Wednesday, April 11, 2018

ইসলাম ধর্ম কোটা সম্পর্কে কি বলে ?

কোটা নিয়ে তো অনেকে অনেক কথা বলছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ মুসলিম। স্বাভাবিক সবাই জানতে চায়, ইসলাম ধর্ম কোটা সম্পর্কে কি বলে ?
এই উত্তর ঘাটতে গিয়ে অনলাইনে অনেকক্ষণ সার্চ দিলাম, কিছু মুসলিম বন্ধুর সাথে চ্যাট করলাম। শেষে কিছু সিদ্ধান্ত পৌছলাম:-
ইসলাম সব সময় যোগ্য লোককে কাজ দেয়ার পক্ষে। এ সম্পর্কে ব্যাখা হতে পারে সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়টি। ধরুন একটা লোকের অনেকগুলো সন্তান। এর মধ্যে একটা সন্তান বৃদ্ধ বয়স বা অসুস্থ সময়ে বাবা-মা’র সেবা করলো। এখন এ সেবার জন্য ঐ সন্তানটি কি অধিক সম্পত্তির ভাগ পাবে ? না কখনই পাবে না। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী-ই সম্পত্তি বণ্টন হবে, বাবা-মাকে সেবার করার জন্য আলাদা কিছু পাবে না। তবে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা হচ্ছে, “যে সন্তান বাবা-মাকে কঠিন সময়ে সেবা করলো, এর জন্য সে পরজীবনে সে অধিক মর্যাদাভূক্ত হবে।” এ যুক্তি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের কঠিন সময়ে অনেক কিছু করছে, এটা ঠিক। এ কারণে অবশ্যই তারা সম্মানিত। এবং ধর্মীয় মত অনুসারে তারা পরজীবনে সম্মান পাবে। কিন্তু এ কারণে অধিক যোগ্য লোককে বসিয়ে তাকে কাজ দেয়া হবে এটা ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না।
এ সময় স্বাভাবিকভাবে একটি প্রশ্ন আসে, “তবে অনেক গরীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবার আছে, তাদের কি হবে ?” এছাড়া প্রশ্ন আসে প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে। এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
এ সম্পর্কে যেটা জানতে পারলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা বা খিলাফত হলে, যে কোন দরিদ্র ব্যক্তিকেই সরকারীভাবে ভাতা দেয়া হতো। খলিফার পক্ষ থেকে কাজের সুযোগ করে দেয়া হবে, সেটা মুক্তিযোদ্ধা হোক বা না হোক।
পাশাপাশি প্রতিবন্ধি কোটাও ইসলাম সমর্থন করছে না। কারণ প্রতিবন্ধী তো সেই ব্যক্তি যে নিজেই ঠিক মত চলতে পারে না, সে একটা দেশকে চালাবে কিভাবে ? দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেয়া মানে তো দেশের ক্ষতি করা। এক্ষেত্রেও ইসলামী খিলাফত থাকলে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ভাতা থাকবে, সুযোগ-সুবিধা থাকবে। সেখান থেকে তাদের আলাদা সুযোগ করে দেয়া হবে। তাদের আলাদা কষ্ট করে চাকুরী করতে হবে না।
এতটুকু স্ট্যাডি করে যেটা বুঝলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় বায়তুল মাল নামক একটি ফান্ড থেকে গরীর বা অসহায় নাগরিককে সাহায্য করা হয়। এখন তো ইসলামী শাসন জারি নেই। বর্তমানে শাসনে কিন্তু দেশে রিজার্ভ ফান্ড নামক একটি ফান্ড আছে। সেই ফান্ডে গত বাজেটের সময় ছিলো প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। দেশে যারা গরীব দুস্থ অসহায়, প্রতিবন্ধী, দুর্যোগ আক্রান্ত আছে তাদের অবশ্যই সেখান থেকে ফান্ড দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা যায়। তাদের সাবলম্বী করা যায়।
আমরা দেখি, অনেক বাবা-মা টাকা জামায়। তাদের টাকা জমানোর উদ্দেশ্য কিন্তু টাকা গাট্টি বেধে রেখে দেয়া না, সন্তান যখন বিপদে পড়লো, তখন তাকে সাহায্য করা। ঠিক তেমনি রিজার্ভে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা আছে, সেটা জমিয়ে রাখাই উদ্দেশ্য নয়। বরং সে টাকা খরচ করে দেশের গরীব-প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সাবলম্বী করে দেয়া উচিত। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না, উপরন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই রিজার্ভ ফান্ড থেকে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা দেশী চোরদের যোগসাজসে বিদেশের জুয়ার কোটে চলে গেছে।
তবে দারিদ্র দূরীকরণের নামে নামকাওয়াস্তে কিছু কার্যক্রম আছে সরকারের। কিন্তু সেগুলো টাকা সরকারী লোকেরাই লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে, পাবলিকের হাতে পৌছে না। যদিও কিছু আসে, তবে সেটা সাবলম্বী হওয়ার মত যথেষ্ট নয়।
আসলে আমি কোন সমস্যায় পড়লে কোন মতবাদে কি সমাধান সেটা খোঁজার চেষ্টা করি। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হলো চলমান বিভিন্ন সমস্যাগুলোর ইসলাম ধর্মীয় মত অনুসারে সমাধান খুজলে অনেক দ্রুত ও সহজে সমাধান পাওয়া সম্ভব। অন্য মতবাদ বা চিন্তাধারা থেকেও সমাধান নেয়া যায়। কিন্তু সেগুলো অনেক ত্রুটিযুক্ত, যার কারণে দেখা যায়, তাদের সমাধানগুলোতে সব পক্ষ সন্তুষ্ট হয় না, কিন্তু ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সমাধান করলে সব পক্ষকেই খুশি রাখা সম্ভব।
[তথ্যসূত্র ও যুক্তির জন্য কৃতজ্ঞতা : কয়েকজন ফেসবুক ফ্রেন্ড]

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment