খবরে এসেছে,
যাত্রাবাড়িতে ইথোফেন যুক্ত আম, ১ হাজার মন আম ধ্বংস (https://bit.ly/2k97KQS)
মিরপুরে ইথোফেনযুক্ত ১২শ’ মন আম ধ্বংস (https://bit.ly/2IxQijC)
বাপরে বাপ ! কত বিষাক্ত রাসায়নিক ইথোফেন, আর সেটাই নাকি ফলের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়াচ্ছে আমাদের । মার শালারে। শালার সব আম গুড়িয়ে দে, ব্যাটা যেন আর কখন ফলের বিজনেস না করতে পারে।
আমার ছোট বেলার একটা কবিতা মনে পড়ে গেলো,
“এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
..........................
নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।”
আম ইথোফেন দিয়ে পাকানো হয়েছে, ব্যস এতটুকু শুনেই ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করে ফেলেছে RAB, জেলে পুড়েছে আধা ডজনকে । কিন্তু ইথোফেন জিনিসটা কি, কিংবা সেটা কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কি না, সেটা জানার দরকার মনে করেনি কেউ।
ইথোফেন বা ২-কোরোইথাইল ফসফনিক এসিড দিয়ে ফল পাকানো কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যবিরোধী কোন পদ্ধতি নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি কারণ কোন ফল পাকানোর জন্য ইথোফেন দেওয়ার পর তা দ্রুত ইথিলিন গ্যাসে পরিণত হয়, যা ন্যাচারাল সিস্টেমেই ফলকে পাকায়, ফলে ক্ষতির কোন আশঙ্কা থাকে না। এ কারণে বিশ্বের ৬০টি দেশে স্বাস্থ্য সম্মত উপায় হিসেবে ফল পাকানোর জন্য ইথোফেনকে ব্যবহার করা হয়।
পড়তে পারেন:
১) https://bit.ly/2IxuR6c
২) https://bit.ly/2rYckVE
৩) https://bit.ly/2wXIu9d
আমার মনে পড়ে গেলো, আজ থেকে ৪ বছর আগের কথা। তখন ‘আমের ভেতর ফরমালিন আছে’ টাইপের খবর দিয়ে মিডিয়া ছেয়ে গেলো। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচুর পরিমাণে আমসহ অন্যান্য ফল নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে খবর আসে যেই যন্ত্র দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়েছে সেটার মধ্যেই গলদ ছিলো। কিন্তু ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে ৬০ হাজার টন ফল ও মাছ । (তথ্যসূত্র: দৈনিক কালেরকণ্ঠ, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪,https://bit.ly/2GyFEHB)
শুধু আম নয়, কলা-আনারসসহ অনেক ফলই পাকানোর জন্য বহু আগে থেকে বাংলাদেশে ইথোফেন ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু সেগুলো তো RAB নষ্ট করেনি, কিংবা মিডিয়াও সেটা নিয়ে খবর করেনি। কিন্তু আম আসার আগেই কেন প্রশাসন এভাবে দেশী ফল নষ্ট করে ? আর মিডিয়া সেটা নিয়ে উস্কানি দেয় ?
ইথোফেন ব্যবহার করে আম পাকা জুজু দেখিয়ে আসলে সরকার-প্রশাসন কৃষকদের গাছ থেকে আম পাড়তে বাধা দেয়। এবং গত কয়েকবছর যাবত সরকারের পক্ষ থেকে আম পাড়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এ বছরের জন্য সময় হলো,
২০ মে গুটি জাত, ১ জুন হিমসাগর, ক্ষীরসাপাতি ও লক্ষ্মণভোগ, ৬ জুন ল্যাংড়া, ১৬ জুন আম্রপালি ও ফজলি এবং ১ জুলাই আশ্বিনা এর আগে কোন কোন গাছের আম নামানো যাবে না। আম পাড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে চেকপোস্ট বসানো হবে। সেখানে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। (https://bit.ly/2IDCSCF)
অথচ কৃষকদের বক্তব্য হচ্ছে, আম কখন সময় নিদ্দিষ্ট করে পাকে না। কোন কোন আম আগেই পেকে যায়। কিন্তু সরকার কেমিকেলের নাম দিয়ে আম নষ্ট করায় কোন ব্যাপারী কৃষকের কাছে যায় না, ফলে গাছের মধ্যেই পেকে নষ্ট হচ্ছে হাজার কোটি টাকার আম। শুধু তাই নয়, একবারে সব আম নামায় মার্কেটে আমের রেট অনেক কমে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকরা। আমে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কি না, এটার সমাধান কখন আম পাড়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হতে পারে না, বরং এটা মূর্খের সিস্টেম।
গত কয়েকবছর যাবত সরকারের বানানো এ সিস্টেম সম্পর্কে কৃষকরা অনেক প্রতিবাদ করেছে। এমনকি এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, আম পাড়ার সময় বেঁধে দেয়া সঠিক কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়। (https://bit.ly/2LivvSD)
অর্থাৎ দেশী আমকে আটকে রাখা হচ্ছে কৌশলে । কিন্তু এদিকে ভারত থেকে আম এসে দখল করে নিচ্ছে বাংলাদেশের মার্কেট। এ সম্পর্কে গত কয়েকদিনে খবর এসেছে-
১) বাজারে ভারতীয় আম (https://bit.ly/2LbIJRn)
২) মৌসুমের আগেই ভারতীয় আম (https://bit.ly/2rWY93L)
৩) ভারতীয় আম দিয়ে মধুমাস শুরু (https://bit.ly/2wZngYR)
৪) আমের রাজধানী রাজশাহী ছেয়ে গেছে ভারতীয় আম (https://bit.ly/2ITkpp8)
অর্থাৎ দেশী আম ধ্বংস করে, ভারতীয় আমকে প্রবেশ করাতে হবে। এ পলিসি শুধু আমে নয়, কোরবানীর গরু নিয়েও হয়। দেশী গরুতে অ্যানথ্র্যাক্স আছে, দেশী গরু মোটাতাজার নামে বিষ দেয়া হয়, এমন নানা অপপ্রচার করে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢুকানো হয়।
আচ্ছা, দেশী আমে সমস্যা আছে দেখে সরকার হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করছে। কিন্তু যে ভারতীয় আমে বাংলাদেশের মার্কেট ভরে যাচ্ছে, সেই ভারতীয় আম কি সরকার একবার পরীক্ষা করেছে ? নাকি ভারতের আম হলে তার সাত খুন মাফ ? তা পরীক্ষা করাও নাজায়েজ ।
উল্লেখ্য,
-ক্ষতিকারক থাকায় ২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতীয় আম নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সেই আম তারা বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। (https://bit.ly/2Leptm6)
-২০১৬ সালে আরব আমিরাতও ভারতীয় আমে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি টের পেয়ে তা প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে (https://bit.ly/2rWZcRf)
বাংলাদেশের আম নিয়ে ষড়যন্ত্র এ বছরই প্রথম নয়। গত বেশ কয়েক যাবত ফলের রাজা আমকে ধ্বংস করতে দেশী-বিদেশী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক কানেকটেড কিছু মিডিয়া (ডেইলি স্টার, প্রথম আলো) সেই ২০১৩-১৪ সাল থেকে সরকারকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে এ ধরনের আজগুবি সিস্টেম জারি করার জন্য।
আসলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতন নয়, হুজুগে। মিডিয়া যেদিকে যেতে বলে তারা সেদিকেই যায়, আর সরকারও সেই সুযোগে দুর্নীতি করার সুযোগ পায়।
তাই ফলের রাজা আম ধ্বংস করার বহুমুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগন-কৃষক-ব্যবসায়ী একত্র হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment