Monday, May 21, 2018

আমি কেন চাই ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক’

কারণ আমার দৃষ্টিতে বর্তমান প্রচলিত ইহুদীবাদী ব্যবস্থার অপর নাম ‘যুলুমতন্ত্র’।
এই সিস্টেমে গোটাকয়েক ইহুদীর হাতে জিম্মি সকল মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এমনকি সাধারণ ইহুদীরাও।
একমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে, সকল ধর্মের লোক সুখে থাকতে পারবে এবং
একমাত্র ইসলাম-ই পারে ইহুদীবাদীদের সকল কূটকৌশল ভাঙ্গতে,
এই সামর্থ কেবল ইসলামীক সিস্টেমেরই আছে, অন্য কোন সিস্টেমের নাই।
বর্তমানে ইহুদীবাদীরা যে ব্যবস্থার উপর একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে তার নাম ‘অর্থনীতি’।
অর্থনীতিতে একচ্ছত্র অধিপত্যের কারণে অন্য ব্যবস্থাগুলো খুব সহজেই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে,
কারণ টাকা ছাড়া কিছু হয় না, মানুষ দিন শেষে সেই টাকার কাছেই ধরা।
বর্তমানে ইহুদীবাদীদের মূল পোষক হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতিতে এমন সিস্টেম জারি করেছে, পৃথিবীর সকল সম্পদ তার কাছে আসতে বাধ্য, এমনকি সে যদি কিছু নাও করে, তবুও আমি-আপনি তাদের কাছে বখরা দিয়ে যাচ্ছি।
এই বিষয়টি আমি আগেও আলোচনা করেছি, এখনও আলোচনা করছি,
সকল দেশ টাকা ছাপানোর আগে তার বিপরীতে কোন সম্পদ জমা রাখে
কিন্তু একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যার ডলারের বিপরীতে কোন সম্পদ জমা রাখতে হয় না,
সে প্রয়োজন মত ডলার ছাপাতে পারে।
অপরদিকে ইহুদীবাদী সংগঠন আইএমএফ মাধ্যমে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারকে সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় মূদ্রা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে আমরা আমাদের দেশের সম্পদ টাকাকে আন্তর্জাতিকভাবে এমন এক মুদ্রা দ্বারা ওজন পরিমাপ করছি, যার বিপরীতে কোন সম্পদ নেই, অর্থাৎ সে এক হিসেবে ফাকা।
সে দিক বিবেচনা করলে, বর্তমানে আমেরিকা যে সম্পদ ব্যবহার করতেছে, সেখানে আসলে কিছুই নেই, তারা আমাদের সম্পদগুলোকেই ব্যবহার করছে, আর তাদের ব্যবহারটা আমাদের উপর মূল্যস্ফিতি হিসেবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আমি অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদের সাথে কথা বলেছি,
কিন্তু কথা বলে হতাশ হয়েছি। কারণ তারা সেই ইহুদীবাদীদের বানানো সিলেবাস পড়ে বড় হয়েছে।
ইহুদীবাদীদের বানানো পলিসির বাইরে নতুন কিছু চিন্তা করবে, সে বুদ্ধি তাদের মেমরিতেই নেই।
আমার চিন্তা হলো, কিভাবে ইহুদীদের বানানো অর্থনীতি সিস্টেম ভেঙ্গে খান খান করে মুসলমানদের আলাদা বলয় তৈরী করা যায়।
প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এসেছে, তাহলো মুসলমানদের পৃথক অর্থনীতি ব্যবস্থা লাগবে।
কিন্তু সেটা কিভাবে ?
মুসলমানদের জন্য খুব সোজা, মুসলমানদের সম্পদের আড়াই শতাংশ’ জাকাত দিতে হবে। এটা তাদের ধর্মের আবশ্যক।
সব মুসলমান যদি আড়াই শতাংশ’ করে জাকাত দেয়, তবে বাৎসরিক বিপুল পরিমান সম্পদ তৈরী হবে, যা দিয়ে মুসলমানদের আলাদা অর্থনীতির ভিত্তি তৈরী করা সম্ভব।
মুসলমানরা কিন্তু এখন ট্যাক্স দিচ্ছে। যদিও ট্যাক্স আর জাকাত এক জিনিস নয়। ট্যাক্স হচ্ছে অনেকটা সার্ভিস চার্জের মত। অর্থাৎ একজন নাগরিক রাষ্ট্রের যে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে তার জন্য খরচ। যদি ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় সার্ভিস চার্জ এত বেশি নয়, কিন্তু বর্তমানে অতি উচ্চহারে ট্যাক্স নেয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে তো ৪০% ট্যাক্স নেয়, এছাড়া ভ্যাট-খাজনাও দিতে হয়। একটা গাড়ি কিনলে ৬০০% পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। এটা কিন্তু যুলুমতন্ত্র। মুসলমানরা যদি তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা চালু করতো, তবে নিশ্চয়ই এভাবে ডাকাতির শিকার হতে হতো না।
তবে আমি অনেক মুসলিম বন্ধুর সাথে আলাপ করে জেনেছি,
আজকাল মুসলমানরা নাকি জাকাত দেয় না, কেউ কেউ হয়ত দেয়, কিন্তু হিসেব করে আড়াই শতাংশ দেয় না। হয়ত হিসেবে জাকাত হয় ১ কোটি টাকা, কিন্তু মাত্র ১০ হাজার টাকার নিম্নমানের শাড়ি-লুঙ্গি কিনে গ্রামের বাড়িতে বিলি করে দিলো, ব্যস এটাই তার জাকাত।
তাদের এ কথা শুনে বুঝেছি, আসলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক, এটা মুসলমানরাই চায় না।
চাইলে তো তাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তিটা ঠিক রাখতো।
তারা ইহুদীবাদী অর্থনীতির সিস্টেম নিয়ে যতটা হিসেব করে,
ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে ততটা হিসেব করে না।
আমার মনে হয়, মুসলমানদের এ ধরনের নিম্নমানের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করা জরুরী।
জরুরী, কারণ যদি তারা চায় ইহুদীবাদের পতন ঘটুক এবং মুসলমানদের বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হোক।
আর যদি না চায়, তবে অপেক্ষা করুক, সবার ফিলিস্তিন, সিরিয়া আর মায়ানমারের পরিস্থিতি দেখতে।
মুসলমানরা বাচতে না চাইলেও ইহুদীরা কিন্তু ‘মুসলিম নিঃশেষের মাস্টারপ্ল্যান’ থেকে কখন সরে যাবে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment