১) গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে,“পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিএম ফসলের চাষ হচ্ছে। জিএম ফসল কোথাও কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে তা জানা যায় নি। আমাদের অধিক জনসংখ্যার খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় জিএম ফসলের দিকে যেতে হবে।” (http://bit.ly/2pilE5i)
২) গত ১১মার্চ, ২০১৮ তারিখে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলে, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। একসময় ওরা নয়া কৃষির নামে হাইব্রিডের বিরোধিতা করেছিল। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে। ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।” (http://bit.ly/2p6P1s1) উল্লেখ্য, নতুন কৃষিনীতি -২০১৮ এর খসড়ায় জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টিকে বৈধ করা হয়েছে।
৩) ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়ার ঘোষণা দেয়। এই বীজের মধ্যে জিএমও ফুড বা বিটি বেগুনও আছে। (http://bit.ly/2eWG2bb)
৪) ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসছে জিএমও গোল্ডেন রাইস। (goo.gl/HKQSi8)।
তারমানে বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী সরকার বাংলাদেশে জিএমও আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু কেন ?
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, জিএমও চাষ মানে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরকে ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করে দেয়া। আমার আজকের এ পোস্ট জিএমও চাষ করলে কিভাবে কৃষি সেক্টর বিক্রি করে দেয়া হয়, তার ব্যাখ্যা নিয়ে।
জিএমও –এর বিষয়টা সহজে বুঝানোর জন্য আমি ‘ট্যাক্স’ বা ‘কর’ সিস্টেমটা নিয়ে আসছি। যেমন ধরুন, আমরা আগে যেকোন স্থান থেকে যে কোন কিছু কিনতে পারতাম, বিক্রি করতে পারতাম, যাতায়াত করতে পারতাম, খাদ্য খেতে পারতাম। এজন্য মূল্ খরচের বাইরে কাউকে কিছু দিতে হতো না। কিন্তু ধিরে ধিরে ট্যাক্স বা কর নিয়ে আসা হলো। এখন আপনি কোন কিছু কিনলে আলাদা করে নির্দ্দিষ্ট এ্যামাউন্টের ট্যাক্স বা ভ্যাট দিতে হয়। কিছু বিক্রি করতে গেলে ট্যাক্স দিতে হয়। খাবার খেতে গেলে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়, দোকান থেকে কিনতে গেলে ভ্যাট দিতে হয়। এভাবে দশ যায়গায় আপনার থেকে ট্যাক্স বা ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। জিএমও প্রযুক্তিটা হচ্ছে সেরকম। এটা ব্যবহার করলে একজন কৃষক আর স্বাভাবিক উপায়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারবে না। তাকে ধাপে ধাপে আটকে রাখবে ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। তাদেরকে টাকা দিয়ে নতুন সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য গত কয়েক বছর আগে ভারতে জিএমও বিটি তুলা চাষের কারণে বার বার খরচ করতে করতে ঋণ জর্জরিত হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ২৭ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছিলো (http://bit.ly/2HIQrzS )।
জিএমও’র প্রথম লোভনীয় ধাপ হচ্ছে- ‘রাউন্ড আপ রেডি’ ফসল
এ ফসলের বিজ্ঞাপনে বলা হয়- জিএমও প্রযুক্তিতে যেহেতু উদ্ভিদ নিজের অভ্যন্তরেই কীটনাশক উৎপাদন করবে, তাই আলাদাভাবে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। আর তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসবে, লাভবান হবেন কৃষক। একইসাথে বলা হয়, জিএমও প্রযুক্তির ফসল আগাছানাশক। জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগাছা দমন হবে।
এ ফসলের বিজ্ঞাপনে বলা হয়- জিএমও প্রযুক্তিতে যেহেতু উদ্ভিদ নিজের অভ্যন্তরেই কীটনাশক উৎপাদন করবে, তাই আলাদাভাবে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। আর তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসবে, লাভবান হবেন কৃষক। একইসাথে বলা হয়, জিএমও প্রযুক্তির ফসল আগাছানাশক। জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগাছা দমন হবে।
এটা ঠিক প্রথম কয়েক বছর পোকার আক্রমণ ও আগাছা কম থাকে। কিন্তু কয়েক বছর থেকে ব্যতিক্রম দেখা যায়। আগাছা ও কীটের পরিমাণ বহুগুন বেড়ে যায়, ফলে কীটনাশন ও আগাছানাশকের পরিমানও বহুগুন বৃদ্ধি করতে হয়। এবং সেগুলো কিনতে হবে ঐ নির্দ্দিষ্ট বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকেই, কারণ তারাই কেবল জানে, কোন কীটনাশক ও আগাছানাশক কাজ করবে ? (সম্পূর্ণ জানতে- http://bit.ly/2IxI0bN )
আবার ‘টার্মিনেটর প্রযুক্তিতে জেনেটিকাল মোডিফিকেশণ করে বীজ এমনভাবে আটকে দেয়া হয়, যেন ঐ ফসল থেকে কৃষক নতুন বীজ না পায়। এই বীজ ব্যবহারের একটা পর্যায়ে কৃষক বলবে- “কি বীজ দিলেন, এখান থেকে নতুন বীজ পাওয়া যায় না।”
তখন কৃষককে বলা হবে- ‘ভার্মিনেটর প্রযুক্তি’ নেয়ার জন্য। এটা এমন এক রাসায়নিক, যা ব্যবহার করলে বীজের বন্ধাত্ব কাটে। কিন্তু এটা নিতে হবে ঐ নির্দ্দিষ্ট কোম্পানির থেকেই। এ প্রযুক্তিতে উদ্ভিদ জীবনের মূল ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে রাসায়ানিক ব্যবহারে। যেমন অঙ্কুরোদগম, পাতা গজানো, ফুল ফোটানো, ফল পাঁকানো সহ যাবতীয় সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে ভার্মিনেটর প্রযুক্তিতে। ততদিনে কৃষকের উৎপাদিত শষ্য স্তরে স্তরে আটকে থাকবে! ধাপে ফুল আসবে, কিন্তু দানা আসবে না। আসবে যখন ওদের থেকে কেনা সার দিবেন। আপনি বীজ সংগ্রহ করবেন, কিন্তু বীজ থেকে ধান গাছ হবে না, হবে যখন আপনি তাদের দেয়া রাসায়নিক দেবেন। অর্থ্যাৎ টার্মিনেটর আর ভার্মিনেটর প্রযুক্তির যাঁতাকলে পিষ্ট হবে কৃষি, কৃষক, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রকৃতি। খাদ্যের দাম বাড়বে বহুগুন। তৈরী হবে মনোপোলি বিজনেস।
তখন কৃষককে বলা হবে- ‘ভার্মিনেটর প্রযুক্তি’ নেয়ার জন্য। এটা এমন এক রাসায়নিক, যা ব্যবহার করলে বীজের বন্ধাত্ব কাটে। কিন্তু এটা নিতে হবে ঐ নির্দ্দিষ্ট কোম্পানির থেকেই। এ প্রযুক্তিতে উদ্ভিদ জীবনের মূল ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে রাসায়ানিক ব্যবহারে। যেমন অঙ্কুরোদগম, পাতা গজানো, ফুল ফোটানো, ফল পাঁকানো সহ যাবতীয় সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে ভার্মিনেটর প্রযুক্তিতে। ততদিনে কৃষকের উৎপাদিত শষ্য স্তরে স্তরে আটকে থাকবে! ধাপে ফুল আসবে, কিন্তু দানা আসবে না। আসবে যখন ওদের থেকে কেনা সার দিবেন। আপনি বীজ সংগ্রহ করবেন, কিন্তু বীজ থেকে ধান গাছ হবে না, হবে যখন আপনি তাদের দেয়া রাসায়নিক দেবেন। অর্থ্যাৎ টার্মিনেটর আর ভার্মিনেটর প্রযুক্তির যাঁতাকলে পিষ্ট হবে কৃষি, কৃষক, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রকৃতি। খাদ্যের দাম বাড়বে বহুগুন। তৈরী হবে মনোপোলি বিজনেস।
কৃষককে যদি ৩-৪ বার জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করানো যায়, তবে আগের জমানো বীজও নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বাংলাদেশের পুরো কৃষি সেক্টর ইহুদীবাদী কর্পোরেট কোম্পানির কাছে আটকে থাকবে। ওরা চাইবে তো ফসল হবে, ওরা চাইবে তো ফসল হবে না। আর পুরো সিস্টেম ওদের প্রযুক্তির কাছে আটকে থাকার কারণে কৃষককে বার বার ওদের টাকা দিয়ে ফসলে দেখা পেতে হবে।
বর্তমানে যে যে ফসলগুলোতে সরকার জিএমও আনছে বা আনতে চাইছে- ধান, আলু, গম, বেগুন, তুলা, সরিষার তেল।
ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চলে নীল চাষের কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। এ অঞ্চলের কৃষকদের ঐ সময় নীল চাষে বাধ্য করতো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মূলে ছিলো ইহুদীবাদী রথচাইল্ড ফ্যামিলি (http://bit.ly/2FI5ayd )। আর বর্তমানে জিএমও প্রযুক্তির মুলে রয়েছে ইহুদীবাদী রকফেলার ফ্যামিলী (http://bit.ly/2HIUSus )।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশীদের কাছে বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে। আর বাংলাদেশের মানুষকে বিদেশীদের থেকে সেটা উচ্চমূলে কিনে নিতে হচ্ছে। যেমন- বাংলাদেশে প্রচুর গ্যাস আছে, কিন্তু বিদেশী কোম্পানির কাছে সেই গ্যাস ফিল্ডগুলো দিয়ে তাদের থেকে উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরটাও সরকার বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জিএমও প্রযুক্তি হচ্ছে সেই বিক্রির চূড়ান্ত দলিল।
ছবি : বিশ্বব্যাপী জিএমও ফসলবিরোধী আন্দোলনের কিছু ছবি ।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment