মোটামুটি বিশ্বজুড়ে রাজনীতিতে এটাই এখন স্বীকৃত। যে মুখের কথা ও বাস্তব কাজের যত বেশি দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবে, সে জনগণকে তত বেশি ধোকায় ফেলতে পারবে এবং সে তত বড় রাজনীতিবিদ।
সম্প্রতি দেখবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছে, তার নাকি টাকা নাই। সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তার ছেলেকে লেখাপড়া করাতে পারে নাই, কারো কাছে লোন চাইতে পারে নাই। হাবিজাবি।
সম্প্রতি দেখবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছে, তার নাকি টাকা নাই। সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তার ছেলেকে লেখাপড়া করাতে পারে নাই, কারো কাছে লোন চাইতে পারে নাই। হাবিজাবি।
শেখ হাসিনা যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন বুঝতে হবে তিনি আন্তর্জাতিক বড় বড় রাজনীতিবিদদের ফলো করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তিনি উল্টো কথা বলা শুরু করেছেন। ব্রিটেণে বিলিয়ন ডলার দিয়ে দ্বীপ ক্রয় করে এখন বাংলাদেশের মানুষকে শোনাচ্ছেন নূন আনতে তার পান্তা ফুরোয়।
আমি আগেই বলেছি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই উল্টা অবস্থানটা খুব কমন একটি বিষয়। এবং যে যত বেশি এ ধরনের অবস্থা প্রকাশ করতে পারছে, সে তত রাজনীতিবিদ হতে পারছে।
আমি আগেই বলেছি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই উল্টা অবস্থানটা খুব কমন একটি বিষয়। এবং যে যত বেশি এ ধরনের অবস্থা প্রকাশ করতে পারছে, সে তত রাজনীতিবিদ হতে পারছে।
যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,
মুখে বলছে সন্ত্রাস দমন, কিন্তু নিজেরাই সন্ত্রাস করছে
মুখে বলছে ‘আপনার দেশে জনগণের ক্ষমতা দেখতে চাই’, কিন্তু চাইছে নিজ সমর্থিত সরকার,
মুখে বলছে শান্তিপ্রতিষ্ঠা, কিন্তু নিজেরাই অশান্তি সৃষ্টি করছে,
মুখে বলছে নারীকে অধিকার দিতে হবে, কিন্তু বাস্তবে নারীর অধিকার আরো হরণ করছে,
মুখে বলছে বাক স্বাধীনতা, কিন্তু বাস্তবে অপরের সকল স্বাধীনতা হরণ করছে,
মুখে বলছে সন্ত্রাস দমন, কিন্তু নিজেরাই সন্ত্রাস করছে
মুখে বলছে ‘আপনার দেশে জনগণের ক্ষমতা দেখতে চাই’, কিন্তু চাইছে নিজ সমর্থিত সরকার,
মুখে বলছে শান্তিপ্রতিষ্ঠা, কিন্তু নিজেরাই অশান্তি সৃষ্টি করছে,
মুখে বলছে নারীকে অধিকার দিতে হবে, কিন্তু বাস্তবে নারীর অধিকার আরো হরণ করছে,
মুখে বলছে বাক স্বাধীনতা, কিন্তু বাস্তবে অপরের সকল স্বাধীনতা হরণ করছে,
এ ধরনের চরম পর্যায়ের বিপরীতমুখী নীতির কারণে্ই আমেরিকা এখন সুপার পাওয়ার। কারণ তারা মানুষকে সবচেয়ে বেশি ধোকা দিতে পারে|
বাংলাদেশে যতগুলো পশ্চিমা এনজিও আছে, তার সবগুলো প্রায় নিয়ন্ত্রিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অংশের USGLC থেকে। ইউএসজিএলসি অর্থ U.S. Global Leadership Coalition।
লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের যতগুলো পশ্চিমা এনজিও কাজ করছে, তারা সবাই মুখে বলছে- তারা বাংলাদেশের জনগণের উপকার করতে আসছে।
অথচ ঐ এনজিওগুলো যে ইউএসজিএলসি চালাচ্ছে, তারা কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখবেন তারা বলছে, মার্কিন ক্ষমতা শক্তিশালী করতে বিশেষ পলিসি বাস্তবায়ন করা তাদের মূল উদ্দেশ্য। (http://www.usglc.org/about-us/)
লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের যতগুলো পশ্চিমা এনজিও কাজ করছে, তারা সবাই মুখে বলছে- তারা বাংলাদেশের জনগণের উপকার করতে আসছে।
অথচ ঐ এনজিওগুলো যে ইউএসজিএলসি চালাচ্ছে, তারা কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখবেন তারা বলছে, মার্কিন ক্ষমতা শক্তিশালী করতে বিশেষ পলিসি বাস্তবায়ন করা তাদের মূল উদ্দেশ্য। (http://www.usglc.org/about-us/)
আবার মানুষ হলো দুই ধরনের-
এক প্রকার হলো idealist বা আদর্শবাদী। এ ধরনের মানুষ সব কিছু আদর্শের চোখ দিয়ে দেখে। “মার্কিন এনজিও এসেছে তারা তো ভালো কাজ করতেই এসেছে”- idealist দের চিন্তা ভাবনাগুলো এধরনের। অধিকাংশ মানুষ এভাবেই চিন্তা করে। এ কারণেই অধিকাংশ মানুষকে ধোকা দেয়া সম্ভব।
আরেক শ্রেণী হলো realist বা বাস্তবমুখী। এরা বাস্তব ও পক্ষবিপক্ষ চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের মানুষের সংখ্যা কম এবং তাদের দেখলে idealist রা বলে, “আপনারা সব কিছুর মধ্যে খারাপ খুজেন”।
সত্যি বলতে, এখন আমাদের একঝাক realist বা বাস্তবমুখী লোক দরকার যারা সব কিছু বাস্তবতার ভিত্তিকে চিন্তা করবে। আমার কভার ফটোটা দেখুন, একটা ইদুর ঝুলে আছে উল্টাভাবে। এই উল্টোভাবে ঝুলে থাকার একটা মিনিং আছে। উল্টোভাবে ঝুলে থাকার সুবিধাটা হলো, যারা উল্টাভাবে কথা বলছে, তাদের উল্টাটা সে সোজা করে দেখছে বা তার কাছে ধরা পড়ছে।
‘এনালিস্ট’ তৈরীর ক্লাসে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment