যেমন ধরুন-
-প্রথমত, এরা কোন সমস্যাকে চিহ্নিত করে অথবা নিজেরাই অন্যদিক দিয়ে সমস্যা তৈরী করে।
-দ্বিতীয়ত, এরা সেটাকে তাদের মিডিয়ায় ব্যাপক কচলায়। কচলাতে কচলাতে এমন অবস্থা হয় যেন মানুষ সেটা থেকে পরিত্রাণের জন্য পাগল হয়ে যায়।
-তৃতীয়ত, মানুষকে উত্তেজিত করে তারা সমস্যার সমাধাণ দেয়। কিন্তু যেটা দেয় সেটা আসলে ঐ সমস্যার সমাধান নয় (অথবা পরিপূর্ণ সমাধান নয়) । ঐ সমাধানের আড়ালে থাকে তাদের নিজের কোন উদ্দেশ্য। যেটাতে তারা লাভবান হবে কিন্তু সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এখন আপনি যদি তার ধোকাবাজিতে বাধা দেন, তবে সে নিজেকে আড়াল করে ঐ সমস্যাটাকে ঢাল স্বরূপ সামনে এনে ধরবে। এবং দাবি করবে-আপনি ঐ সমস্যার সমাধান চান না, অথবা আপনি ঐ সমস্যা তৈরীকারী লোক।
যেমন ধরুন:
১) ‘নারী নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে’। এটা নিয়ে তারা প্রচুর কচলাবে। কচলাতে কচলাতে শেষে গিয়ে বলে বসবে “নারী নির্যাতনের জন্য পোষাক দায়ী না”। নারী নির্যাতন বন্ধে তার কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করাই আসল কথা। কিন্তু পোষাক দায়ী কি দায়ী না, এটা কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ করার উপায় না। কিন্তু তারা ধর্ষণকে সামনে এনে পোষাক উন্মুক্ত চায়। কিন্তু আপনি যদি তার ধোকাবাজি ধরে ফেলেন, তখন সে নিজেকে আড়াল করে ঐ সমস্যা দিয়ে আপনাকে প্রতিরোধ করবে, বলবে- তোমাদের মত পুরুষরাই ধর্ষণ করে।
২) যানজট বন্ধে ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। কিন্তু ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কখনই যানজটের সমাধান নয় বা মূল সমাধান নয়। এগুলো হচ্ছে ১৯৫৯ সালে তৈরী করা এশিয়ান হাইওয়ে প্রজেক্টের অংশ। তখন তো যানজট ছিলো না। কিন্তু যানজটের কথা বলে তারা দ্রুত তাদের কাজ সেরে নিয়েছে, অথচ এত দ্রুত এগুলো দরকার ছিলো না। দ্রুত এতগুলো অবকাঠামো করার কারণে দেশের অর্থনীতির বারোটা বেজে গেছে। এখন আপনি যদি তাদের কাজের বিরোধীতা করেন, তবে সে নিজেকে আড়াল করে উল্টো বলবে- “আপনি দেশের উন্নয়নের বিরোধীতা করছেন।”
৩) “ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়া” কিংবা “ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ” “কৃষিতে প্রযুক্তি” ইত্যাদি কথাগুলো বলে তারা জিএমও ফুড গোল্ডেন রাইস বাজারে আনতেছে। কিন্তু ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়তে কিংবা ভিটামিন এ পেতে গোল্ডেন রাইস একমাত্র সমাধান ব্যাপারটা সেরকম নয়। কিন্তু দেখাচ্ছে একটা, কিন্তু করতেছে আরেকটা, যেটাতে তার স্বার্থ হাসিল হয়, এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনি তাদের ধোকাবাজি ধরে ফেললেই তারা আপনাকে ‘প্রযুক্তিবিরোধী’, ‘ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে বাধা’ ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে আপনাকে আটকানোর চেষ্টা করবে।
৪) কোরবানী ঈদ আসলেই তারা যানজট, পরিবেশদূষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে লাফালাফি শুরু করে। এমনভাবে প্রচার করবে, যেন মনে হবে কোরবানীর হাট আর গরুর রক্তই বুঝি যানজট আর পরিবেশ দূষণের জন্য একমাত্র দায়ী। এগুলো দূর করতে পারলেই যানজট আর পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনি তাদের ধোকাবাজি ধরে ফেললেই, বলবে- আপনি একরোখা, পরিবেশবিরোধী ইত্যাদি।
এজন্য ঐ গোষ্ঠীটি কোন ভালো কথা বললেই আপনি লাফ দিয়ে পড়বেন না। তারা যে সমাধানটা দিচ্ছে সেটা নিয়ে যাচাই-বাচাই করবেন। মনে রাখবেন, এদের মুখে হলো মধু, কিন্তু কাজের মধ্যে বিষ। তাই সাবধান।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment