আম নিয়ে আগের পোস্টটি (https://bit.ly/2KDQQF9) দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আবারও চিন্তা করতে বসলাম,
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে দেশেও বেশ কয়েক যায়গায় ফোন দিয়েছি।কারণ একটা বিষয় বিস্তারিত জানা ও সমাধানে না আসা পর্যন্ত আমার আবার ভালো লাগে না।
কয়েকজন আম ব্যবসায়ী ও কৃষকের সাথে আলাপ করলাম, আম পাড়ায় সরকারের বেধে দেয়া সময় নিয়ে মতভেদ আছে। একদল কৃষক সরকারের বেধে দেয়া সময়ে খুশি, অন্যদল বলছে সরকারের বেধে দেয়া সময়ের আগেই ফল পেকে যায়। সাতক্ষীরায় আম আগে পাকে, চাপাইনবাবগঞ্জে আম পরে পাকে। একটি ফল পরিপক্ক না হওয়ার আগে গাছ থেকে পারা ঠিক নয়, কিন্তু অনেক এলাকার আম আগে পেকে গেলে কৃষকরা কি করবে সেটা নিয়েও সরকারের চিন্তা করা উচিত। এজন্য শুধু আমের প্রকারভেদে সময় নয়, এলাকা ভিত্তিক আম পাকা’র সময় জানার দরকার আছে। এবং সে অনুসারেই আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা জরুরী। কিছু আম যদি আগে পেকেও যায়, তবে সেটা লোকাল মার্কেটে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সরকার যদি ফল ধ্বংসে মেতে উঠে, তবে সেই আগে পেকে যাওয়া আম তো লোকাল মার্কেটেও উঠতে পারবে না। এসব বিষয় জানার জন্য, ফিল্ডে কৃষকের অবস্থাটা জানার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমাদের দেশে কৃষক আর সরকারের মধ্যে এখন বিস্তর তফাৎ। সরকার চলে বাইরের বুদ্ধি বা মিডিয়ার বুদ্ধিতে। কিন্তু কৃষকের কি প্রয়োজন বা কৃষক কি চায় সেটা সম্পর্কে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। জেলা-থানা-ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে কৃষি অফিসারদের যদি উন্নত ট্রেনিং দেয়া যায়, এবং সেটা যদি কৃষক পর্যন্ত পৌছে দেয়া যায়, তবে দেশী ফলন আরো উন্নত এবং কৃষকদের চিন্তামুক্ত করা সম্ভব।
আরেকটি বিষয়,
সব আম যখন এক সাথে পাড়া হবে, তখন আম নষ্ট হওয়া বা মার্কেটে দাম পরে যাওয়ার ভয় থাকে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা থাকতে হবে। যদি সরকারীভাবে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা দেয়া হয়, তখন অনেক আম নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং জনগণ আরো বহুদিন দেশী আমের স্বাদ পাবে।
সব আম যখন এক সাথে পাড়া হবে, তখন আম নষ্ট হওয়া বা মার্কেটে দাম পরে যাওয়ার ভয় থাকে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা থাকতে হবে। যদি সরকারীভাবে কোল্ডস্টোরেজের সুবিধা দেয়া হয়, তখন অনেক আম নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং জনগণ আরো বহুদিন দেশী আমের স্বাদ পাবে।
আমার আগের পোস্টে আমি হরমোন ইথোফেন দিয়ে পাকানোর কথা বলেছি। আমার মূল কথা ছিলো- “ইথোফেন দিয়ে পাকানো আমে ক্ষতিকারক নেই, ফলে যাত্রাবাড়ি-মিরপুরে ২২০০ মন আম ধ্বংস করা মোটেও ঠিক হয়নি।” তবে আমি নিজেও চাই পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়েই ফল পাকানো হোক। কিন্তু ইথোফেনে ক্ষতি আছে, এমন মিথ্যা কথা বলে ১০-২০ জন ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে দেয়া বা ৬ জনকে জেল দেয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।্ঐ সময় RAB ্এর কাছে ইথোফেন মাপার কোন যন্ত্র ছিলো না, এমনকি RAB নিজেও অবগত নয় ইথোফেন ভালো না মন্দ । শুধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে ব্যস এতটুকু মুখে শুনেই বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয় কোটি টাকার দেশের সম্পদ (https://bit.ly/2IxuR6c)।
আসলে মূল সমস্যা হলো ভারতীয় আম নিয়ে। দেশী আমের জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দিছে, কিন্তু মার্কেটে তো ভারতীয় আম ছেয়ে গেছে। তাহলে আমার গাছের আম কেমিকেল/হরমোন দিয়ে আনতে সমস্যা কোথায় ? তখনই অপরিপক্ক আমে কেমিকেল দিয়ে পাকানো হচ্ছে। কিন্তু মার্কেটে যদি ভারতীয় আম না-ই থাকতো, তবে নির্দ্দিষ্ট তারিখের আগে আমই থাকতো না, ফলে আমের মার্কেট কেউ দখল করে ফেলছে কৃষক বা ব্যবসায়ীর সেই টেনসনও থাকতো না। কৃষকও চাইতো তার আম আরো বড় হোক। ফলে এত অরজাকতা আর টেনশনও থাকতো।
আমার মনে হয়, জনগণকেই এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে ভারতীয় আম কি না? যদি ভারতীয় আম হয় তবে সেটা বর্জন করতে হবে। আম খেলে দেশী আম খেতে হবে। কয়েকবছর যদি এভাবে ভারতীয় আমকে বাঁশ দেয়া যায়, তবে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় আম তুলবে না। ফলে দেশী আমের স্বাদেই দেশের মানুষ থাকতে পারবে, দেশের সম্পদ দেশেই থাকবে।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment