১-নম্বর ছবিটা নেদারল্যান্ডের এমপি গ্রিট ওয়াইল্ডার্সের। গ্রিট ওয়াইল্ডার্স কিছুদিন আগে মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগীতার করার ঘোষণা দেয় (https://ind.pn/2JME22D)। যদিও তার এই কর্মকাণ্ড এই প্রথম না। এর আগেও এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। তবে লক্ষণীয় হলো, এর আগে বাংলাদেশে এ বিষয়টি নিয়ে বেশ প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু এবার তেমন কোন প্রতিবাদ চোখে পড়লো না।
২- নম্বর ছবিটা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলা কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুর উপর ছাত্রলীগের হামলার ছবি। ছবি বলে দিচ্ছে, কতটা নৃশংস ও জনবিরোধী হয়ে উঠেছে সরকার । আসলে কোটা নিয়ে আন্দোলনে ছিলো গণমানুষের আন্দোলন, আর নুরু ছিলো সেই গণমানুষের আন্দোলনের নেতা। কিন্তু গণমানুষের আন্দোলনের নেতা হওয়ার পরও গণমানুষ তার নেতার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। তার নেতাকে মারা হলো কিন্তু গণমানুষ তার প্রতিবাদে কিছু করবে না, কারণ গণমানুষের সে শক্তি নেই। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের সাহসও পেয়েছে, কারণ তারা জানে, বর্তমানে গণমানুষ বা তার ইচ্ছার কোন দাম নাই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গণমানুষের কোন দরকার নাই। আছে বিদেশী ইহুদীবাদীদের দরকার। তাদেরকে খুশি রাখলেই হলো। আর গণমানুষকে ধিরে ধিরে মেরে ফেললেই হলো। গণমানুষ কিছুই করতে পারবে না।
৩- নম্বর ছবিটা আজকে ব্রাজিলের জয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে তোলা (https://bit.ly/2lNaJz2)। যে টিএসসিতে সকাল বেলা কোটা আন্দোলনের নামা ছাত্ররা সংখ্যালঘু হয়ে পিটুনি খেলো, সেই টিএসসিতেই ব্রাজিলের খেলা দেখতে জমা হয়েছে অনেক ছাত্র। তাদের উল্লাসও দেখে কে !!
কিছু বিষয় জেনে রাখুন:
----মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধকে জিহাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উব্ধুদ্ধ করতে ধর্মীয় চেতনা ব্যবহার করেছে নেতৃস্থানীয়রা। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করতো এবং সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতো। এ থেকে বোঝা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ধর্মীয় চেতনা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মীয় চেতনা মানুষকে নিজ স্বার্থকে ক্ষুদ্র করে জাতিকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা দান করে । অপরদিকে ধর্মীয় চেতনাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক করে তোলে এবং জাতিগত চেতনা ভুলিয়ে নিজ আনন্দ-খুশি-স্বার্থকে বড় করে দেয়।
----আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যখন মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়টি ব্যাপকভাবে শুরু হয়, তখন বিষয়টির মূল কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছিলাম। “মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে ইহুদীবাদীদের কি লাভ ? ” এটা নিয়ে স্ট্যাডি করেছি। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে কয়েকটি মূল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো: এই সব ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তারা মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা পরিমাপ করে। মুসলমানদের শেষ নবী হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মের মূল, তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও যখন মুসলমান চুপ থাকে, বা অনুভূতিহীন হয়, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা শূণ্যের কোঠায়। ইহুদী্বাদীরা চায় সারা বিশ্ব করায়ত্ব করতে। কিন্তু এর প্রধান বাধা ‘ইসলাম’। কারণ ইসলাম ধর্ম ও তার চেতনাই পারে ইহুদীবাদ ঠেকিয়ে দিতে। সেই চেতনা যখন শূণ্যের কোঠায় পৌছাতে থাকে, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, এবং এখন খুব সহজেই তাদের উপর দখল, নির্যাতন, সম্পদ লুটপাট করা যায়। মুসলমানরা হয়ে ওঠে ঢাল তলোয়ার বিহীন সৈণ্যের মত, তাকে যা খুশি তাই করা যায়।
--কোটা আন্দোলনে লোক কমে যাওয়া এবং ফুটবল খেলায় লোক বৃদ্ধি পাওয়া হচ্ছে, মোরালি ডেস্ট্রয় হওয়ার রেসাল্ট। শাসক শ্রেণী ইহুদীবাদীদের শেল্টারে জনগণ শোষণ করে স্বার্থ নিবে এবং একটা অংশ ইহুদীবাদীদের নিকট পৌছাবে। এজন্য প্রয়োজনে জনগণের উপর নির্যাতন চালানো লাগতে পারে। কিন্তু একবারে সবার উপর নির্যাতন করা কঠিন, তাই তাদের ডিভাইড করতে হবে। তারা এক দলকে নিপীড়ন করবে, আর বাকিদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে, যেন তারা প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না করতে পারে। আজকে যাদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে তারাও যে বাঁচবে বিষয়টি সেরকম না। একে একে সবাইকে ধরা হবে। কিন্তু কেই কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারণ একদলকে ধরা হবে, অন্যদলকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে। তাই তারা একত্র হতে পারবে না।
মনে রাখবেন, ইহুদীবাদী ও তাদের দোসররা একটা সিন্ডিকেট। তারা আপনার উপর ফিজিক্যাল ও সাইকোলোজিক্যাল আক্রমণ চালাবে। আপনার পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করবে। আপনি নিজে যদি তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখেন এবং পাল্টা সিন্ডিকেট তৈরী করে তাদের প্রতিহত না করতে পারেন, তবে খুব সহজেই তাদের কাছে ধরা খাবেন এবং সেটাই হয়।
===============================
২- নম্বর ছবিটা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলা কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুর উপর ছাত্রলীগের হামলার ছবি। ছবি বলে দিচ্ছে, কতটা নৃশংস ও জনবিরোধী হয়ে উঠেছে সরকার । আসলে কোটা নিয়ে আন্দোলনে ছিলো গণমানুষের আন্দোলন, আর নুরু ছিলো সেই গণমানুষের আন্দোলনের নেতা। কিন্তু গণমানুষের আন্দোলনের নেতা হওয়ার পরও গণমানুষ তার নেতার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। তার নেতাকে মারা হলো কিন্তু গণমানুষ তার প্রতিবাদে কিছু করবে না, কারণ গণমানুষের সে শক্তি নেই। পাশাপাশি ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের সাহসও পেয়েছে, কারণ তারা জানে, বর্তমানে গণমানুষ বা তার ইচ্ছার কোন দাম নাই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গণমানুষের কোন দরকার নাই। আছে বিদেশী ইহুদীবাদীদের দরকার। তাদেরকে খুশি রাখলেই হলো। আর গণমানুষকে ধিরে ধিরে মেরে ফেললেই হলো। গণমানুষ কিছুই করতে পারবে না।
৩- নম্বর ছবিটা আজকে ব্রাজিলের জয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে তোলা (https://bit.ly/2lNaJz2)। যে টিএসসিতে সকাল বেলা কোটা আন্দোলনের নামা ছাত্ররা সংখ্যালঘু হয়ে পিটুনি খেলো, সেই টিএসসিতেই ব্রাজিলের খেলা দেখতে জমা হয়েছে অনেক ছাত্র। তাদের উল্লাসও দেখে কে !!
কিছু বিষয় জেনে রাখুন:
----মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধকে জিহাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উব্ধুদ্ধ করতে ধর্মীয় চেতনা ব্যবহার করেছে নেতৃস্থানীয়রা। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করতো এবং সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতো। এ থেকে বোঝা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ধর্মীয় চেতনা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মীয় চেতনা মানুষকে নিজ স্বার্থকে ক্ষুদ্র করে জাতিকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা দান করে । অপরদিকে ধর্মীয় চেতনাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক করে তোলে এবং জাতিগত চেতনা ভুলিয়ে নিজ আনন্দ-খুশি-স্বার্থকে বড় করে দেয়।
----আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যখন মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়টি ব্যাপকভাবে শুরু হয়, তখন বিষয়টির মূল কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছিলাম। “মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে ইহুদীবাদীদের কি লাভ ? ” এটা নিয়ে স্ট্যাডি করেছি। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে কয়েকটি মূল কারণ। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো: এই সব ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তারা মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা পরিমাপ করে। মুসলমানদের শেষ নবী হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মের মূল, তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও যখন মুসলমান চুপ থাকে, বা অনুভূতিহীন হয়, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা শূণ্যের কোঠায়। ইহুদী্বাদীরা চায় সারা বিশ্ব করায়ত্ব করতে। কিন্তু এর প্রধান বাধা ‘ইসলাম’। কারণ ইসলাম ধর্ম ও তার চেতনাই পারে ইহুদীবাদ ঠেকিয়ে দিতে। সেই চেতনা যখন শূণ্যের কোঠায় পৌছাতে থাকে, তখন বুঝতে হবে মুসলমানদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, এবং এখন খুব সহজেই তাদের উপর দখল, নির্যাতন, সম্পদ লুটপাট করা যায়। মুসলমানরা হয়ে ওঠে ঢাল তলোয়ার বিহীন সৈণ্যের মত, তাকে যা খুশি তাই করা যায়।
--কোটা আন্দোলনে লোক কমে যাওয়া এবং ফুটবল খেলায় লোক বৃদ্ধি পাওয়া হচ্ছে, মোরালি ডেস্ট্রয় হওয়ার রেসাল্ট। শাসক শ্রেণী ইহুদীবাদীদের শেল্টারে জনগণ শোষণ করে স্বার্থ নিবে এবং একটা অংশ ইহুদীবাদীদের নিকট পৌছাবে। এজন্য প্রয়োজনে জনগণের উপর নির্যাতন চালানো লাগতে পারে। কিন্তু একবারে সবার উপর নির্যাতন করা কঠিন, তাই তাদের ডিভাইড করতে হবে। তারা এক দলকে নিপীড়ন করবে, আর বাকিদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে, যেন তারা প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না করতে পারে। আজকে যাদের প্যাথিডিন (খেলা) দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে তারাও যে বাঁচবে বিষয়টি সেরকম না। একে একে সবাইকে ধরা হবে। কিন্তু কেই কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারণ একদলকে ধরা হবে, অন্যদলকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে। তাই তারা একত্র হতে পারবে না।
মনে রাখবেন, ইহুদীবাদী ও তাদের দোসররা একটা সিন্ডিকেট। তারা আপনার উপর ফিজিক্যাল ও সাইকোলোজিক্যাল আক্রমণ চালাবে। আপনার পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করবে। আপনি নিজে যদি তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখেন এবং পাল্টা সিন্ডিকেট তৈরী করে তাদের প্রতিহত না করতে পারেন, তবে খুব সহজেই তাদের কাছে ধরা খাবেন এবং সেটাই হয়।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment