Sunday, April 8, 2018

চলমান বিভিন্ন আন্দোলন এবং আমার ভাবনা

বতর্মান সময়ে চলমান একটি আন্দোলনের নাম হচ্ছে কোটা বিরোধী আন্দোলন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ১% কোটারও পক্ষে নই, কোটা বাদ দিলে পুরোটা বাদ দিতে হবে। ১% কোটাও রাখা যাবে না। কোটা মানে অত্যাচার, কোটা মানে নিপীড়ন, কোটা মানে মেধাবীর গলায় ফাঁস।
আমার এ পোস্টটি অবশ্য কোটা নিয়ে নয়, এ ধরনের আন্দোলনগুলো নিয়ে। বর্তমান সময়ে দুই ধরনের আন্দোলনের দিকে চোখ দেয়া যাক-
১) ব্যক্তি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্দোলন : যেমন- কোটা বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষকদের চাকুরীর আন্দোলন, ছাত্রদের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি। এ আন্দোলনকারীরা পার্থিব কিছু পাওয়ার জন্য আন্দোলন করতেছে।
২) জাতিগত বা ধর্মীয় আন্দোলন : অপার্থিব কিছুর জন্য আন্দোলন, যেমন ধর্মীয় ইস্যুতে আন্দোলন। যেখানে সরাসরি কোন স্বার্থ দেখা যায় না। যেমন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার আন্দোলন, বোরকা বা পর্দার পক্ষে আন্দোলন, ধর্ম নিয়ে কটূক্তি বিরোধী আন্দোলন। যারা এ আন্দোলন করতেছে, তারা পার্থিব জগতে কতটুকু লাভবান হলো, সেটা হিসেব নিকেষ করার যাচ্ছে না।
সাধারণত যারা প্রথম শ্রেণীর আন্দোলন করে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর আন্দোলনে কখন আসে না। কারণ প্রথম শ্রেণীরা ব্যক্তিস্বার্থ তথা ক্যারিয়ারকে বেশি গুরুত্ব দেয়, ধর্মীয় বা জাতিগত বিষয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।
এখানে একটি ক্যালকুলেশনের দরকার আছে। আমরা সব সময় বলি- ইহুদীবাদীরা মুসলমানদের ক্ষতি চায়, ষড়যন্ত্র করে, হত্যা করে । কিন্তু কেন ? ইহুদীবাদীদের কি ঠেকা পড়েছে তারা ইসলাম ও মুসলমানদের পিছনে লাগবে ? মুসলমানদের হত্যা করবে, ইসলাম ধর্ম নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করবে ? কেন ? তাদের কি স্বার্থ আছে ?
আসলে বিশ্বজুড়ে ইহুদীবাদীরা একটা সিস্টেম বা মতবাদ বা সিন্ডিকেট দাড় করিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বকে কন্ট্রোল করে । তারা জানে তাদের এই সিস্টেমের একমাত্র ও শুধুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ছাড়া আর কোন মতবাদ অবশিষ্ট নাই, যেটা তাদের বিরোধীতা করতে পারে। ইসলামের সকল সিস্টেমগুলো তাদের সিস্টেমের সাথে রিভার্স। যদি ইসলামীক পলিসিগুলো আনা যায়, তবে তাদের পুরো সিস্টেম ক্র্যাশ করবে, ক্ষমতার পতন হবে। এজন্য তারা সব সময় ইসলামের বিরুদ্ধে বলে, ইসলাম ধর্মীয় অনুশাসনগুলো ভেঙ্গে দিতে চায় এবং ইসলামের ধারক মুসলমানদের উপর নির্যাতন করে।
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে, “আচ্ছা দাদা আপনি কি মুসলমান , নয়ত আপনি ইসলামের পক্ষে এত কথা বলেন কেন ?”
আমার উত্তর হলো- আমি ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে, ইহুদীবাদের সকল সিস্টেমের বিরুদ্ধে, তাদের সম্রাজ্যবাদ পতনের পক্ষে। এবং আমি এও জানি, ইসলাম ছাড়া কোন সিস্টেম বা মতবাদ অবশিষ্ট নাই, যেটা দিয়ে ইহুদীবাদদের পতন ঘটানো সম্ভব। যেমন: খ্রিস্টধর্ম অনেক আগেই তারা শেষ করে দিয়েছে। খ্রিস্ট মতবাদ দিয়ে ইহুদীবাদের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। এজন্য ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে বলতে গেলে, আমাকে ইসলামের পক্ষেই বলতে হবে।
আগের আলোচনায় ফিরে আসি, বর্তমান প্রজন্ম যেটা করতেছে, তারা মূল কেন্দ্রীয় সমাধানে না গিয়ৈ ডালপালায় হাতরাচ্ছে। যেমন ধরুন- সবাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে। এটা নিয়ে অনেক আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু অনেক দিন আগে যখন বাংলাদেশের হাইকোর্টে রুল দিলো, পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না, তখন কিন্তু এ গোষ্ঠীট মাঠে নামতেছে না। বলতেছে- পর্দা নিয়ে আন্দোলন তো শুধু হুজুরদের আন্দোলন। আমরা সাধারণ মানুষ কেন সেখানে যোগ দিবো ?
কিন্তু ইসলাম পর্দার অনুশাসন শিখিয়েছে সেটা যদি মেনে চলা হতো, তবে কিন্তু সমাজে এতটা অনৈতিকতা বিস্তার হতো না। সঠিক পর্দা মানলে পুরুষও নারীকে শ্রদ্ধা করতো এবং টিভি-চ্যানেল-ডিশ এন্টেনা-ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফীর বিস্তার হতো না। কিন্তু মূল ‘পর্দা’ সিস্টেম যখন ভেঙ্গে দিয়েছে, তখন সব অনৈতিকতায় সয়লাভ হয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতি আজকে ধর্ষণে সব একাকার। সাধারণ মানুষ যদি তখন পর্দা প্রথা নিয়ে আন্দোলন করতো, তবে অবশ্যই আজকে তাকে ধর্ষণ নিয়ে আন্দোলন করতে হতো না।
আবার ধরুণ, আজকে সবাই কোটা নিয়ে আন্দোলন করতেছে। এটা ইহুদীবাদীদের দেয়া পলিসি। এ পলিসির কারণে বাংলাদেশের মেধাবীরা তাদের কাছে ড্রেইন হয়ে যায়। আর বাকিগুলো দেশে পচে মরে। আর ক্ষমতাসীনরাও ইহুদীবাদীদের কোটা পলিসির গ্রহণ করে, কারণ মেধাহীন ও সুযোগসন্ধানী লোককে চাকুরী দিলে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সহজ হয়।
কোটা মানে বৈষম্য। ইসলাম কিন্তু সাম্যের ধর্ম, সবার জন্য সবকিছু সমান। ইসলামের ইতিহাসে আছে, খলিফা ওমরের ছেলেকেও খলিফা ওমর বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন। ইসলামের নিয়মগুলো, অনুশাসনগুলো যখন সমাজে প্রচলিত হতো, তবে কিন্তু সাম্যের কথা আসতো। কিন্তু ইসলামের কথা সমাজে প্রচলিত নাই। দেখা যায়- ইসলাম নিয়ে যখন কটূক্তি হয়, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যখন বাতিল করতে চায়, তখন কিন্তু কোটা আর ভ্যাট বিরোধীরা মাঠে নামে না। তারা ভাবে- “এটা তো হুজুদের কাজ।”
আসলে এটা ভুল। ঐ সময় সব মানুষ যদি এক সাথে মাঠে নামতো, তখন কিন্তু দেশে ইসলামী চেতনাটা আরো শক্তিশালী হতো, ইসলাম মানে সাম্যের চেতনা। কোটা বিরোধীরা যতই নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দাবি করুক, লাভ হবে না। কারণ বর্তমানে প্রচলিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে তো সাম্য নাই। আর যে চেতনার মাঝে সাম্য নাই, সে চেতনার মাধ্যম দিয়ে সাম্য খোঁজাও বোকামি। কিন্তু আজকে যদি দেশে ইসলামী চেতনা সমুন্নত হতো, সে ইসলামী চেতনার দাবি তুলেই কোটা প্রথা বিলুপ্ত করা সম্ভব ছিলো।
এজন্য আপনি যাই বলেন, যে কোন ন্যায্য আন্দোলনের একমাত্র সমাধান ‘ইসলাম’। মানুষ হয়ত ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে আন্দোলন করতে পারে, কিন্তু লাভ হবে না। কারণ ইহুদীবাদীরা এক ধরনের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সাথে নির্যাতিতরা পেরে উঠবে না। এবং সেই পেরে উঠার জন্য তাদের কাছে পৃথক কোন মতবাদ বা পলিসিও নেই, যার সাহায্যে ইহুদীবাদী মতবাদ মোকাবেলা করা যায়। এক্ষেত্রে তাদের একমাত্র এবং শুধুমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে ইসলাম।
আমার জানা মতে গোটা কয়েক ইহুদীবাদীদের দ্বারা সারা বিশ্বে খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সাধারণ ইহুদীরা পর্যন্ত নির্যাতিত হচ্ছে। কারণ ইহুদীবাদীরা চায়, ক্ষমতা শুধু তাদের কয়েকজনের হাতে থাকবে, বাকিরা মরে যাক, তাতে তাদের কিচ্ছু যায় আসে না। এ কারণে বর্তমানে সাধারণ ইহুদী, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ বা হিন্দুদের ইসলামকেন্দ্রীক আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নাই।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment