Sunday, July 1, 2018

কোন একটা ঘটনা ঘটলে তার থেকে শিক্ষা নেয়াটাই আসলে বড় প্রাপ্তি, কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা ঘটনা দেখে আবেগী হই, কিন্তু শিক্ষা নেই না

দেশের গুম হত্যা আর জোরজবরদস্তিমূলক খবর-ভিডিও দেখে আর চিন্তিত হই না
আবার বাংলাদেশের জনগণ যখন এরদোয়ানের বিজয় দেখে উল্লাস করে, তা দেখেও হাসি চাপিয়ে রাখতে পারি না
কোন একটা ঘটনা ঘটলে তার থেকে শিক্ষা নেয়াটাই আসলে বড় প্রাপ্তি, কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা ঘটনা দেখে আবেগী হই,
এন্টারটেইনড হই, হাসি-কান্না-উল্লাস-রাগ করি। শুধু মূল ঘটনার অনুসন্ধান করে শিক্ষা নেই না।
উসমানি সালতানাতের পতন হওয়ার পর কম কষ্ট করতে হয়নি তুর্কীদের। কামাল আতাতুর্ক পাশা এসে শতভাগ সেক্যুলারিজম জারি করে। ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ, শরীয়া কাউন্সিল বিলুপ্ত, শরীয়া আদালত অবৈধ ঘোষণা করে সকল কাজীকে বরখাস্ত, ধর্মীয় পোষাক নিষিদ্ধ করা (এমনকি ইমাম সাহেবদের ক্ষেত্রেও), হিজাব নিষিদ্ধ করা, হিজরী ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলণ করা, আরবীর পরিবর্তে তুর্কী ভাষায় আজান চালু করা, শুক্রবারের পরিবর্তে শনি-রবিবার ছুটি দেয়া, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধান বাদ দিয়ে সেক্যুলারিজম চালু করা, আলেমদের কার্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া, আরবী হরফের পরিবর্তে ল্যাটিন হরফ চালু করা। প্রায় ৮০-৯০ বছর সেক্যুলারিজম দিয়ে তুর্কীয়দের ওয়াশ করার পর বেহাল অবস্থা হয়ে যায় তুর্কিদের। ইখওয়ানী ভাবধারা দ্বারা উব্ধুদ্ধ এরদোয়ান যখন ক্ষমতায় আসে তখন সে মুখে দাড়ি রাখতে পারে না, সুদের বিরুদ্ধে বললে বলতে হয়: “জনগণ যদি চায়, তবে আমি সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবো”। তবুও ধর্মের দোহাই দিয়ে বলতে পারে না। কারণ জনগণের মধ্যে সেক্যুলারিজম এত অধিক মাত্রায় বিদ্যমান যে, সরাসরি ধর্মের কথা বললে জনগণই রিয়্যাক্ট করে বসবে।
তবুও আশার কথা, এরদোয়ানরা প্রায় ১০০ বছরের কালো যুগ শেষ করতে পেরেছে। কিন্তু এর পেছনে কম কষ্ট তাদের করতে হয়নি। কম কাঠ-খড় তাদের পোড়াতে হয়নি। অনেক জীবন শেষ করতে হয়েছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে মার খেয়ে শেখা, প্রজন্ম ধরে শিক্ষা অর্জন, অতঃপর কৌশল করে চেষ্টা। আজকে এরদোয়ান রাশিয়ার প্লেন ফেলে দেয়, আবার আমেরিকাকেও হুমকি দেয়। দেখতে ভালোই লাগে। সিআইএ সেনাবাহিনীকে দিয়ে ক্যু করালে জনগণকে দিয়ে সেই ক্যু প্রতিরোধ করে এরদোয়ান। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর বিপরীতে নিজস্ব শক্ত অবস্থান, অপরদিকে নিজের দেশে জনগণের আশা-আকাঙ্খা পুরণ, অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়া। অর্থাৎ একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে নিজের পৃথক অবস্থান তৈরী করা, যে সরাসরি আমেরিকাও মুখাপেক্ষী না আবার রাশিয়ারও মুখাপেক্ষী না।
লেখা শুরু করেছিলাম, বাংলাদেশে গুম-হত্যা নিয়ে। আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগে ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা’ দেয়াল ছবি প্রকাশ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম: খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ-বাংলাদেশের সিআইএ নেটওয়ার্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে, কেউ গুম হবে, কেউ নিহত হবে। নির্বাচন যত কাছে আসবে, বিষয়টি তত প্রকট হবে। তখন হয়ত কেউ বিষয়টি বুঝেছিলেন, আবার কেউ বুঝেননি। (https://bit.ly/2yHSlRshttps://bit.ly/2tvmTBb)
বাংলাদেশে এখন যেটা চলছে, সেটাকে তুরষ্কের মাঝখানে সেই কুখ্যাত ৮০-৯০ বছরের সাথে তুলনা করা যায়, যখন দেশটির নেতারা চলতো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদী নেটওয়ার্কের প্রভাবে। এরদোয়ান ও তার সহযোগীরাও একটা সময় বাংলাদেশের জনগণের মার খেতো। কিন্তু বহুদিন চেষ্টা করে তারা ইহুদীবাদীদের রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে নলেজ অর্জন করে, অতঃপর সেই অনুসারে তৈরী করে নিজস্ব পলিসি। এরপর সেই পলিসি নিয়ে কৌশলে ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টায়। তৈরী করে নিজস্বতা। পুরো জিনিসটি করার জন্য তাদের ছিলো ইহুদীবাদবিরোধী স্বতন্ত্র পলিসি। এবং বলাবাহুল্য তাদের সেই স্বতন্ত্র পলিসি তৈরী হয়েছিলো রাষ্ট্রীয় রাজনীতির উপর আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদী নেটওয়ার্কের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অবস্থান ধরতে পারার কারণে। আর এজন্য যে জ্ঞানটির প্রয়োজন তা বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের নেটওয়ার্কের বাইরে। আমি গত কয়েকদিন ধরে এ ধরনের একটি স্ট্যাডি রেডি করছি, তা আপনাদের সামনে ক্লাস হিসেবে উপস্থাপন করবো বলে। আশাকরা যায়, সেই জ্ঞানটি সঠিকভাবে অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশের জনগণও একদিন তুরষ্কের মত মুক্তি পাবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment