Wednesday, January 30, 2019

গনতন্ত্রের জুস, আওয়ামলীগের পেশীর প্রয়োগ এবং বিএনপির বাধন ছেড়ার চেষ্টা


ব্যক্তিগতভাবে আমি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাকে সমর্থন করি না। কারণ আমি জানি এর মধ্যে কোন রাষ্ট্র কিংবা তার জনগণ কখনই শান্তি লাভ করবে না। কিন্তু তারপরও দেশের তাবৎ বুদ্ধিজীবি শ্রেণী সেই গণতন্ত্রের মাধ্যমে সকল ভালো জিনিস জুস বানিয়ে খেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
গত কয়েকদিন ধরে খবরে দৃশ্যমান, ভোটের দিন একটি সহিংস পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ইলেকশন কমিশন অফিস দেশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে, কারণ যে কোন সময় অনেক রোগী সেখানে ভর্তি হতে পারে।
বিএনপি চাইছে বহুকষ্টে পাওয়া এ নির্বাচনকে কাজে লাগতে। তাদের বিশ্বাস, মানুষের মাঝে আওয়ামী বিরোধী সেন্টিমেন্ট এতটাই প্রবল, সাধারণ মানুষ যদি শুধু ভোট কেন্দ্র যেতে পারে, তবেই তারা নির্বাচনে জয়লাভ করবে। আওয়ামীলীগও তাই জানে, তাই তারা চায় না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন কেন্দ্রে যাক, এজন্য তারা শুরু থেকেই প্রার্থী ও ভোটাদের ভয় দেখাতে দেশজুড়ে তাণ্ডব, কোপাকুপি, গোলাগুলি ও গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার। নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে পুলিশ ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার ৪ লাখ ৪৬ হাজার ও গ্রামপুলিশ ৪১ হাজার। প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার ও গ্রাম পুলিশ থাকবে ১৪ জন, কিন্তু এদের মধ্যে অস্ত্র থাকবে মাত্র ২ জনের কাছে। র‌্যাব-সেনাবাহিনী সরাসরি দায়িত্বে নয়, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।
সত্যি বলতে, ১ জন অস্ত্রধারী পুলিশ এবং ১ জন অস্ত্রধারী আনসার একটি ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা কতটুকু বজায় রাখতে পারবে, সেটা চিন্তার বিষয়। আওয়ামীলীগ জানে, সাধারণ মানুষ ভোট দিলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তাই তারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ দিয়ে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র দখলের উদ্যোগ নিতে পারে এবং বিএনপিও সেটার জন্য প্রস্তুত। আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে সে ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে বহু উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। স্বাভাবিকভাবে যদি চিন্তা করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিউট্রাল হয়ে যায় (হতে বাধ্য) তবে আওয়ামীলীগ-বিএনপির ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে বড় ধরনের একটা খুনোখুনি হতে পারে। অন্তত শহরকেন্দ্রীর কেন্দ্রগুলো বাদ গেলেও শহরের বাইরের কেন্দ্র এ ধরনের ঘটনা ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে ১০ বছর ক্ষমতার কারণে আওয়ামীলীগের সুবিধাবাদী নেতারা অসময়ে কতটা কাছে তাকে সেটা যেমন দেখার বিষয়, তেমনি বিএনপির সাথে কোয়ালিশন করা মার্কিনীপন্থীদের এনজিওগুলোর ফিল্ডে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ কর্মী এবং বাংলাদেশে সিআইএ কন্ট্রোলড গণমাধ্যমগুলো বিএনপির পক্ষে কতটা কাজ সেটাও দেখবার বিষয়।
আমি যদি গনতন্ত্রের ভাষায় কথা বলি, তবে বলতে হয়, আওয়ামীলীগ অগনতান্ত্রিক কাজ করেছে। সে যদি প্রকৃতপক্ষেই গণতন্ত্র মানে, তবে স্বৈরাচারি কায়দায় পতিপক্ষকে বাধা দেয়া মোটেও উচিত হয়নি, তাদের এহেন কর্মই বিরোধীদলগুলোকে এক্সট্রিম করে দিয়েছে, যা দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। অপরদিকে যদি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে যদি বলি, তবে বলতে হবে, আওয়ামীলীগ বিভিন্ন চেতনার উছিলায় দেশের জনগণকে দুইভাগে বিভক্ত করে মূর্খের শাসন ও দুর্নীতি আখড়া প্রতিষ্ঠা করেছে। উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞান-গবেষণা ও স্বনির্ভরতায় বাংলাদেশের যে পরিমাণ এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো সে পরিমাণ আগাতে বাংলাদেশ পারেনি।
দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলতা ও খুনোখুনির পরিবেশ কখনই মেনে নেয়া যায় না। যারা এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তাদের কর্মের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আজ হোক কিংবা কাল তাদের এহেন অপকর্মের কঠোর শাস্তি দাবী করি।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment