আমি আগেই বলেছি, ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশে যতগুলো থিউরী প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তার মধ্যে অন্যতম: “ধর্ষণের জন্য পোষাক দায়ী নয়।” এ থিউরী বাস্তবায়নের তাদের অন্যতম উদ্যোগ ছিলো মোশারফ করিমের সেই টকশো। মোশারফ করিমের অনুষ্ঠানে সেই বিশেষ থিউরী পুরোপুরি ডেস্ট্রয় হয়ে যায় আমার দেয়া ‘যৌন উন্মাদ’ থিউরীর কাছে। এবার আমি অপেক্ষা করছিলাম, আমার যৌন উন্মাদ থিউরী খণ্ডানোর জন্য ইহুদীবাদীরা নতুন কোন থিউরী আনে। যাক এবার সেটা পাওয়া গেলো একাত্তর টিভির টকশোতে ‘পূর্নিমা-মিশা’র সেই অনুষ্ঠানকে নিয়ে করা টকশোতে।
আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি, মিশা-পূর্নিমার টকশোটি ছিলো পুরো কন্ট্রোভার্সিয়াল। তাদের আলোচনার মধ্যে ধর্ষণের বিষয়টি আনা অবশ্যই এমনি এমনি ছিলো না। পেছনে অবশ্যই কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিলো। এর মধ্যে একটি মিশা সওদাগরের সাথে কারো ব্যক্তিগত রেশারেশি থাকতে পারে। তবে আরেকটি উদ্দেশ্য ছিলো সম্ভবত ‘মিডিয়াতে এসব দেখে মানুষ যৌনউন্মাদ হয় কি না?” মানে আমি ‘যৌন উন্মাদ’ নামক যে থিউরীটা দিয়েছিলাম, সেটা খণ্ডন করা। তারা যেটা করেছে একটি বিষয়কে নেগেটিভ ভাবে নিয়ে এসে পজিটিভভাবে বর্ণনা করে ডিজলভ করে দেয়া।
একাত্তর টিভির পুরোটা টকশো যদি আপনি শুনেন, তবে দেখবেন, তারা কেউ বলেনি- সমাজে ধর্ষন বন্ধে বাংলা সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য বা অশ্লীল দৃশ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বরং একাত্তরের উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা বেশ আক্ষেপ করেই বলেছে, “বাংলা সিনেমায় রোমান্স নেই” । আন্তর্জাতিক ভাবে রোম্যান্স বলতে বোঝায়, মুভির নায়ক-নায়িকার মধ্যে বিশেষ দৃশ্য, যা সফট পর্নোগ্রাফী বা ২এক্স রেটের মধ্যে পরে। তারমানে মুভিতে অশ্লীল দৃশ্য বন্ধ হোক এটা খোদ একাত্তর টিভি চায় না।
আমি যে অংশটুকু কেটে দিয়েছি, তা ভালোভাবে শুনলে বুঝবেন, একাত্তর টিভি গং বুঝাতে চাইছে, মুভিতে ধর্ষণ দৃশ্য বা অশ্লীল দৃশ্য হলেই সেটার প্রভাব সমাজে পড়বে না, এবং সে ধারণা করাটা অনুমান নির্ভর। বরং সমাজে তার প্রভাব নির্ভর করবে পুরুষের মানসিকতার উপর। এবং একজন পুরুষ নিজেকে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো সেটার উপর। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠতেই একজন শিক্ষক আলোচক (সম্ভবত সে পুরোপুরি একাত্তর গংয়ের সদস্য না) মিডিয়া ইফেক্টের থিউরী দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর মিডিয়ার প্রভাবের বিষয়টি বলতে চাইলেও একাত্তর টিভির উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা ও অনলাইনে সংযুক্ত হওয়া সিআইএপন্থী শিক্ষক ফাহমিদুল হক কৌশলে সেটা ঘুরিয়ে দেয় এবং যে এসব অশ্লীল দৃশ্য দেখছে তার যৌনতাকে দমিয়ে রেখে মানসিকতা পরিবর্তনের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। এবং শেষের অংশে উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা ও অনলাইনে সংযুক্ত হওয়া ফাহমিদুল হক নিজেদের আসল পরিচয় (নারীবাদী পরিচয়) ফাঁস করে বলে দেয়, “ধর্ষণের জন্য এসব মুভি দায়ী না, দায়ী নারীর প্রতি পুরুষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা (নারীবাদী থিউরী)।”
এই টকশো দেখলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে না, এদের আসল উদ্দেশ্য কি,
কিন্তু খুব সূক্ষভাবে একাধিকবার দেখলে বুঝতে পারবেন এই টকশোতে সাইকোলোজিকালী মোটিভেশন দেয়া হয়েছে। ধর্ষণে টিভি পর্দায় অশ্লীল দৃশ্যের প্রভাব রয়েছে, এটা না স্বীকার করে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের দাবী আবারও আওড়ানো হয়েছে। একাত্তর টিভি যদি ভালোই হতো, তবে সে মুভিতে অশ্লীল দৃশ্য বন্ধের দাবি তুলতো, কিন্তু সেটা সে ভুলেও করেনি। বরং রোম্যান্সের নামে সফট পর্নোগ্রাফী আমদানির কথা খুব ভালোভাবেই বলেছে।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment