নাহিদ মন্ত্রী হওয়ার পর শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করে। সেই শিক্ষানীতি-২০১০ কে এখন শিক্ষা আইনে রূপান্তর করা হবে বলে কাজ চলছে। শিক্ষানীতি-২০১০ যদি আপনি পড়েন (http://bit.ly/2ChxfWL), তবে বুঝতে পারবেন- শিক্ষানীতি-২০১০ হচ্ছে মূলত ‘শিক্ষাকে কুক্ষিগত করার নীতি’। মানে, সরকার যে বই দিবে ছাত্রছাত্রীরা শুধু সেই বই পড়বে, যে শিক্ষক দিবে শুধু সেই শিক্ষকের কাছেই পড়বে, যে প্রতিষ্ঠানকে অনুমুতি দেবে শুধু তারাই পড়াতে পারবে। কোন বাড়তি পড়া, কোচিং করা কিছুই চলবে না।
সোজাভাষায় শিক্ষাকে কুক্ষিগত করার যত সিস্টেম আছে সবগুলো সেখানে অ্যাপ্ল্যাই করা হয়েছে।
সোজাভাষায় শিক্ষাকে কুক্ষিগত করার যত সিস্টেম আছে সবগুলো সেখানে অ্যাপ্ল্যাই করা হয়েছে।
মানুষের মৌলিক চাহিদা বলা হয়, ৫টি । খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। সরকারের পক্ষ থেকে যদি ঘোষণা দেয়া হয়, এখন থেকে সরকার সবগুলো মৌলিক চাহিদা মেটাবে, তখন কেমন হবে ?
- সরকার সবাইকে খাওয়াবে, কেউ নিজ খেকে চাষবাস বা রান্না করতে পারবে না।
- সরকার সবাইকে বাড়ি বানিয়ে দিবে, কেউ নিজ থেকে বাড়ি বানাতে পারবে না।
- সরকার সবার কাপড় বানিয়ে দেবে, কেউ নিজ থেকে কাপড় বানাতে পারবে না।
- সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে, কেউ প্রাইভেট ক্লিনিক বা ওষুধ কিনতে ডিসপেনসারিতে বা ডাক্তারের চেম্বারে যেতে পারবে না।
- সরকার সবাইকে খাওয়াবে, কেউ নিজ খেকে চাষবাস বা রান্না করতে পারবে না।
- সরকার সবাইকে বাড়ি বানিয়ে দিবে, কেউ নিজ থেকে বাড়ি বানাতে পারবে না।
- সরকার সবার কাপড় বানিয়ে দেবে, কেউ নিজ থেকে কাপড় বানাতে পারবে না।
- সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে, কেউ প্রাইভেট ক্লিনিক বা ওষুধ কিনতে ডিসপেনসারিতে বা ডাক্তারের চেম্বারে যেতে পারবে না।
বিষয়গুলো একটু চিন্তা করুন- উপরের বিষয়গুলো কি আদৌ সম্ভব ?
যদি সম্ভব্ই না, হয়, তবে সরকার কোন সাহসে শিক্ষানীতি-২০১০ এর মাধ্যমে পুরো শিক্ষা সেক্টরকে কুক্ষিগত করতে চায় ? যার সামান্য একটা প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর যোগ্যতা নাই, সে কিভাবে শিক্ষার মত একটি মৌলিক চাহিদার পুরো বিষয়টাকে একা সরবরাহ করার ঘোষণা দেয় ?
যদি সম্ভব্ই না, হয়, তবে সরকার কোন সাহসে শিক্ষানীতি-২০১০ এর মাধ্যমে পুরো শিক্ষা সেক্টরকে কুক্ষিগত করতে চায় ? যার সামান্য একটা প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর যোগ্যতা নাই, সে কিভাবে শিক্ষার মত একটি মৌলিক চাহিদার পুরো বিষয়টাকে একা সরবরাহ করার ঘোষণা দেয় ?
আমি আগেও বলেছি, এখন বলছি, শিক্ষামন্ত্রী নাহিদকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রনালয়ে বসানোই হয়েছে বিশেষ এজেন্ডা দিয়ে। বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাটের জন্য সম্রাজ্যবাদীদের রয়েছে বিশাল প্ল্যান। সেই প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাই, একটি মূর্খ প্রজন্ম ও অদক্ষ জনগোষ্ঠী। শিক্ষামন্ত্রী ক্ষমতা নেয়ার পর ধারবাহিক প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে “আইএম জিপিএ৫ প্রজন্ম” তৈরী হচ্ছে। এ প্রজন্মের যোগ্যতা না থাকলেও গ্রেডিং পয়েন্ট নিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে, ফলে অদক্ষ প্রজন্ম নিয়ে দেশে তৈরী হবে নতুন সঙ্কট। সেই সঙ্কটের সুযোগে সহজে কাজ সারবে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীরা।
সোভিয়েত রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ ছিলো সিআইএ’র দালাল। তার অর্ধ শতাব্দীর ক্যারিয়ারে কেউ ধরতে পারেনি তার সিআইএ’র দালালির কথা। কিন্তু ক্ষমতা পেয়েই সে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে দিয়ে জানান দিলো তার মার্কিন যোগাযোগের কথা। সোভিয়েতবাসী যখন বুঝলো, গর্বাচেভ একজন দালাল, তখন তাদের করার কিছুই ছিলো না। শিক্ষামন্ত্রীকে এখনও অনেকে মিখাইল গর্বাচেভের মত ইনোসেন্ট বানাতে চাইছেন, কিন্তু যখন হাতেনাতে বুঝবেন তিনি কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, তখন কিন্তু কিছুই করার থাকবে না।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment