Wednesday, February 14, 2018

প্রশ্নফাঁস হওয়া আপনাদের অপরাধ, এটা ঢাকতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করছেন কেন ?

শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই, শেখ হাসিনা বলেছে, “১০০ অর্জন আছে, দু’একটি ঘটনায় সর্ব অর্জন নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।”
(http://bit.ly/2G9FJBG)
শেখ হাসিনার এ ধরনের কথাবার্তায় আমি খুব হতাশ হয়েছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, তিনি ১০০% অর্জন বলতে কি বুঝাতে চাইছেন? এবং এও জানতে ইচ্ছা করছে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনাকে তিনি দু’একটা ঘটনা বলে তাচ্ছিলো করতে চাইলেন কেন ? তারমানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা বিশাল কিছু নয়? তার কাছে ২০ লক্ষ শিক্ষার্থীর ১০ বছরের লেখাপড়ার গুরুত্ব ১%ও নেই ?
আসলে সত্যিই তো, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব শেখ হাসিনার কাছে থাকবেই বা কি করে ? কারণ শেখ হাসিনার নাতি-নাতনীরা বাংলাদেশে লেখাপড়া করে না, তারা ইউরোপ-আমেরিকায় লেখাপড়া করে। সুতরাং প্রশ্ন ফাঁস হলে সমস্যা কোথায় ?
আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৫ সালে খালেদা জিয়া যখন হরতাল দিচ্ছিলো, তখন তার নাতনী (কোকোর মেয়ে) পরীক্ষা থাকায় মালয়েশিয়া ফেরত গিয়েছিলো। তখন মিডিয়ায় বিষয়টি আলোচিত হয়েছিলো, “‘তারা ম্যাডামের নাতনি, হরতাল অবরোধ জনগণের জন্য” ।
(http://bit.ly/2o5tY7E)
গত কয়েকদিন যাবত আমরা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং তা সামাল দেয়ার নামে যে প্রহসন দেখছি, তা পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে আছে বলে মনে হয় না । শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যে আইন-কানুন ও গ্রেফতারী সিস্টেম দেখাচ্ছে, দাগী আসামীদের উপর বর্তানো সিস্টেমকেও ফেল করেছে। তার যত আইন-কানুন সব পরীক্ষার্থীদের উপর, শিশু-কিশোরদের উপর। কিন্তু শিক্ষাসেক্টরের যে প্রাপ্তবয়স্করা প্রশ্নফাঁস করছে তাদেরকে তিনি ধরতে পারেন নাই, তাদের নিয়ে নতুন আইনও দেন নাই। শিক্ষাসেক্টরে এ ধরনের জোরজবরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম সহ্য করা যায় না, আপনি বাচ্চাদের শিখাতে এসেছেন, তাদের উপর জোরজবরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম চাপিয়ে দিতে পারেন না।
একটা বাচ্চা যখন পরীক্ষা দিতে যায়, তখন তাকে নানা ভাবে অভয় দিতে হয়। তার মনকে শান্ত করা হয়। আমাদের সময় মনে আছে, আমাদের শিক্ষক ও গার্জিয়ানরা আমাদের নানাভাবে সাহস দিতেন, যেন আমরা ভয় না পাই। একটা ছাত্র নিজ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যখন অন্য এলাকায় আসছে, তখন এমনি তার ভয় পাওয়ার কথা। তখন তার মনমানসিকতা যেন সুস্থ থাকে এবং সঠিক উত্তর দিয়ে আসতে পারে, এজন্য তাকে অভয় দেয়া জরুরী। কিন্তু এখন যে জোরজরদস্তিমূলক পুলিশি সিস্টেম দেখানো হচ্ছে, যেন এটা পরীক্ষাক্ষেত্র না, যুদ্ধক্ষেত্র বলা জরুরী।
প্রশ্নফাঁস হওয়া আপনাদের অপরাধ, এটা ঢাকতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করছেন কেন ? আপনারা প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে না পারেন, পদত্যাগ করুন, নয়ত পরীক্ষা বন্ধ করে দিন। দরকার নাই আপনাদের ফালতু সিস্টেমের পরীক্ষা দেয়া। দয়া করে ছোট ছোট বাচ্চাদের গ্রেফতার করে তাদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। তাদের উপর পুলিশি সিস্টেম চাপিয়ে দেবেন না, তাদের অপরাধী বানাবেন না। বাচ্চার সামনে চকলেট ধরবেন, আর চকলেটে হাত দিলেই অপরাধী বানাবেন, গ্রেফতার করবেন, এটা কেমন কথা ? আপনার ঘুষ খাওয়া বন্ধ করতে পারেন না, সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার অনুমতি দেন, আর শিশু-কিশোরদের হাতে নিজেরাই প্রশ্ন তুলে দিয়ে, নিজেরাই তাদের গ্রেফতার করেন, এটা কিছুতেই সহ্য করা যায় না।
বাংলাদেশের শিশু-কিশোর অধিকার কর্মীরা এখনও কেন বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে না, তা আমার মোটেও বোধগম্য নয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment