গত বেশ কিছু পোস্টে কর্পোরেটোক্রেসি পলিসি নিয়ে আলোচনা করেছি। কর্পোরেটোক্রেসি হচ্ছে কোন একটি দেশকে অর্থনীতি ও চূক্তি দিয়ে দখল করে নেয়া। কর্পোরেটোক্রেসির একটা লক্ষণ হচ্ছে- যে দেশে কর্পোরেটোক্রেসি শুরু হয়, সে দেশে অসম্ভব রকম ভৌত কাঠামো বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদনশীল খাতগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়।
গত কয়েকদিন এরকম দুটি খবর আমার চোখে পড়েছে, যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় বাংলাদেশ কর্পোরেটোক্রেসির মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। যেমন-
প্রথম খবর :
আখ বন্ধ করে তুলা চাষের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর (http://bit.ly/2ETNWcI)
আখ চাষ বন্ধ করে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিনি খাত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে চাইছে সরকার। যে খাতের সাথে যুক্ত আছে প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক।
আখ বন্ধ করে তুলা চাষের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর (http://bit.ly/2ETNWcI)
আখ চাষ বন্ধ করে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিনি খাত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে চাইছে সরকার। যে খাতের সাথে যুক্ত আছে প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক।
দ্বিতীয় খবর :
জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশের ২ হাজার সেতু , নির্বাচনের আগেই শুরু হচ্ছে ৮০ সেতুর নির্মাণকাজ
(http://bit.ly/2oyzkZI)
গণহারে তৈরী হচ্ছে সেতু-ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাজেটের সব টাকা ঢুকিয়ে ফেলা হচ্ছে ইট-কাঠের ভৌত কাঠামোতে।
জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশের ২ হাজার সেতু , নির্বাচনের আগেই শুরু হচ্ছে ৮০ সেতুর নির্মাণকাজ
(http://bit.ly/2oyzkZI)
গণহারে তৈরী হচ্ছে সেতু-ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাজেটের সব টাকা ঢুকিয়ে ফেলা হচ্ছে ইট-কাঠের ভৌত কাঠামোতে।
কর্পোটোক্রেসির ফলাফল :
ক) দ্রব্যমূল্য উচ্চহারে বৃদ্ধি, মানুষের এক বেলার খাবার ইনকাম করতে ঘাম ঝড়ে যাবে। আগে ঘরের পিতা ইনকাম করলে পুরো পরিবার চলতে পারতো, এখন মা-ভাই-বোন সবাইকে ইনকামের জন্য নামতে হবে। সবার ইনকাম দিয়ে টেনে টুনে পরিবারের জীবন নির্বাহ করতে হবে।
খ) ধিরে ধিরে মূল্যস্ফিতি চরম মাত্রায় পৌছাবে। আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রে এক বস্তা টাকা দিয়ে এক পিস পাউরুটি কিনতে হয়। বাংলাদেশও সেই দিকে এগিয়ে যাবে।
গ) দেশের রাস্তাঘাট-যাতায়াত ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হবে। উন্নতবিশ্বের রাস্তাঘাটের মত বাংলাদেশের রাস্তাঘাট হবে। দেশে প্রচুর পরিবাণে ফাইভ স্টার হোটেল হবে, যেখানে বিদেশীরা এসে থাকতে পারবে।
ঘ) দেশের উৎপাদনশীল খাত বন্ধ হয়ে যাবে, দেশের মানুষ খাবারের জন্য বিদেশীদের উপর নির্ভর করবে। দেশে উৎপাদিত হয় এমন বস্তুও বিদেশীদের থেকে কিনে খেতে হবে।
ঙ) দেশের সম্পদ বিদেশীদের জিম্মায় দেয়া হবে। তারা দেশের সম্পদ নিয়ে যাবে, এজন্য উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা দরকার, সেটা আগে দ্রুত তৈরী করা হবে। কিন্তু সেটা দ্রুত করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে, মানুষের খাদ্যমূল্য বেড়ে যাবে। তবুও বিদেশীদের সুবিধার্থে তা করা হবে।
চ) দেশে বহুজাতিক কোম্পানির কলকারাখানা স্থাপিত হবে। দেশের মানুষ কৃষি কাজ ফেলে দিয়ে বহুজাতিক কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে ঢুকবে।
ছ) শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে পুরো জাতিকে মেধাবী শূণ্য করা হবে। সবাই শ্রমিক হবে, কিন্তু উপরের পদে বিদেশী নিয়োগ দেয়া হবে। দেশ শ্রমিক রাষ্ট্র পরিণত হবে, কিন্তু কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না।
জ) দেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখার জন্য ব্যাপক হারে সংস্কৃতি, নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল, নাচ, গান, ক্রিকেট, ফুটবল টাইপের এন্টারটেইনমেন্ট চালু করতে হবে।
ঝ) পুরো সিস্টেমের মধ্যস্থতা করবে দুর্নীতিবাজ সরকার। সে দুর্নীতি করে অনেক সম্পদ লুটবে, কিন্তু দেশকে তুলে দেবে বিদেশীদের হাতে।
কর্পোরেটোক্রেসির আটকানোর সহজ উপায় হচ্ছে, তারা যে ষড়যন্ত্রগুলো করছে তার প্রত্যেকটির বিরুদ্ধচারণ করা, প্রতিবাদ করা। সবাই একযোগে প্রতিবাদ করলে তারা পিছু হটতে বাধ্য। বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী ‘আখ চাষ বন্ধ করে দেয়ার’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সবাইকে শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত। তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment