Wednesday, May 9, 2018

লুসো ইন্ডিয়ান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


অ্যাংলো ইন্ডিয়ান শব্দটার সাথে আমরা বেশ পরিচিত। ব্রিটিশরা ভারত শাসন করার সময় অনেক ভারতীয় নারীর সাথে মেলামেশা করে। তখন ভারতীয় নারীদের গর্ভে জন্ম নেয় অসংখ্য অবৈধ সন্তান। এই অবৈধ সন্তানদের ডাকা হয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান নামে। (https://bit.ly/2wkIe49)

ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে আসার পর অবৈধ সন্তানের হার এতটাই বেড়ে যায় যে, তারা এত সংখ্যক সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃত জানায়। এ অবস্থায় ১৮৮১ সালে তারা একটি আইন পাশ করে, যেখানে বলা হয়, পিতা যদি খ্রিস্টান হয়, এবং মা যদি হিন্দু ভারতীয় হয়, তবে সন্তানও হিন্দু ভারতীয় হবে। [(১৮৮১) ৮ এম আই এ ৪০০ ]

ঐ সময় হিন্দু নারীরা বিদেশীদের বিছানায় যাওয়াকে ডাকতো ‘কালীর আশির্বাদ’ নামে । এ সম্পর্কে বজ্রকলম গ্রন্থে গোলাম আহমদ মোর্তজা লিখেছেন: “ব্রিটিশ শাসনামলে পূর্বের প্রথা মতো বহুবিবাহের উপেক্ষিতা বিবাহিতা স্ত্রীলোকেরা ‘কালীর আশীর্বাদ লাভে’র নাম করে জব চার্ণকের প্রতিষ্ঠিত কলকাতার বউবাজার নামক নিষিদ্ধপল্লীতে গমন করতো। এরা কালীর নিকট ধর্ণা দেবার নাম করে বউবাজারের খালি কুঠিতে ইংরেজ আর্মি, নেভি ও রাজকর্মচারীদের কাছে দেহ বিলিয়ে দিয়ে শ্বেতাঙ্গ আর্য ‘কুলীন’ সমাজ গঠন করে। হিন্দু মহিলাদের গর্ভজাত এসব অবৈধ ইংরেজ সন্তানেরা ইংরেজি শিক্ষালাভ করে ব্রিটিশদের অনুগ্রহে বড় বড় পদ লাভ করে কলকাতার অভিজাত শ্রেণী গঠন করে।”

অর্থাৎ ইতিহাস স্বাক্ষী, হিন্দুদের ব্রিটিশ অনুগ্রহ লাভের অন্যতম কারণ ছিলো তাদের নারীদের ব্রিটিশদের বিছানায় পাঠানো, যে কাজটি মুসলমানরা কখনই করতে পারেনি।

তবে ইংরেজরা ভারতে আসার আগে কিন্তু এসেছিলো পতুর্গিজরা। পর্তুগিজরাও ভারতীয় হিন্দু নারীদের সাথে সম্পর্ক করে অনেক অবৈধ সন্তান তৈরী করে। ইংরেজ-ভারতীয় মিলে হয় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান আর পর্তুগিজ-ইন্ডিয়ান মিলে তৈরী হয় 'লুসো ইন্ডিয়ান'।(https://bit.ly/2InIAeS) আগেরকার গ্রন্থে অনেকেই বলেছে, রবীন্দ্রনাথ মূলত লুসো ইন্ডিয়ান।

এ সম্পর্কে নিরোদ সি চৌধুরী বিশ শতকের দিকে কলকাতার একটি পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে বলে, “রবীন্দ্রনাথ পিওর বাঙালী নয়, তার শরীরে পর্তুগিজ রক্ত আছে।” (From The Archives of Nirad C, Page 386)

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের 'রবীন্দ্রজীবনী' ১ম খন্ডের ৩য় পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে ররীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ ছিলো বিদেশী জাহাজের মালামাল বহনকারী কুলি’র সর্দার। কিন্তু হঠাৎ করে কোন আর্শিবাদ পেয়ে রবীন্দ্রপরিবার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলো ? এটা কি সেই ‘কালীর আশির্বাদ’ ? উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথের দাদার কলকাতায় ছিলো ৪৩টি পতিতালয়, আর সেই পরিবারে লুসো-অ্যাংলো সংকর থাকবে না, এটা তো হতে পারে না।

আপনারা যাই বলেন, রবীন্দ্রনাথের চেহারা আমার কখনই ১০০% বাঙালী বলে মনে হয় না, তাছাড়া রবীন্দ্রনাথকে ফ্রি-মেসন ক্লাবের সদস্য করাও সন্দেহের সৃষ্টি করে। কারণ রক্তে ওদের সংযোগ না থাকলে কাউকে খাটি দালাল বা ফ্রি-মেসন হিসেবে স্বীকৃত দেয় না ইহুদীরা।

আগামীকাল ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। এদিনকে উপলক্ষ করে হয়ত অনেকে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলোচনা করবে। আমি তাদের বলবো, জন্মদিনে দয়া করে রবীন্দ্রনাথের জন্মপরিচয় নিয়েও আলাপ কইরেন। আমরা কারো অন্ধবিশ্বাসযুক্ত আলোচনা পছন্দ করি না, ইতিহাসে সবকিছুই আলোচিত হোক, কোন কিছু গোপন নয়, সব সত্য উন্মোচিত হোক। সবাইকে ধন্যবাদ।

পড়তে পারেন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমার ১৬টি লেখা : https://bit.ly/2I2VZ8I



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment