আমার কাছে এখন পর্যন্ত ৪টি জেলায় কৃমিনাশক ওষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে।
১) চুয়াডাঙ্গা (https://bit.ly/2GDksRD)
২) মেহেরপুর (https://bit.ly/2Hag3Xa)
৩) যশোর (http://archive.is/fAmbf)
৪) গাইবান্ধা (http://archive.is/FdGAB)
কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে বাচ্চারা কেন অসুস্থ হইলো ? এর উত্তরে বাংলাদেশের হাসপাতালের ডাক্তাররা দুইটা কথা বলতেছে,
ক) পেট খালি থাকলে সমস্যা হতে পারে।
খ) এটা মানসিক সমস্যা
প্রথম কথা হলো, স্কুলে কি সব বাচ্চার পেট খালি থাকে ? বাচ্চারা তো সবাই বাসা থেকে কিছু না কিছু খেয়েই স্কুলে আসে । ধরে নিলাম, খালির কারণে সমস্যা হইছে, তাহলে সেটা কিছু কিছু জেলায় হবে কেন? পুরো বাংলাদেশ জুড়েই তো হওয়ার কথা। কারণ খালি পেটের বাচ্চা নিশ্চয়ই মেহেরপুর, যশোর, গাইবান্ধা আর চুয়াডাঙ্গায় থাকে না।
দ্বিতীয় কথা হলো, “এটা মানসিক সমস্যা”। এটা ডাক্তার সাহেবদের অনুমান নির্ভর কথা। তাদের দাবি, একজনেরটা দেখে অন্য জনের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু খবরে পাওয়া তথ্য মতে, কিছু বাচ্চা স্কুলে থেকে অসুস্থ হইছে, আবার কিছু বাচ্চা বাসায় যাওয়ার পর অসুস্থতা অনুভব করেছে। এক্ষেত্রে একজনেরটা দেখে অন্যজনের সমস্যা হইছে, এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না।
পুরো ঘটনা অবলোকনে আমার মাথায় কিছু চিন্তা এসেছে-
প্রথমত, কিছু জেলায় সমস্যা হলো, আর কিছু জেলায় সমস্যা হলো না কেন ? যেখানে হলো সেখানে প্রায় সবাই আক্রান্ত হলো কেন ? যদি পুরো দেশজুড়ে সমস্যা হতো, তবে ধরে নেয়া যেতো এটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু কিছু কিছু স্থানে ম্যাসপিপল আক্রান্ত হওয়ার অর্থ এটা হতে পারে- ১০০% নয় হয়ত ৫-১০% ওষুধের মাধ্যমে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত, সরকারের কথায় বিদেশী ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলে সরকারের কোন দায়ভার আছে কি না ?
তৃতীয়ত, ডাক্তারা ওষুধ নিয়ে যা বলছে সব সরকারীটাইপের দায়হীন কথাবার্তা। ভাবছে- কোন কথা বলে বিপদে পড়বো, চাকরী হারাবো, সার্টিফিকেট হারাবো, চিহ্নিত হয়ে যাবো।
চর্তুথত, বিদেশী ওষুধ খেয়ে কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলো, কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলো না। এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দরকার আছে কি না ? শুধু মুখস্ত অনুমান নির্ভর কিছু কথা বলে সাময়িকভাবে ট্রিটমেন্ট দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। কিন্তু সেটা না করে, কি কারণে এতগুলো ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলো, সেটা নিয়ে গবেষণা করা যেতো। যে স্কুলগুলোতে ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়েছে সেখান থেকে ওষুধের স্যাম্পল নিয়ে এবং অসুস্থ ও সুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গবেষনা করে মূল গোমর বের করা যেতো। এ ওষুধ খাওয়ার পর ঐ শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটাও পর্যবেক্ষণ করার দরকার আছে।
আসলে আমি জানি, এগুলো কিছুই হবে না। কারণ কোনভাবে গোমর যদি একবার বের হয়েই যায়, তবে এত কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীর মুখে বিষ তুলে দেয়ার জন্য সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তাই ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে”, “তুমি বেশি বুঝ” ইত্যাদি কথা বলে ওদের এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো।
সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের উপর যেহেতু ভরসা করা যায় না, তাই আমার-আপনার মত ম্যাংগো পিপলের উচিত হবে নিজেরাই সচেতন হওয়া, সন্তানকে এসব ফ্রি ওষুধ খেতে না দেয়া, প্রয়োজন হলে দোকান থেকে কিনে খাওয়ানো।
১) চুয়াডাঙ্গা (https://bit.ly/2GDksRD)
২) মেহেরপুর (https://bit.ly/2Hag3Xa)
৩) যশোর (http://archive.is/fAmbf)
৪) গাইবান্ধা (http://archive.is/FdGAB)
কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে বাচ্চারা কেন অসুস্থ হইলো ? এর উত্তরে বাংলাদেশের হাসপাতালের ডাক্তাররা দুইটা কথা বলতেছে,
ক) পেট খালি থাকলে সমস্যা হতে পারে।
খ) এটা মানসিক সমস্যা
প্রথম কথা হলো, স্কুলে কি সব বাচ্চার পেট খালি থাকে ? বাচ্চারা তো সবাই বাসা থেকে কিছু না কিছু খেয়েই স্কুলে আসে । ধরে নিলাম, খালির কারণে সমস্যা হইছে, তাহলে সেটা কিছু কিছু জেলায় হবে কেন? পুরো বাংলাদেশ জুড়েই তো হওয়ার কথা। কারণ খালি পেটের বাচ্চা নিশ্চয়ই মেহেরপুর, যশোর, গাইবান্ধা আর চুয়াডাঙ্গায় থাকে না।
দ্বিতীয় কথা হলো, “এটা মানসিক সমস্যা”। এটা ডাক্তার সাহেবদের অনুমান নির্ভর কথা। তাদের দাবি, একজনেরটা দেখে অন্য জনের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু খবরে পাওয়া তথ্য মতে, কিছু বাচ্চা স্কুলে থেকে অসুস্থ হইছে, আবার কিছু বাচ্চা বাসায় যাওয়ার পর অসুস্থতা অনুভব করেছে। এক্ষেত্রে একজনেরটা দেখে অন্যজনের সমস্যা হইছে, এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না।
পুরো ঘটনা অবলোকনে আমার মাথায় কিছু চিন্তা এসেছে-
প্রথমত, কিছু জেলায় সমস্যা হলো, আর কিছু জেলায় সমস্যা হলো না কেন ? যেখানে হলো সেখানে প্রায় সবাই আক্রান্ত হলো কেন ? যদি পুরো দেশজুড়ে সমস্যা হতো, তবে ধরে নেয়া যেতো এটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু কিছু কিছু স্থানে ম্যাসপিপল আক্রান্ত হওয়ার অর্থ এটা হতে পারে- ১০০% নয় হয়ত ৫-১০% ওষুধের মাধ্যমে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত, সরকারের কথায় বিদেশী ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলে সরকারের কোন দায়ভার আছে কি না ?
তৃতীয়ত, ডাক্তারা ওষুধ নিয়ে যা বলছে সব সরকারীটাইপের দায়হীন কথাবার্তা। ভাবছে- কোন কথা বলে বিপদে পড়বো, চাকরী হারাবো, সার্টিফিকেট হারাবো, চিহ্নিত হয়ে যাবো।
চর্তুথত, বিদেশী ওষুধ খেয়ে কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলো, কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হলো না। এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার দরকার আছে কি না ? শুধু মুখস্ত অনুমান নির্ভর কিছু কথা বলে সাময়িকভাবে ট্রিটমেন্ট দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। কিন্তু সেটা না করে, কি কারণে এতগুলো ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলো, সেটা নিয়ে গবেষণা করা যেতো। যে স্কুলগুলোতে ওষুধ খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়েছে সেখান থেকে ওষুধের স্যাম্পল নিয়ে এবং অসুস্থ ও সুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গবেষনা করে মূল গোমর বের করা যেতো। এ ওষুধ খাওয়ার পর ঐ শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটাও পর্যবেক্ষণ করার দরকার আছে।
আসলে আমি জানি, এগুলো কিছুই হবে না। কারণ কোনভাবে গোমর যদি একবার বের হয়েই যায়, তবে এত কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীর মুখে বিষ তুলে দেয়ার জন্য সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তাই ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে”, “তুমি বেশি বুঝ” ইত্যাদি কথা বলে ওদের এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো।
সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের উপর যেহেতু ভরসা করা যায় না, তাই আমার-আপনার মত ম্যাংগো পিপলের উচিত হবে নিজেরাই সচেতন হওয়া, সন্তানকে এসব ফ্রি ওষুধ খেতে না দেয়া, প্রয়োজন হলে দোকান থেকে কিনে খাওয়ানো।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment