ছাত্রীদের নিজের মেয়ের মত শিক্ষা দান করে গেলেন, আজকে তাকে ছাত্রী হত্যার দায় নিয়ে জেলে যেতে হলো, মিডিয়ায় প্রচারিত হলো ‘সে খুনি’, হাসনা হেনা ম্যাডামেরও তো ছেলে-মেয়ে আছে, আত্মীয় স্বজন আছে, তারা সমাজের বুকে চিহ্নিত হলো খুনির আত্মীয় হিসেবে। এতে সমাজে তাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছে? কতটুকু মানসম্মানহানী হয়েছে ? এখন সেই অপমানের কারণে হাসনা হেনা ম্যাডাম বা তার সন্তানের কেউ যদি আত্মহত্যা করে তবে সেটার দায় কে নেবে ? আমরা যারা ফেসবুক অরিত্রি অরিত্রি করে ঝড় তুলছি, তারাই কি তখন সেই আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারী হবে না ??
একটি বিষয় আসলে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, হিন্দুদের মধ্যে স্বাভাবিকের তুলনায় আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি। ভারতে প্রতি ঘণ্টায় একজন স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে (https://bit.ly/2Rwit6P), প্রতি ৩৩ মিনিটে ১ জন কৃষক আত্মহত্যা করে। ১ বছরে করে ১৬ হাজার কৃষক। (https://bit.ly/2QDCCdX) ২০১০ সালে ভারতের আত্মহত্যা করেছিলো ১ লক্ষ ৮৭ হাজার লোক। (https://bit.ly/2roQ7Qx)
বাংলাদেশেও হিন্দুদের মধ্যে একই বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যেমন, গত কয়েকদিন আগে নীলফামারিতে ঘুনুরাম রায় নামক এক ব্যক্তির আত্মহত্যার খবর মিডিয়ায় আসে। ঘুনুরাম রায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সমর্থক ছিলো। গোলাম মোস্তাফাকে মনোনয়ন না দেয়ায় ঘুনুরাম রায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। (https://bit.ly/2EacGAj)
এখানে আপনি কি ধরবেন ?
ঘুনুরাম আত্মীকভাবে দুর্বল ? নাকি আওয়ামীলীগ গোলাম মোস্তফাকে মনোনয়ন না দিয়ে তার সমথর্ককে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে ??
তবে কিছু চর্চা করা আসলে ঠিক না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যে বা যারা আত্মহত্যা করে, তাদের পক্ষে বেশি সাফাই গাওয়া বা তাদেরকে হিরো বানানো আমি পছন্দ করি না। কারণ এতে অন্যকেও তার মত হিরো হতে প্ররোচিত করা হয়। অরিত্রি আত্মহত্যা করে অন্যায় করেছে, এটাও প্রচারণা হওয়া দরকার। আজকালকার ছেলেমেয়েরা মিডিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি পছন্দ করে। তারা অরিত্রির প্রচার দেখে যদি ভাবে, “আমি আত্মহত্যা করলে এভাবে মিডিয়ায় আলোচিত হবো, তাই আমিও আত্মহত্যা করি”, তবে সেটাও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
যাক লেখার শেষে, নিরাপরাধ হাসনা হেনা ম্যাডামের গ্রেফতার নিয়ে একটি কথা বলবো।
হাসনা হেনা ম্যাডাম যদি নিরাপরাধ হয়, তবে তার নাম আসামীর লিস্টে ঢুকলো কিভাবে, এটা একটা প্রশ্ন।
অরিত্রির বাবা কাস্টমস ব্যবসায়ী দিলীপ অধিকারী মিডিয়ার সামনে বলেছে, তার স্বজনদের মধ্যে কেউ আছে, যে আইনত ব্যবস্থা নেবে, মামলা করবে (https://bit.ly/2BVqRra)।
আমার ধারণা, সেই ব্যক্তিটি হলো অরিত্রির ফুপাতো ভাই সৌমিত্র সরদার। সে পেশায় উকিল এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক হিন্দু সংগঠন মাইনোরিটি রাইটস ফোরাম’র সাথে জড়িত।
(1-https://www.facebook.com/saumitra.sarder,
2-https://bit.ly/2REW0ET)
যেহেতু, অরিত্রির ফুপাতো ভাই সৌমিত্র সরদার মনমানসিকতায় সাম্প্রদায়িক, তাই আসামীর নাম দেয়ার ক্ষেত্রে ‘অযথা মুসলমান ফাঁসানো’ চিন্তাধারা বাদ যেতে পারে না। সেই চিন্তাধারা থেকেই হয়ত ফেঁসে গেছেন নিরাপরাধ হাসনা হেনা ম্যাডাম। তাই আমি শুরুতেই একটা কথা বলেছিলাম, আমরা সাধারণ মানুষ যেন অদৃশ্য সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে পরিচালিত না হই, সেটা খেয়াল রাখা জরুরী।
(ছবি: স্বজনদের সাথে ছবিতে অরিত্রি)










===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, October 19, 2018

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য দেড় বিঘা জমি মুসলমানদের থেকে কেরে নিয়ে হিন্দুদের দিয়েছেন

গত ১৫ অক্টোবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য দেড় বিঘা জমি দিয়েছেন বলে খবরে এসেছে। এ বিষয়টি নিয়ে গত মার্চে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটে একটি সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগী মুসলমানরা, যাদের জমি হিন্দুরা কেড়ে নিতে চাইছে। আমি সেই সময় বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। শেখ হাসিনা গতকালকে মন্দিরে গিয়ে হিন্দুদের বলছে, “আমরা ইতোমধ্যেই সমস্যাটির সমাধান করে দিয়েছি। বাকি কাজ আপনাদের ওপর নির্ভর করবে।” (https://bit.ly/2yjL2gu)
এই কথাটা কিন্তু নতুন নয়, এর আগেও শেখ হাসিনা একই কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, জমি দিয়েছি, কিন্তু হিন্দুদের কিনে নিতে হবে। কারণ জমির প্রকৃত মালিক হিন্দুরা নয়, মুসলমানরা। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা সেই জমি কিনে নিতে আগ্রহী নয়, তারা এই জমি দেখিয়ে হিন্দুদের থেকে চাঁদাও তুলে (http://bit.ly/2HrFouw), কিন্তু সেই টাকা মুসলমানদের দিতে আগ্রহী নয়। তারা ভারতের ভয় দেখিয়ে জোর করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি জবর দখল করতে চায়, মুসলমানদের উচ্ছেদ করতে চায়। এই যদি হয় বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা, তবে তারা এদেশের মুসলমানদের সহানুভূতি কিভাবে পেতে পারে ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হচ্ছে এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ।

আওয়ামীলীগ হিন্দুদের পক্ষ নেয়ায় আর ভারতীয় দালালি করায় বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগের উপর ক্ষেপে গেছে। এজন্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামীলীগের পতন চায়। কিন্তু পতনের লোভ যারা দেখাচ্ছে তারা কে ?

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হচ্ছে এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ।

যে কি না চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য। 
(https://bit.ly/2Q5NOMy)

যে সংগঠনটি কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলো।
(https://bit.ly/2R2mvnU)

এই সুব্রত চৌধুরী হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাতিল করার প্রধান আইনজীবি ।
(https://bit.ly/2OQGkg9)

বাংলাদেশের জনগণ হিন্দুপ্রেমী আওয়ামীলীগ থেকে মুক্তি চায়, এটা গণচেতনা।

কিন্তু সেটার ফসল কেন উগ্রহিন্দুদের হাতেই জমা হবে ?

আমি এর জবাব চাই !!

ছবিতে উগ্রহিন্দু বেশে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, August 15, 2018

মাদ্রাসা শিক্ষায় হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ কেন ?

মাদ্রাসা শব্দটা আরবী শব্দ। পারিভাষিকভাবে মাদ্রাসা বলতে, ‘যে প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা হয়’ তাকেই বুঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক এখন হিন্দু !
বিষয়টা যে খুব স্পর্শকাতর তা বুঝতে পারলাম কয়েকদিন আগের এক খবরে। ঝালকাঠিতে এক মাদ্রাসার ছোট বাচ্চারা দেয়া ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখেছিলো, এতে এক হিন্দু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ ছাত্রদের বেদম প্রহার করে। পরে বিষয়টা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঐ এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। যার কারণে অনেক বাধ্য হয়েই ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ । (https://bit.ly/2OzYhiN)
পাঠক ! বর্তমানে হিন্দু মানেই ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। ফেসবুক ঘুড়লে যা ভালোভাবে চোখে পড়ে। নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তির কথা আমরা ভুলে যায়নি। স্কুলের শিক্ষক হয়ে ছাত্রদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার কারণে কত বড় তুলকালাম ঘটে যায়। এরকম বহু উদাহরণ আছে স্কুলগুলোতে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম ধর্ম অবমাননার। সব মিডিয়াতেও আসে না।
এতদিন যে বিষয়গুলো স্কুলে দেখা গেলো, তাই এখন দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসায়। এবং সেটা মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে সচিবালয়ের এক নেমপ্লেটের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিবের নাম, সুবোধ চন্দ্র ঢালি।
আওয়ামী সরকার হিন্দুদের অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু ইসলামের সাথে হিন্দুত্ববাদ এক করার চেষ্টা তো ষ্পষ্ট সাম্প্রদায়কতা। তাদের সর্বশেষ আক্রমণ হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোতে, যেখানে তারা হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ চালু করতে চায়, এটা খুব স্পষ্ট একটা বিষয়। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বৈশাখী পূজা বা অমঙ্গল পূজা করানো কিংবা জাতীয় সঙ্গীতের নামে রবীন্দ্রনাথের দেবী বন্দনা পাঠ করানোর প্রতিযোগীতা অন্তত সেটাই বলে।
আমার মনে হয়, মাদ্রাসা ছাত্রদের এ ব্যাপারে এক হওয়া উচিত, একটা আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যারা মাদ্রাসার হিন্দুশিক্ষকদের বের করতে কাজ করবে। এক দফা এক দাবি হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ উভয়কেই দূর করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, May 21, 2018

বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর ভাবখানা এমন- “আমার তোমার সবার রাজা- ব্রিটিশ রাজা-ব্রিটিশ রাজা”

গত ১৯শে মে থেকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের এক বিয়ে নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে। ভাবখানা এমন, “আমার তোমার সবার রাজা- ব্রিটিশ রাজা-ব্রিটিশ রাজা”। বাংলাদেশের মিডিয়াও কম যায় না, পারলে মাথা নুয়ায় প্রণাম করে ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে, আর জনগনকেও উৎসাহিত করে ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের সামনে মাথা নুয়াতে। বাংলাদেশ এক সময় পাকিস্তানের অংশ ছিলো, সেই পাকিস্তানের সামনে মাথা নুয়াতে বললে কি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে ? তাহলে যে ব্রিটিশরা বহিরাগত হয়ে আমাদের ২০০ বছর লুটেপুটে খেলো সেই ব্রিটিশদের নিয়ে এত মাতামাতি কেন ?
আসলে আন্তর্জাতিক মিডিয়া কন্ট্রোল করে ইহুদীরা। বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোও তাদের মতাদর্শ অনুসারে পরিচালিত হয়। তারাই কোন বিশেষ কারণবশত: ব্রিটিশ ফ্যামিলিকে হাইলাইট করে। তারমানে ইহুদীদের অন্যতম কাজ হচ্ছে সাধারণ জনগণকে ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের দিকে ঝুকিয়ে রাখা। আপনাদের মনে থাকার কথা, বাংলাদেশ থেকে একটি হিন্দু ছেলে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করছে বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলো। ছেলেটির নাম শিপান কুমার বসু। তার ফেসবুক আইডি থেকে দেখুন (https://bit.ly/2IA0H2p)
অধিকাংশ পোস্ট ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রশংসা করে করা। এর পেছনে কি কারণ?

এর পেছনে মূল কারণ সম্ভবত ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের মাধ্যমে ইহুদী সম্রাজ্যবাদের উত্থান ঘটেছে। ১৭শ’ শতাব্দীর আগে ইহুদীদের কোন পাওয়ার ছিলো না, খ্রিস্টানরাও মুসলমানদের কাছে ছিলো কোনঠাসা। সারা বিশ্বে তখন একচেটিয়া ক্ষমতা মুসলমানদের। ইউরোপ-রাশিয়া(তাতার), এশিয়া, আফ্রিকা, ভারত পুরো বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা তখন ক্ষমতাবান। সে সময় ইহুদীরা ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের সাথে চূক্তি করে। ব্রিটেনের রাজা আসলে দস্যূ রাজা। ওরা ছিলো পানিদস্যুদের নেতা। যে যত বেশি জাহাজ লুটপাট করে আনতে পারবে, সে তত বড় ‘স্যার’। সব টাকা জমা দিতে হতে ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে। মানুষের মাংশ খাওয়া ছিলো তাদের নিয়মিত কাজ (https://bit.ly/2KC7IfC)
তাছাড়া তারা খ্রিষ্টানদের বড় কোন ফেরকা’ও না, তারা খ্রিস্টানদের Anglican ফেরকার অন্তভূক্ত। কথা হলো, ঐ সময় ইউরোপে আরো অনেক অগ্রগামী জাতি ছিলো, কিন্তু ইহুদীরা অপেক্ষাকৃত ভালো লোক না নিয়ে, মানুষ খেকো ডাকাতদের সাথে কেন চূক্তি করলো ?

আসলে এটা ইহুদীদের একটা স্বভাব। ওরা সব সময় সমাজের নিচু শ্রেণীর লোক থেকে তাদের দালাল বানায় উপরে তুলে। এতে অনেক সুবিধা। সমাজের নিচু শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে মানবতাবোধ থাকে না, তারা ছোট-বড় পার্থক্য করতে পারে না, নিচু শ্রেণীর হাতে ক্ষমতা গেলে তারা ছোট-বড় সবার সাথে দুর্বব্যবহার করে স্বার্থ আদায় করতে পারে। অপরদিকে নিচু শ্রেণী হিসেবে জাতে ওঠায় তারা তাদের পোষক ইহুদীদের কাছে অনুগত থাকে।
ইহুদীরা ব্রিটেনের সেই দস্যু নেতাদের সাথে চুক্তি করে এবং তখন-ই আসলে ফিল্ড পর্যায়ে ইহুদীদের উত্থান ঘটে। ইহুদীদের বুদ্ধি আর ব্রিটিশ দস্যুদের দস্যুপনা, দুই মিলে হয় ব্রিটিশ উপনিবেশ।
আমাদের এ এলাকায় যারা প্রথমে এসেছিলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এটা একটা প্রাইভেট কোম্পানি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মালিক ছিলো ইহুদী রথচাইল্ড পরিবার (http://bit.ly/2FI5ayd)
 তারা এ অঞ্চলে এসে আরেক নিচু শ্রেণী মানে হিন্দুদের সাথে গাট বাধে এবং মুসলমানদের বিরোধীতা করে। ১৭৫৭ সালে বাংলায় সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ’র পতন-ই ছিলো মূলত ইহুদীদের উত্থান। ঐ সময় ভারত ছিলো সম্পদের ভূমি। ভারতের ডাকা হতো স্বর্ণের পাখি (Sone Ki Chidiya) নামে। আর ভারতের কেন্দ্র ছিলো তখন বাংলা। বাংলার পতনের পর সেই সম্পদ নিয়ে গিয়ে রথচাইল্ড হয় সবচেয়ে ধনী পরিবার। বর্তমানেও আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের মালিক এই রথচাইল্ড ফ্যামিলি। মজার ব্যাপার হচ্ছে তাদের সম্পদের শুরু কিন্তু এই বাংলাকে লুট করেই।

মুসলমানদের প্রাথমিক যুগ থেকে প্রায় সতেরশ’ শতাব্দী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১শ’ বছর বিশ্বজুড়ে একচেটিয়া সুপার পাউয়ার ছিলো মুসলমানরা। কিন্তু ব্রিটিশদের কাধে ইহুদীরা গাট বাধার পরই তাদের উত্থান ঘটে। এক্ষেত্রে ভুলটা অবশ্য মুসলমানদেরই। কারণ বাগদাদ ও স্পেনের পতনের পর মুসলমানদের হাজার বছরের জ্ঞান চর্চা ইহুদীরা লুটে নিয়ে যায়। নলেজ ইজ পাওয়ার, ইহুদীরা কৌশল ও কূটকৌশলে সেটাই কাজে লাগায়। যেমন : ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া ক্ষমতা দখলের পরও প্রশাসনে মুসলমান কর্মকর্তারাই সব পরিচালনা করতো। কারণ একটি সভ্য এলাকা কিভাবে চালাতে হয় তার শিক্ষা পানিদস্যুদের ছিলো না। সেটা শিখতে তারা ১০০ বছর সময় নেয়।
ইহুদীরা ব্রিটিশদের পর এক এক করে জামার্নি, সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং বর্তমানে আমেরিকার উপরও ভর করেছে। কিন্তু ব্রিটেনের দস্যু পরিবারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার সূচনায় হওয়ায় তারা সম্ভবত সেটা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই দেখে। উসমানি খেলাফতের পতন এবং ফিলিস্তিনে ইহুদী পুনর্বাসন ব্রিটিশদের দ্বারাই ঘটে। মুসলমানদের দুর্বল করতে মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ দলাদালি ও ফেরকাবাজি শুরু হয় ব্রিটিশদের হাত ধরেই।
কমনওয়েলথ সংগঠনটি করাই হয়েছে ঐ ভূক্ত দেশগুলো এক সময় তাদের অধিনস্ত ছিলো এটা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাদেরকে ‘রাজা’ হিসেবে মেনে নিতে বলা। উল্লেখ্য বর্তমানেও ব্রিটেনের এই দস্যু পরিবারের সদস্যরা ইহুদীবাদীদের সিক্রেট সোসাইট ফ্রি মেসনের নেতৃস্থানীয় সদস্য। স্বাভাবিক তাদের অনুষ্ঠানে অনেক ফ্রি-মেসন সদস্যকে ডাকা হয় (ভারতীয় নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়াকে আমার ফ্রি-মেসন মনে হয়)।
সোজা ভাষায়, মানুষখেকো দুস্য এই ব্রিটিশ পরিবারকে রাজা হিসেবে মেনে নেয়া মানে নিজেকে ইহুদী সম্রাজ্যবাদের প্রজা হিসেবে মেনে নেয়া। তারা তো চায়, আমাদের মন-মগজে তাদের প্রজা বানিয়ে রাখতে। তাই এসব মানুষ খেকো পানিদস্যুদের লুটেরাদের ‘রাজা’ উপাধি দেয়া ও তাদের কাজে উৎসাহ দেখানো থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------