কিন্তু উপজাতি কোটা এবং নারী কোটাগুলো আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের পলিসিগত কোটা। তাদের কথা রাখতেই তা কোটা সিস্টেমে ঢুকানো হয়েছে।
এখন শেখ হাসিনা যদি বলে, সব কোটা তুলে দেয়া হবে কিন্তু ছাত্ররা যদি উল্টো ১০% কোটার জন্য আন্দোলন করে তখন একটা কথা আসতে পারে, ছাত্ররা তাহলে কেন আন্দোলন করছে ? কোটার উপরে মেধার আশ্রয় দেয়ার জন্য, নাকি বিদেশী গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ?
এতদিন আওয়ামীলীগের কোন কোন গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিলো, “বিদেশী শক্তির ইন্ধনে কোটা বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে”। যদি এখন নারী ও উপজাতি কোটার পক্ষে বলা হয়, তখন কিন্তু সেটাই প্রমাণ করার জন্য দলিল পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। তখন কোটা বিরোধী আন্দোলনটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং এত কষ্টের ফসল বৃথা যাবে।
অনেকে অবশ্য পুরো কোটা সিস্টেম বাতিল করলে তা সংবিধানের ২৮(৪), ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে তা রিট করে আটকে দেয়ার কথা চিন্তা করছেন। এখানে তিনটি বিষয় আসতে পারে,
প্রথমত, বর্তমানে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো মোটেও পিছিয়ে পড়া জাতি নয়। পার্বত্য এলাকা বিদেশী এনজিওদের কার্যক্রমের ফলে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো বাঙালীদের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। তাছাড়া কিছু উপজাতির স্বভাব হলো গাছের আগায় মাচা বেধে থাকবে, এটা তাদের জংলী স্বভাব। তাদের ইটকাঠের দালান বানিয়ে দিলেও সেখানে তারা থাকবে না। এখানে একটি বিষয় সংযুক্ত করা যায়, বর্তমানে সরকারীভাবে উপজাতি ভাষাগুলোতে পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হচ্ছে। এটাও কিন্তু উপজাতিদের পিছিয়ে দেয়ার একটা কারণ। কারণ উপজাতি ভাষাগুলোর স্থান শুধু উপজাতি এলাকায় গুটি কয়েক স্থানে। তারা দেশের ভাষা না শিখে পুরো দেশের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। এটা তাদের পিছিয়ে দেয়া। সরকারই তাদের নিজস্ব ভাষায় বই রচনা করে পিছিয়ে দিচ্ছে, আবার সরকারই তাদের কোটা দিয়ে চাকুরী দিচ্ছে, দুটো বিষয় কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত।
দ্বিতীয়ত, নারীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে রয়েছে এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। বরং ফিল্ড লেভেলে দেখা যায়, নারীরা বরং পুরুষের থেকে পড়া লেখায় এগিয়ে আছে। কিছুদিন আগে বিবিসি’র একটা লাইভে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নারী কোটা নিয়ে বলেছিলো - “আমি নারী কোটার বিরোধী। আমি এত কষ্ট করে মেধার জোরে এত দূর এসেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি। এখন চাকুরী পেতে বাকিটুকু করতে পারবো। আলাদা করে নারী কোটার দরকার নেই।” বিষয়টি একটু চিন্তা করুন- যে মেয়ে রিটেন পর্যন্ত উঠতে পারে, তার আর আলাদা করে কোটা সুবিধার দরকারটা কি ?
তৃতীয়ত, সংবিধান তো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, তা পরিবর্তন করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু কোটা পদ্ধতি তুলে দিতে চেয়েছেন তাই সংবিধানের ২৮(৪), ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হোক। প্রয়োজনে সমস্যায় থাকা জনগোষ্ঠীকে আলাদাভাবে রাষ্ট্র সাহায্য করবে, কিন্তু অযোগ্য লোককে রাষ্ট্রের জরুরী দায়িত্বেই দিতে হবে, এটা কেমন কথা ?
আমি আন্দোলনরত ছাত্রদের অনুরোধ করবো, এ ব্যাপারে ছাত্রদের দৈনিক প্রথম আলোর মত চিহ্নিত সিআইএ’র দালালদের ফাঁদে পা দেয়া মোটেও উচিত হবে না। তাদের কথা শুনে ১০% কোটার জন্য আন্দোলন করলে উল্টো আন্দোলনরত ছাত্রদের ডাকা হবে বিদেশীদের ‘দালাল’ নামে। কোটা বাতিল করা হয়েছে, খুব ভালো। কিন্তু সেটা স্থায়ী করার জন্য গেজেট প্রকাশ করা এবং প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের জন্য দাবী তোলাই এখন জরুরী।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment