Wednesday, March 7, 2018

অমুসলিমরা ‘বিভিন্ন উপলক্ষ বা দিবস’কে টার্গেট করে তাদের সংস্কৃতি বা চেতনা’র বিস্তার ঘটায়


আমি আগেই বলেছি, অমুসলিমরা ‘বিভিন্ন উপলক্ষ বা দিবস’কে টার্গেট করে তাদের সংস্কৃতি বা চেতনা’র বিস্তার ঘটায়। আর সেই ফাঁদে আটকা পড়ে মুসলমানরা। অথচ এই কাজটি কিন্তু মুসলমানই করতে পারতো। মুসলমানরাও বিভিন্ন দিবসকে টার্গেট করে তাদের চেতনা বা সংস্কৃতির বিস্তার ঘটাতে পারতো, এতে একদিকে যেমন মুসলমানরা নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, অপরদিকে অমুসলিমরাও মুসলিম সংষ্কৃতির দিকে আকৃষ্ট হতো।

বস্তুত সংস্কৃতি বা কালচার এমন একটি জিনিস, সেটা যত বেশি আলোচনা হবে, তত সেটা ডালপালা মেলে মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু মুসলমানদের পূর্ববর্তী চেতনা ও সংস্কৃতি অত্যধিক সমৃদ্ধশালী থাকার পরও মুসলমানরা সেটা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। মুসলমানদের নিষ্ক্রিয়তায় সুযোগেই মুসলমানদের মধ্যে তৈরী হয় জেনারেশন গ্যাপ, ফলে মুসলমানরা হয়ে যায় চেতনাশূণ্য, পিছিয়ে পড়ে মুসলমানরা।
যেমন ধরুন- আগামীকাল হচ্ছে ৮ই মার্চ। বিশ্বনারী দিবস। এই দিবসটি এসেছে ‘ক্লারা জেটকিন’ নামক জার্মানির এক ইহুদী নাস্তিক মহিলার দ্বারা। কিন্তু এখন ঐ দিবসটি মুসলিম-অমুসলিম সব নারীরাই পালন করছে। স্বাভাবিকভাবে এ দিবসের পালনের মাধ্যমে ইহুদীবাদের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে এবং ইহুদীবাদীরা তাদের মতবাদ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলিম নারীরা এ দিবস পালন করে হচ্ছে বিভ্রান্ত।

কিন্তু এ বছর খ্রিস্টাব্দ ৮ই মার্চ তারিখের দিনে হিজরী তারিখ হচ্ছে ২০ জমাদিউস সানি (সন্ধা থেকে)। এই তারিখ হচ্ছে মুসলমানদের শেষ নবীর ৪র্থ কন্যা ফাতেমাতুজ জাহরা’র জন্মদিন। এই ‘২০ জুমাদাল ছানী’ তারিখটা যদি মুসলমানরা ‘বিশ্ব নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করতো, ঐ দিন নবী কন্যার জীবনী নিয়ে আলোচনা করতো, সভা-সেমিনার করতো, বই বের করতো, তবে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মুসলিম নারী তো অবশ্যই, অমুসলিম নারীরাও সেই দিকে আকৃষ্ট হতে পারতো। মুসলিম মনিষীদের জীবনী, কালচার ও ইতিহাস নিয়ে আলোচনার কারণে মুলসমানদের জেনারেশন গ্যাপ দূর হতো এবং পূর্ববর্তী চেতনা ফিরে আসতো।

আমার কাছে মুসলিম পুরুষদের তুলনায় মুসলিম নারীদের বেশি অরক্ষিত মনে হয়, কারণ মুসলিম নারীদের মধ্যে নারী মনিষীদের জীবনী নিয়ে খুব একটা আলোচনা নাই। মুসলিম নারীরা আজকাল পথিকৃৎ বলতে এমন সব নারীর নাম নিয়ে আসে যারা বেশিরভাগ নারীবাদী বা অসৎ চরিত্রসম্পন্ন। মুসলিম নারীদের জন্য যদি এ ধরনের দিনকে কেন্দ্র করে ইতিহাস-সংস্কৃতি আলোচনা করা যেতো, তবে মুসলিম নারীরা তাদের ধর্মীয় চেতনায় আরো উব্ধুদ্ধ হতো।

অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, “দিবসকে টাগের্ট করার দরকার কি ? এমনি আলোচনার করলেই তো হয়।”
কিন্তু আমার মনে হয়- দিবস বা উপলক্ষ টার্গেট না করলে আপনি এ কাজে সফল হবেন না। কোন কিছু করার জন্য ‘সময়’ একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারণ দৈনন্দিন জীবনে মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। একটা সময় নিদ্দির্ষ্ট না করলে সেটা করা সম্ভব নয়। অন্তত ১টা দিনও যদি আলোচনা করা যায়, তবে তার প্রভাব সারা বছর রাখা সম্ভব।

আর আপনি যদি না করে চুপ থাকেন, তবে আপনার প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই সুযোগটা ছাড়ছে না। মনে রাখবেন একটা গ্লাস কখন খালি থাকে না, পানি দিয়ে পূর্ণ না করলে তা বাতাস দিয়ে পূর্ণ হবে। মুসলিম নারীরা তখন ঠিকই ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন করবে এবং বিভ্রান্ত তথা দিকচ্যূত হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment