Wednesday, February 14, 2018

অমুসলিমদের তৈরী দিবস নামক সাংস্কৃতিক আগ্রাসণকে সামাল দিতে মুসলমানদের সংষ্কৃতি ভিত্তিক দিবস ছড়াতে হবে


গত বছর দেখেছিলাম ভ্যালেন্টাইন ডে, এ বছর থেকে দেখছি অনেকেই ভ্যালেন্টাইন উইক পালন করছে। 
.
ভ্যালেন্টাইন ডে বিরোধীতাও কম নয়, কিন্তু ভ্যালেন্টাইনের বিষ কিন্তু সমাজের ভিতরে বেশ কিছুটা প্রবেশ করেছে, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
বর্তমান কালে আমরা যে বিজাতীয় আগ্রাসন দেখি, তার পুরোটাই কিন্তু দিবস ভিত্তিক। যেমন-
১) ভ্যালেন্টাইন ডে
২) পহেলা বৈশাখ
৩) হ্যালোইন ডে
৪) সাকরাইন ডে
৫) থার্টি ফাস্ট নাইট
৬) কিস ডে
৭) প্রপোজ ডে
৮) চকলেট ডে
৯) হ্যাগ ডে
১০) টেডি ডে
প্রতিনিয়ত এসব দিবসের সংখ্যা বাড়তেই আছে। আপনি যতই বিজাতীয় ধর্ম বৈধ-অবৈধ ফতওয়া দিচ্ছেন, লাভ কিন্তু পুরোপুরি হচ্ছে না, একটা শ্রেণী কিন্তু সেটা গ্রহণ করছে এবং প্রতি বছর তা বিস্তৃতি লাভ করছে।

তারমানে বোঝা যাচ্ছে, শুধু বিরোধীতা করেই একটা সংস্কৃতিকে আটকে রাখা যায় না, বিকল্পও তৈরী করতে হয়। এর কারণ মানুষ কখনও সংস্কৃতি থেকে খালি নয়, তাকে যদি ভালো সংস্কৃতির প্রবাহ না দেয়া হয়, তবে সে মন্দ সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরবেই, এটাই তার স্বভাবজার বৈশিষ্ট্য।

আমার মনে হয়, এসব বিজাতীয় সংস্কৃতি আটকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যেও বিভিন্ন দিবস চালু করা। এবং ঐ দিন ঐ ইতিহাস নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা করা। একটি খাবার যখন চামচ দিয়ে নাড়া হয়, তখন তার ঘ্রাণ চর্তুদিকে ছড়ায়। ঠিক তেমনি মুসলমানদের দিবসগুলো নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচনা হবে, স্বাভাবিকভাবে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্যগুলোও চর্তুদিকে ছড়িয়ে যাবে।

এখন কথা হলো, মুসলমানরা কোন দিবস উদযাপন করবে ?
আসলে নতুন করে কিছু নয়, পুরাতন ইতিহাসগুলো টেনে নিয়ে আসা। যেমন ধরুন, মুসলমানদের শেষ নবী যে দিন মক্কা শহর বিজয় করলেন, সে তারিখটা চিহ্নিত করুণ এবং ঐ দিনটি টার্গেট করে সবাই ঐ ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করুন। কিংবা সালাউদ্দিন আইয়ুবি যেদিন বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয় করলো, সেদিন চিহ্নিত করুন, এবং ঐ দিন ঐ ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কিংবা মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা ওমর যেদিন খিলাফত হাতে নিলেন সেদিন চিহ্নিত করুন। ঐ দিনের নাম দিতে পারেন, আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা প্রণয়ন দিবস (কারণ তিনি আধুনিক সমাজ ও শহর ব্যবস্থা চালু করেছিলেন)। এরপর ঐ বিষয়গুলো নিযে আলোচনা করুন। একটি দিবসকে কেন্দ করে বাগদাদ দিবস চালু করুন, ঐ দিন বাগদাদ শহরে যে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ লাইব্রেরী ছিলো এবং সেখানে কি কি বই ছিলো সেগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। অথবা একটি দিবস ঠিক করে মুসনলমান বিজ্ঞানীদের নিয়ে আলোচনা করুন এবং কোন কোন মুসলিম বিজ্ঞান কি আবিস্কার করেছেন এবং পরবর্তীতে কোন কোন অমুসলিম বিজ্ঞানী তাদের কোন কোন আবিষ্কারকে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।
হিসেব করলে দেখা যাবে বর্তমানে অমুসলিমরা ৩৬৫ দিনে সহস্রাধিক দিবস ছড়িয়ে দিয়েছে, যেন তারা দিবস নামক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দিয়ে সব দখল করতে পারে। এটা সামাল দেয়ার জন্য মুসলমানদের মধ্যেও বিভিন্ন উপলক্ষ করে দিবস চালু করতে হবে এবং ঐ দিবসকে কেন্দ্র ঐ কেন্দ্রীক সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। হ্যা, মুসলমানদের অনেক সংস্কৃতি আছে, কিন্তু কোন উপলক্ষ টার্গেট না করলে তা সূচনা লাভ করে না, এবং ছড়াও না।

আমি জানি, মুসলমানদের মধ্যে নানান মতভেদ আছে। কিন্তু সেগুলো বসে থাকলেও চলবে না। কারণ অমুসলিমরা এখন দিবস নামক সাংস্কৃতিক আগ্রাসণ ব্যাপক চালু করেছে, সেটা সামাল দেয়ার জন্য মুসলমানদের সংষ্কৃতি ভিত্তিক বিভিন্ন দিবস ছড়িয়ে দেয়ার বিকল্প দেখছি না।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment