পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে এক ইমামের ছেলের বুক চিড়ে কলিজা বের করে নিয়েছে হিন্দুরা। এ ঘটনার পর ঐ ইমাম তার পুত্র হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছে বলে খরব এসেছে।
সত্যিই বলতে এ ‘ক্ষমা’ শব্দটা আমাকে খুব ভাবিয়েছে। ক্ষমা তো সেই করতে পারে, যে প্রতিশোধ নিতে পারে। ভারতীয় মুসলমানরা কি হিন্দুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আদৌ প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা রাখে ? যদি নাই রাখে তবে সে ক্ষমা করলো কিভাবে ?
আসলে আনুগত্যতা অনেকভাবে আসতে পারে। কারো প্রতি শ্রদ্ধার কারণে তার প্রতি আনুগত্যতা আসে। আবার কারো চাবুক মারা খেতে খেতে তার প্রতি আনুগত্যতা আসে। যেমন গাধা আর ঘোড়াকে চাবুক মেরে আনুগত্য করা হয়। সেই আনুগত্যতা দেখে যদি আপনি খুশি হন হবে ভুল করবেন। এখানে আনুগত্যতার কৃতিত্ব গাধা বা ঘোড়ার নয়, বরং চাবুকের।
গত এক-দেড়শ’ বছরের ইতিহাসে হিন্দুরা শুধু মুসলমানদের উপর চাবুকই মেরেছে, কিন্তু মুসলমানরা টু-শব্দটি করেনি। মুসলমানদের এই চুপ থাকাকে মুসলমানরা হয়ত “ক্ষমাই মহৎ গুন”, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি” ইত্যাদি বলে প্রচার করেছে, কিন্তু হিন্দুরা তাদের আক্রমনাত্মক অবস্থা থেকে নিবৃত হয়নি। হিন্দুদের আঘাত আর মুসলমানদের চুপ থাকা, দীর্ঘদিন এই দুই সমন্বয়ে যেটা তৈরী হয়েছে, তা হলো মুসলমানরা গাধা আর ঘোড়ার মত হিন্দুদের আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ইমাম যে কথিত ‘ক্ষমা’ শব্দটা উচ্চারণ করেছে, সেটা সম্ভবত সেই আনুগত্যতারই লক্ষণ।
তবে দোষটা কিন্তু আমি হিন্দুদের দিবো না। হিন্দুরা হিন্দুদের স্বভাবজাত কাজ করেছে। সমস্যা হয়েছে মুসলমানদের নিয়ে। মুসলমানদের এই করুণ অবস্থার প্ল্যাটফর্ম মুসলমানরাই তৈরী করেছে। আসানসোলের ইমাম ইমদাদুল্লাহ’র দাদার নাম নাকি মৌলানা মোহাম্মদ আব্দুল রব এবং দাদার বাবার নাম নাকি মৌলানা মোহাম্মদ ঈশা। এরা দু’জনেই নাকি ভারত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছে। অর্থাৎ এরা মুসলমানদের পৃথক ভূমি চায়নি, চেয়েছে হিন্দু-মুসলিম এক সাথে থাকতে। হিন্দুদের বিশ্বাস করার সেই ঋণ এখন তাদের শোধ করতে হচ্ছে নাতি-পুতিদের কলিজা দিয়ে।
বাংলাদেশেও মুসলমানরা হিন্দুদের খুব বিশ্বাস করে। এবং কোন মুসলমান যদি হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বলে তাকে মুসলমানরাই একঘরে করে ফেলে। যেমন, কিছুক্ষণ আগে একজন ইনবক্সে জানালো, কিছুদিন আগে হাইকোর্টে কুড়িগ্রাম জেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষক জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে রিট করায়, ঐ মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা তার উপর মনোক্ষুন্ন হয়েছে। তাকে এক ঘরে করে ফেলেছে। বিষয়টি একটু চিন্তা করুন, জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে কোন মাদ্রাসা শিক্ষক তো প্রতিবাদ করেইনি, কিন্তু একজন প্রতিবাদ করায় সব মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাকে চাপ দিচ্ছে !
গতকালকে একটা পোস্টে আমি ‘ফ্রি কৃমিনাশক ওষুধ’ মধ্যে ক্ষতিকারক কিছু থাকতে পারে, এ মর্মে পোস্ট করেছিলাম। ঐ পোস্টে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কমেন্টে করেছেন, “আমি আজ আমার মাদ্রাসায় সরকারের দেওয়া এই ঔষধ বিতরণ করেছি। তবে যথেষ্ট যাচাই করেছি। বাকিটা আল্লাহ হেফাজত করুক।”
আমি তার উত্তরে কমেন্ট করলাম- “কিভাবে যাচাই করেছেন, আপনার মাদ্রাসায় ল্যাবরেটোরি আছে ? সেখানে টেস্ট করেছেন ? ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, জীবানু কিংবা হরমোন থাকলে (দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে) সেটা কিভাবে যাচাই করলেন ?”
আসলে আমি নিজেও জানি, ঐ মাদ্রাসায় এমন ল্যাবরেটরি নেই, যেখানে ওষধের ভেতর ক্ষতিকারক কিছু যাচাই করা যাবে। কিন্তু আমার জানা মতে, মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা হয়েছে ধর্মীয় গ্রন্থ শিক্ষা দেবার জন্য এবং মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের অন্তত ঐ গ্রন্থগুলোর উপর বিশ্বাস আছে। আমার কথা হলো- ঐ মাদ্রাসা শিক্ষকরা কি সে সব ধর্মগ্রন্থগুলো দিয়ে ঐ ওষধগুলো যাচাই করতে পারতো না ?
ঐ ধর্মগ্রন্থগুলোতে কি – অমুসলিমদের বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে ?
বলা হয়েছে কি, অমুসলিম এনজিওগুলো ফ্রি কিছু দিলেই তা খেয়ে নিয়ো ?
আরো কি বলা হয়েছে, অমুসলিমরা যত ষড়যন্ত্র করুক, তোমরা ‘আল্লাহ ভরসা’ বলে ঘুমিয়ে থাকো ?
তবে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য সুখবর হচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত ভারতে মত হয়ে যাচ্ছে। মানে হিন্দুরা মুসলমানদের উপর অহরহ অত্যাচার বাড়াবে, আর মুসলমানরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সেই অত্যাচার সহ্য করবে। ইতিহাস থেকে মুসলমানরা কেন শিক্ষা নেয় না, সেটাই আমার বুঝে আসে না।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment