Sunday, February 4, 2018

আসলে হিন্দুদের যৌন অনুভূতি-ই নাই, তাই মাটির মূর্তি দেখেও তাদের যৌন অনুভূতি জাগে না।

সরস্বতী মূর্তিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর ‘সেক্সি’ বলায় ক্ষেপেছে হিন্দুরা। হিন্দুদের দাবি, “যারা মাটির মূর্তির মধ্যে যৌনতা খুজে পায়, তাদের কাছে তাদের মা, বোন নিরাপদ নয়।” (http://bit.ly/2Ee7cop)
হিন্দুদের দাবিটা একটু খেয়াল করুন- ‘মাটির মূর্তি বা পুতুলের মধ্যে যৌনতা খোঁজা’কে তারা অনৈতিক বা অস্বাভাবিক বলে দাবি করছে।
অথচ সারা বিশ্বে এখন সেক্স ডলের বিজনেস তুঙ্গে। চীন, জাপান ছাড়াও ইউরোপের অনেক দেশের মানুষ এ সেক্স ডল ব্যবহার করছে। চীন তো ঘোষণা দিয়েছে, তাদের নারী-পুরুষের সংখ্যায় যে তারতম্য আছে, তা পুরণের জন্য তারা সেক্স ডল ব্যবহার করবে। পুরুষরা নারীদের বিয়ে না করে, ঘরে এসব পুতুল কিনে নিয়ে যাবে, এবং শারীরিক কাজ সারবে। (http://bit.ly/2GLnkML)
লক্ষণীয় ‘সেক্স ডল’ বা ‘পুতুলের মধ্যে যৌন অনুভূতি’ খুজে পাওয়া এ রাষ্ট্রগুলো কিন্তু কোনটাই মুসলমানদের নয়। তারমানে পুতুল বা মূর্তির মধ্যে যৌন অনুভূতি খুজে পাওয়াটা শুধু আনিস আলমগীরের দোষ নয়, অনেকের মধ্যেই এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
তবে এখানে প্রশ্ন উঠছে, হিন্দুরা কেন দাবি করলো- পুতুলের মধ্যে যৌন অনুভূতি পাওয়াটা অবান্তর !
তারমানে কি পুতুল বা মূর্তি দর্শণে তাদের যৌন অনুভূতি জাগে না ?
নাকি তাদের যৌন অনুভূতি-ই নাই ???
এ সম্পর্কে হিন্দুদের দেশ ভারতে কিছু খবর উল্লেখ্যযোগ্য। আসুন সেগুলো দেখি-
১) জরিপ : ভারতে বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ ‘যৌন অক্ষমতা’ (http://bit.ly/2s4K8DT)
২) ভারতীয় ডাক্তারের দাবি : ভারত যৌন অক্ষমদের রাজধানী (http://bit.ly/2E0GiB7)
৩) ইন্ডিয়ান পুরুষের লিঙ্গ আর্ন্তজাতিক কনডম সাইজ থেকে ছোট (http://bit.ly/2EhdinQ)
উপরের খবরের আলোকে বলা যায়-
যেহেতু হিন্দুদের যৌন অনুভূতি-ই নাই, তাই মাটির মূর্তি দেখেও তাদের যৌন অনুভূতি জাগে না।
তবে হ্যা, সব হিন্দুকে আপনি ঢালাওভাবে যৌন অক্ষম বলতে পারেন না। অবশ্যই কিছু কিছু হিন্দু আছে, যাদের যৌন সক্ষমতা আছে। এবং তাদের অবশ্যই মাটির মূর্তি দেখে যৌন অনুভূতি জাগবে। সেরকমই একজন ছিলো, বিশিষ্ট ভারতীয় লেখক ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়’। তাইতো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘অর্ধেক জীবন’নামক বইয়ের ৯১ পৃষ্ঠায় মাটির মূর্তি দর্শণে যৌন অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া নিয়ে বলেছিলো-
“মণিমেলায় প্রথমবারের স্বরসতী পূজোর আগের রাত্রিটি আমার কাছে চিরস্মরণীয়। একটু বিস্তৃতভাবেই বলতে হবে।...........................নিঃশব্দ, নিবিড় রাত্রি, আমি বসে আছি, আমার সামনে একটি মাটির মূর্তি ছাড়া আর কিছু নেই। .................প্রতিমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সর্বাঙ্গে শিহরণ হল। কী অপূর্ব সুন্দর..........ভরাট, বর্তুল দুটি স্তন। সরু কোমর, প্রশস্ত উরুদ্বয়।....................তার অভিঘাতে তছনছ হয়ে যেতে লাগলো আমার কৈশোর, জেগে উঠল পুরুষার্থ। অল্প অল্প শীতে উষ্ণ হয়ে উঠল শরীর।.....................চোরের মতন সতর্কভাবে একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি হাত রাখলাম দেবী মূর্তির বুকে। ................আমার শরীর আরো রোমাঞ্চিত হলো, কানদুটিতে আগুনের আচ। আমি প্রতিমার ওষ্ঠ চুম্বন করলাম। আমার জীবনের প্রথম চুম্বন।”
এ লেখায় একটি বিষয় নির্দ্বিধায় প্রমাণিত,
যাদের যৌন অনুভূতি আছে, মাটির মূর্তিকে বিশেষ আকৃতিতে দেখে তাদের মাঝেও যৌন অনুভূতি জাগবে। এবং জাগাটাই স্বাভাবিক। আর যদি না জাগে তবে বিষয়টা অস্বাভাবিক ঠেকবে এবং ধরে নিতে হবে, ঐ লোকটি নিজেই আসলে যৌন অক্ষম। এ কারণেই তার মাঝে যৌন অনুভূতি জাগেনি।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

1 comment: