আবিদ আহমেদ লিটন নামক এক কারা কর্মকর্তা স্ট্যাটাস দিয়েছে, যার সারমর্ম:
“ পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা শিরক... এ দিন হিন্দুরা অনুষ্ঠান করুক...সেটা তাদের ব্যাপার.....কিন্তু মুসলমানদের অনুষ্ঠান করা উচিত হবে না।”
এই স্ট্যাটাস দেয়ার পর তাকে নাকি বদলী করেছে সরকার এবং তার বিরুদ্ধে নাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(https://bit.ly/2HqCmdW, https://bit.ly/2IYEdDH)
আমরা জানি বর্তমান আধুনিক বিশ্ব মূর্তি পূজাকে সাপোর্ট করে না, কিন্তু তারপরও হিন্দু-বৌদ্ধরা প্রকাশ্যে মূর্তি পূজার কথা প্রচার করে। মানুষের মৃত্যুর পর নৈতিকভাবে মানুষের দেহকে আগুনে পুড়ানো সাপোর্ট করে না, কিন্তু তারপরও হিন্দুরা তা করে এবং প্রচার করে। আধুনিক মানবাধিকার নারী-পুরুষের সম্পত্তির অধিকারের কথা বলে, কিন্তু তারপরও হিন্দুদের ধর্মীয় আইন নারীকে বাবার সম্পত্তির ভাগ দেয়নি। শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে আইন করতে গেলে হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। দেশের সব মানুষ গরুর মাংশ খায়, কিন্তু হিন্দুরা গরুর মাংশ খাওয়ার বিরুদ্ধে বলে। দেশের ৯৫% মানুষ কষ্ট পাবে জেনেও তারা সেটা করে। কারণ এটা নাকি তাদের ধর্মীয় মত প্রকাশ তাদের অধিকার।
একজন হিন্দু যদি তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করতে পারে, তবে একজন মুসলমান কি তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করতে পারবে না ? তার ধর্ম অনুসারে কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা বলতে পারবে না ? সেটা বললে তার জেল জরিমানা দিতে হবে এই আইন কোথায় আছে ? সরকারকে সেটা দেখাতে হবে। সরকার তো মুসলমানদের ধর্মীয় মত প্রকাশে প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিভাগ এর-
-২৮ এর (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে:
“কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।”
-৩৯ এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে: চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।
এই ধারা অনুযায়ী একজন হিন্দু নাগরিক তার ধর্ম প্রচার করতে পারবে, কিন্তু মুসলিম নাগরিক তার ধর্মীয় মত প্রকাশ করলে সরকার শাস্তি দেবে, এটা কিন্তু হবে না।
সংবিধানের ২৬ এর (২) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে:
“রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসমঞ্জস কোন আইন প্রণয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।”
তারমানে সরকার শুধু মুসলমানদের মত প্রকাশের বাধা দিয়ে কোন আইনও পাশ করতে পারবে না, করলে সেটা সংবিধান অনুসারে বাতিল হবে।
পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের অনুষ্ঠান এটা তো হিন্দুরাই বলে। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মুসলমানরা করতে পারবে না, এটা কি একজন মুসলমান বলতে পারবে না ?
ঐ কারা কর্মকর্তা তো হিন্দুদেরকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয় নাই, সে নিজ ধর্মের মানুষকে সতর্ক করেছে। এটা অবশ্যই তার রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার এবং কোনভাবেই তাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না।
আমি সবাইকে আহবান জানাবো, মুসলমানদের ধর্মীয় মতপ্রকাশে সরকার বাধা দিচ্ছে এবং তাকে হেনস্তা করছে। এর বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলন গড়ে তুলুন। যে আওয়ামী সরকার ধর্মীয় মত প্রকাশের কারণে কারা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিতে পারে, সে আওয়ামী সরকার খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের ইসলাম নিষিদ্ধ করে দেবে । এবার মাদ্রাসায় মঙ্গল পূজা করিয়েছে, আগামীবার মাদ্রাসায় দূর্গা পূজা করাবে, মসজিদে কালী মূর্তি স্থাপন করে সবাইকে মাথা নত করতে বাধ্য করবে। আওয়ামী সরকার কর্তৃক ধর্মীয় বাক স্বাধীনতা হরণের স্বৈরাচারী স্বভাবের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে আন্দোলন করা এখন জরুরী।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment