Monday, April 9, 2018

আওয়ামীলীগ কোটা সিস্টেমে পরিবর্তন আনে কি না, এটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

কারণ কোটায় পরিবর্তন আনলে সেটা ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নামক ‘ফলস ভ্যালু’কে আঘাত করবে।
আর প্রকৃত সত্য হচ্ছ- আওয়ামীলীগ নিজেই টিকে আছে সেই ফলস ভ্যালুর উপর ভিত্তিকে করে।
আসলে আওয়ামী সরকার গত ৯ বছর বহু কষ্ট করে, বহু খরচ করে এই ফলস ভ্যালু বা ভুয়া মূল্যবোধটি সমাজে জারি করেছে। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামীলীগের পক্ষে তা পরিবর্তন করা সম্ভব না। কারণ ফলস ভ্যালুটি ভেঙ্গে দিলে তা আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি লাগবে।
ফলস ভ্যালু আসলে কি ?
ফলস ভ্যালু হচ্ছে বানোয়াট মূল্যবোধ। যার প্রকৃতপক্ষে কোন ভিত্তি নাই, কোন সংজ্ঞা নাই। এ বিষয়গুলো অনেকটা ধোয়াশার মধ্যে রাখা হয়। যারা এটা তৈরী করে তারাই এটা নানাভাবে এর ব্যবহার করে। এই সব ভুয়া মূল্যবোধ বা ফলস ভ্যালুগুলো দিয়ে সাধারণ মানুষকে কন্ট্রোল করা অনেক সোজা। বর্তমান ইহুদীবাদীরা বিশ্বে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে এই ভুয়া মূল্যবোধ বা ফলস মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে। আওয়ামী সরকার সম্ভবত খুব উচ্চ পর্যায়ের মনোস্তত্ত্বিক চিন্তা থেকেই ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নামক ফলস ভ্যালুর বিস্তার ঘটিয়েছে। এই সব ফলস ভ্যালু এক ধরনের ফাঁদ। এগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে খুব সহজে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে পরিস্থিতি নিজের পক্ষে নিয়ে আসা যায়, কিন্তু সাধারণ মানুষ টের পায় না। যেমন: কেউ হয়ত আওয়ামী সরকারের কোন কাজের বিরোধীতা করলো, ব্যস তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে ট্যাগ দেয়া হলো। এখন কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হয়, তবে তাকে যে কোন ধরনের শায়েস্তা করা সমাজ বৈধতা দিয়ে দেয়।
একইভাবে দেশের সর্বোচ্চ আইন বা সংবিধানের শুরুতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ দিয়ে শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধারা তৈরী করেনি। কিন্তু শুরুতে লিখে দিয়েছে এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ব্যস। কেউ হাত দিলেই সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।
আপনি পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে বলবেন, আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।
আপনি জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে বলবেন, আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।
আপনি হিন্দুদের অপকর্মেরর বিরুদ্ধে বলবেন, আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।
মুক্তিযোদ্ধারা আসলে কোন চেতনা থেকে যুদ্ধ করেছিলো সেটা এখন গবেষনার বিষয়। কিন্তু আওয়ামী সরকার যেন ঐ নামটি ব্যবহার করে এক নতুন ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব’ তৈরী করেছে। যে দানব তার পক্ষে লোকগুলো বাছাই করবে, আর বিপক্ষের লোকগুলো খেয়ে ফেলবে।
আওয়ামী সরকার টানা ক্ষমতায় আছে ৯ বছর, এবং আরো ক্ষমতায় থাকতে আগ্রহী। এজন্য তারা প্রথম যে কাজটি করেছে তা হলো প্রশাসনকে আওয়ামীকীকরণ করতে চেয়েছে। কিন্তু মেধার ভিত্তিতে আসলে সেটা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তার ছাকনি হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ তথা মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে। কারণ এ মাধ্যমে দিয়ে যাদের পাওয়া যাবে, তারা নিশ্চিত সুবিধাবাদী হবে। একটা প্রবাদ আছে- উপকার মানুষের জিহ্বা কেটে দেয়। এই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চান্স পাওয়া অবশ্যই আওয়ামীলীগের অনুগত তথা চাটুকার হবে এবং নিজেও সব সময় কথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করবে । আর সেটাই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য চায়।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নামক ফলস ভ্যালুটি আসলে আওয়ামীলীগের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত, তাই এ ইস্যুতে আওয়ামীলীগ কম্প্রোমাইজ করে কি না, সেটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment