Sunday, April 8, 2018

বাংলাদেশে যে সমাজ ব্যবস্থা টিকে আছে সেটা তারা ভেঙ্গে দিতে সরকার প্র্রধানকে দিয়ে ইহুদীসংঘের পলিসি গ্রহণ করেছে

ছোটবেলায় যে স্কুলে পড়তাম, সেখানে ছেলে-মেয়ে আলাদা শিফটে ছিলো। মেয়েরা সকালে, ছেলেরা দুপুরে। যে স্কুলগুলোতে ছেলে-মেয়ে একসাথে (কম্বাইন্ড) পড়তো, সেগুলোকে সবাই ভালো বলতো না। বলতো- ছেলে-মেয়েরা নাকি কম্বাইন্ড পড়লে নষ্ট হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে কম্বাইন্ড স্কুলে পড়া কিছু বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা হতো, দেখতাম খুব পাকা। মেয়েদের সম্পর্কে ছোট বেলায় এমন কথা বলতো, আমরা লজ্জা পেতাম। এক বন্ধু ছিলো, ঢাকার ‘ডব্লিউ’ আদ্যক্ষরের নামের এক স্কুলের ছাত্র। কম্বাইন্ড পড়তো। বলতো ওদের স্কুলের উপরের তলায় নাকি বড় বড় রুম আছে। সেই তলায় ক্লাস হয় না, স্যাররাও যায় না। সেখানে ছেলেরা মেয়েরা পছন্দমত যা খুশি তাই করে। আমি বলতাম-“অন্যরা দেখে ফেলে না ?” সে বলতো- “সমস্যা কি, সবাই করতেছে। যে যার মত করতেছে, কেউ কারো দিকে তাকায় না, যে যার মত ব্যস্ত।” আমার কাছে ওর কথাগুলো স্বপ্নের মত শোনাতো, কিন্তু সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ পেতাম না।
কলেজ লাইফটা কম্বাইন্ড ছিলো। কিন্তু শিক্ষকরা ছিলো খুব কড়া। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক উল্টা পাল্টা করতো, কিন্তু সব কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে, ভেতরে করার সাহস কারো ছিলো না।
ভার্সিটি লাইফটা ছিলো অনেক স্বাধীন। ছেলে-মেয়ে এক সাথে। কিন্তু তারপরও একটা অনুশাসন কাজ করতো। অনেক ছেলে-মেয়ে প্রেম করতো, কিন্তু ডিপার্টমেন্টের ভেতর কাউকে কিছু করতে দেখিনি। দারোয়ান আমাদের ডিপার্টমেন্টের গেট খুলতো সকাল বেলা। তারও এক-দুই ঘণ্টা পর ক্লাস শুরু। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্র ক্লাস শুরুর ১৫ মিনিট আগে আসতো। কিন্তু যেগুলো ‘ইয়ে’ করতো, তারা ডিপার্টমেন্ট খোলার সাথে সাথে, মানে সকাল সকাল আসতো। কারণ পুরো ডিপার্টমেন্ট তখন ফাঁকা, কেউ নাই। শুনেছিলাম, একদিন সকাল বেলায় এ রকম এক জোড়া নাকি ‘বিশেষ অবস্থায়’ কট খাইছিলো, কেউ ছিলো না, সেই সুযোগটা তারা নিছিলো।
যাই হোক, এবার কাজের কথায় আসি। গত কয়েকদিন আগে একটা খবরে দেখলাম- সরকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার নাম- “কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্প”। সরকার সারা দেশে ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রায় ৫ হাজার ক্লাব স্থাপন করে দেবে। দাবি করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নাকি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে। কিশোর-কিশোরীরা নাকি সেখানে পরষ্পরের বয়ঃসন্ধির পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। সরকারীভাবে সেসব ক্লাবে কিশোর-কিশোরীদের জন্য নাস্তাও সরবরাহ করা হবে। পুরো প্রকল্পের খরচ প্রায় সাড়ে পাচঁশ’ কোটি টাকার মত। (https://bit.ly/2JrvvPyhttps://bit.ly/2GF8evL)
সম্ভবত, শেখ হাসিনা ইহুদীসংঘের ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নামক ১৭টি বিষয়ে সই করে এসেছে। এর মধ্যে ৫ম চূক্তিটি ছিলো সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে, যার একটি কার্যক্রম হচ্ছে এই কিশোর-কিশোরী ক্লাব। (https://bit.ly/2Ju5ora)
একটু খেয়াল করে দেখুন সিস্টেমটা-
১) প্রথমে ছাত্র-ছাত্রী আলাদা ক্লাস, যেখানে তারা পরষ্পরের সাথে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে না।
২) এরপর পরষ্পরের সাথে মেশার সুযোগ করে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী এক করে কম্বাইন্ড ক্লাস শুরু। সেখানে ছাত্র-ছাত্র অনেক কিছু করছে, কিন্তু শিক্ষকদের চোখের আড়ালে, সামনে করতে পারছে না।
৩) এবার যেটা করা হলো, স্কুল থেকে বাইরে, শিক্ষক গার্জিয়ান সবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলাদা ক্লাব খুলে দেয়া হলো, যেখানে তারা নিজেরাই রাজা। এমনকি তাদের সুবিধার জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। আমি হলফ করে বলতে পারি, প্রথম প্রথম ঐসব ক্লাবে ফ্রি নাস্তা বিলি হবে, কিন্তু কয়েকদিন পর সেই ক্লাবে ফ্রি কনডম বিলি করা হবে। কারণ তখন সেটাই জরুরী হয়ে দাড়াবে।
সত্যিই বলতে, ইহুদীরা চায় সকল সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাক, তাহলে তাদের রাজত্ব দীর্ঘায়িত হবে। আপনি দেখুন, পশ্চিমে কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা নেই, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা তাদের কাছে হিংসার কারণ।
বাংলাদেশে যে সমাজ ব্যবস্থা টিকে আছে সেটা তারা ভেঙ্গে দিতে সরকার প্র্রধানকে দিয়ে ইহুদীসংঘের মাধ্যম দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার নামক চুক্তি সই করেছে। ইহুদীসংঘের দেখিয়ে দেয়া পথে হেটে বাংলাদেশ সরকার তাদের পলিসিগুলো বাস্তবায়ন করছে, এতে হয়ত তাদের বিদেশী ঋণ ও নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সুবিধা হবে, কিন্তু দেশের মানুষের পারিবারিক বন্ধন ভেঙ্গে গেলে তাদের কি ? মুখে বলছে লিঙ্গ বৈষম্য দূর, কিন্তু বাস্তবতা মূল্যবোধ সমৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া ছাড়া কিছু নয়।
একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের প্রত্যেকের মা-বাবা স্কুল লাইফে ছাত্র-ছাত্রী আলাদা ক্লাস করেছে। এই বাবা-মায়েদের সংসারই কিন্তু এখন আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু স্কুল লাইফে যারা কম্বাইন্ড পড়েছে তাদের দিয়ে যখন সংসার হবে (বা হচ্ছে), সেই নতুন সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে ? পরকীয়া, খুন, ডিভোর্স, গর্ভপাত, বৃদ্ধাশ্রমযুক্ত সে সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে এখনই কিন্তু আমরা চিন্তিত।
কিন্তু যেসব ছেলে মেয়েদের জন্য স্কুল লাইফে ক্লাব খুলে দেয়া হচ্ছে, তারা যখন বড় হবে, তখন তাদের দিয়ে যে সমাজ ব্যবস্থা হবে সেটা কেমন হবে, একবার ভেবে দেখেছেন ? আদৌ কি তখন সমাজে বাবা-মা-ভাই-বোন-দাদা-দাদী –নানীর সম্পর্ক থাকবে ? নাকি সবাই হবে বাধন হারা, মা সন্তান জন্ম দিবে, কিন্তু বাবা কোন বয় ফ্রেন্ড তার জন্য ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে। সন্তান বাবা-মায়ের কাছে লালিত-পালিত হবে না, সরকারের কাছে লালিত পালিত হবে। বাবার নামই যখন অরাধ্য তখন দাদার নাম হবে স্বপ্নের বিষয়। পশুর জীবন আর মানুষের জীবনের মধ্যে তখন তফাৎ থাকবে না।
সত্যি করে বলুন তো, আপনি কি সেরকম সমাজ ব্যবস্থা চান ? যদি নাই চান, তবে এই যে কৌশল করে ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব খুলে’ ‘বৈষম্য দূর করা’র নাম দিয়ে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কি একবারও প্রতিবাদ করেছেন ? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment